হিয়ার_মাঝে ৪৪. #মেঘা_সুবাশ্রী ®️

0
607

#হিয়ার_মাঝে ৪৪.
#মেঘা_সুবাশ্রী ®️

রুমভর্তি মানুষ। জিতুর দিকে কালো মার্বেল পাথরের কয়েক জোড়া চক্ষু তাক করে আছে। নুবাহর রুম অথচ নুবাহর ছায়াও নেই। এই রুম তার রুমের চেয়ে দ্বিগুণ ছোট। উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রশস্ত। প্রবেশ করতেই বাম পাশে দক্ষিণ মুখী ওয়্যারড্রোব। পড়ার টেবিলের সাথে লাগোয়া খাট। বামপাশে মাঝারি সাইজের ছোট আলনা ও ড্রেসিং টেবিল। দক্ষিণমুখী বারান্দা। সেখান থেকে সমুদ্রের হিম শীতল বাতাস হু হু করে ছুটে আসছে রুমের মধ্যে। রুমের বাতি জ্বলছে। তার বিভ্রম দৃষ্টি পুরো রুম জুড়ে। কাঁচা ফুলের তীব্র গন্ধ নাকে লাগছে। রুমের দেয়ালে গোলাপ ও জারবেরা ফুল ছিপকানো। কিন্তু বিছানার উপর ছাকতির ন্যায় দন্ড, যার মধ্যে বেলী ও গোলাপ ফুলের তৈরি গোলাকার বৃত্ত সাজানো হয়েছে। এত স্বল্প সময়ে সাজালো কিভাবে এতকিছু? পনের বা বিশ মিনিট সময় হবে হয়তো। বেশ অবাক হল!

বিছানার সামনে গোল হয়ে দাঁড়ানো তার হাড়বজ্জাত বন্ধুগুলো। পিছনে ছেলে’রা আর মেয়েরা সামনে দাঁড়ানো। কারও মুখে উচ্চবাচ্য নেই। সবার নিরীহ দৃষ্টি তার দিকে। তার ঈশিভাবীসহ পুরো বন্ধুমহল জোট বেঁধেছে। পাশে তার দুই পিচ্চি শ্যালিকাও আছে। একটু আগে যার হাত ধরে নুবাহ বলে ডেকেছিল, সে আর কেউ নয় তার ঈশিভাবী ছিল। নিজমনে দোয়া পড়ল। ভাগ্য সহায় ছিল বলে সে শুধু হাত ধরেছিল। লজ্জার অনলে পুড়ছে সে। কিন্তু মুখের আদলে স্পষ্টত রাগ বিদ্যমান। বিদ্যুৎ বেগে রাগের পারদ থরথর করে বাড়ল বৈকি কমল না। ঝাঁঝালো স্বরে নিজের বন্ধুদের দিকে তাকাল।

‘এসব কোন ধরনের মজা। নুবাহ কোথায়?

চিন্ময় কাঁধ ঝাঁকালো। ভ্রু নাচিয়ে বলল, ‘বউ চাই তোর?’

এমন প্রশ্নে জিতু কপাল কুঁচকালো, ‘আশ্চর্য তো! এটা কেমন প্রশ্ন?’

জিমানও পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লো, ‘বউ চাইলে এক লক্ষ টাকা ক্যাশ প্রদান কর। তারপর বউ নিয়ে যা।’

জিতু বিমূর্ত দন্ডায়মান। শ্রবণ করল নিভৃতে। এত টাকা তার কাছে ক্যাশ নেই। আর থাকলেও দিবে না। তাকে এতক্ষণ হয়রানি করানোর জন্য। সানি দন্তপাটি দেখিয়ে হাসল। তার আলুথালু সেই কুখ্যাত ছড়া কাটলো।

‘কাঁচাফুলে রুম সাজিয়ে,
অল্প সময়ে গেলাম হাঁপিয়ে।
জলদি টাকা দিয়ে বাসর সার।
আমরাও হব পগার পার।’

রকি গানের মত সুর তুলল।
‘টাকা না দিলে বন্ধু,,,, বউ পাবে না।’

জিতু গভীর ভাবনায় মগ্ন। তার বউটাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে? সবগুলো আজ একসাথে আটঘাট বেঁধে নেমেছে। কিছুসময় মন দোটানায় ভুগলো। পরক্ষণেই বলে উঠল,
‘এত টাকা ক্যাশ নেই।’

বিদ্রুপের সুরে হেসে উঠল চিন্ময়। পাল্টা জবাব ছুঁড়ল, ‘অত কিছু জানি না, যা আছে বাইর কর। নয়তো বউ পাবি না।’

ঘড়ির কাটায় এগারো’টার জানান দিচ্ছে। সময় পেরিয়েছে অনেক। পকেট হাতড়ে যা ক্যাশ ছিল জিমানের হাতে তুলে দিল। চিন্ময় জিমান বেশ সময় নিয়ে সব গুণে নিল। পঞ্চান্ন হাজার পাঁচশ টাকা। খুব একটা খারাপ না। তবুও চিন্ময় হতাশার সুর তুলল মুখে।

‘বেশ খাটুনি গেছে আমার। পরিকল্পনা করে শুধু থেমে থাকেনি। কাজও দ্রুত করতে হয়েছে। হাতে সময় কম ছিল। সব ফুল আগেই অন্যরুমে সেট করে রেখেছি। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা কাজ দিয়েছি। যাতে দশ মিনিটে শেষ করতে পারি। মূল পরিকল্পনাকারী আমি ছিলাম, বাকি’রাও তো সহায়তা করেছে। রুম সাজানোর জন্য কাঁচা ফুল নিয়ে এসেছি। ঈশিভাবীকে দিয়ে নুবাহ ভাবীকে আগেই বাসায় পাঠিয়েছি। রুমও সাজিয়েছি অভিনব কায়দায়। এসবের জন্য তো আমাকে অতিরিক্ত কিছু পে করা উচিৎ তোর।’

জিতু দু’হাত বগলদাবা করে দাঁড়িয়ে আছে। চোয়ালদ্বয় শক্ত হয়ে আছে। রুক্ষভাষায় জবাব দিল, ‘নিজ থেকে বের হবি না’কি ধাক্কা দিয়ে বের করব।’

সবার আগে ঈশিতা মুচকি হেসে বেরিয়ে গেল। তারপর লরিন সিমি জুঁই একসাথে বের হল। সাথে নীলাভ হৃদিও বের হয়ে গেল। মুবিন মুচকি হেসে জিতুর কাঁধে হাত রাখল, ‘বেষ্ট অব লাক, আসছি।’
সানি রকিও মুচকি হাসল। ‘আসি’রে দোস্ত।’
চিন্ময় কানের কাছে ফিসফিস করল, ‘হ্যাভ এ গুড নাইট, দোস্ত।’
সবার শেষে এসে জিমান হতাশার সুর তুলল মুখে, ‘যাই করিস ভাই, আমার আগে বাচ্চা পয়দা করবি না কিন্তু।’

জিতু রক্তিম দৃষ্টিতে তাকাল। কিছু বলতে উদ্বত হল। তার আগেই সবক’টা পগারপার।

সবাই বেরিয়ে যেতেই চোখে পড়ল রজনীগন্ধা ও গোলাপের পাঁপড়ির লাভ সেইফ। নিচে বড় করে লিখা আছে জিতু যোগ নুবাহ। আর বিছানার মধ্যিখানে বসে আছে লাল বেনারসি পরিহিত লাল টুকটুকে বউ। বেনারসি শাড়িতে আবৃত রমণীকে দেখে থমকালো। দু’চোখ আঁটকে গেল মুহুর্তে। তার নুবাহ। বন্ধুমহল যেতেই নুবাহ দৃশ্যমান হল। এতক্ষণ এদের পেছনেই ছিল। তার হাড়বজ্জাত বন্ধুগুলো তাকে আচ্ছা মজা দিয়েছে আজকে। সবাই বেরিয়ে যেতেই জিতু দ্রুতই দরজা বন্ধ করল।

নুবাহর মাথায় লম্বা ঘোমটা টানানো। মেহেদী রাঙানো দু’হাত ভর্তি চুড়ি। নতুন বউ লাগছে একদম। দু’জনের মাঝে বাক্য বিনিময় নেই, শুধু নিশ্চুপ একে অপরের উপস্থিতি অনুভব করছে। জিতু সন্তপর্ণে বসল বিছানায়। সহসাই নুবাহর কোলে নিজের মাথা রাখল। ঘোমটার আদলে ঢাকা মুখের দিকে উঁকি দিল সে। নুবাহ নিচের দিকে তাকানোই ছিল। হুট করে জিতু তার দিকে তাকাতেই অযাচিতভাবে দৃষ্টি বিনিময় হয় তাদের। নুবাহ লজ্জায় আড়ষ্ট হল। জিতু মুচকি হেসে উঠল তার এমন অপ্রস্তুত ভাব দেখে। মুখের কোণে এখনও সেই হাসি। হুট করে সে নুবাহর দু’হাত নিজের মুঠোবন্ধি করল। মুখের সামনে ধরে তার দু’হাতে মন ভরে চুমু খেল। তার বামহাতের উল্টোপিঠে একটা বাদামি বর্ণের গোল তিল দেখেছে সে। নজর কেড়েছে তার। ভীষণ ইচ্ছে ছিল এই তিলে একদিন মন ভরে চুমু খাবে। সেই অপূর্ণ ইচ্ছে তার পূর্ণ হল আজ।

বলার জন্য কত কথায় পড়ে আছে। অথচো সে কথা খুঁজে বেড়াচ্ছে। সারাদিন কত বকবক করেছে বউয়ের সাথে। কিন্তু এখন কি কথা বলা উচিৎ? কোন বাক্যে দিয়ে শুরু করা উচিৎ? নতুন জীবনে পা’ রাখলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কি বলে সেটাতো তার জানা নেই। মনটা বড্ড ব্যাকুল হল। নুবাহর দু’হাত এখনও মুষ্টিবদ্ধ। আচমকাই ডেকে উঠল,

‘নুবাহ।’

অতি ক্ষীণ এক জবাব এল, ‘হুম।’

জিতু আলতো হাসল। বক্ষস্থল থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল। নেত্রকোণে জল, নরম ভেজানো গলার স্বর। ফের বলে উঠল,
‘নুবাহ, আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না’তো? যদি শোন তোমার স্বামীর এক বিবর্ণ অতীত ছিল? সে এক পাগল ছিল। কোন এক রমণীতে আসক্ত ছিল? তখনও আমার পাশে থাকবে তো, নুবাহ?’

নুবাহ চোখ মেলে তাকাল। বক্ষস্থলে সূক্ষ্ম চিনচিনে এক ব্যথার অনুভব হল। তার স্বামীর অতীত ছিল? কোন সে অতীত? জানার আগ্রহ বাড়ল দ্বিগুণ। কিন্তু গলার স্বর ভীষণ কাঁপছে। তার যে সত্যি’টা জানা ভীষণ জরুরি। অভিমান জমে আছে দীর্ঘদিনের। তবু জবাব দিল।

‘নির্দ্বিধায় আপনি অতীত বলতে পারেন। আপনার পাশে থাকার জন্যই এসেছি। ছেড়ে কোথায় যাবো বলুন?’

জিতু নুবাহর কোল ছেড়ে উঠল। দু’চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে তার দু’গাল বেয়ে। নুবাহর লম্বা ঘোমটা সরালো। তার দু’গালে হাত রেখে বলে উঠল,
‘সত্যি থাকবে! ছেড়ে যাবে না’তো। বিশ্বাস করো, তুমিও ছেড়ে গেলে আমি এবার মরেই যাবো।’

নুবাহর ইচ্ছে করছিল চেঁচিয়ে বলতে। আপনাকে ছেড়ে কোথায় যাব? আপনার প্রাণেতেই আমার বাস। এই প্রাণ ছেড়ে কোথায় যাব আমি? কিন্তু গলা দিয়ে এই শব্দগুচ্ছ বেরুলো না। শুধু মাথা নাড়িয়ে জবাবে বলল,

‘যাব না।’

জিতু উচ্ছ্বসিত হল। নুবাহর কপালে আলতো করে চুমু খেল। হঠাৎই ওয়্যারড্রোবের উপর রাখা তার মুঠোফোন কর্কশ ধ্বনি তুলল। হুট করে আসা কলই কিঞ্চিৎ বিরক্ত হল সে। না চাইতেও বিছানা ছেড়ে উঠল। মুঠোফোনের স্ক্রিনে আননোন নাম্বার দেখে ভড়কালো। কিন্তু নাম্বার’টা তার পরিচিত মনে হল। তড়িঘড়ি কল রিসিভ করল। সালাম দিতেই ওপাশের কথা শুনে বাকরুদ্ধ। লোকটা তার পরিচয় দিতেই সে চুপসে গেল। নুবাহর সামনে কথা বলতে ইস্ততঃবোধ করছিল বেশ। শেষে না পেরে সে বারান্দার দরজা খুলল। হিমেল হাওয়ায় তার দগ্ধ হৃদয় শীতল করতে চাইল। ফের বলে উঠল,

‘জ্বী, এবার বলুন।’

ওপাশ থেকে গড়গড় করে কথা বলে উঠল এসআই হারুন।

‘ভাই, আপনি নুহা নামে একটা ম্যাইয়ার খোঁজ নিতে কইছিলেন। তার পরিবারের খোঁজ পাইছি। তার দু’ভাই একজন পটুয়াখালী থাকে। অন্যজন ঢাকার সাভারে। নুহার কেইস’টা দেখলাম আজকে। একটা কাহিনী বুঝলাম না। আপনে কইলেন তার সাথে দেখা হই নাই। তারে চোখেও দেখেন নাই। তাইলে সে পোয়াতি হইলো কেমনে? ৬ সপ্তাহের পোয়াতি আছিল কিন্তু। আরও কিছু ঘাপলা আছে। মেয়রের পোলার সাথে সম্পর্ক আছিল। গোপনে বিয়েও হয়। কিন্তু জানাজানি হলে মেয়র এ বিয়ে মানে নাই। তাই বিয়ে হওয়ার দু’মাস পরেই দু’জনের ছাড়াছাড়ি হইয়া যায়। মেয়র নুহার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দেয়। বাপ-ভাই এরা অনেক দিন জেলে ছিল। নুহা নিজের আর তার পরিবারের শোক সইতে না পেরে শেষে নিজেই বলিদান দেয়। আবার বাপ জেল থেকে বের হওয়ার এক মাস পরেই হার্টঅ্যাটাক করে মা’রা যায়। মা মানসিকভাবে এখনও পাগল। মহিলা পটুয়াখালী ছোট ছেলের সাথে আছেন।’

এই বাক্যেগুলো জিতুর মস্তিষ্ক নিতে পারল না। কেমন অদ্ভুতুড়ে লাগল। এটা কি করে সম্ভব? তার গলা কাঁপছে। সবকিছু অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। তার নুহা এমন নয়। কম্পিত গলায় বলে উঠল,

‘আপনি এসব কি বলছেন? ভুল তথ্য দিচ্ছেন কেন? এটা হতেই পারে না। ও এমন নয়।’

এসআই হারুন বেশ দৃঢ়তার সাথে জবাব দিল। ‘বিশ্বাস না হলে আমি আপনারে কেইসের পুরো ডিটেইলস দেখামু। আপনি নিজে আইসা দেইখা যান।’

জিতু বাকরুদ্ধ। জবাব দিতে পারল না। দপ করেই বারান্দার শক্ত মেঝেতে লুটে পড়ল। মাথায় তীব্র যন্ত্রনা হচ্ছে। সেই বিদঘুটে যন্ত্রণা। যা সহ্য করার ক্ষমতা নেই। মুখে শুধু গোঙানির মতো শব্দ হচ্ছে। নুবাহ শব্দ পেয়ে ছুটে এল। বারান্দার মেঝেতে জিতুকে পড়ে থাকতে দেখে আৎকে উঠল। দ্রুতই জিতুর মাথা তুলল। দু’চোখ মুদিত, শুধু চোয়াল বেয়ে পানি গড়াচ্ছে। সে মুখে হাত রাখল। অস্থির চিত্তে বলে উঠল,

‘কি হয়েছে আপনার? এভাবে দপ করে পড়ে গেলেন কিভাবে?’

জিতুর মুখ থেকে অনবরত গোঙানির শব্দই বেরুলো। কথা বলার অবস্থায় নেই। নুবাহ অনেক কসরত করে তাকে ধরে উঠালো। তারপর বিছানায় এনে বসালো। চোখের পানি পুনরায় মুছে দিল। সে ফের জিজ্ঞেস করল,

‘কি হয়েছে? কেন এভাবে কাঁদছেন?’

মুখ নিঃসৃত কোন বাক্যে বেরুলো না জিতুর। আচমকাই বিছানায় শুয়ে পড়ল। এভাবে পেরুলো কিছু সময়। নুবাহ জিতুর কপাল টিপছে। যাতে মাথা ব্যথা কমে। আচমকাই জিতু নুবাহকে ঝাপ্টে ধরে তার বুকে মাথা রাখল। দু’চোখ থেকে নোনাপানির জল গড়িয়ে পড়ছে অবলীলায়। নুবাহ হাত দিয়ে বার বার মুছে দিল। তাও এই নোনাপানির প্রবাহ বন্ধ হওয়ার নামই নেই। সে ফের একবার আওড়ালো।

‘আপনি একজনকে ভালোবাসেন, তাই না!’

জিতুর ফিরতি জবাব এল না। কিন্তু গোঙানির শব্দ আরও বাড়লো। চোখের জল যেন বাধাহীন আরও উপচে পড়ছে। কিন্তু জিতু তাদের দূরত্ব কমালো। আরও দৃঢ় বাঁধনে জড়িয়ে নিল তাকে। নুবাহর দু’চোখ আচমকাই জলে ভরে উঠল। মন তার চিৎকার করে বলে উঠল, আপনি আমায় কেন ভালোবাসেননি ইমদাদ। আমার কথা আপনার একটুও কেন মনেই নেই। আপনার বোকাপাখিকে এভাবে ভুলে গেলেন। কিন্তু আমি তো আজও ভুলিনি। তিন’টা বছর ধরেই আপনার অপেক্ষায় কত বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি। আজ কত কাছে আপনি। চাইলেই ছুঁতে পারি। কিন্তু মনের দূরত্ব? আপনি আমার হয়েও হলেন না। এই কষ্ট আমাকে সারাজীবন পোড়াবে ইমদাদ। কিভাবে সইবো।’

রাত ক্রমশই বাড়ল। কত সময় পেরিয়েছে তারা দু’জনেই অজ্ঞাত। জিতু স্থির হল। মাথা ব্যথা নেই তার, তবে দু’চোখ জ্বালা করছে ভীষণ। বক্ষ বেদনায় জর্জরিত। কিন্তু সে তাদের মধ্যেকার সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচাতে চায়। নুবাহর দিকে একপলক তাকালো। মেয়েটা কাঁদছে তাকে ঝাপ্টে ধরে। হেঁচকি উঠে গেছে। কত সৌভাগ্যবান সে তার বউ তাকে ভালোবাসে। সেও বউয়ের ভালোবাসা লুপে নিতে চায়। হোক না অযাচিত মুহুর্ত, কিন্তু নতুনভাবে শুরু করতে দোষ কোথায়।

চলবে,,,

ইমদাদের অতীত আসবে শীঘ্রই। আর দু’য়েক পর্ব। কিন্তু আপনারা বোরিং হচ্ছেন। সত্যিই দুঃখিত! খুব দ্রুতই পরিচয় প্রকাশ পাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here