প্রজাপতির_রং🦋
Part_35
#Writer_NOVA
পরের দিন…….
শো দশ মিনিট আগে শেষ করে আবার উল্টো বাসায় গেলাম।সেখান থেকে নাভানকে নিয়ে ফিরে এলাম অফিসে। কল করে হিমি ও এরিনকে আগেই বলে দিয়েছিলাম নাভানকে তৈরি করে বাসার গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে।ওরা নাভানকে তৈরি করে রাখায় বেশি দেরী হয়নি।রিকশা নিয়ে গেইটেের সামনে থেকে নাভানকে নিয়ে চলে এসেছি।সাড়ে দশটার বেশি বেজে গেছে। তাড়াহুড়ো করে নাভানকে সাথে নিয়ে লিফটে ঢুকে পরলাম।
সেদিন রাতে অনেক সময় অব্দি এনাজ আমাদের সাথে ছিলো।নাভানও ওর বাবাকে ছাড়বে না।এনাজও নাভানকে ছাড়বে না।অবশেষে নাভান ঘুমানোর পর এনাজ চলে যায়। তখন রাত তিনটে বাজে।এদের বাপ-বেটার জন্য আমাকে রাত তিনটে অব্দি গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এনাজ যাওয়ার আগে বলেছে নতুন ফ্ল্যাট কিনে তবেই আমাদের দুজনকে এখান থেকে নিয়ে যাবে।এখন অন্যের বাসায় থাকছে সে।এখন যদি ঐ বাসায় আমাকে নিয়ে যায় তাহলে বিষয়টা কিরকম বাজে দেখায়।যদিও তারা কিছু মনে করবে না।কিন্তু এনাজের তো একটা আত্মসম্মান আছে। এরিন ও আরিয়ানের বিয়েও সামনে।এমতাবস্থায় এনাজ ঠিকানাবিহীন বাড়ি ছাড়লেও তো বিষয়টা খারাপ দেখায়।আমরা সবাই চলে গেলে হিমিও বা যাবে কোথায়? ওর ও তো একটা ব্যবস্থা করতে হবে।এসব ডিসকাসড করেছি আমরা।সবশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।এরিন ও আরিয়ানের বিয়ের পর আমরা আলাদা ফ্ল্যাটে উঠবো।হিমির ও একটা ব্যবস্থা করে দিবো।ততদিন আমি আমার বাসায় ও এনাজ ঠিকানাবিহীন বাড়িতে থাকবে।বউ, ছেলে ছেড়ে থাকতে হবে বলে এনাজের মুখ কালো হয়ে ছিলো।কিন্তু আপাতত কিছু করার নেই।
গতকালের কথা ভাবছিলাম।তখুনি টুং শব্দে লিফটের দরজা খুলে গেল।আমরা ভেতরে প্রবেশ করতেই পার্টি স্প্রে দিয়ে পুরো ভূত হয়ে গেলাম।সামনে তাকিয়ে দেখি আরিয়াব,মুসকান,আদর আরো কতগুলো কলিগ দাঁড়িয়ে আছে পার্টি স্প্রে হাতে নিয়ে। সবার হাতে কতগুলো করে বেলুন।আমি চোখ মুছতে মুছতে নাভানকে নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে গেছে। আদর,আরিয়ান,মুসকান কার আগে কে কোলে তুলে নিবো তা নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেছে। ফাঁকের মধ্যে মুসকান নাভানকে কোলে নিয়ে এনাজের কেবিনের দিকে দৌড় দিলো।মুসকানের পেছন পেছন আদর দৌড় দিলো।আরিয়ান ও আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসতে লাগলাম।বাকি কলিগরা আমাকে কংগ্রেস জানিয়ে যার যার কাজে চলে গেল।
আরিয়ানঃ আমি তো এটাকে হিমির ছেলে ভেবেছিলাম। গত পরশু রাতে জানতে পারলাম হিমির বিয়েই হয়নি।আর এটা আপনার ও ভাইয়ার ডাউনলোডকৃত ছেলে।
আমি মুখ টিপে হেসে আরিয়ানকে শাসনের সুরে বললাম।
আমিঃ আরিয়ান!!! মুখে লাগাম দেও।
আরিয়ানঃ আপনি আমার বড় ভাবী সাহেবা। আপনার সাথে বলবো না তো কার সাথে বলবো।বিশ্বাস করেন ভাবী, আমার মাথায় এটাই ছিলো যে আপনাদের বেবী পেটে থাকতে মারা গেছে। আর গত আড়াই বছর ধরে ভাইয়া আমাদের সাথে। আপনাকে খুঁজেই পাইনি।যদি খুঁজে পেতো তাহলে আরেকটা চান্স থাকতো।আমি ভাবতাম নতুন করে উপরওয়ালার থেকে চেয়ে ছেলে ডাউনলোড করেছে। কিন্তু তাও তো নয়।আমার ভাই আমাদের সাথে থাকলে বেবী পেটে আসবে কোথা থেকে বলুন তো? আমি শুধু এই কথাটা বলেছিলাম গতকাল।তারপর ভাইয়া আমাকে সারা বাড়ি চক্কর দিয়ে এনেছে।ধরতে পারেনি।ধরতে পারলে ভর্তা করতো।
এর কথা শুনে আমি লজ্জায় শেষ। এর মুখে কিছু আটকায় না।
আরিয়ানঃ লজ্জা পেয়েন না ভাবী সাহেবা। আমাদের কিন্তু আরেকটা মেয়ে বাবু লাগবে।তাই আগের থেকে প্রসেসিং শুরু করে দিন।আমার বিয়েটা হোক।তারপর জলদী করে একটা বেবী নিয়ে ফেলবো।যদি মেয়ে হয় তাহলে আপনার ছেলেকে আগে থাকতে বুকিং করে রাখলাম।আপনার ছেলের সাথে আমাদের মেয়ের বিয়ে দিবো।তবে আমাদের কিন্তু আরেকটা মেয়ে বেবী চাই চাই।কোন কথা শুনবো না। তাই এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে নিন😉।
আরিয়ানের কথা শুনে আমি রিয়েকশন দিতেও ভুলে গেলাম।চোখ দুটো বড় বড় করে তাকিয়ে রইলাম।আরিয়ান এক চোখ মেরে হাসতে হাসতে চলে গেল।আমি এখনো সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছি।
মুসকানঃ ভাবী,আদর তোমাকে ডাকছে।
আমিঃ নাভান কোথায়?
মুসকানঃ আদরের কাছে।
আমি নিজের ডেস্ক থেকে ফাইলগুলো গুছিয়ে আদরের কাছে গেলাম।আদর ফাইলে কিছু করছে।আর নাভান টেবিলের ওপর বসে পা দুলিয়ে জুস খাচ্ছে। ওর সামনে খাবারের ভুর পরে আছে। আমি দরজায় মৃদু টোকা দিলাম।
আমিঃ আসবো?
আদরঃ আরে আসেন ভাবী।আপনার কি অনুমতি নিতে হয়।
আমিঃ নাভান কি করছো? চাচ্চুর সাথে দুষ্টুমী করো নি তো?
নাভানকে প্রশ্ন করতে করতে ভেতরে ঢুকলাম। নাভান হাত নাড়িয়ে আধো আধো কণ্ঠে বললো।
নাভানঃ না। নাভান গুড বয়।
আমিঃ গুড বয় থাকলেই ভালো।আদর ভাইয়া আমার ফাইলগুলো একটু দেখে দিন।
আদরঃ আচ্ছা।
আমিঃ আপনাদের স্যার কি ছেলেকে দেখেছে?
আদরঃ স্যার একটু ব্যস্ত আছে। তাই ঐদিকে নিয়ে যাইনি।আগামীকাল সন্ধ্যায় আমাদের কোম্পানির শেয়ার পাস হওয়ায় একটা পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। স্যার সেই বিষয়ে সবার সাথে কথা বলছে।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।
নাভানঃ বাবা যাবো।আম্মু, বাবা যাবো।তুমি বলতো
(বলছো) বাবা নিয়া যাবা।বাবা কই?
আমিঃ হ্যাঁ,একটু পর আমরা বাবার কাছে যাবো।একটু অপেক্ষা করো।
নাভানঃ আত্তা(আচ্ছা)।
আদরঃ ভাবী, সবকিছু ঠিক আছে। আপনি ফাইল ও ভাতিজাকে নিয়ে স্যারের রুমে যান।আপনাকে যেতে বলেছে।
আমিঃ কিন্তু সে তো কথা বলছে।
আদরঃ কোন সমস্যা হবে না। আপনাকে তো যেতে বলছে।আরেকটা কথা ভাবী।সবাই ভাবী বলছে বলে আমিও ভাবী বলছি।এতে আপনি কিছু মনে করেননি তো?
আমিঃ আরে না মনে করার কি আছে? আমি আসছি।
আদরঃ আচ্ছা। আপনি নাভানকে নিয়ে যান।আর এই খাবারগুলো আমি আপনার রুমে রেখে আসি।
আমি নাভানকে কোলে নিয়ে এনাজের কেবিনের সামনে চলে এলাম।দরজার কতগুলো টোকা দিলাম।কিন্তু কোন সাড়াশব্দ নেই। আমি দরজাটা খুলে নাভানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিলাম।আর আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আমিঃ ভেতরে তোমার বাবা আছে। বাবাকে জোরে ডাক দিও না।আস্তে করে গিয়ে বাবার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে।কোন দুষ্টুমী করবে না।
কিন্তু আমার কথা নাভান বুঝলো না। ভেতরে ঢুকে জোরে চেচিয়ে ডেকে উঠলো।
নাভানঃ বাবা।বাবা, ও বাবা। বাবা গো।
নাভান ডাকতেই সবাই উৎসুক চোখে ওর দিকে তাকালো।এনাজ দ্রুত পায়ে এসে নাভানকে কোলে তুলে নিলো।নাভানের মুখে অসংখ্য চুমু খেলো।
এনাজঃ কার সাথে এসেছো বাবা?
নাভানঃ আম্মুর সাথে।
এনাজঃ তোমার আম্মু কোথায়?
নাভানঃ বাইরে চুপিচুপি দাঁড়ায় আছে।
নাভানের কথা শুনে আমার লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যেতে মন চাইছে। বাপের মতো শয়তান হয়েছে ছেলেটা।সবার সামনে কি লজ্জা দিলো।প্রথমে আরিয়ান এখন নাভান।সবগুলা একরকম।দ্রুত ঘুরে চলে যেতে নিলে এনাজের ডাকে থমকে দাঁড়ালাম।
এনাজঃ বাটারফ্লাই ভেতরে এসো।
🦋🦋🦋
আমি ফাইল দিয়ে মুখ ঢেকে দরজা দিয়ে ঢুকলাম।ফাইলের থেকে চোখ দুটো একটু বের করে দেখলাম নাভান শয়তানি হাসি দিচ্ছে। আমি চোখ রাঙালাম।তাতে সে দাঁতগুলো সব বের করে বাপের গলা জড়িয়ে ধরলো। সবাই মিটমিট করে হাসছে।এমনকি এনাজও।
আমিঃ দাঁড়া ব্যাটা।আজ তোকে পাই।বাবাকে পেয়ে আমার সাথে যড়যন্ত্র শুরু করছিস।তোর খবর আছে।
(মনে মনে)
এনাজঃ সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। আমার ওয়াইফ মিসেস নোভা। আর আমাদের ছেলে এনান আহমেদ নাভান। আজকের মতো কথাবার্তা এখানেই শেষ। আপনারা আসতে পারেন।যেভাবে কাজ করতে বললাম সেভাবে করতে থাকুন।কালকে পুরো পার্টি নিখুঁতভাবে হওয়া চাই।
সবাই একে একে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো।আমি যেখানে ছিলাম সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম।
এনাজঃ এদিকে এসো।
আমি গেলাম না।ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম।মনোযোগ সহকারে ফাইল দেখতে লাগলাম।এনাজ নাভানকে তার চেয়ারে বসিয়ে দিলো।হঠাৎ করে গলায় কিছুর স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলাম। তাকিয়ে দেখি গলায় একটা স্বর্ণের চেইন।যেটায় ছোট একটা লকেট আছে।তার মধ্যে N+A=NAলেখা।মানে হলো নোভা+এনাজ সমান নাভান, এনান।চেইনটা পেছন থেকে এনাজ পরিয়ে দিয়েছে।আমি মাথা উঁচিয়ে অবাক চোখে এনাজের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
এনাজঃ এটা তোমার গিফট।আমাকে একটা ছেলে উপহার দেওয়ার জন্য। নতুন বেবী হলে বেবী দেখে তো কিছু একটা গিফট করতে হয়।নাভান হওয়ার সময় তো আমি ছিলাম না।তাই কিছু গিফট করতে পারি নি।তাই এখন তোমাকে গিফট করলাম।ছেলেকে অন্য কিছু গিফট করে দিবো।ছেলেদের অলংকার পরতে নেই। এতে গুনাহ হয়।নয়তো ওকেও একটা চেইন গিফট করতাম।তবে আমার মনে হলো ছেলের থেকে আমার বউকে দেওয়া বেশি জরুরি। কারণ সে এত কষ্ট করে আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আমাকে বাবা ডাক শুনতে সাহায্য করেছে।
কথাগুলো বলতে বলতে পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুমু খেলো।আমি মাথা উঁচু করে তার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে একটা হাসি উপহার দিলাম।সব ছেলে যদি এমন করে মেয়েদের বুঝতো।তাহলে নারী নির্যাতন বলে কোন শব্দ থাকতো না।
এনাজঃ বাটারফ্লাই, ও বাটারফ্লাই। (মধুর সুরে)
আমিঃ হুম বলেন।
এনাজঃ আমার একটা মেয়ে বেবী লাগবে।দিবে না??
ছোট বাচ্চাদের মতো করে আবদারটা করলো এনাজ।আমি বিস্ফোরিত চোখে কিছু সময় তার দিকে তাকিয়ে রইলাম।তারপর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললাম।
আমিঃ এর জন্য এত মধুর সুরে বাটারফ্লাই বলে ডাকা হলো? বলি দুই ভাই পেয়েছেন টা কি? মেয়ে বেবীর জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছেন।আমি কিছু পারবো না। যান ভাগেন।ছাড়েন আমাকে।
এনাজঃ প্লিজ লক্ষ্মী বউ।একটা মেয়ে বেবীই তো চেয়েছি।প্লিজ,প্লিজ।
আমিঃ সরেন আমার সামনে থেকে। ছাড়েন বলছি, ছাড়েন।বাপ-বেটার জ্বালায় আমি শেষ। আবার আরেকটা।আমার তো খেয়ে-দেয়ে কোন কাজ নেই।
এনাজঃ কোন কাজ নেই বলেই তো বলছি।
আমিঃ এটা অফিস।এখানে সংসার করতে আসিনি।
আমি ঝাড়া মেরে এনাজকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলাম।কতগুলো ফাইল টেবিলে রেখে বাকিগুলো নিয়ে চলে আসতে নিলাম।এনাজ আমার থেকে সরে নাভানকে কোলে তুলে নিয়ে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো।
এনাজঃ নাভান বাবা।তোমার কি একটা পুতুল বেবী লাগবে?
নাভানঃ না, আমার পুতুল বেবী লাগবে না।
এনাজঃ চুপ বেডা।বল লাগবো।(হালকা ধমক দিয়ে)
নাভানঃ লাগবো না।
আমিঃ একদম ঠিক হয়েছে 🤣।
এনাজঃ খবরদার হাসবে না।চুপ করে থাকো।(রেগে)
আমিঃ 🤭
এনাজঃ ছোট বেবীটা তোমাকে ভাইয়া বলে ডাকবে। তোমার সাথে খেলবে।তোমার কথা শুনবে।বলো একটা পুতুল বেবী লাগবে।তুমি যদি বলো তাহলে বাবাই তোমাকে অনেকগুলো খেলনা কিনে দিবে।তোমাকে নিয়ে খেলতে যাবে।
নাভানঃ আচ্ছা। আগে খেলনা দাও।
এনাজঃ দিবো তো।তার আগে বলো তোমার আম্মুকে পুতুল বেবী লাগবে।
নাভানঃ আম্মু, পুতুল বেবী লাগবে।এটটা(একটা) বাবু এনে দিও বাবাইকে।আমার লাগবো না।
এনাজঃ আবার বলে তার লাগবে না।বলো তোমার লাগবে। একটা পুতুল বেবী লাগবে।
নাভানঃ আত্তা(আচ্ছা)। আম্মু আমার পুতুল বেবী লাগবে। এনে দিও প্লিত(প্লিজ)।
আমিঃ বেবী আনলে কিন্তু তোমাকে আদর করবো না।ঐ ছোট বেবীটাকেই আদর করবো।তখন তোমাকে অনেক মারবো।তুমি যদি রাজী থাকো তাহলে নিয়ে আসবো।
নাভানঃ না না তাহলে লাগবো না।
এনাজঃ বউ ভালো হচ্ছে না কিন্তু। নেগেটিভ কথাবার্তা বলো কেন?
আমি উত্তর না দিয়ে হাসতে লাগলাম।পেট ফেটে হাসি আসছে আমার।এনাজ আমাকে হাসতে দেখে লুচির মতো ফুলছে।বেচারা!!! এনাজ নাভানকে কোলে নিয়ে আমার পাশাপাশি এসে দাঁড়ালো। তারপর ফুসুরফাসুর করে নাভানকে কি যানি বললো।
আমিঃ তোমরা বাপ-বেটা থাকো এখানে। আমি গেলাম।
নাভানঃ দাঁড়াও আম্মু।
পেছন থেকে আমার বাহু নাভান ওর ছোট ছোট দুই হাতে টেনে ধরলো।
নাভানঃ একটা পুতুল বেবী লাগবো আমার।
আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে। নিশ্চয়ই আনাইজ্জা কলা তখন ছেলেটাকে এসব বলেছে। আমি কিছু বললাম না।নাভানের হাত ছাড়িয়ে রেগে দ্রুত পায়ে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলাম।বের হওয়ার আগে বাবা-ছেলের হি হি শব্দের হাসি শুনতে পেলাম।এখন কিছু বলবো না।দুটোকেই টাইট দিবো।বাবা-ছেলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এদের ষড়যন্ত্রে যদি আমি পানি না ফেলি তাহলে আমার নামও নোভা নয়।
#চলবে
আরিয়ান,নাভান,এনাজের মতো আমার কতগুলো রিডার্সও শুরু করেছে গল্পে মেয়ে বেবী লাগবে😖।মানে নাভানের বোন আরকি।এখন কি আমি তাহলে মেয়ে বেবী অনলাইনে অর্ডার করবো🌚??