#দমকা_প্রেমের_গল্প
#Ayrah_Rahman
#পর্ব_১৭
__________________
সকাল সকাল ক্রলিং বেলের আওয়াজে ভ্রু জোড়া কুঁচকে এলো নাহিদা বেগমের। অরিত্রা বাসা থেকে বের হয়েছে মোটে মিনিট বিশেক হবে টিউশনি আছে ওটা শেষ করে ভার্সিটি। আসার কোন সুযোগ নেই তবে কি মাঝ রাস্তা থেকে ফিরতি এলো! এরকম নানা ধরনের চিন্তা করতে করতেই দরজা খুলে দিলেন নাহিদা বেগম। সোফার রুমে শেহরান আর শেহজাদ বসে আছে। একজনের হাতে মোবাইল তো আরেক জনের হাতে টিভির রিমোট।
দরজার অপর পাশে অপরিচিত দুজন ছেলেকে দেখে ভড়কে গেলেন তিনি। ছেলে দুটোকে কখনো দেখেছে কি না মনে করতে পারছেন না তবে চেনা চেনা ঠেকছে।
” আসসালামু আলাইকুম চাচিমা ”
নাহিদা বেগম অস্ফুট স্বরে উত্তর দিলেন, ” ওয়ালাইকুম সালাম বাবা ”
” এটা কি মাহবুব মজুমদারের বাসা না? ”
চমকে উঠলেন নাহিদা বেগম। এই নামে এদিকের কেউই তাদের চেনে না, তার পরিচয় অরিত্রা কিংবা শেহজাদের মা কিংবা নাহিদা মেডাম।
নাহিদা বেগম আমতা আমতা করে বলল, ” জ্বি এটা মাহবুব মজুমদারের বাসা ”
সায়র হাসি হাসি মুখ করে বলল, ” ভেতরে ঢুকতে দেবেন না চাচি মা? ”
নাহিদা বেগম সরে জায়গা করে দিলো তাদের। মুনতাসিম আর সায়র ভেতরে ঢুকে শেহরান আর শেহজাদ কে বসে থাকতে দেখে সায়র দুজনের মাঝ খানে গিয়ে ধপ বসতেই হকচকিয়ে উঠলো শেহরান। মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে গোল গোল চোখে তাকালো সায়রের দিকে। শেহজাদ তাকিয়ে আছে তার সামনে বসে থাকা মুনতাসিমের দিকে। ছেলেটাকে শেহজাদের ভীষণ ভালো লাগে এক হিসেবে তার আইডল মুনতাসিম।
” তোমরা কারা বাবা? আমার সাথে কি কোন দরকার ছিল তোমাদের? ”
মুনতাসিম এক পলক নাহিদা বেগমের দিকে তাকিয়ে উঠে কাছাকাছি দাড়ালো নাহিদা বেগমের ধীর কন্ঠে বলল, ” আমি মুনতাসিম মাহমুদ। মাহমুদ মজুমদারের বড় ছেলে ”
নাহিদা বেগম চমকে উঠলেন, পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন নিজ জায়গায়। এতো বছর পর ওই বাড়ির কারো কি দরকার পড়লো তাদের! নাহিদা বেগমের ভাবনার মধ্যে দিয়েই মুনতাসিম আঁকড়ে ধরলো তার হাত দুটো। ধীর কন্ঠে বলল, ” মজুমদার বাড়ির রক্ত বইছে বলে কি থাকতে দেবেন না আপনার এই ছোট্ট কুঠিতে! ”
নাহিদা বেগম ছলছল চোখে তাকালেন মুনতাসিমের দিকে, এই সেই ছেলে যাকে ছয় বছর বয়সে শেষ বার দেখেছিলেন তিনি। যেদিন বিয়ে হয়ে প্রথম মজুমদার বাড়িতে প্রবেশ করেন নাহিদা বেগম ঠিক তখনই একটা বাচ্চা ছেলে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরেছিলো তাকে। হুট করে এমন হওয়ায় নাহিদা বেগম ও পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য বাচ্চা ছেলেটাকে আঁকড়ে ধরেছিলো, বাচ্চা টা আধো আধো শব্দে তাকে চাচিমা ডেকেছিলো সেদিন । বাচ্চা ছেলেটিই ছিলো মুনতাসিম। সব কথা মনে পড়ে অনেক টা আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন তিনি।
” এতো দিন পড়ে বুঝি চাচিমার কথা মনে পড়লো তোমার? ”
মুনতাসিম মুচকি হেসে বলল, ” হারিয়ে গিয়েছিলেন তো অনেক খুঁজে বের করেছি! ”
নাহিদা বেগম মুনতাসিমের মাথায় হাত বুলিয়ে সায়রের দিকে তাকালেন, নাহিদা বেগমের দৃষ্টি লক্ষ্য করে মুনতাসিম বলল, ” ও আমার ভাই সায়র মাহমুদ ”
সায়র এগিয়ে এলো নাহিদা বেগমের দিকে। নাহিদা বেগম সায়রের মাথায় হাত বুলিয়ে রান্না ঘরের দিকে যেতে যেতে বলল, ” তোমরা আজ এই গরীবের বাড়ি তে দুটো ডাল ভাত খেয়ে যাবা, না করতে পারবা না ”
সায়র, শেহজাদ আর শেহরান আড্ডায় মজেছে। মুনতাসিম উঠে দাড়ালো, বাসাটা ঘুরতে ঘুরতে একটা দরজার সামনে এসে থমকে গেলো পা। দরজার সামনে অরিত্রা আর তার বাবার ছোট বেলার একটা ছবি আঠা দিয়ে লাগানো। বেশ ছোট বেলার যেখানে অরিত্রা দুই পাশের দুই বেনি টেনে ধরে আছে আর মাহাবুব মজুমদার হাটু ভেঙে বসে অরিত্রার গালে চুমু খাচ্ছে। অসাধারণ একটা ছবি। মুনতাসিম দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো, দরজা দিয়ে ঢুকতেই নাকে এসে লাগলো পরিচিত গন্ধ। মেয়েটা পারফিউম ইউজ করে না কিন্তু মেয়েটার গায়ে অদ্ভুত সুন্দর মিষ্টি গন্ধ আছে।
সারা দেয়াল জুড়ে অরিত্রার শ’খনেক ছবি টানানো। কিছু ছোট বেলার আর কিছু বড় হবার পর। মুনতাসিম প্রতিটা ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। হঠাৎ কি মনে করে এক পাশে টানানো অরিত্রার বেগুনী রঙের শাড়ি পরিহিত হাস্যোজ্জ্বল ছবি টা টেনে হাতে নিলো, সেকেন্ড দুয়েক দেখে প্যান্টের পকেটে নিয়ে আবারো দেখতে লাগলো। মেয়েটার মধ্যে অদ্ভুত মায়া আছে যাকে দেখতে ভালোই লাগে ক্লান্তি আসে না তার। এই কয়েকদিনে অদ্ভুত মায়ায় আটকে ফেলেছে মেয়েটা তাকে।
_________
“সকাল সকাল ছেলে দুটো কোথায় হাওয়া হলো তৃষা? তোমাকে কি কিছু বলে গিয়েছে? ”
সকালে খাবার টেবিলে বসে কথা টা বলেই খাবারের দিকে তাকালো মেহেরাব মজুমদার। তৃষা বেগম প্লেটে তরকারি দিতে দিতে বললেন,
, ” আপনি জীবনে কোথাও গেলে বলে যান যে আপনার ছেলেরা বলে যাবে! বংশের মান রক্ষা করতে হবে না! কথায় আছে না, জাতের দ্বারা বেগুনের চারা, যেখানে ফালায় সেখানেই জ্বালায়! ”
মেহেরাব মজুমদার খাওয়া শেষ করে উঠে গেলেন তৎক্ষনাৎ না হলে তার বউকে এক বিন্দু বিশ্বাস নেই। কখন যে কি বলে মান সম্মানের আলু ভর্তা করে দেয় বলা যায় না।
” ভাবি আমি কিন্তু এমন না। আমি যেখানে যাই আমার বউকে বলেই যাই ”
কথাটা বলেই মাহমুদ মজুমদার অরুনা বেগমের দিকে তাকালো, ” কিগো বলে যাই না? তুমি বলো!”
অরুনা বেগম মুখ ঝামটা দিয়ে বলল, ” আহহ বলেও! আপনার বংশের কি কারো ডাব গাছের বাগান ছিলো নাকি ? ”
” কেনোওও ”
” এতো ডাব ছাড়েন কেমনে? খাচ্ছেন খান না! এতো কথা বলেন কেন? ”
মাহমুদ মজুমদার মুখ গোমড়া করে বিড়বিড় করে বলল, ” হাহ্ বুড়ো হয়ে গেছি তো তাই দাম দেয় না! ”
” শেষ পর্যন্ত স্বীকার করলেন তাহলে! যে আপনি বুড়ো! ”
ঠেস মেরে কথা টা বলেই ঠোঁট চেপে হাসলেন অরুনা বেগম। মাহমুদ মজুমদার মুখ ফুলিয়ে খেতে লাগলো। বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় ত্রিশ বছর হতে চলল তবুও যেন একজন আরেকজন কে ঠেস মেরে কথা বলতে একটুও কার্পন্য করেন না।
” ভাবি মেঝো ভাইজান তাও আপনার কথা একটু মানে ভাবে। আমার জন তো আমাকে পাত্তায় দেয় না, নিজেকে তো শাহ রুখ খান মনে করে। আমাকে বলে কি জানেন! বলে আমি নাকি তাকে পাত্তা দেই না, এখনো যদি সে হাতে তুড়ি বাজায় শত মেয়ের লাইন লাগবে! নিজের বয়স টাও তো দেখতে হবে বলি হারি যাই! বুড়ো হচ্ছে ক’দিন পর মেয়ে বিয়ে দেবে ছেলেদের বিয়ে করাবে তবুও যেন উনার বয়স কমছে এমন ভাব!”
মুনারা আক্তারের কথা শুনে মাহফুজ মজুমদারের কাশি উঠে গেলো। বউ তার এক পিছ মান সম্মান কিছু ই বাকি রাখলো না! কাশতে কাশতে সামনে পানির গ্লাস দেখতে পেয়ে হাতের মালিকের দিকে তাকালো, তৃষা বেগম মিটমিটিয়ে হেঁসে গ্লাস ধরলো, মাহফুজ মজুমদার হাত বাড়িয়ে গ্লাস টা ধরে ঢকঢক করে পানি খেয়ে কটমট দৃষ্টিতে মুনারা আক্তারের দিকে তাকাতেই মুনারা আক্তার মুখ ভেঙচি দিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলেন।
মাহফুজ মজুমদার খাবার টেবিলে থেকে উঠতে উঠতে বিড়বিড় করে বলল, ” অসভ্য, বদমাশ, বর্বর, বজ্জাত, দজ্জাল মহিলা ”
_____________
” আররে মিস ফকিন্নি যে, আপনি এখানে কি করছেন? ”
এমন অদ্ভুত নামে অর্ধ পরিচিত কন্ঠ শুনতে পেয়ে কটমট দৃষ্টিতে সামনে তাকালো মিনু। রিসোর্ট বুক করতে এসেই বাঁধলো বিপত্তি। মিনু যেই রিসোর্টের দোতলার ডান পাশের রুমটা বুক করেছে তার পাশের রিসোর্টেই সেই একই দিকের দোতলা বুক করেছে আরহাব। পাশাপাশি বারান্দা থাকায় অনায়াসে এক বারান্দা থেকে অপর বারান্দায় আসা যাবে।
আরহাব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিনুর দিকে। মিনু কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ” এই মিস্টার কানা, সমস্যা কি আপনার? ফলো করছেন আমাকে? ”
আরহাব অলস ভঙ্গিতে হাত ঝেড়ে বলল, ” কোন ফকিন্নির পিছু করবো এতোটাও খারাপ দিন আরহাবের আসে নি, মিস ফকিন্নি ”
মিনুর রাগ সপ্তম আসমানে উঠে যাচ্ছে , গজরাতে গজরাতে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
” একটা ধাক্কা দিবো না দোতলা থেকে পড়ে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে থাকবেন। হাড় মাংস সব গুড়ো গুড়ো হয়ে যাবে বলে দিলাম ”
আরহাব কিটকিটিয়ে হেঁসে উঠলো, ” নাইস জোক্স মিস ফকিন্নি ”
মিনু তর্জনি উঁচু করে বলল,
” দেখুন! ”
” দেখান ”
” অসভ্য, লুইচ্চা বেডা ”
আরহাব চোখ দুটো ছোট ছোট করে বলল, ” আমি লুইচ্চা? ”
” তো?”
আরহাব নিজ বারান্দা থেকে মিনুর বারান্দায় লাফ দিয়ে এসে মিনুর দিকে এগুতে এগুতে বলল, ” লুইচ্চা যখন বললেন ই তাহলে একটু লুচ্চামি দেখাতেই পারি! আফটার অল অপবাদ বলে কথা ”
মিনু এতক্ষণে হুসে আসলো, একের পর এক ঢুক গিলতে গিলতে পিছনে যেতে যেতে বলল, ” আপনি কিন্তু অসভ্যতামি করছেন! আমি কিন্তু চিৎকার করবো ”
” করেন, আমি কি মানা করেছি নাকি! আজোওওব ”
আরহাবের নির্লিপ্ত কণ্ঠ শুনে ভেতরে ভেতরে আরোও গুটিয়ে এলো মিনু।
” আপনি চিৎকার করলে লোকজন আসবে আর আমাকে আর আপনাকে এক ঘরে দেখে তাদের অন্য কিছু মনে করলে সেটা দোষের কিছু নাহ, পরে হতেই পারে দুজন কে বিয়ে দিয়ে দেবে। আমার অবশ্য কোন সমস্যা নেই কোন খরচা পাতি ছাড়া ফ্রি ফ্রি একটা বউ পেলে কার না ভালো লাগবে। জিনিস পত্রের যা দাম! তারচেয়ে ভালো লোকজন ধরে বেধে বিয়ে করিয়ে দেক। আপনি কি বলেন? নেন এবার চিৎকার দেন ”
মিনু পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে সেটে গেলো আরহাব মিনুর এক পাশে হাত রেখে ধীরে ধীরে আলল, ” কি হলো দেন চিৎকার মিস মিনু ফকিন্নি ”
মিনু রাগলো না তার কেমন যেন লাগছে, ছেলেটা তার অতিরিক্ত কাছে, ছেলেটার শরীরের মিষ্টি গন্ধ তার নাকে এসে লাগছে। অস্বস্থি হচ্ছে তার! এই প্রথম কোন ছেলে তার এতো কাছে, মুনতাসিম কে ভালোবাসলেও কখনো সে মুনতাসিমের ধারে কাছে ও ঘেঁষতে পারে নি, মুনতাসিম দেয় নি। দুর থেকে ই দুর দুর করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
মিনুর ভাবনার মধ্যেই আরহাব মুচকি হেসে মিনুর নাকে টোকা দিয়ে পুনরায় বারান্দা টপকে নিজের ঘরে গিয়ে তৎক্ষনাৎ দরজা লাগিয়ে দিলো, মিনু ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে ই রইলো।
আনমনেই নাকে হাত দিয়ে বিড়বিড় করে বলল, ” কি হলো এটা! ”
_____________
” মেহেরাব তন্ময়, কোথাও যাচ্ছেন নাকি? ”
সিএনজি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই পিছনে থেকে অতি পরিচিত কন্ঠ শুনতে পেয়ে পিছনে তাকালো তন্ময়। অভিমানে মুখ টা থমথমে হয়ে গেলো তার। প্রায় এগারো মাস পর প্রিয় মানুষ টাকে চোখের সামনে দেখতে পেলো তন্ময়।
তানহা মুচকি হেসে এগিয়ে এলো তন্ময়ের দিকে। তন্ময়ের সামনে দাঁড়িয়ে তার দুহাত দিয়ে তন্ময়ের মুখটা আজলে তুলে করুন কন্ঠে বলল, ” কথা বলবে না তন্ময়? এতো রাগ! এতো যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম তুমি সব জায়গা দিয়ে ব্লক করে দিলে? ”
তন্ময় এদিকে সেদিকে তাকিয়ে আবেগ কন্ট্রোল করার চেষ্টায় আছে। পৃথিবীর সবার কাছে এতো শক্ত একজন পুরুষ মানুষ হলেও এই মেয়েটার সামনে, শুধু মাত্র এই মেয়েটার সামনে সে শক্ত থাকতে পারে না। মেয়েটার একটু কথায় বুক ভেঙে কান্না আসে তার। মেয়েটার একটু দুরত্ব তাকে ভীষণ বাজে ভাবে পুড়ায়। কিন্তু এই পাষাণ মহিলা বুঝলে তো!
” কি হলো মজুমদার সাহেব! খুব বেশি অন্যায় করে ফেলেছি আমি? হঠাৎ বাবার হার্টে সমস্যা হওয়াই রাতারাতি এব্রোড যেতে হয়েছে আমায়। তারপর ব্যবসার বিভিন্ন কাজে আটকে গেছি। তুমি তো জানো আমি বাবার এক মাত্র মেয়ে আমি ছাড়া আমার বাবার আর কেউ নেই! তবুও তুমি রাগ করে থাকবা? ”
তন্ময় ছলছল দৃষ্টিতে তাকালো তানহার দিকে। আরেকটু হলেই যে মেয়েটা কেঁদে দেবে বেশ বুঝতে পেরেছে তন্ময়। তাই এক হাতে জরিয়ে ধরলো তানহাকে। মেয়েটার সাথে রাগ করে থাকায় যায় না। অদ্ভুত যাদু জানে এই মেয়ে। কি সুন্দর বশ করে ফেলে তাকে।
” বাড়িতে ফিরছো নাকি? ”
তন্ময় জরিয়ে ধরেই বলল ” হুম ”
” ক’দিনের ছুটি? ”
” এক সপ্তাহ! ”
” ওহ, তাহলে চলো আমিও যাবো। অনেক দিন আন্টি দের দেখি না। আজ ভার্সিটি ও যাবো। অনেক দিন যাই না ”
তন্ময় আর কথা বাড়ালো না তানহা কে নিয়েই রওনা দিলো মজুমদার বাড়ির উদ্দেশ্যে….
চলবে..
[ কেমন লাগলো আজকের পর্ব? ]