অব্যক্ত_প্রিয়তমা #ফাতেমা_তুজ #part_8

0
147

#অব্যক্ত_প্রিয়তমা
#ফাতেমা_তুজ
#part_8

” অবহেলায় মানুষ ভাসে তবু ও কেন যায় তাঁর ই খোঁজে ?
আপন হয়ে ও হয় না আপন। দূরে ঠেলে দিতে পারলেই মঙ্গল । ”

লাইন দুটো লিখে উঠে দাঁড়ালো অনিন্দিতা । দুদিন বাদেই নবীনবরন। নির্ভীকের সাথে যেতে চাইলে ও যাওয়া হবে না। চারুলতা কে পরিষ্কার বারন করে দিয়েছে। তাঁর নাকি কি কাজ আছে তাই আগে যেতে হবে। চোখের জলে ডায়েরীর পাতা ভিজে। চারুলতার ডাক কানে আসতেই চোখ মুছে নেয় ।
কাঁপা স্বর কে যথাসম্ভব পরিবর্তন করে হাক ছেড়ে বলল
_ আসছি আন্টি।

চারুলতা টেবিল সাজাচ্ছেন। অনিন্দিতা ডাইনিং এ এসে বলল
_ হ্যাঁ আন্টি বলো।

_ তোর ফোন অফ কেন ?

_ ফোন অফ ?

_ ওমা তোর ফোন আর তুই জানিস না। আরশাদ ভাই কয়েক বার ফোন করেছেন সুইচ অফ পেয়েছেন। তাই তো আমাকে ফোন করলেন। নে ধর কথা বল।

ফোন টা নিয়ে একটু দূরে আসলো। ওর ফোন সুইচ অফ হয়ে গেছে খেয়াল ই নেই। থাকবে কি করে সারা দিন নির্ভীকের ঘরে উঁকি ঝুঁকি দিতে দিতেই তো সময় পেরিয়ে যায়।

_ এই অনি ।

_ হ্যাঁ আন্টি বলো।

_ দাঁড়িয়ে আছিস কেন ? ফোন টা কর।

_ হুমমম

ফোনে নাম্বার ডায়াল করে কল লাগালো। দু বার রিং হতেই রিসিভ হলো।
_ কেমন আছো আব্বু ?

_ ভালো রে মা। তুই কেমন আছিস ?

_ ভালো। ভারসিটি তে চান্স পেয়ে গেছি।

_ শুনেছি। যাক কষ্টের ফল তো পেলি।

অনিন্দিতা একটু হাসলো। ফল কি আদৌ সে পেয়েছে ?
আরশাদের সাথে গসিপ ভাঙে নির্ভীকের আগমনে । ফুল হাতা টি শার্ট পরে এদিকেই আসছে। বোধহয় ডিনার করবে।
অনিন্দিতা দ্রুত কথা শেষ করলো । এক প্রকার জোর করেই কল কাটলো।

_ আম্মু ফাস্ট খাবার দাও তো।

_ অনি এই অনি একটু এদিকে আয় তো মা।

চারুলতার ডাকে ছুটে যায় অনিন্দিতা। এক বোল তরকারি হাতে দিয়ে চুলায় মনোযোগ দেন চারুলতা। অনিন্দিতা শুধায়
_ এগুলো কি করবো আন্টি ?

_ একটু কষ্ট করে সবাই কে সার্ভ করে দে না মা। চুলায় ক্ষীর বসিয়েছি ।

অনিন্দিতা মাথা কাত করে সম্মতি জানায়। আড়চোখে নির্ভীক তা দেখছিলো। কেউ না থাকলে অবশ্যই উঠে যেত। এখন উঠা সম্ভব নয়। তাই দাঁতে দাঁত চেপে বসে রইলো।
নির্ভীক স্থির হয়ে বসে থাকায় চকচক করে উঠলো চোখ। আনন্দে চোখ দুটো ছলছল করছে।
একটা ছোট বাটিতে তরকারি বেড়ে নিয়ে নির্ভীকের প্লেটের কাছে রাখে।
কিছু না বলেই খাওয়ায় মনোযোগ হয় নির্ভীক। আর প্রান ভরে দেখে মেয়েটা। এটা যে তাঁর স্বপ্ন। নির্ভীক কে নিজ হাতে পরিবেশন করে খাওয়াবে।
এই যে ছোট ছোট ভালোবাসা সব তো নির্ভীকের জন্য জমিয়ে রাখা। নির্ভীক কি কখনো বুঝবে না এই ভালোবাসা ? নাকি কালের আবর্তনে হারিয়ে যাবে , বহু থেকে বহু দূরে।

_ অনি তুমি ও বসে পরো।

_ আন্টি আসলে না হয়

_ কোন কথা নয় এখনি বসো।

নিহালের কথা তে অস্বস্তি নিয়েই বসে পরে। পাশের চেয়ারে বসাতে যেন নির্ভীকের আত্মা কেঁপে উঠলো। দ্রুত গিলতে লাগলো ।
বিষয় টা খেয়াল করলো অনিন্দিতা। এক বুক কষ্ট নিয়ে বলল
_ আমি একটু রুম থেকে আসছি।

*

ভ্যাপসা গরমে ফ্যান অফ করে রেখেছে অনিন্দিতা। রুমে টেম্পারেচার কন্ট্রোলের ব্যবস্থা থাকলে ও তা গ্রহন করছে না সে। কারন তাঁর প্রিয় মানুষ টি বাসার সামনের ছোট্ট বাগানের রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে আছে। কারন হিসেবে নিজেকেই দায়ী মনে হচ্ছে। হয়তো ভেবেছে ডয়িং রুমেই বসে আছে অনিন্দিতা। আর অনিন্দিতার মুখোমুখি হতে চায় না নির্ভীক। সাধারন মানুষ বলে ও কি গন্য করে না তাঁকে ?
যন্ত্রনায় বুক ফাঁটা আর্তনাদ আসতে চায়। লুটিয়ে পরে মেঝে তে। সাপের মতো পাক খেতে থাকে। কোথাও যাওয়া প্রয়োজন। যেখানে চিৎকার করে বলা যাবে
” আমি আপনাকে ভালোবাসি নির্ভীক ” যেখানে হৃদয় ছিন্নভিন্ন হওয়া হা হা কার নিবারন করা যাবে। মনের শান্তি মিলবে। ঘড়ির কাঁটা ঢং ঢং করে বেজে উঠলো। কাছের মসজিদ থেকে সুমধুর আজান ভেসে আসছে। নিজেকে ঠিক ঠাক করে মাথায় ঘোমটা টেনে উরু হয়ে বসে সে। ততক্ষণে চারুলতার ডাক পরে গেছে। অন্যমনস্ক হওয়ায় সে ডাক তাঁর কর্নপাত হয় নি। চারুলতা জবাব না পেয়ে ছুটে এসেছেন অনিন্দিতার ঘরে। পিঠে হাত বুলিয়ে পাশে বসলেন । অনিন্দিতা পেছন ঘুরে তাকাতেই বললেন
_ কি রে মা কি এতো ভাবছিস? চান্স তো পেয়েই গেছিস তাহলে কিসের চিন্তা।

_ আমার কিছু ভালো লাগে না আন্টি। দূরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করে। সব কেমন ধোঁয়াশা। রুদ্ধদ্বার খুলে কোথায় যাওয়া যায় বলো তো ?

_ দূর বোকা,কি সব বলে যাচ্ছিস ? আমি তো জানতাম আমাদের অনি খুব স্ট্রং, বুদ্ধিমতী, অধিক এটিটিউট সম্পূর্ন।

অনিন্দিতা উত্তর দেয় না। সন্তপর্নে চারুলতার বুকে মাথা রাখে। কষ্ট হচ্ছে খুব। নির্ভীকের দেওয়া দূরত্ব ভেতর টাকে ধুমরে মুচরে দিচ্ছে।
নির্ভীকের ডাক ভেসে আসে। চারুলতা উঠে দাঁড়ান । যাওয়ার আগে বললেন
_ অনি গোসল করে নে। এক সাথে লাঞ্চ করবো ।

_ কিন্তু

_ ওমা এখানে কিন্তু কিসের ? নির্ভীক টা বিকেলে বের হবে যেন কোথাও। ওর সাথে ঘুরে আসবি। নিহাল তো সকাল থেকেই লাপাত্তা।

অনিন্দিতার চোখ মুখ শক্ত হয়ে যায়। ভেতরের ভালোলাগা টা প্রকাশ করতে পারছে না। হঠাৎ ই মনে হয় নির্ভীক তাকে নিবে না।

নির্ভীকের প্লেটে খাবার বেরে দিচ্ছে চারুলতা। তখনি উপস্থিত হয় অনিন্দিতা। ভেজা চুল পিঠময় ছড়িয়ে আছে মুখে নেই কোনো প্রসাধনী। যে কারো নজর কাড়তে সক্ষম। চারুলতা তো বলে ই ফেললেন ” সুন্দরী কন্যা।”
নির্ভীক কথার পৃষ্ঠে এক বার তাকিয়ে ছিলো। পরিশেষে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। একটুর জন্য হলে ও স্বস্তি পেল মেয়েটা। কারন নির্ভীক আজ উঠে চলে যায় নি। বরং সাধারন ভাবেই খাচ্ছে শুধু ওর দিকে তাকাচ্ছে না।
আজমাল অফিসে আছেন। লাঞ্চ টাইমে ফোন দেন রোজ , এখনো ফোন দিয়েছেন তাই দূরে সরে গেলেন চারুলতা। নির্ভীকের দিকে বার বার তাকাচ্ছে। অথচ নির্ভীকের হের ফের নেই। তাই খাওয়ার দিকে দৃষ্টি পাত করলো সে। হঠাৎ ভেসে আসলো চিরচেনা শীতল কন্ঠস্বর
_ অনিন্দিতা।

এই একটি কন্ঠ যে কারো মনে বসন্ত জাগিয়ে দিতে পারে তা বোধ হয় ভাবে নি ছেলেটা। মুখে খাবার থাকায় তালু তে উঠে যায়। দ্রুত পানি এগিয়ে দেয় নির্ভীক। একটু গাঢ় কন্ঠে বলে
_ এতো অমনোযোগী কেন। বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটাবেন নিশ্চিত।

মাথা নিচু করে নেয় অনিন্দিতা। কান দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে। হঠাৎ কেন লজ্জা লাগছে ?

_ অনিন্দিতা শুনুন।

প্রচন্ড অবাক হয়ে তুতলে যায় অনিন্দিতা। চোখ দুটো গোল আকার ধারন করেছে। নির্ভীক একটু হাসে। এই প্রথম অনিন্দিতার মুখোমুখি হাসলো নির্ভীক। হঠাৎ এমন পরিবর্তন অনিন্দিতার অন্তকর্নে ব্যথা অনুভব করায়। কাঁপা ঠোঁটে বলে
_ জিই

_ একটা কথা বলি রাখবেন ?

_ হুমম বলুন।

সর্তক হয় নির্ভীক। একটু ঝুঁকে ফিসফিস করে বলল
_ আম্মু আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে বলেছে। আমি বারন করি নি। কারন এর ফলে আম্মু সন্দেহ করতে পারে। আপনি প্লিজ এক টা অজুহাত দেখিয়ে বলবেন যাবেন না।

_ আচ্ছা।

অনিন্দিতা খুশি মনেই উত্তর টা দেয়। কারন নির্ভীক এই প্রথম তাঁকে এভাবে ডেকেছে। হন্তদন্ত হয়ে আসেন চারুলতা। চোখে মুখে চিন্তার ছাঁপ ব্যগ্র হয়ে নির্ভীক বলে
_ কি হয়েছে আম্মু ?

_ তোর আন্টির শাশুড়ি অসুস্থ। হসপিটালে এডমিট আছেন। আমাকে এখনি যেতে হবে। ফিরতে রাত হবে। অনি কে ফেলে কোথাও যাস না।

_ আম্মু তুমি অনিন্দিতা কে সাথে নিয়ে যাও।

_ ওর শরীর টা ভালো নেই।

নির্ভীকের বিরক্তি দেখে অনিন্দিতা মুখ খুলে। আশ্বস্ত করে বলে
_ আন্টি আমি যেতে পারবো।

_ প্রয়োজন নেই। হসপিটালের ফিনাইলের গন্ধ তোর সহ্য হয় না। অসুস্থ হয়ে আরেক কান্ড রটে যাবে।

কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চারুলতা বেরিয়ে যায়। পিলারে ঘুসি মারে নির্ভীক। কেঁপে উঠে অনিন্দিতা, অস্ফুটন স্বরে বলে
_ নির্ভীক ভাইয়া

_ আপনার সাহায্যের প্রয়োজন নেই আমার। পাগল হয়ে যাবো আমি। কেন আপনি হীর দের সাথে গেলেন না ? এই দিকে আমার আম্মু এক আকাশ সমান বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে রেখেই চলে গেলেন।
ড্যাম ইট ,

মাথা নিচু করে নেয় অনিন্দিতা। প্রচন্ড ভয়ঙ্কর লাগছে নির্ভীককে। এতো টা চেঁচায় না নির্ভীক। আজ তাঁর বেশ পরিবর্তন ঘটেছে। তাই কিছু বলতে পারছে না মেয়েটা।
চেয়ারে বসে টেবিলে দু হাত রেখে মাথা ঠেকায় নির্ভীক। তপ্ত শ্বাস ফেলে অনিন্দিতা বলে
_ আমি আপনাকে বিশ্বাস করি নির্ভীক মাহতাব। আপনি আমাকে পছন্দ করেন না ঘৃনা করেন এটা ও মানি আর আমার সুযোগ নিবেন না এটা ও জানি।

_ বিশ্বাস রাখা ভালো না। আপনি ঘরে যান। আম্মু না আসা অব্দি বের হবেন না।

অনিন্দিতা ঘরে যায় না। ডয়িং রুমের সর্বশেষ ডিবাইনে বসে থাকে। হাতে তাঁর প্রিয় ডায়েরী টা। নির্ভীকের দিকে তাকিয়ে কতো গুলো প্রেমময় সংজ্ঞা লিখে।

.

” কি জ্ঞানে চলে গেলে আম্মু ? আমার কি কোনো বোন আছে বাসায়। অনিন্দিতা আর আমি পুরো ফ্ল্যাটে একা। যদি বাজে কোনো বিষয় হয়ে যায় ? ”

_ তুই আমার ছেলে নির্ভীক। ভরসা আছে তাই রেখে এসেছি।

_ ভরসা আছে , আমি সেটা পালন ওহ করবো। কিন্তু লোক জন কি ভাবতে পারে বলো তো ? অবিবাহিত ছেলে মেয়ে একি ফ্ল্যাটে তার উপর যুবক যুবতী। ভাবতে পারছো আম্মু, যে কোনো কেচ্ছা রটে যেতে পারে।
আমার কথা বাদ দাও অনিন্দিতার পরিস্থিতি তখন কি হবে বলে তো ?

চারুলতা একটু চিন্তিত হলেন। এ দিকে বৃষ্টির কারনে আসতে ও পারছেন না। মেঘের গর্জন চলছে , তবু ও বললেন
_ আমি এখনি আসছি, তুই অনিন্দিতার খেয়াল রাখিস।

ফোন রেখে মাথার চুল খামচে ধরে। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে।ডোরের কাছে ছায়া দেখতে পায়।নির্ভীকের ঘূর্ণন বুঝে লুকিয়ে পরে। তবু ও বলে
_ রুমে প্রবেশ করবেন না অনিন্দিতা। নিজের রুমে থাকতে বলেছিলাম এখানে কেন এসেছেন ?

_ আমি আসলে

_ আমাকে দেখতে এসেছেন দেখা হয়ে গেছে, এবার চলে যান।

ভঙ্গুর হৃদয় নিয়ে চলে যায় অনিন্দিতা। মন কষ্ট যেন মাথায় এসে চেপেছে। ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে প্রতি টা শিরা। এলোমেলো পায়ে কিচেনের দিকে পথ আগায়।

মাত্র ই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলো নির্ভীক। তখনি ভেসে আসে অনিন্দিতার চিৎকার। এক সেকেন্ড দেরি করে না দৌড়ে যায় কিচেনের দিকে। হাত চেপে ধরে নিজেকে দমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে মেয়েটা। তবে ফোসকা পরে যাওয়া হাত টা জ্বালা দিচ্ছে খুব। চোখ থেকে না চাইতে জল গড়াচ্ছে।
_ অনিন্দিতা, কিচেনে কেন এসেছেন। দেখি কতো টা পুরে গেছে।
কি একটা অবস্থা করেছেন বলুন তো। পাগলামি করতে খুব ভালো পারেন। ইসস অনেক টা ফোসকা পরে গেছে।

অবাক চোখে তাকিয়ে আছে অনিন্দিতা। নির্ভীক তাঁর কষ্টে আফসোস করছে? এটা কি সত্যি?
_ আসুন তো।

অনিন্দিতার হাত ধরেই নিয়ে যায় নির্ভীক। ফার্স্ট এইড বক্স থেকে মলম নিয়ে নিজ হাতে লাগিয়ে দেয়। চোখে মুখে একটু চিন্তার রেখা। নিজের উদ্দীপনা দমাতে ব্যর্থ হয়ে অনিন্দিতা বলে
_ এই প্রথম আমার প্রতি ভালোবাসা দেখতে পেলাম।

_ এটা ভালোবাসা নয়। দায়িত্ব, আম্মু আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আপনার উটকো চিন্তা শক্তি বদলান।

_ সে যাই হোক আমার হাতে স্পর্শ লেগেছে আপনার। আমি তো হাজার বার হাতে ফোসকা ফেলতে রাজি।

_ পাগলামি কখনো কি যাবে না ? আমার আপনার দুজনের ই একটা ভবিষ্যত আছে। আপনি কি বিয়ের পর ও শশুর বাড়ি থেকে এসে এমন পাগলামি করবেন।

নির্ভীকের কথাতে চোখে পানি চিক চিক করছে । বুক ধুক করে উঠেছে। নয়নাভিরাম চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় মেয়েটা। কাঠ হয়ে যাওয়া ঠোঁট দুটো জ্বিভ দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে বলে
_ আমি আপনাকে বিয়ে করবো, তখন আপনি আমার নিজস্ব হয়ে যাবেন। প্রতি টা শিরা উপশিরায় থাকবে আপনার স্পর্শ। পুরো অঙ্গ জুড়ে থাকবে আপনার ভালোবাসা। একটু খানি স্পর্শ পাওয়ার জন্য পাগলামির প্রয়োজন হবে না।

অনিন্দিতার কথায় গা গুলিয়ে আসে নির্ভীকের। অনিন্দিতা নিজের মধ্য নেই। না হলে এই কথা গুলো নির্দ্বিধায় বলে দিতে পারতো না। রাগ হলে ও রাগ করে না ছেলেটা। যদি অনিন্দিতা বেঁকে বসে। উল্টো পাল্টো হয়ে জড়িয়ে ধরে। একটু ও বিশ্বাস নেই মেয়েটাকে। তাই শীতল কন্ঠেই বলে
_ আপনি ঠিক কোন পর্যায়ে চলে গেছেন অনিন্দিতা। সংযত হোন , যেখানে আপনার সাধারন স্পর্শ ও ইনফেক্ট দৃষ্টি ওহ আমি মেনে নিতে পারি না। সেখানে ফিজিক্যাল ইনভলভ ছিইইই , এ কি বাজে ইনটেনশন আপনার।

_ স্যরি। আমি সে সব মিন করতে চাই নি। শুধু বোঝাতে চেয়েছি আপনি আমার কতো টা আপন।আমি আপনাকে ঠিক কতোটা

অনিন্দিতা কথা শেষ করতে পারে না। হাত উঁচিয়ে বাঁধা দেয় নির্ভীক , তারপর বলে
_ আমি রাগ দেখাচ্ছি না বলে ভাববেন না আপনার প্রতি মায়া হয়েছে আমার। নেহাত ই বাসায় কেউ নেই। দয়া করে বাজে ইনটেনশন গুলো বন্ধ করুন। আমার ঘৃনা হচ্ছে।

অনিন্দিতা কিছু বলে না। নির্ভীক তাকে অবজ্ঞাই করে যাবে। তাঁর চাঁদ কখনোই তাঁর হবে না। হঠাৎ আকাশে মেঘের গর্জন শোনা যায়। অনিন্দিতা জানে নির্ভীক নাকোচ করে দিবে তবু ওহ বলে
_ আমার ইচ্ছে ছিলো আপনার কাঁধে মাথা রেখে বৃষ্টির খেলা দেখবো। আর সাথে থাকবে ধোঁয়া উঠা কফি। আমার ইচ্ছে টার ছিটে ফোঁটা কি পূরন করবেন ?

[ ফেসবুকের সমস্যার কারনে গল্প পোস্ট হচ্ছে না। ]

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here