অতঃপর_তুমি_আমি #লেখিকা:#ইশা_আহমেদ #পর্ব_২৭

0
567

#অতঃপর_তুমি_আমি
#লেখিকা:#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_২৭

তিনজন একটি রুমে আটকে আছে।তিনজনের অবস্থা তেমন ভালো নয়। অর্নব আজ তিনদিন ধরে তাদের খাবার দেয়নি। নীলাকে দুদিন পরই তুলে এনেছে। নীলা প্রচন্ড ভয় পেয়ে আছে। তিনদিন ধরে এখানে আটকে আছে। তার ছেলে মেয়ের ও খবর নেই। ছেলেটা ডুবাইতে। আর মেয়েটার বিয়ে হয়েছে। স্বামীর এতোটাও দরদ নেই যে তাকে খুঁজে বের করবে। শেহজাদ যে তাদের ছাড়বে না তা খুব ভালো করেই জানা। তিনজনের অবস্থা ভীষণ খারাপ।সব প্রমান জোগাড় করা শেষ।এবার তিনজনকে শাস্তি দেওয়ার পালা।

নিজের হাতে তো শেহজাদ তাদের শাস্তি দিবেই এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দিবে।অর্নবকে বিভিন্ন ভাবে তাদের অত্যাচার করতে বলেছে।শেহজাদ ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে।
ওয়ামিয়া শরবত বানিয়ে এনে দেয়। আজ দু’জন ঘুরতে বের হবে। অনেকদিন ধরে ঘুরতে বের হয় না দু’জন।আজ ওয়ামিয়া সেলোয়ার-কামিজ পরেছে। দেখতে মাশাআল্লাহ সুন্দর লাগছে। বিকাল হয়েছে মাত্র।অতঃপর কত কিছুর পর আজ তারা একসাথে।দু’জন আজ হাঁটবে। শেহজাদ বাইক আনেনি।দু’জন বের হয়।

ওয়ামিয়া শেহজাদের দিকে তাকিয়ে ভাবছে,,,“অতঃপর আপনি আমি একসাথে। কত কাহিনী হলো। আব্বু ভাইয়া ও মেনে নিলো। যাক এখন শুধু পাপীদের শাস্তি দেওয়ার পালা।”

দু’জন গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে নদীর পাড়ে আসলো।দু’জন বসলো।ওয়ামিয়া শেহজাদের কাঁধে মাথা রেখে তাকিয়ে আছে দূরে ভেসে যাওয়া নৌকাগুলোর দিকে।ওয়ামিয়া বলল,,,
“অতঃপর আমি এবং আপনি একই সাথে। শত বাঁধা বিপত্তি ভেঙে একসাথে।আব্বু এবং ভাইজান ও সব মেনে নিয়েছে”

শেহজাদ দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ফেলে বলল,,,
“ওয়ামিয়া আজ তোমায় আমি একটি সত্য কথা বলবো”

“কি সত্য ডাক্তার সাহেব যা আমি জানি না”

“আম্মু বেঁচে আছে ওয়ামিয়া।”

ওয়ামিয়া বিস্ফোরিত চোখে তাকালো শেহজাদের দিকে। তার ফুপিআম্মু বেঁচে আছে। কিন্তু কিভাবে সম্ভব!এটা তো সম্ভব নয়।সে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে শুধালো,,,

“এটা কিভাবে সম্ভব”

“সম্ভব। আমরা কিন্ত আম্মুর লাশ পেয়েছিলাম না। কারণ সেদিন মালা আন্টি আম্মুকে বাঁচিয়েছিলো।”

“আপনি কিভাবে জানলেন?”

“সে নিজেই আমাকে বলেছে।তবে আমি তার খবর জানি না। সেদিনের পর থেকে তার খবর নেই।আমি খুঁজে চলেছি তাদের তবে এখনো পায়নি।”

“আপনি আমাকে এতোদিন বলেননি কেনো?আমার ফুপিআম্মু বেঁচে আছে।”

ওয়ামিয়া কাঁদছে। শেহজাদ তাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে।ওয়ামিয়া শেহজাদের বুকে মাথা ঠেকিয়ে কাঁদছে। এতোদিন পরে প্রিয় মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত বেঁচে থাকার খবরটাতে সে ভীষণ অবাক হয়েছে।শেহজাদ কান্না থামানোর বৃথা চেষ্টা করছে।বেশ কিছুক্ষণ পর ওয়ামিয়া কান্না থামিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে।চোখ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে।শেহজাদকে উদ্দেশ্য করে বলে,,

“সেদিন আপনি আব্বু এবং ভাইজানকে এই খবর দিয়েছেন?”

“হ্যাঁ তাদের আমি বলেছি।তাদের সব কথা খুলে বলেছি আমি।”

“এতো সহজে মেনে নিলো”

“নাহ আমি বলেছি আমি খোঁজ নিচ্ছি আম্মুকে খুঁজে বের করার এবং তোমার কথাও বলেছি। আমি নিজেও মাফ চেয়েছি।অনেক কষ্টে তাদের মানিয়েছি”

“ধন্যবাদ শেহজাদ আব্বু এবং ভাইজানকে মানানোর জন্য।আপনি দ্রুত চেষ্টা করুন ফুপিআম্মুকে খুঁজে বের করার”

“আমি চেষ্টা করবো”

দু’জন সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসলো।এরপর আবার হেঁটে গ্রামের বাজারের দিকে আসলো। চায়ের দোকানে এসে শেহজাদ দু কাপ চা দিতে বলল।দু’জন চা খাচ্ছিলো।তখনই বৃষ্টি শুরু হয়।সবাই যে যার মতো ছুটছে। চা খেয়ে নেমে পরলো ওয়ামিয়া। দোকানগুলো সব বন্ধ হয়েছে। দু’জন মেঠোপথ দিয়ে হেঁটে চলছে। তখনই শেহজাদের দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অভি হাওলাদারের উপর চোখ পড়লো।যে নোংরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শেহজাদের শরীর জ্বলে উঠলো।তার প্রেয়সীর দিকে কেউ নোংরা দৃষ্টিতে তাকিয়েছে ভাবতেই খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে। শেহজাদ নিজের গায়ে থাকা কালো শার্টটা ওয়ামিয়ার গায়ে জড়িয়ে দিলো।এরপর ছুটে এসে অভির কলার চেপে ধরে বলল,,,

“কোন সাহসে তুই আমার বউয়ের দিকে নোংরা দৃষ্টিতে তাকিয়েছিস”

“আমার চোখ আমি তাকাবো। এতো হ*ট তোর বউ যে না তাকিয়ে পারছি না।কি ফি**গার মা*ইরি। সেদিন তোর জন্য হাত ছাড়া হলো। বিয়েটা না হয় করেই নিতাম আমি ওকে”

আর কথা বলতে পারলো না অভি শেহজাদ ইচ্ছে মতো মারছে। মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছে ওর।মারতে মারতে বেহুশ হয়ে পরেছে।অভি নিজেও মেরেছে শেহজাদকে। তবে পেরে উঠেনি। ওয়ামিয়া হতভম্ব হয়ে দেখছে। সে যে শেহজাদকে থামাতে সে কথা মাথাতেই নেই।নিজের নামে জঘন্য কথা শুনে কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে।শেহজাদ ওয়ামিয়া দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না ধপ করে পরে গেলো।দৃষ্টি এখনো শেহজাদের দিকে। ইফাজ পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো এই অবস্থা দেখে শেহজাদকে দ্রুত সরিয়ে আনে। শেহজাদ নিজেও আহত হয়েছে। তার মনে আসে ওয়ামিয়ার কথা।দ্রুত পেছনে ঘুরে তাকায়।ওয়ামিয়ার অবস্থা দেখে দৌড়ে আসে।মেয়েটি পরে আছে রাস্তায়।

“ওয়ামিয়া কি হয়েছে তোমার?”

“ওই লোকটা আমায় জঘন্য কথা বলেছে”

“কিছু হয়নি বউ।আমি আছি তো।কেউ তোমাকে কিছু বললে আমি তাকে খুন করতেও পিছুপা হবো না”

নিজের বক্ষ পিঞ্জিরায় আগলে নেয় শেহজাদ তার প্রেয়সীকে।কখনো এমন ভয়ংকর নোংরা কথা কেউ বলেনি ওয়ামিয়াকে।তাই হয়তো একটু বেশি রিয়াক্ট করে ফেলেছে মেয়েটি।ইফাজ দ্রুত ফোন করে অর্নবকে গাড়ি পাঠাতে বলে।এদিকে শেহজাদের অবস্থা পাগল প্রায়।ওয়ামিয়াকে কোলে তুলে নেয় শেহজাদ। অর্নব ততক্ষণে এসে পরেছে।শেহজাদ দ্রুত গাড়িতে তুলে ওকে।ইফাজ ও বসে পরে। শেহজাদ বুকে চেপে ধরে আছে প্রেয়সীকে।

”হেই মামনি”

“বলো মিহির বাবা”

“একটু বলো না বাঙালি ছেলেরা কিভাবে রাগ ভাঙায় তার প্রেমিকার। কি এক জ্বালায় পরেছি। বাঙালি রমনীরা যে এতো রাগ করে কে জানতো?”

শেহতাজ শেখ হাসলেন। মিহির তাকিয়ে আছে। তার আরু আজও রাগ করেছে। মেয়েটি কথায় কথায় রাগ করে। যদিও খুব ভালো লাগে মিহিরের তবে রাগ ভাঙাতে বহু কষ্ট করতে হয়। তার উপর সে সুদূর আমেরিকাতে বাস করছে।শেহতাজ মিহিরের গাল টেনে বললেন,,,

“রাগ করেছি বুঝি!তোমার অরু এতো রাগ করে কেনো মিহির”

“কে জানে!তোমরা মেয়েরা একটু বেশিই রাগ করো।আরো যদি বাঙালি মেয়ে হয় তাহলে তো কথাই নেই”

“তোমার অরুর ছবিটা দেখাবে বাবা। দেখতাম আরকি”

“অবশ্যই মামনি দেখাবো না কেনো।অবশ্যই দেখাবো।দাঁড়াও”

মিহির পকেট থেকে ফোন বের করে খানিক ক্ষণ ঘেটে ফোনটা শেহতাজকে দিলো।শেহতাজ ছবিটা দেখে ভীষণ খুশি হলো।মেয়েটা মাশাআল্লাহ ভীষণ সুন্দর। হলদেটে গায়ের বর্ন।ঘনকালো কেশ।মিহির ঠোঁট বিস্তৃত করে হেসে বলল,,,

“মামনি মেয়েটা কেমন?”

“মাশাআল্লাহ ভীষণ সুন্দর। আমার মিহিরের পছন্দ আছে বলতে হবে।বাংলাদেশে গেলো দেখা করো”

“অবশ্যই মামনি”

”আমার সব প্ল্যান নষ্ট করে দিয়েছে এই শেহজাদ ইমতিয়াজ খান। এতো বছর ধরে সাজানো খেলা। নাহ শেষ করে দিতে হবে তাদের তিনজনকে”

অন্ধকার আচ্ছন্ন রুমে এক মধ্যে বয়স্ক লোক চাপা কন্ঠে কথাগুলো শুধালো।চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট। হয়তো এখন যে কাউকে পেলে গলা চেপে ধরতো। লোকটি হঠাৎ জোরে জোরে হাসতে থাকে। ভয়ংকর শোনাচ্ছে বন্ধ রুমে তার হাসি।লোকটা কিছু একটা ভেবে বাঁকা হেসে বলল,,

“সমস্যা নেই শেহজাদ ইমতিয়াজ খান। কাল সকালটা তোমার জন্য অনেক স্পেশাল হতে চলেছে”

রাতে অনেক জ্বর এসেছিলো। এখন মোটামুটি সুস্থ এখন। শেহজাদ শান্ত করছে।সকাল থেকেই শেহজাদের বুকে মাথা গুঁজে বসে ছিলো। আসলে হুট করে এমন নোংরা কথা সহ্য করতে পারিনি। ঘড়ির কাটায় সকাল সাতটা বাজে হয়তো। শেহজাদ হাত বুলিয়ে দিচ্ছে নিজের প্রেয়সীর মাথায়।মেহবুবা এবং মুনতাসিব খান ও চিন্তিত। সবই শুনেছেন তিনি। খাওয়ার টেবিলে বসে আছে সবাই। শেহজাদ বুঝিয়ে নিয়ে এসেছে ওয়ামিয়াকে। শেহজাদ সবাইকে ওই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছে। সবাই স্বাভাবিক ব্যবহার করছে।

“মেহনাজ আম্মা তুমি কি ভার্সিটিতে এডমিশন নিবে না। কোচিং করবে না?”

মুনতাসিব খান ওয়ামিয়াকে স্বাভাবিক করতে চাইছে। ওয়ামিয়া ও নিজেকে যথা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে জোরপূর্বক হেসে বলল,,,
“হ্যাঁ বাবা আমি এডমিশন নিবো তো”

“তাহলে তো মা এডমিশনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে”

ওয়ামিয়া মাথা নাড়ায়। মুনতাসিব কথা বাড়ান না আর। নিজের রুমে চলে যান।শেহজাদ ওয়ামিয়া ড্রয়িংরুমে এসে বসে। তখনই বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করেন।পুলিশ দেখে ওয়ামিয়া ঘাবড়ে যায়। সকাল সকাল কেনো পুলিশ আসলো। ওয়ামিয়া খামচে ধরেছে শেহজাদের শার্ট। তিনজন পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। ইফাজের খাওয়া শেষ হয়েছিলো মাত্র। ড্রয়িংরুমে আসতেই চোখ পরলো পুলিশদের উপর। দারোগা তামিম হাসান এসেছে সাথে আরো দু’জন।ইফাজ তাদের দিকে তাকিয়ে বলে,,

“কোনো সমস্যা অফিসার আপনি এখানে যে”

“মিস্টার ইফাজ আমরা শেহজাদ ইমতিয়াজ খানকে গ্রেফতার করতে এসেছি”

ড্রয়িংরুমে উপস্থিত সকলে বিস্ফোরিত নয়নে চেয়ে থাকে। ওয়ামিয়া হতভম্ব হয়ে পরেছে। কি হচ্ছে কি!ওয়ামিয়া চিল্লিয়ে বলল,,,
“কি বলছেন কি আপনি?মাথা ঠিক আছে। উনি কি করছেন যে গ্রেফতার করতে হবে?”

“সে তিন তিনটে খুন করেছে।নীলা,ইমন শেখ এবং নাবিল শিকদারকে খুন করার অপরাধেই গ্রেফতার করা হচ্ছে”

“কি বলছেন কি আপনি খুন আর আমি। তাদের আমি কেনো খুন করবো”

“সেটা আমরা বলতে পারবো না মিস্টার খান তবে আপনাদের পুরোনো গোডাউনে তাদের তিনজনের লাশ পাওয়া গিয়েছে। আপনিই তাদের তুলে এনেছেন এই খবর আমরা জানি এবং আপনিই তাদের খুন করেছেন। এখন আপনি চলুন আমাদের সাথে”

ওয়ামিয়া চেঁচিয়ে উঠলো।শরীর এমনিতেও দূর্বল ছিলো তার।পাগলের মতো বলছে,,,
“আমার শেহজাদকে কোথাও নিবেন না আপনারা।আপনি কোথাও যাবেন না আমায় ছেড়ে। যেতে দিবো না আমি”

ওয়ামিয়া পাগলামি করছে ভীষণ। মুনতাসিব খান ও এসেছেন। তবে তিনিও কিছু করতে পারলেন না। শেহজাদ কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। কি হলোটা কি। কিভাবে সম্ভব।কারোর তো জানারই কথা নয়। তাহলে কি অর্নব বিশ্বাসঘাতকতা করলো তার সাথে। ওয়ামিয়াকে মেহবুবা খান ধরে রাখতে পারছেন না। ইফাজ দাঁড়িয়ে দেখছে। তার হাতে কিছুই নেই। কি করবে সে! একদিকে ভাই আরেকদিকে বোন।শেহজাদ যাওয়ার আগে ইফাজকে বলল,,

“ওয়ামিয়াকে দেখে রাখিস। পাশে থাকিস সব সময়। ও ভেঙে পরবে। ওকে সাহস দিবি তুই। সত্যর জয় হবে একদিন। আমি ফিরবো,আবার ফিরবো এবং আমাকে আমার প্রেয়সীই রাজার বেশে ফিরিয়ে আনবে”

কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ওয়ামিয়া। সবাই হতভম্ব। কি থেকে কি হয়ে গেলো। মুনতাসিব খানও অসুস্থ হয়ে পরেছেন। ইফাজ মাত্রই তাকে রুমে রেখে এসেছে। মেহবুবা খান জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছে ওয়ামিয়ার। তবে ফিরছে না। তখনই সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো মাহিম শেখ এবং হুমায়ন শেখ। বহু বছর পর আজ এই বাড়িতে প্রবেশ করলো তারা। মাহিম বোনের কাছে ছুটে আসে।

চোখ খুলতেই ওয়ামিয়া নিজেকে শেহজাদের রুমে আবিষ্কার করলো।চোখ থেকে টুপটাপ করে পানি গড়িয়ে পরলো।
“অতঃপর আপনার আর আমার এক হওয়া হলো না।অতঃপর আপনি এবং আমি সেই আলাদাই রয়ে গেলাম”

“আপনি ফিরবেন। আপনাকে যে ফিরতে হবেই। আজ এখানে ওয়ামিয়া মেহনাজ প্রতিজ্ঞা করছে তার ডাক্তার সাহেবকে সে নির্দোষ প্রমান করে ছাড়বেই।”

এখন প্রশ্ন হলো কে করলো এই তিনটে খুন?অর্নবই বা কোথায়?কে এই অজ্ঞাত ব্যাক্তি?কি করবে ওয়ামিয়া এরপর! পারবে কি নিজের প্রিয় মানুষটিকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনতে?শেহতাজই বা এসব জানার পর কি করবে?

#সমাপ্ত

আসসালামু আলাইকুম। আমি গুছিয়ে লিখতে পারছিলাম না। তাই এখানেই ইতি টানতে হলো। প্রথম অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো। দ্বিতীয় অধ্যায় লিখবো তবে কবে লিখবো বলতে পারছি না।দুঃখিত তাড়াহুড়ো করে এখানে ইতি টানার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here