দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৩১

0
999

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৩১
🍂
আমি পিটপিট করে উনার দিকে তাকিয়ে কিছু বলার জন্য আস্তে করে বলে উঠি,,,,

—-” আপনি আম,,,,

বাকি কথা গুলো পেটেই রইল মুখে আর আসতে পারলো না তার আগে আরও একটা পরলো অন্য গালে,,, এবার আমার ঝিম ধরাটা দু গুন হল,, আমি দুগালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, ঝাপসা চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি,,,,( টলটলে চোখে,,,,)

আমায় চড় দেওয়ার সাথে সাথে ড্রয়িংরুমে পিনপিনে চেয়ে গেছে,, সবার মাঝে এক জেঁকে গেছে এক চাপা নিস্তব্ধতা,,, কৌতুহল চোখে সবাই তাকিয়ে আছে উনার (রিদ) দিকে,,, উনি রাগে ফুসফুস করছে,, উনাকে দেখে মনে হচ্ছে উনি আমাকে আরও কয়েকটা চড় দিতে পারলে শান্তি পেত,,, উনি নিজের দুহাত মুষ্টি করে লাল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,, আর আমি দু গালে দুহাত দিয়ে কান্না করছি,,,

.
তখনি দাদা-দাদি দৌড়ে আমার কাছে এসে দুজনে দুই দিক থেকে জরিয়ে ধরে,, আমার কান্না দেখে দাদী আমাকে সম্পূর্ণ ভাবে নিজের বুকে জরিয়ে ধরে রাখে,,
পরে দাদি রেগে উনাকে কিছু বলবে, তখনি আয়ন ভাইয়া রেগে উচ্চ স্বরে উনাকে বলে উঠে,,,,

.

—” হাউ ডেয়ার ইউ রিদ,,, তোর সাহস কিভাবে হয় বারবার মায়াকে মারা,,, কি পেয়েছিস তুই,,, আজ তুই ওকে আঘাত করে অনেক বড় ভুল করেছিস,,,

.

আয়ন ভাইয়া কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে উনি আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে ভাইয়া দিকে তাকায় পরে খানিকটা চাপা সুরে বললো,,,,,

—” ডোন্ট বি ডেয়ার আয়ন,,, আমাকে তুই ভালো করেই চিনিস আমি কাউকে আমার কাজে কইফিউত দেয় না,,, সো কিপ কোয়াইট,,,, আমাকে আমার কাজ করতে দে,,

বলে উনি চিল্লায়ে আসিফ কে ডাকতে লাগলো,,, উনার ডাকে সাথে সাথে আসিফ (রিদের বডিগার্ড) এসে হাজির হয়,,, উনি আসিফ কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…..

.
—” দশ মিনিটের ভিতর পাটি শেষ করা চাই আমার,, সবাই সবার মতো ম্যানেজ করে পাটিটা এখানেই ইতি টানা হোক,,, তোর কাছে জাস্ট টেন মিনিট সময় আছে,,, সো হারি আপ,,,

.
উনার কথায় আসিফ আমতা আমতা করে বললো,,,

.
—” কিন্তুু ভাই পাটি,,,

বাকি কথা গুলো বলার আগেই থেমে যায় উনার চেহারার দিকে তাকিয়ে, রক্ত লাল চোখ জোড়া দেখে আর কিছু বলার সাহস জুগিয়ে উঠতে পারেনি আসিফ,,, ভয়ে কাচুমাচু করে বললো,,,

—” এক্ষুনি কাজ হয়ে যাবে ভাই,,,,

.

কথা গুলো বলেই দ্রুততার সাথে কেটে পরে আসিফ নিজের কাজে,,, আফিস জায়গায় ছাড়তেই আয়ন ভাইয়া দাঁতে দাঁত চেপে ওনাকে বলে উঠে,,,,,

.
—” রিদ, তুই কিন্তুু….

.

আয়ন ভাইয়া কথা গুলো শেষ করার আগেই উনি আয়ন ভাইয়া কে থামিয়ে দেয়,,,, আয়ন ভাইয়া দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বললো,,,

.
— জাস্ট কোয়াইট ….

.
পাশ থেকে দাদী রেগে চিৎকার করে বলে উঠে,,,,

.
—” রিদ তুই কিন্তুু বেশি বেশি করছিস, তুই আবার আমার সোনামা কে মারলি কোন সাহসে,,, কি সমস্যা তোর ওর (মায়া) সাথে,,, যার কারণে তুই বার বার ওকে আঘাত করছিস বল,,,,

.
দাদী এমন কথায় উনি বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে বলে উঠে,,,,,

.
—” no More Word,,,,,

.
উনার এমন কথায় আর দাদীর করা প্রশ্নে উত্তর না পাওয়ায় দাদী আরও ক্ষেপ্ত হয়ে,, রেগে চিল্লায়ে বললো,,,,

.
—” রিদ, তুই…..

.
উনি দাদীর কথা কানে না নিয়ে গম্ভীর ভাবে বলে উঠে,,,,

.
—” no means no,,,
.

উনার এমন চাপা সুরের কথায় দাদী চুপ হয়ে যায়, কারণ উনার রাগের সাথে কেউ কখনো পেরে উঠে না,,, তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে সবাই,,, আর দেখতে চাই যে উনি কি করতে চাইছে,,,
.

উনার আদেশ মেনে আসিফ নিজের কাজ করেছে,, দশ মিনিটে ভিতর পরো ড্রয়িংরুমে খালি,,, শুধু উনার ফ্যামেলি মেমবার আর ফয়সাল ভাইয়ার ফ্যামেলি, বাকি সব বডিগার্ডরা রয়েছে ড্রয়িংরুমে জুড়ে, ডলিআপু চলে গেছে উনার ফ্যামিলির সাথে,, আসিফ পাটিয়ে দিয়েছে,,,, বাকিরা সবাই এখানেই আছে,,, কিন্তুু সবার মাঝে পিনপিনে নিরবতা,,, সবার চোখ শুধু উনার (রিদ) দিকে তাক করা,,, নিরবতা ভেঙে উনি খানিকটা চিল্লিয়ে আসিফ কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে….

…” হারামীর বাচ্চাটা নিয়ে আয় আসিফ,,,,
.

কথা গুলো বলেই আবারও সবার মাঝে নিরবতা চেয়ে গেছে,,, সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কারও মুখে কোনো কথা নেই আর না আছে কোনো শব্দ,,, যা আছে সবার মাঝে তা হলো কৌতুহল আর এক জাক প্রশ্নে ঝুলি,,, অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে আসিফ সেই নিরবতা ইতি টেনে উনার সামনে হাজির হয় একটা ছেলেকে নিয়ে,,,, আমি তখনো দাদীর বুকে মুখ গজিয়ে কান্না করে চলছিলাম,,,, ছেলেটিকে দেখে কপাল কুচকে আসে আয়ন ভাইয়া,, সন্দেহ দৃষ্টিতে একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার ছেলেটি দিকে তাকায়,,,, আর তখনি উনি আমাকে আমার হাতের কব্জি টেনে দাদীর বুক থেকে উঠি দাঁড় করায়,,,
আমি একবার উনাকে অশ্রু সিক্ত চোখে দেখে ভয়ে নিজের দুহাত বাড়ি দিয়ে দাদীকে জরিয়ে ধরতে যাব তখনি উনি আবারও আমার কব্জি টেনে ধরে নিজের সামনে এনে দাড় করায়,,, আর ইশারা করে পাশে থাকা ছেলেটিকে দেখতে বলে,,, আমি বাধ্য মেয়ে মতো পাশে থাকা ছেলেটি দিকে তাকায় সাথে সাথে আমি চমকে উঠলাম,, একি এটা তো তখন আমার সাথে অসভ্যতামী করা ছেলেটি,,, কিন্তু ছেলেটি এখানে কেন,,, আর এর এই আবস্থা কেন, মনে হচ্ছে একে হালকা পাতলা মেরেছে,, গাল দুটো লাল হয়ে আছে সাথে নিচে ঠোঁট কেটে রক্ত হালকা রক্ত পরছে,,, আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই উনি চাপা সুরে দাঁতে দাঁত চেপে আমাকে বলে উঠে,,,,,,,
.

—-” এবার সত্যি বলবে নাকি আরও দুটো খাবে,,,, আমাকে যদি আয়ন ভেবে মিথ্যা বলো আই সয়ের,, এর পরে মার গুলো তোমার জন্য খুবিই ভয়ানক কিছু হবে,,, সো সত্যিটা বলো,,, হারি আপ,
.

উনার কথায় আমি মূহুর্তে চমকে উঠলাম,,, উনি কি করে জানলো যে এই বাজে ছেলেটা আমার সাথে অসভ্যতামী করছে,, উনি তো পাটির সারাটা সময় আমার দিকে তাকাও নি পযন্ত,,, একবার দেখার চেষ্টাও করেনি তাহলে উনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে,,,,
নাকি উনি আমাকে সারা সময় চোখে চোখে রেখেছেন,,, হয়তো আমাকে বুঝতে দেননি,, কিন্তুু কিভাবে সম্ভব সারা সময় তো আমি নিজেই উনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম,,, উনি তো তাকান নি আমার দিকে,,, আমার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝে উনি আবারও খানিকটা রেগে বলে উঠেন…..

.
—” তোমাকে সারারাত সময় দেওয়া হয়নি,,, তাড়াতাড়ি সত্যি কথা গুলো বেড় করও, আমার আবার একে (ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে) ঠিকানা লাগাতে হবে,,, সো স্পিক আপ ডেমিট,,,

.
উনার ধমকে আমি চুপসে যায়,, আর পাশ থাকা ছেলেটা উনার ভয়ে চিল্লিয়ে বলতে থাকে যে সে কিছু করে নি,, সে আমার সাথে জাস্ট পরিচয় হতে এসেছিল শুধু,,,, আর আমি ছেলেটি করুণ অবস্থা দেখে আমার অনেক মায়া হলো, তাই ছেলেটি কে উনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কি করবো কিছু বুঝতে না পেরে কান্না করতে করতে বলে উঠি,,,,
.
.
—” উনি (ছেলেটা) সত্যি বলছে আর উ…..
.

ব্যাস,, হয়ে গেল,, আমার মিথ্যা বলার এখানেই ইতি টানতে হয়েছে এখানে উনার আরও একটা চড়ে,,, এবারও প্রচন্ড জোরে পরেছে আমার গালে চড়টা,,, উনার কাছ থেকে তৃতীয় বারের মতো চড় খেয়ে হু হু করে শব্দ করে কান্না করে দেয় হিচকি তুলে,, আর আমাকে চড় মারতে দেখেই দাদী এগিয়ে আসতে চাই আমার দিকে কিন্তুু তার আগেই উনি নিজের হাত উঠিয়ে ইশারা করে দাদীকে থামিয়ে দেয়,,, পরে উনি আমার দু বাহু চেপে ধরে নিজের কাছে এনে দাঁতে দাঁত চেপে বললো…..

.
—” তোর কি মনে হয় তোর খবর আমি রাখি না,,, তুই আমার চোখে সামনে ঘুড়ে বেড়াবি আর আমি তোর খবর রাখব না,,, তোর সব প্রতিটা মোমেন্ট এ খবর আমি রাখি,,, সো মিথ্যা না বলে সত্যিটা বল নয়তো এরপর আর চড় মারবো না, সোজা মুখ বরাবর শুট করবো,,, কি চাই তোর বল,,,

.

উনার এমন ধমকি আমি কেঁপে উঠি,,, আমি জানি এখন যদি সত্যিটা না বলি তো উনি আমাকে সত্যি সত্যি গুলি করে দিবে দ্বিতীয় বার ভাবনা, তাই ভয়ে ভয়ে হিচকি তুলে কান্না করতে করতে উনাকে সব সত্যিটা বলি,,,

.
আমার কথা গুলো শুনেই উনি আমাকে আরও খানিকটা চেপে ধরে নিজের কাছে এনে রেগেমেগে বললো……

.
—” তোর ভয়টা শুধু আমার জন্য থাকবে অন্য কারও জন্য নয়,, তাহলে তুই অন্যকে কেন ভয় পাবি তোকে সেই অধিকার আমি দেয়নি,,, তোর সব পাগলামি, বোকা বোকা কান্ড, সত্য, মিথ্যা, বাহানা, ভয় আমাকে ঘিরে থাকবে, সেখানে তুই অন্য একটা ছেলেকে ভয় পেয়ে গেলি,,,

.
কথা গুলো বলেই এক প্রকার আমাকে ছুঁড়ে মারে আমাকে,,, আমি উনার ধাক্কা সামলাতে না পেরে গিয়ে পরি দাদাজান এর ওপর,, সাথে সাথে দাদাজান আমাকে দু’হাতে জরিয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ওনাকে উদ্দেশ্য করে বললো,,,,,

.
—-” রিদ ছেলেটাকে তাড়াতাড়ি ঠিকানায় লাগা,,, একে আমার সহ্য হচ্ছে না,, (দাঁত চেপে)

.

দাদাজান এর কথায় আমি চমকে উঠি কারণ আমি কখনো দাদাজান কে এই টাইপের কথা বলতে শুনেনি,,,
আমি চমকে উঠলেও এ মূহুর্তে কারও সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না তাই চুপ করে রইলাম,,,,, তখন দাদী পাশ থেকে আমার কাছে এসে আমাকে দাদাজান এর বুক থেকে নিজের বুকে নিয়ে আসে,,, আমিও দাদীকে দুহাতে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগি হিচকি তুলে,,৷ তখনি উনি গলার আওয়াজ শুনা যায়,, উনি রাগে রি রি করতে করতে আসিফ কে বললো,,,,,

.

—” আসিফ একে গুডাউন ঘরে নিয়ে যাতো নটি বয়কে,,, ওর জালা মিটাবো আমি নিজের হাতে আজকে,,, ভুল জায়গায় ভুল মানুষকে দেখার উপহার তো পেতেই হবে,,, সোজা একে নিয়ে যা আমি আসছি,,,,

.

কথা গুলো বলেই আবারও উনি সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,

.
—” আশা করি সবাই সবার উত্তর পেয়ে গেছো সো এখন কেউ কোনো প্রশ্ন না করে যার যার রুমে যাও,,, আর আয়ন তুইও নিশ্চয়ই তোর প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছিস,,, আর তুই ভালো করেই জানিস আমি অকারণে কিছু করি না, কারণ ছাড়া, তাই এখন সবাই নিজ নিজ কাজে যেতে পারও,,,,,

.

বলেই উনি কাউকে কিছু না বলে বাসার থেকে বের হয়ে যায়,,, পরে একে একে সবাই যার যার রুমে চলে যায়,,, ফয়সাল ভাইয়ারা আজকে রাত এখানেই থাকবে তাই ফুপা-ফুপি উনাদের নিচে রুম দেখিয়ে দেয়,,, সবাই চলে যাওয়ার পরে আয়ন ভাইয়া আমার দিকে করুন ভাবে তাকিয়ে ছিল,,, পরে দাদাজান এর সাথে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায় উনার উদ্দেশ্য,,,,

.

আমি তখনো হিচকি তুলে কান্না করেই চলছি পরে দাদী আমাকে আমার রুমে এনে যন্ত্র করে ঘুম পারে দেয়,, আর আমিও কান্না করতে করতে একটা সময় ঘুমিয়ে পরি,,, কারণ চড় খেয়ে আমি ভিষণ কান্ত তাই হারিয়ে গেলাম গভীর ঘুমের রাজ্যে,,,,

.

.

🍁🍁🍁
গভীর ঘুমে রাজ্যে অতলে আছে মায়া,,, সময়টা তখন ৫ঃ১৫ বাজে সকালের,,, তখনি কেউ অপ্রতাশিত ভাবে হাত টেনে তুলে বসায় মায়াকে,,, মায়া ঘুমের ঘরে হততম্ব হয়ে বসে আছে,,,, চোখ মুখ খানিকটা ফোলা ফোলা, চোখ দুটো ঘুমের জন্য লাল লাল হয়ে আছে,, তবুও কষ্ট করে খানিকটা জোর করে নিজের চোখ দুটো খুলে দেখার চেষ্টা করে যে কে তাকে এতো সকালে ডেকে তুললো,,, তাই ঘুমের লাল চোখে পিটপিট করে তাকাতে চোখে পড়ল ফিহাকে সে খানিকটা বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে মায়ার প্রতি,,, কারণ মায়াকে গত দশ মিনিট ধরে ডেকে চলছে কিন্তুু মায়ার কোনো ভাবান্তর নেই,,, মায়াকে কিছুতেই ঘুম থেকে তুলতে পারছে না তাই আর না পেরে এক প্রকার টেনে তুলতে বাধ্য হয় ফিহা,,, অবশেষে মায়াকে তুলতে পেরে খানিকটা রেগে মায়াকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,,,,,,,

.

—” তুই এত এলোমেলো ভাবে ঘুমাস কেন মায়া,,, আর তুই ঘুমে এতো গাধা কেন রের, সেই কখন থেকে তোকে ডেকে চলছি উঠছিস না কেন,,, এবার চল আমার সাথে নিচে নানুমা আমাকে পাঠিয়েছে তোকে নিয়ার জন্য চলতো,,,

.

বলেই মায়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে এক প্রকার হাত ধরে টেনে রুম থেকে বের হয়ে আসে,, আর মায়া ঘুম ঘুম চোখে, চোখ বন্ধ করে ফিহার সাথে হাটতে থাকে,,, ফিহা মায়াকে নিয়ে কিছু দূর আসতেই হঠাৎ থেমে যায় কিছু একটা মনে পড়াতেই,,,৷ তাই ফিহা মায়াকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…..

.

—” মায়া তুই নিচে যা,, আমি একটু আমার রুমে যাচ্ছি আমার ফোনটা আনতে,, তাই তুই যা আমি আসছি,,,,

.

বলেই ফিহা হনহন করে নিজের রুমে দিকে প্রস্তান করে মায়াকে রেখে,,,, মায়া টায় জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে চোখ বন্ধ করে ঘুমে ঝিমাচ্ছে,,, আর আদু ফিহার কোনো কথা কিছু শুনেছে কি না সন্দেহ আছে,,, ফিহা কি বলে গেল বা মায়া বাহিরে বা কেন দাঁড়িয়ে আছে তা মায়া নিজেরও জানে না,, আর না জানার প্রয়োজন বোধ মনে করছে,,, এখন মায়া অসম্পূর্ণ ঘুমটা সম্পূর্ণ করতে পারলে সাধ্য সিদ্দি হয়,, তাই হালকা চোখ খুলে পিছনে ফিরে তাকায় সাথে সাথে চোখে পরে দরজা,, এটা কার রুম চিন্তা ভাবনায় করার কি সময় আছে মায়ার, না নেই তার সময় তাই তো চোখ বন্ধ করেই দু’হাতে হাতরাতে হাতরাতে দরজা দিয়ে ডুকে যায়,,, পরে কোনো রকমে হাতরাতে হাতরাতে ব্যাড খুজে ধপাস করে শুয়ে পরে,,, মায়া এমন ধপাস করে শুয়ায় কেউ একজন ঘুমের ঘরেই নড়েচড়ে ওঠে আবারও ঘুমিয়ে পরে,,,,

.

মায়া ঘুম ভেপসা খুব বেশি,,, কারণ মায়া ঘুমের ঘোরে নড়াচড়া করে প্রচন্ড বিছানা এক মাথা থেকে অন্য মাথা ঘুড়ে বেড়ানো তার সভাব,,, এখনো তার এই সভাবেই সিক্ত আছে,, ঘুমের ঘোরে নড়াচড়া করতে করতে তার মাথা গিয়ে ঠিকে কারও বুকে,, উষ্ণতা পেয়ে মায়া আরও খানিকটা চেপে আসে ব্যক্তিটা দিকে,,, ব্যক্তিটি মায়ার দিকে কাত হয়ে শুয়ায় মায়া নাক মুখ বারবার তার বুকে সাথে ঘষা খাচ্ছে,,,,, ব্যক্তিটি হালকা নড়তেই মায়া তাকে ঝাপটে ধরে,, মায়ার একহাত ব্যক্তিটি পেটে ওপর দিয়ে গিয়ে পিঠে টিকেছে,,, আর মায়ার একপা তার পায়ে ওপর তুলে দিয়েছে,,, মায়ার মুখ ব্যক্তিটি উম্মত বুকে, মায়া নাক ঠোঁট চেপে ধরে আছে ব্যক্তিটি বুকে,, মনে হচ্ছে মায়া আজ ব্যক্তিটি বুকের ভেতর ডুকেই দাম নিবে তার আগে নয়,,,,,

চলবে,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here