স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 Part – 33

0
306

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 33
____________________________

নাস্তা সেরে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
হঠাৎ মনে পড়ল ফারহান ভাইয়ার দেওয়া গিফট এর কথা।
তাড়াতাড়ি বেড থেকে উঠে গিয়ে কাবাড খুলে ব্যাগটি নিয়ে আসলাম।
ব্যাগটা খোলার জন্য মন উৎখুস করছে।
আবার কেমন যেন লাগছে ও।
চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে ব্যাগ টা খুলে ফেললাম।
ব্যাগ টা এতো গুছিয়ে সেট করা কেন।
ধ্যাত
কতো গুলো পার্ট এ ভাগ করা।
বড় পার্ট টাই হাতে নিলাম, কোনো মতে নিজেকে সামলে বক্স টা খুলে ফেললাম।
রেড কালারের সাথে ক্রিম কালারের কম্বিনেশন এর গ্রাউন।
উফফফ এতো সুন্দর কেন গ্রাউন টা আর অনেক বেশি সফট ও।
গ্রাউন টা জড়িয়ে ধরে গালে ছুঁইয়ে তারপর সাইটে রেখে দিলাম।
তাড়াতাড়ি করে অন্য প্যাক টা খুললাম।
বাহহহ এটার মধ্যে কসমেটিক্স আছে।
সুন্দর একজোড়া ইয়ারিং, একটা ব্যাচলাইট , রিং আর গলার জন্য ছোট্ট একটা পেনডেন্ট ।
পুরো বেস্ট কম্বিনেশন আহহহ ।
আর একটি প্যাক বাকি আছে, খোলার আগেই বুঝে গেলাম এটা জুতো।
প্যাক টা খুলতেই বের হলো রেড সেড করা ক্রিম কালারের হাই হিল জুতো।
সাথে কিছু স্টোন ও বসানে, আমার তো এখন নাচতে ইচ্ছে করছে।
উফফফ লোকটার চয়েজ এতো ভালো কেন।
সমস্ত টা গুছিয়ে বেডের সাইটে রেখে সাওয়ার নিতে চললাম।
সাওয়ার শেষ এ আজকে আর ছাদে রোদ পোহাতে গেলাম না।
কারন কিছুক্ষণ পর ই তো বরযাত্রী যেতে হবে।
কিছুক্ষণ মাথায় ট্রাওয়াল পেঁচিয়ে রাখলাম ।
তারপর হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল গুলো ভালো করে শুকিয়ে নিলাম।
শুকানো শেষ হতে না হতে রিমি , বৈশাখি , রাত্রি, আর শিলা এসে হাজির।
আমাকে কিছু না বলেই কোনো মতে টানতে টানতে অন্য রুমে বিউটিশিয়ান আপুর কাছে নিয়ে গেল।
গিয়ে দেখি মনিকা আপু ও আছে।
আজ যেহেতু ছয় জন সাজবো তাই তিন জন বিউটিশিয়ান আপু এসেছেন।

বেশ কিছুক্ষণ পর আমাদের সবার সাজ কমপ্লিট হয়ে গেল ।
আমাকে কেউ একটি বারের জন্য নিজেকে দেখতে ও দিলো না।
তার আগেই বরযাত্রীর তাড়াহুড়ো তে টেনে বের করে নিয়ে গেল।
আমরা কার এ করে যাবো না , কারন কারে যেতে গেলে সবাই একসাথে হৈ হুল্লর করতে পারবো না।
তাই পুরো একটা বাসে আমাদের বন্ধুরা , মনিকা আপুর বন্ধুরা আর ফারহান ভাইয়াদের বন্ধুরাই গেলাম।
বাসে উঠে একটা সিটে বসতেই কোথায় থেকে ফারহান ভাইয়া আমার পাশে এসে একদম গা ঘেঁষে বসে পড়লেন।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে আছি।
উনি কোথায় থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন।
রিমি টা ও হৈ হুল্লর করতে ব্যস্ত, কি আজব।
সবাই আমাকে ট্রেপ এ ফেলে কেন চলে যায়।
মুখ ঘুরিয়ে কোনো রকম বসে আছি, আর ফারহান ভাইয়া আমার গা ঘেঁষে ই বসে রইলেন।
এবার আমার অস্বস্তি ই হচ্ছে, বিরক্তি নিয়ে ওনার দিকে তাকাতেই চোখ জোড়া কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল।
ক্রিম কালারের শার্ট এর সাথে রেড কালারের শুট।
হাতে ব্যান্ড এর ওয়াচ চোখে কালো ফ্রেম এর সানগ্লাস ।
আর রেড কালারের সু , চুল গুলো সেট করা , কিছু চুল কপালে এসে পড়েছে।

কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থেকে শুকনো ঢোক গিলে নিলাম।
এমা আমি এমন বেহায়ার মতো ওনাকে দেখছি কেন।
হঠাৎ মনে পড়ল এই লোকটা আমার সাথে এতো মেচিং করে পড়ে কেন।
কেন রে ভাই তোকে কি আমি বলেছি আমার সাথে মেচ করে পড়তে।
আজকাল এই লোকটা আমাকে বেশ অস্বস্তি তে ফেলে দেয়।
লোকে কি সব ভাববে , আমার আর ওনার সাথে নাহহ না এটা হবে না।
ধ্যাত আমি যে কেন সব সময় আজে বাজে চিন্তা করি।

সব ভাবনাকে ছাড়িয়ে বাস থামলো তার গন্তব্যে ।
পা টা বেশ ব্যথা হয়ে আছে, বাস থেকে নামার সময় পা যেন নড়ছিলোই না।
তার উপর হাই হিল , সবাই একে একে নেমে গেলে ও আমি পারছিলাম না।
পা দুটো একদম অবশ হয়ে আছে।
ফারহান ভাইয়া গাড়ি থেকে প্রথমেই নেমে গিয়েছিলেন।
হঠাৎ করে ওনি গাড়িতে আবার উঠে পরলেন।
আমি ওনার দিকে অসহায় দৃষ্টি তে চেয়ে আছি।
এই বুঝি এসে কসিয়ে ঠাপ্পর দিবেন, বাস থেকে না নামার জন্য ।
কিন্তু ওনি আমার কাছে এসে ঠাপ্পর না দিয়ে পাশের সিটে হেলান দিয়ে বসে রইলেন।
আমি অবাকের চরম পর্যায়ে অবস্থান করলাম।
কিছুক্ষণ চেষ্টা করে ও হাঁটতে পারছিলাম না।
ফারহান ভাইয়া কিছু না বলেই আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
আমি ব্যালেন্স ঠিক রাখতে গলা জড়িয়ে ধরলাম।
আজকাল ওনার সব কিছু ই কেমন যেন।
বুঝতে পারি না আমি, কি আজব।
কেউ দেখলে কি সব ভেবে নিবে , ওনার কোনো আইডিয়া আছে।
গাড়ি থেকে আমাকে কোলে করে নেমে পরতেই আমি বিশ্ব জয় করে প্রশ্ন করে ফেললাম ।
ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম
– কেউ দেখলে আজেবাজে কথা বলবে না?
আপনি আমাকে নামিয়ে দিন।

ফারহান ভাইয়া কিছু না বলেই আমাকে নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন।
আমি আবার বললাম
– সবাই কিহ ভাববে ।

ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললেন
– আমার যায় আসে না।
আমি কিছু ভুল করি নি , সো টেনশন নিবি না।

আমি আর কিছু বলতে পারলাম না।
এই টুকু বলতে পেরেছি এটাই অনেক।
আর কিছু বলতে গেলে কষিয়ে ঠাপ্পর না বসিয়ে দেন।

চুপচাপ ওনার কোলে চরেই রইলাম ।
উনি কমিনিউটি সেন্টারের ভেতরে না নিয়ে গিয়ে বাগানে নিয়ে আমাকে বেঞ্চে বসালেন।
তারপর আমার পা ধরে পা এপাশ ওপাশ করছিলেন।
উনি আমার পা ধরায় বেশ অস্বস্তি লাগছিল।
উনি বুঝতে পেরে বললেন
– তোর পা ধরায় অস্বস্তি বোধ করছিস কেন।
এটা তেমন কোনো আহামরি বিষয় না।
স্বাভাবিক হয়ে থাক, এই বলে মুচকি একটা হাসি দিলেন।

কিছুক্ষণ পর পা টা একদম ঠিক হয়ে গেল।
আমি উঠে চলে যেতে লাগলেই ফারহান ভাইয়া হেচকা টান মেরে আমাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন।
আমাকে কিছু বলতে না দিয়েই বললেন
– নিজেকে দেখেছিস আজ কে ?

আমি মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম
– নাহহহ।

ফারহান ভাইয়া মুচকি হাসলেন ।
তারপর আমার হাত ধরে কিছুটা দূরে নিয়ে আসলেন।
আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে সামনে থাকা পর্দা টা ফেলে দিলেন।
পর্দা টা ফেলতেই বিশাল বড় আয়না চোখের সামনে ভেসে উঠলো।
আয়না তে দুজন কে দেখতে পেলাম।
কি সুন্দর লাগছে দুজন কে , ইচ্ছে হচ্ছে সারাজীবন এই দুজোন কে দেখে যাই।
এক ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম।
ফারহান ভাইয়া কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
– কি সুন্দর লাগছে না?

আমি আয়নার দিকে তাকাতেই লজ্জা পেয়ে গেলাম।
এমা এই সব আমি কি ভাবছিলাম।
এখানে তো ফারহান ভাইয়া আর আমি।
চোখ নামিয়ে নিতেই ফারহান ভাইয়া ঠোঁটের কোণে হাসি মেলে দিলেন।
ফারহান ভাইয়া আমাকে বললেন
– পা ঠিক আছে না ?

আমি মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম
– হুমম।

ফারহান ভাইয়া বললেন
– তো চল সবাই এলো বলে।
ফারহান ভাইয়ার সাথে চলে গেলাম।
কমিউনিটি সেন্টারের মেইন ডোরের কাছে যেতেই দেখলাম সবাই কে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
ফারহান ভাইয়ার বন্ধুরা আমার বান্ধবীরা , মনিকা আপুর বান্ধবী রা এক প্রকার মেয়ে পক্ষের সাথে ঝগড়া করে চলছে।
কিন্তু মেয়ে পক্ষ মানতে নারাজ, বর আসলেই নাকি ভেতরে যেতে হবে।
অগত্যা আমাদের বাইরেই দারিয়ে থাকতে হচ্ছে।
মেয়ে পক্ষের মেয়ে গুলো আমার ভাই গুলো কে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে।
কয়েকটা মেয়ে তো ফারহান ভাইয়ার দিক থেকে চোখ ই সরাচ্ছে না।
ফারহান ভাইয়ার পাশেই আমি আর রিমি দাড়িয়ে আছি।
মেয়ে গুলো ফারহান ভাইয়া কে ইমপ্রের্স করতে ব্যস্ত।
ফারহান ভাইয়া সৌজন্য মূলক হাসি ঠাট্টা করছে।
আমি এইসব নাটক দেখার জন্য আসি নি তাই ওনার পাশ থেকে একটু দূরে চলে আসলাম।
আসা মাত্র ই মিরন ভাইয়া এসে হাজির।
এসেই ঠাট্টা শুরু করে দিলো ।
– আরে বেয়াইন যে , তা আজকে তো উরে ই যাবে।

আমি কিছু না বলে সৌজন্য মূলক হাসি দিলাম।
আজববব

কিছুক্ষণের মধ্যেই চাচ্চু এসে পড়লেন।
চাচ্চু আসা মাত্র ই কনে পক্ষ স্প্রে দিয়ে বর্ষন শুরু করে দিলো।
ফারহান ভাইয়া আমাকে হালকা টান মেরে ওনার পেছনে নিয়ে নিলেন যার কারনে স্প্রে আমার গায়ে একটু ও লাগে নি।
এই দিকে সবার মেকআপ এর বারো টা বাজিয়ে দিয়েছে।
একেক জন তো পারে না শুধু জ্যান্ত গিলে খেতে।
আমি ফারহান ভাইয়ার পেছন থেকে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছি।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকাতেই মুখ চেপে হাসলাম।
তারপর বললাম
– ঠ্যাংস।

ফারহান ভাইয়া বললেন
– ইটস মাই প্লেজার মিসেস।

আমি ব্রু কুঁচকে বললাম
– মিসেস

ফারহান ভাইয়া হাসতে হাসতে আমার হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেলেন।

আমি কিভাবে মিসেস হতে পারি?
মেইবি ভুলে মেরে দিয়েছেন, আর এখন ভাব নিচ্ছেন।
ইসসস ঢং দেখলে আর বাঁচি না।

চাচ্চু কে বসানো হলো।
আর তার আশে পাশে আমরা সবাই তো আছি ই।
ফাজলামি করতেই করতেই হাঁপিয়ে গেছি।
বেশ মজা হলো , অবশ্য বেটা বজ্জাত হনুমান আমার পাশেই ছিলেন।
কিন্তু ওনি ও সবার সাথে হাসি ঠাট্টা করলেন।

একটা মেয়ে এসে তো
সরাসরি বলেই দিলো।
– হে বিয়াই সাহেব।
বাইকের সিট কি খালি আছে ?
তাহলে কি আমি এন্ট্রি নিতে পারবো?

সবাই ফারহান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন।
কি বলবে ফারহান সাহেব তা শোনার জন্য।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে একবার তাকিয়ে হালকা হেসে বিষ্ফোরন ফাটিয়ে দিলেন।
– আই হেফ গার্লফেন্ড ।
আমার চোখ গুলো তো রসগোল্লার আকার ধারণ করেছে।
কি সব বলছেন ওনি , আমার তো মাথা ঘুরছে।

সবাই ওহোহহহ বলে উঠলো।
রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়া কে চেপে ধরে বলল
– কিরে আমি জানি না কেন?
আর কে সে?

ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে বললেন
– তোর কাছে বলতে লজ্জা লাগে আফটার অল বলেই আর কিছু বললেন না।

রিফাত ভাইয়া ফারহান ভাইয়ার পিঠ চাপরে বলল
– ওকে সময়ের অপেক্ষায় রইলাম।

আর অন্য দিকে ঐ আপুটার অবস্থা দেখার মতো ছিল।
বেচারা দেখতে এতো সুন্দরী কিন্তু ফারহান ভাইয়া না করে দিল।

এটা দেখেই আমি হেসে যাচ্ছি।
কিন্তু মেয়ে গুলো নাম্বার ওয়ান ছ্যাছরা তা না হলে এখনো এভাবে পিছনে ঘুরঘুর করতো না আজব।

কোনে পক্ষ চাচ্চুর জুতো নিতে গেলেই আমি আর ফারহান ভাইয়া এক সাথে ধরে ফেললাম।
দুজনের চোখাচোখি হওয়াতে আমি লজ্জা পেয়ে জুতো
ছেড়ে দিলাম।
আর ফারহান ভাইয়া ও জুতো আলগা করে দেওয়াতে জুতো নিয়ে ওরা দিলো দৌড়।
সবাই ভ্যবলার মতো শুধু দেখলো।
তারপর জুতো নিয়ে আবার ঝগড়া।
সমস্ত হাসি ঠাট্টার মাধ্যমে চাচ্চুর বিয়ে কমপ্লিট হয়ে গেল।
আশ্চর্য হলে ও সত্য যে বিয়ে বাড়িতে কনে বিদায়ের সময় কেউ এক ফোটা কান্না ও করলো না।
উল্টো বর কনের সাথে সবাই নাচতে নাচতে হৈ হুল্লর করতে করতে বাড়িতে পৌছে গেলাম।
বাসায় এসে সবাই কাজে লেগে পরলাম।
কারন বাসর আমরাই সাজাবো , আলাদা লোক আনতে বারন করা হয়েছে।
কারন নিজেরা সাজালে বেশ মজা হয়।
সবাই মিলে হৈ হুল্লর করতে করতে বাসর সাজিয়ে ফেললাম।
কিন্তু ফারহান ভাইয়া সোফাতে বসে ফোন স্কল করছেন আর একটু পরপর আমায় ঝারি মারছেন।
এটা ঐ ভাবে না ঐ ভাবে কর,আরে ভাই এতোই যখন পারিস তো নিজে করে দেখা না।
অবশেষে বাসর সাজানো কমপ্লিট হলো।
বাসর সাজিয়ে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছি।
কারন এখন শরীরে শক্তি পাচ্ছি না।
ফারহান ভাইয়া আমার পাশে এসে বসে কতো গুলো বকা দিলেন।
আমি নাকি অসুস্থ , এই শরীর নিয়ে কেন এতো হৈ হুল্লর করি।
এক গাদা কথা শুনিয়ে দিলো।
আর আমার এতে প্রচন্ড মন খারাপ হলো।
বিয়ে বাড়িতে তো সবাই মজা করে, তাই কিছু না বলে চুপ করে রইলাম। ফারহান ভাইয়া আমার দিকে একটা ড্রাক চকলেট এগিয়ে দিয়ে
ফ্যালফ্যাল দৃষ্টি তে বলল
– সরি রে।

আমি ওনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলাম।
উনি বোকা বনে গেলেন আর কিছুক্ষণ পরে নিজে ও হেসে দিলেন।

________________________________

📌.
আমি আমার রিডার্স দের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
কারন আমি বলেছিলাম সমস্ত রিডার্স দের নাম দিবো।কিন্তু আমার প্রথম 3 পার্ট এর কমেন্ট থেকে রিডার্স দের নাম কালেক্ট করতে গিয়েই 1 ঘন্টা পার হয়ে গেছে।
তাই 32 পার্ট থেকে কালেক্ট করতে গেলে কতোটা সময় লাগবে ভাবুন।
তাই আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত । আর তাছাড়া এর মাঝে অনেক এর নাম বাদ চলে গেতো। যার ফলে সেইসব রিডার্স রা মনে দুঃখ পেতো।
নাম মেনশন করে ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে এমন টা নয় ।
আমার সমস্ত রিডার্স দের জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে ভালোবাসা রইলো।
আর আবারো দুঃখিত আমি।

📌.
Nisha Hasan Nira আপু বলেছিলেন যে ফারহান কে জেলাসি তে দেখতে চান।
তাই আমি এর পূর্বের পার্ট টা ফারহান কে জেলাসি দেখানোর চেষ্টা করেছি।
আসলে ঐ ভাবে জেলাস দেখাতে পারি নি কারন ফারাবি র মনে ভালোবাসা নিয়ে অনুভূতি এখনো জাগে নি।
এখন যদি অন্য কারো প্রতি ওকে দুর্বল দেখাতাম তাহলে গল্প টাই ঘুরে যেত।
আর ফারাবি চরিত্র টি সবার কাছে একটু হলে ও বিষাক্ত হয়ে উঠতো।

সব কিছুর জন্য ই আমি দুঃখিত । সকলের প্রতি ভালোবাসা রইলো।

( আসসালামুআলাই রির্ডাস । আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে কমেন্ট এ জানাবেন প্লিজ । আর আমার দিক টা বুঝে পাশে থাকবেন।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ ফলো দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here