#এক_পশলা_ঝুম_বর্ষায়❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ৪৫
হঠাৎই আদিবকে কাশতে দেখে হকচকিয়ে উঠলো আদ্রিতা। খাবারের বাটিটা টেবিলে রাখতে রাখতে বললো,“কি হলো ভাইয়া আপনি কাশছেন কেন?”
আদিব কিছু বলতে পারলো না। কাশতেই থাকলো।আদ্রিতা দ্রুত আদিবের হাতে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে বললো,“পানি খান ভাইয়া?”
আদিব পানির গ্লাসটা নিলো। ঢকঢক করে পানি পান করে বললো,“শুকরিয়া ডাক্তার ভাবি।”
বিনিময়ে আদ্রিতা মৃদু হাসলো। ফারিশের নজর তখন আটকানো ছিল আদ্রিতার গায়ে জড়ানো সেই সবুজরঙা শাড়িটার দিকে। মুখের মৃদু সাজে আর কোমড়ে গুঁজে রাখা আঁচলের ভাজে যেন বউ বউ দেখাচ্ছে আদ্রিতাকে। ফারিশ দৃষ্টি সরালো। বেশি বেহায়া হচ্ছে নাকি তার চোখ। আদিব বুঝি খেয়াল করলো বিষয়টা। সে বললো,“ভাই চোখ সরানোর প্রয়োজন নেই আপনারই তো বউ।”
বিষম খেলো ফারিশ। চোখ গরম করে তাকালো আদিবের দিকে। আদিব হাসলো। দারুণ মিষ্টি দেখাচ্ছিল সেই হাসি। পুরোই তৃপ্তিময়। আদ্রিতা দুই ভাইয়ের ফিসফিস করে কথা বলার দৃশ্য দেখে বললো,“আমায় রেখে কি কথা হচ্ছে শুনি?”
আদিব কিছু বলার জন্য মুখ খুললেও ফারিশ কথা কেঁড়ে নিয়ে বলে উঠল,“আদিবের বউ লাগবে।”
আদিব অবাক হলো ফারিশের কথা শুনে। সে কখন বললো তার বউ লাগবে। অাদ্রিতা টেবিলে বসতে বসতে বললো,“আজই কাজী অফিস চলুন আমাদের মতো আদিব ভাইয়ার বিয়েটাও দিয়ে দেই। কি বলুন?”
আদিবের আবার কাশি উঠলো। আদ্রিতা হতভম্ব হয়ে চেয়ে। পুনরায় পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো,“কি হলো ভাইয়া আপনায় যক্ষা রোগে ধরলো নাকি এত কাশছেন কেন?”
ফারিশ হেঁসে উঠলো। মুখে স্যান্ডউইচ পুড়ে বললো,“ওসব যক্ষা টক্ষা কিছু না। আদিবের এই কাশিকে কি কাশি বলে জানো?”
আদ্রিতা বেশ আগ্রহ নিয়ে বললো,“কি কাশি?”
আদিব অসহায় মুখে ফারিশের পানে চেয়ে। ফারিশ বলে,“বউ কাশি।”
আদ্রিতা চোখ বড় বড় করে বললো,
“বউ কাশি আবার কি কাশি?”
“বউয়ের ভয়ে যে কাশি উঠে তাকে বলে বউ কাশি। আদিব বউ আসার ভয় পাচ্ছে তাই কাশছে। তাই আদিবের এই কাশিকে বলে বউ কাশি।”
ফারিশের কথা শুনে আচমকাই হেঁসে উঠলো আদ্রিতা। টেবিল কাঁপানো এক হাসি। আর আদিব লজ্জায় মিইয়ে যাচ্ছে পুরো। আদিব কোনোরকম ব্রেকফাস্ট করেই উঠে গেল। যেতে যেতে বললো,“ভাই আমি গাড়িতে আছি তুমি সময় নিয়ে এসো।”
ফারিশ উত্তরে শুধু বলে,“হুম।”
আদিব যেতেই আদ্রিতা বললো,“আপনি কাজটা ঠিক করেন নি?”
ফারিশ অবাক হয়ে বলে,
“কোন কাজটা?”
“এই যে বউকাশি আদিব ভাইয়া লজ্জায় না খেয়ে চলে গেছে।”
“ওসব কিছু না। ও আমাদের দু’জনকে একত্রে রাখার জন্য দ্রুত বেরিয়েছে।”
আদ্রিতা কিছু বললো না। চায়ের কাপে চুমুক দিলো। ফারিশ শীতল স্বরে শুধালো,
“এত সেজেছে কেন?”
“কেন আমায় ভালো লাগছে না।”
ফারিশের তড়িৎ উত্তর,“না।”
মনটা খারাপ হয়ে গেল আদ্রিতার। মাথা নুইয়ে ফেললো মুহূর্তেই। ফারিশ হেঁসে উঠলো। বললো,“কেউ অসুন্দর বললেই মানুষটা কিন্তু অসুন্দর হয়ে যায় না। কিছু অসুন্দর বলার মাঝেও দারুণ সুন্দরতা আছে। তুমি কি তা দেখতে পাও আমার সবুজরঙা বেলীপ্রিয়া।”
আদ্রিতা মুগ্ধ নয়নে তাকালো ফারিশের দিকে। মুখ ভাড় করে বললো,“তখন মিথ্যে বললেন কেন?”
ফারিশের মলিন চোখ। ঠোঁটে জড়ানো করুন হাসি। সে বলে,“মিথ্যে কখন বলেছি আমার না’য়ের মাঝেই হা’য়ের বসবাস। এখন তুমি ধরতে না পারলে আমি কি করতে পারি!”
আদ্রিতার বিস্মিত আঁখি। সে টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। বললো,
“আপনি একটা যাচ্ছে তাই লোক।”
ফারিশও উঠে দাঁড়ালো তখন। আদ্রিতা তার পানে চেয়ে। ফারিশ আদ্রিতার কাছাকাছি এসেই কোমড়ে গুঁজিয়ে রাখা শাড়ির আঁচলটা টান মেরে বের করলো। আদ্রিতা হতভম্ব হয়ে গেল ফারিশের এহেম কান্ডে। চোখ বন্ধ করে ফেললো মুহূর্তেই। ফারিশ তা দেখে মৃদু হাসলো। আদ্রিতার কানের কাছে ঠোঁটটা নিয়ে ফিসফিস করে বললো,“জানি তো। আমি সত্যি খুব বাজে লোক।”
আদ্রিতা চোখ খুললো। দৃষ্টি হলো এক। আদ্রিতা বলে,
“আমায় কিন্তু হসপিটাল যেতে হবে।”
“সে যাও, তবে আমি ডাকলেই আসতে হবে কিন্তু।”
“আমি কি আসতে বাধ্য নাকি?”
“ভুলে যেও না আমার বিয়ে করা বউ তুমি। বাধ্য তো বটেই।”
হেঁসে ফেলে আদ্রিতা। বলে,“বিয়ে করতে ভয় পাওয়া মানুষটা বউয়ের উপর অধিকার দেখাচ্ছে ব্যাপারটা কিন্তু ইন্টারেস্টিং।”
ফারিশের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর,“তুমি হয়তো জানো না আমি মানুষটাও দারুণ ইন্টারেস্টিং।”
আদ্রিতা গলা জড়িয়ে ধরলো ফারিশের। আদুরে গলায় আওড়ালো,“আপনি মানুষটা তো আমারই। ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার সবটা জেনে নিবো।”
কথাটা বলেই টুক করে গালে চুমু কাটলো ফারিশের। ফারিশ হতভম্ব হয়ে বললো,“এই তুমি ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে আমায় চুমু খাবে না।”
আদ্রিতা বিস্ময়কর চাহনী নিয়ে বললো,
“কেন?”
“আমার একটা মানসম্মান আছে বুঝো না কেন?”
“স্বামীদের মানসম্মান থাকে না। এখন যান।”
আদ্রিতা ছেড়ে দিলো ফারিশকে। ফারিশ ছাড়লো না। নিজের গালটা আদ্রিতার গালে সাথে ঘষা দিয়ে বললো,“যে গালে বউ চুমু খায় সেই গাল নিয়ে হাসাহাসি মানায় না।”
ফারিশ চলে গেল। আদ্রিতা কিংকর্তব্যবিমুঢ় চাহনি নিয়ে দাঁড়িয়ে। ছেলেটা কি বলে গেল সব যেন মাথার উপর দিয়ে গেল। আদ্রিাতর ঠোঁটে তো লিপস্টিক ছিল না তবে ফারিশ মুছলোটা কি? আদ্রিতা বামহাতটা নিজের গালে লাগালো। তেল তেল লাগলো কিছু। আদ্রিতা চোখ গরম করে বললো,“অসভ্য লোক। খাবার খেয়ে মুখ মুছে নাই।”
—-
সে এক শুক্রবারের বিকেল। প্রকৃতি তার শীতের রেশ কাটিয়ে টগবগা গরম দিচ্ছে। আদ্রিতা আর ফারিশের বিয়ের কেটে গেল দু’দুটো মাস। আজ হসপিটাল বন্ধ আদ্রিতার। তাই ফারিশের রুমে বেলকনিতে চেয়ার পেতে হুমায়ুন আহমেদের লেখা ‘আজ আমি কোথাও যাবো না’ বইটি পড়ছে। আদ্রিতা তার অবসর সময়ে বই পড়তে পছন্দ করে। বাবার বাড়িতে তার ছোটখাটো একটা লাইব্রেরিও ছিল। ফারিশ আর আদ্রিতার বিয়ে উপলক্ষে কোনো বড়সড় অনুষ্ঠান করা গেল না। আদ্রিতার বাবা চেয়েছিলেন করতে কিন্তু আদ্রিতা বারণ করে। খুব অল্প মানুষের ভিড়ে নিজ বাড়িতে ছোটখাটো ভরপুর খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় শুধু। সেখানে আদ্রিতার বাবার অল্প কিছু কলিগরা, আদ্রিতার বন্ধুবান্ধব আর তাদের আত্মীয়স্বজনরা থাকে। আদ্রিতার ফুপু খালারা খানিকটা রাগ করেছিল বটে। এভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে ধাপ করে মেয়ের বিয়ে দেয়ার জন্য। আদ্রিতার বাবামায়ের উপর ক্ষিপ্ত ছিল দারুণ। তবে রাগ বেশি রাখা গেল না। খাওয়াদাওয়ার মাঝেই চুকিয়ে গেল সবটা।’
বাড়ির কলিংবেল বাজলো হঠাৎ। আদ্রিতা হকচকিয়ে উঠলো তাতে। এই সময় কে আসলো। ফারিশ আসে তো সেই রাতে। আদ্রিতা বই রেখে উঠে দাঁড়ালো। চলে গেল নিচে। দরজা খুলতেই দেখলো পুলিশ অফিসার কিশোর এসেছে। আদ্রিতা তাকে দেখে অবাক হয়ে বললো,“আপনি এখানে?”
কিশোর একগাল হেঁসে বললো,“কেমন আছেন ডাক্তার সাহেবা?”
আদ্রিতা বিরক্ত হলেও। মুখে বিনয়ের হাসি রেখে বললো,
“ভালো। আপনি?”
“আমিও ভালো।”
কিশোর ভিতরে ঢুকলো। বললো,“চা খেতে এলাম। ফারিশ সাহেব বাড়ি আছেন?”
আদ্রিতা বললো,
“না।”
“ঠিক আছে। আপনি চা বানিয়ে আনুন আমি বসছি।”
কিশোর সোফায় বসলো। আদ্রিতা বিস্মিত হয়ে চলে গেল রান্নাঘরের দিকে। এভাবে হুট করে কিশোরের চা খেতে আসাটা কতটা যুক্তিযুক্ত ধরতে পারছে না আদ্রিতা।’
ফারিশ আসলো তার কিছুসময় পরে। কিশোরকে দেখে সে কিছু বললো না। আদ্রিতা তখন রান্নাঘর থেকে কিশোরের জন্য চা বানিয়ে আনছিল। ফারিশকে দেখে বুকটা কেঁপে উঠলো হঠাৎ। কোনোরকম বললো,“আপনি চলে এসেছেন?”
ফারিশ স্মিথ হেসে বললো,
“হুম।”
আদ্রিতা কিশোরের হাতে চায়ের কাপ ধরিয়ে দিয়ে ফারিশকে বললো,
“আচ্ছা আপনি বসুন আমি আপনার জন্য চা নিয়ে আসছি।”
ফারিশ সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করলো তাতে। বললো,“চা খাবো না। কফি খাবো।’
আদ্রিতা বিনাবাক্যে তাই বানাতে গেল। আদ্রিতা যেতেই কিশোরের মুখোমুখি বসলো ফারিশ। বললো,“কেমন আছেন অফিসার সাহেব?”
কিশোর চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো,
“ভালো। আরশাদকে ধরতে পেরেছি।”
“আমার সাহায্য নিলে আরো আগেই ধরতে পারতেন।”
“হয়তো পারতাম। তবুও নিজে খুঁজেছি ভাবলে গর্ববোধ হয়।”
ফারিশ সে কথার জবাব না দিয়ে বললো,
“কোথায় পেলেন?”
“কুমিল্লায়। পরিত্যাক্ত এক জমিদার বাড়িতে লুকিয়ে ছিল।”
“ওহ আচ্ছা।”
“জি।”
“এই খবর জানানোর জন্যই কি বাড়িতে এলেন?”
“যদি বলি আপনার বাড়িটা সার্চ করতে?”
ফারিশ ঘাবড়ায় না মোটেও। বলে,“করতেই পারেন। কিন্তু কারণ ছাড়া সার্চ করাটা আধও কি যুক্তিযুক্ত অফিসার সাহেব।”
কিশোর চর্তুথ বারের মতো চায়ের কাপে চুমুক দিলো তখন। একগাল হেঁসে বললো,“মজা করছিলাম। আপনার বউ কিন্তু চা টা দারুণ বানায়।”
ফারিশ কিছু বলে না। আদ্রিতা এগিয়ে আসে তখন। হাতে কফির কাপ। আদ্রিতা ফারিশের হাতে কফির কাপটা এগিয়ে দিয়ে বললো,“ধরুন।”
ফারিশ নিলো। এর পরপরই কিশোর উঠে দাঁড়ালো। বললো,“ঠিক আছে আজ তবে আসি। পরে আবার দেখা হবে।”
ফারিশ কফির কাপে চুমুক দিয়ে বলে,“এখনই চলে যাবেন আর একটু বসতেন।”
কিশোর আদ্রিতার দিকে একপলক চেয়ে বললো,“আজ থাক। অন্যআরেক দিন বসবো।”
কিশোর চলে গেল। আদ্রিতা বিমুঢ় তার পানে চেয়ে। সে ধরতে পারলো না কিশোর আচমকা এসে চলে গেল কেন! ফারিশ তার কফিটা শেষ করলো। মিষ্টি করে বললো,“আদ্রি শোনো?”
আদ্রিতা গেল। বিয়ের পর থেকে ফারিশ আদ্রিতাকে ছোট করে ‘আদ্রি’ ডাকে। আদ্রিতা ফারিশের সামনের টি-টেবিলটার উপরে বসলো। ফারিশ কিছু বলার আগেই আদ্রিতা বলে উঠল,“আমি কিন্তু ওনায় ডাকি নি।”
ফারিশ হেঁসে বলে,“জানি আমি।”
ফারিশ হাত বারিয়ে আদ্রিতা কাছে ডাকলো। আদ্রিতা গেল। তবে খানিকটা সংকোচ নিয়ে বললো,
“দরজা খোলা তো?”
“কিছু হবে না তুমি আসো।”
আদ্রিতা কোলে বসলো ফারিশের। বুকে জড়িয়ে ধরলো তাকে। বললো,“কিছু কি হয়েছে?”
ফারিশ উত্তর দিলো সঙ্গে সঙ্গে,
“কি হবে? আমার তুমি থাকলে কিছু হয় নাকি।”
“আপনায় বড্ড বিষণ্ণ দেখাচ্ছে।”
“ওসব কিছু না।”
“আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আপনি যখন দারুণ বিষণ্ণে তখনই এইভাবে জড়িয়ে ধরেন আমায়।”
ফারিশের উত্তর আসে না আর। আদ্রিতা প্রসঙ্গ পাল্টে বলে,
“আদিব ভাইয়া এলো না। কোথায় সে?”
ফারিশ এবার উত্তর দেয়। বলে,
“চাঁদনীর সাথে লুকোচুরি খেলছে।”
হেঁসে ফেলে আদ্রিতা। আজ থেকে ঠিক পনের দিন আগে বিয়ে হয় আদিব আর চাঁদনীর। ফারিশদের মতোই কোনো ঝাকঝমক ছাড়াই কাজী অফিসে বিয়ে দেয়া হয় তাদের। সে আদিবের কি ঘাবড়ানো। চাঁদনী কবুল বলতে সময় না নিলেও আদিব পাক্কা পনের মিনিট সময় নিয়েছে কবুল বলতে। আরো সময় নিতো তবে ফারিশের চোদ্দ মিনিটের ধমকের পর ফটাফট বলে ওঠে কবুল, কবুল, কবুল। তিন কবুল। আদিবের কান্ডে সেদিন হাসে সবাই। ফারিশও হাসে তবে সবার আড়ালে। উল্টোদিক ঘুরে। এখন এই বাড়িতে তারা চারজন থাকে। আদিব-চাঁদনী, ফারিশ আর আদ্রিতা। আদ্রিতা এবার বুঝলো এই জন্যই বুঝি একঘন্টা আগে চাঁদনী কাজের বাহানা দেখিয়ে বেরিয়ে গেল। ফিরুক! আচ্ছা করে দেবে এক ঘা। বলে গেলে কি হতো?– আদ্রিতা সে নিয়ে ভাবলো না আর।’
ফারিশ আদ্রিতা অনেকক্ষণ চুপ থাকলো। হঠাৎ আদ্রিতা প্রশ্ন করে,
“কাজে যাবেন না?”
প্রশ্ন শুনে ফারিশের হাতের বাঁধন হয় শক্ত। শরীরের সমস্ত ভাড় লুটিয়ে পড়ে আদ্রিতার ঘাড়ে। সে চোখ বন্ধ করে শীতল স্বরে শুধায়,“আজ আমি কোথাও যাবো না।”
আদ্রিতা আচমকা চমকায়। কথাটা করুন লাগলো তার।’
#চলবে….
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। গল্পের অন্তিম অধ্যায় এলো বলে। সবাই অপেক্ষায় থেকো]
#TanjiL_Mim♥️.