#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________56
কেটে গেছে পাঁচ’টা দিন । আজ নীলার গায়ে হলুদ । আগামী কাল বিয়ে । সেই অনুসারে ফরহাদ আহমেদের বাড়িতে, নীলাদের ফ্লাটে আজ মানুষে গিজ গিজ করছে । এতো মানুষ হওয়ার কথা ছিল না । কিন্তু নীলার আব্বু আরাফাত সাহেব তার সমস্ত আত্তিয় সজনদেন নেমন্তন্ন/দাওয়াত করেছেন । উনার এক মাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা । অবশ্য কেও আসবে বলেনি । সবাই বলেছিল কাজ না থাকলে যেতে পারবো । আর আজ সবাই এক এক করে এসে ভির করছে । নীলা জীবনে যাদের দু’চোখে দেখেনি, তারাও এসে ভির করছে । নীলা, সুমি আর তৃপ্তি, নীলার রুমে বসে আছে । আর একের পর এক মেহমান’রা এসে নীলাকে দেখে যাচ্ছে । তাদের কেমন যেন আফসোস কিতো মুখ । নীলার এক দুর সম্পর্কের ফুপু তো বেলেই ফেললো ।
:+হায় আল্লাহ, আরাফাতের মেয়ে এতো বড় হয়ে গেছে । ইসস আগে যদি যানতাম । তাহলে আমার ছেলে নাইমরে বৌ করে নিয়ে যেতাম ।(মহিলা)
নীলা কথা’টা শুনে সুধু মুখ বাকিয়ে বসে ছিল । আর মনে মনে বলেছিল ।
:+আমার বয়েই গেছে আপনার ছেলেকে বিয়ে করতে । চিনি না, যানি না । হুট করে বললেই বিয়ে হয়ে যাবে নাকি । ভাগেন এখান থেকে অসয্য কর মহিলা ।(নীলা)
এমন ভাবেই একের পর এক মেহমান আসছে আর নানান রকম সব কথা বলছে । নীলা এবার তার মা, বাবার উপর রেগে গেল । মনে মনে তার মা, বাবাকে অনেক বকা বকি করতে লাগলো । হুট করে নীলার মামার বাড়ির লোকেরা এসে উঠলো । নাজমা বেগম, আর আরাফাত সাহেব থমকে গেলেন । আজ দশ’টা বছর পেরিয়ে গেছে তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই আরাফাত সাহেবের আর নাজমা বেগমের । সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে তারা । বাবা, মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন আরাফাত সাহেব । তার আর কোন ভাই বা বোন ছিল না । সেই দরুন, আরাফাত সাহেব সুধু তার চাচাতো বোন, চাচাতো ভাই এবং তার মামা বাড়ির আত্তিয়/সজনদের নেমন্তন্ন/দওয়াত করেছেন । কিন্তু সবাই যে এসে উঠবে আরাফাত সাহেব ভাবতেও পারেন নি । নাজমা বেগমকে বিয়ে করার ১৫ বছর পর নীলার মামার সাথে সাম্মান্য একটা বেপার নিয়ে ঝগড়া হয় আরাফাতের । সেই থেকে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে দিয়ে শশুর বাড়ি থেকে চলে আসে আরাফাত । নাজমা বেগমকে আরাফাত সাহেব সুধু বলেছিল ।
:+তুমি যদি, তোমার পরিবার ছারতে পারো । তবেই আমার সাথে এসো । আর না ছারতে পারলে? আমাকে, আমার মেয়ে দিয়ে দাও । ওকে নিয়ে আমি, আমার পুরো জীবন কাটিয়ে দেবো ।(আরাফাত)
নীলার বয়স তখন ছিল ১২ । বিয়ের ৩ বছর পর সন্তান নেয় নাজমা । সেদিন নাজমা বেগম কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না । শেষে স্বামীর হাত ধরে, নিজ পরিবারের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন । আর আজ এতো বছর পর নিজের পরিবারকে চোখের সামনে দেখে, তিনি কি রকম প্রতিক্রিয়া করবেন বুঝতে পারছেন না । উনার মুখ’টা সাম্মান্য ফাক হয়ে আছে । আর চোখ দু’টো দিয়ে অঝরে পানি ঝরছে । আরাফাত সাহেবের একটা কথার অপেক্ষা করছেন তিনি । তবেই তো মায়ের কোলে ঝাপিয়ে পড়বেন নাজমা বেগম । বাবা উনার অনেক আগেই মারা গেছে । পৃথিবীতে উনার সুধু মা আর ছোট ভাই আছে । নাজমা বেগম’রা দুই ভাই, বোন । নাজমা বেগমের ছোট ভাই দুলাল, আরাফাত সাহেবের সামনে এসে, আরাফাত সাহেবের হাত ধরে বললো ।
:+দুলাভাই আমাকে খমা করে দেন । সেদিন আপনার কোনো ভুল ছিল না । আমি না বুঝেই আপনাকে দোষ দিয়েছি । আজ এতো বছর আফসোসের সাথে মরছি দুলাভাই । একটা মাত্র বোন আমার, তাও আমি এমন করলাম । আমাকে খমা করে দেন দুলাভাই ।(দুলাল)
এই বলে দুলাল আবেগ প্রবল হয়ে কেদে উঠলো । দুলালের কথা শুনে, আরাফাত সাহেবের সমস্ত রাগ, অভিমান শেষ হয়ে গেল । তিনি দুলালকে জরিয়ে ধরলেন । নাজমা বেগম আর দেরি না করে উনার বৃদ্ধা মাকে জরিয়ে ধরে কেদে উঠলো । কান্নার আওয়াজ কানে আসতেই ধুছ মুচিয়ে নিজ রুম থেকে বেরিয়ে আসলো নীলা । সাথে তৃপ্তি আর সুমিও । নীলা নিজের মামার বাড়ির লোকদের দেখে থমকে দারিয়ে গেল । নানুর উপর অনেক অভিমান হলো নীলার । মামা নাহয় বাবার সাথে ঝগড়া করেছে । কিন্তু নানু কেন তাদের সাথে কথা বলেনি । দুলালের স্ত্রী আর উনার দুই ছেলে মেয়ে এক পাসে দারিয়ে আছে । নীলা কিছু না বলে আবার নিজের রুমে চলে আসলো । তৃপ্তি নীলার পাসে বসতেই, নীলা বললো ।
:+আংকেল আন্টি এখন কোথায় আছে, ফোন করে দেখ তো।(নীলা)
:+আচ্ছা ।(তৃপ্তি)
এই বলে তৃপ্তি তার আম্মুর ফোনে কল করলো । কিছু সময় রিং হতে সালমা কল রিসিপ করলো । কল রিসিপ করেই সালমা বললো ।
:+এই তো আর অল্প সময় লাগবে । আমরা হাতিরঝিল পার করে আসছি ।(সালমা)
সালমার কথা শুনে তৃপ্তি হেসে বললো ।
:+আচ্ছা আম্মু সাবধানে এসো । সজিব কৈ??(তৃপ্তি)
কোলে থাকা ঘুমন্ত সজিবের মাথায় হাত বুলিয়ে সালমা বললো ।
:+ঘুমিয়ে পড়ছে । এখন রাখছি ।(সালমা)
এই বলে সালমা কল কেটে দিলো । নীলার জোরা জুরিতে আসতে হলো বজলুর, সালমা আর সজিবকে । সালমা না করেও থাকতে পারলো না । আর সজিব তো শুনার পর থেকে চিৎকার চেচামেচি সুরু করে দিয়েছে, সে ঢাকা আসবেই । তৃপ্তি কান থেকে ফোন সাইড করতেই নীলা বললো ।
:+কোথায় আছে এখন আন্টিরা ।(নীলা)
তৃপ্তি নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+কাছাকাছি চলে আসছে । একটু পড়েই চলে আসবে । আমাকে এখন যেতে হবে আপু ।(তৃপ্তি)
এই বলে বসা থেকে দারিয়ে গেল তৃপ্তি । নীলা মুখ ছোট করে বললো ।
:+হুমমম,,এখন তো তোর আম্মু এসে গেছে । এখন কি তুই আর আমার কাছে থাকবি ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে, তৃপ্তির নীলার দিকে এগিয়ে এসে, নীলার গালে আলতো করে হাত রেখে বললো ।
:+রাগ করছো কেন? আমি তো তাদের রিসিপ করতে যাচ্ছি । উনারা আমার আব্বু, আম্মু বলে কথা । আমি না গেলে হবে । বিয়ে নিয়ে আমাদের কতো প্লেন । আমি না থাকলে সে গুলো হবে নাকি । আমি এই যাবো আর এই আসবো ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে নীলা একটু হেসে বললো ।
:+আচ্ছা তাড়াতাড়ি । সন্ধা হয়ে আসছে কিন্তু । আমাদের বধূ পাললারে যেতে হবে ।(নীলা)
:+হুম আমি যানি । এখন যাচ্ছি ।(তৃপ্তি)
এই বলে তৃপ্তি নীলাদের ফ্লাট থেকে চলে গেল । এদিকে নীলা সুমি বসে বসে কথা বলতে লাগলো । এমন সময় নীলার নানু তার রুমে আসলো । সাথে নীলার মামাতো ভাই আর বোন । নীলা তার নানুকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিলো । সাহানারা বেগম নীলার অভিমান ভাঙাতে তার কাছে চলে আসলো ।
★
গাড়ি থেকে নামতেই, সালমাকে সোজা গিয়ে জরিয়ে ধরলো তৃপ্তি । সালমা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে, কপালে ঠোঁটের উষ্ণ ছোয়া দিয়ে বললেন ।
:+কেমন আছিস ।(সালমা)
:+হুম,,,ভালো । তুমি কেমন আছো ।(তৃপ্তি)
সালমার বুকে মাথা ঠেকিয়ে বললো তৃপ্তি । সালমা আবারো মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন ।
:+একটু আগ প্রর্জন্ত মন’টা আঞ্জান করছিল । এখন ঠিক আছে ।(সালমা)
:+মেয়েকে পেয়ে, আমাকে ভুলে গেছে আম্মু ।(সজিব)
পাস থেকে গাল ফুলিয়ে চোখ দু’টো ডলতে ডলতে বললো সজিব । তৃপ্তি সালমাকে ছেরে দিয়ে, সজিবকে জাপ্টে জরিয়ে ধরলো । এরপর সজিবের কপালে গালে কয়েক’টা চুমু খেয়ে সজিবকে দু’হাতে কোলে তুলে নিলো । সজিব খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো । তৃপ্তি সজিবের মুখের দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+হাসছিস কেন? আম্মুর আদার খেতে ভালোলাগে সারাখন । এখন থেকে তুই বাদ । আমি আম্মুর আদর খাবো । তুই খাবি কচু পোড়া ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা শুনে, সজিব হেসে উঠে বললো ।
:+এখানে কচু পোড়া পাওয়া যাবে না আপু । এটা ঢাকা শহর ।(সজিব)
:+তবে রে । বেশি পেকে যাচ্ছিস দিন দিন । কচু পোড়া না পাওয়া গেলেও, এখানে করলা পাওয়া যায় । তোকে করলার জুস খওয়াবো ।(তৃপ্তি)
এই বলে সজিবকে কোলে নিয়েই বাড়ির ভিতরে চলে গেল তৃপ্তি । সালমা চুপচাপ দারিয়ে দুই ভাই বোনের দুষ্টুমি দেখছিল । আজ অনেক দিন পর দুই ভাই বোনের দুষ্টুমি দেখে সালমাও একটু হেসে উঠলো । বজলুর গাড়ি থেকে বেগ পত্র নামাচ্ছিল । এমন সময় বাড়ির ভিতর থেকে আমেনা হুর মুড়িয়ে বেরিয়ে আসেন । তিনি এসেই সালমার হাত ধরে বলে উঠলেন ।
:+দেখেছিস তোর মেয়ের কান্ড । তোরা এসে গেছিস । আমাকে একটু যানালো না ।(আমেনা)
বজলুর সালমার পিছন থেকে বললো ।
:+আসসালামু ওয়ালাইকুম ভাবি ।(বজলুর)
আমেনা বজলুরের দিকে তাকিয়ে হেসে বললো ।
:+ওয়ালাইকুম আসালাম ভাই । কেমন আছো ।(আমেনা)
:+এই তো ভাবি ভালো ।(বজলুর)
:+আসো আসো ভিতরে আসো ।(আমেনা)
এই বলে আমেনা সালমার হাত ধরে টেনে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেল ।
——————————————-
রাত ৮টা বাজে………….
বিয়ের জন্য বরাদ্দ করা কোমিটি সেন্টারে আসছে সবাই । গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান এখানে হবে । ইমন আর নীলা পাসা পাসি বসে আছে স্টেজের উপর । পাললার থেকে নব বধূকে আগে সাজিয়ে কোমিটি সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । তৃপ্তি, সুমি, আর নীলার মামাতো বোন নিধি, আরো অনেক মেয়ে এখনো পাললারে । তৃপ্তির সাজা হয়ে গেছে । হলুদ শাড়ী পড়েছে তৃপ্তি । খোপা করা চুলে বেলি, গাদা, গোলাপ দেওয়া । কপালে মাঝারি সাইজের লাল টিপ । চোখ দু’টোতে তার কাজল আর আইল্যানার দেওয়া । মুখে হালকা মেকাপ । ঠোঁটে তার রক্ত রাঙা লাল লিপস্টিক । এই ধরনের লিপস্টিক দিতে চায়নি তৃপ্তি । কিন্তু পাললারের মেয়ে গুলো তাকে দিয়ে দেয় । সুমি আর নিধিও ঠিক একই রকম সেজেছে । সুমি আর নিধির সাজা শেষ হতেই পাললার থেকে বেরিয়ে আসে তারা । নিদ্র পাললারের বাহিরেই দারিয়ে ছিল । সারাদিনে তৃপ্তিকে আজ একবারো নিজের কাছে পায়নি নিদ্র । কেমন উসখুস করছে সে । তৃপ্তি, সুমি, নিধি পাললার থেকে বেরিয়ে আসলো । নিদ্র অপলক দৃষ্টিতে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে রইলো । চোখ দু’টো যেন তার পড়ছেই না । মনে মনে বলে উঠলো নিদ্র ।
:+এই মেয়ে আমাকে বাচতে দেবে না । এই বয়সে হার্ট এটাক করে মরবো আমি । কোথায় লুকিয়ে রাখবো এই সোনার খনিকে ।
“রক্ত জবা ঠোঁট দু’টো তোর,
হলদে বরন দেহ !
দেখে যেনো মনে হচ্ছে,
মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে এসেছে “।
বাহ নিদ্র তুই তো কবিতা বানাতে শিখে গেছিস ।কবে থেকে এই গুন হলো তোর ।(নিদ্র)
নিজ মনে বলে হাসতে লাগলো নিদ্র । আর এদিকে যে তৃপ্তি, সুমি, নিধি কখন এসে তার সামনে দারিয়ে আছে, সে বুঝতেই পারেনি । নিদ্রকে আনমনা হয়ে দারিয়ে হাসতে দেখে, তৃপ্তি চোখ দু’টো ছোট ছোট করে ডান হাত দিয়ে নিদ্রকে আসতে করে ধাক্কা মারলো । নিদ্র চমকে উঠে তৃপ্তির দিকে তাকালো । সুমি পাস থেকে মিটমিট করে হেসে বলে উঠলো ।
:+ভাই এভাবে সারাদিন তাকিয়ে থাকলেও আপনার মন ভরবে না । এখন সেন্টারে যেতে হবে । তাড়াতারি চলুন । ওদিকে নীলা হয়তো আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ।(সুমি)
সুমির কথায় হুস ফিরে নিদ্রর । নিদ্র তৃপ্তিকে রেগে কিছু বলতে চাচ্ছিল । এভাবে সাজতে বারন করেছিল সে । নীলার কাছে ওয়াদা করেছে নিদ্র । যে এই চার দিন তৃপ্তিকে কোন প্রকার ধমক বা রেগে কথা বলতে পারবে না । সেই কারনে নিদ্র এখন তৃপ্তিকে কিছু বলতে পারছে না ।
★
সেন্টারের সামনে গাড়ি দারাতেই, তৃপ্তি, সুমি, নিধি গাড়ি থেকে নেমে দারালো । নিদ্র গাড়ি পার্ক করে তাদের কাছে আসলো । অতপর তারা কোমিটি সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করলো । কোমিটি সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করতেই, কোথা থেকে সজিব দৌড়ে এসে তৃপ্তির হাত ধরে বললো ।
:+বাহহ আপু, তোমাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে । কোথা থেকে এমন ভাবে সেজে আসছো ।(সজিব)
সজিবের কথা শুনে তৃপ্তি মুচকি হাসলো । ছোট ভাইয়ে প্রসংশা একটু লজ্জায় ফেলে দিলো তৃপ্তিকে । সজিবের মাথার চুল গুলো একটু এদিক সেদিক ঠিক করে দিয়ে তৃপ্তি বললো ।
:+চল । ওদিকে যাই ।(তৃপ্তি)
এই বলে সজিবকে নিয়ে স্টেজের দিকে চলে আসলো তৃপ্তি । সাথে সুমি আর নিধিও । স্টেজের উপরে উঠে নীলার পাসে বসলো তারা । নীলা চোখ বড় বড় করে তৃপ্তি, সুমি, আর নিধির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।
:+বিয়ে আমার হচ্ছে না তোদের ।(নীলা)
নিধি হেসে নিচু গলায় বললো ।
:+অবশ্যই তোমার আপু ।(নিধি)
:+তাহলে তোরা এমন করে সাজচ্ছিস কেন?? এই আমার বরকে পটানোর ধান্দা নেই তো তোদের ।(নীলা)
:+ঊমমমমম,,,বয়েই গেছে আমাদের ।(সুমি)
নীলার কথা শুনে, সুমি পাসে থেকে চট করে বলে উঠলো । নীলা হেসে উঠলো । তৃপ্তি আস্তে করে নীলাকে বললো ।
:+তোমার বর কৈ আপু ।(তৃপ্তি)
নীলা প্রথমে গোল গোল চোখ করে তৃপ্তির দিকে তাকালো । এরপর ঠোঁট টিপে হেসে বললো ।
:+এতোখন এখানেই বসা ছিল । তোরা এসছিস দেখে ওদিকে চলে গেছে । উনি হয় তো বুঝতে পেরেছে তোরা আমার কাছে আসবি ।(নীলা)
:+দুলাভাই চলে গেছে । না তুই জোর করে ভাগিয়ে দিয়েছিস ।(সুমি)
নীলার কথা শুনে, সুমি আবারো চট করে বলে উঠলো । নীলা সুমির দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+হুম,,, আমি জোর করে ভাগিয়ে দিয়েছি ,,তো ।(নীলা)
তৃপ্তি, সুমি, নিধি চোখ বড় বড় করে নীলার দিকে তাকালো । সুমি বলে উঠলো ।
:+ধন্য আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড হয়ে । কোথায় একটু ভেবে ছিলাম দুলাভাইয়ের সাথে মঝা করবো ।(সুমি)
:+এতো মঝা করা,,,,,,,,,,,,,,,,।(নীলা)
এই টুকু বলেই থামলো নীলা । কারন তার চোখ পড়েছে সজিবের দিকে । নীলা চট করে সজিবকে তৃপ্তির কাছ থেকে টান দিয়ে নিয়ে বললো ।
:+এই তো আমার পিচ্চি বর । নে এবার যত খুশি মঝা কর । আমার পিচ্চি বরকে আমি তোর কাছে সপে দিলাম ।(নীলা)
নীলার কথা শুনে সজিব বোকা চোখে নীলার দিকে তাকিয়ে রইলো । তার মতো পিচ্চি নাদুস নুদুসকে নীলা, সুমির মতো সাতচুন্নির হাতে তুলে দিচ্ছে । নীলা সজিবকে চোখ টিপ মেরে বললো ।
:+কি আমার পিচ্চি বর । তোমার সালিকাকে একটু মঝা দেখাও ।(নীলা)
সজিব এবার শুকনো ঢোক গিললো । গ্রামের প্রতিশোধ নিচ্ছে নীলা । সজিব এটা বেশ বুঝতে পারছে । শেষ প্রর্জন্ত কি সজিব নিজেকে বাচাতে পারবে?? সুমি তো হাসতে হাসতে নীলার হাত থেকে টান দিয়ে সজিবকে নিজের কোলে নিয়েও গেছে ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিশেদ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]