দেওয়ান(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৮০

0
910

#দেওয়ান(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৮০

.
🍂
কথা বলেই রিদ আবারও আয়নের কথা মনোযোগী হয়,, আয়নকে হঠাৎ করে চোখে সামনে দেখতে পেয়ে চমকে উঠে ইতস্তত বোধ করতে থাকে সাব্বির,, নিজের চুরি ধরা পরার ভয়ে দ্রুত কথা ঘুরিয়ে বলে উঠে…….

.

—” আসলে মায়াকে আমার সাথে যেতে বলেছে পেন্সিপাল স্যার,, তাই ডাকতে এসেছিলাম…..

.

—” কিন্তু কেন……. ভ্রুঁ কুঁচকে

.
আয়নকে পর পর প্রশ্ন করতে দেখে সাব্বির খানিকটা থেমে বাঁকা দৃষ্টিতে আয়নে দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…….

.
—” সেটা পেন্সিপাল স্যার বলতে পারবে ভালো কেন ডেকেছে রিতুকে তবে তোমার টাইমিংটা খুব ভালো বলতে হবে আয়ন…..

.
সাব্বিরকে নিজের নাম ধরে ডাকতে দেখে সাথে সাথে চমকে উঠে আয়ন,,, সাব্বির ওপর সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে কপাল কুচকে বলে উঠে……

.

—” তুমি আমার নাম জানলে কিভাবে কে তুমি…..

.
আয়নের এমন কথায় বাঁকা হাসে সাব্বির পরে আয়নের দিকে তাকিয়ে থেকে রহস্য নিয়ে বলে উঠে……

.
—” জানব না বস, সবিই জানা আমার প্রতিটি ব্যাক্তি সম্পর্কে,,,,

.
সাব্বির এমন কথায় খানিকটা রেগে যায় আয়ন, আয়নকে রাগতে দেখে মূহুর্তেই সাব্বির কথা ঘুরিয়ে বলে উঠে……

.
—” কুল কুল বস এতটা হাইপার হওয়ার কি আছে,, শুধু যে আমি তোমাকে চিনি এটা কিন্তু মোটেও নয় আমার সাথে সাথে এই ভার্সিটির প্রতিটা সদস্যই চিনে তোমাদের মানে খান বাড়ির সদস্যদের কারণ এই ভার্সিটিটা তো খান পরিবারের সদস্যই তৈরি করা তাই ঐ সুবাদে আমি বা বাকিরা সবাই তোমাদের চিনে থাকে ব্যাস…….

.
সাব্বির এমন কথায় যেন মন ছুইতে পারিনি কোনো ভাবেই কেমন একটা সন্দেহ পৌণা রয়েই গেল সাব্বির ওপর,, আয়নের কেন জানি মনে হচ্ছে সাব্বির যেটা বলছে সেটা সত্য নয় এর বাহিরে আরও অন্য কিছু সত্য রয়েছে কিন্তু সেটা কি তা এখন দেখার সময় নেই আয়নের কারণ আয়ন এখানে এসেছে মায়ার সাথে আলাদা কথা বলতে নিজের বিষয়ে দিন দিন মায়ার আচরণে প্রতি আয়নের বেশ সন্দেহ হয় আর সেই সন্দেহটাই ক্লিয়ার করার জন্য মূলত ভার্সিটিতে আসা মায়ার সাথে দেখা করতে, কারণ কাল রাতেও রিদ মায়াকে কোলে করে ড্রাইনিং এর নিয়ে এসেছিল কিন্তু মায়া এতে কোনো রকম রিয়েক্ট করেনি উল্টো হাসি মুখেই ছিল তাই আয়ন এই মূহুর্তে সাব্বিরকে নিয়ে ভাবার সময় নেই কথা গুলো ভেবে আয়ন সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে……..

.
—” যাই হোক কেন জানি তোমার কথায় সত্যতা খুঁজে পাচ্ছি না আমি তবুও তোমাকে নিয়ে এই মূহুর্তে কিছু করতে চাই না,, তুমি তোমার রাস্তা যেতে পারো আর মায়ার যদি কারও সাথে দেখা করা লাগে তো সেটা আমি দেখে নিব,, এখন তুমি আসতে পারো……

.

আয়নের এমন কথায় আবারও বাকা হাসে সাব্বির পরে সেও এক পলক মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে আয়ন কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……..

.

—” কষ্ট পেলাম খুব তবে কোনো একদিন আপনার থেকেও এই সময়টা নিয়ে নিব আমি,,আমি পাওনা রয়ে গেলাম তাই একদিন সবটা পুষে নিব সবার থেকে আসি আমি এবার বস,,,,,

.
দুইটা আঙুল দিয়ে বাঁকা করে সাব্বির আয়ন কে সালাম দিয়ে আস্তে করে ঘুরে চলে যায় নিজের গন্তব্যে দিকে যতটা রহস্য নিয়ে এসেছিল ততটাই রহস্য নিয়ে চলেও যায় সাব্বির,, মায়া সাব্বিরের আসা যাওয়াটা নিয়ে কিছু বুঝতে পারিনি আর না বুঝতে পেরেছে সাব্বিরের বলা প্রতিটি কথা,, আয়নও সাব্বিরের প্রত্যেকটি কথা মানে বুঝতে না পারলেও রিদ সবটাই বুঝতে পারছে এবং সাব্বিরের না বলা কথা গুলো সাথে সাথে করতে না পারা মায়ার সাথে কাজটাও বুঝতে পারছে রিদ,, কারণ এতক্ষণ রিদ সম্পূর্ণ কথা গুলো লাইনে থেকেই নির্রভ স্রোতার মতো শুনে গেছে দাঁতে দাঁত চেপে,,,

.

কারণ আজ যদি আয়ন ঠিক সময় না আসতো তাহলে অনেক কিছু হয়ে যেতো আর সবচেয়ে বড় কথা রিদ মায়ার প্রটেক্টের জন্য বডিগার্ড রেখেছে যারা মায়াকে চব্বিশ ঘণ্টাই প্রটেক্ট করবে তাহলে আজ মায়াকে রেখে সবকয়টা হারামীর বাচ্চারা কই গেলো, আজ কাউকে ছাড় দিবে না রিদ না বউকে আর না মায়ার বডিগার্ড গুলোকে,,, মায়া এজন্য শাস্তির দন্ড ভোগী হবে কারণ মায়া পর পুরুষের সাথে কোথাও কেন যেতে চেয়েছিল ওহ কি বুঝে না ওর সবাই আপন নয়, কিছু মানুষ শত্রুও আজে ওর আর এজন্য তো সব সময় রিদ তার বউকে নজর বন্দী করে রাখতো সব জায়গায়তেই,, কথা গুলো ভাবতে ভাবতে রেগেমেগে ফোল স্পিডে মায়ার ভার্সিটির উদ্দেশ্য গাড়ী চালাচ্ছে রিদ,,,,,,,

.

সাব্বির যাওয়ার সাথে সাথে আয়ন মায়ার দিকে তাকায় পরে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকিয়ে থাকার পর বলে উঠে……

.
—” কে ছেলেটা…..

.
আয়নের এমন কথায় মায়া দ্রুত বলে উঠে…….

.
—” এই ভার্সিটির সিনিয়র ভাইয়া উনি…….

.
মায়াকে ঝটপট উত্তর দিতে দেখে আয়ন খানিকটা থেমে আবারও মায়াকে উদ্দেশ্য করে বললো……..

.
—” তো তোমাকে কোথায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল…..

.
আয়নের এমন কথায় মায়া ঠোঁট উলটিয়ে বলে উঠে…….

.
—” আমি জানি না তো…..

.
—” তাহলে যেতে চাই ছি………

.
আয়নের বাকি কথা গুলো শেষ করার আগেই একটা কার্র হঠাৎ করেই ফোল স্পিডের এসে মায়ার সামনে থামে, মায়ার এতটা কাছে যে মনে হচ্ছে গাড়িটি মায়ার ওপরের উঠে যেতো পা দুটো ছুঁই ছুঁই গাড়ি চাকার সাথে,,, আকস্মিক ঘটনায় তাল সামলাতে না পেরে মায়া ভয় পেয়ে সাথে সাথে নিজের দুই কান চেপে ধরে চোখ দুটো বন্ধ করে নেই,,,,

.
আয়নও হঠাৎ এমন কিছু জন্য প্রস্তুত ছিল না, কিন্তু গাড়িটিকে আসতে দেখে আয়ন দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে এসে মায়ার সামনে একটা হাতে রেখে ওকে আঁকলিয়ে নেই প্রটেক্ট করার জন্য,,, এমনত অবস্থায় সাথে সাথে রিদ প্রচন্ড রেগে গাড়ি থেকে নেমে হাতে একটা হকিস্টিক নিয়ে মায়ার দিকে তেড়ে যায় আর মায়াও রিদকে নিজের দিকে তেড়ে আসতে দেখে খুশি হয়ে যায় পরে ঝটপট করে আয়নকে ছেড়ে দিয়ে রিদের দিকে তাকায়,,,

.
রিদ হকিস্টিক হাতে নিয়ে মায়ার দিকে তেড়ে আসতেই আয়ন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রিদের সামনে,, কোথায় থেকে কি হয়েছে বিষয়টা কিছু বুঝতে পারছে আয়ন তবে রিদের এমন হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণটা বুঝতে পারছে না আয়ন,, হঠাৎ করে রিদকে মায়ার ভার্সিটির সামনে দেখে ভিষণ ভাবে চমকেছে আয়ন কিন্তু এখন নিজের সামনে মায়াকে অকারণে আঘাত করবে সেটাও মেনে নিতে পারছে না আয়ন তাই রিদের সামনে চোখ মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে পরে,,,,

.
আয়ন কে মায়ার সামনে দাঁড়াতে দেখেও কোনো রকম প্রতিক্রয়া হলো না রিদের উল্টো আয়নকে পার হয়ে মায়ার দিকে তেড়ে যেতেই আয়ন রিদের বুক বরাবর হাত দিয়ে ধাক্কা মারে,,, হঠাৎ করে ধাক্কা দেওয়ায় তাল সামলিয়ে ওঠেতে পারিনি রিদ সাথে সাথে দুই কদম পিছিয়ে যায় আয়ন থেকে,,, আয়ন রেগে দাঁতে দাঁত চেপে রিদের দিকে তাকিয়ে আছে আর যাই হোক মায়াকে আর অত্যাচার হতে দিবে না রিদের কাছে তাই সে এর জন্য যাহ করা প্রয়োজন সেই সবটাই করবে আয়ন,,, এই বিষয়ে মনো স্থির করে দুই হাত মুষ্টি বদ্ধ করে তাকিয়ে থাকে,,,,,

.

রিদ আয়নের এমন আচরণে মোটও চমকাই নি উল্টো আয়নের প্রতি রিদ কৃতজ্ঞ আজ আয়ন রিদের অনেক বড় উপকার করেছে এখানে ঠিক টাইমে এসে,, তাই আপাতত রিদের আয়নের প্রতি কোনো ক্ষুব নেই, রিদ আয়নকে এক পলক দেখে নিয়ে কোনো কিছু না বলে আবারও মায়ার দিকে তেড়ে যায়,,, এতে করে আবারও আয়ন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রিদের কাজে পরে আয়ন রেগে রিদের শার্টের কলার চেপে ধরতেই মায়া পিছনে থেকে ভয়ে দ্রুতত দৌড়ে এসে রিদকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে……..

.
মায়ার এমন কাজে থমকে যায় আয়ন পরে ধীরে ধীরে নিজের হাতের বাঁধন হালকা হয়ে আসে রিদের শার্টের কলার থেকে,, পরে মায়ার দিকে অবিশ্বাস নজরে তাকিয়ে থাকে নিজের মধ্যে ভয় নিয়ে আর এই ভয়টা হয়তো মায়াকে হারানো জন্য পাচ্ছে আয়ন মায়ার আচরণে,,, তাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়ার দিকে এরপরে কি করতে চাই মায়া সেটা দেখতে চাই আয়ন তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,,

.
মায়ার হঠাৎ জরিয়ে ধরায় রিদের রাগটা ধীরে ধীরে কমে এসে একটা পযায় শান্ত হয়ে যায় পরে শান্ত দৃষ্টিতে আয়নকে এক পলক দেখে নিয়ে রিদও মায়াকে দুই হাতে শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিজের সাথে আরও শান্ত করার জন্য কারণ রিদ অনেকটাই ভয় পেয়েছিল মায়াকে নিয়ে আজ যদি হারিয়ে ফেলতে মায়াকে তাহলে সেও মরে যেতো মায়াকে ছাড়া বাঁচাটা তার জন্য দোষকর হয়ে পরেছে,,, তাই বউকে ঠিক রাখা তার উর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে রিদ কথা গুলো ভেবেই রিদ শান্ত হয়ে যায়,, রিদকে শান্ত হতে দেখে মায়া রিদের বুকে নিজের মাথা রাখা অবস্থায় আস্তে করে আদুরে সুরের বলে উঠে…………

.
—” আমি আর এমন করবো না প্রমিস…….

.
—-” তুমি কি করেছো সেটা তুমি কি জানো……

.
—” নাতো জানি না, তবে আপনি তো আমাকে অকারণে আঘাত করবেন না আমি জানি,,,,,

.
মায়ার এমন কথায় রিদ মায়াকে নিজের বুকের থেকে তুলে সামনে দাঁড়া করিয়ে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকিয়ে থেকে বললো…….

.
—” কে বলেছে আমি তোমাকে অকারণে আঘাত করি না,, আমি তোমাকে সবসময় অকারণেই আঘাত করে থাকি আর এখনো তাই করতাম দেখনি তুমি…..

.

রিদের এমন কথায় মায়া কনফিডেন্সের সাথে বলে উঠে…….

.
—” মোটেও নয় আমি সব বুঝি আপনিই তো বলেন যে আপনি কখনো কারণ ছাড়া কিছু করেন না, আর আমাকে তো করতেই পারবেন না কিছু,, আপনি শুধু আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এই লাঠিটা নিয়ে এসেছেন তাই না…..

.
—” মোটেও নয় আর…..

.
মায়ার এমন কথায় আয়ন আহত সুরে অবিশ্বাস গলায় বললো…….

.
—” এতটা বুঝ তুমি রিদকে…..

.
মায়া সুমিত জানিয়ে বলে উঠে…….

.
—” হুমমম বুঝি তো……

.
মায়ার উত্তর শুনে মূহুর্তে আয়ন স্তব্ধ হয়ে যায়,, নিজের চোখের সামনে সবকিছু যেন অন্ধকার অন্ধকার লাগছে সাথে সবকিছু যেন গুলিয়ে ফেলেছে কি থেকে কি বলবে মায়াকে সেটাও বুঝতে পারছে না, তবুও মায়ার কাছ থেকে সবটা জানার জন্য আবারও বলে উঠে…..

.

—” কি করে আর তোমার কেন মনে হচ্ছে যে আজ রিদ তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য হকিস্টিকটি নিয়ে এসেছে আঘাত করতে নয়…..

.
আয়নের এমন কথায় মায়া আবারও কনফিডেন্সে সাথে বললো………

.

—” কি করে আঘাত করবে উনি(রিদ) আমাকে, তুমি দেখনি তোমার ভাই লাঠিটা নিয়ে আসার সময় উনার হাতটা কাঁপছিল প্রচন্ড ভাবে আর প্রিয় মানুষের ওপরের রাগ অভিমান দেখানো যায় কিন্তু আঘাত করা যায় না,, তোমার ভাইও করতো না শুধু আমাকে ভয় দেখাতো নিজের ভিতরে ভয়টা কাটানোর জন্য যা উনার চোখে ছিল আমাকে নিয়ে সেই ভয়টা কাটাতো আমাকে ভয় দেখিয়ে,,,

.
মায়ার কথা গুলো শুনে রিদ চমকে উঠে মায়ার দিকে তাকিয়ে থাকে অবিশ্বাস্য নজরে কারণ আজ মায়াকে বড় বড় আর বউ বউ লাগছে রিদের কাছে,, রিদের মনে হচ্ছে মায়া রিদকে বুঝতে শিখে গেছে যার জন্য রিদের না বলা কথা গুলোও আজ মায়ার চোখে ধরা পরে যায় ভালো করেই,,, আর আয়ন আজ শুধু মায়ার কর্মকাজে বারবার ধাক্কার পর ধাক্কা খাচ্ছে,, কি বলবে বা কি করা উচিত কিছু বুঝতে পারছে না তাই আটকে আসা গলায় ঠোঁট কামড়িয়ে নিজের কান্নাটাকে চেপে ধরে থেমে থেমে আস্তে করে বললো………

.

—” তুমি সবকিছু বুঝতেও শিখে গেছো মায়ুপাখি আর সেই জন্য এখন চোখে ভাষাও পরতে শিক্ষে গেছো ভালো করেই আর সেটা কি করে, কবে হলে তুমি এতটা বড়…..

.

আয়নের এমন কথায় মায়া নিজেকে সংযত করে ভ্রুঁ কুচকে বলে উঠে…….

.
—” দাদীকে বলবা নাতো…….

.
আয়ন নিজের মাথাটা নাড়িয়ে সুমতি জানা যে বলবে না,, আয়নের সুমতি পেয়ে মায়া হালকা লাজুক হেসে মিষ্টি সুরে নিচের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো……..

.

—” আমি তোমার ভাইকে ভালোবাসি…….

.

.

.

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here