#রোমান্টিক_ডাক্তার
পার্ট: ১১
লেখিকা: সুলতানা তমা
বারান্দায় দাঁড়িয়ে সকালের মৃদু বাতাস উপভোগ করছি আর ভাবছি কাব্য’র কষ্টগুলো কিভাবে দূর করা যায়। কিন্তু ভেবে কিছুই পাচ্ছি না, কেউ আমাকে হেল্প না করলে আমি তো কিছুই জানতে পারবো না।
কাব্য: তিলো এই নাও হিয়া কথা বলবে (কাব্য আমার দিকে ফোন এগিয়ে দিলো, আচ্ছা হিয়াকে যদি জিজ্ঞেস করি ও কি আমাকে কিছু বলবে..?)
আমি: হ্যালো।
হিয়া: সরি সরি ভাবি প্লিজ রাগ করোনা, তুমি বাসায় এসেছ তিন-চার দিন হয়ে গেলো তোমাদের বিয়ে পর্যন্ত হয়ে গেলো কিন্তু আমি একটা ফোন পর্যন্ত করতে পারিনি।
আমি: তো ফোন করতে পারনি কেন..?
হিয়া: একটু জামেলায় ছিলাম ভাইয়াকে তো বলেছিলাম।
আমি: ওহ।
হিয়া: ভাবি তোমার কি মন খারাপ..?
আমি: নাতো।
হিয়া: বলো আমাকে কি হয়েছে।
আমি: বললে আমার মন ভালো করে দিতে পারবে।
হিয়া: চেষ্টা তো করে দেখতে পারি তাই না..?
আমি: তুমি শুধু আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিলেই তো আমার মন ভালো হয়ে যায়।
হিয়া: তাই নাকি, তাহলে বলো কি প্রশ্ন তোমার।
আমি: হিয়া প্লিজ তুমি রেগে যেও না আমাকে শুধু এইটুকু বলো তোমরা দুজন আব্বু আম্মুর উপর রেগে আছ কেন আর উনারা এখন কোথায়..?
হিয়া: প্রশ্নটা তোমার স্বামীকে গিয়ে করো।
আমি: হ্যালো হিয়া। (হিয়া ফোনটা কেটে দিলো। কিন্তু ও কাব্য’র উপর রেগে গেলো কেন)
কাব্য: তিলো কথা শেষ হলে রুমে এসো।
আমি: আসছি।
রুমে এসে দেখি কাব্য রেডি হচ্ছে, কোথায় যাবে ও..?
আমি: কোথাও যাচ্ছেন..?
কাব্য: যাচ্ছি কিন্তু তোমাকে বলবো না।
আমি: রেগে আছেন কেন..?
কাব্য: তিলো আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে এখনো আপনি আপনি করে ডাকো, ভালো লাগে নাকি শুনতে..?
আমি: ওহ।
কাব্য: ওহ মানে, তুমি আবারো আপনি করেই ডাকবে..?
আমি: না মানে…
কাব্য: তুমি করে বলতে পারলে কথা বলো নাহলে বলোনা।
আমি: আরে কোথায় যাচ্ছেন বলে যান।
দ্যাত চলে গেলো। তাড়াতাড়ি ওর পিছু পিছু নিচে আসলাম।
ড্রয়িংরুমে তো দেখছি সবাই রেডি হয়ে বসে আছে।
আমি: সবাই কি কোথাও যাচ্ছ..?
ভাবি: সবাই না তিশা চলে যাচ্ছে সাথে আদনান।
আমি: তিশা তুই চলে যাচ্ছিস..?
তিশা: হ্যাঁ গতকাল তো আব্বু আম্মুর সাথে যাইনি কিন্তু আজ যেতেই হবে।
ভাইয়া: নীরা আমি আসছি। (ভাইয়া তো মনে হচ্ছে অফিসে চলে যাচ্ছেন, কাব্যও কোথায় যেন যাচ্ছে তারমানে অয়নকে বাসা থেকে বের করতে পারলেই বাসা একদম ফাকা)
আমি: ডাক্তারবাবু বলুন না কোথায় যাচ্ছেন।
কাব্য: তুমি করে বলো তাহলে বলবো।
আমি: ঠিক আছে বলো কোথায় যাচ্ছ..?
কাব্য: এইতো লক্ষী বউ, তোমার জন্য ফোন কিনতে যাচ্ছি (এটাই তো সুযোগ, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে)
আমি: একা যাচ্ছ অয়নকে সাথে নিয়ে যাও।
কাব্য: কেন অয়নকে লাগবে কেন..?
অয়ন: আমি কোথাও যাচ্ছি না।
আমি: আমার জন্য একটা মোবাইল কিনতে যাচ্ছ সুন্দর না হলে হবে আর অয়ন ভাবির জন্য একটা মোবাইল পছন্দ করে দিবে না..?
অয়ন: ভাবি তোমার মতলবটা কি বলতো (এইরে ধরা পড়ে গেলাম মনে হয়)
কাব্য: ওই আমার বউ এর আবার মতলব কি থাকবে, চল বলছি। (কাব্য অয়নকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো, তিশা আর আদনানও বেড়িয়ে পড়লো। বাসায় শুধু আমি আর ভাবি এটাই সুযোগ)
ড্রয়িংরুমে পায়চারী করছি আর ভাবছি স্টোররুমের তালার চাবি তো লাগবে কিন্তু ভাবিকে বললে কি দিবে..? ভাবি এখন রুমে আছে ডাকবো কিনা ভাবছি তখনি বাসায় কে যেন ঢুকলো। তাকিয়ে দেখি একটি মহিলা।
আমি: আপনি কে..?
— আমি কাজের বুয়া গো ছুটিত আছিলাম।
আমি: ওহ।
বুয়া: আমারে ফোনে ওরা কইছে মেঝো সাহেব বিয়া করছে আপনিই তাহলে নতুন বউ।
আমি: হ্যাঁ আমি আপনার ছোট তাই তুমি করে বলবেন চাইলে তুইও বলতে পারেন।
বুয়া: যাক মেঝো সাহেব নিজের মতোই এক্কান ভালা বউ পাইছে। তোমার কিছু লাগলে আমারে বইলো।
আমি: আপনি এই বাসার সবকিছু জানেন..?
বুয়া: জানুম না কেন এইহানে তো আমি পাঁচবছর ধইরা কাম করি।
আমি: ঠিক আছে তাহলে আমাকে বলুন স্টোররুমের চাবিটা কোথায় আছে..?
বুয়া: বলতে পারি তয় শর্ত আছে।
আমি: কি..?
বুয়া: মেঝো সাহেবরে বলতে পারবা না।
আমি: আমি কাউকে বলবো না আপনিও কাউকে বলবেন না।
বুয়া: আইচ্ছা। ছোট সাহেবের রুমে টেবিলের ড্রয়ারে আছে। উনার রুমে তো কেউ যায় না তাই ওইহানে রাখা আছে। (তারমানে অয়নকে বের করাতে লাভই হলো)
চাবিটা এনে তালা খুলে স্টোররুমে ঢুকলাম। জানিনা কিসের জন্য এই রুমে এসেছি, এখানে আদৌ কিছু পাবো কিনা কে জানে। সারারুমে শুধু ভাঙাচোরা জিনিস আর ধুলো তো ফ্রি আছেই। হঠাৎ রুমের এক কোণে চোখ পড়লো, একটা ট্রাংক রাখা আছে ওখানে। আমার কাছে যে চাবিগুলো আছে ওগুলো এই ট্রাংক এর হবে।
ট্রাংক খুলে দেখলাম একটা প্যাকেট এর মধ্যে কি যেন খুব যত্ন করে রাখা। এইটা তো বিয়ের বেনারসি কিন্তু কার বেনারসি এইটা..? দুটু কানের দোল, আর কিছু ছবি ছাড়া আর কিছু নেই। এই ছবি গুলোতেও দাগ পড়ে গেছে তাও অনেকটা বুঝা যাচ্ছে কিন্তু ছবিতে তো মাত্র চারজন, মানে আব্বু আম্মু ডাক্তারবাবু আর হিয়া। কিন্তু ওরা তো তিন ভাই এক বোন তাহলে ভাইয়া আর অয়ন এর ছবি কোথায়..? একটা ছবি পেলাম আব্বু আম্মুর বিয়ের। তারমানে এই বেনারসি আম্মুর। একটা জিনিস তো স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, কাব্য মুখে যতোই আব্বু আম্মুকে ঘৃণা করুক না কেন মন থেকে খুব ভালোবাসে নাহলে কি এতো যত্ন করে সবকিছু আগলে রাখতো। কিন্তু আর কিছুই তো পেলাম না। এখন বুঝবো কিভাবে ওদের মধ্যে রাগ অভিমান কেন আর উনারা এখন আছেনই বা কোথায়…?
সারাদিন হতাশার মধ্যে কাটালাম, কোনো কিছুইতেই ভেবে পাচ্ছি না কিছু। কি যে করি…
কাব্য: তিলো (দরজায় তাকিয়ে দেখি কাব্য এসেছে, সেই সকালে বেড়িয়ে এই সন্ধ্যা বেলায় ফিরার সময় হলো)
কাব্য: জানি রেগে আছ সরি, আসলে অয়ন জোর করে ঘুরতে নিয়ে গেছিলো।
আমি: হুম।
কাব্য: সরি তো।
আমি: ঘুরতে সারাদিন লাগে বাসায় যে বউ আছে সেটা ভুলে…
কাব্য: ভুলিনি, আসলে ঘুরতে যাইনি একটা মেয়ের খুঁজ নিতে গিয়েছিলাম।
আমি: কি..?
কাব্য: এতো রেগে যাচ্ছ কেন আমি যাইনি অয়ন আমাকে নিয়ে গিয়েছিল।
আমি: বাহ্ ছোট ভাই প্রেম করার জন্য মেয়ের খুঁজ নিতে যায় আর বড় ভাই তাতে হেল্প করে।
কাব্য: আমার ভাই যদি মেয়েটাকে নিয়ে সুখে থাকতে পারে তাহলে হেল্প করবো না কেন..? অয়ন আর হিয়ার জন্যই তো এতোকিছু ওরা ভালো না থাকলে ফারাবী আর আমিও ভালো থাকতে পারবো না।
আমি: খুব ভালোবাসেন ওদের তাই না..?
কাব্য: হুম ওরাই তো আমার সব আর এখন তো আর একজন এসেছে।
আমি: কে..?
কাব্য: আমার তিলো পাগলী।
আমি: কি করছেন ছাড়ুন।
কাব্য: চুপ। (কাব্য আমাকে জরিয়ে ধরে আমার গলায় বুকে ওর নাক ঘসছে)
আমি: ডাক্তারবাবু দরজা কিন্তু খুলা যে কেউ চলে আসতে পারে।
কাব্য: আসুক তাতে আমার কি, আমি তো আমার বউ কে আদর করছি।
আমি: সত্যি আপনার কিছুনা।
কাব্য: আবার আপনি আপনি শুরু করেছ..?
আমি: আচ্ছা আর আপনি বলবো না এখন ছাড়ো।
কাব্য: না।
আমি: ভাবি তুমি (এমনভাবে বললাম যেন সত্যি ভাবি এসেছেন, কাব্য আমাকে ছেড়ে দিয়ে দূরে চলে গেলো)
আমি: কি কেউ আসলে তো আপনার কিছু না তাহলে এখন ছাড়লেন কেন..?
কাব্য: দূরে গিয়ে কথা বলছ কেন, ফাজি মেয়ে আবার কাছে পাই তখন বুঝাবো। (দৌড়ে নিচে চলে আসলাম)
ভাবি আর বুয়া রান্না করছে আমারো ইচ্ছে হচ্ছে কাজ করি কিন্তু ওরা তো কোনো কাজই করতে দেয় না।
আমি: ভাবি আমি তোমাকে হেল্প করি।
ভাবি: হেল্প করার জন্য বুয়া আছে।
আমি: বুয়া কেন করবে আমি আছি তো।
বুয়া: কি যে কও আমি থাকতে তুমি নতুন বউ অইয়া কাম করবা কেন। (রাগে চলে আসতে চাইলাম দেখি ড্রয়িংরুমে কাব্য বসা। এই ফাজিল এর কাছে তো যাওয়া যাবে না তাই কিচেনেই দাঁড়িয়ে রইলাম)
কাব্য: বুয়া দেখে যাও। (বুয়া যেতেই কি যেন বলে উপরে পাঠিয়ে দিলো, আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখেই চোখ টিপ দিলো, কি ফাজিল)
কাব্য: ভাবি ফারাবী তোমাকে সেই কখন থেকে ডাকছে তুমি এখনো যাওনি।
ভাবি: কি বলো..?
কাব্য: হ্যাঁ তাড়াতাড়ি যাও।
ভাবি: তিলোত্তমা এখানে একটু থাকিস তো।
আমি: আচ্ছা। (ভাবি রুমে চলে যেতেই কাব্য আমার কাছে এসে একটা হাসি দিলো)
কাব্য: কি মনে হয় চালাকি শুধু তুমি একা করতে পারো আমি পারিনা..?
আমি: কি করেছ..?
কাব্য: রুমে কিছু কাগজ ছিড়ে ফেলে এসেছি আর বুয়াকে সেটা পরিষ্কার করতে পাঠিয়েছি আর ভাবিকে মিথ্যে বলে রুমে পাঠালাম। (ও তো দেখছি আমার চেয়ে বড় চালাক)
কাব্য: এখন কি হবে তিলো পাগলী..?
আমি: ডাক্তারবাবু এইটা কিন্তু রান্নাঘর যে কেউ চলে আসবে।
কাব্য: বেডরুমে আদর করছিলাম ভালো লাগেনি চালাকি করে চলে এসেছ এখন…(কাব্য আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘাড়ে চুমু দিচ্ছে আর পেটে দুহাত দিয়ে চাপ দিচ্ছে)
ভাবি: এইযে এইটা কিচেন।
আমি: ছাড়ো (কাব্য’কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম ও হাসতে হাসতে চলে গেলো। ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, দ্যাত কি যে করে পাগলটা)
ভাবি: ওর এসবে রাগ করিস না বড্ড পাগল ছেলেটা।
আমি: আসলেই একটা পাগল।
রাতের খাবার খেয়ে সবাই বসে গল্প করছি কাব্য অনেক আগেই রুমে চলে গেছে। জানিনা কি হলো ওর মন খারাপ করে আছে। হঠাৎ গীটার এর টুংটাং শব্দ শুনতে পেলাম, মনে তো হচ্ছে ছাদ থেকে শব্দটা ভেসে আসছে।
আমি: ভাবি গীটার…
ভাইয়া: কাব্য বাজাচ্ছে।
আমি: ও গীটারও…
ভাবি: হুম কাব্য গীটার বাজাতে পারে, কাব্য অনেক ভালো গানও নাকি গায় কিন্তু কখনো ওর কন্ঠে গান শুনিনি।
ভাইয়া: আগে মাঝে মাঝে গান গাইতো এখন এসব ছেড়ে দিয়েছে শুধু…
আমি: কি ভাইয়া থেমে গেলে কেন..?
অয়ন: ভাইয়ার আম্মু আব্বুর কথা খুব বেশি মনে পড়লে গীটার নিয়ে বসে যায় আর গীটারে টুংটাং শব্দ তুলে।
ভাবি: ওর গীটারে সবসময় বিষাদের সুরই বাজে কখনো…
আমি: চিন্তা করোনা একদিন বিষাদের সুর কেটে সুখের সুর বাজবে ওর গীটারে।
ভাবি: কোথায় যাচ্ছিস..?
ভাবির কথার উত্তর না দিয়ে ছাদে চলে আসলাম।
কাব্য’র পিছনে এসে দাঁড়াতেই গীটার বাজানো বন্ধ করে দিলো। আমি ওর কাধে হাত রাখতেই গীটার রেখে উঠে আমার মুখোমুখি দাঁড়ালো।
কাব্য: নিষেধ করেছিলাম তো কেন করলে এইটা (আমি আবার কি করলাম ও এতো রেগে আছে কেন)
কাব্য: কথা বলছ না কেন বল আমি নিষেধ করার পরও তুমি স্টোররুমে গিয়েছিলে কেন…?
আমি: আআমমমি…
কাব্য: নিষেধ করার পরও তোমার সাহস কি করে হয় ওই রুমে যাওয়ার আর আমার মায়ের জিনিসপত্রে হাত দেওয়ার (অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ওর দিকে, এই প্রথম ওর মুখে মা ডাকটা শুনলাম। হয়তো রাগের বসে বলে ফেলেছে কিন্তু এটা তো সত্যি ও মুখে যতোই আম্মুকে ঘৃণা করুক মন থেকে ঠিকি ভালোবাসে)
কাব্য: তোমাকে আমি ভালোবাসি তাই ক্ষমা করে দিলাম আর কখনো ওই রুমে যাবে না বুঝেছ।
কাব্য কাঁদতে কাঁদতে নিচে চলে গেলো।
আমি এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে আছি। কখনো কাব্য’কে এতোটা রাগ করতে দেখিনি, এতোটা কাঁদতেও দেখিনি। আজ তো ও কান্নার জন্য আমাকে ধমক দিতে পারছিল না।
ভাইয়া: তিলোত্তমা (ডাক শুনে পিছনে তাকালাম, ভাইয়া এসেছেন)
ভাইয়া: ওর কথায় কিছু মনে করো না আমি সব শুনেছি, নিষেধ যখন করেছিল কেন স্টোররুমে গিয়েছিলে..?
আমি: স্টোররুমে তো তেমন কিছুই নেই শুধু একটা বেনারসি আর কিছু ছবি পেয়েছি।
ভাইয়া: এগুলোই কাব্য’র সব। বেনারসিটা দেখেই কাব্য ওর মায়ের অভাব পূরণ করে।
আমি: ওর মায়ের মানে..? তোমার মা না..? নাকি সবাই এক রকমভাবে রেগে আছ..?
ভাইয়া: কাব্য আর আমরা আপন ভাই না এমনকি আমাদের মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই।
আমি: মানে..?
ভাইয়া: তোমাকে আমি এসব বলছি শুনলে কাব্য রেগে যাবে। এসব শুনে কি করবে বাদ দাও।
আমি: না বাদ দিবো না আমি শুনতে চাই, আমি ওর কষ্ট দূর করতে চাই।
ভাইয়া: ওর কষ্ট দূর করতে হলে আগে ওর আব্বু আম্মুকে খুঁজে আনতে হবে, পারবে সেটা..? উনারা কোথায় আছেন বা বেঁচে আছেন কিনা আমরা কেউ জানিনা। আর বেচে থাকলে খুঁজে আনলেও কাব্য উনাদের কখনো ক্ষমা করবে না। তখন এই অশান্তির আগুনটা আরো বেড়ে যাবে। কাব্য তোমাকে নিয়ে অনেক ভালো আছে আর আমি চাই ও সবসময় এমন ভালো থাকুক তাই প্লিজ তুমি এসব নিয়ে আর কথা বলো না। কাব্য’কে ওর মতো করে থাকতে দাও।
ভাইয়া চলে গেলেন, আমি বোবার মতো দাঁড়িয়ে আছি। কোথায় খুঁজবো আমি আব্বু আম্মুকে আর কি করে খুঁজবো উনাদের তো আমি চিনিই না। যে আমাকে এতো ভালোবাসে যে আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে সেই ডাক্তারবাবুর কষ্ট কি তাহলে আমি দূর করতে পারবো না…?
চলবে😍