#এই_অবেলায়_তুমি
#পর্ব_২৬
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
“আমি ফায়াজ স্যারকে ভালোবাসি”
কথাটা শুনেই ফায়াজ চমকে মাহির দিকে তাকালো। ও কি সত্যি শুনলো নাকি কোনো ঘুড়ে আছে সে।
মাহির বড় আব্বু বলে উঠলো, ‘ মাহি তুমি কি বলছো বুঝতে পারছো। বাড়ি ভর্তি মানুষ আর কালকে তোমার আর রুদ্রের বিয়ে আজ তুমি বলছো অন্য কাউকে ভালোবাসো!…’
মাহির আব্বু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন নিজের আদরের মেয়ের দিকে। উনার ছেলে নেই তাই অন্য বাবাদের মতো নিজের মেয়েদের ঘরে আটকে রাখেননি। উনার পুরো বিশ্বাস ছিলো। মেয়েরা এমন কিছু কখনো করবে না। যাতে উনার মাথা সবার সামনে নিচু হয়ে যায়। কিন্তু আজ উনার মেয়ে উনার সব বিশ্বাসের এই মর্যাদা দিলো।
মাহি ছলছল চোখে বাবার দিকে তাকালো। সে তো তার বাবার বিশ্বাস ভাঙতে চায় নি। সে আজ পরিস্থিতি শিকার।
আনিতা বেগম উঠে এসে মাহির সামনে দাঁড়ালো।
মাহি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ভয়ে হাত পা কাঁপছে।
আনিতা বেগমঃ মাহি তুই আমার বড় সন্তান। আমি তোর কোনো কিছুর অভাব রাখিনি। যখন যা চেয়েছিস তার থেকেও বেশি এনে দিয়েছি।কাল বিয়ে আর তোর আজ কে মনে হলো তুই ফায়াজকে ভালোবাসিস।
মাহিঃ আম্মু আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারিনি।
হঠাৎ আনিতা বেগমের চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে উঠলো। মাহির গালে পর পর ৪-৫টা থাপ্পড় মেরে বসলেন।
কেউ ভাবতেও পারেনি এই শান্ত মহিলা হঠাৎ এভাবে রেগে যাবেন।
আনিতা বেগমঃ ফাজলামো পেয়েছো তুমি। এটা পুতুল খেলা যে এতো দিন বিয়ে নিয়ে নাচানাচি করলে রুদ্র কে বিয়ে করবে বলে আর বিয়ের আগের দিন মনে হলো ফায়াজকে ভালোবাসো।
আনিতা বেগম কে শায়েলা বেগম টেনে মাহির সামনে থেকে নিয়ে গেলেন৷
কোনো দিন ও আনিতা বেগম তার মেয়েদের গায়ে হাত তুলেন নি। আজ সেই মেয়েকেই সবার সামনে এভাবে মারলেন।
মাহি কাঁদছে না। চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। ভেতর ফেটে যাচ্ছে তাও মুখ তালা বদ্ধ করে রেখেছে।
তখনি এখানে আগমন ঘটলো রুদ্রের৷
রুদ্র মাহিকে ফায়াজের হাত ধরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কিছুটা অবাক হলো। তার পর সামনে তাকিয়ে ভড়কে গেলো। আনিতা বেগম কে ওর আম্মু ধরে কি যেনো বুঝাচ্ছে। ওর আব্বু মাথা নিচু করে বসে আছে।আর বাকি সবাই মাহির দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
রুদ্র বুঝতে পারছে না আসলে এখানে হচ্ছেটা কি। ওর জানা মতে নূর আর মাহিকে সবাই খুব ভালোবাসে। এভাবে তাকানোর কথা তো না।
রুদ্র গিয়ে ওর আব্বুর পাশে বসে বললো,’ কিছু কি হয়েছে আব্বু..? ‘
শায়েলা বেগম ছেলের পাশে এসে বসে বলে উঠলেন,’ শুন রুদ্র তুই কোনো চিন্তা করিস না৷আমি তোর জন্য আমার বান্ধবীর একটা মেয়ে আছে। ওর সাথে কালকে বিয়ে দিবো। বাবা সবারি একটা পছন্দ ভালোবাসার ব্যাপার আছে। আমার আগে দরকার ছিলো মাহিকে জিজ্ঞেস করার।
রুদ্র যা বুঝার বুঝে গেলো। লোকে যে বলে মেয়েরা এক লাইন বেশি বুঝে তা রুদ্র আজকে প্রমাণ পেলো। মাহিকে কে বলেছে আগে আগে এসে পন্ডিতি দেখাতে। রুদ্র তো শুধু বলেছে তুমি চাইলে ঠিক হতে পারে। ও তো আর বলেনি তুমি গিয়ে সবাইকে বলো আমাকে বিয়ে করতে চাও না।
বিরক্তিতে মাহির দিকে তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নিলো। এই মেয়ে এমন কেনো..? এত কিছুর পর ও এতো স্ট্রং আছে কিভাবে..?
রুদ্রঃ আম্মু আমার কিছু কথা ছিলো..
শায়েলা বেগমঃ হুম বল বাবা..
রুদ্রঃ তুমি এই তো বললে.. সবার একটা পছন্দ, ভালোবাসার ব্যাপার স্যাপার আছে।তাহলে শুনো আমিও এই বিয়েটা করতে চাইছি না। আর আমি এটা মাহি কেও একটু আগে জানিয়েছি।
রুদ্রের আব্বু অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালেন ছেলের দিকে। উনার যা বুঝার উনি বুঝে নিয়েছেন৷ যে মেয়ে কখনো উনাদের কথার বাহিরে যায়নি। সে কখনো এত গুলো মানুষের সামনে উনার মাথা নিচু হবে এমন কাজও করতে পারে না। শুধু রুদ্রের ভালোর জন্য এই নাটক করছে।
শায়েলা বেগমঃ কেনো রে আমি যখন তকে মেয়েদের ছবি দেখালাম তখন তুই কি বলে ছিলি..! ঘরে মেয়ে থাকতে বাহিরে যাওয়ার কি দরকার! আর আজকে বলছিস তুই ওকে বিয়ে করবি না।
“ঘরের মেয়ে বলতে কিন্তু রুদ্র একবার ও মাহির নাম নেয় নি বড় আম্মু ” বলে রুমে ঢুকলো আবির।
সবাই জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে আবিরের দিকে তাকালো।
রুদ্রের আব্বু বলে উঠলো, ‘ আবির এতো ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা না বলে। সোজাসুজি বলো কি বলতে চাও..?’
আবিরঃ বড় আব্বু এখানে আসলে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তবে এখানে দোষ রুদ্রের বেশি। ওর দরকার ছিলো বড় আম্মুকে ঘরের মেয়ে না বলে নাম বলার। আর রইলো মাহির কথা ওর কোনো দোষ নেই। রুদ্র ওকে বিয়ে করতে পারবে না বলাতেই ও এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ও চায়নি রুদ্র সবার সামনে দোষী হোক।
আনিতা বেগমের চোখ জলে ভরে উঠলো। কোনো দিন মেয়েদের গায়ে হাত তুলেন নি আর আজ এত গুলো মানুষের সামনে মারলেন। তাও মেয়েটা মুখ খুললো না। এত শান্ত,শক্ত ধাঁচের কেনো মেয়েটা।
রুপা বেগম বলে উঠলো, ‘ তাহলে রুদ্র কাকে বুঝিয়েছে রে আবির..?’
আবিরঃ কেনো ফুপিমণি মাহি ছাড়া কি ঘরে আর কেউ নেই..?
রুদ্রের আব্বু বলে উঠলো, “নূর”
আবিরঃ হুম বড় আব্বু।
উনি রেগে রুদ্রের দিকে তাকালেন। রুদ্র মাথা নিচু করে বসে আছে।
এতক্ষনে মুখ খুললেন নূরের আব্বু, ‘ কিন্তু নূর তো ছোট।এখনো ওর বিয়ের বয়স হয়নি।’
শায়েলা বেগমঃ দেখ ছোট ভাই এত বড় সমস্যা কখনো হতো না যদি আমি ভুল না বুঝতাম। প্লিজ তুই আর কথা বাড়াইস না।নূর বিয়ের পরও নূর পড়াশোনা করবে।পড়াশোনা বন্ধ থাকবে না।’
তারপর সবাই মিলে আরো অনেক কথা হলো লাস্ট পর্যায় ঠিক হলো কাল নূর আর রুদ্রের বিয়ে হবে।
আনিতা বেগম মাহির কাছে এসে বললেন, ‘ আমি কি এতটাই পর হয়ে গেছি যে একবার সত্যি টা আমাকে বলা যেতো না। সব বাদ ফায়াজকে ভালোবাসিস এটাও একবার বলতে পারলি না।
তারপর ফায়াজের সামনে গিয়ে বললেন তুমি কি মাহি কে বিয়ে করবে বাবা। তুমি রাজি থাকলে আমি তোমার আম্মুর সাথে কথা বলতে চাই। কাল এক সাথে দুটো বিয়ে হবে।
ফায়াজের মনে হচ্ছে ও স্বপ্ন দেখছে। খুশিতে চোখের কোনে এসে জল জমে গেছে। হারাতে হারাতে প্রিয়তমা কে পাচ্ছে এবার আর হারাতে দিবে না।
——
নিজের রুমে বসে আছে মাহি ওর পাশেই আদিবা।
আদিবাঃ মাহি তুই তো রুদ্র ভাইয়া কে ভালোবাসিস তাহলে মিথ্যা কথা কেনো বললি..?
মাহিঃ আদিবা তোর সাথে সকালে কথা বলবো। এখন নিজের রুমে যা।
আদিবাঃ এই সব পাগলামোর মানে কি..? তুই বুঝতে পারছিস তুই কি করে ছিস..?
মাহিঃ জোর করে আর যাই হোক কখনো ভালোবাসা হয় না।
আদিবাঃ এক ছাঁদে নিচে এক রুমে থাকলে এমনকি তেই হয়ে যায়।
মাহিঃ তাই নাকি।
আদিবাঃ হুম তাই।আর নূরকে এখনো বিয়ের কথা কেনো জানানো হয়নি..?
মাহিঃ এমনি, সকালে জানিয়ে দিবে।
আদিবাঃ এটা তোরা কি পুতুল খেলা শুরু করে ছিস। যার বিয়ে তার খবর নেই। আর তুই বিয়ে করবি না বলেছিস নূরের জন্য তাই না??।
মাহিঃ আমার প্রিয় দুটো মানুষ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো আদিবা।তুই এখন যা।
আদিবাঃ আমি আজকে তোর সাথে ঘুমাবো।
মাহিঃ একদম না। আমার রুম থেকে বের হ।বলে ঠেলে আদিবা কে বের করে দরজা লাগিয়ে দিলো ।
আদিবাঃ মাহি এটা ঠিক না দরজা খোল। না হলে আমি দরজার সামনে ঘুমাবো।
মাহিঃ আচ্ছা ঘুমা।
কিছু ক্ষন পর আদিবা চলে গেলো নিজের রুমে।
মাহি নিচে বসে আছে হটাৎ পাশে থেকে গ্লাসটা হাতে নিয়ে ছুড়ে মারলো ড্রেসিং টেবিলের আয়নার মধ্যে। সাথে সাথে আয়না ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। মাহি হাসতে হাসতে বললো, ‘ আমার মন ও যে ভেতর ভেতর এমন ভেঙে চুরমার হয়ে আছে।কেউ কি বুঝতে পারছে! নাহ কেউ বুঝবেও না। আমি যে বুঝতে দিবো না। আমার প্রিয় মানুষগুলোর সুখের জন্য এর থেকেও বড় বড় কষ্ট বুকের ভেতর যত্ন করে লুকিয়ে রাখবো।
নূর ঘুমাতে পারছে না। সাথে ইরিন আর দুইটা মেয়ে। পুরো বাসায় মেহমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটু পর পর একজন পা এনে ফেলছে উপরে আবার কখনো হাত। এদের ঘুমানোর অবস্থা খুবই বাজে।নূর উঠে ঘড়ি দেখলো ২টা বাজে। এখনো অনেক রাত বাকি। বাকি রাত কিভাবে ঘুমাবে এই মেয়েগুলোর সাথে। জগ হাতে নিয়ে দেখলো পানি নেই। রুম থেকে বের হয়ে ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখলো কেউ সোফায় ঘুমিয়ে আছে আবার কেউ নিচে বিছানা করে। খুব সাবধানে পা ফেলে গিয়ে পানি খেয়ে রুমে আসার সময় সামনে রুদ্রকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দাঁড়িয়ে গেলো।
নূরঃ রুদ্র ভাইয়া আপনি। এখনো ঘুমান নি।
রুদ্রঃ ছাঁদে আসো কথা আছে।
নূরঃ আপনার মাথা ঠিক আছে। এত রাতে আমি আপনার সাথে ছাঁদে যাবো কেনো।
রুদ্রঃ বেশি কথা বললে। লুকজন উঠে যাবে। চুপচাপ ছাঁদে চলো।
নূরঃ কাল আমার আপুর সাথে আপনার বিয়ে আজকে আমি এতরাতে আপনার সাথে ছাঁদে কেউ দেখলে বা আপু এই কতা শুনলে কি হবে ভাবতে পারছেন..!
নূরের কথা শুনে রুদ্র হাসলো।এই মেয়ে তাহলে এখনো বিয়ের কথা জানে না।
নূরঃ একদম শয়তানের মতো হাসবেন না। সরে দাঁড়ান রুমে যাবো।
রুদ্র অবাক হয়ে নূরের দিকে তাকিয়ে আছে। ও কখন শয়তানের মতো হাসলো। ওর হাসি কি দেখতে শয়তানের মতো!!
রুদ্রঃ বেশি কথা না বলে চলো আমার সাথে।
নূরঃ এত রাতে আমি আপনার সাথে ছাঁদে যাবো না।
রুদ্রঃ তুমি কি চাও বাড়ি ভর্তি লোক তোমাকে আর আমাকে এক সাথে দেখুক।তারপর কি হবে বুঝতে পারছো।
নূর বাধ্য হয়ে রুদ্রের সাথে ছাঁদে আসলো৷ ছাঁদে এসে নূর তো অবাক নিচে সুন্দর করে পাটি বিছানো আছে।
রুদ্র আর নূর নিচে বসে আছে। রুদ্রের থেকে অনেকটা দূরত্ব রেখেই নূর বসেছে। রুদ্র একটা মেহেদী বের করে হাতে নিলো।
মেহেদী দেখে নূর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে।
রুদ্র নূরের হাতটা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইশারা করলো। নূর কৌতুহলের বসে হাত বাড়িয়ে দিলো।
রুদ্র নূরের হাত নিয়ে মেহেদী দেওয়া শুরু করলো। নূর হা করে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে।এই ছেলের কি মাথা খারাপ নাকি।
নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে নূরের গেলো মেজাজ খারাপ হয়ে। মেহেদী দিতে জানেনা তাও কেনো দিতে আসছে।
নূরঃ আপনি এটা কি করলেন..?
রুদ্র অবাক হওয়ার মতো মুখ করে বললো, ‘ কি করেছি.?’
নূর দুঃখী দুঃখী মুখ করে বললো, ‘ আমার হাতটাই নষ্ট করে দিলেন..’
রুদ্রঃ নূর খুব সখ ছিলো নিজের হবু বউয়ের হাতে নিজে মেহেদী পড়িয়ে দিবো।
নূর দাঁতে দাঁত চেপে বললো, ‘ আপনাকে ধরে রেখেছে কে। জান গিয়ে মেহেদী পড়িয়ে দেন। আমার এত সুন্দর হাত টাকে নষ্ট কেনো করছেন।
রুদ্রঃ হবু বউয়ের হাতেই তো পড়িয়ে দিচ্ছি।
নূরঃ আপনি কি জানেন আপনি একটা পাগল।
রুদ্রঃ সেটা তো অনেক আগেই হয়ে গেছি।
নূরঃ তারাতাড়ি ডক্টর দেখান।
রুদ্রঃ আমি নিজেই তো ডক্টর।
নূরঃ পাগলের!.
রুদ্রঃ সেটা তুমি ভালো জানো।
নূরঃ আপনার সাথে একটা সুস্থ মানুষ কখনই থাকতে পারবে না।
রুদ্রঃ তুমি থেকে গেলেই হবে।
নূরঃ কাল আপনার বিয়ে।
রুদ্রঃ সেটা সবাই জানে।
নূরঃ আমি রুমে যাবো।
রুদ্রঃ আমার কাজ এখনো শেষ হয়নি।
নূর নিজের হাতের দিকে তাকালো। ইসস হাতটার যা তা অবস্থা হয়ে গেছে। আগে এমন হবে জানলে রুম থেকেই বের হতাম না।
রুদ্রঃ রুম থেকে তুলে নিয়ে আসতাম।
নূর আর কিছু বললো না। কথা বললেই কথা বারে।
রুদ্রঃ যাও আমার কাজ শেষ।
নূর আবার হাতের দিকে তাকালো লাভের মাঝ খানে সুন্দর করে রুদ্রের নাম দেখে নূর রেগে গেলো৷
নূরঃ এটা কেমন ফাজলামো রুদ্র ভাই।
রুদ্রঃ তুমি যদি এখন আমার সামনে থেকে না যাও আমি ছাঁদ থেকে টুপ করে তোমাকে নিচে ফেলে দিবো।
নূর রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ছাঁদ থেকে নেমে গেলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মাহি নামাজ পড়বে। ওযু করতে ওয়াশরুমে গেলো। রাতে মেহেদী গুলো তুলা হয়নি। শুখিয়ে গেছে অনেক কষ্টে মেহেদী হাত থেকে তুললো। মেহেদী দেওয়া হাতের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো….মেহেদীর মাঝ খানে সুন্দর করে গুটিগুটি করে লেখা “ফায়াজ” নামটা দেখে চমকে উঠলো।
চলবে…
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।