#দেওয়ানা_(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাল মায়া
#পর্বঃ_০৪
.
🍂
বর্তমান
ভার্সিটির ক্যান্টিনে বসে আছি আমি। আমার সাথে বসে আছে মনা আর হেনা। আমার তিনজনই গল্পে মেতে উঠেছি। আমাদের আলোচনার বিষয় হল স্বাধীনতা নিয়ে। তাদের কথা মতে ওরা নিজেরাই নিজেদের কাজ করে থাকে। তাদের কেউ কিছু বলে না। ফ্যামিলি ও প্যারা দেই না। নিজের মত করে শপিং, আউটিং, ডেটিং সবকিছু নিজের মর্জি মত করে থাকে। ওদের স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করে না। আমি এসব নিরব স্রোতার মতো শ্রবণ করলাম। আমার ছোট মনে কৌতূহল জাগ্রত হল যে আমিও আমার স্বাধীনতা ব্যবহার করতে পারি। আমার স্বামী আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে। তাহলে সেটা আমাকেও ব্যবহার করা দরকার তাই না! তাছাড়া উনিও বা কি ভাববেন? যে আমি স্বামীর একটা কথাও শুনিনা। বেয়াদব বউ আমি। আচ্ছা যায় হোক ভুল মানুষেরই হয়। আমারও হয়েছিল। এখন ভুল শুধরে নিলেই তো হচ্ছে তাই না।
আমাকে উনা কথা শুনতে হবে। অনেক অমান্য করেছি উনার কথা আর না। আমি হলাম উনার আদর্শ বউ। উনি তো আমাকে প্রথম দিনই স্বাধীনতার দিয়েছিল। আমি সেটা অমান্য করে কোথাও একা একা যায়নি। আমার অপরাধ। কিন্তু আজ তো যেতে পারি। স্বাধীনতা অর্জন করেছি আর তার ব্যবহার করব না হুহ্। ভাবনা অনুযায়ী আমরা তিন জন মিলে ঠিক করলাম যে আজকে সারা দিন ঘুরব। প্রথমে শপিং পরে আউটিং যাব। তাই যে ভাবা সেই কাজ,,,,
কিন্তু বিপত্তি ঘটল আমাকে নিয়ে। কারণ আমার পিছন পিছন ছুটছে দুই বডিগার্ড আর ডাইভার। কিন্তু আমি তাদের কিছুতেই আমার সাথে নিয়ে আমার স্বাধীনতার অপব্যবহার করতে পারব না। তাই আমি তাদের তিনজনকে একসাথে করে বলে উঠি,,,
—” আপনার বাসায় চলে যান আমি আমার ফ্রেন্ডদের সাথে আউটিংয়ে যাচ্ছি। তাই আপনাদেরকে আমার সাথে নিতে পারব না।
একজন বডিগার্ড বলে,,
—” সরি ম্যাম! আপনাকে একা যেতে দিতে পারবো না। আপনার যেতে হলে আমাদের নিয়ে যেতে হবে নয়তো আপনি আমাদের সাথে বাসায় চলুন।
বডিগার্ডদের কথা গুলো আমার পছন্দ না। তাই তৎক্ষনাৎ আমি বলে উঠি….
—“একদম না! আপনাদেকে নিয়ে আমি আমার স্বাধীনতার অক্ষুন্ন করতে পারবো না। আপনার বাসায় যান। আমি দাদা-দাদীর সাথে কথা বলে নিব। যান।
পাশ থেকে অন্য জন্য বডিগার্ড বলে উঠে…
—” সরি ম্যাম। স্যারের নিষেধ আছে আপনাকে যাতে একা না ছাড়ি আমরা।
—” বললাম তো আমি দাদাজানের সাথে কথা বলে নিব। দাদাজান কিছু বলবে না আপনাদের যান।
—” ম্যাম আপনি বুঝতে পারছেন না। বস মানবে না রেগে যাবেন। বসের আদেশ! আপনাকে ভার্সিটি থেকে সোজা বাসায় নিয়ে যেতে। আমরা যদি তা না করি তো আমাদের কারও চাকরি থাকবে না ম্যাম,,,,
আমি বলে উঠি..
—” বস? এই বস আবার কে? ( ভ্রুঁ কুচকে) আচ্ছা থাক বাদ দিন। শুধু শুনুন! আমি বললাম তো আমি দাদাজানের সাথে কথা বলে নিব, আর দাদীর সাথে বাসায় ফিরে কথা বলব। তারপরও যদি আমাকে আটকান তো আমি বাসায় গিয়ে আপনাদের নামে মিথ্যা নালিশ করব দাদা দাদী কাছে। তখন এমনিই আপনাদের চাকরির থাকবে না আর। ভেবে দেখুন কি করবেন,,,,
বডিগার্ড গুলো অসহায় ফেস করে আমার দিকে তাকিয়ে বলে…
—” তো ম্যাম বস্-কে কি বলব?
—” আপনি বলবেন যে, আমি স্বাধীনতার সদ্ব্যবহার করতে গিয়েছি।
বলেই মনা হাত ধরে কেউকে কিছু বলতে না দিয়ে মনাদের গাড়িতে উঠে বসি আমরা তিন জন। দীর্ঘ সময় পী শান্তিতে একটা নিশ্বাস ফেলি। কারণ আমি এই প্রথম ঢাকা শহরে একা একা বের হলাম। এখানে আমি এসেছি তিন মাস হয়েছে কিন্তু কোথাও একা একা বের হয়নি। প্রথম প্রথম ভার্সিটিতে একা যাওয়া আসা থাকলেও পরে আর পারেনি। কেন পারিনি জানি না। অজানা এক কারণেই হঠাৎ করে দাদাজান আমার সাথে বডিগার্ড দিয়ে দেন। তাতেও আমি কিছু বলিনি অবশ্য। এসব ভাবতে ভাবতে গাড়ি এসে থামে শপিং মলের সামনে। আমরা তিনজন গাড়ি থেকে বের হয়ে সোজা শাড়ি দোকানে ঢুকলাম। সেখান থেকে পছন্দ মতো দুটো শাড়িও কিনলাম। ওরা দুজনও দুটো শাড়ি কিনল। আমি জিনিস পছন্দ করতে পারি না বলে আর কিছু কিনলাম না। কারণ আমার সবকিছু দাদী পছন্দ করে কিনে দেয়। আমি দুটি শাড়ি নিলাম একটা দাদীর একটা আমার । দাদার জন্য খুব সুন্দর একটা ব্র্যান্ডের ব্রোচ কিনলাম। দাদাজান সবসময় এই গুলো পরে থাকেন কোটের সাথে। কেনাকাটার মধ্যে আমি বাড়ি কাজে লোকদের জন্য আর আমার বডিগার্ডদের জন্যও কিছু না কিছু নিলাম। হেনা, মনা এটা সেটা কিনছে, আমি তাদের সাথে দাড়িয়ে তা দেখছি। শপিং শেষে আমরা বের হয়ে সোজা নিচে আসলাম। হেনা, মনা আমার সামনে হাটছে আর নিজেদের শপিং ব্যাগ দেখছে ঠিক আছে কিনা,, আমি একটু পিছনে ছিলাম ওদের অনুসরণ করে হাঁটছিলাম। তখন কোথায় থেকে একটা লোক বেশ কিছু বডিগার্ড নিয়ে এসে আমার সামনে হাজির হয়। আকস্মিক ঘটনায় আহত হলাম আমি। ভয় পেয়ে মূহুর্তে চোখ তুললাম ছেলেটাকে দেখার জন্য। তখন আমার ছেলেটাকে দেখে মনে হয়েছে যেন শুধু এই ব্যাক্তিকে, এই মূহুর্তে না দেখলে আমার জীবনটাই যেন বৃথা হয়ে যাবে। আহা এই বৃথা জীবন নিয়ে আমি পরপারও হতে পারবো না গো,, এক কথায় সাদা বিলাই, মানে সুন্দরপুরুষ। ক্রাশ নামক শব্দটি তখনই আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে যায়। মাথায় ক্রাশ শব্দটি ঘুরতে লাগলো আর চোখ দিয়ে ছেলেটিকে দেখতে লাগলাম। লম্বায় ৬ ফুট উচ্চতা, জিম করা প্রশস্ত বডি তার, চোখের মনি গুলো বাদামী রঙ্গের ঘন পাপড়ির সাথে, ঠোঁট গুলোও গাঢ় লালচে রঙ্গের। ভ্রুঁ গুলো যেমন আর্ট করে রেখেছে মোটা করে কপালে, ঠোঁটের বাম পাশটাতেও একটা তিল আছে যেটা চেহারার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলছে। আমি হা করে তাকিয়ে এসব গবেষণা করছিলাম ব্যক্তিটির। ঠিক তখনই ছেলেটি আমাকে ধমকে স্বরে বলে…
—” চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসো আর আশিক ( আমার একজন বডিগার্ডের নাম ) ওর হাত থেকে এই গুলো নিয়ে গাড়িতে রাখ ,,,,,,, (দাঁতে দাঁত চেপে )
আমি চমকে উঠলাম। ছেলেটা কে? আমাকে কি চিনে নাকি। আর চিনলে কবে থেকে চিনে। আমার এমন সব চিন্তা ভাবনার মাঝে আশিক বলে উঠে…
–” ম্যাম ব্যাগ গুলো আমাকে দিন। আমি নিয়ে যাচ্ছি।
দিন।
আমি আশিকের কথা শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখি, আরে এরা তো আমার বডিগার্ড, তার মানে দাদাজান পাঠিয়েছেন উনাদের আমার জন্য। আমি যে দাদাজানকে কল করি নাই তাই হয়তো বডিগার্ডদের পাঠিয়েছেন টেনশনে। আমি বলে উঠি।
—” দাদাজান পাঠিয়েছে আপনাদের? আচ্ছা আপনার যান এবার। আমি আরও ঘুরবো ফ্রেন্ডের সাথে। আমি এক্ষুনি দাদাজানের সাথে কথা বলে নিচ্ছি ফোনে কেমন। যান আপনারা।
বলেই ফোনটা হাতে নিলাম কল করা জন্য! তখনই সামনে থাকা সুন্দর পুরুষটা আমার হাত থেকে ফোনটা কেঁড়ে নিয়ে আছাড় মারল ফ্লোরে। যাহ হওয়ার তাই হলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার ফোন বাবাজীর জীবন শেষ হয়ে গেল ভেঙ্গে। আমি ভয় পেয়ে ফোনটা দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে আবার ছেলেটাকে বললাম,,
—“কি সমস্যা কি আপনার? কখন থেকে টানাটানি কাড়াকাড়ি করছেন আমার সাথে। একবার ফোন, তো অন্যবার আমাকে। কি চাই আপনার। আমার ফোন ভাঙলেন কেন?
সে রাগী স্বরে সুন্দর পুরুষটা বলল তৎক্ষনাৎ…
—” গাড়িতে বসো।
—” এই কে আপনি হ্যা? কেন যাব আমি আপনার সাথে। আমার স্বাধীনতা দিবসের দিনেরও হস্তক্ষেপ করছেন। বাজে লোক।
—” কিসের স্বাধীনতা (কপাল কুঁচকে)
বিরক্তি নিয়ে বলল..
—“যেটা আমি অর্জন করেছি সেই স্বাধীনতা।
—” কবে দেশের জন্য জান দিয়ে নিজের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করলেন।
—” জান দিব কেন? আমি তো এমনই এমনই পাইছি স্বাধীনতা।
—” কবে পাইছেন?
—” তিন মাস আগেই (নাক টেনে)
ভ্রু কুঁচকে গেল আমার কথায় তার। হয়তো বিষয়টি পুরোপুরি বুঝতে পারেন নি তাই পুনরায় প্রশ্ন করে বলল…
—“তিন মাস আগে কবে? আর কে দিল তোমাকে স্বাধীনতা শুনি?
ওড়না দিয়ে নাক মুছতে মুছতে ছেলেটা দিকে তাকিয়ে আবার বলি…
—“আমার স্বামী দিয়েছেন,,,
—” কখন দিল?
—” প্রথম দিনই দিয়েছেন। সবার সামনে বলেছেন, আমি আমার মতো করে থাকতে পারবো। যা খুশি করতে পারব। যেখানে খুশি যেতে পারব। তিনি আমাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাই তো আমি স্বামীর কথা পালন করছি। আর নেকীর খাতা ভারি করছিলাম। কিন্তু এখন আপনি এসে আমায় আটকাচ্ছন। আমার স্বাধীনতাই হস্তক্ষেপ ও করছেন। বলুন এটা ঠিক?
আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে টানতে টানতে গাড়ি দিকে নিতে নিতে সুন্দর ছেলেটা বলে উঠে ”
—“তখন সারাংশ ছিল শুধু। আর এখন!সারাংশ – সারমর্ম মিলে ভাবসমপ্রশারংণ হয়ে গেছে। তাই আমাকে বুঝতে দাও বাকিটা কি হবে। তোমার না ভাবলেও চলবে।
টানা বিশ মিনিট গাড়িটি চলল। কেউ কারও সাথে কথা বললাম না। আমি রাগে আর কষ্ট কথা বললাম না। তিনি কেন কথা বলেনি তা আমি জানিনা। তবে তিনি বেশ গম্ভীর মুখেই আমার পাশে গা এলিয়ে সিটে বসে আছেন। আমায় বাসা সামনে নামিয়ে দিয়ে পুনরায় ভারি গম্ভীর কন্ঠে বলেন…
—” আজ যেটা করলে ভবিষ্যতে এমন কিছু করার দুঃসাহস ও করবা না কখনো। যাও বাসায় যাও।
বলে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আর আমি তাকিয়ে ছিল উনার যাওয়ার দিকে! আজব লোক তো একটা,,,,,,
এদিকে
মায়া যাওয়া পর বডিগার্ডরা রিদকে কল করে রিদ তখন অফিসে চেয়ারে বসে পায়ে ওপর পা তুলে এক হাত চেয়ারে ওপর রেখে অন্য হাতে দুই আঙ্গুল মুখের উপর রেখে গম্ভীর মুখে ক্লায়েন্টদের সাথে জরুরী মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ কল আসায় বিরক্তি নিয়ে একবার তাকায় সেদিকে। কারণ রিদের ফোনটা ভাইব্রেশন করছিল রিদের সামনে টেবিল। ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে হাতে ঘড়ির উপর নজর রাখল। এই অসময়ে মায়ার বডিগার্ড কল করেছে দেখে হাতের ইশারায় সবাইকে চুপ করিয়ে কল রিসিভ করেছিল। তখনই মায়ার বডিগার্ড আশিক রিদকে জানায়,,,,,
—” বস ম্যাম তো স্বাধীনতা রক্ষা করতে একা একাই চলে গেল উনার ফ্রেন্ডেদের নিয়ে। আমাদেরকে পযন্ত সাথে নিয়ে যায়নি।
আশিকের কথা প্রথমে বুঝতে না পেরে কঁপাল কুঁচকে প্রশ্ন করে…
—” কিসের স্বাধীনতা?
—” বস ম্যাম বলল উনি নাকি আজকে স্বাধীনতার সদ্ব্যবহার করবেন। তাই উনি আউটিংয়ে গেছেন একা একা। আমাদের পযন্ত সাথে নিয়ে যাননি।
আশিক একে একে সবকিছু বললো রিদকে। এসব শুনে রিদ মূহুর্তেই হাত মুষ্টি বদ্ধ করে নেয় চোখ মুখ শক্ত করে। নিজের রাগ কন্ট্রোল কারার চেষ্টা করে তৎক্ষনাৎ দাড়িয়ে বলে,,,
—” ফলো হার। আই এম কামিং..
কথাটা বলেই রিদ কল কেটে সবাই উদ্দেশ্য করে বলে…
–” মিটিং ইজ ডিসমিসড নাউ।
বলে রিদ বেড়িয়ে পরে মায়ার উদ্দেশ্য রাগে কটমট করে। তীক্ষ্ণ মেজাজ বিগড়ে যাওয়া কারণে রাগে রি রি করে উঠে। ‘
—” বলেছিলাম আমার অবাধ্য না হতে তাও হলি! আমি বুঝে নিতে চাই কি হচ্ছে আমার সাথে। তাই আমাকে আর তোকে দুজনকেই সময় দিচ্ছিলাম। কিন্তু তুই সেটা বুঝলি না। আর এখন আমার সময়ের অপব্যবহার করতে চাইছিস? তা আমি কি করে হতে দেয় বল, তোকে নিজের রাগ দেখাতে চাইছিলাম না, কারণ যখন দেখবি তখন তোর জন্য ধ্বংশ বয়ে আনবে সবকিছুতে। আমার ভালো মানুষের সুযোগ নিয়ে তুই আমার অবাধ হবি তা তো হতে দিব না আমি।
বাসায় আসায় পর দাদী নানান প্রশ্ন করে যাচ্ছে একা কেন গেলাম? কোনো সমস্যা হলে কি হতো তারা? আরও অনেক কিছু। আমি অনেক কষ্টে দাদীকে বুঝতে সক্ষম হলাম যে আর কোথাও একা যাব না।
সবাইকে সাবার গিফট দিলাম আমি। দাদীকে দাদীর শাড়িটা দিলাম। আর দাদাজানের জন্য আনা গিফটা আমার কাছে রাখলাম পরে দিব তিনি বাসায় আসলে।
তখনই দাদী বলে উঠে…
—“সোনামা তোর ফুপ্পি (রিদের ফুপ্পি)আসবে দেশে সবাইকে নিয়ে নিহার বিয়ে জন্য কিছু দিনের মধ্যে। ওরা খান বাড়িতেই উঠবে বলেছে। আমাদের বাসায় থেকে বিয়ে হবে নিহার। তোর সাথে তোর ফুপ্পি কথা বলতে চায়। তোর কি কি লাগবে বলার জন্য বললো। তোর ফুপ্পি নিয়ে আসবে তোর জন্য,,,,,,,,
আমি দাদীর কথা শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে জড়িয়ে ধরে বলে উঠি…
—” সত্যি দাদী মামুনি (ফুপ্পিকে মামুনি বলে) আসবে কিছু দিনের মধ্যে? উফফ! আমার যে কি ভালো লাগছে বুঝাতে পারবো না তোমাকে। ইশশ!
দাদী এক গাল হেঁসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে বলেন..
—” পাগলী মেয়ে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,