ভয়_আছে_পথ_হারাবার ফারিশতা রাদওয়াহ্ (ছদ্মনাম) ০৪,,,

0
590

#ভয়_আছে_পথ_হারাবার
ফারিশতা রাদওয়াহ্ (ছদ্মনাম)

০৪,,,

আহান রিয়াকে টেনে সামনে দাঁড় করালো। কাজটায় আহানের উত্তেজনার পাশাপাশি রিয়ার প্রতি যত্নের অভাব পড়েনি৷ এমন না যে আহান রেগে গিয়ে করেছে। রিয়া তখনও কাঁদছে। আহান কম্পিত এবং ব্যস্ত কন্ঠে বললো,

-আঙ্কেল তোমার বিয়ে ঠিক করেছেন মানে? একরাতে ঠিক করা সম্ভব?

রিয়া নাক টেনে বললো,

-আব্বু কিছুদিন ধরে বলছে। আমি পাত্তা দেইনি। বলেছিলাম, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারপর বিয়ে করবো। গতকাল আব্বু তোমার বাইকের পেছনে আমাকে দেখার পরই…

রিয়া কথা শেষ করার আগে আবারও কেঁদে দিলো, যার দরুন ও কথা বলতে পারছিলো না। রিপা উঠে গিয়ে ওকে পেছন থেকে আঁকড়ে ধরলো। রিয়া ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।
রিপা, সে টিনএজ বিধবা। গ্রামে তার, কিশোরী বয়সেই একজন বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ের সাড়ে আট মাসের মাথায় বুড়ো লোকটা মারা যান। ওনি গ্রামের চেয়ারম্যান ছিলেন, যার প্রথম স্ত্রী খুব কম বয়সে মারা গিয়েছেন আর এলাকায় চেয়ারম্যানের দাপটও ছিলো বেশ। তিনি বেশ সম্পদশালীও ছিলেন। রিপার নিম্নবিত্ত পরিবার, চেয়ারম্যানের থেকে বিয়ের প্রস্তাবটা পাওয়ার পর একদমই দেরি করেনি। রিপার মতামতের তোয়াক্কা না করেই ওকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। পারিবারিক চাপ আর একটা সাজানো ভবিষ্যতের লোভে পড়ে রিপাও প্রথমে না করলেও পরবর্তীতে রাজি হয়ে যায়। চেয়ারম্যান সাহেব একটা ভালো কাজ করেছিলেন। বউকে তিনি খুবই ভালোবাসতেন। চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় কচি স্ত্রী রিপা, তাকে চেয়ারম্যান তার প্রাপ্য সম্পদটুকু লিখে দিয়েছিলেন বাসররাতেই। বউয়ের মুখ দেখার উপহার হিসাবে। চেয়ারম্যান সাহেব নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন তিনি বেশিদিন হয়তো বাঁচবেন না। তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর স্ত্রীকে যাতে প্রথম পক্ষের ছেলে-বৌমা ঘরছাড়া না করে বা তাকে বঞ্চিত না করে বা কোনোপ্রকার অবহেলা না করে, তাই এই পদক্ষেপ।

চেয়ারম্যান সাহেবের মৃত্যুর পর রিপা নিজেও কিছুদিন শোকার্ত ছিলো। এরপর সে সিদ্ধান্ত নেয়, জীবনটাকে নতুন করে সাজাবে। দ্বিতীয় সুযোগ তৈরি করে নেবে বা সে সুযোগ আসলে লুফে নেবে। সে আবারও পড়াশোনা শুরু করে দেয়। বর্তমানে হোস্টেলে থাকে। নিজের নামে যথেষ্ট সম্পদ থাকায় এখনো তার তিনছেলে, অর্থাৎ চেয়ারম্যান সাহেবের প্রথম পক্ষের তিন ছেলে এবং তাদের বউ, ছেলেদের মধ্যে সবার ছোটটিই রিপার থেকে আট বছরের বড় এবং নববিবাহিত, তারা খুব তোয়াক্কা করে তাকে। ছেলে বউয়েরা সুস্বাদু রান্না করে তাকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই পাঠায়। ছেলেগুলোও ছুটিতে রিপা বাড়ি ফিরলে মা, মা করে বাড়ি মাথায় করে। সবই চেয়ারম্যান সাহেবের দেওয়া বাসররাতের উপহারের যাদু। এখনো প্রত্যন্ত গ্রামটায় গেলে বোঝা যায়, রিপা তার রাণীত্ব একেবারে হারিয়ে ফেলেনি। গ্রামে সে একজন শ্রদ্ধাভাজন নারী। সেখানে শিক্ষার প্রসারে রিপার ভূমিকা তারা অস্বীকার করতে পারে না।
রিপা ওদের ভেতর বয়সে আসলে বড়। এরপরও একই ইয়ারে ওরা। মাঝখানে পড়াশোনায় গ্যাপ পড়ায় এমনটা ঘটেছে।

রিয়া আবারও নিজের কান্না থামিয়ে বললো,

-আব্বু আজকে থেকেই আমার ভার্সিটিতে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন অফিসে গিয়েছে বলে বের হতে পেরেছি। আহান কিছু করো। আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।

রিপা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে। বাকিরাও ততক্ষণে উঠে দাঁড়িয়ে ওদের ঘিরে ধরে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে যাচ্ছে। আহানের আচরণ বদলে গিয়েছে। ওর চোখে মুখে উদভ্রান্তভাব স্পষ্ট এই মূহুর্তে। আহান হঠাৎ করে রিয়ার বাহু ধরে নিজেকে শান্ত করে বললো,

-রিয়া, আমার দিকে তাকাও।

রিয়া না তাকিয়ে কেঁদে চলেছে। আহান এবার প্রায় ধমকের সূরে বললো,

-তাকাতে বলেছিনা আমি?

অনিকেত রেগে গিয়ে বললো,

-ওর উপর নিজের রাগ ঝাড়ছিস কেন তুই? ওর কথা তো ভাববি।

আহান জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। ওর বুকের ওঠানামা শরীরে সেঁটে থাকা শার্টের উপর থেকে বোঝা যাচ্ছে। চোখ বন্ধ করে নিজেকে সামলে চোখ মেলে বললো,

-আমাদের মাঝে ঢুকিস না তোরা।

ওর কথায় এবার প্রত্যেকের ভেতরই প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো। ওদের প্রেমে সবরকম সহায়তা ওরাই করে এসেছে আর আজ আহান ওদেরই ঢুকতে নিষেধ করছে!
বিষয়টা গন্ডগোলের দিকে যাওয়ার আগেই তিলো বলে উঠলো,

-ওদের অন্তত কিছু সময় একা ছেড়ে দে।

আহান একবার তিলোর দিকে তাকিয়ে রিয়ার হাত ধরে ওদের ঘিরে ধরা জটলা থেকে খানিক এগিয়ে দাঁড়ালো। মীরা দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ফেলে বললো,

-কি যে হবে ওদের? আঙ্কেল নিশ্চয়ই বেকারের হাতে মেয়ে দেবে না। শুধু আঙ্কেল কেন? আমার বাবাও তো দেবে না। এই হলো সমবয়সীদের সাথে প্রেম করার জ্বালা। আমি তো বাবা…।

মীরার কথা শেষ হওয়ার আগেই মীরা লক্ষ্য করলো কয়েক জোড়া চোখ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মীরাও যে প্রেম করে, এটা আরেকটু হলেই ও স্বীকার করে ফেলছিলো। মীরা নিজের কথার লাগাম টেনে ঠোঁটজোড়া জিহ্বা দ্বারা ভিজিয়ে নিয়ে বললো,

-আমাদের আগে ওদের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ওদের সমস্যাটা বেশি গভীর আর সমাধানটা এই মূহুর্তে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

অনি সহমতের সুরে বললো,

-Exactly, আমি এটাই বলতে চাচ্ছিলাম।

-হ গাধী। এটুকু অন্তত বুদ্ধি হয়েছে যে, তুই ধরতে পারছিস কোন কথাটা যুক্তিসংগত।
তৌকির বললো।

ওর কথায় অনি মুখ ভেঙচিয়ে চোখজোড়া আহান আর রিয়ার উপর আবদ্ধ করলো।

-দেখো রিয়া, কেঁদো না। আজকেই আমার আব্বু – আম্মু যাবে তোমাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।

কন্ঠে উদ্বিগ্নতা ঢেলে আহান বললো।
রিয়া চোখ একবার মুছে নাক টেনে বললো,

-তোমার মনে হয়, আমার আব্বু মেনে নেবে তোমাকে? আহান, তুমি বেকার। আব্বু কখনোই মেনে নেবে না।

-তাহলে কি করতে পারি আমি? রিয়া, কেঁদো না প্লিজ।

-পালিয়ে বিয়ে করি চলো।
রিয়ার কন্ঠে উৎফুল্লতা।

-হোয়াট? পালিয়ে বিয়ে করবো? আমরা?

রিয়া মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
আহান ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ফেলে বললো,

-মাথা খারাপ তোমার? ওনারা মেনে না নিলে আমরা যাবো কোথায়? তোমার বাবা তো তোমার সাথে সব সম্পর্ক নষ্ট করে দেবে। তাছাড়া আমি তোমায় খাওয়াবো কি?

রিয়া এবার মাটিয়ে বসে পড়ে কান্নার বেগ বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

-আমাকে ভালোবাসো না তুমি। কখনো ভালোবাসোনি। আমার বিয়ে হয়ে যাক, সেটাই তো তুমি চাও। তাই না? তোমার বাবা-মা কি মেনে নেবে না আমাকে? আমার আব্বুর মানা না মানায় কি আসে যায়?

আহান হাঁটু গেড়ে ওর সামনে বসে ওর চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বললো,

-প্লিজ রিয়া, বোঝার চেষ্টা করো। আমি…

রিয়া এক ঝটকায় ওর হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,

-বাপ তো আমার। আমি যদি পালাতে পারি তো তোর সমস্যা কি? লাগবে না তোকে আমার। আমি যাচ্ছি। তোর সাথে ব্রেকাপ। একদম আমার রাগ ভাঙাতে আসবি না।

বলতে বলতে রিয়া উঠে দাঁড়ালো। চলে যেতে যেতে বললো,

-দেখিস, তোর থেকে ভালো ছেলে বিয়ে করে দেখাবো আমি। তুই থাক তোর ইগো নিয়ে। তোর ইগোকে বিয়ে করিস বাড়ি গিয়ে।

আহান হতাশ দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালো। প্রতিসপ্তাহের রেগুলার ব্রেকাপের সময় বলা কথাগুলো রিয়া এখনো বলে যাচ্ছে। দুএক ঘন্টা পরই রিয়া আবার ওকে ম্যাসেজ করতে শুরু করে। আজ কি হবে, তা আহান জানে না। তবে আজকের পরিণতি ভালো হবে না, এটুকু ও বুঝতে পারছে। আহানই বা কি করবে? রিয়াকে বিয়ে করে খাওয়াবে কি? নিজে কিছু করে না। বাবা সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, যিনি রিটায়ার্ড করেছেন। বহু কষ্টে শখের ভেতর একটা বাইক পূরণ হয়েছে। তাও কেবল ওর শখ পূরণে না, পারিবারিক কাজেও লাগে। যেমন, বাজার করতে রিক্সা বা অটোতে না গিয়ে ওর বাবা ওর বাইকটাই ব্যবহার করেন। ছোট বোনটাকে স্কুল, টিউশনে ড্রপ করে দেওয়াসহ ইত্যাদি কাজে। পেনশন যা পায় ওর বাবা, তা দিয়ে সংসারটা কোনোমতে চলার পাশাপাশি বোনের লেখাপড়া আংশিক চলে। আহান এরপর তিন চারটা টিউশন করায়। এভাবে টানাটানিতে চলছে। এরমধ্যে রিয়াকে বিয়ে করে ওকে সুখী করবে কি করে? রিয়ার বাবা যথেষ্ট অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তি। প্রাইভেট একটা কোম্পানির ম্যানেজার। মোটা স্যালারি পান। সেভাবেই জীবন চালান। রিয়াও বিলাসিতা পছন্দ করে। আহান কিছু না করলে, সংসারে তো রোজ ঝামেলা হবে।

রিয়ার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আহানের চোখজোড়া ঝাপসা হয়ে উঠলো। হয়তো এটাই তাদের সমাপ্তি! আহান ডাকলোনা একবারও রিয়াকে। সেই কলেজ থেকে তারা প্রেম করে আসছে। ভাবতে পারেনি, হঠাৎ করেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে।

রিয়া চলে যেতে গেলে, ফিরোজ ওকে কয়েকবার ডাকলো। রিয়া তবুও দাঁড়ালো না। ভার্সিটি গেট থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা ধরে বাড়ির পথ ধরলো। চোখে থেকে তার পানির ধারা থামছেই না। রিয়া চেষ্টা করেও থামাতে পারছেনা। ভেতরটা মনে হচ্ছে, দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। কেউ শরীরের কোনো একটা অঙ্গ টেনে ছিড়ে ফেলছে যেন। যেটা প্রতিরোধ করতে সে সম্পূর্ণ নিরুপায়।

ওরা বন্ধুরা আহানের কাছে এগিয়ে এলো। একেকজনের একেক অভিমত। কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছে তো কেউ দুষছে। গালাগালি করছে তো, কেউ তাকে থামতে বলছে। ওদের কথাবার্তার মাঝেই গম্ভীর ভারী কন্ঠে কেউ তিলোর নাম ধরে ডাকলো। তিলোসহ প্রত্যেকের দৃষ্টি এখন শব্দ উৎসের দিকে। তিলো অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে গেলো অরিক ওকে ডেকেছে দেখে। ওরা যদি জেনে যায়, অরিক ওর ভাই? বিরক্তিকর। বাড়ির লোকজন ওর গায়ের রং নিয়ে বলে, সেটা ওর বন্ধুরা জানে। এখন অরিক কি সাক্ষ্য প্রমাণ সবকিছু বাস্তবে ওদের সামনে উপস্থাপন করবে?
তিলো ভদ্র কন্ঠে বললো,

-ইয়েস প্রফেসর?

অরিক কর্কশ সুরে বললো,

-তোমরা ক্লাস টাইমে এখানে কেন? ভার্সিটিতে কেবল আড্ডা দিতে আসো নাকি?

ওরা প্রত্যেকেই এবার ঘাবড়ে গিয়েছে। আহানের ব্যাপারটার জন্য তো অরিকের উপস্থিতির কারণ ওরা কেউ আন্দাজ করারই ফুরসত পায়নি। এখন ভয় করছে। এই প্রফেসরের দাপট তো প্রথমদিনই দেখে নিয়েছে তারা। যেসব সিনিয়রদের বিরুদ্ধে বাকি সব প্রফেসর মুখ বন্ধ করে থাকতো, সেখানে অরিক প্রথমদিনই ওদের বিরুদ্ধে শুধু বলেইনি। ওদের পানিশমেন্ট দিয়ে শান্ত হয়েছে। ওরা কেউই কিছু বলছে না। ওদের চুপ করে থাকতে দেখে অরিক গর্জে উঠলো।

-তোমরা যে কেবল আড্ডা দিতে ভার্সিটিতে আসো, এগুলো তো নিশ্চয়ই তোমাদের প্যারেন্টস জানেননা। ওনারা তো ভাবেন, তাদের সন্তানেরা কতো ভালো পড়াশোনা করে যে, রোজ ভার্সিটিতে যায়। পরীক্ষার খাতায় কি লিখবে তোমরা ক্লাস না করলে? তাদের ঠকাচ্ছো……
ইত্যাদি ইত্যাদি, অরিক বলেই গেলো। হুমকি দিলো ওদের প্যারেন্টস ডেকে সব বলে দেবে। প্রিন্সিপালের কাছে যাবে। তিলোর অবাক লাগছে, ওরা বড় হয়েছে। আর অরিক কিনা ওদের হাইস্কুলের মতো হুমকি ধামকি দিচ্ছে। একগাদা লেকচার দেওয়ার পর অরিক সরাসরি তিলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বললো,

-আর এই মেয়েটা। এই মেয়ে, নিজের তো শ্রী ওই। না পড়লে করবে কি জীবনে? এখনই ক্লাসে যাও তিলো। আর একদিনও ক্লাস টাইমে তোমাকে বাইরে দেখলে সোজা তোমার বাবার কাছে নালিশ করে দেবো। রিমেম্বার।

অরিক কথাগুলো বলে চলে গেলো সেখান থেকে। তিলো বরাবরের মতোই বিরবির করলো,
-নালিশ করে যতো বালিশ পাবে, তাই দিয়ে বালিশের দোকান দিও। ভার্সিটিতে তোমাকে এলাউ কোন বলদ করলো, সেটাই আমাকে ভাবাচ্ছে। তোমার চৌদ্দ পুরুষের ভাগ্য এখানে পড়াতে পারছো। আবার বড় বড় কথা!

অনি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তিলোর দিকে তাকালো। অরিক ওর নাম জানলো কি করে, আর ওকেই নির্দিষ্ট করে এতো বেশি কিছু বললো কেন, এসবই অনির মস্তিষ্কে আঘাত করছে। তিলো তাহলে অরিককে চেনে। ভাবতেই অনির মন নেচে উঠলো যেন। তিলোর থেকেই সব জানতে হবে ওকে। বিশেষ করে প্রফেসর সিঙ্গেল কিনা? তবে এখনই তিলোকে কিছু জিজ্ঞাসা করার সুযোগ ওর হলোনা। অরিকের দাবড়ে ওরা ক্লাসে ফিরলো।

#চলবে

**এই কয়েকদিন গল্প দিতে না পারায় দুঃখিত। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে দিতে পারিনি।

ভুলত্রুটি আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here