শ্রাবনে_প্রেমের_হাওয়া। #লেখনীতে_ফাতিমা_তুয_যোহরা। #পর্বঃ৫

0
304

#শ্রাবনে_প্রেমের_হাওয়া।
#লেখনীতে_ফাতিমা_তুয_যোহরা।
#পর্বঃ৫

দিগন্তের কোনে-কোনে আজ কালোরাঙা মেঘে ঢেকে আছে কেমন। কিছুক্ষণ যেতেই বৃষ্টিতে ভিজে উঠলো যেন শহরের অলিগলি। নাজের মনটা কেমন বি’ষিয়ে রয়েছে। মাথার ভিতর কি’লবিল করছে তাঁর একরাশ দুশ্চি’ন্তা। দুরপানে দৃষ্টিপাত করলে চোখদুটি কেমন জ্বলছে যেন নাজের। বুকের ভিতর ভারি পরে গেলে গাল বেয়ে ঝড়ে পরলো তাঁর মোটা-মোটা জলরাশি।
.
— নাজ আমার গাড়ির চাবিটা কই রেখেছো তুমি? একটা কাজ যদি তোমাকে দিয়ে হয়। কথাগুলো বলতে-বলতে রাদিফ অফিসের ব্যাগটা নিয়ে জোরে-জোরে নাজের উদ্দেশ্যে ডাকতে থাকলে সকাল-সকাল রাদিফের কন্ঠ শুনে ভ’রকে গেল নাজ। তখন তাদের বিয়ের এক সপ্তাহও হয়নি। তারনায় পরে গিয়ে রান্নাঘর থেকে তড়িঘড়ি করে দৌড়ে আসলো নাজ নিজের রুমে। শরীর বেয়ে টুপটুপ করে ঘাম ঝরে পরছে তাঁর। রান্নাঘরের তাপটা একটু বেশিই ছিল বোধহয়। হাতের উল্টোপিঠে ঘাম মুছে নিয়ে মৃদু হেসে বললো।
— ড্রয়ারেই তো ছিল। আপনি পাননি?
নাজের কথা শুনে হাসলো রাদিফ। দরজাটা ভিতর থেকে লাগিয়ে দিয়ে নাজকে দরজার সাথে চে’পে ধরাতে দরজার সাথে পিঠ ঠেকে গেল যেন নাজের। এই মুহুর্তে যেন চোখেমুখে ল’জ্জার ছাপ ফুটে উঠেছে তাঁর। রাদিফ নাজের ল’জ্জামাখা মুখশ্রী দেখে ঠোঁটের কোনে হাসি লে’প্টে নাজের মাথার সাথে নিজের মাথা ঠেকিয়ে নাজের আঁচল ভেদ করে হাতের স্পর্শ ছুয়িয়ে নাজকে কাছে টে’নে নিতে নাজের নিশ্বাস ভারি পরে গেল যেন। খুবজোর রাদিফকে ধা’ক্কা দিয়ে ল’জ্জার সহিত মৃদুস্বরের কন্ঠে বললো।
— ছারুন, আমি চাবি খুঁজে দিচ্ছি আপনার।
—আমার চাবিতো আমার কাছেই আছে নাজ। আমিতো তোমাকে দেখার জন্য ডেকে এনেছি। রাদিফের ফিসফিস করে বলা কথাটা শুনে নাজ যেন আরও মি’য়িয়ে গেল কেমন। ল’জ্জায় মাথা নিচু করে ফেললে রাদিফের ঠোঁটের স্পর্শ ঘাড়ের কাছে অনুভব করতে পেরে কেঁ’পে উঠলো যেন নাজ।
— কি করছেন। ছারুন, কেউ দেখে নিবে তো নাকি? নাজের কথা শুনে হেসে উঠলো রাদিফ। বললো।
—দরজা লক করে দিয়েছি। এখন কেউ এদিকে আসবেও না। নাজের গ’লা শুকিয়ে আসলে হুট করেই রাদিফের ফোন বেজে উঠলে নাজকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো যেন নাজ। ল’জ্জায় মাথা হেট হয়ে গেছে যেন তাঁর।
“—হায়রে কপাল। এ কাকে রান্নার ভার দিয়ে গেছো আম্মা। ” পুরো মাং’সটা পু’ড়িয়ে ছাড়লো। বাপের বাড়ি এসব দেখেছে কিনা সন্দেহ। শশুর ঘরে এসে স্বামীর টাকা ওড়াই আরকি। আচ’মকা রান্নাঘর থেকে লাবনীর চিৎ’কার চেচা’মেচির কন্ঠ ভেসে আসলে ভয়ে নাজের আ’ত্মা কেঁ’পে উঠলো যেন। রাদিফের চক্করে সে ভুলেই গেছিল রান্না ঘরে তরকারি চরিয়ে এসেছিল সে। আবার ছুটে এসে রান্নাঘরে লাবনিকে রাগান্বিত মুখশ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চু’পসে গেল নাজ। লাবনী নাজের হাত ধরে টে’নে নিয়ে এসে তরকারির কাছে এনে দাঁড় করালে কিছু বলতে পারলো না নাজ।
—এই মেয়ে। তোমার সা’হস তো কমনা, তুমি রান্না ঘরে তরকারি চরিয়ে রেখে সক্কাল-সক্কাল রুম আঁ’টকে বসে রয়েছো। ল’জ্জা করে না তোমার। তোমার বাপ-মা এই শিক্ষা দিয়েছে তোমাকে? যে, নতুন বউ, দুদিন হলো বাড়িতে পা পরলো কি পরলো না তাঁর আগেই আমার নাদান ভাইটাকে নিজের বসে আনতে চাইছো?
লাবনীর ধা’রালো কন্ঠের রেশ যেন ছুঁ’ড়ির ন্যায় নাজকে আ’ঘাত হেনে গেল। ঠিক কি বলা যায় এই প্রশ্নের উত্তরে, তা তাঁর বোধগম্য হলো না ঠিক। কিছু বলার আগেই রান্নাঘরে সুলেখা বেগমের পা পরলে চুপচাপ থেমে গেল নাজ। কিন্তু থামলো না লাবনী। নাজের নামে বানিয়ে- বানিয়ে কথা শোনাতে থাকলো তাকেও।সেদিন খুব করে কেঁদেছিল নাজ। রাতে রাদিফ কাছে টে’নে নিলেও লুকিয়ে চোখের কোনে ঝড়ে চলা নোনাজল যেন রাদিফের চোখে হানলো না। সেদিনই নাজ একটা কথা খুব ভালো করে বুঝে গিয়েছিল যে, বিয়ে হওয়ার পর জীবনটা হয়তো একটা চার দেয়ালের মরি’চীকায় আবদ্ধ হয়ে গেল তাঁর। যেখানে নিজের বলতে কেউ নেই। শুধুই সে একা।
.
—কি করছো তুমি এখানে? হুট করেই কারো কন্ঠের রেশ শুনতে পেলে, ভাবনায় ছেদ খেয়ে গেল যেন নাজের। মাথাটা কেমন ট’ন>ট’ন করছে যেন তাঁর। জ্বর কমে গেলেও শরীর থেকে তাঁর প্রভাবটা যেন এক আঙুলও কমেনি। ধীর চাহনিতে পিছু ফিরে ওমরের দিকে তাকালে, ওমর দরজার কাছে হেলানি দিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে। নিমেষেই দৃষ্টিদ্বয় নিচু করে ফেলল নাজ। চারদিকে মাথা ঝাঁকালে ওমর ভ্রূদ্বয় কি’ঞ্চিৎ পরিমান ভা’জ করে ফেলল যেন। মৃদু রাগ মিশ্রত কন্ঠে বললো।
— মাথা ঝাঁকানো কি জিনিস নাজ। মুখে বলা যায় না? ওমরের কথার রেশ শুনে থ’মকাল নাজ। পিটপিট করে ওমরের দিকে তাকিয়ে ধীর কন্ঠে বললো।
—এমনি,কিছু করছি না। নাজের কথা শুনে ওমর চোখ মুখ ভারি করে নাজের দিকে তাকালো যেন। নাজের চোখের নিচের জলধারা এখনও শুকায়নি যেন। বুকের মাঝে কেমন এক অদ্ভুত অনুভতি উপলব্ধি করতে পারলো ওমর।
—মহারানি কেঁদেছে?কিন্তু কেন? কিছু না ভেবেই নাজের হাতটা ধরে হ্যাঁ”চকা টা’নে নাজকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে নিতে ওমরের বুকের উপর আছ’রে পরলো যেন নাজ। কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ওমরের হার্টবিটের দ্রিমদ্রিম প্রতিশব্দ যেন খুব কাছ থেকে পৌঁছাল নাজের।
— কেঁদেছো কেন তুমি? শোনো মহারানী, তুমি হলে একমুঠো আলো, যার পিছুপিছু ঘুরঘুর করতে থাকে অনবরত আমার এই পা’ষানে বাঁ’ধা হৃদয়। তোমার চোখের বিন্দু মাএ পানি আমার পরানে সইবে না বুঝলে। ওমরের কথাগুলো শুনে নাজ যেন অবাকের চর’ম পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াল। চমকিত ভাবে ওমরের দিকে মৃদু স্বরে বললো।
—কিহ?
—যেটা বললাম সেটাই। আমি ঘুড়িয়ে পেঁ’চিয়ে কথা বলতে অভ্যস্ত নই। তাই সোজাসা’প্টা ভাবেই বলছি। এখানে না বোঝার কি আছে বুঝলাম…..
—কি বলবেন আপনি? ওমরের কথা শেষ হওয়ার আগেই নাজ তাঁকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন ছুঁ’ড়ে দিলে ওমর নাজের চোখের দিকে চোখ তাক করে দিলে বুকের ভেতরটা কেমন মু’চড়ে উঠলো যেন নাজের। এই চোখে চোখ রাখতে গেলে যে সে, চোখের নে’ষায়ই নি’শ্বেষ হয়ে যেতে বাধ্য। মৃদু ঢোক গি’লে নিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো।
— ভালোবাসি তোমাকে। সেই বাসটপ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত। আর সারাজীবন বেসে যাব। আমি জানিনা, এই প্রেম ভালোবাসা, এসব কিভাবে এক্সপ্লেইন করতে হয়৷ শুধু জানি তোমাকে দেখার আর কথা বলার গহীনতা কখনো শেষ হবে না আমার। ক্ষনিকের দেখাতেই যে তোমার প্রতি এতটা ভে’ঙে গু’ড়িয়ে যাবো আমি…
—থামুন আপনি। আপনার আর একটি কথা শুনতে চাইছি না আমি। কতটুকু জানেন আপনি আমার সম্পর্কে?এই জন্য কালকে এত ভালো সাজতেছিলেন আমার কাছে? যে মেয়েটির অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নেই। ভালোবাসি বললেই হয়ে গেল না মিস্টার ওমর। আমি বিবাহিত।
নাজের শেষের কথাটা শুনে ঠায় দাঁড়িয়ে গেল যেন ওমর। এটা কি শুনছে সে। নাজ বিবাহিত! নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছে না ওমর।
কিঞ্চিৎ পরিমান চুপ থেকে হেসে উঠলো ওমর। বললো।
— মজা করছো তুমি, তাইতে?
— মজা? আমার জীবনটাই যে একটা মজার পাএ। আমার সম্পর্কে না জেনেই ভালোবেসে ফেললেন আপনি? এটা ভালেবাসা নয়,বরং ভালোলাগা। যেটা কিছুদিন বাদে হাওয়ায় উড়ে বেড়াবে। আমার মনে হয় এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকা ঠিক হবে না। কালকে রাতের জন্য আপনার এবং আপনার পরিবারকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ। নাজের উদ্বী’গ্ন মস্তি’ষ্ক কেমন ফাঁ’কা- ফাঁকা লাগছে এখন। সবকিছু কেমন গল্পের মতো মনে হচ্ছে এখন। অবশ্য তাঁর জীবনটাই একটা লেখাঘরের ন্যায় বন্দি পরে আছে যেন। দীর্ঘ’শ্বাস ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সামনে পা বাড়ালে পিছন থেকে পিছুটান অনুভব করতে চমকে ভ্রুদ্বয় কুঁ’চকে ফেলে পিছ ফিরে তাকাতে, ওমর নাজের হাতটা শক্ত হাতে ধরে আছে দেখে একপলক ওমরের হাতের দিকে তো আরেক পলক ওমরের দিকে তাকিয়ে ধীর কন্ঠে বললো নাজ।
— দেখুন, ভালোবাসা ফেলনা নয়। এক দেখায় কেউ কারো প্রতি ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারে না। এটাকে ইংরেজিতে বলে এট্রাকশন। যেটা আমি হাড়িয়ে গেলে আপনি আমার অ’স্তিত্বও টের পাবেন না। আর যেখানে আমি বিবাহিত। সেখানে তো কোনো প্রশ্নই আসে না।
নাজের কথা শুনে মৃদু হাসলো ওমর। দ’ম বন্ধ লাগছে যেন তাঁর। নাজের কথার রেশ যেন তাঁকে অজান্তেই তীরের সহিত র’ক্তা’ক্ত করে দিচ্ছে।
— চলো তোমাকে ড্রপ করে আসি। তোমার হাসবেন্ডকেও দেখা হয়ে যাবে। সেই লাকি মানুষটাকে না দেখলে হয়তো নিজের কাছে ঠিক নিজে ঠিক থাকতে পারব না। ওমরের কথা শুনে গ’লা শুকিয়ে আসলো যেন নাজের। এবার কি বলবে সে। এতক্ষণ তো এমনিই নিজেকে রাদিফের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিল ওমরের সামনে। কিন্তু আদৌও কি তাই? একটা কাগজের কালোরাঙা কা’লির স্পর্শে তো তাঁর অস্তি’ত্ব চিরকালের মতো সরিয়ে দিয়েছে রাদিফ। কথাগুলো ভাবনায় ছেদ খেয়ে যেতে থাকলে ওমর নাজের ব্যাগটা হাতে নিয়ে ধীর কন্ঠে বললো।
— আমি মানুষটা কেমন জানিনা। তবে তোমার যখন বিয়ে হয়ে গেছে আগেই, তাহলে আমার কথা মনে রেখো না। কথাটা বলে ওমর যেতে নিতে নাজ দ্রুতভাবে বলে উঠলো।
—আপনার যেতে হবে না। আমি চলে যাব৷
— ভালোবাসো খুব তোমার হাসবেন্ডকে তাইনা?
—মানে?
—কিছুনা। চলো।
—শুনুন? নাজের কন্ঠ শুনে পিছুফিরে তাকালো ওমর৷ দৃষ্টিদ্বয় নিচের ফ্লোরে তাক করে ধীর কন্ঠে বললো।
—হুম, বলো। নাজ যেন বিপা’কে পরে গেল। চারদিক থেকে আঁ’টকে গেছে যেন সে। একদিকে মেহরুম বেগমের কথা ভেবে বাড়িতে যেতে পারছে না, অন্য দিকে ওমর যেন পিছুই ছারছে না। চারদিক থেকে যেন সে খুব ভালোভাবে ফেঁ’সে গেছে। নিজেকে সা’মলে রাখতে পারলো না আর নাজ। পা ঢলে ফ্লোরে বসে পরলে অবাক হলো ওমর৷ হুট করেই নাজের এরুপ ব্যাবহারে পুরো ত’ব্দা খেয়ে গেল যেন ওমর৷ হাতে থাকা নাজের ব্যাগটা নিচে রেখে নাজের সামনে হাঁটু গে’ড়ে বসে পরলো ওমর৷ নাজের চোখ দিয়ে আষাঢ়ে মেঘের বর্ষন বইতে থাকলো যেন। বাহিরের বর্ষনপাত যেন নাজের চোখে এসে ভর করেছে আজ।
—কি হয়েছে তোমার? ওমরের কন্ঠের রেশ শুনে নাজের চোখে যেন আরও পানি এসে ভর করলো। কি বলবে সে ওমরকে। যে, তাঁকে তাঁর স্বামী ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে? নাজ ডিভোর্সি। কথাটা ভাবান্তরে ছেদ পরে গেলে যেন নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এখন নাজের। ওমর খানিকটা থ’ত>ম’ত খেয়ে গিয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বললো।
—বলবে তো কি হয়েছে? এভাবে বাচ্চাদের মতো কাঁদছো কেন তুমি?
— প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আপনি। আপনার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমি। এত প্রশ্ন করবেন না আমাকে। কথাগুলো আপনমনে বলতে থাকলে ওমরের ধৈর্য যেন সায় দিয়ে উঠছে না আজ। বিচক্ষণ মস্তি’ষ্ক জানান দিচ্ছে যেন, এর ভিতরেও গোপন কিছু রয়েছে। আর সেটার ভয়েই এমন মিয়িয়ে গিয়েছে নাজ। নাজের নিশ্বব্দে কান্নার রেশ যেন ঠিক স’য্য করতে পারছে না ওমর। আশপাশ কিছু না ভেবে হ্যাঁ’চকা টানে নাজকে বুকের কাছে টে’নে এনে মাথায় হাত বু’লিয়ে দিয়ে শীতল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো তাঁকে।
— সত্যিটা বলবে আমাকে? ওমরের এরুপ প্রশ্নো কান্নাগুলো কেমন দ’লা পাকিয়ে যাচ্ছে নাজের। নাজের চোখের পানির রেশে ওমরের শার্টটা ভিজে বুকের সাথে লে’প্টে আছে যেন।
— তুমি সত্যিটা না বললেও কিন্তু আমি ঠিক বের করে নেব মহারনী। ওমরের কথায় কান্নার রেশ খানিকটা কমে এলো যেন নাজের। দাঁতে দাঁত চে’পে ধরে কান্নারত কন্ঠে বললো।
— আমি ডিাভোর্সি। কিহ এবার কি বলবেন আপনি, মিস্টার ইশতিয়াক মাহমুদ তুষার….

চলবে….

(আসসালামু আলাইকুম।এই দুইদিন গল্প না দেওয়ার কারনে দুঃ’খীত। আসলে আমি প্রচন্ড পরিমানে অসু’স্থ। মাথা পর্যন্ত কাঁথ করতে পারিনা ব্যাথা’য়,🥲।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here