#শুকনো_ঘাস_ফুল🍀
#natasa_islam_muntaha
#part::8
🍁🍁
🍁
আহাদ:তোমায় নিচে শুতে হবে না তারপর সকালে দাদী এসে ডাক দিবে আমার আবার তোমায় কোলে নিয়ে বিছানায় দিতে হবে
আহিবা:তাহলে
আহাদ:তুমি উপরে সুয়ে পরো আমি নিচে শুচ্ছি
আহিবা:এই না না তা কি করে হয় …?এক কাজ করুন আপনি খাটে শুয়ে পরুন আমি এক কোনায় শুয়ে পরি মাঝে কোল বালিস দিলেই তো হলো তাই না
আহাদ:হুম এটা করা যেতেই পারে মন্দ বলো নি
আহিবা:হুম আপনি একটু দারান আমি বিছানাটা ঝারা দিয়ে করে দিচ্ছি
আহিবা বিছানা ঠিক করে দুজন এর বালিস দু দিক এ আর মধ্যে একটা বিশাল বালিসের দেয়াল করে দেয়
আহাদ :এটা কোথার প্রাচীর বানিয়ে দিলা
আহিবা:এই রুমের প্রাচীর
আহাদ:হুম ঠিক বলেছো এখন সুয়ে পরো
আহিবা:আপনি শুয়ে পরুন আমি শুচ্ছি
আহাদ:হুম
আহাদ গিয়ে সুয়ে পরে আহিবাও গিয়ে সুয়ে পরে ওদের প্রাচীর এর এপার আর ওপার এ
আহিবা:একটা কথা বলবো
আহাদ:হুম
আহিবা:আপুর সাথে কথা হয়েছে (গলা আটকে আসছিল বার বার )
আহাদ:নাহ (দীর্ঘশ্বাস ফেলে )এনির ফোন বন্ধ …আমি ফোন দিয়ে ছিলাম অনেক বার কিন্তু ফোনটা তুলেনি …আহিবা আমি তোমায় একটা কথা জানায় নি যদিও এটা জানার অধিকার তোমার আছে ..
আহিবা:অধিকার আচ্ছা বাদ দিন কি বলতে চাইছেন ওটা বলুন
আহাদ:আহিবা আসলে সেদিন এনির আর আমার বিয়েটা কোনো সাধারন ভাবে হয়নি …এনি সুইসাইড করতে গিয়েছিল আমাদ একটা ফ্রেন্ড ওকে দেখে আমায় ফোনকে ..কিন্তু আমি ওর কাছে যেতেই ঐ খানের কিছু স্থানীয় মানুষ আমাদের ঘ্রাউ দিয়ে ফেলে …তারাই সেদিন আমাদের জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয় ..আর যদি আমরা বিয়ে না করি তবে ওরা যে কোনো একজনকে মেরে ফেলবে…যেভাবেই হোক তোমার সাথে আমার বিয়েটা হয়েছিল …আমি এনিকে এটাই বুঝাতে গিয়েছিলাম…এনিও মেনে নিয়েছিল …কিন্তু আমাদের ভাগ্য আমাদের সহায় ছিলনা …তাই হয়তো সেদিন না চাইতেও আমাদের বিয়ে হয়েছিল…..আরো একটা শত্যি আমি তোমায় পরিক্ষা করতে চেয়েছিল আর এনিই এতে আমায় সাহায্য করে তুমি যেদিন আমাদের জন্য রুম সাজিয়েছিলে সেদিন আমি আর এনি ঠিক কালকের মতোই ঘুমাতাম…এই যে কয়দিন এনি আর আমি এক সাথে ছিলাম …তোমার সাথে যা করেছি সবটা অভিনয় ছিল মাএ ……তোমায় মেনে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার আগে তোমার ধর্যের পরিক্ষাটা নিতে চেয়েছিলাম …এনি আর আমি তবো ডিভোর্শ
আহাদ আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই আহিবার দিকে চোখ যায় সে ঘুমিয়ে গেছে আহাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে
আহাদ:আহিবা সত্যিটা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি শুনলে না হয়তো আর জানতেও পারবে না ……
আহাদ ওদের মাথার উপরে চলন্ত ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকে …তার জীবনটাও আজ ঘুরনয়মান ……সে ও তো ভেবেছিল তার জীবনটাও নিজের মতো করে সাজিয়ে নিবে কিন্তু ভাগ্যতার সহায় হলো না ….
আহাদ তো আহিবাকে বুঝতে চেয়েছিল ..
.আর অন্যদিকে এনিও তার বউ হওয়ার সত্তেও সে এনির কাছে যায় নি শুধু মাএ আহিবার সাথে যেভাবেই হোক তার পরিবারের মধ্যমেই তো হয়েছে এতো তো আহিবার দোষ নেই …আহাদ আর এনির দোষটাই বেশী যদিও তারা এই সব এর কিছুই জানতো না ….
🌿🌿
সেইদিন
আহাদ এর মা:বাবু আজ তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো তুই কি যাবি
আহাদ:মা আমি এখন বিয়ে করবো না
আহাদ এর মা:আরে মেয়েকে
তখন আহাদ এর বাবা আহাদের মাকে থামিয়ে দেয় তারপর তিনি
বাবা:আচ্ছা.তোমায়.যেতে হবে না
সেদিন আহাদ এর আম্মু আব্বু চলে যায় আহিবাদের বাসায় এনিকে দেখতে তারা শুধু দালাল লাগিয়ে এটা জানতে পেরেছিল ঐ বাড়ির কোনো মেয়ে তার নামটাও তারা জানতো না .
🌼🌼
অন্যদিকে ,,,,,,
সেদিন এনি আর আহাদ এর ৬ মাস anniversary ছিল তাই এনি যাবেই সেখানে অন্যদিকে শুনেছে তাকে দেখতে আসছে তাই আহিবার মাকে আর তার মাকে বুঝ দিয়ে আহিবাকে তাদের সামনে দিতে বলে তারা রাজি হয় না ..তারা কোনো ভাবেই রাজি না …..পরে এনি তাদের অনেক কিছু বুঝিয়ে রাজি করায় আর কোন মা চায় না তার মেয়ের একটা ভালো পরিবারে বিয়ে হোক …আহিবার মা ও চেয়েছিল তাই রাজি হয়ে যায় ….এনি আর আহাদ সেদিন চলে যায় লং ড্রাইভে তারা জানতেও পারেনা দুই পরিবারের কথা ….
এই দিকে আহিবার সেদিন পরিক্ষা ছিলনা তাই পরে পরে ঘুমাচ্ছিল বিকালে ..তখনই ওর মা আর ফুপি এসে আহিবাকে এক প্রকার ঘুম থেকে টেনে শাড়ি পরিয়ে এনির জায়গায় নিয়ে পাএ পক্ষের মানে আহাদ এর আম্মু আব্বুর সামনে নিয়ে বসায় .
🍂🍂
..আবার আহিবার আব্বুর সাথে আহাদ এর আব্বুর অনেক বছরের ফ্রেন্ডসীপ ছিল কিন্তু সময়ের জন্য তারা দুজনই আলাদা হয়ে যায়…. আজ এতো দিন পর তারা এক হয় তাই তাদের কথার ঝুড়ির যেন কোনো শেষ নেই… তারপর আবার আহাদ এর আম্মু আব্বুর আহিবাকে খুব পছন্দ হয় ..আহাদের আম্মু আহিবাকে তার হাতের বালা খুলে পরিয়ে দেয় ..
.আহিবা এর কোনো মানেই খুজে পাচ্ছিল না আর কিছুক্ষন আহিবাকে তাদের সামনে বসিয়ে তারপর রুমে নিয়ে যায় আর
এই দিকে আহিবার আব্বু আহিবা আর আহাদের বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে ..
.আহিবার আব্বু হার্টের রুগী অন্যদিকে আহাদের আব্বু ও আর দেরী করতে চায় না তার বন্ধুর মেয়ে অন্যদিকে নিজের ঘরের পুএ বধুকে ঘরে তুলতে তারা এই বাসায় আাশার আগেই ঐ বাড়ির মেয়ের খবর নিয়ে এসেছে তাই খুব তারাতারিই বিয়ের দিন ঠিক করে ফেলে আর সেটা তিনদিন পরেই ….
আহিবা র বাসা দিয়ে তারা যেতেই আহিবা চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয় এই বিয়ে সে করবে না তারা যেন বালা ফেরত দিয়ে দেয় আহিবার মা ও মেয়ের কথায় তাল মিলিয়ে বলে সে ফেরত দিয়ে দিবে…আহিবা তাই এই নিয়ে আর মাথা ঘামায় না এমন কি এনিকেও জানায় না সে আসলে …যেটা ভেগে দিয়েছে সেটা জানিয়ে আর কি করবে এই জন্য ….
আহাদ বাসায় যেতেই তার মা তাকে যানায় সে যাকে পছন্দ করতো তার সাথেই তারা আহাদ এর বিয়ে ঠিক করেছে …আহাদ ও খুব খুশি হয়ে যায় …সে আর মেয়ের নামটাও জানতে চায় না ….
হ্যা এটাই আহাদের সব থেকে বড় ভুল হয়েছিল ….
আহাদ এনিকে সাররাইজ দিবে দেখে এনিকে কিছু বলে না …..বিয়ের দিন যখন বর যাএা যাবে তখন তার মায়ের মুখ থেকে কনের নাম য়ুনে স্তব্ধ হয়ে যায় আহাদ…..আহাদ বাসায় বলতে চায় ..কিন্তু পরিস্থিতীর জন্য পেরে ওঠে না
তারপর এর কাহিনী আপনারা সবাই জানেন
আর একটা কথা আহাদ আহিবাকে প্রথম রাতেই বলেছিল আহিবা এই সব কিছু করেছে …আসলে তখন আহাদ জানতেই না …কিভাবে কি হয়েছে তারপরের দিন সবটা জানতে পারে……আহাদ পরের দিন বন্ধুদের কাছ থেকে বাসায় আসছিল তখন
এনি তাকে ফোন দেয় সে সুইসাইড করবে …আর আহাদ বাড়ি না এসে এনির কাছে চলে যায় …আহাদের আর আহিবার কাছে সরি বলা হয়ে ওঠে না তার আগেই অন্য ঝামেলায় এনির সাথে বিয়ে হয়ে যায় …..
আহাদ আহিবাকে তার সম্পূর্ন অধিকার দিয়েই রাখতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের তিন জন এর জীবনই “#শুকনো_ঘাস_ফুলের”মতো শুকিয়ে রয়েছে …
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,