প্রজাপতির_রং🦋 Part_28

0
1120

প্রজাপতির_রং🦋
Part_28
#Writer_NOVA

এক দিন পর…….

আজকের সকালটা অন্য পাঁচটা দিনের মতো নয়।সারা আকাশ মুখ গোমরা করে কালো হয়ে আছে।আমাদের ছোট বেলায় মা যখন বকতো তখন মুখটা যেরকম কালো করে রাখতাম।ঠিক তেমনি আজকের আকাশ। ঠান্ডা বাতাস বইছে।আজ যে এক পশলা বৃষ্টি আসবে তা আকাশ দেখলে বলা যায়।তবে আমি তো সিউর করে বলতে পারি না।বৃষ্টির মালিক আল্লাহ।তার ইচ্ছায় সব হয়।আল্লাহর যদি ইচ্ছে হয় তাহলেই তো রহমতের পানি বর্ষিত হবে ভুবনে।আকাশের রং এর সাথে মেয়েদের মনের তুলনা করা হয়।তুলনাটা কিন্তু অযৌক্তিক নয়।মেয়েদের মন আর আকাশের রং বদলাতে কোন সময় লাগে না। এখন আকাশ মেঘলা দেখলে কিছু সময় পর দেখবেন ঝকঝকে রোদ উঠেছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সকালের ওয়েদার উপভোগ করতে আমার বেশ লাগে।সাথে এক কাপ চা হলে তো কোন কথাই নেই। আজ অফিসের অফ ডে।সকালের শো নেই। বিকেলের শো করতে হবে শুধু। আগামীকাল এরিন ও হিমির টিউটোরিয়াল এক্সাম। তাই দুজন আজ সকাল সকাল উঠে পড়তে বসেছে।ওদেরকে জ্বালাতে আমার গুণধর পুত্র তো আছেই। আজ নাভান ঘুম থেকে জলদী উঠে গেছে। ওদের রুম থেকে পড়ার শব্দ পেলেই তাকে এই রুমে আটকে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।সেখানে ছুটে যাবে।তার খাতা, কলম নিয়ে আঁকিবুঁকি করবে।আর মিনিটে মিনিটে এরিন ও হিমিকে জ্বালাবে।আমি জোর করে আনতে চাইলেও আসবে না। কান্না করে মামলায় জিতে যাবে।ঐ রুম থেকে এরিনের চেচামেচির আওয়াজ আসছে। নিশ্চয়ই ওকে জ্বালাচ্ছে। একদম বাপের কার্বন কপি।ঝিরিঝিরি ঠান্ডা বাতাসে হালকা শীত করছে।চুলগুলো সেই তালে মৃদু নড়ছে।

এরিনঃ এই নোভা,নোভা রে।নাভানকে কিছু বলে যা বোইন।আমার কথা শুনছে না।

ওপর রুম থেকে এরিনের ডাক শুনে দৌড়ে ওদের কাছে গেলাম।গিয়ে দেখি এরিন হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। হিমি মিটমিট করে হাসছে।নাভান তার সামনের দাঁতগুলো বের করে শয়তানি হাসি দিচ্ছে।

আমিঃ কি রে কি হয়েছে?

এরিনঃ তোর পোলার আজকে কি হয়েছে? সেই কখন থেকে আমার সাথে লেগে আছে।

আমিঃ নাভান, খালামণিকে কি করছো?

নাভান তার ১৪ টা ছোট ছোট ইঁদুরের দাঁত দেখিয়ে আধো আধো কণ্ঠে বললো।

নাভানঃ কাম(কামড়) দিছি😁।

আমিঃ বজ্জাত পোলা।কামড় দিয়ে আবার দাঁত বের করে হাসা হচ্ছে। আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন। এক থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দিবো।

হিমিঃ ওকে বকছিস কেন?

আমিঃ না কোলে তুলে নাচবো।ও এরকম দুষ্টু হচ্ছে কেন দিনকে দিন।

হিমিঃ ও কি বুঝে?

আমিঃ একদম কথা বলবি না। তোদের আশকারায় এরকম হচ্ছে। একটুও শাসন করতে দিস না আমায়।
এরিন কি হয়েছে ছিলো রে? ও তোকে কামড় কেন দিয়েছে?

এরিনঃ ও আমার বইয়ে মাছ আঁকবে। আমি আকতে দেইনি কেন?তার জন্য হাতটা সুন্দর করে টেনে নিয়ে গেল।আমি প্রথমে ভাবছি হয়তো আমাকে পটানোর জন্য চুমু দিবে।কিন্তু তা না করে জোরে কামড় বসিয়ে দিলো।এই যে দেখ, কি করেছে। ছোট ছোট দাঁতগুলো বসে লাল হয়ে গেছে।

এরিন ওর হাতটা সামনে বাড়িয়ে দেখালো।ওর ফর্সা হাতটা লাল হয়ে গেছে। ছোট মানুষের ছোট দাঁত হলে কি হবে। দাঁতে অনেক ধার আছে। মাঝে মাঝে ওকে ভাত খাইয়ে দেওয়ার সময় আমার আঙ্গুলেও কামড় দেয়।তখন আঙ্গুলটা জ্বলে যায়।মিনিট দুই আঙ্গুল নাড়াতে পারি না।এবার বুঝুন কি কামড় দেয়!!সারা শক্তি লাগিয়ে কামড় দেয়।

আমিঃ এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে হাতে বরফ ধর।নয়তো রক্ত জমে থাকতে পারে। আমি একা ওর কামড় খাবো কেন? তোরাও খেয়ে দেখ।আমাকে যখন কামড় দেয় তখন তো খুব বলতি ছোট বাচ্চা ছেলেটার কামড় সহ্য করতে পারিস না।এখন চিৎকার চেচামেচি করে সারা বাড়ি এক করলি কেন?

হিমিঃ আহারে এরিন!!! খুব লেগেছে।

হিমি মুখ চেপে হাসতে হাসতে কথাটা বললো।তাতে এরিন কটমট করে ওর দিকে তাকালো। তারপর মুখ ঝামটা মেরে বললো।

এরিনঃ তুই একটা খেয়ে দেখ।

আমিঃ নাভান, এদিকে আসো।

নাভান মুখ কালো করে, ঠোঁট ফুলিয়ে আমার সামনে এলো।আমি ওকে বকেছি তাই মুখের এরকম রিয়েকশন।ওর মুখ দেখে আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছে। কিন্তু হাসলে বিষয়টা ফান ভেবে, ও পরেরবার কামড় দিতে সাহস পেয়ে যাবে।তাই কঠিন গলায় ওকে বললাম।

আমিঃ খালামণিকে সরি বলো।

নাভানঃ 😶

আমিঃ কি হলো বলো? নয়তো তোমাকে হায়নার কাছে দিয়ে আসবো।হায়নাটা তোমাকে থাবা দিয়ে নিয়ে যাবে।তখন আমি তোমাকে একটু আনবো না। হায়নাকে বলবো নাভান পঁচা ছেলেটাকে নিয়ে যাও তোমরা।আমি অন্য একটা বেবী নিয়ে আসবো।এই বেড বয় আমার লাগবে না। সরি বলো।

নাভানঃ সুরি।(আস্তে করে)

আমিঃ জোরে বলো।আমি শুনিনি।

নাভানঃ সুরি-ই-ই-ই-ই-ই-ই(চিৎকার করে)

আমিঃ হইছে,থাম রে বাপ।কানের পর্দা কি ফাটাবি?

হিমিঃ হয়েছে আর বলতে হবে না।

আমিঃ তুমি যদি খালামণিদের সাথে এমন করো তাহলে তো খালামণিরা তোমার কাছে তাদের মেয়ে বিয়ে দিবে না।তুমি না মাঝে মাঝে ওদের শ্বাশুড়ি বলো।

এরিনঃ এমন ছেলের কাছে আমার ভবিষ্যতের মেয়ের বিয়ে দিবো না।

নাভানঃ লাগবে না।(গাল ফুলিয়ে)

আমিঃ বিয়ে হলো না আর তোরা নিজেদের মেয়ের বিয়ের স্বপ্ন দেখিস।তাও আবার আমার হিরোর মতো ছেলের সাথে। যা ভাগ।আগে নিজেরা বিয়ে কর। তোদের মেয়ে হোক।তারপর না হয় আমরা ভেবে দেখবো।কি বলো বাবা?আমি কি ভুল বলেছি?

নাভানঃ হুম।

আমিঃ ঐ পোলা,আমি ভুল বলছি?

নাভানঃ না।

আমিঃ তাহলে হুম বললি কেন?

নাভানঃ এমিনি (এমনি)।

এরিনঃ নোভা, তুই হলি একটা সুবিধাবাদী।

হিমিঃ কতখন আমাদের পক্ষে থাকিস।আবার কতখন নাভানের পক্ষে থাকিস।তোর দল পাল্টাতে এক মিনিটও লাগে না।

আমিঃ 🤣

এরিনঃ হাসিস না।

নাভানকে আরো কতখন শাসালাম। তারপর ফ্রীজ থেকে বরফ এনে এরিনের হাতে ডলে দিলাম।মাঝে মাঝে আমার ছেলের মাথায় বাপের মতো শয়তানি বুদ্ধিতে খোঁচায়। তাই সামান্য কিছুতে বিরাট কান্ড করে বসে।আবার বড় কোনকিছুতে চুপচাপ থাকে।বাপ-বেটা দুইটাই মিচকা শয়তান।আমার জীবনটা ত্যানা ত্যানা করে দিলো।

🦋🦋🦋

জীবনটা না বড় অদ্ভুত।জীবনের চলার পথে যখন আপনি পাশে কাউকে চাইবেন তখন একটা কাকপক্ষীও পাবেন না।আর যখন নিজেকে গুছিয়ে একা চলতে শিখে যাবেন তখন পাশে থাকা মানুষের ভিড় পরে যাবে।আমার জীবনটাও এখন এমন মনে হচ্ছে। যখন আমার নিজের মানুষের প্রয়োজন ছিলো তখন তায়াং ভাইয়া ছাড়া কাউকে পাইনি।এখন একা চলতে শিখে গেছি।এখন মানুষের আকাল নেই।

রোডিও স্টেশন থেকে বিকেলের শো শেষ করে একটা দোকান থেকে নাভানের জন্য চিপস, জুস ও কতগুলো চকলেট কিনে নিলাম।ধীর পায়ে রাস্তার কিনারা দিয়ে হাঁটছি। শরীরে কুলচ্ছে না।সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে।শরীরটা ভালো লাগছে না। সারাটা দিন ভালোই ছিলো।দুপুরের পর থেকে খারাপ লাগছে।আকাশটা আজ অন্ধকারে ঘেরা।গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পরছে।সন্ধ্যা নামতে আধা ঘণ্টা বাকি আছে। কিন্তু সবকিছু কালো মেঘে অন্ধকার হয়ে আছে। আশেপাশে একটা রিকশার দেখাও নেই।কিছু সময় পর পর বাস,সিএনজি, প্রাইভেট কার শো শো গতিতে আমাকে ক্রশ করে চলে যাচ্ছে।ছাতাও আনিনি।আজ নির্ঘাত আমার শরীর আরো বেশি খারাপ করবে।পরনে কালো গাউন বলে রক্ষা। সাদা জামা হলে তিল পরে যেতো। হঠাৎ কয়েকটা বাইক আমাকে ক্রশ করে যাওয়ার সময়, শরীরে পলিথিনে করে তরল জাতীয় কিছু ছুড়ে মেরে দ্রুত গতিতে চলে গেল।লোকগুলো আপাদমস্তক কালো পোশাকে মুড়ানো ছিলো।মুখে হেলমেট থাকার কারণে কিছুই বোঝা যায়নি।

আমিঃ কোন শয়তান বাঁদরে রে? রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এসব করে বেড়াস? আমার ড্রেসের মধ্যে কি ছুঁড়ে মারলো।ধূর, ড্রেসটাই নষ্ট। কি ছুড়ে মারলো এগুলো।সামনে পেলে কষিয়ে গালে দুটো চড় মারতাম।ফাজিল পোলাপাইন। বাইক তো চালায় না যেনো স্প্রিড বোট চালাচ্ছে। যত্তসব ফাউল লোক।

সারা শরীরে তরল ছিটছিটে একটা পদার্থ দিয়ে মাখামাখি। আমি ওড়ানাটা নাকের সামনে আনে তার গন্ধ শুঁকেই চোখ দুটো বড় বড় করে ফেললাম।এগুলো তো পেট্রোল। কিন্তু আমার শরীরে পেট্রোল মারলো কেন? মনের মধ্যে ভয় ঢুকে গেলো।এখন যদি আবার ঐ লোকগুলো আবার এসে আমার শরীরে দিয়াশলাইের কাঠি ছুঁড়ে মারে।পেছনে তাকাতে মনে হলো কেউ আড়ালে সরে গেল।

আমিঃ হচ্ছেটা কি আমার সাথে? নতুন কোন শত্রুর আমদানি হলো আমার সাথে। আমারতো ভয় করছে।কি করবো এখন? কি করি?

মাথা কাজ করছে না।এদিকে পেট্রোলের গন্ধে ভেতর থেকে সব উল্টেপাল্টে আসছে।দ্রুত ব্যাগ হাতরে মোবাইল বের করে তায়াং ভাইয়াকে কল করলাম।তায়াং ভাইয়াও কল ধরছে না।

আমিঃ তায়াং ভাইয়া প্লিজ কলটা ধর।কলটা ধর না পাঠা।তোকে যখন আমার প্রয়োজন হয় তখুনি পাই না।আমাকে বাঁচা।

ভীরু পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কোন রিকশার দেখাও নেই।
আশেপাশে মানুষজন খুব কম।একটা টং দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুটো লোককে আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে পিলে চমকে গেল।দ্রুত পায়ে হাঁটতে লাগলাম।পিছনে তাকিয়ে আৎকে উঠলাম। কারণ লোক দুটো আমার পিছুই আসছে।ততক্ষণে তায়াং ভাইয়া আমার কল ধরেছে।

আমিঃ হ্যালো ভাইয়া কোথায় তুই?

তায়াংঃ কেন কি হয়েছে?

আমিঃ তুই যেখানে আছিস জলদী আয়।

তায়াংঃ কি হয়েছে তাতো বলবি?

আমিঃ আমি বিপদে আছি।আমাকে বাঁচা।

তায়াংঃ কই তুই? জলদী বল কই তুই? তুই ভয় পাস না। আমি আছি তোর সাথে। তোর কিছু হবে না।বল তুই কোথায়? আমি আসছি।

আমিঃ আমি রোডিও স্টেশন থেকে একটু দূরে আছি। দুটো লোক আমার পিছু নিয়েছে। একটু আগে বাইকের থেকে একটা ছেলে পাতলা পলিথিনে করে পেট্রোল ছুঁড়ে মেরেছে। ভাইয়া ঐ লোকগুলো এখন দিয়াশলাই হাতে নিয়ে আমার দিকে আসছে।একজন কিছু সময় পরপর দিয়াশলাই থেকে কাঠি বের করে আগুন ধরাচ্ছে।

তায়াংঃ তুই ভয় পাস না। আমি আসছি।

আমিঃ ভাইয়া,আমার কিছু হয়ে গেলে আমার ছেলেটাকে দেখে রাখিস।ওর কোন ক্ষতি হতে দিস না।ওকে আগলে রাখিস।ওর বাবার কাছে ওকে দিয়ে
আসিস।

তায়াংঃ কিচ্ছু হবে না তোর।আমি আছি তো।এখুনি আসছি আমি।

আমি কানে মোবাইল ধরে দ্রুত পায়ে দৌড়াচ্ছি।তায়াং ভাইয়ার কলটা কেটে মোবাইল ব্যাগে ভরে নিলাম।আমি দৌড়াচ্ছি।পেছনে তাকিয়ে দেখলাম লোকগুলো আমার পিছু দৌড়াচ্ছে। আমি দৌড়ের বেগ আরো বাড়িয়ে দিলাম।শরীরে বিন্দুমাত্র শক্তি পাচ্ছি না।

বৃষ্টির বেগটা আগের থেকে একটু বেড়েছে।আমার ভীষণ ভয় করছে।কিছু দূর গিয়ে এক চিপা গলি দিয়ে ঢুকে আড়ালে লুকিয়ে রইলাম।লোক দুটো সেই গলিতে ঢুকেই আশেপাশে খুঁজতে লাগলো। আমি যথাসম্ভব নিজেকে আড়াল করে রেখেছি।আমাকে না পেয়ে লোকগুলো গলি থেকে বের হয়ে গেলো।আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ছারলাম।মাথাটা কচ্ছপের মতো করে একটুখানি বের করতেই আমার মনটা খুশিতে নেচে উঠলো।তায়াং ভাইয়াকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু খুশিটা বেশিকক্ষণ স্থির হলো না।তারপর যেটা দেখলাম তাতে চোখ দুটো আমার কোটর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। তায়াং ভাইয়া ঐ লোকগুলোর সাথে কথা বলছে।তায়াং ভাইয়ার পরনে তখনকার সেই বাইকের লোকগুলোর মতো আপাদমস্তক কালো পোশাক। তবে হেলমেটটা খোলা বলে তাকে চিনতে আমার কোন ভুল হয়নি।তায়াং ভাইয়া তাদের দিকে একটা টাকার বান্ডিল বাড়িয়ে দিচ্ছে।আমার থেকে তাদের দূরত্ব মাত্র কয়েক হাত।যার জন্য আমি স্পষ্ট সব দেখতে পাচ্ছি। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো।তায়াং ভাইয়াকে এতো বিশ্বাস করতাম সেই ভাইয়া কি এসব করছে? সবকিছুর পেছনে তায়াং ভাইয়ার হাত নেই তো?মুখ চেপে কান্না করে উঠলাম।ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদতে।এ আমি কি দেখছি?নিজেকে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অসহায় মনে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি না। আমার তায়াং ভাইয়া এমন হতেই পারে না।

—- কি ভাবীজী? সবকিছু নিজের চোখে দেখে কি অবাক হচ্ছেন?

পেছন থেকে একটা পুরুষালি কণ্ঠ পেয়ে পেছনে তাকাতে নিলেই, একটা বলিষ্ঠ হাত এসে আমার মুখে টিস্যু চেপে ধরলো।আমি দুই হাতে তার হাত ছাড়ানোর জন্য মোচড়ামুচড়ি শুরু করলাম।কিন্তু আমি ব্যর্থ।কারণ টিস্যুতে অজ্ঞান করার ঔষধ স্প্রে করে মেশানো ছিলো।কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সারা পৃথিবী আমার ঘুরতে শুরু করেছে।ততক্ষণে পেছনের লোকটা সামনে এসে দাঁড়ালো।ঝাপসা চোখ নিজের সামনে একটা পুরুষের অবয়ব ঠিকই দেখতে পেলাম ।কিন্তু কে সে?তা আমি বুঝতে পারলাম না। তার আগেই তার বুকে ঢলে পরে গেলাম।

#চলবে

সবাই এখন বলবেন কি হচ্ছে এসব? কিছু বুঝলাম না।সব মাথার উপর দিয়ে গেলো।কাহিনি কোথা থেকে কোথায় গেলো? একটু অপেক্ষা করেন।মেইন ভিলেন এবার সামনে আসবে। সেটা কি তায়াং নাকি অন্য কেউ তাও বলবো।আপনারা গেইস করেন কে হতে পারে সবকিছুর পেছনে? তবে সবসময় আমরা যা দেখি আর ভাবি তা কিন্তু ঠিক নাও হতে পারে। তাই একটু ভেবেচিন্তে বলেন।কাহিনি কিন্তু এবার অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। ধৈর্য্যহারা না হয়ে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য একটু ওয়েট করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here