#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_২৩
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
কারো গরম নিশ্বাস, আলতো স্পর্শ অনুভব হতেই ঘুম ভেঙে যায় আবিরের। ঘুম ভাঙতেই চোখ খুলে দেখতে পায়। আদিবা ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে। আদিবার মুখটা আবিরের মুখের সামনে তাই ওর গরম নিশ্বাস আবিরের মুখের উপর পরছে।আবির কিছু সময় আদিবার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। কাঁচের জানালা ভেদ করে চাঁদের আলো আদিবার মুখে এসে পরছে।এতে আদিবার মুখটা আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
আবির খুব যত্ন করে আদিবাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিলো।
নূর আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে বসে আছে। আলসেমি ভেঙে ফ্রেশ হয়ে ওযু করে এসে নামাজ পড়ে নিলো।ব্যালকনির দিকে তাকিয়ে দেখে আঁধার কেটে আলো ফোটা শুরু করেছে।নূর মাথায় ঘুমটা দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে ছাঁদে চলে গেলো। ফুল গাছগুলোতে পানি দিয়ে পিছন ফিরে দেখে রুদ্র পকেটে এক হাত দিয়ে আছে,আরেক হাত দিয়ে মোবাইলে কি যেনো করছে।
নূর রুদ্রের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ভাইয়া মনে হয় আগের থেকে দিন দিন আরো বেশি সুন্দর হয়ে যাচ্ছে।
রুদ্র মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে নূরের দিকে তাকালো ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, ‘ কি দেখছো…?
নূর মাথা নাড়িয়ে বললো কিছু না।
রুদ্রঃ তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো..? নজর লাগবে তো।
নূর রুদ্রের কথা শুনে লজ্জা পেলেও পর মূহুর্তে হেঁসে উঠলো। তারপর রুদ্রের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে বললো,’ এত সকালে আপনি ছাঁদে..’
রুদ্রঃ কেনো? সকালে কি ছাঁদে আসা নিষেধ।
নূরঃ আমি কিন্তু তা বলিনি। আপনাকে তো কখনো সকালে উঠতে দেখিনি তাই বললাম।
রুদ্র হেঁসে বলে উঠলো, ‘ তুমি সকালে উঠলে তো দেখবে। আচ্ছা বলো তো সকালে তোমার ফুল গাছ গুলোতে পানি দেয় কে…?
নূরঃ আমি ঠিক বলতে পারি না। তবে হয়তো মাহি আপু দেয়….
রুদ্র আর কিছুই বললো না। যে মেয়ে ইশারায় বুঝে না। তাকে একদম খাইয়ে দেওয়ার একদম ইচ্ছে নেই।
মোবাইলে কি করছেন? গার্লফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছেন..?
রুদ্রঃ তোমরা মেয়েরা না মোবাইল হাতে তার মানে এই যে গার্লফ্রেন্ড এর সাথে কথা বলছি।কি আজব চিন্তা ভাবনা তোমাদের। হাতটা দেখি..?
নূর পুড়ে যাওয়া হাতটা মেলে ধরলো রুদ্রের সামনে। ফুসকা পড়ে গেছে।
রুদ্রঃ এখানে যেনো কোনো কিছুর ঘষা না লাগে দেখে রেখো। এখন রুমে গিয়ে মলমটা লাগিয়ে নিও।
নূর ছাঁদ থেকে নেমে নিজের রুমে চলে আসলো।
আদিবা চা নিয়ে রুমে এসে দেখে আবির এখনো ঘুমাচ্ছে। চা রেখে আবির কে ডাক দিলো উঠার জন্য।
আদিবাঃ এই যে শুনছেন.. আর কত ঘুমাবেন এখন তো উঠেন। না হলে আজ আর অফিসে যাওয়া হবে না।
আবিরঃ কি হয়েছে? এত সকালে ডাকো কেনো বউ..?
আবিরের মুখে বউ ডাক শুনে সারা শরীর শিউরে উঠলো আদিবার। ও কি ভুল শুনলো!
আদিবা মিনমিন সুরে বলে উঠলো, ‘ নয় টা বাজে। আজ কি অফিসে যাবেন না।’
আবির আর মুর ভেঙে উঠে বসলো।
আবিরঃ কি বেপার বউ। মেয়েরা স্বামী কে নিজের কাছে কিভাবে রাখবে সারাক্ষণ এই প্লেন করে আর তুমি আমাকে তাড়ানোর প্লেন করছো।
বার বার আবিরের মুখে বউ ডাক শুনে আদিবা একদম জমে গেছে। মনে হাজার কথা আসলেও মুখে আসছে না।
আদিবা কে এমন চুপ থাকতে দেখে আবির মুখ গুমোট করে ওয়াশরুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।
আবির ওয়াশরুম থেকে এসে দেখে আদিবা আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। গেলো তো শান্ত মেজাজ টা গরম হয়ে। এই মেয়ে কি পাগল এতক্ষন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার মানে কি। আবির গিয়ে খাটে বসে আদিবা কে ইশারা করলো কাছে আসার জন্য। আদিবা গুটিগুটি পায়ে আবিরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আবির আদিবার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের কোলে বসিয়ে নিলো। চা’য়ের কাপ হাতে নিয়ে বললো,’ চা’য়ে চিনির পরিমাণ ঠিক আছে তো..?
আদিবার মনে হচ্ছে শ্বাস আটকে আসছে। আবিরের থেকে ছুটার চেষ্টা করতেই আরো শক্ত করে ধরলো আবির।
আবিরঃ একদম উঠার চেষ্টা করবে না৷ চুপচাপ বসে থাকো। এই নাও আগে খেয়ে দেখো চা’য়ে চিনি ঠিক আছে কি না…তবে বেশি খাবে না একটু।
আদিবা বুঝে পায় না প্রতি দিন কেনো প্রথম ও খেয়ে দেখতে হবে চিনি ঠিক আছে কি না।
নূর রেডি হয়ে নিচে আসলো খাবার খেয়ে কলেজ চলে যাবে।নিচে নেমে দেখে বড়রা সবাই খাবার খেয়ে যাঁর যাঁর কাজে চলে গেছে। নিচে আবির,রুদ্র, রুহি,আদি,মাহি,মিম, নীল বসে খাবার খাচ্ছে। আদিবা ভাবি,শুভ্রতা ভাবি রান্না ঘরে কাজ করছে।
নূর গিয়ে রুদ্রের পাশের চেয়ার টা খালি পেয়ে বসে পরলো। কিন্তু খেতে গিয়ে বাঁধলো আরেক সমস্যা। কাল রাতে মাহি খাইয়ে দিয়েছে। ডান হাত পুড়েছে।
নূর ঠোঁট উল্টে খাবারের দিকে তাকিয়ে আছে।
রুদ্র নূরের মুখের দিকে তাকিয়ে খাবার ওর সামনে ধরলো।
নূর রুদ্রের দিকে অবাক হয়ে তাকানোর আগে চার জোড়া চোখ হা করে তাকিয়ে আছে। নীল আর আবির নিজেদের মতো খাবার খাচ্ছে যেনো এটা কোনো অবাক হওয়ার কিছুই না।
রুদ্র সবাই কে বলে উঠলো, ” এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেনো তোমরা…? হা বন্ধ করো মাছি ঢুকবে। চোখ ঘুরিয়ে নিজেদের খাবারের দিকে তাকাও।আর তুমি(নূরের দিকে তাকিয়ে) তারাতারি হা করো আমার আবার হসপিটাল যেতে হবে।
নূর তাও মুখ বন্ধ করে আছে। না!না ভুলেও মুখ খুলবে না।
রুদ্র নূরের পুড়া হাতটা যখনি ধরতে যাবে নূর ভয়ে হা করে রুদ্রের হাত থেকে খেয়ে নিলো। এতগুলো মানুষের সামনে লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছে আর রুদ্র নিজেও খাচ্ছে নূরকে খাইয়ে দিচ্ছে।
মাহি একটু পর পর আর চোখে রুদ্র আর নূরের দিকে তাকাচ্ছে।
রুহি মুখটা বেঁকে খাবারে মন দিলো। ডং হাত পুড়েছে তাই খাইয়ে দিতে হবে। সবি প্লেন করা রুদ্রের হাতে খাওয়ার ধান্দা। আমি তোকে খুব ভালো করে চিনি। আদি গিয়েছে এখন আবার রুদ্র কে তোর রূপে পাগল করার ধান্দায় আছিস না। তোর সব আশায় আবারও পানি ডালার জন্য আমি রেডি শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলে শয়তানি হাসি দিয়ে খাবারে স্বাদ নিতে ব্যস্ত হয়ে পরলো।
আদি রেগে উঠে চলে গেলো। আদিকে এভাবে উঠে যেতে দেখে আবির আর মাহি মুচকি হাসলো।
রুদ্র নূরকে খাইয়ে বললো, ‘গিয়ে গাড়িতে বসতে। ‘
রুদ্রের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মাহির চোখ জলে টইটম্বুর হয়ে উঠলো। এ-ই লোকটা কেনো ওর এভাবে কেয়ার করে না।কেনো ওর দিকে প্রেমময় দৃষ্টিতে তাকায় না।
গাড়ি চলছে কলেজের উদ্দেশ্যে।
রুদ্র একটু পর পর নূরের দিকে তাকাচ্ছে। নূর চোখ বন্ধ করে সিটের মধ্যে হেলান দিয়ে আছে।
হঠাৎ নূর বলে উঠলো, ‘ গাড়ি চালাচ্ছেন গাড়ি চালান না। এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে কেনো।আমার এতো তারাতারি মরার সখ নেই। এখনো নাতি-নাতনীদের মুখে দাদী ডাক শুনিনি।
নূরের কথা শুনে রুদ্র হুঁ হুঁ করে হেশে উঠলো।
আর নূর চোখ বন্ধ করেই রুদ্রের হাসির শব্দ শুনতে লাগলো। আজ কাল রুদ্রের সব কিছুই নূরের ভালো লাগে। আগের মতো বিরক্ত হয় না।
——
কলেজে এসে দেখে আজকে ইরিন আসেনি।
নূরঃ ইসস মনেই ছিলোনা আজ যে ইরিন আসবে না। বাসায় থাকতে মনে হলে একদমি আসতাম না।
দেখতে দেখতে ২টা ক্লাস করে গিয়ে ক্যান্টিনে বসলাম। হঠাৎ রুদ্র ভাইয়ার কথা মনে পরলো। ভাইয়া এখন কি করছে..? কিছু খেয়েছে তো, নাকি না খেয়ে আছে।একবার কি কল দিবো। ওফ্ফ এমন অদ্ভুত চিন্তা আমি কেনো করছি। উনার কথা এত কেনো ভাবছি।কিন্তু একটা কল দিলে তো আর কোনো সমস্যা নেই। যদি উনি বিরক্ত হয় আমার কল দেওয়াতে। এইসব ভাবতে ভাবতে মোবাইল হাতে নিয়ে মনে পড়লো৷ থুর নাম্বার এই তো নাই।
কোনো রকমে সব গুলো ক্লাস করে। কলেজ ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আছে নূর বাহিরে বৃষ্টি পরছে।বৃষ্টি নূরের খুবই পছন্দ। বৃষ্টি দেখলেই বাচ্চামু শুরু করে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোটাতে আনন্দের অনুভূতি খুঁজে পায়। খুশিতে গদোগদো হয়ে বেরিয়ে গেলো বৃষ্টির মধ্যে। সারা রাস্তা বৃষ্টির প্রতিটা ফোটার সাথে আজকে আনন্দ ভাগাভাগি করে এসেছে৷
বাসায় আসার সাথে সাথে আনিতা বেগম চিৎকার চেচামেচি শুরু করলেন। মেয়েকে মারতে শুদ্ধ গেলেন দু’বার। শায়েলা বেগম দু’হাতে আগলে নিলেন নূরকে।
আনিতা বেগম রেগে বলে উঠলেন,’ এই মেয়ের জ্বর হলে কেউ যাবে না ওর কাছে। ডাক্তার ও আনা হবে না এই বাসায়। বৃষ্টিতে ভিজলেই ওর জ্বর হয়। তাও কেনো সারা রাস্তা বৃষ্টিতে ভিজে এসেছে। ‘
শায়েলা বেগমঃ ছোটো থাম! মেয়ে মানুষ একটু না হয়। ভিজেছে তাই বলে এতো রেগে যাওয়ার কি আছে। আর জ্বর হলে তোর ডাক্তার আনা লাগবে না আমাদের রুদ্র আছে কিসের জন্য। এখনি একটু আধটু মজা করবে বিয়ের পর তো আর করবে না।
নূর খুশিতে ওর বড় আম্মু কে জড়িয়ে ধরার সাথে সাথে হাচ্চুওও বলে হাঁচি দেওয়া শুরু করলো।
আনিতা বেগম রেগে নূরের দিকে তাকিয়ে নিজের রুমে চলে গেলেন।
শায়েলা বেগমঃ নূর তুই একদম কাজ টা ঠিক করিস নি। জানিসই তো বৃষ্টিতে জ্বর চলে আসে। তাও কেনো ভিজতে গেলি। তারাতাড়ি গিয়ে কাপড় চেঞ্জ কর যা।
নূর কাপড় চেঞ্জ করে রুমে লাইট নিবিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। আর একটু পর পর হাঁচি দিচ্ছে।
রাত যত বাড়ছে বাড়ির সবার চিন্তা ও বেড়ে চলছে। নূর কলেজ থেকে এসে যে দরজা বন্ধ করে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। এখনো উঠেনি দরজাও খুলেনি। সবাই একে একে এসে দরজা ধাক্কিয়ে গেছে। অনেক ডেকেছে কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সারা শব্দ আসছে না।আনিতা বেগম কান্না শুরু করেছেন। মেয়েটার কি হলো? দরজা কেনো খুলছে না? কলেজ থেকে এসে কিছুই খায় নি। কেনো যে উনি মেয়েকে বকলেন।
রাত দশটায় আবির বাসায় আসে চমকে উঠলো বাসার সবার মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। আনিতা বেগম অসুস্থ হয়ে পরেছেন। আবির গিয়ে ওর আম্মু কে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে?
উনি সব খুলে বলার সাথে সাথে আবির বুঝলো নূর কেনো দরজা খুলছে না।
আবির নূরের দরজা ধাক্কা দিয়ে বুঝলো ভেতর থেকে লাগানো। তারপর রুদ্রের রুমের সামনে গেলো গিয়ে দেখে দরজায় তালা ঝুলানো।
সাথে সাথে রুদ্র কে কল দিলো বাসায় আসার জন্য।
রুদ্র বাসায় এসে শুনলো নূরের কথা। আবির বললো তোর রুমের দরজা খুল।
রুদ্রঃ আমার রুমে কি আছে?
আবিরঃ নূর যেই রুমে থাকে সেটা তো আগে আমার রুম ছিলো। ওই রুম থেকে পাইপ দিয়ে তোর রুমে আসা যায়।
রুদ্র দরজা খুলে দিলো। আবির পাইপ দিয়ে নূরের রুমে ঢুকেই আগে দরজা খুললো।
সবাই নূরের রুমে ঢুকেই দেখে নূর শুয়ে আছে। মাহি গিয়ে নূরের শরীর হাত দিতেই চমকে উঠলো। নূরের শরীর আগুনের মতো গরম হয়ে আছে।
মাহি ইশারায় রুদ্রকে বললো দেখতে।
রুদ্র নূরের কপালে হাত রেখেই বলে উঠলো এই মেয়ের এতো জ্বর উঠলো কিভাবে। সকালে ও তো ভালো ছিলো।
আনিতা বেগম আবার কান্না শুরু করলো।
মাহিঃ ভাইয়া ও বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় এসে ছিলো।
রুদ্রের মন চাইলো নূরকে ঘুম থেকে তুলে ঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় বসাতে। আবার মাথায় আসলো বাসার সবাই ওর রুমে তাও ও উঠছে না কেনো?
নূরকে কয়েক বার ডাক দিয়ে। তারপর পানি নিয়ে ওর চোখে মুখে ছিটা মারলো। অনেকক্ষন পর নূর অনেক কষ্টে চোখ খুললো। আবার আসতে করে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে কি যেনো বলছে।
রুদ্রঃ ছোট আম্মু ও কি কিছু খেয়েছে?
আনিতা বেগম বললেন নূর কিছুই খায় নি।
মাহি গিয়ে নূরের জন্য খাবার নিয়ে আসলো। জোর করে দুই লোকমা খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিলো।
আনিতা বেগম, মাহি বাদে সবাই নিজেদের রুমে চলে গেলো।
রাতে অনেক বুঝিয়ে আনিতা বেগম কে মাহি রুমে পাঠিয়ে দিলো।
হঠাৎ মধ্য রাতে মাহির ফোনটা বেজে উঠলো।
মাহি তাকিয়ে দেখে মোবাইলের স্কিনে ‘ফায়াজ’ নামটা জ্বলজ্বল করছে।
চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।