#মায়াবিনী_(২)
#Ayrah_Rahman
#পর্ব_৫১
___________________
আজও আকাশ টা মেঘলা, বৃষ্টি নামবে নামবে ভাব। সাদা রঙের শার্ট আর কালো প্যান্ট পরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে রেডি হচ্ছে আরুহী। বাইরে বের হবে যদিও আজ ইচ্ছে ছিলো না তবুও দুটো কাজ ইমার্জেন্সি। মুখে মাস্ক লাগিয়ে এক পলক জানালা দিয়ে বাহিরে তাকালো, বৃষ্টি এখনো নামে নি তবে যেকোন সময় নামতে পারে।
” কোথায় যা-ওয়া হচ্ছে শুনি? এই মেঘলা দিনে বাইরে বের হচ্ছিস কেন? ”
আরুহী দরজার দিকে তাকালো,
” কারণ ছাড়া তো তোমার বউ এক টা ধুলি কণাও ফেলে না ”
” তা ঠিক কিন্তু আজ কাল অনেক কিছু ই ভুলে যাচ্ছিস তুই। সকালে যে বললাম রিপোর্ট টা দিতে বললি এসে দিবি এখন ও বেরিয়ে যাচ্ছিস কই রিপোর্ট টা দে ”
আরুহী চকিত নজরে তাকালো আরুশের দিকে। শুকনো ঢুক গিলে একটা শুষ্ক হাসি দিয়ে বলল,
” কোথায় যে রেখেছি খেয়াল হচ্ছে না, আমি বরং কাজ টা শেষ করে আসছি কেমন! ”
বলেই বাইকের চাবি নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলো। আরুশ সেদিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো, আরুহী কি কোন কিছু গোপন করছে? ও কি রিপোর্ট টা দেখাতে চাচ্ছে না?
প্রশ্ন গুলো মনের মাঝে জটলা পাকিয়ে গেলো। আরুশ আর কিছু না ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ল্যাপটপ নিয়ে বিছানায় বসলো। নিউরোলজিস্ট তো! একজন ক্রিটিক্যাল পেসেন্ট এসেছে সেটার ই অপারেশন সম্পর্কে কিছু তথ্য বের করবে।
আরুহী বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকবার বড়ো বড়ো শ্বাস ফেলল। এক পলক আরুশের বারান্দার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো, সেই হাসি তে মিশে আছে এক আকাশ সম বিষাদ আর তিক্ততা। কাল রাতে রাজন চন্দ্রের সাথে রসরসিয়ে কথা বলে পেট থেকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করেছে সে।
আজ রাত দুটোই সবাই গোপন মিটিং বসবে, কয়েকদিন পর ভীষণ বড় একটা ডিল সাপ্লাই করবে সেই বিষয়ে ই ডিসকাস করবে। সেখানে না চাওয়া সত্বেও মিরাজকে থাকতে হবে। এখন মিরাজ যায় কি না সেটাই দেখার বিষয়। মিরাজ বাড়ি থেকে বের হলে তার পিছু নেওয়া টা একান্ত জরুরি।
কথা গুলো চিন্তা করেই আরুহী বাইক স্টার্ট দিলো, প্রথম গন্তব্য তার নিজের জন্য। অর্থাৎ ডক্টরের চেম্বার। গাড়ির ধোয়া ছুটিয়ে বের হয়ে গেলো মেইন গেইট দিয়ে। প্রায় পনেরো মিনিটের ব্যবধানে আরুহী এসে পৌঁছালো তার গন্তব্যে।
” মে আই কাম ইন ডক্টর? ”
ডক্টর বসে বসে পেপার পড়ছিলো, পরিচিত কন্ঠ শুনতে পেয়ে চোখ তুলে তাকালো দরজায়।
” আরে আরুহী চৌধুরী যে! শরীর এখন কেমন? ”
আরুহী বসতে বসতে
চলবে
পরবর্তী পাট পেতে ফলো করন