#দেওয়ানা( আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৯০
.
🍂
রিদ সবটা নিজের চোখের সামনে হতে দেখেও কিছু করতে পারিনি থামাতে পারেনি কোনো কিছু,, তাই রিদ নিজেও সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে বসে পরে হাঁটু গেড়ে মায়ার সামনে…………….
.
এমন স্বপ্নের সাথে সাথে ধুর ফুরিয়ে উঠে বসে রিদ,, কান্তিতে হঠাৎ করেই চোখ লেগে যাওয়ার জন্য সোফায় ঘুমিয়ে পরে, কিন্তু এমন বাজে স্বপ্নের দেখার সাথে সাথে উত্তেজিত সাথে বসে পরে স্তব্ধ হয়ে,, কি হয়েছে বুঝার জন্য রিদ কিছুক্ষণ মন্ত হয়ে বসে থাকে জায়গায়,,, হঠাৎ করে মায়াকে নিয়ে এমন স্বপ্ন কেন দেখলো এটা কি এমনই এমনই বাজে একটা স্বপ্ন ছিল নাকি এটা কোনো কিছু ইশারা করছে রিদ যাহ রিদ বুঝতে পারছে না,,, এটা তো সত্যি রিদ কাজ কাজ করে করে দুই দিন যাবত মায়ার কোনো খোঁজ খবর রাখছে না মায়াকে নিজের থেকে দূরে দূরে রাখছে কাজের জন্য,, আগে সবসময় কাজের চাপেও দূরে থেকেও মায়াকে আঁকড়ে ধরে রাখতো চোখের আড়াল করতো না কিন্তু গত দুই দিন সেটা করেছে সে কাজে চাপে,, আর এটার জন্য রিদকে বড় কোনো ভুলে মাসুল দিতে হবে না তো,, এই কথা গুলো ভেবেই রিদ উত্তেজিত হয়ে দ্রুততা সঙ্গে প্রাণপূণ দৌড় লাগায় নিচে ফিহার মেহেদী অনুষ্ঠানে দিকে মায়ার উদ্দেশ্য,,,,,,
.
রিদের এই মূহুর্তেই শুধু মায়াকে চাই অন্য কিছু নয় প্রাণটা যেন হঠাৎ করে বেড় হয়ে যাচ্ছে মায়ার জন্য,,, খুব বেশি কষ্ট পাচ্ছে যদি তার কলিজা কিছু হয় তো,,, রিদ পাগলের মতো দৌড়ে নিচে ড্রয়িংরুমে আসে চারপাশে পাগল পাগল হয়ে মায়াকে খুঁজে কোথাও না পেরে যেন আরও বেশি পাগল হয়ে যায় রিদ,, কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না মায়াকে হারানো ভয়টা জেঁকে বসেছে রিদের মনের মধ্যে,, আর সেই ভয়ে রিদের সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে বারবার সাথে রিদের মাথার কানিশ বেয়ে বেয়ে গাম ঝরতে থাকে,,,
.
রিদকে পাগলের মতো আচারণ করতে দেখে ড্রয়িংরুমে সবাই যার যার জায়গায় দাঁড়িয়ে পরে রিদকে দেখতে থাকে ভয় ভয় নজরে কারণ রিদ কখনো এমন অস্বাভাবিক আচারণ কখনোই করেনি,, কি জন্য রিদ এমন পাগলের মতো আচারণ করছে সেটা বুঝতে না পেরে সবাই চুপ করে দাড়িয়ে থাকে,, আর আরাফ খান রিদকে এমনত অবস্থায় দেখে এগিয়ে আসে রিদের সামনে পরে রিদকে শান্ত করার জন্য পিঠে হাত রাখতে রিদ দ্রুত পিছনে ঘুরে মায়াকে দেখার আশায়,, কিন্তু নিজের পিছনে আরাফ খানকে দেখে আবারও চারপাশে আহত চোখ বুলাতে থাকে মায়াকে খুজতে খুজতে…….
.
আরাফ খান রিদকে এমন করতে দেখে খানিকটা উত্তেজিত কন্ঠে রিদকে উদ্দেশ্য করে বললো……..
.
—” রিদ কি হয়েছে তোর এমন অস্বাভাবিক আচরণ কেন করছিস……..
.
আরাফ খানের এমন কথায় রিদ উত্তেজিত হয়ে আহত সুরে কেঁপে কেঁপে বলে উঠে………
.
—” দাদাভাই আমার রিত কোথায়,, ওকে দেখতে পারছি না কেন ওকে আমার চাই…….
.
রিদের এমন কথায় আরাফ খান সহ বাড়ির সবাই চমকে উঠে কারণ রিদ যাওয়া পর পরই মায়াকে কেউ দেখেনি ড্রয়িংরুমে,, হেনা খাঁনও কাজে চাপে মায়ার খবর নিতে পারিনি এখন তিনিও রিদের সামনে এসে উত্তেজিত কন্ঠে বললো……….
.
—-” কেন কি হয়েছে আমার সোনামার কোথায় ওহ……
.
হেনা খাঁনের এমন কথায় রিদের জান যায় যায় অবস্থা,, যদি রিদের দেখা স্বপ্নটা সত্যি হয়তো রিদও মরে যাবে,, রিতকে ছাড়া তার বাচা অসম্ভব,, রিদ উত্তেজিত কন্ঠে নিজের মাথা চেপে ধরে ঠাস করে নিচে বসে পরে চিৎকার করে বলে উঠে,,,
.
—” রিততততততত……….
.
রিদের এমন চিৎকার সাথে সাথে খান বাড়ির উপস্থিত সবাই ভয়ে কেঁপে ওঠে মূহুর্তেই,,, আর রিদের এমন অস্বাভাবিক চিৎকার কারণে মায়া ঘুম থেকে ধুর ফুরিয়ে উঠে বসে সোফায় ওপর,, কারণ রিদ যাওয়ার পর পরই মায়া সেখান থেকে উঠে রাগে ড্রয়িংরুমের এক কোণায় সোফায় মধ্যে বটে ঘুমিয়ে পরে তাই কারও চোখে পড়েনি মায়াকে,, মায়া রিদের চিৎকার কানে আসতেই ঘুম ঘুম চোখে ডলতে ডলতে ধীর পায়ে রিদের সামনের এসে হাজির হয়,, আর ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আস্তে করে বলে উঠে……….
.
—” হুম বলুন……….
.
মায়ার কন্ঠ কানে আসতেই ঝটপট রিদ সহ উপস্থিত সবাই মায়ার দিকে তাকায়,,, রিদ মায়াকে নিজের চোখ সামনে সুস্থ ভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে হেনা খাঁন জরিয়ে ধরার আগে রিদ মায়াকে দ্রুততা সঙ্গে নিজের বুকে টেনে নেই পরে,, মায়াকে হারানো ভয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিজের সাথে এতে করে উপস্থিত সবাই হা হয়ে তাকিয়ে থাকে রিদের দিকে,, কি থেকে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না কেউ তাই হা হয়ে তাকিয়ে থাকে…..
.
মায়া রিদকে জরিয়ে ধরতে দেখে মূহুর্তে চমকে উঠে,, হঠাৎ করে রিদের আবার কি হলো সেটা বুঝতে না পেরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে,, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর হঠাৎ করেই মায়ার সবকিছু মনে পরে যায় যে রিদ মায়ার কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে না,, মায়ার সাথে ভালো করে কথা পযন্ত বলে না, মায়ার এটা মনে হতেই মায়া খানিকটা রাগ দেখিয়ে গাল ফুলিয়ে রিদকে নিজের থেকে সরানোর চেষ্টা করতে করতে বলে উঠে………
.
—” ছাড়ুন আমাকে,, ছুইবেন না আপনি আমাকে আমি থাকবো না আর আপনার সাথে………
.
মায়া কথা গুলো কষ্টে অভিমান সুরে বললেও রিদের কাছে ছিল মায়ার এই কথা গুলো বিষাক্ত কিছু কারণ রিদ এমনিতেই মায়াকে নিয়ে ভয় পেয়ে আছে হারানোর ভয়ে আর এখন আবার মায়াও রিদকে ছেড়ে যাওয়ার ভয় দেখাচ্ছে,, আর এটাই মেনে নিতে পারিনি রিদ,, অন্য সময় হলে রিদ ঠিকিই মায়ার অভিমানের কথা গুলো বুঝতে পারতো কিন্তু এই মূহুর্তে বুঝতে না পেরে মায়াকে নিজের বুক থেকে সরিয়ে সামনে দাঁড় করিয়ে সাথে সাথে ঠাস থাপ্পড় বসায় মায়ার গালে,,, রিদের থাপ্পড়ের শব্দের ড্রয়িংরুমে সবাই কেঁপে ওঠে মূহুর্তেই,, আর মায়া গালে হাত দিয়ে কান্না করতে থাকে রিদের এমন আচরণে,, রিদ সবাইকে অপেক্ষা কে রাগে রি রি করতে করতে মায়াকে উদ্যোগ করে বলে উঠে……..
.
—” ভালোবাসি বলে মাথায় চড়ে বসেছিস যাহ মুখে আসে তাই বলিস,, তোকে ছাড়ার জন্য আমি ভালোবেসে ছিলাম নাকি,,, এতো সহজ আমাকে ছাড়া হুমম কি মনে হয় তোর খুব সোজা তোর জন্য………..
.
রিদের এমন দিওয়ানঙ্গী দেখে উপস্থিত সবাই কেউ কিছু বলার সুযোগ পাইনি রিদকে কিছু বলার জন্য,, মায়া রিদের এমন কথায় আবারও কান্না করতে করতে বলে উঠে…….
.
—” যান তো আপনি, আর থাকবো আপনার সাথে আমি কাললি ফিহার সাথে আমাদের বাড়ি চলে যাব আর আসবো না আপনার কাছে আমি হুহহ…..
.
মায়ার এমন কথায় আরও ক্ষেপ্ত হয় রিদ,, রিদ নিজের আপা হারিয়ে এক হাতে মায়ার চুলের মুঠো ধরে অন্য হাতে মায়ার গাল চেপে ধরে নিজের কাছে এনে সবার সামনে রাগে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে উঠে………
.
—” আমি তোকে ছেড়ে দিয়ে রেখেছি বলে আজ তুই আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথাটা মুখে নিতে পারিস,, কিন্তু আজকের পরে সেটা আর কখনোই পাবি না তুই আমি সেই সকল রাস্তা তোর জন্য বন্ধ করে দিব তোর জন্য,, কাল থেকে তোর মুখে শুধু আমারিই নামটা থাকবে অন্য কিছু নয়……
.
কথা গুলো বলেই রিদ কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে মায়াকে কোলে তুলে নিয়ে নিজের রুমের দিকে হাঁটা ধরে আর মায়া কান্না করতে করতে নিজের হাত পা ছুটাতে থাকে রিদ থেকে বাঁচার জন্য,, পিছন থেকে হেনা খাঁন রিদকে থামানোর জন্য ভয়ে কান্না কন্ঠে বলে উঠে……..
.
—” রিদ আমার কথাটা শুন,, আমার সোনামাকে মারিস না ওহ কিছু বুঝতে পারিনি তাই তোকে এইভাবে বলেছে,,মায়া তোকে আর এমনটা বলবে না তুই আমার সোনামাকে আমার কাছে দিয়ে যাহহহহ প্লিজ………
.
কথায় গুলো বলতে বলতে হেনা খাঁন রিদের পিছন পিছন যেতে নিবে তার আগেই আরাফ খান হেনা খাঁনের পথে আটকায় রিদের পিছনে যাওয়ার থেকে পরে হেনা খাঁনকে শান্তনা দিয়ে বলে যে, রিদ মায়াকে কোনো রকম কষ্ট দিয়ে আঘাত করবে না এটা নিয়ে নিশ্চিতে থাকতে আর ওদের দুজনকে কিছুটা সময় একা ছেড়ে দিতে,,, আরাফ খানের এমন কথা হেনা খাঁন কিছুটা শান্ত হয়ে যায় রিদ যাওয়ার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে……
.
.
.
চলবে………………..