যেখানে_দিগন্ত_হারায় #পার্ট_২৯ জাওয়াদ জামী জামী

0
290

#যেখানে_দিগন্ত_হারায়
#পার্ট_২৯
জাওয়াদ জামী জামী

খসখস আওয়াজে চমকে উঠে বসল মাশিয়া। চার্যারের আলোতে ঘড়ির দিকে তাকায়। রাত একটা বিশ। এদিকে খসখস আওয়াজ বেড়েই চলেছে। আবার থেকে থেকে ফিসফাস কথাও শোনাও যাচ্ছে। মাশিয়া ভালো করে কান পেতে শোনার চেষ্টা করল। ঘরের পেছনে কেউ রয়েছে। এবার মাশিয়ার ভয় হচ্ছে। ও বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। আয়েশা খানম, সুধা দুজনের ঘরের দরজাই বন্ধ। লাইব্রেরীর দিকে চোখ পরতেই দেখল দরজা খোলা আছে, আর আলোও জ্ব’ল’ছে। তার মানে আরমান জেগে আছে। মাশিয়া আর দেরি না করে দৌড়ে চলে যায় সেখানে।

আরমান চেয়ারে বসে পড়ছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় ও দরজা-জানালা খুলেই রেখেছে। মাশিয়া হঠাৎই এসে ঝাঁপিয়ে পরল ওর বুকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে গেল আরমান। ও চেয়ার সুদ্ধ উল্টে যেতে গেলেই টেবিলের পায়া ধরে সামাল দেয়। কিন্তু মাশিয়ার সেদিকে কোন নজর নেই।

” রাত-বিরেতে এসব কি শুরু করলে! মাঝেমধ্যে তোমার হয় কি বলতো? হুটহাট এমন কলিজার ওপর আক্রমণ কর কেন? আমার কলিজা কি সরকারি সম্পত্তি? ” আরমান বাম হাতে জড়িয়ে রেখেছে মাশিয়াকে। ও কথাগুলো বলল ঠিকই কিন্তু মাশিয়াকে ছাড়লনা।

” ঘরের পেছনে কেউ আছে। সেখান থেকে কথার আওয়াজ আসছে। মনে হচ্ছে কয়েকজন আছে সেখানে। আমার ভিষণ ভয় লাগছে। ” মাশিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলল। ও সত্যিই ভিষণ ভয় পেয়েছে।

” যে আছে থাকুকনা। সে-তো তোমার কোন ক্ষতি করছেনা। তুমি তোমার মত ঘুমাও। ” আরমানের দৃষ্টি মাশিয়ার দিকে।

” উঁহু, আমি ঘরে একা থাকতে পারবনা। আপনিও চলুন। ওরা যদি ভেতরে ঢুকে যায়?”

” চিন্তা করছ কেন? জানালা বন্ধ আছে। কিছুই হবেনা। ” আরমান মাশিয়াকে অভয় দিচ্ছে।

” তবুও আপনি চলুন। আর নয়তো আমাকে এখানে থাকতে দিন। ”

” এই ছোট চৌকিতে দু’জনের জায়গা হবেনা। আচ্ছা ঘরে চল, আমি দেখছি। ”

মাশিয়া আরমানকে ছেড়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। আরমান বই হাতে নিয়ে চার্যার অফ করে বাহিরে আসল। মাশিয়াও আরমানের গা ঘেঁষে হাঁটছে। ও ডান হাতে আরমানের একটা হাত ধরে রেখেছে।
আরমান ঘরে এসে দক্ষিণের একটা জানালা খুলে দেয়। অন্ধকারেই আশপাশ দেখার চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যর্থ হয়। সে-ও ফিসফাস আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে।

” কে ঐখানে? কে কথা বলছে? ” একটু জোড়েই বলল আরমান। কিছুক্ষণ নিরবতার পর পেছন থেকে কেউ কথা বলল,

” ভাই, আমি রাকিব। ”

” এতরাতে এখানে কি করছ? জানোনা বাড়িতে মেয়েরা থাকে? ওরা শব্দ শুনে ভয় পেতে পারে? ” আরমান ছেলেটাকে চিনতে পেরে ধমকে উঠল।

” ভাই, রাগ কইরেননা। আমরা যাইতাছি। ”

” ঠিক আছে যাও। আর কখনো এখানে এসে বসবেনা। ”

আরমান জানালা বন্ধ করে বিছানার পাশে এসে দাঁড়ায়। মাশিয়া সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। আরমান কাছে আসতেই মাশিয়া টুপ করে আরমানের গালে চুমু দেয়।

” থ্যাংকিউ, অসভ্য মাস্টার। সত্যিই আপনার সাহস আছে। ”

আরমান গালে হাত দিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। মাশিয়া কি সত্যিই ওকে চুমু দিয়েছে! আরমানকে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মাশিয়া ওর দিকে কপাল কুঁচকে তাকায়। সেই সাথে একটু আগে করা নিজের কাজের জন্য লজ্জা পায়। তাই লজ্জা ঢাকতে আরমানের ঘাড়েই দোষ চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

” এভাবে খাম্বার মত দাঁড়িয়ে আছেন কেন? শুয়ে পরুন। এত ভাবাভাবির কিছুই নেই। চুমুটা আপনাকেই দিয়েছি। ছেলেগুলো এখান থেকে চলে যাবে সেই আনন্দেই দিয়েছি। ওরা যাচ্ছে জন্য ওদেরকে ডেকে তো চুমু দিতে পারিনা তাই-না? যদিও সব ক্রেডিটই ওদের। কিন্তু চুমু আপনাকেই দিতে হল। হোয়াট স্যুড আই ডু ইফ দেয়ার লাক ইজ ব্যাড? ”

এই প্রথম মাশিয়ার এমন কথায় আরমানের হাসি পায়। মাশিয়ার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে, মেয়েটা লজ্জা পাচ্ছে। তাই ওকে আরেকটু লজ্জা দেয়ার লোভ সামলাতে পারলনা।

” ওরা বোধহয় বেশিদূর যায়নি। আশেপাশেই কোথাও আছে। এক কাজ করি, ওদেরকে ডেকে নিয়ে আসি? তখন তুমি ইচ্ছেমত ওদের চুমু দিও? একটামাত্র বউয়ের ইচ্ছেই যদি পূরণ করতে না পারি তবে কেমন স্বামী হলাম আমি! ”

কিন্তু আরমানের কথা শুনে মাশিয়া লজ্জা পাওয়ার বদলে রেগে গেল।

” অসভ্য মাস্টার, আপনাকে আমি খু’ণ করব। এখন আমার ইচ্ছেটা পূরণ করবেন, হুম? একমাত্র জামাই হিসেবে স্ত্রী’র ইচ্ছে পূরণ করা আপনার জন্য ফরজ কাজ। করবেন আমার ইচ্ছে পূরণ? ” মাশিয়া চিবিয়ে চিবিয়ে বলল।

” আমি কি ইচ্ছেপরী নাকি? তুমি যখন যেটা বলবে সেই ইচ্ছেই পূরণ করব! যাও ঘুমায়। রাত-বিরেতে আবোলতাবোল কিসব বলছ! ”

” আপনি ইচ্ছেপরী হবেন কেন! আপনিতো ইচ্ছে কি বলে ঐটাকে? কি বলে? কি বলে? ও হ্যাঁ, মনে পরেছে। আপনিতো ইচ্ছেজ্বিন। আমার সব ইচ্ছে পূরণ করবেন। ” মাশিয়া পারলে আরমানকে খু’ণ করে।

” তুমি কি ঘুমাবে? নাকি আমি লাইব্রেরীতে চলে যাব? ”

আরমানের হুমকি কাজে দেয়। মাশিয়া সুড়সুড় করে বিছানায় যায়। আরমানও চেয়ারে বসে বই হাতে নেয়।

” আপনি পড়বেন? কি এত পড়ছেন? ”

” বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছি, আরও একঘন্টা পড়ব। তুমি ঘুমাও। ও ভালো কথা। তোমার রেজাল্ট আর কিছুদিন পর দেবে সেটা কি জানো? ”

” নাহ্। ” ছোট্ট করে উত্তর দিল।

” দরকার নেই জানার। রেজাল্ট হাতে পেলেই জানতে পারবে, আগে থেকে প্যারা নেয়ার দরকার নেই। ”

মাশিয়া বুঝল আরমান ওকে খোঁ’চা দিল। তবুও ও চুপ মে’রে যায়। কারন ওর নিজের পড়াশোনা কিংবা পরীক্ষার ওপর নিজেরই ভরসা নেই। তাই রেজাল্টও যে ভালো হবেনা সেটা ও মোটামুটি নিশ্চিত। তাই আরমানের সাথে পড়াশোনার বিষয় নিয়ে লাগতে যাওয়ার মত বোকা মেয়ে মাশিয়া নয়।

সকাল থেকেই আয়েশা খানম গোছগাছ শুরু করছেন। আজ রাতের গাড়িতে আরমান সুধাকে নিয়ে ঢাকা যাবে। আরমান ঘরে এসে নিজের ব্যাগ গোছাচ্ছে। মাশিয়া বসে বসে আরমানের কাজ দেখছে।

” কতদিনের জন্য দেশান্তরী হচ্ছেন? ”

” দেশান্তরী বলতে তুমি কি বোঝাচ্ছ? তুমি কি চাওনা আমি আবার বাড়িতে আসি? ” মাশিয়ার কথা শুনে আরমান জানতে চায়।

” আমার চাওয়া কিংবা না চাওয়াতে যে আপনার যায় আসেনা এটা আমি ভালোই বুঝি। আপনার কুসুম কিংবা স্নিগ্ধার কথা হলে আলাদা ছিল। তাদের কথা আপনি আবার ফেলতে পারেননা কিনা। আমি শুনেছি আপনি নাকি টপ স্টুডেন্ট ছিলেন। কিন্তু আপনাকে দেখে আমার রোড সাইড রোমিও বৈ আর কিছুই মনে হয়না। সারাদিন নারী দ্বারা পরিবেষ্টিত থেকেও কিভাবে মানুষ ভালো রেজাল্ট করে! ” খাটে বসে পা দোলাচ্ছে মাশিয়া। সেই সাথে মিটিমিটি হাসছে।

” আমাকে তোমার রোড সাইড রোমিও বলে মনে হয়! এক মিনিট, নারী দ্বারা পরিবেষ্টিত বলতে তুমি কি বোঝাচ্ছ? এই প্রশ্নের উত্তর আগে দাও, তারপর তোমার ব্যবস্থা আমি করছি। ”

আরমানের হুমকিতে মাশিয়া আজ একটুও ভয় পেলোনা। ও দ্বিগুণ উৎসাহে কথা বলল।

” নারী দ্বারা পরিবেষ্টিত মানে হচ্ছে আপনি মেয়েদের পেছনে ঘুরঘুর করতেন। আর বিয়ের পরও সেই স্বভাব যায়নি। বোঝাতে পেরেছি লুচু মাস্টার? আর আপনি আমার কি ব্যবস্থা করবেন! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে যে আপনার চরিত্রের অধঃপতন হয়েছে সেটা যদি আম্মা জানতে পারে তখন কি হবে ভেবে দেখেছেন? ”

” ভয় দেখাচ্ছ! হাহ্ দুর্বল পয়েন্ট। তোমার কথা আম্মা কোনদিনই বিশ্বাস করবেনা। তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম, আমি মেয়েদের পেছনে ঘুরঘুর করতাম। এতে তোমার কি? জ্ব’ল’ছে নাকি? জ্ব’লে-পু’ড়ে ছাই হবার আগেই ঠান্ডা পানিতে নিজেকে ভিজিয়ে নাও। নয়তো আজীবন এভাবে জ্ব’ল’তে’ই থাকবে। আগে না হয় নারী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতাম। কিন্তু এখন পেত্নী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতে হচ্ছে! কত দূর্ভাগ্য হলে একজন মানুষের ভাগ্যের এমন অধঃপতন হয়, ভাবলেই আমার কাঁদতে ইচ্ছে করে। ”

মাশিয়া আরমানের শেষের কথা শুনে রেগে আ’গু’ন হয়ে গেছে। কিন্তু সাথে সাথে নিজেকে সামলে নেয়। মনে মনে নিজেকে প্রবোধ দেয়, ” কুল মাশিয়া, কুল। নিজেকে শান্ত রাখ। এই খ’চ্চ’রে’র সাথে লাগতে যাসনা। শেষে দেখবি এই অসভ্য মাস্টার তোকেই নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে। ”

” তো নারীদের হিরো, কতদিনের জন্য দেশান্তরী হচ্ছেন সেটাতো বলুন? অতীতের নারীদের সাথে সাক্ষাৎ হবে জন্য এখন থেকেই হাওয়ায় উড়ছেন। তা কি কি প্ল্যান করে রেখেছেন? ”

মাশিয়ার কথা শুনে আরমানের হাসি পাচ্ছে। আরমান কাপড় গোছানো বাদ দিয়ে মাশিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

” প্ল্যান তো করেছি অনেক। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। তুমি কি যাবে নাকি আমার সাথে? নিজের চোখেই দেখতে সব। ”

মাশিয়া খাট থেকে নেমে আরমানের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।

” আমার মোটেও ইচ্ছে করছেনা আপনার অতীতের নারীদের দেখতে। আমি কি ওদের থেকে কম নাকি! আমি চাইলেও আপনার মত লুচুদের আঙ্গুলে নাচাতে পারি। ” আরমানের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে ওর চোখেমুখে ফুঁ দেয়।

মাশিয়ার এমন কাজে আরমান ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। মাশিয়ার এমন আচরণ ওর বোধগম্য হচ্ছেনা। ও বোঝার চেষ্টা করছে মাশিয়া কি চাইছে।

” কি আর করব বল, বর্তমানে যদি কপালে পেত্নী থাকে, তবে অতীতের নারীদের দিয়েই তো কলিজা ঠান্ডা করতে হবে। কিন্তু তুমি শেষে কি বললে? তুমিও কাউকে আঙ্গুলে নাচাতে পার! মাই গড! তুমি ছিলে ভার্সিটির আতংক। সবাই পারলে তোমার থেকে দশ হাত দূরে থাকত। সেই তোমার মুখে এসব কি শুনছি! ”

” অপমান করবেননা বলে দিলাম। আবারও এমন কথা বললে কলিজা টেনে ছিঁ’ড়ে ফেলব। ঢাকা যাবে জন্য খুশিতে বাক-বাকুম করছে! বদ লোক একটা। আমি সুধার কাছ থেকে সব শুনব। বাড়িতে যখন আসবেন, তখন আপনাকে মজা দেখাব। ” মাশিয়া আরমানের চুল মুঠোর মধ্যে নিয়ে ইচ্ছেমত ঝাঁকিয়ে দেয়।

মাশিয়ার হাত থেকে ছাড়া পেতেই আরমান মাশিয়ার কোমড় ধরে হ্যাঁচকা টানে ওকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।

” তুমিতো শুধু মজাই দেখাতে পারো। ঐ কাজে তুমি এক্সপার্ট। তবে সেটা আমি দেখতে চাইনা। অবশ্য অন্য কিছু দেখাতে চাইলে না করবনা। দেখাবে নাকি? ”

আরমানের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শে মাশিয়ার শরীর শিরশির করতে থাকে। হার্টবিটেরা ছন্দ হীন তালে দ্রীমদ্রীম করে দামামা বাজিয়ে চলছে অনবরত। ইচ্ছে করছে এক ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে। কিন্তু ওর পদযুগল যেন গেঁথে রয়েছে মেঝের সাথে। মাশিয়া আর নিজেকে সামলাতে পারেনা মাথা রাখে আরমানের বুকে।

নিজের বুকে মাশিয়াকে আবিষ্কার করতেই সুখে আরমানের শরীরে শিহরণ বয়ে যায়। তাহলে কি অবশেষে সিংহী ভালোবাসার বাঁধনে আটকা পরলো? আরমানের এই মুহুর্তে কিছুই বলতে ইচ্ছে করলনা। এ ক্ষন শুধু দু’জন দু’জনকে অনুভবের।

এভাবে কতক্ষণ কেটে গেছে কেউ বলতে পারেনা। নিরবতা ভাঙে মাশিয়ার ডাকে।

” এই যে অসভ্য মাস্টার? ”

” হুম। ”

” কবে আসবেন? ”

” আট থেকে দশদিন পর। তুমি যাবে আমাদের সাথে? ”

” উঁহু। আপনিই যান। কিন্তু খবরদার মেয়েদের আশেপাশে যাবেননা। তাদের থেকে দূরে থাকবেন। ”

” যদি না থাকি? ”

” অসভ্য মাস্টার তোকে তো আমি খু’ণ’ই করে ফেলব। ” মাশিয়া রেগে আরমানের বুকে খামচি দেয়।

” তুই তোকারি করছ কেন? ঘরে পেত্নী বউ থাকলে, মানুষ সুন্দরীদের খোঁজে এদিকসেদিক ঘুরবে এটাইতো স্বাভাবিক। ”

” আমি সুন্দরী নই? আমি সুন্দরী না হলে আপনিও একটা ঢেঁড়শ। হিরো আলমও আপনার থেকে হ্যান্ডসাম। ”

” যাবে নাকি তোমার হিরো আলমের কাছে? তাহলে চল দিয়ে আসি। ”

” আমি এখানেই থাকব। কোথাও যাবোনা। ” মাশিয়া আরমানের ওপর নিজের শরীর এলিয়ে দিল। আরমানও পরম ভালোবাসায় আগলে রাখল ওর আকাঙ্ক্ষিত নারীকে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here