দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা) #লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৪৮ 🍂

0
685

#দেওয়ানা(আমার ভালোবাসা)
#লিখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৪৮
🍂
স্টেজ সামনে সারিতে সোফায় বসে আছি আমি, সাথে দুপাশে বসে আছে দাদী আর আম্মু,,, দাদী আর আম্মু একে অপরকে সাথে গল্পে মেতে থাকলেও আমি আপাতত তাদের মাঝ খানটাই বসে আছি চুপচাপ,,, আর গোল গোল চোখে সবটা পযবেক্ষন করছি, নিহা আপু ভারী হলুদ লেহেঙ্গা পড়ে স্টেজে বসে আছে,,, বাকি সব মেয়েরা সাদা আর হলুদ কমিনিউকেশনে লেহেঙ্গা পরেছে,,, ফিহাও তাই পরেছে, তবে ফিহা বারবার গেটের দিকে তাকাচ্ছে হয়তো কারো আসার অপেক্ষা করছে,, আমি এই বিষয়ে নিজের মনো স্থির না করে, সবাটা দেখছি,,, তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো সবাই লেহেঙ্গা পরলেও আমাকে শাড়ি পরিয়েছেন দাদী, তাও আবার বাঙালী স্টাইল এ,,,,

.
তবে আমার সাথে অন্য একজনও ভিন্ন পরেছে,, সে হলো ডলি আপু চিকন ফিতা ব্লাউজ দিয়ে নীল এর মধ্যে লেহেঙ্গা পরেছে,,, পেট পিঠ সবকিছু দৃশ্যমান হলেও অসম্ভব সুন্দর লাগছে আপুকে, যাকে বলে নজর কারা সুন্দর,, বিয়ে বাড়ির সব ছেলেরা শুধু আপুকেই দেখছেন,,, নীল কালার টায় ডলি আপুকে আরও রাঙ্গিয়ে তুলেছে,,,,

.
তবে একটা বিষয় খেয়াল করেছি আমি, যখন আমি ডলি আপু সামনে পরি তখন আপু আমাকে মাথা থেকে নিচ পযন্ত চোখ বলিয়ে দেখে কিছু না বলে রেগে চলে যায়,, আপু এমন করাতে বোকা বনে যায় আমি,, পরে যতবার আমার ডলি আপুর সাথে দেখা হয় আমি হাসিমুখে কথা বললেও আপু আমার দিকে রেগে কথা বলেছিল,, আর সেই রাগের রেশ এখন পযন্ত বহাল আছে আপুর মাঝে,,,

.
ছেলেরা সবাই আজ হলুদ পাঞ্জাবির সাথে সাদা ধুতি সালোয়ার পড়েছে,,, আয়ন, দাদাজান, ফুপা, আমার আব্বু, ও পরেছে সবার সাথে,,, অসম্ভব সুন্দর লাগছে সবাইকে, আয়ন ভাইয়াকে একটু বেশিই সুন্দর লাগছে আজ, হয়তো আমি কোনো দিন ভাইয়াকে পাঞ্জাবিতে দেখেনি তাই আমরা চোখে এমন সুন্দর লাগছে,,,

অায়ন ভাইয়া ও অন্য সব দিনের চেয়ে আজ আমার কাছে আসচ্ছে একটু বেশি,, কিছুক্ষণ পরপর আমার কাছে এসে বারবার আমি ঠিক আছি কিনা জিজ্ঞাসা করছে,,, আর আমাকে প্রথমে শাড়িতে দেখে কিছুক্ষন অদ্ভুত নজরে তাকিয়ে ছিল, উনার এমন করে তাকানোতে আমি বেশ ইতস্তত বোধ করছিলাম,,, আমাকে নাকি অসম্ভব সুন্দর লাগছে, আমার থেকে চোখ ফেরানো নাকি দায় হয়ে ওঠেছে তার,,, আমি আয়ন ভাইয়া এসব কথা মানে বুঝতে না পারায় শুধু বোকার মতো তাকিয়ে ছিলাম,,,,

.
সবাইকে পাঞ্জাবি পড়তে দেখে আমার চোখ দুটো শুধু ওনাকেই খুঁজে চলছে, সেই কখন থেকে এক পলক দেখার জন্য,,, এখানে আসার পর থেকে উনাকে একবারের জন্যও দেখিনি আমি,,, কোথায় আছে তাও জানি না,,, আচ্ছা আজকে কি উনি পাঞ্জাবী পরবে হলুদে,,, জানি পরবে না তারপরও কেন যেন আমার বড্ড ইচ্ছে করছে উনাকে একপলক দেখার জন্য পাঞ্জাবিতে,,, আচ্ছা কোথায় হবে উনি এখন,,,

.
কথাগুলো একমনে ভাবছি আর চারপাশের চোখ বুলিয়ে ওনাকে খুঁজে চলছে,,, তখনি পাশ থেকে একজন সার্ভেন্ড এগিয়ে এসে দাদীকে বলে যেতে,,, দাদী আমাকে একা রেখে যেতে নারাজ, কিন্তুু আম্মু আমার পাশে থাকায় আমাকে আম্মু কাছে রেখে, দাদী আমার মাথায় আদুরে একহাত বলিয়ে চলে যায় গেস্টদের অ্যাটেন্ড করতে,,,,,,

.
আমি চুপচাপ আম্মু কাছে বসে ওনাকে খুঁজে চলছি চারপাশে একমনে,,, তখনই কেউ আস্তে করে আমার পাশে বসে পরে,, আমি আমার চিন্তায় এতটাই বিভোর হয়ে আছি যে পাশে কে বসেছে তা দেখার প্রয়োজনও মনে করেনি,,,, আমি চারপাশ উনাকে খুঁজতে ব্যস্ত আর আমার পাশে ব্যক্তিটি আমায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখায় ব্যস্ত,,,

.
আমার পাশে কে বসে আছে তা না দেখেই চারপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে উনাকে খুঁজতে খুঁজতে কৌতূহলী হয়ে বলে উঠে,,,

.

—” ফিহা তোর ভাইকে দেখেছিস কোথাও,, আয়ন ভাইয়া না কিন্তুু,, মানে উনি আরকি,, তোর দ্বিতীয় ভাই, আমি কার কথা বলছি বুঝতে পারছিস তো তুই,,, (চারপাশে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে)

—” হুমমম

.
—” ফিহা তোর কন্ঠ কেমন হয়ে গেছে, কেমন ছেলে ছেলে টাইপ, যায় হোক এখন বল না তোর দ্বিতীয় ভাই কই,, আচ্ছা আজ কি উনি পাঞ্জাবি পরেছে,,,,

.
—” বউ কি আমাকে এতো মনোযোগ দিয়ে খুঁজছে হুমম,,, আর পাঞ্জাবি পরলে কি ম্যাডাম বেশি খুশি হবে,,,

.
চিরচেনা কণ্ঠ কানে আসতেই ধ্যান ভাঙে আমার, আমি চমকে উঠে সাথে সাথে পাশ ফিরে তাকাতেই চোখে পড়লো উনাকে মানে আমার গুনধর স্বামীকে, উনি চুপচাপ আমার পাশে বসে আমার দিকে ফিরে একহাত সোফায় পিছনের স্লাইডে রেখে আমাকে মনোযোগ দিয়ে দেখছেন,,, আর আমি উনাকে আমার পাশে এভাবে বসে থাকতে দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় মূহুর্তেই,,,,কি করবো কিছু ভেবে না পেয়ে পাশ ফিরে তাকায় আম্মুর জন্য,, আমাকে পাশে থাকতে দেখে উনি খানিকটা আরও আমার দিকে চেপে বসে আস্তে করে বলে উঠেন,,,

.

—” পাশে তাকিয়ে লাভ নেই ম্যাডাম শাশুড়ি আমার অনেক আগেই চলে গেছে, তার মেয়েকে তার গুনধর জামাইয়ের কাছে রেখে, আমাদের প্রাইভেসি দেয়ার জন্য,,,

.
আমি আবারও উনার দিকে তাকায়, উনার কোনো কথায় যেন আমার মস্তিষ্কের ঢুকছে না, আমি শুধু হাবার মতো উনার দিকে তাকিয়ে আছি,,দৃষ্টি আমার উনার দু চোখে,,, অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু যদি হঠাৎ করেই আপনার সামনে চলে আসে তাহলে হয়তো তাকে দেখে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠবেন নয়তো একদম চুপ মেরে থাকবে কিছুক্ষন,,, আমার ক্ষেত্রে ও তাই হচ্ছে,, উনার হঠাৎ করে এতো দিন পরে আমার পাশে দেখে আমি কোনো রকম রিয়েক্ট করতে পারছি না, শুধু উনাকে দেখতেই ইচ্ছা করছে আমার,,,,

.
উনি আমাকে এভাবে তাকাতেই দেখে, উনি আরও খানিকটা চেপে একপা সোফা ওপর ভাজ করে রেখে আমার শরীর সাথে ঘেঁষে বসে,,, পরে এক হাত বাড়িয়ে আলতো হাতে আমার গাল আঁকড়ে ধরে স্পর্শ করে এক আঙুলে আমার গালে স্লাইড করতে থাকে,,, হঠাৎ উনি আমার গাল স্পর্শ করতেই আমারও মনে মধ্যে এক অদ্ভুত ইচ্ছা জাগে,,, তাই নিজের ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখতে না পেরে দৃষ্টি উনাতে স্থির রেখে নিজের হাত বাড়িয়ে উনার গাল ছুঁয়ে দিলাম আলতু হাতে,,

কেন যেন আমার বড্ড ইচ্ছা করছে উনাকে ছুঁয়ে দেখতে,,, আমি উনার গাল স্পর্শ করে সারা মুখে আলতো হাতে ছুঁয়ে দিচ্ছি আস্তে আস্তে, উনি আমার দিকে অদ্ভুত নজরে তাকিয়ে থেকে আমার সেই স্পর্শে সাই জানাচ্ছে,,, চোখে মুখে তা এক তৃপ্তির ছেয়ে গেছে আমার এমন ছুঁয়াই,, আমার দৃষ্টি উনার চোখে মুখে বুলিয়ে উনাকে ছুয়ে দিচ্ছে আপন মনে, আমার হাত উনার ঠোঁট স্পর্শ করতেই উনি সাথে সাথে আমার হাতে আস্তে করে চুমু খায়,,

.
উনার এমন হঠাৎ চুমু খাওয়ায় স্তব্ধ হয়ে যায় আমি,,, ভূত দেখা মতো চমকে উঠে, দ্রততা সঙ্গে নিজের হাত গুটিয়ে নেই,,, উনি এই প্রথম আমাকে চুমু খায়,, আমার কাছে বিষয়টি কেমন জানি লাগছে,,,,, এক অদ্ভুত কিছু আমাকে গ্রাস করেছে মুহূর্তেই, তাই নিজের মাথাটা নিচু করে কোলের ওপর দুহাত রেখে কচলাচ্ছি,,,, কারণ আমার নিজের কাছে কেমন জানি অস্থিরতা কাজ করছে, উনার দিকে কেন জানি তাকাতে ইচ্ছা করছে না, হয়তো আমি লজ্জা পাচ্ছি, আচ্ছা এটাকে কি লজ্জা বলে যা আমি এ মূহুর্তে উনার জন্য পাচ্ছি,,, নিজের এমন চিন্তায় নিজেই আবাক আমি,, আমি কখনো কোনো বিষয়ে লজ্জা নামক বস্তুটি পাই নি, তাহলে আজ কি হল আমার,,

.
উনি আমাকে মাথা নীচু করে দু হাত কচলাতে দেখে , আর আমাকে এই ভাবে নার্ভাস হতে দেখে উনার দুই হাত বাড়িয়ে আমার দুগাল আঁকড়ে ধরে,,, উনার দিকে ফেরায় আমাকে,,, উনার চোখে মুখে ছিল এক অদ্ভুত নেশা, উনার এমন নেশাক্ত চোখ আমি আগে কখনোই দেখিনি এই প্রথম,, আমি উনার এমন নেশাক্ত চোখে সাথে পূর্ব পরিচিত নয় তাই সাথে সাথে নিজের চোখ নিচের নামিয়ে নেয়,, আমি চোখ নিচে নামিয়ে নেওয়াতে উনি আবারও আমার গাল হালকা নাড়িয়ে উনার চোখে দিকে তাকাতে বাধ্য করে,,, আমি তাকাতেই উনি আমার দিকে অগ্রসর হতে লাগে আস্তে আস্তে ধ্যান ধরে উনার দৃষ্টি আমার ঠোঁটের ওপর,,, আমি উনাকে নিজের দিকে আগ্রসর হতে দেখে বোকার মতো তাকিয়ে আছি উনার দিকে,,,

.
তখনি পাশ থেকে গানের বিকট শব্দ কানে আসতেই দুজনেই চমকে উঠি, উনার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উনি বিরক্তি নিয়ে পাশে থাকাতেই মূহুর্তের চুপ হয়ে যায় উনি, পরে দ্রততার সঙ্গে আমার গাল ছেড়ে সোজা হয়ে বসে পরে সোফায়,,, কারণ আমরা এতক্ষণ যাবত স্টেজ সামনের সোফায় বসে এসব করছিলাম,,,

উনি নিজের এমন কাজ ইতস্তত বোধ করে আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায়,,, কারণ আসেপাশে অনেকই হা হয়ে চোখ বড় বড় করে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল,,, এই মূহুর্তে এখানে এমন কিছু করবেন উনি হয়তো কেউ ভাবেনি,, আর রিদ খান সম্পর্কে সবাই অবগত উনি কখনো কোনো মেয়েকে নিজের পাশ ঘেঁষতেও দেয় না আর সেখানে উনি আমার সাথে এখানে এভাবে বসে কি করছিল ভাবতেই সবাই শক্টে আছে তা সবার হা হয়ে থাকা ফেসটা দেখেই বুঝতে পারছি আমি,,,, কেউ তো আর জানে না আমি উনার বউ, আর জানবা কি করে উনি আমাকে বউ বলে মানেই তো না,,,

.
উনি সবার হাব ভাব বুঝতে পেরে আমাকে এক পলক দেখে কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে পরে, দুকদম এগিয়ে আবারও পিছন ঘুরে আমার দিকে তাকায়, পরে কিছু একটা ভেবে হুট করেই আমাকে কোলে তুলে নেয়,, স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ভঙ্গি রেখে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে লাগে,,, আর আমি উনার এমন কাজে আবাক হয়ে তাকিয়ে আছি,,, সাথে বাকি সবাইও,,,

.
আমি ঘাপটি মেরে উনা কোলে বসে আছি আর উনি আমাকে নিয়ে বাড়ির ভিতর উনার রুমে প্রবেশ করেন,,, আমাকে উনার রুমে নিয়ে ঢুকতেই ভয়ে হাত ছুটাতে ছুটাতে উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠি,,,

.
—” আমি আপনার রুমে যাব না প্লিজ আমাকে নামান,,, আমি আর দোষ করবো না সত্যি বলছি,,, আমাকে আপনা রুমে নিয়ে মারবে না প্লিজ প্লিজ প্লিজ,,,,

.
আমার কথা গুলো হয়তো উনার কান পযন্ত পৌঁছাতে পারেনি তাই উনি আমাকে নিয়ে উনার রুমে ঢুকে পরে,,, আমাকে রেখে এগিয়ে গিয়ে রুমে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমার দিকে ফিরে তাকিয়ে থেকে আস্তে আস্তে করে আমার দিকে এগোতে থাকে আর আমি ভয়ে একপা একপা করে পিছিয়ে যাচ্ছি,,, আমি ঠিক করে কিছু দেখতে পারচ্ছি না কারণ উনার রুমটি অন্ধকার হয়ে আছে তবে বাহিরে কর্ড়া লাইটিং হওয়াই এখান পযন্ত আসছে, তাই রুমটিতে হালকা হালকা আলো ছড়িয়ে পরেছে,,, উনি আমাকে ভয়ে পিছিয়ে যেতে দেখে স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে,,,

.
—” দোষ তো করেছো তুমি, তবে এভারেটা অনেকটা গুরুতর, আমাকে পুড়িয়ে গুলিয়েছো তুমি তাই ঔষধ তো তোমাকে লাগাতে হবে,,, তোমাকে নিজের সাথে পিষে ফেলতে এনেছি এখানে,,, তোমাতে আমি আরও মন্ত হতে চাই,,, নিজেকে তোমার মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই,, সেটা তুমি চাও বা না চাও আমি করবোই,,,,

.
বলেই উনি আমার একদমই কাছে চলে আসে,,, পরে থেমে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আবারও একপা একপা করে আমার দিকে এগিয়ে আসে,,, আর আমি একপা একপা করে পিছাতে লাগলাম উনার দিকে তাকিয়ে থেকে,,,, পেছাতে পেছাতে আমি গিয়ে ঠেকলাম দেয়ালের সাথে,, পরে দেয়ালের সাথে বারি খেয়ে পাশ ফিরে দেয়ালটাকে দেখে আবারও উনার দিকে তাকায় দুজনেই দৃষ্টি দুজনের মধ্যে স্থির,,,, উনার একহাত আমার পাশে দেয়ালে রেখে ঝুঁকে আসে আমার দিকে, আর অন্যহাতে আমার গাল আলতো হাতে স্পর্শ করে, পরে আমার গালে রাখা হাতটা দিয়ে আমার গাল, গলায় বিচরণ করতে থাকে আস্তে আস্তে,,,

উনার এমন ছুঁয়াই মুহূর্তে আমি কেঁপে ওঠে দুহাত ছড়িয়ে পিছনের দেয়ালটাকে আঁকড়ে ধরতে যাওয়ার সাথে সাথে আমার হাত লেগে পাশে থাকে টপটা মাটিতে লুটিয়ে পরে ভেঙে যায়,,,, আর উনার ছুঁয়াই আমাকে কাঁপতে দেখে সাথে সাথে উনি উনার দু’হাতে আমার দুগাল আঁকড়ে ধরে টেনে নিজের ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট চেপে ধরে,,,,,, আমি হিতাহিত জ্ঞান হারায়ে নিজের দুপা উঁচু করে দু’হাতে উনার শার্টের কলার চেপে ধরি শক্ত করে,,, আর আবেশেই নিজের দুচোখ বন্ধ হয়ে আসে,,,,,,,

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here