#অসম্ভবে আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–৩২
আসবো ডক্টর ….??
আবরারের প্রশ্নে ল্যাবটবের স্ক্রিন থেকে মুখ তুলে দরজার দিকে তাকালো মধ্যবয়সী মহিলাটি। নাম রিবন্তি হক।পেশায় একজন গাইনোকোলজিস্ট তিনি। আবরারের পাশেই জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধা। আবরার কে দেখে রিবন্তি হক সৌজন্যতায় ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,
— আরে মিস্টার আবরার চৌধুরী যে।আসুন না…
স্নিগ্ধার এক হাত নিজের হাতে নিয়েই ভেতরে এলো আবরার। রিবন্তি টেবিলের অপর পাশে সাজানো দুটো চেয়ার ওদের দুজনকে দেখিয়ে বলল,
— বসুন।
আবরার মৃদূ হেসে প্রথম চেয়ার টা টেনে দিলো স্নিগ্ধা কে। চোখ ইশারা করে বসতে বোঝালো। পরবর্তী চেয়ার টা দখল করে নিলো নিজে। রিবন্তি ব্যাপারটা লক্ষ্য করে মুচকি হেসে বলে ওঠে,
— বাহ।মিস্টার চৌধুরী দেখছি ওয়াইফের প্রতি বেশ কেয়ারিং।
কথাটায় লাজুক হেসে মাথা নামিয়ে নেয় স্নিগ্ধা।আবরার ঘাড় কাত করে স্নিগ্ধাকে একবার দেখে নিয়ে তাকায় রিবন্তি হকের দিকে। ভীষণ শান্ত গলায় বলে ওঠে,
— আমারই তো বউ।যত্ন আর কে নেবে বলুন?
রিবন্তি হক চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো,, ঠোঁটে হাসি টেনে বলল
— এভাবে সব পুরুষ ভাবলে মনে হয়না কোনো নারী নির্যাতিত হতো সমাজে।
আবরার স্বাভাবিক ভাবে বলে ওঠে,
— সব টাই আমাদের মানসিকতা।যার টা যেভাবে তৈরি আরকি। যাক গে ছাড়ুন ওসব।আপনার কাছে কেন আসা সেসব তো আগেই ফোনে জানিয়েছি আমি..!! আর এই হচ্ছে আপনার সেই পেশেন্ট।বলতে পারেন অনেকটা জোর করে নিয়ে এলাম এখানে।
কথাটায় আবরারের দিকে তাকিয়ে স্নিগ্ধা ঠোঁট ওল্টালো। রিবন্তি মৃদূ হেসে বলল,
— আসলে যেসব অসুস্থতার কথা আপনি বললেন সেসব শুনলে প্রথম যে কথাটা মাথায় আসে সেটা আমি শিওর না হয়ে আপনাকে জানাতে চাইছিলাম না বলেই আসতে বলেছি। আমি বরং এ ব্যাপারে আমার পেশেন্টের সাথেই কথাটা বলে নেই?
আবরার মাথা নেড়ে স্বায় দিয়ে বলল– নিশ্চয়ই!
রিবন্তি এবার স্নিগ্ধার দিকে তাকালো। ব্যাস্ত গলায় বললো,
—মিসেস চৌধুরি! খাবার মুখে দিলেই ভীষণ বমি পায় আপনার তাইনা?
স্নিগ্ধা মাথা দুলিয়ে বলল — জ্বি!
— কিছু খেতে ইচ্ছে করে? আই মিন কোনও ধরনেরর খাবারে বেশ স্বাদ মনে হচ্ছে?
স্নিগ্ধা মাথা নেড়ে বলল — উহু! সবেতেই বেশ গন্ধ লাগে।
— টক ভালো লাগেনা?
স্নিগ্ধা উদ্ভাসনা নিয়ে বলল– হ্যা খেতে ইচ্ছে করে। তবে এখনও খাইনি..!!
রিবন্তি খানিকক্ষণ ভেবে বলল,
— লাস্ট কবে পিরিয়ড হয়েছিলো আপনার?
এমন একটা বিষয় নিয়ে আবরারের সামনে সোজাসাপটা প্রশ্নে ভীষণ রকম অস্বস্তি অনুভব হলো স্নিগ্ধার।খানিকক্ষণ ইতস্তত করলো। ব্যাপারটা রিবন্তি বুঝতে পেরে মৃদূ হেসে বলল,
— পিরিয়ড কোনও লজ্জ্বার বিষয় নয় মিসেস চৌধুরী। এটা একটা মেয়ের জন্যে অনেক গর্বের।তাছাড়া যিনি আপনার অর্ধাঙ্গ তার সামনেতো লজ্জ্বার কিছুই নেই।আপনি নিসঙ্কোচে বলুন
স্নিগ্ধা কোনও রকম ক্ষীন আওয়াজ তুলে বলল,
— জ্বি গত মাসে হয়নি। এ মাস নিয়ে দুইয়ে পরলো।
রিবন্তি হক মাথা নেড়ে আবরারের দিকে তাকায়। আবরারের এতক্ষন ওনাদের কথোপকথন বেশ মন দিয়ে শুনছিলো। রিবন্তি উদ্বেগ নিয়ে বলে ওঠে,
— মিস্টার চৌধুরী আপনার স্ত্রীর সমস্ত কমপ্লিকেশন আমার কাছে জমা আছে।তবে যেটা আমি ভাবছি তার জন্যে একটা ছোট্ট টেস্ট করাতে হবে। আই মিন ব্লাড স্যাম্পল নিতে হবে। তাহলেই আমি ক্লিয়ারলি জানাতে পারবো আপনাকে।
কথাটায় আবরার স্বায় মূলক মাথা নাড়লেও চমকে উঠে ওর দিকে তাকালো স্নিগ্ধা। আবরার তাকাতেই গোল চোখ নিক্ষেপ করে জোরে জোরে দুদিকে মাথা নাড়লো।যার অর্থ কিছুতেই সে টেস্ট করাবেনা। কারন কালই আবরার বলেছিলো টেস্ট করাতে গেলে ইঞ্জেক্ট করতে হয়।
ব্যাপারটা রিবন্তি হকের বোধগম্য হয়না।আবরারের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলে,
— কি হয়েছে? কোনও সমস্যা?
আবরার আবারো মৃদূ হেসে বলে
— আসলে ও ইঞ্জেকশন এ ভীষণ ভয় পায়।তাই এমন করছে,
এটুকু বলে আবরার স্নিগ্ধার মুখের দিকে তাকায়।শান্ত স্বরে বলে,
— পরি,,ব্ল্যাড টেস্ট করতে ইঞ্জেকশন দেয়া হয়না।ব্লাড টেস্ট না করলে তোমার কি হয়েছে কিভাবে জানবো বলো? আর আমিতো আছি তাইনা? চিন্তা কি?
স্নিগ্ধা মুখটা কাচুমাচু করে নামিয়ে নিলো। হাজার আপত্তি তার মিইয়ে এলো আবরারের এইটুকু আস্বস্তিতে।এক পাশে ঘাড় কাত করে বলল,
— বেশ। আপনি যা ভালো বুঝবেন।
আবরার মুচকি হাসলো। আবরারের সাথে সাথে রিবন্তি হক ও মুচকি হেসে নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে পরে।। দরজার দিকে এগোতে এগোতে বলে,
— আপনারা আমার সাথে আসুন।
আবরার আর স্নিগ্ধা দুজনেই উঠে দাড়ায়। এরপর ধীর পায়ে অনুসরন করে রিবন্তিকে।
এক পর্যায়ে ল্যাবরেটরির সামনে এসে কাচের দরজা ঠেলে ঢুকে পরে রিবন্তি হক আর তারপর আবরার।স্নিগ্ধা ঢুকতে গিয়েও থেমে যায়।কিছু একটা খেয়াল করতেই পিছন ঘুরে তাকায়।
হাসপাতালের দেয়ালে ছোট্ট একটি গুলুমুলু বাচ্চার পোস্টার লাগানো। স্বাস্থ্য সম্মত কয়েক লাইন লেখা তার নিচেই। কিভাবে বাচ্চাকে সুস্থ সবল রাখতে হয় তারই কিছু নির্দেশনা। স্নিগ্ধার কেন জানিনা বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভীষণ ভালো লাগা কাজ করলো। বাচ্চাটার মুখের প্রজ্বলিত হাসিটাতে আপনা আপনি ঠোটের কোনে হাসি এলে উঠলো তার। অজান্তেই ডান হাত টা চলে এলো পেটের কাছে। মুহুর্তেই শীতল হয়ে এলো স্নিগ্ধার হাত পা…
কোনও এক দিন তার কোলেও এমন ফুটফুটে একটা বাচ্চা আসবে।আবরার তার ভালোবাসার ফল আসবে। ভাবতেই মুখে এক চিলতে লাজুক হাসিটা গাঢ় হয়ে আসে স্নিগ্ধার।
স্নিগ্ধা কে না দেখে আবরার ভ্রু কুঁচকে আশেপাশে তাকায়। পিছনে তাকিয়ে স্নিগ্ধাকে কাঁচের দরজার বাইরে দেখতে পেয়ে দ্রুত হাতে দরজাটা টেনে নিয়ে খুললো আবরার। মৃদূ আওয়াজে ডেকে উঠলো ওকে।
— পরি?
ডাক শুনে স্নিগ্ধার ধ্যান কাটে। পিছন ঘুরে আবরারের দিকে তাকায়।আবরার ভ্রু নাঁচিয়ে বলে,
— কি করছো এখানে? এসো,
স্নিগ্ধা বাচ্চাটির মুখের দিকে আরো একবার চোখ বোলায়। পরক্ষনে আবরারের দিকে তাকিয়ে বলল,
— কিছুনা।চলুন।
আবরার পুরো বিষয়টার কোনও কিছুই বুঝে উঠতে পারলোনা। বুঝতে চাইলোওনা।এই মুহুর্তে ভীষণ রকম চিন্তিত সে। স্নিগ্ধার কি এমন অসুস্থতা যার জন্যে টেস্ট অব্দি করাতে হলো? সেটাই ভীষণ রকম ভাবাচ্ছে তাকে।স্নিগ্ধা ঢুকতেই আবরার ওর পিঠে হাত ছুইয়ে বলল,
— কিছু হয়েছে? মানে শরীর কি আবারও খারাপ লাগছে?
স্নিগ্ধা মৃদূ হেসে মাথা নাড়লো– যার অর্থ না…
স্নিগ্ধাকে এক হাতে জড়িয়ে রেখেই আবরার সামনের দিকে এগোতে লাগলো। আস্তে করে বলল,
— ভয়ের কিছু নেই। আমি আছিতো। যখন টেস্ট করবে শক্ত করে আমার হাতটা ধরে থাকবে কেমন??
স্নিগ্ধা একবার আবরারের দিকে চোখ তুলে তাকালো।ঘাড় কাত করে বলল– আচ্ছা!
______________________________________
স্নিগ্ধা…??
নিজের নাম শুনে কপালে গুটিকয়েক ভাঁজ সমেত পেছন ফিরলো স্নিগ্ধা। মৃনাল কে দেখতেই ভাঁজ গুলো আরো গাঢ় হয়ে এলো তার।অনেকাংশে বিরক্তিও ঠেকলো। ততক্ষনে মৃনাল এগিয়ে এসে দাড়িয়েছে স্নিগ্ধার মুখোমুখি। স্নিগ্ধা হা করে কিছু বলার আগেই মৃনাল উদ্বিগ্ন গলায় বলে উঠলো,
— এ কদিন ভার্সিটি আসোনি কেন? কিছু হয়েছে?
স্নিগ্ধা বিরক্তি নিয়েই উত্তর দেয়,
— এমনিই আসিনি।কেন?
মৃনাল উত্তর না দিয়ে মাথাটা নিচু করে নিলো।
স্নিগ্ধাকে এতগুলো দিন না দেখে তার যে কি অবস্থা হয়েছিলো সেটাতো আর স্নিগ্ধাকে বলে বোঝানো যাবেনা। প্রত্যেকটা দিন মৃনাল দাঁড়িয়ে থাকতো গেটের কাছে কখনও আবার স্নিগ্ধাদের ক্লাশ রুমের সামনের দিকটায়। কিন্তু স্নিগ্ধা আসেনি।
মৃনাল কে নিশ্চুপ দেখে স্নিগ্ধার বিরক্তিটা পুনরায় নাড়া দিয়ে ওঠে। ব্যাস্ত গলায় বলে,
— আপনি কি কিছু বলবেন??
মৃনাল ভ্রু কুঁচকে বলল,
— কেন? খুব তাড়া আছে?
স্নিগ্ধা একটা লম্বা শ্বাস টেনে বলল,
— হ্যা।তা একটু আছে? কারন আমার তো মনে হয়না আপনার সাথে আমার কোনও কথা বাকি আছে? যা বলার সেদিনই আমি বলে দিয়েছি আপনাকে!
এরপর নিশ্চয়ই একই কথা বলতে আসবেন না আমায়?আমি আপনাকে এতোটাও গায়ে পরা ভাবিনা।
কথাটায় মৃনাল প্রচন্ড আহত হয়।মুখ কালো করে মাথাটা নামিয়ে নেয় । নিচের দিকে তাকিয়ে মৃদূ আওয়াজে বলে ওঠে,
— সেদিন যা বলেছিলে সব টাই শুনেছি।বলা চলে তোমার বলার থেকেও অনেক বেশি কিছু ।
কথাটায় স্নিগ্ধা চোখ ছোট করে বলল,
— মানে? ঠিক বুঝলাম না।
মৃনাল চোখ তুলে মৃদূ হাসলো।দু চোখের পাতা এক করে বোঝালো,
— কিছুনা…
এটুকু বলে মৃনাল গলায় আকুলতা নিয়ে বলে,,
— আমি গায়ে পরা নই।আমাকে প্লিজ এরকম ভেবোনা। আমি কি বলতে এসছি সেসব না শুনেই এভাবে বলা ঠিক নয়।একবার না হয় শোনো আমি কি বলতে চাই,তারপর যেটা বলার বলতে পারবে তুমি।
স্নিগ্ধা সন্দিহান গলায় বলল,
— কি এমন কথা?
মৃনাল শান্ত গলায় উদ্বেগ নিয়ে বলল,
— আগে আমাকে বলো আমার কথা রাখবে..!
স্নিগ্ধা বিদ্রুপের হাসি টেনে বলল,
— মানে কি? এরকম অযৌক্তিক শর্ত কেন দিচ্ছেন আপনি? আমিতো আপনার কথা শুনতে মরিয়া হয়ে উঠিনি যে আপনার কথা রেখে তারপর আমাকে কথা শুনতে হবে!
মৃনালের মুখটা আরো মলিন হয়ে আসে স্নিগ্ধার এমন কাঠ কাঠ কথাগুলোতে।তবুও নিজেকে সামলে বলে উঠলো,
— প্রথম দিন মেঘের সাথে তোমাকে দেখেই আমার ভালো লেগেছিলো। কিন্তু আমি আসলে জানতাম না তুমি বিবাহিত।
সেদিন যখন তুমি বললে আমি তখন খুব আঘাত পেলেও আস্তে আস্তে ব্যাপারটা মেনে নিয়েছি। কারন ভালো আমরা বাসতেই পারি,তাই বলে অপর পাশের মানুষ টা সব সময় আমাদের জন্যে অপেক্ষা করবে তাতো নয়।তাদেরও ভালোবাসার মানুষ থাকতে পারে।
মৃনাল থামতেই স্নিগ্ধা উদ্বেগহীন গলায় বলে,
— যাক! আপনার এরকম ভাবনা চিন্তা দেখে ভালো লাগলো
মৃনাল সামান্য ঠোঁট এলিয়ে হেসে বলল,
— সেদিন তুমি বলেছিলে ভালোবাসা অন্যায় নয়। তাই আমি ভাবলাম আমিতো আর অন্যায় করিনি তাইনা?
ভালোইতো বেসেছি পাপ তো করিনি।
স্নিগ্ধা খানিকক্ষণ কপাল কুঁচকে তাকিয়ে থেকে বলল,
— আপনি কি বলতে চাইছেন বলুন তো! ঝেড়ে কাশুন একটু।আমার ক্লাশ শুরু হতে বেশি সময় নেই।
মৃনাল নিচের দিকে তাকিয়ে হালকা কেশে গলা পরিষ্কার করে নেয়। স্নিগ্ধার দিকে ব্যাকুল চোখে তাকায়। উদ্বেজনা নিয়ে বলে,
— আমার বন্ধ হবে স্নিগ্ধা? প্লিজ!
স্নিগ্ধা অবাক হয়ে বলল– আমি? আপনার বন্ধু?
মৃনাল মুখ ছোট করে বলল,
— কেন? আমিকি এতই খারাপ? আমার বন্ধু হওয়া যায়না।ভালোবেসে তোমায় পাইনি তাই বলে কি বন্ধু হিসেবে পেতে পারিনা? ভালোবাসা তো সময় অনুযায়ী বদলানোর সুযোগ থাকে।কিন্তু কিছু বন্ধুত্ব যুগ পার হলেও অটুট থেকে যায়।তুমি যদি মেঘের বন্ধু হতে পারো আমার কেন পারবেনা বলো?
স্নিগ্ধা নিচের ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বলল,
— কিন্তু…..
মৃনাল ধৈর্য হীন হয়ে বলল
— আমিতো অন্যায় কিছু চাইছিনা।শুধু তোমার বন্ধুত্ব টাই চাইছি… প্লিজ আমি ভুলে যেতে চাই আমি তোমায় ভালোবাসি। নতুন করে জীবন নিয়ে ভাবতে চাই।এইটুকু সাহায্য করবেনা আমায়?
স্নিগ্ধা কিছুক্ষন আবরারের কথাই ভাবলো।ভার্সিটির কোনও ছেলের সাথে মিশতে না করা সেই কথা।আবরারের গম্ভীর সেই আওয়াজ,
— ছেলে বন্ধু আমার পছন্দ নয়।
স্নিগ্ধাকে নির্বাক দেখে মৃনাল নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
— বন্ধুত্বের হাত আমি বাড়িয়ে দিয়েছি এবার তোমার গ্রহন করার পালা।দ্বিতীয় বার অন্তত মন ভেঙোনা স্নিগ্ধা।
কথাটায় স্নিগ্ধা মৃনালের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ওর পেতে রাখা হাতের দিকে তাকায়।
একদিকে মৃনাল ও অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে তার দিকে ।অন্যদিকে আবরারের কড়া নির্দেশ। কি করবে স্নিগ্ধা,,ভদ্রতা আর ভালো মানুষীর খাতিরে মৃনালের বন্ধুত্বকে গ্রহন করবে নাকি স্বামীর আদেশ- নিষেধ মান্য করবে?
চলবে,
জ্বর টা এখনও সাড়েনি।রিচেক না করেই পোস্ট করেছি।টাইপিং মিস্টেক হতে পারে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন😐