#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________55
(বোনাস পর্ব)
ইমনের উষ্ণ ঠোঁটের অত্যাচার চোখ বুঝে সয্য করে গেছে নীলা । গতকাল রাতের রাগ তুলে নিয়েছে ইমন । শেষ প্রর্জন্ত নীলা আর ইমনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় । জুলাই মাসের ১৯ তারিখে বিয়ের ডেট ফিস্ট করেন সুলতানা বেগম আর আরাফাত সাহেব । ইমনদের বিদায় দিয়ে নাজমা বেগম কয়েক ফোটা চোখের পানি ফেলেন । একমাত্র আদরের মেয়ের বিয়ে বলে কথা । নিদ্রর উপর বিশ্বাস রেখে এই বিয়েতে রাজি হয়েছেন আরাফাত সাহেব আর নাজমা বেগম । নিদ্র যেখানে আছে । সেখানে কোনো ভুল হতে পারে বলে উনাদের মনে হয় না । সবাই ফ্ল্যাট থেকে যেতেই নীলা নিদ্রর ফোনে THANKS লিখে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দেয় । নিদ্র মেসেজ’টা দেখে মুচকি হাসে । ক্লাবে বসে জেক আর রাহুলকে সব কথা বলছিল নিদ্র । জেক আর রাহুল নীলার লাভ ইস্টুরি মিলন হচ্ছে বলে খুশি হয় । হঠাৎ নিদ্রর টাইমের দিকে নজর পড়ে । ২ বাজার অল্প কিছু সময় বাকি আছে । নিদ্র বসা থেকে দারিয়ে রাহুল আর জেককে বললো ।
:+আব,,,,আমাকে এখন যেতে হবে । কিউটির কলেজ ছুটি হয়ে গেছে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে রাহুল আর জেক হেসে উঠে মুখে হুম হুম আওয়াজ করলো । নিদ্র মুচকি হেসে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসলো । অতপর বাইক নিয়ে কলেজে আসলো নিদ্র । কলেজ ছুটি হয়ে গেছে । ফাস্ট ইয়ারের ছেলে মেয়েরাও বেরিয়ে গেছে । নিদ্র এদিক ওদিক তাকাচ্ছে কিন্তু তৃপ্তি বা জুই কাওকে দেখছে না । হঠাৎ এক দিকে নজর আটকে যায় নিদ্রর । সে দেখলো তৃপ্তি আর জুই, আদির সাথে কি নিয়ে যেন কথা বলছে । নিদ্র চুপচাপ আস্তে করে তাদের পিছনে গিয়ে দারালো । নিদ্র শুনতে পেল তৃপ্তি আদিকে বলছে ।
:+আরে ভাইয়া আপনি তো নিদ্র ভাইয়ার সাথে থাকেন । আমাকে বাইক চালানো শিখবেন । আমি নিদ্র ভাইয়াকে কিছু বলবো না প্রমিজ ।(তৃপ্তি)
পাস থেকে জুই তৃপ্তির হাত ধরে টান দিয়ে বললো ।
:+এটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না তৃপ্তি । নিদ্র ভাইয়া শুনলে তোর আস্ত থাকবে না ।(জুই)
:+আমার কচুও করতে পারবে না । ওই ভাইয়া আপনি শিখাবেন কিনা বলেন ।(তৃপ্তি)
শেষের কথা আদির দিকে তাকিয়ে বললো তৃপ্তি ।তৃপ্তির কথা শুনে আদি সুধু চোখ বড়ো বড়ো করে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে ছিল । এই প্রর্যায় আদি হাত জোর করে বললো ।
:+মাপ চাই বোইন । আমি পারবো না । নিদ্র ভাই শুনলে আমার অবস্থা শেষ ।(আদি)
এই বলে আদি থামলো । হঠাৎ তৃপ্তি নিজেকে শূন্যে অনুভব করলো । মাথা ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখলো সে নিদ্রর কোলে । থমথমি খেয়ে গেল তৃপ্তি । পাস থেকে জুই মিটমিট করে হাসতে লাগলো । আদি কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেল । নিদ্র তৃপ্তিকে কোলে করে বাইকের কাছে নিয়ে যেতে যেতে বললো ।
:+বাইক চালানোর খুব শখ হয়েছে না । ঠেং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দিলে বাইক চালানোর ভূত মাথা থেকে নামবে । ইডিয়েট ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি কিছু বললো না । সে সুধু এদিক ওদিক তাকাচ্ছে । অনেক ছেলে মেয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে । তৃপ্তির কেমন লজ্জা অনুভব হচ্ছে । বাইকের কাছে এসে তৃপ্তিকে কোল থেকে নামালো নিদ্র । তৃপ্তি নিদ্রর দিকে কটমট চোখে তাকালো । নিদ্র সেটা এরিয়ে বাইকে উঠে বসলো । এরপর তৃপ্তিকে বললো ।
:+বাসায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে তারাতাড়ি বাইকে উঠ । নাহলে এখানেই দারিয়ে থাক, আমি গেলাম ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তির মাথায় একটা বুদ্ধি আসে । সে চট করে নিদ্রর হাতের নিচ দিয়ে বাইকের তেলের টাংকির উপর উঠে বসে । নিদ্র চমকে উঠে তৃপ্তির এমন কান্ড দেখে । নিদ্র কটমট চোখে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তোকে পিছনে বসতে বলছি । তুই সামনে বসলি কেন ।(নিদ্র)
:+আমি চালাবো । মানে বাইক চালাবো ।(তৃপ্তি)
নিদ্রর কথার পিঠে এই বলে বাইকের চাবি ঘুরিয়ে দেয় তৃপ্তি । চাবি’টা বাইকে লাগানো ছিল । বাইক চালু হতেই তৃপ্তির বিশ্ব জয়ের হাসি দেয় । নিদ্র উপায় না পেয়ে বললো ।
:+ঠিক আছে শিখাবো । এখন পিছনে গিয়ে বস । নাহলে শিখাবো না ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি নিদ্রর দিকে ফিরে বললো ।
:+সত্যি,, নাকি আমাকে মিথ্যা সান্ত্বনা দিচ্ছো ।(তৃপ্তি)
:+নারে বাবা সত্যি । এখন প্লিজ পিছনে গিয়ে বস । এই গরমের মধ্যে মরে যাচ্ছি ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি সামনে থেকে সরে এসে পিছনে বসলো । খুশির ঠেলায় নিদ্রকে জরিয়ে ধরে বসলো সে । নিদ্র একটু বিরক্তি হলেও কিছু বললো না । বাইক চালিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসলো ।
——————————————–
বিকেল ৫টা বাজে…………..
ঘুমের মধ্যে কানে সুরসুরি অনুভব করলো নীলা । ধর ফরিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো সে । চোখ দু’টো ডলে সামনে তাকাতে দেখলো তৃপ্তি আর সুমি তারদিকে দাঁত কেলিয়ে তাকিয়ে আছে । সুমি হাসতে হাসতেই বলে উঠলো ।
:+ঘুমিয়ে নেন ম্যাডাম,,, ঘুমিয়ে নেন । বিয়ের পর আর এমন ভাবে ঘুমোতে পারবেন কিনা,, কে যানে ।(সুমি)
আপশোসের সাথে বললো সুমি । নীলা খানিক’টা লজ্জা পেল । কিন্তু নীলা দমে যাওয়ার মেয়ে নয় । সেও পাল্টা যবাব দিলো ।
:+তোরা ঘুমতে দিলি কৈ । তোরা এসেই তো ঘুম’টা ভেঙে দিলি । সবে মাত্র চোখ দু’টো বুঝে আসছিল । এখন আমি বরের সাথে রাত যাগবো কি করে ।(নীলা)
সুমি চোখ গোল গোল করে নীলার দিকে তাকালো । শেষের কথা’টা বলে দাঁত দিয়ে জ্বিব কাটলো নীলা । তৃপ্তি নীলার কথা শুনে বললো ।
:+আমরা এসে বিরক্ত করলাম বুঝি । সুমি আপু চলো,, আমরা চলে যাই ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, নীলা তৃপ্তিকে টান দিয়ে নিজের কাছে এনে বললো ।
:+আমার বিয়ে হয়ে গেলে, কি করবি তোরা ।(নীলা)
তৃপ্তি ছলছল চোখে নীলার দিকে তাকালো । এই কয়েক মাসের মধ্যে নীলাকে বড় বোনের যায়গায় বসিয়ে দিয়েছে তৃপ্তি । সুমি আর তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরে কেদে উঠে নীলা বললো ।
:+খুব MiSS করবো তোদের । তোদের সাথে কাটানো সময় গুলো খুব মনে পড়বে ।(নীলা)
নীলার কান্না দেখে সুমি আর তৃপ্তির চোখেও পানি চলে আসে । তৃপ্তি নাক টেনে বললো ।
:+তোমাকেও খুব MiSS করবো আপু ।(তৃপ্তি)
সুমি কাদতে কাদতে বললো ।
:+বেস্টফ্রেন্ড হই তোর । জীবনের শেষ নিশ্বাস প্রর্জন্ত তোর খোজ রাখবো ।(সুমি)
সুমির কথা শুনে, নীলার কান্নার বেগ আরো একটু বেরে যায় । কান্নার আওয়াজ শুনে, নাজমা বেগম নীলার রুমের সামনে আসেন । মেয়ে তিন’টাকে কাদতে দেখে তিনি আগেব প্রবল হয়ে পড়েন । চোখের পানি ফেলতে ফেলতে সেখান থেকে চলে যান তিনি । সুমি নিজেকে কিছু’টা সামাল দিয়ে নীলাকে বললো ।
:+বিয়ে কয় তারিখে ফিস্ট করেছে আংকেল ।(সুমি)
:+এই মাসের ১৯ তারিখ ।(নীলা)
নীলাও নিজেকে কিছু’টা সামলে নিয়ে বলে । তৃপ্তি ডেট’টার কথা শুনে বলে উঠলো ।
:+মানে । এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে । আজ সোমবার মানে সামনের সোমবারে তোর বিয়ে ।(তৃপ্তি)
:+হুম ।(নীলা)
তৃপ্তির কথা শুনে, নীলা ছোট করে হুম বললো । কিছু সময় নিরবতা কাটলো । এর ফাকে তিনো জনে নিজেদের চোখের পানি, নাকের পানি মুছে নিলো । এরপর তিনো জনে বিয়ে নিয়ে প্লেন করতে লাগলো ।
———————————————
রাত ১১টা বাজে…………
খাবার টেবিলে বসে আছে নিদ্র, তৃপ্তি, ফরহাদ, আর আমেনা । তৃপ্তির প্লেটে করলার ভাজি দিতেই, তৃপ্তি বলে উঠলো ।
:+এ্যা,,,এগুলো কি বড় আম্মু । আমি করলা খাই না । তিতে লাগে অনেক ।(তৃপ্তি)
নাক ছিটকে কথা’টা বললো তৃপ্তি । তৃপ্তির কথা শুনে, তৃপ্তির দিকে তাকালো ফরহাদ, নিদ্র আর আমেনা । তৃপ্তি প্লেটের দিকে একবার তাকাচ্ছে আবার আমেনার দিকে একবার তাকাচ্ছে । আমেনা একটু হেসে বললেন ।
:+করলা সাস্তের জন্য ভালো । তুই না বলতি, সকালে নাস্তা সাস্ত ভালোর জন্য তেলে ভাজা পরোটা খেতে নেই । রুটি খেতে হয় । তেমনি করলাও ভালো । করলাও খেতে হয় ।(আমেনা)
:+না,,, আমি করলা খাবো না ।(আমেনা)
আমেনার কথা শুনে, তৃপ্তি গাল ফুলিয়ে বলে উঠে । ফারহাদ আহমেদ, আমেনাকে বললো ।
:+ও যেহেতু খেতে চাচ্ছে না, তাহলে তুলে নাও ।(ফরহাদ)
নিদ্র ফরহাদ আহমেদের কথা শুনে, ফরহাদ আহমেদের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তুলে নেবে মানে । একবার যেহেতু প্লেটে পড়ছে, তো ওকে খেতেই হবে । MOM..তুমি একদম তুলবে না । ওকে আজ এগুলো খেতে হবে ।(নিদ্র)
:+এ্যা,,,বললেই হলো । আমি খবো না করলা । দেখি কে আমাকে খাওয়ায় ।(তৃপ্তি)
নিদ্রর কথা শুনে, চট করে বলে উঠলো তৃপ্তি । এরপর হাত দু’টো গুটিয়ে বসলো । আমেনা নিদ্রর দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো ।
:+তোর খাওয়া তুই খা । ওর খাওয়ার দিকে নজর দিচ্ছিস কেন? ওর খাওয়া আমি বুঝবো ।(আমেনা)
এই বলে আমেনা তৃপ্তির প্লেট থেকে করলার ভাজি গুলো তুলে নিলো । তৃপ্তির নিদ্রর দিকে তাকিয়ে মুখ বাকালো ।
★
কলেজের পড়া রিভিশন দিয়ে বই’টা পাসে রেখে বেডের উপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়লো তৃপ্তি । বাম পাসে হাত বারিয়ে এসি রিমোট নিয়ে, রুমের এসি’টা অন করলো । এরপর আবার রিমোট’টা যায়গায় রেখে, টেবিল লাইট’টা অফ করে, চোখ দু’টো বুঝে নিলো সে । বেস্ত শহরে এখনো গাড়ি গুলো ফো ফা আওয়াজ করে একের পর এক চলছে । হঠাৎ তৃপ্তি অনুভব করলো । এক জোরা শক্ত হাত তাকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে নিচ্ছে । একটু সময় না যেতেই নিজেকে কারো শরীরের উপরে আবিষ্কার করলো তৃপ্তি । লোক’টির হৃদপিণ্ডের ধুপধুপ শব্দ তৃপ্তির কানে আসছে । লোকটি তৃপ্তির মাথায় বেনি কাটতে কাটতে বলে উঠলো ।
:+বাইক চালানো কেন শিখতে চাস ।(নিদ্র)
তৃপ্তি কিছু বললো না । সুধু চুপচাপ নিদ্রর বুকে মাথা রেখে শুয়ে রইলো । নিদ্রর বুকের ভিতরের হৃদপিণ্ডের ধুপধুপ শব্দ গুনছে তৃপ্তি । নিদ্র আবার বলে উঠলো ।
:+মানুষ শুতে শুতে তার চোখে ঘুম চলে আসে না । আমি একটা প্রশ্ন করেছি তোকে । বাইক চালানো কেন শিখতে চাস ।(নিদ্র)
তৃপ্তি এবাও চুপ করে রইলো । নিদ্র তৃপ্তির মুখ’টা নিজের দিকে ঘুরালো । তৃপ্তি ঢেবঢেব করে তাকালো নিদ্রর দিকে । রুমের ভিতরের হালকা আলোয় নিদ্র স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তৃপ্তিকে । নিদ্র আবার বলে উঠলো ।
:+বাইক চালানো শিখতে হবে না তোর ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি চোখ গরম করে, দাঁত কটমট করে, নিদ্রর পেটে ডান হাত দিয়ে চিমটি কেটে ধরে বললো ।
:+আমি শিখবো । আর তুমি আমাকে শিখাবে । একবার যেহেতু আমি বলছি । তো আমি শিখেই ছারবো । তুমি যদি না শিখাও । তাহলে আমি বড় আব্বুকে বলে অন্য কোথাও থেকে শিখে আসবো ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি পেটে চিমটি কাটায় নিদ্র একটু উহ করে উঠলো । নিদ্র তৃপ্তির হাত’টা নিজের পেট থেকে ছারিয়ে বললো ।
:+ঠিক আছে । অন্য কোথাও যেতে হবে না তোকে । আমিই শিখাবো ।(নিদ্র)
কথা’টা শুনার পর তৃপ্তি ফিক করে হেসে উঠলো । নিদ্র তৃপ্তির মাথায় বেনি কাটতে লাগলো । মেয়ে’টা যে ফরহাদ আহমেদের কাছে বলবে না, এটার বিশ্বাস নেই । তখন ফরহাদ আহমেদ নিদ্রকেই বলবে বাইক চালানো শিখাতে । তো কি করা, রাজি হতেই হলো নিদ্রকে । কিছু সময় পর তৃপ্তি নিদ্রর বুকের উপরেই ঘুমিয়ে পড়লো । নিদ্র তৃপ্তির চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছিল । চুলে সেম্পু করেছে আজ মেয়ে’টা । চুল গুলো থেকে সেম্পুর ঘ্রাণ ভেসে আসছে । নিদ্র যখন বুঝতে পারলো তৃপ্তি ঘুমিয়ে পরছে । তখন তৃপ্তিকে নিজের থেকে ছারিয়ে বেডের উপর ঠিক করে শুয়িয়ে দিলো । এরপর তৃপ্তি নরম ঠোঁট জোরাতে ছোট একটা চুমু খেয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল নিদ্র । সে খানে এসেছিল তৃপ্তিকে মানাতে । যাতে বাইক চালানো না শিখে । কিন্তু মেয়ে’টা এতো জেদি যে, বাইক চালানো শিখবেই ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিশেদ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]