#স্বপ্নের_প্রেয়সী_সিজন_2
#ফাতেমা_তুজ
#part_11
#post_time_রাত_12_30
বেশ অনেক দিন পর কলেজ যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ফারাবি। summer vacation এর ছুটি শেষ হয়ে গেছে। কলেজ এ ফাস্ট ইয়ার টা বেশ ভালো গেলে ও সেকেন্ড ইয়ার টা বেশ যন্ত্রণা দিচ্ছে।
ফাস্ট ইয়ারে কোনো রকম পড়াশোনা করেই কাটিয়েছে, কিন্তু সেকেন্ড ইয়ারে এসে প্রচন্ড চাপ খাচ্ছে।
ভ্যাকেশনের ছুটিতে বইয়ের পাতা ও খুলে দেখে নি ওহ।কি করেই বা দেখবে ?
সেকেন্ড ডের ছুটি থেকেই তো ফারহান এসে হাজির।
দশ টা দিন টেনশনে টেনশনেই কাটিয়ে দিয়েছে। ইসস কি যন্ত্রণা , নিশ্চয় রসায়ন স্যার কান ধরিয়ে রাখবেন।
ব্যাটা বুড়ো বড্ড ডেঞ্জারাস। এই দামরা ছেলে পুলেদের কান ধরে দাঁড়া করিয়ে রাখে ।
ইসস পুরো ক্লাসের সামনে কি লজ্জা টাই না পেতে হয়। সাথে যদি ফোরন দিতে সিনিয়র আর জুনিয়র দের কেবলা হাসি থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
ফারাবি ক্লান্তি ঝেরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেল্ট ঠিক করতে লাগলো।
ইসস কলেজের চল্লিশ চত্তরে ও আউট ড্রেস এলাউ নাহহ কি যন্ত্রণা।
অথচ আজকাল বড় বড় কলেজ ভারসিটি তে দেখা যাচ্ছে আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো আছে তো, তাহলেই একদম পারফেক্ট ।
নো ঝঞ্ঝাট নো ঝামেলা, লাইফ ইজ ঝিঙ্গালালা।
ফারাবি কাঁধে কলেজ ব্যাগ নিয়ে করিডর দিয়ে নিচে চলে আসলো।
ফারাবির মা ব্রেডে জেলি লাগাতে লাগাতে বললেন
_ বস নাস্তা দিচ্ছি।
ফারাবি থমথমে মেজাজে চেয়ার টেনে বসলো।
কোথা থেকে ঝরের বেগে রিফাত এসে ফারাবির মাথায় গাট্টা মেরে দিলো।
ফারাবি ভ্রু কুঁচকে থেকে বলল
_ মাথা ঠিক আছে নাকি পাবনা তে কল করে সিট খালি করতে বলবো ?
রিফাত সবুজ আপেল টা তে বড় করে কামড় বসিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে বলল
_ তোকে এতো কষ্ট করতে হবে নাহহ।
আমার একটা মাত্র আদরের ছোট বোন তুই।
তোর জন্য পাবনার সিট টা আমি ই ভাঁড়া করে দিবো।টেনশন নিছ নাহহহ
ফারাবি মুখ উচিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি রিফাত থামিয়ে দিয়ে লজ্জা হাসলো।
গ্লাসে ফলের জুস ঢালতে ঢালতে বলল
_ থ্যাংক ইউ বলতে হবে নাহহহ আর।
বড় ভাই তোর এই টুকু রেসপন্স তো আছেই।
ফারাবি কাঁদো কাঁদো মুখ করে চেঁচিয়ে বলল
_ বড় মাহহহ ।
মুহুর্তের মাঝে খুন্তি হাতে রিফাতের মা এসে হাজির।
ফারাবি ভ্যাগা ভ্যাগা মুখ করে আদুরে কন্ঠে বলল
_ দেখো নাহহহ তোমার পাজি ছেলে আমাকে পাবনা পাঠাবে বলছে।
রিফাত এক গাল হাসতেই কানে টান পরে ওর।
ফারাবি হাসি হাসি মুখ করে ঝরা কন্ঠে বলল
_ বড় আব্বু তুমি। ওয়াও কখন এসেছো ?
_ দাঁড়া আগে এই হাঁদা টাকে শায়েস্তা করে নিইই।
রিফাত ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইলো। এখন নিশ্চয়ই বেচারা কে ধোলাই দিবেন ওনি।
ফারাবি রিফাত কে ভেঙ্চি কেটে চেয়ার থেকে উঠে রিফাতের বাবা কে জড়িয়ে ধরলো। রিফাতের বাবা এক গাল হাসতেই ফারাবি বলল
_ ওর কথা ছাড়ো তো। পাবনা থেকে কুড়িয়ে এনে একদম ই ঠিক করো নি তোমরা।
সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। রিফাত দাঁতে দাত চেপে বলল
_ ফাজিল মেয়ে তোকে তো আমি
এই টুকু বলেই ঘাড় ঘুরিয়ে আশে পাশে চোখ বুলালো। ডিবাইন থেকে কুশন নিয়ে ছুঁড়ে মারলো।
ফারাবি ক্যাঁচ ধরে নিয়ে বলল
_ ফারাবি আফনান আমি হুহহ। আমার সাথে লাগতে এসো নাহহহ।
বলেই ডোন্ট কেয়ার স্মাইল দিলো। রিফাত ভ্যবলার মতো তাকিয়ে রইলো।
*
কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ফারহান।
জনবহুল পূর্ন এক বস্তির কাছে যাওয়াই এই রাস্তার মূল উদ্দেশ্য।
ভোর বেলা রওনা হয়েছে আর এখন নয়টা বাজে।
এতো চিপাচাপা রাস্তার আর অলি গলির জন্য এক ঘন্টার পথ তিন ঘন্টা লেগে গেছে।
এখন আধ ঘন্টা ধরে হেঁটে যাচ্ছে।
চারিদিকে ব্রিশ্রি নোংরা , থেকে থেকেই কলকারখানার ময়লার স্তূপ। ফারহানের দম বন্ধ হয়ে আসছে। তপ্ত রোদ্দুরে মাথা থেকে কপাল বেয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরে যাচ্ছে।
পকেট থেকে রুমাল বের করে ঘাম মুছে নিলো ওহহ।
সামনেই একটা ময়লা পুকুরের ডোবা। সেখান থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কিছু টা দূর থেকেই সেই গন্ধ টা ফারহানের ঘ্রান ইন্দ্রিয় পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
অসহ্য হয়ে ফারহান মাস্ক পরে নিলো। তবু ও কিছু টা গন্ধ নাকে এসে লাগছে।
অথচ বস্তির মানুষ গুলো স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে যাচ্ছে।
আসলেই মানুষ অভ্যাসের দাস।
অভ্যাস মানুষ কে কি না করতে শেখায়।
ফারহান ফোঁস করে শ্বাস ফেলল।
মাস্ক এর উপর হাত চাঁপা দিয়ে আগাতে লাগলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বস্তিতে পৌছে গেল।
বস্তিতে এসে রায়হান আর রাফি কে কল করলো।
রায়হান আর রাফি বললো তাঁরা এক ঘন্টার মধ্যে সবাই কে নিয়ে চলে আসবে।
ফারহান ঘন্টা খানেক মনোযোগ দিয়ে পুরো বস্তি ঘুরলো।
ছিন্নমূল মানুষ গুলো বস্তির আনাচে কানাচে পরে আছে।
গাদা গাদি করে সবাই এক সাথে বাস করছে।
এতো শত নোংরা ওদের মন কে ছুঁতে পারছে নাহহ।
প্রাণোচ্ছল ভাবেই চলছে ওরা। ফারহান তপ্ত শ্বাস ফেলল। বস্তির বাচ্চা গুলো যেন ভুত দেখার মতো চমকে আছে।
শুট বুট সান গ্লাস পরা চকচকে রঙের সাহেবের দেখা এই বস্তি তে মিলার কথা নাহহহ।
আশে পাশের অনেক মানুষ ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে।
কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন করার সাহস পাচ্ছে না।
ঘন্টা খানেক হলে ও রায়হান রা আসলো না।
বোধহয় জ্যামে আটকে আছে , ফারহান দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাঠের পাশে ছোট্ট কাঠের বেঞ্চ টা তে বসলো।
পাশেই চায়ের ছোট্ট একটা দোকান।
ফারহান চা অর্ডার করতেই দোকানী চা দিয়ে গেলেন।
গাঢ় লাল রঙের রঙ চা , সাথে কুঁচি করে কাঁটা লেবুর টুকরো।
চায়ের কাঁপে চুমুক দিতেই মন ভরে উঠলো ওর।
টঙ্গের দোকানের চা গুলোর অদ্ভুত স্বাদ হয়। একটু হাইজিন মেইনটেন্ট করতে পারলেই হতো।
ফারহান ঘন শ্বাস ফেলল। ফারাবির কথা ভাবতে লাগলো ওহহ।
সকালে ফারাবিদের বাসাতে গিয়েছিলো , কিন্তু ফারাবি তখন ঘুম থেকে উঠে নিহ।
না উঠার ই কথা, কারন ভোর ছয় টা বাজে তখন।
তাই দেখা হয় নি , ভেতর থেকে এক ফালি শ্বাস এসে ভর করলো ওকে।
দোকানী ধীর গতিতে এগিয়ে এসে ভীত কন্ঠে বলল
_ সাহেব আপনে ঠিক আছেন ?
দোকানীর কথা তে মাথা উঁচু করে তাকালো ওহহ।
দোকানীর বয়স সত্তর কাছাকাছি। এই বয়সে এসে ও কতো সুন্দর চা বানান ওনি।
দোকানী আবার ডাক দিলো। ফারহান অপ্রস্তুত হেসে বলল
_ আপনি খুব সুন্দর চা বানান দাদা, স্বাদ টা অপূর্ব।
ফারহানের মুখে এতো টা প্রশংসা আর দাদা বলে ডাক শুনতেই চোখ ছলছল করে উঠলো ওনার।
কাঁধে থাকা গামছা টা দিয়ে চোখ মুছে নিয়ে বলল
_ ধন্যবাদ সাহেব।
ফারহান তপ্ত হেসে বলল
_ সাহেব বলবেন না দাদা। কেমন কেমন যেন লাগে।
বৃদ্ধ বিচলিত চোখে তাকালো। স্বচ্ছ হেসে ফারহান বলল
_ আপনাকে দাদা বলে ডাকলাম আমি, আপনি না হয় দাদাজান বলে ডাকবেন।
কৃতঙ্গতায় ভরে উঠলো বৃদ্ধর চোখ।
ফারহান শান্ত স্বরে বলল
_ পাশে বসুন দাদা।
বৃদ্ধ বসলো , ফারহান বলল
_ কে কে আছে আপনার পরিবারে ?
_ এখন তো, আমার বউ আর আমি ই আছি। পোলা ছিল দুইটা, একজন চাকরি করে আর অন্যজন বিদেশ থাকে।
আমাদের দেখার সময় কোথায়।
নিঃসংকোচে জবাব তার। ফারহান খানিক টা অবাক হলো। বৃদ্ধর মুখে স্পষ্ট শুদ্ধ ভাষা।
ফারহানের দিকে তাকিয়ে এক গাল হেসে বৃদ্ধ উঠে গেল।
কাস্টমার এসেছে তার ,চায়ের কাপ টা বেঞ্চে রেখে ফোন হাতে নিয়ে নাম্বার ডায়াল করলো ফারহান।
একবার বাজার পর ফোন রিসিপ হলো নাহহ।
ফারহান ভ্রু কুঁচকে তাকালো আরেক বার কল দেওয়ার পর ও রিসিপ হলো নাহ।
ক্লান্তির নিশ্বাস ফেলে ম্যাসেজ দিলো ফারহান। কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই ফোন বেজে উঠলো ওর।
ফারহান সরস হাসলো , এই মেয়েটা সোজা কথা শোনার মানুষ নাহহ।
ফোন রিসিপ করেই ফারহান বলল
_ কয়েকটা কথা বলবো জাস্ট। একটা ও যেন মিস না হয়।
ওপাশ থেকে কোনো উত্তর এলো নাহহ।
ফারহান উত্তরের আশা না করেই বলল
_ আমি বরাবর ই রগচটা জানিস তো। তবে এতো টা ও বাজে নই যে তোর স্বাধীনতা কে বেঁধে রাখবো।
তবে ছেড়ে ও দিবো সেটা ও কিন্তু নাহহ। ছেলে বন্ধু হাজার টা থাকলে ও অসুবিধা নেই আমার। শুধু মাথায় রাখবি চরিত্রের দোষ আছে এমন ছেলের ধারে কাছে ও যাবি নাহহ।
আর তোদের আই সিটির নতুন টিচার টা যে এসেছে তার সামনে যেন ভুলে ও না দেখি।
ফারাবি ভ্রু কুঁচকে নিয়ে রগরগা মেজাজে বলল
_ কেন ? কি হয়েছে ? ওনি তো খুব ভালো , ইনফেক্ট প্রজেক্ট সলভ করতে হেল্প ও করবে বলেছেন।
ফারহান শান্ত কন্ঠে বলল
_ যাহ বলেছি তাই করবি। প্রজেক্ট সলভ করতে আমি হেল্প করবো।
ওকে
বলেই ফারহান ফোন রেখে দিলো। টেবিলের উপর ঝটকা মেরে ফোন টা ফেলল ফারাবি। এই মানুষ টা সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি করে। ফারাবি সে দিকে পাত্তা না দিয়ে পড়া তে মন দিলো।
*
তিন ঘন্টা আলোচনার পর ঠিক হলো বস্তিতে মডেল প্রজেক্ট করা সম্ভব সেটা ও এক বছরের মধ্যে ই সম্ভব।
ফারহান বুক ভরে শ্বাস নিলো। পাঁচ জন বিজন্যাস ম্যান এর সাথে ডিল সাইন করেছে ফারহান।
পুরো বস্তি টার রোল মডেল ই পাল্টে দিবে ওহহ।
বস্তির যে পাশে ময়লার স্তূপ, ডোবা সব ভরাট করে ফেলবে।
সরকার থেকে পারমিশন নিয়ে বস্তি ভেঙে বড় বড় দালান করা হবে।
বস্তি তে থাকা প্রতি টি পরিবার কে এক টা করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। কল কারখানার ময়লা ফেলার জন্য বড় হাউস করা হবে আর সেই সব আর্বজনা দিয়ে বিভিন্ন রকম সার তৈরি হবে।
এতে করে বস্তির মানুষ দের কর্মসংস্থান ও হয়ে যাবে।
স্কুল করে দেওয়া হবে , একটা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও করা হবে সাথে পার্ক।
সব মিলিয়ে পরিবেশ টা কে ই বদলে হাই লেভেল করে ফেলবে।
একজন ডিলার ফারহানের সাথে হাত মিলিয়ে বলল
_ ইউ আর গ্রেট মিস্টার ফারহান। হোয়াট এন আইডিয়া। বস্তির মানুষ গুলোর জীবন পাল্টে যাবে সাথে আমাদের ও প্রফিট হবে।
ফারহান স্মিত হাসলো। বড় দালান করা হলে , কয়েক টা বিল্ডিং এই সবার বাসস্থান হয়ে যাবে।
আর প্রচুর ভবন থেকে যাবে যাহহ বিভিন্ন প্রজেক্ট ফ্ল্যাট আবাসিক স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
সব মিলিয়ে ভালো কিছু ই হবে।
ডিলার দের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বস্তি থেকে চলে আসলো ওহ।
বস্তির মানুষ গুলোর চোখ চক চক করে উঠলো।
তারা বিশ্বাস করতে পারছে নাহ বহুতল ভবনে তাদের ও নিজস্ব স্থান হবে।
*
সব কাজ কমপ্লিট করে বাড়িতে ফিরতে রাত হয়ে গেল ফারহানের।
ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে গা এলাতেই বুকের ভেতর যন্ত্রণা হতে লাগলো।
ফারাবি কে দেখার জন্য মন আকু পাকু করতে লাগলো।
কিন্তু এভাবে এতো রিক্স নিয়ে বার বার যাওয়া যাবে নাহহ।
এতে করে বিষয় টা ঘেঁটে যেতে পারে।
ঘুম আসছে নাহহ ওর। ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে থেকে ও শান্তি লাগছে নাহহহ
চাঁদ টা নিভু নিভু , বোধহয় আকাশে মেঘ করেছে।
লম্বা দম ফেলে ব্যলকনি থেকে বের হয়ে আসলো ফারহান।
ছাঁদে যাওয়া প্রয়োজন , কারন এখন সে সুখ টান দিতে যাচ্ছে।
ফারহান তাচ্ছিল্য হেসে ছাঁদের দিকে রওনা হলো।
প্রেয়সীর যন্ত্রণা লাঘম করেতেই সিগারেট নামক মহামারি তে প্রথম সুখ টান দিয়েছিলো ওহহ।
প্রায় সময় এলকোহলে ও ডুবে থাকতো।
কারন তখন ওর ইচ্ছে হতো ছুটে চলে আসতে।
এক রাশ অভিমান রাগ আর ক্ষোভ আর পরিস্থিতির কারনে আসতে পারে নি ওহহহ।
সিগারেটে সুখ টান দিয়ে অধর কোনে তাচ্ছিল্য ফুটিয়ে পেছন ঘুরতেই মুখ টা একটু খানি হয়ে গেল ওর।
তপ্ত শ্বাস ফেলে , ভীত কন্ঠে বলল
_ ফারাবি তুই এখানে।
**প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে আমার । ভুল হলে দয়া করে বুঝে নিবেন ।
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
চলবে