#তোমার_মনের_মধ্যিখানি 🌼
মিমি_মুসকান
#পর্ব_৫
নিঝুম চোখের চশমা ঠিক করে সামনের দিকে তাকাল। শান্ত কে দেখতে পেয়ে তার চক্ষু ছানাবড়া। মেঝেতে শক্ত করে হাত বিছিয়ে বসে রইল। শান্ত হাত নেড়ে তাকে বলছে, “হেই চশমিশ!
নিঝুম শুকনো ঢোক গিলে। কাঁপা কন্ঠস্বরে বলে উঠে, প্রিন্সিপাল!
শান্ত এসে তার সামনে আগায়। নিঝুম ঠিক ততোটাই পিছনে যেতে থাকে। শান্ত এক হাঁটু গেড়ে বসে বলে, এই যে তোমার সামনে!
“এর মানে আপনি আমাকে এখানে আনিয়েছেন।
“বুদ্ধির তারিফ করতে হবে তোমার!
নিঝুম দাঁতে দাঁত চেপে ধরল। চেঁচিয়ে উঠল, আআআআ! আমাকে এখানে কেন এসেছেন আপনি।
শান্ত কানে হাত দিয়ে বলে, চিৎকার কেন করছো? সবাইকে জানাতে চাও তুমি আর আমি এখানে। তা সেটা কি সত্যি ভালো হবে বলে তুমি মনে করো।
নিঝুম ঠোঁট কামড়ে তাকিয়ে ধরল। শান্ত হেঁসে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। নিঝুমের চোখ রাগে লাল হয়ে আছে। শান্ত হেসে তার চশমা খুলে নিয়ে বলল, বাহ তোমার চোখ দুটো তো সুন্দর!
চশমা হাতে নিয়ে শান্ত দাঁড়িয়ে গেল। এদিকে নিঝুম চশমা ছাড়া চারদিকের সবকিছু অন্ধকার দেখছে। কোনমতে উঠে দাঁড়িয়ে শান্ত’র দিকে হাত বাড়িয়ে এসে বলল, চশমা দিন আমার!
শান্ত ব্যাপারটা বুঝতে পেরে এক পা সরে দাঁড়িয়ে বলল, তোমার যা লাগবে খুঁজে নাও!
“আমি চোখে সব ঝাপসা দেখছি, চশমা দিন আমার।
“হুম হুম নিয়ে নাও!
বলেই শান্ত চশমা হাতে নিঝুমের চারদিকে ঘুরছে। এদিকে নিঝুম চোখে যতটুকু ঝাপসা দেখছে ততোটুকুতেই শান্ত’র কাছে যাবার চেষ্টা করছে। কিন্তু শান্ত’র কাছে যেতেই সে আবারো হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে!
শান্ত একটু দূরে এসে দাঁড়াল। নিঝুম এক জায়গায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে। শান্ত হেসে চশমার দিকে তাকাল। ভাবল এটা এখন ফেলে দিবে, তারপর এই চশমিস মেয়েটা কে ছাদের উপর ছেড়ে দিয়ে আসবে। তখন এই মেয়েটা ছাদে ঘুরপাক খেতে থাকবে। দেখতে বেশ লাগবে!
ভেবেই বাঁকা হাসল শান্ত। হঠাৎ করেই মনে হলো তার পেছন থেকে কেউ তাকে খামচে ধরেছে। শান্ত চমকে উঠল। নিঝুম দুহাত মুঠো করে শান্ত’র টি শার্ট আঁকড়ে ধরল। বলে উঠল, আমার চশমা দিন!
শান্ত রেগে উঠে বলে, এই মেয়ে ছাড়ো আমায়।
“আগে আমার চশমা দিন, দিন বলছি!
“তুমি আগে ছাড়ো আমায়!
বলেই শান্ত ছুটোছুটি করতে লাগলো। নিঝুম লাফিয়ে উঠে শান্ত’র চুল টেনে ধরল। শান্ত নুইয়ে পড়ল।
“আহ কি করছো?
“চশমা দিন, নাহলে আপনার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলব আমি।
শান্ত দাঁতে দাঁত চেপে বলল, আমার চুল ছাড়ো বলছি !
“আগে চশমা দিন!
শান্ত রেগে নিঝুমের হাত থেকে চুল ছাড়িয়ে তার হাত শক্ত করে নিল। নিঝুম তৎক্ষণাৎ কেঁপে উঠল। শান্ত ঘন ঘন শ্বাস ফেলছে। নিঝুম চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শান্ত যে তার হাত ধরে আছে এটা সে বুঝতে পারছে তার সাথে শান্ত’র রাগের উপস্থিতি পাচ্ছে। ধীরে ধীরে বলল, চশমা টা দিন প্লিজ!
শান্ত নিঝুমের হাতে ধপ করে চশমা দিয়ে তাকে ধাক্কা দিল। নিঝুম চশমা হাতে এক পা পিছিয়ে গেল। দ্রুত চশমাটা পড়ে নিল। শান্ত’র দিকে তাকিয়ে দেখল সে তার চুল নিয়ে ব্যস্ত। নিঝুম এই ফাঁকে পালিয়ে যাবার জন্য দৌড় দিতে নিলেই শান্ত খপ করে তার হাত ধরে ফেলল। আবারো ধরা পড়ে গেল নিঝুম। শান্ত তাকে টেনে নিজের কাছে এনে বলল, “এতো সহজ আমার থেকে পালানো!
“আআমি!
“তোতলাচ্ছো! ভালো তো কিছুক্ষণ পর এমন হাল করবো না কথা বলার অবস্থায় থাকবে না।
“কককেন?
শান্ত রেগে নিঝুম কে দেওয়ালের দিকে ঠেকাল। নিঝুম চোখ ঘুরিয়ে হাত ধরে তাকিয়ে আছে শান্ত’র দিকে। শান্ত শব্দ করে শ্বাস ফেলে হেসে বলল,
“তোমার সাহস দেখে অবাক হচ্ছি। আমার গায়ে হাত তুলছো তুমি। সাহস কি করে হয় আমার চুল ধরে টানার।
শান্ত’র ধমকে কেঁপে উঠে নিঝুম। চোখ বন্ধ করে সব ধমক শুনে চোখ মেলে তাকায়। শান্ত তার দিকে রেগে তাকিয়ে আছে। নিঝুম এবার নাক ফুলিয়ে বলে উঠে,
“তাহলে আপনি আমার চশমা কেন কেড়ে নিলেন।
“তুমি আবার চেঁচিয়ে কথা বলছো। আহহ!
নিঝুম চোখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে আছে। শান্ত নিঝুমের কপালে আঙ্গুল দিয়ে বলে, আবারো এই ভাবে তাকিয়ে আছো। তুমি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছ!
নিঝুম নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে রইল। শান্ত হেসে বলল, তোমার চোখের ধার আছে বলতে হবে।
অতঃপর তার সাথের দেওয়ালে হাত দিয়ে থাপ্পড় দিতেই নিঝুম চোখ বন্ধ করে দেওয়ালের সাথে আটকে গেল। শান্ত মুখ টিপে হাসলো। নিঝুমের মুখের দিকে ফুঁ দিল খুব জোরে। নিঝুম চোখ মেলে তাকাল। শান্ত’র দৃষ্টি চশমা ভেদ করে তার চোখ দু’টো দেখতে লাগল। চোখের পাতা ফেলে ফেলে তাকিয়ে রইল সেই চোখের দিকে।
নিঝুম চোখ ঘুরিয়ে এখনো তাকিয়ে আছে। না এভাবে ভয় পেয়ে দাড়িয়ে থাকলে চলবে না। শান্ত এখানে একা আর সেও! পালিয়ে যাওয়া খুব একটা কঠিন হবে না। শুধু একটু সাহস জোগাতে হবে। নিঝুম চেঁচিয়ে উঠল। শান্ত’র বোধ হলো। একটু সরে দাঁড়াল সে। ভ্রু জোড়া কুঁচকে গেল তার। নিঝুম শান্ত’র মুখের উপর বলল, আপনাকে ভয় পাই না আমি বুঝলেন।
“হুমম কি বললে তুমি।
“যা শুনেছেন তাই, আপনাকে ভয় পাই না আমি।
“নিজের কথা ফিরিয়ে নাও, নাহলে খুব পস্তাতে তুমি।
“না, আমি সত্যি বলছি। আপনাকে ভয় পাই না আমি।
শান্ত হেসে উঠল। খুব জোরে জোরে হাসল। নিঝুম অবাক হলো। সে তো আর কোন জোঁকস বলে নি, শান্ত এমনভাবে কেন হাসছে। শান্ত হাসি থামিয়ে দম নিয়ে বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। কথাটা মনে রেখো কিন্তু, কারন এখন থেকে আমি তোমার সাথে যা যা করবো তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। অতঃপর একসময় তুমি নিজেই আমার কাছে এসে বলবে, আমি ভুল করেছি। তোমার মুখের উপর কথা বলা একদম উচিত হয় নি আমার!
নিঝুম হেসে বলল, ঠিক বলেছেন আপনি। যান আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম।
শান্ত নিঝুমের মাথায় বাড়ি মেরে বলল, এগুলো আমার লাইন না তোমার! তুমি বললে এসব।
“কচু! কিছু বলবো না আমি। আপনাকে ভয় পাই না আমি, বুঝলেন।
“সিরিয়াসলি, তোমার এতো কাছে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে আর তুমি বলছো তুমি আমাকে ভয় পাও না।
নিঝুম দ্রুত মাথা নাড়িয়ে বলল না। শান্ত হেঁটে আরো এক কদম এলো। নিঝুম পারলে এবার দেওয়ালের সাথে মিশে যায়। শান্ত পাশের দেওয়ালে হাত রেখে বলল,” এখন বলো! নিজেকে বাঁচাবে কিভাবে তুমি?
নিঝুম চোখ ঘুরিয়ে আর নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে রইল। শান্ত হেসে বলল, এরকম কার্টুনের মতো মুখ করবে না তো।
নিঝুম দাঁতে দাঁত চেপে ধরল। কতো বড় সাহস তাকে কার্টুন বলছে। ইচ্ছে করছে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে। কি মনে করে এই লোকটা নিজেকে। হঠাৎ শান্ত হাত বাড়িয়ে নিল নিঝুমের কাছে। তার মুখে বাঁকা হাসি। নিঝুম চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। শান্ত’র হাত তার কাছে আসতেই তার হাত ধরে ফেলল। শান্ত’র কপাল কুঁচকে গেল। নিঝুম তার হাতে হুট করে খুব জোরে কামড় দিয়ে ধরল। শান্ত চেঁচিয়ে উঠল। নিঝুম অনেক জোরে কামড় বসাল। শান্ত কোনমতে তাকে সরিয়ে ধপ করে নিচে পড়ে গেল। দম ফেলে হাতের দিয়ে বলে, রাক্ষস নাকি তুমি! কামড়াচ্ছো কেন?
“আমার রাগ হলেই কামড়াতে ইচ্ছে করে তাই কামড় দিয়েছি। আপনাকে দেখলেই আমার রাগ হয় বুঝলেন। অতঃপর দুই হাত কোমরে দিয়ে বলল,
“তাই এরপর থেকে আমার থেকে দূরে থাকবেন। নাহলে কামড়ে আপনাকে ভূত বানিয়ে দেবো হুহ!
“কিহ?
নিঝুমের বোধ হলো। শান্ত এখন তার কাছে নেই। পেছনে তাকিয়ে এক দৌড় দিল সে। দরজা খুলে ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে গেল। শান্ত পিছন থেকে ডেকে উঠল, “এই চশমিশ!
নিঝুম কাঁধের ব্যাগ শক্ত করে ধরে দৌড়ে যাচ্ছে। বার বার পিছন ফিরে চেয়ে দেখছে শান্ত আসছে কি না। অতঃপর হঠাৎ করেই সামনে ফিরতে দেখল আফিন দাঁড়িয়ে। নিঝুম থামতে চেমেও থামতে পারছে না। আফিন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। এই বুঝি ধাক্কা লাগল। তখন হুট করেই আহনাফ নিঝুমের হাত ধরে ঘুরিয়ে নিল তাকে। নিঝুমের কপাল এসে বাড়ি খেল আহনাফের বুকের মাঝে। সব চুল গুলো এসে তার মুখের কাছে পড়ল। তানিশা, রিয়া আর দিয়া হা হয়ে তাকিয়ে আছে নিঝুম আর আহনাফের দিকে। আহনাফ নিঝুমের হাত ধরে আছে এটা দেখেই সবার চোখ কপালে। আফিন হাতটা বুকের কাছে এনে বলল, “আরেকটু হলেই আমার হার্ট অ্যাটাক হতো!
নীলাভ্র বাঁকা হেসে আফিনের কানের কাছে বলল, তুই বেঁচে গেলেও আরেকজন বাঁচবে না। ওদিকে তাকা!
আফিন ওদিক ফিরে দেখল। সাথে সাথে তার চোখ বড় হয়ে গেল। ক্যাম্পাসে দাঁড়ানো সবাই আহনাফ আর নিঝুম কে দেখছে। ভরা ক্যাম্পাস পুরো শান্ত। নিঝুম আহনাফের বুকের মাঝে থেকে মাথা উঠাল। মাথা ঝাঁকিয়ে চুল সরালো। অন্য হাত দিয়ে চুল গুলো ঠিক করতেই মনে পড়ল, বাম হাত দিয়ে কেন এসব করছি। আমার ডান হাত!
বলেই উপরে তাকাল। আহনাফ কে তার হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আঁতকে উঠল সে। হাত ছাড়িয়ে এক ফুট দূরে সরে গিয়ে চারদিকে তাকিয়ে রইল। তানিশা’র রক্তবর্ণ চোখ দেখে শুকনো ঢোক গিলল সে। এর মাঝেই আহনাফ জিজ্ঞেস করল, ঠিক আছো তুমি!
নিঝুম অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল আহনাফের দিকে। আহনাফ বলল, সাবধানে চলাফেরা করো!
বলেই পাশ কাটিয়ে চলে গেল আহনাফ। তার সাথে সাথে আফিন আর নীলাভ্র গেল। দু’জনে মুখেই মিটিমিটি হাসি। তানিশা রেগে হন হন করে চলে গেল। নিঝুম দেখল সবাই ভূত দেখার নিঝুমের দিকে তাকিয়ে আছে। নিঝুম দৌড়ে পালিয়ে গেল সেখান থেকে!
ক্যান্টিনে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে। আহনাফের চোখ বইয়ের দিকে আর তানিশার চোখ আহনাফের দিকে। রাগে তানিশার শরীর জ্বলে যাচ্ছে। নিঝুম কে কিভাবে ছুঁতে পারল আহনাফ। কেন ধরল তাকে। তানিশার রাগ দেখে দিয়া আর রিয়া তাকে সান্তনা দিচ্ছে। এদিকে আফিন আর নীলাভ্র মুখ টিপে হাসছে।
আহিম হন হন এসে বলে, শান্ত কোথায়? কেউ দেখেছিস তোরা!
আহনাফ বই নিচে নামিয়ে রাখল। আহিমের দিকে তাকিয়ে বলল, অনেকক্ষণ ধরে দেখেনি।
আফিন বলে উঠে, আচ্ছা আমি কল করছি।
নীলাভ্র বলে উঠে, ওই তো শান্ত এসে পড়েছে।
আহনাফ মৃদু হেসে শান্ত’র দিকে তাকায়। শান্ত’র মুখে রাগ স্পষ্ট! শান্ত রেগে এসে বসে পড়ে আহনাফের সামনে। ঢক ঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেলে সে। আহনাফের চোখ পড়ল শান্ত’র হাতের দিকে। সে ছুটে এসে শান্ত’র হাত ধর বলল, কামড় দিল কে তোকে?
শান্ত থমতম খেয়ে বলল, এটা কামড়ের দাগ না।
“কামড়ের দাগ না মানে কিসের দাগ এটা দাগলে। স্পষ্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে কেউ তোকে কামড় দিয়েছে আর তুই বলছিস না। এই আফিন, যা তো ঠান্ডা পানি নিয়ে আয়।
“ঠিক আছি আমি।
“চুপ করে বসে থাক। আর কামড় দিল কে তোকে।
আফিন চলে গের ঠান্ডা পানি আনতে। শান্ত চুপ হয়ে বসে আছে। বুঝতে পারছে না কি করে বলবে ওই চশমিশ তাকে কামড় দিয়েছে। এদিকে আহনাফের দৃষ্টিও তার দিকে। শান্ত হাত গুটিয়ে বলে, ওহ হ্যাঁ কামড় দিয়েছে!
“কে দিয়েছে?
“বি..বিড়াল!
সবাই একসাথে বলে উঠে, বিড়াল!
“হ্যাঁ ,একটা বিড়াল কে কোলে তুলেছিলাম কিন্তু বিড়াল টা ভালো না ছিল না। আমার হাতে কামড় বসিয়ে ছুটে চলে গেল।
রিয়া বলে উঠে, বিড়ালের দাঁত এমন হয় নাকি।
“হ্যাঁ এমন’ই। কেন কখনো বিড়ালের কামড় খাস নি তুই।
“না মানে..
আহনাফ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে শান্ত’র দিকে। শান্ত ভেবে পাচ্ছে না আহনাফ আদৌও তার কথা বিশ্বাস করল নাকি করল না। আহনাফ উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ডাক্তারের কাছে চল। বিড়ালের কামড়ের ক্ষত অনেকটা। ডাক্তার কে দেখানো দরকার।
“না না কোন দরকার নেই।
“আছে চল!
“আরে আমি বললাম তো নেই, ঠিক আছি আমি। তুই একটা কাজ কর আমাকে একটু পানি এনে খাওয়া। তৃষ্ণা পেয়েছে। আফিন এখনো এলো না।
“যাচ্ছি, কিন্তু তুই আগে বল ডাক্তারের কাছে যাবি।
“হুম যাবো, কেন যাবো না। এই তো একটু পরেই যাবো।
“হুম!
বলেই আহনাফ চলে গেল। আহিম মিটিমিটি হেসে শান্ত’র কানের কাছে বলল, বিড়াল টা মনে হয় চশমা পড়তো তাই না!
শান্ত দাঁতে দাঁত চেপে আহিমের দিকে তাকিয়ে রইল। আহিম মুখ টিপে হাসতে লাগলো। একমাত্র আহিম জানতো শান্ত নিঝুমের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সবাই যদি জানে নিঝুম তাকে কামড় দিয়েছে তাহলে এটার অন্য এক মানে বের করে ছাড়বে। শান্ত’র ইগো তেও আঘাত লাগবে। আর যাই হোক, এই চশমিশের কাছে হার মানবে না সে!
#চলবে….