ফ্লুজি #অনুপ্রভা_মেহেরিন [পর্ব ১০]

0
526

#ফ্লুজি
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ১০]

” আমার ফ্লুজি ফুল আর লাগবে?”

” দোকানে কী আর ফুল নেই?”

” না নেই।তোমার কি আরো লাগবে?অপেক্ষা করো ব্যবস্থা করছি।”

আরশাদ পকেট থেকে ফোন বের করলো।খুশবু অবাক হলো এই ছেলেটা বোকা নাকি?কম করে হলেও এখানে পাঁচশত গোলাপ ফুল আছে।আরশাদের কান্ড সকলে অবাক হয়ে দেখছিল।আত্মীয় স্বজনের মাঝে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আগে পড়েনি খুশবু।আরশাদ পকেট থেকে টিস্যু বের করে কপালের ঘাম মুছলো ছেলেটা সে হাঁপিয়ে গেছে তা বুঝতে বাকি নেই অনিমার।খুশবুকে চোখ ইশারায় আরশাদকে রুমে নিয়ে যেতে বলেন তিনি।

” আরশাদ আমার সাথে আসুন।”

দ্বিমত করলো না আরশাদ।সে ছুটলো তার ফুলের পেছনে।

” ফুল পছন্দ হয়েছে ফ্লুজি?”

” এসব করার কি দরকার ছিল আরশাদ?”

” সব কি দরকারেই করতে হবে?মন থেকে কি করা যায় না?মনের শান্তির জন্য করেছি।আমার ফুলকে আমি ফুল দিয়েছি।”

” বাজে কথা।”

” তুমি ফুল আমি মৌমাছি।”

” মৌমাছি কিন্তু মধু আহরণের পর ফুলকে ফেলে যায়।”

“তুমি জান না ফুল মধুর বিনিময়ে মৌমাছির গায়ে জড়িয়ে দেয় রেণু।”

খুশবুর ফোন এলো অন্য কেউ নয় রোহান ফোন করেছে।আরশাদ ফোন রিসিভ করে চুপচাপ বসে রইলো।অপরপাশ থেকে শোনা গেল রোহানের উৎকণ্ঠা কণ্ঠ।

” খুশবু কেমন আছো?ফোন ধরো না কেন?প্লিজ আমাকে ভুল বুঝো না আসলে, আসলে তোমাকে হারানোর ভয়ে আমি পুরোনো সম্পর্কের কথা জানাতে চাইনি।”

” সো হোয়াট?”

আরশাদের কথায় চমকে গেল রোহান।

” এই কে আপনি?”

” সুনু সুও মারিটো।”

” হোয়াট?”

আরশাদ আফসোস সুরে বলে,

” কে ই ফরতুনা।”

রোহান যেন গোলকধাঁধায় পড়লো।কে এই লোক,সে কি বলছে?খুশবুকে চেপে বসে আছে আরশাদ মেয়েটা পাশে বসে হেসে কুটিকুটি অবস্থা।রোহান ফোন কাটলো চটজলদি ফোন করলো বাহারুল হক’কে কিন্তু ব্যস্ততায় তিনি খেয়াল করলেন না কে ফোন করেছে।

দ্বিপ্রহর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন শেষে বিদায়ের পালা।কনে বিদায়ের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিল অপরদিকে আরশাদ আরিব আজ বেজায় খুশি তাদের পরিবারের নতুন সদস্যকে বরণ করবে বলে।কিন্তু তাদের খুশিতে আজ কাঁটা তারের দেয়াল সাজালেন বাহারুল হক।বিদায়ের সন্ধিক্ষণে আরশাদকে বুকে জড়ালেন তিনি এবং অমায়িক স্বরে বলেন,

” বাবা আজ আমি যে মেয়ে বিদায় দিতে পারবো না।আমি সেই প্রস্তুতি রাখিনি।মেয়ে বিদায় দেওয়ার সেই ভরসা আমি পাচ্ছি না।অন্তত নিশ্চিয়তার ভরসার হাত আমি যতক্ষণ না পাচ্ছি আমি মেয়ে বিদায় দিতে পারবো না।”

বার্তা বিহিন হৃদ কম্পনে আরশাদ থমকে গেল।পূর্ণতার দলিল নিয়ে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার তো কথা ছিল না।অনিমা চোখে চোখ রাখল আরশাদ।তিনি এই মুহূর্তে কিছুই বলার সাহস পেলেন না।বাহারুল হক সম্পূর্ণ ব্যপারটা দায়িত্বশীল হয়ে শেষ করেছেন।এই বেলায় এসে যখন এমন একটা যুক্তি দাঁড় করালেন তখন কিছু বলার সাহস নেই অনিমার।আরশাদ যেন বুঝলো না শুষ্ক ঠোঁট ভিজিয়ে সে বলে,

” বুঝলাম না,আপনি কী বললেন আঙ্কেল?”

” তোমার বাবা মা দুজনেই জীবিত।তারা বিয়েতে উপস্থিত নেই কিন্তু কন্যা সম্প্রদানে তাদের যে আমার চাই।তোমার বাবা না আসুক মা আসবে, মা না থাকুক বাবা আসবেন।আমার একমাত্র মেয়ে এভাবে মেয়ের বিদায় আমি দিতে পারি না।এই ব্যপারে যে তোমার বাবা মায়ের উপস্থিতি কাম্য।”

কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সবটা শুনলো খুশবু।তবে মনে চেপে থাকা ভয় কিছুতেই আড়াল করতে পারলো না সে।আরশাদ কী এখন বাবার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করবে?ছিনিয়ে নিতে চাইবে তার বাবার কাছ থেকে।বাবার ক্ষুদ্র রাজ্যের রাজকন্যা সে অপরদিকে দাম্ভিক রাজার রানী সে।সম্পর্ক যে পাল্টেছে, দোটানায় পড়ে স্রোতের বিপরীতে চলতে চায় না খুশবু।আরশাদ স্থির রইলো বাহারুল হকের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানালো।

” আমি আমার বাবা মা’কে নিয়ে আসবো খুব শীঘ্রই আসবো।সেদিন না হয় আপনি বাকি দায়িত্ব পূরণ করবেন।”

স্বস্তির শ্বাস ছাড়লো সকলে।আরশাদের সম্মতিতে বুক থেকে ভারি পাথর সরলো খুশবুর।
.
খুশবুর বিয়ের খবর চারিদকে যেন বাতাসের গতিতে ছড়িয়েছে।রোহানরা যখনি খবর পেয়েছে ছুটে এসেছে।ঝগড়া-বিবাদ, হুমকি-ধমকি কোন কিছুতে পিছ পা হলেন না তারা।শেষ পর্যন্ত মামলা করার হুমকি দিয়ে গেল রোহানের পরিবার।এসবে কিন্তু নিরব খুশবুর পরিবারের সকলে অযথা ঝুট ঝামেলায় জড়িয়ে এদের উস্কে দেওয়ার মানে নেই।
.
সকাল এগারোটায় ঘুম ভাঙলো খুশবুর।দ্রুত তৈরি হয়ে নাস্তার উদ্দেশ্যে রান্না ঘরে যেতে দেখা হলো তার বাবার সাথে।বাহারুল হক যেন মেয়েকে এড়িয়ে যেতে চাইলেন।সরল মনে খুশবু বলে,

” বাবা কি খুঁজছিলে?মা কোথায়?”

” জানিনা।”

থমথমে মুখ নিয়ে সরে গেলেন বাহারুল হক।বাবার ব্যবহারে খুব বেশি অবাক হলো না খুশবু এই তো গতরাতে খাওয়ার সময় তাকে ডাকেনি।প্রতিদিনের মতো আদর করে পাতে এক চামচ ভাত তুলে দেয়নি।বাবার এড়িয়ে যাওয়া কি খুশবু বুঝে না?খুব করে বুঝে।

” বাবা আমার বিয়ে নিয়ে কি তুমি খুশি নও?”

” তোমার জীবন তোমার সিদ্ধান্ত বাবা হিসেবে যত যা দায়িত্ব আছে আমি পূরণ করেছি।এখন আবার ভাববে শ্বশুর বাড়িতে কেন যেতে দিলাম না?সেটাও আমার দায়িত্ব দেখে শুনে মেয়ে পাঠাবো এর আগে নয়।”

অনিমা এগিয়ে এলো বাহারুল হকের মন কষাকষি একদিন যে থাকবে না তিনি তা জানেন খুব ভালো করেই জানেন।বাহারুল হক চলে গেলেন নিজের কক্ষে। বাবার পানে খুশবু তাকিয়ে রইলো শূণ্য চোখে।

” খুশবু খেয়ে দেয়ে দ্রুত রেডি’হ আরশাদ আসবে।”

” কেন আসবে।”

” তোকে নিয়ে যাবে পাসপোর্টের কাজ আছে তো।”

” ওমা এসবের কি কাজ?”

“ছেলেটা বিয়ে করেছে কি বউকে ফেলে যাবে বলে?তোকেও নিয়ে যাবে।”

” আর তুমি সেই কথা খুশি হয়ে বলছো?তোমার কি একটুও কষ্ট হচ্ছে না।”

অনিমা চাপা হাসলেন।খুশবুর পিঠে হাত বুলিয়ে বলেন,

” তুই সুখে থাকবি এর চেয়ে আনন্দ আর কিছুতে নেই।”

” এত গ্যারান্টি দিচ্ছ কি করে আমি সুখে থাকবো?”

” খারাপটা ভাবতে নেই মা।মনে রাখবি সব সময় ভালো কিছু ভাবতে হয়।”
.
অনেক্ষণ হলো ড্রয়িং রুমে আরশাদ এসে বসেছে।অনিমা নাস্তা নিয়ে ছোটাছুটি অবস্থা বাহারুল হক আরশাদের সাথে দেখা করলেন না।মেয়ে জামাই নিয়ে তিনি যে খুশি নেই বেশ বুঝতে পারে আরশাদ কিন্তু সে যে এসব গায়ে মাখবে না।সে খুশবুকে ভালো রেখে দেখিয়ে দেবে অযোগ্য ছেলের কাছে বাহারুল হক মেয়ে দেননি।

খুশবু এলো ধবধবে সাদা থ্রিপিস পড়ে।লম্ব চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে কেমন হেলেদুলে হাটছে।মেয়েটাকে দেখেই আরশাদ চমৎকার হাসলো।

” ওই তো আমার জান এসেছে।”

দুই শ্বাশুড়ির সামনে এমন কথা বলে বেশ লজ্জায় পড়লো আরশাদ।অনিমা নিজেও লজ্জায় পড়লেন।নেহা মামি শ্বাশুড়ি বিধায় কিছু বলতে পারলো না, তা না হলে এতক্ষণ আরশাদকে টিপ্পনী কাটতে একবিন্দুও ছাড়তেন না।আরিব লাগাম ছাড়া ছেলেটা লাগাম ধরতে পারলো না আচমকা শব্দ করে হেসে উঠলো সে।খুশবু বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান ধরে চুপসে রইলো।আরশাদ খুশবুর উদ্দেশ্যে বলে,

” চলো যাই।”

” বাবার সাথে দেখা করেছেন?”

” আমাকে দেখেই তো রুমের দরজা লাগিয়েছেন।আমার প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই।”

খুশবু মাথা নামালো।বাড়ির নতুন জামাইকে এভাবে অপমান না করলে কি হয় না?বাবা এতটাই মনে কষ্ট রেখেছেন!আরশাদ খুশবুকে হাত ধরলো এবং চোখে চোখ রেখে বলে,

” ফ্লুজি তুমি কি মন খারাপ করছো?আমি কিন্তু এই ব্যপারটা সামান্য হিসেবে নিয়েছি।আমাকে আজ তার অপছন্দ কিন্তু আগামী বছর একই সময় তিনি হয়তো আমাকে অপছন্দ করার মতো কোন কারণ খুঁজে পাবেন না।স্থান কাল সময় আমাদের রুচি অভ্যস চাহিদা পাল্টে দেয়।”
.
পাসপোর্টের কাজ নিয়ে আজ সারাটা দিন গেল আরশাদের।সন্ধ্যার পর দম ফেলার মতো সুযোগ পেয়েছে তারা।খিদায় নাজেহাল অবস্থা সবার।একটি রেস্টুরেন্টে এসে আরিব ক্লান্ত হয়ে চেয়ারে যে বসেছে আর উঠতেই চাইলো না।আরশাদ তাকে অনেকবার বললো ফ্রেশ হয়ে নিতে কিন্তু কে শুনে কার কথা আরিব নাছোড়বান্দা সে কিছুতেই উঠবে না।বাধ্য হয়ে আরশাদ একাই গেল ফ্রেশ হতে।খুশবুর অপ্রস্তুত ভাবটা দেখে আরিব বলে,

” ভাবি তোমাদের সব ঠিক ঠাক?”

আরিবের প্রশ্নটা ঠিক কি নিয়ে বুঝতে পারলো না খুশবু তবুও মাথা নেড়ে বলে,

” হ…হ্যাঁ ঠিক ঠাক।”

আরিব আশেপাশে তাকালো আরশাদ আসছে কি না নিশ্চয়ই সেটা পরখ করছিল সে।

” তোমার সাথে ভাইয়ার যখন ব্রেকাপ হলো সেদিনি ভাইয়া একে একে তোমার জমিয়ে রাখা সমস্ত স্মৃতি মুছে দিল।তুমি তো জানো ভাইয়ার বেডের পেছনে তোমার ছবি ছিল সমস্ত ছবি ভাইয়া পুড়িয়ে ফেলেছিল।ফোন ল্যাপটপ কোথাও তোমার কোন ছবি ভিডিও রাখেনি।এর মাঝে তুমি তোমার সব
সোস্যাল একাউন্ট ডিলেট করে দিলে কোন ভাবেই তোমাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।আমরা সকলে দিনের পর দিন দেখে গেছি ভাইয়ার জেদ, পাগলামি,রাগারাগি।ভাইয়া হঠাৎ থেমে গেল পাগলের মতো খুঁজতে থাকলো তোমাকে।কেউ তোমার খোঁজ দিতে পারেনি।মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়লো ভাইয়া তার চাকরিটাও ততদিনে ছেড়ে দিয়েছিল।একদিন হঠাৎ ভাইয়ার খিঁচুনি উঠলো এরপর একেক দিন একেক সমস্যা দেখা দিল।রাত দিন ফ্লুজি ফ্লুজি ফ্লুজি।ড্যাড ভাইয়াকে সাহস দিলেন যে করে হোক খুঁজে বের করা হবে তার ফ্লুজিকে।এভাবে কেটে গেল দুইমাস।ভাইয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হলো।লোক লাগালো তোমাকে খুঁজতে থাকলো।আটাশ দিন পর খোঁজ পাওয়া গেল তোমার কিন্তু তখন তোমার বিয়ে ঠিক তুমি ব্যস্ত বিয়ে নিয়ে।ভাইয়া বুঝতে পারলো তুমি তাকে ঠকিয়েছো।তোমাকে খু ‘ন করার সিদ্ধান্ত নিল সে আবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তোমার মুখোমুখি হবে।কখনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তোমার আগের হাজবেন্ডকে গায়েব করে দেবে। এমন অহেতুক হাজার খানেক ভাবনা ছিল ভাইয়ার মাথায়।জানো মম তাকে অনেক বুঝিয়েছে গ্র‍্যানি নিজেও কত কি করলো।কিন্তু দিন শেষে ভাইয়া নিজের সিদ্ধান্তে অটল, সে আর কাউকে না তোমাকে গায়েব করবে।হঠাৎ করে ভাইয়া নিখোঁজ তারপর জানতে পারি ভাইয়া দেশে এসেছে। এরপরি তো এতসব।তবে তোমাকে যে বিয়ে করবে তা তো আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি তোমার প্রতি ভাইয়ার জমেছিল বিতৃষ্ণা।এই বিতৃষ্ণা থেকে বিয়ে…ব্যপারটা ইন্টারেস্টিং না?”

আরশাদকে আসতে দেখে আরিব থামলো।ভয়ে জড়োসড়ো অবস্থা খুশবুর।প্রথম দেখায় আরশাদের সাথে তার মুহূর্ত গুলো সুখকর ছিল না।আরশাদের চোখে দেখেছিল তার প্রতি ঘৃণা কিন্তু হঠাৎ আরশাদ তাকে বিয়ে করলো কেন?বিদেশ নিয়ে মা র বে বলে?

” জান শরীর খারাপ লাগছে?”

চমকে তাকালো খুশবু আরশাদ তার হাত ধরেছে কপালে ছুঁইয়ে দেখছে জ্বর আছে কি না।কিন্তু এই মুহূর্তে আরশাদকে তার জম ছাড়া কিছুই মনে হচ্ছে না।

আরিব উঠে দাঁড়ালো আড়মোড়া ভেঙে বলে,

” ব্রো তোমরা থাকো আমি পার্সেল নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।”

” ওকে সাবধানে যাও।গাড়ি নিয়ে যাও আমরা চলে যেতে পারবো।”

আরিব গাড়ির চাবি নিয়ে চলে গেল কিন্তু কিছু ভেবে পুণরায় এলো সে আশাদের উদ্দেশ্যে স্বগোতক্তিতে বলে,

” সুযোগ করে দিয়েছি ব্রো।এমন ভাই আর পাবে না।”

” আরিব গো টু হেল।”

ওয়েটার খাবার দিয়ে গেল।একটু খাবারো ছুঁয়ে দেখলো না খুশবু।তার যে মনে ভয় ঢুকেছে আরশাদ কি সত্যি তাকে মা র তে চায়?আচ্ছা ইতালি নিয়ে কি তাকে মে রে ফেলবে?খুশবুর আতঙ্কগ্রস্ত মুখ দেখে আরশাদ বলে,

” জান কি হয়েছে?”

” আমি বাসায় যাব।”

” যাবে তো খাবারটা শেষ কর।”

” আমি ইতালি যাব না আরশাদ।”

” বাট হোয়াই ফ্লুজি?”

খুশবু কথা খুঁজে পেল না।কি বলবে সে?আরশাদ ততক্ষণে চামচে খাবার নিয়ে বসে আছে।

” হা করো জান।”

” আমি খাব না।”

” কেন?”

এবারেও কোন উত্তর খুঁজে পেল না খুশবু। আরশাদ খুশবুর গাল চেপে চামচ ভরতি ফ্রাইড রাইস পুরে দিল।

” আমি সত্যি বলছি আমি যাব না।”

” বাজে কথা শুনতে চাই না ফ্লুজি।”

দাঁতে দাঁত চেপে বললো আরশাদ।দ্বিতীয় বারের মতো চামচে খাবার নিয়ে খুশবুর মুখ চাপলো।আরশাদের রাগী রাগী মুখটা দেখে কি বলবে বুঝতে পারলো না মেয়েটা।তবুও খুশবু যে চুপ থাকার পাত্রী নয়।আরশাদের উদ্দেশ্যে সে বলে,

” আরশাদ একটা কথা বলবো?

” বলো জান।”

” আপনি কি আমায় ইতালি নিয়ে মে রে ফেলবেন?

” আমি মারার আগে প্রতি রাতে তুমি নিজেই বলবে, প্লিজ কি’ল মি জান।”

মুখের খাবার ছিটকে বেরিয়ে এলো খুশবুর।কাশতে কাশতে মেয়েটার দম আটকে যাওয়ার অবস্থা।আরশাদ বাঁকা হেসে চোখ মারলো।খুশবু কাশতে কাশতে বলে,

” অসভ্য লোক।”

” তুমি আমার অসভ্যর কারণ জান।”
_চলবে…

🍂আসসালামু আলাইকুম।গ্রুপের জন্য মডারেটর প্রয়োজন।মডারেটর হতে হলে অবশ্যই আপনাকে রেগুলার এক্টিভ থাকতে হবে।গল্প সম্পর্ক পোস্ট দিতে হবে।যারা এক্টিব থাকতে পারবেন তারাই যোগাযোগ করবেন এই আইডিতে – Onuprova MeHerin https://www.facebook.com/profile.php?id=61555546431041&mibextid=ZbWKwL
পাঠক গ্রুপ – অনুপ্রভার বৈঠকখানা – Onuprova Meherin 🍂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here