অর্ধ_নক্ষত্র ।৩১। #লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

0
119

#অর্ধ_নক্ষত্র ।৩১।
#লেখনীতে_Aiza_Islam_Hayati

“লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরাফ রয় এর মেয়ে ইন্সপেক্টর জুনায়না লাইবা আমি,আমার মধ্যে সাহস তো থাকবেই বটে।আমার বাবা কখনও পিছু হটে যাওয়া শেখায়নি আমায় তাহলে আপনি কী করে আসা করেন যে আপনি বললেই আমি কেস থেকে সরে আসবো?”

এডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ তন্ময় তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে আছে দাম্ভিক ইন্সপেক্টর জুনায়নার দিকে।সে বসা থেকে উঠে দাড়ালো নিজের হাতে থাকা একটি খাম সামনের টেবিলে রেখে বলল,”এতই যখন সাহস আপনার তো শুনুন,এই কেস নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আপনাকে সাসপেন্ড করা হবে ইন্সপেক্টর জুনায়না লাইবা।”,বলে বড় বড় কদম ফেলে বেরিয়ে গেলো তন্ময়।

জুনায়না দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো,চোখ বন্ধ করে বার কয়েক শ্বাস নিলো অতঃপর চোখ খুলল ফিরে চাইলো ,তন্ময়ের প্রস্থান এর দিকে চেয়ে বলল,”মিস্টার তন্ময় আপনি আমাকে চেনেন না।দেশদ্রোহীর স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই।এই জুনায়না সাসপেন্ড হতে রাজি কিন্তু এর আগে আসল আসামিদের এই গারদের ভিতর এনেই ছাড়বে।এর পূর্বেই সাসপেন্ড হয়ে গেলে ওদের শাস্তি গারদ নয় বরং নিজ হাতে মরণ লেখি দিবো ওদের।”

.
নিজের বিয়ের দিনেও থানায় উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেয়া হলো জুনায়না ও মেহরাকে।এডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ ফোন করে জুনায়না ও মেহরাকে থানায় আসতে বলেছিলো।জুনায়নার মাথায় রাগ চড়ে যায়।সে বার বার বলছে আজ সে কী করে যাবে আজ তো তার আর মেহরার বিয়ে।কিন্তু এডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ তন্ময় কোনো কথাই শুনলো না জুনায়না আসলো কিন্তু মেহরাকে সাথে আনলো না।মেহরাকে আসতে বারণ করে সে নিজেই এসেছিল।

জুনায়না আসতেই তন্ময় শুধায়,সে যেনো আসিফ এর সঙ্গে জড়িত আসামিদের ইনভেস্টিগেশন,গ্রেফতার থেকে শুরু করে পুরো কেসটা থেকে যেনো সরে আসে।জুনায়না সরে আসলে কেসটার ধামা চাপা দিয়ে দেয়া হবে।

..
জুনায়না থানা থেকে বেরিয়ে এলো।রিকশা খুঁজছে সে।পকেট থেকে ফোন বের করে আরশমানকে ফোন করলো,বার কয়েক রিং হয়ে ঐপাশ থেকে ফোন রিসিভ করে ব্যাস্ত কণ্ঠে আরশমান বলল,”কীরে জুনায়না তুই কোথায়?”

জুনায়না শুরু করলো তার কথার বুলি,এডিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ তন্ময়ের বলা প্রত্যেকটি কথা আরশমানকে বলল।আরশমান সকল কিছু শ্রবণ করার পর বলল,”জুনায়না কেসটা রহস্যে ভরা।বড় বড় পদের মানুষজন জড়িয়ে আছে এতে।তুই যাদের গ্রেফতার করেছিস তাদের মুখ খুলেছে?”

“নাহ মরে যাবে মুখ খুলবে না,শালার একেকটা হারামী। ইচ্ছে তো করে সঙ্গে সঙ্গে শু’ট করে মে’রে ফেলি এদের।”

আরশমান হাঁসলো বলল,”কুল জুনায়না রানি।তুই তোর পেশার জন্য মারতে না পারিস আমি তো পারবো।একে একে সবগুলোকে কীভাবে মারি তুই শুধু দেখ।ওদের লাশ টাকে চেনার মত অবস্থা রাখবো না।”

জুনায়না মৃদু হাঁসলো বলল,”তুই কী ওদের মে’রে ফেলেছিস?”

“তোর কী মনে হয় ওরা আমার প্রাণের দিকে নজর দিয়েছে,মেহরাকে মরার সুযোগ খুঁজছিল ওরা আর আমি কিনা ওদের বেঁচে থাকার মত অবস্থায় রাখবো।”

..
মেহরাকে সাজানো হচ্ছে বধূ সাজে।জাহরা,মায়া মিলে সাজাচ্ছে মেহরাকে।মেহরা স্থির দৃষ্টিতে আয়নায় তার প্রতিচ্ছবির পানে চেয়ে আছে।সে তো কখনও ভাবেই’নি সাফওয়ান ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের জন্য তাকে বধূ সাজে সজ্জিত হতে হবে।

পূর্বের স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বুকের বা দিকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে মেহরার, মস্তিষ্ক থেকে পূর্বের স্মৃতিগুলো’ও তো মুছে ফেলা যায় না।এত সবের মাঝেও তা মস্তিষ্কে এসে কোনো না কোনো মুহূর্তে হানা দিবে।স্মৃতিগুলো ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।

ঘরের দরজা শব্দ করে ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে মাহিদ।মোলায়েম কণ্ঠে মেয়েকে ডেকে,”মা।”

মেহরা উঠে দাড়ায় ফিরে চায় বাবার দিকে।ধীর পায়ে হেঁটে মাহিদ এর সম্মুখে গিয়ে দাড়ায় নিজে থেকেই জড়িয়ে ধরে মাহিদকে।মাহিদ মেয়ের কপালে অদূরে ছোঁয়া এক দেয় বলে,”আমার মেহরা মায়ের বিয়ের দিন তবে চলেই এলো।তোর মনে আছে ছোট্টটি থাকতে তুই বলতি বিয়ের সময় মেয়েরা কেনো কাদে বাবা,আমি তো একদম কাঁদবো না বরং নাচতে নাচতে বরের সঙ্গে বিয়ে করে চলে যাবো।”

মেহরা ফিক করে হেসে দিলো তার কন্ঠ ভেজা।মাহিদ হাত বুলিয়ে দিলো মেয়ের মাথায় মোলায়েম কণ্ঠে বলল,”পুরোনো সকল কিছু ভুলে এখন নিজের বর্তমানকে নিয়ে ভাবো মা।আরশমান তোমাকে শিখে রাখবে আমি জানি।তুমি একদিন আমাকে এসে বলবে বাবা আরশমান লোকটা আমার জন্য খারাপ না।”

মেহরা চুপ করে রইলো।সে তো অবগত আরশমান খারাপ নয়,আরশমান ভালোবাসে তাকে।

মায়া এগিয়ে এলো মেহরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো বলল,”আমি জানি যে আমার থেকেও বেশি তোর বাবা তোকে ভালোবাসে।আমি বকা দেই বলে যে ভালোবাসি না তা কিন্তু নয়।”

মেহরা হেঁসে ফেললো দুই বাহুর মাঝে জড়িয়ে ধরলো বাবা মাকে।জাহরা গাল ফুলালো বলল,”ভালোই আমার দিকে তাকাচ্ছে না কেউ।”

মেহরা হেঁসে পিছন চাইলো হাত বাড়িয়ে বলল,”তুই তো আমার ছোট্টটি।আয় জলদি পাগলী।”

জাহরা দৌড়ে গেলো জড়িয়ে ধরলো বোনকে।

ঘরের দরজা ফাঁক ছিলো বাইরে দাড়িয়ে পরিবারের এই সুন্দর মুহুর্তটুকু মুগ্ধ নয়নে চেয়ে দেখলো জুনায়না।সে সবেই এসেছে।জুনায়না গলা খাঁকারি দিলো বলল,”আমাকেও কী তোমাদের ভালোবাসার মাঝে জয়েন করা যায়।”

চারজন ফিরে চাইলো জুনায়নার দিকে,একসঙ্গে বলে উঠলো,”কেনো নয়।”

জুনায়না অমায়িক হাঁসলো এগিয়ে এসে সকলকে এক সাথে জড়িয়ে ধরলো।মুগ্ধ কণ্ঠে শুধলো,”তোমাদের এই ভালোবাসায় নজর না লাগুক করো।খুব সুন্দর একটি পরিবার তোমাদের।”

মায়া হাঁসলো জুনায়নাকে বলল,”হম লাগবে না নজর,এইবার তুমিও বসো সক শুরু করো।বড় পক্ষ এসে পড়বে যে।”

জুনায়না ছেড়ে দিলো সকলকে সৌজন্যে হেসে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।

.
আরুই,ইমান আগেই চলে এসেছে।জুনায়না বসেছে সাজতে।তার সাজ মাঝ পথে।মেহরা পাশেই বসে দেখছে জুনায়নার সাজ। আরুইকে ধরে ধরে মেহরার
ঘরে নিয়ে এসেছে ইমান।তার মুখে অন্য রকম চিন্তার ছাপ বার বার ধমকে যাচ্ছে আরুই কে।মেহরা আরুই ও ইমানকে ঘরে প্রবেশ করতে দেখে চকিতে চায়।আরুই মেহরাকে পুরোটা দেখে নেয় মিষ্টি করে হাঁসে,ইমান এর হাত ছেড়ে দিয়ে এগিয়ে আসে মেহরার দিকে।জুনায়না লক্ষ্য করে আরুইকে।সে সাজ ছেড়ে উঠে আরুইর হাত আঁকড়ে ধরে বলে,”আপুই তুমি!”

আরুই চমৎকার হাঁসে।মেহরা হাঁসির দিকে চেয়ে থেকে বিড়বিড় করে বলে,”পুরোই আরশমান এর মতো অমায়িক হাঁসি মেয়েটার।চেহারায়’ও অনেকটা মিল।”

জুনায়না মেহরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,”মেহরা ইনি হচ্ছে আরশমান এর বড় বোন।”

মেহরা বিছানা ছেড়ে নেমে আসে নম্র হেঁসে বলে,”আমি আপনাকে চিনতে পারিনি আপু। আম সরি।”

আরুই ঠোঁটের কোণে হাঁসি বজায় রেখে হাত বাড়িয়ে মেহরার থুতনি ধরে বলে,”ওরেহ আমার আরশমান এর মিষ্টি বউ।তোমার ছবি দেখেছিলাম আমি, আরশমান এর কাছ থেকে অনেক কথা শুনেছিলাম তোমার। পুরোই বিড়ালের ছানার মত দেখতে তুমি।”

মেহরা লজ্জা পেলো।বিড়বিড় করলো,”এরা যে ভাই বোন কোনো সন্দেহ নেই।ভাইও আমাকে বিড়াল ছানা বলে বোনও আমাকে বিড়াল ছানা বলে।কী যে পেয়েছে এরা।”

ইমান পিছন থেকে জুনায়নাকে সতর্ক করে বলল,”আপু আরুইকে ধরে একটু বিছানায় নিয়ে বসান প্লিজ।”

মেহরা আরুইর এক বাহু ধরলো,জুনায়না মেহরা মিলে আরুইকে বিছানায় নিয়ে বসিয়ে দিলো।আরুই হেঁসে বলে,”আরেহ আমি হাঁটতে পারি ভাই।তোমরা ওর কথা শুনে আমাকে বিছানায় ধরে ধরে এনে বসালে।”

ইমান ভরাট কণ্ঠে বলল,”আমার কথাই শুনবে ওরা।তুমি যে আট মাসের অন্তঃসত্তা মাথায় আছে তোমার,তার মধ্যে তোমার শরীর খারাপ কয়েকদিন যাবৎ।তবুও নাছোড়বান্দা যে বিয়ে খাবেই তুমি।”

“তো ভাই তো আমার একটা বিয়ে কী খাবো না আমি।”

“নাহ,বেঁচে থাকলে আরও বিয়ে খেতে পারবে প্রয়োজন পড়লে আবার বিয়ে দিবো শালা বাবুকে তখন নাহয় খেয়েও।”

মেহরা তড়িৎ গতিতে চাইলো ইমান এর পানে।আবার বিয়ে দিবে মানে?

ইমান মেহরার দিকে চাইলো হেঁসে বলল,”ইয়ে মানে আবার মানে,আবার মেহরার সঙ্গেই বিয়ে দিবো তখন বিয়ে খেয়েও।”

আরুই মিটমিট করে হাঁসলো।হাঁসির ইতি টেনে জুনায়নাকে দেখলো বলল,”আরেহ জানু রানি এখনও তৈরি হওনি,বর যে চলে এলো।”

আরুই কথাটা বলতে দেরী হলো না নিচ থেকে শব্দ এলো একাধিক গাড়ির,সঙ্গে শব্দ কর্ণে ভেসে এলো,”বর এসেছে।”

“বর এসেছে।” শব্দটি আরুইর কর্ণে ভেসে আসতেই সে প্রফুল্ল হেঁসে বলে,”ওয় হয় আমার দুই ভাই এসেছে তাদের বউ নিতে।”ইমান হাঁসলো নিজের বউকে এমন করতে দেখে।

..
একাধিক গাড়ি এসে থেমেছে ভেনিউর পার্কিং সাইডে।প্রশান্ত,আরশমান গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।নিয়ম কানুন মেনে দুই বরকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।

ফাইজ তো নিয়ম দেখে বড়ই অবাক।বউ নিতে এসেছে এর জন্য’ও তাকে টাকা দিতে হবে নাকি?সে ভেবে নিয়েছে তার বিয়ের সময় এমন হলে ভিতরে প্রবেশ করার দরকার নেই সে নিজের বউকে নিয়েই পালাবে।তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি জাহরার দিকে মাইয়া টা আজ তাদের ডাকাতের মতো পুরো লুটে নিয়েছে,এখন কেমন খিলখিল করে হাসছে।

ফাইজ বিড়বিড় করে বলে,”কেউ এইভাবে কাউকে ডাকাতি করতে পারে!আশ্চর্য সব।রাক্ষসী একটা।রাক্ষসীর মত লুটেছে আমার ভোলা ভালা দুই বন্ধুর টাকা।”

জাহরা চাইলো ফাইজ এর দিকে টাকা দিয়ে হাওয়া খেতে খেতে বলল,”বেয়াই টাকার হাওয়া খাবেন নাকি?”

ফাইজ বলে,”আমি হাওয়া খেতে এলে তোমাকে সহ ওই টাকা লুটে চলে যাবো।আসবো আমি?”

জাহরা টাকা গুলো দ্রুত ব্যাগে গুজে বলে,”ভাই তুই ঐদিকেই থাক এত হওয়া খাওয়া ভালো না।”

ফাইজ জাহরার থেকে দৃষ্টি সরালো, আরশমান প্রশান্তর দিকে চাইলো।দুজন গিয়ে নিজেদের বরাদ্দকৃত জায়গায় বসেছে।মেহরা ও জুনায়না এলেই
বিয়ের পর্ব আরম্ভ হবে।

ফাইজ অগ্রসর হলো,দুই বন্ধুর নিকট এসে দাড়ালো ভাবুক দৃষ্টিতে দুজনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,”তোরা দুজন এমন চুপ করে কেন আছিস?”

আরশমান,প্রশান্ত একসঙ্গে হেঁসে বলে,”বউকে বধূ রূপে দেখার অপেক্ষা আর করতে পারছি না।”

ফাইজ হাঁসলো বলল,”বউ পাগলা।যাইহোক বিয়ের পর বউয়ের ঝাড়ু,জুতা,বেলুনের বাড়ি খেয়ে তখন কী ফিলিংস হয় অবশ্যই আমাকে জনাবি।”

আরশমান,প্রশান্ত এক সঙ্গে বলে,”এইসব মাইর আমাদের কপালে নেই তাই তোকে ফিলিংস সম্পর্কে বলতে পারবো না তুই বরং তার প্র্যাকটিক্যালি দেখার জন্য নিজে একটা বিয়ে করে নে।”

ফাইজ এর হাঁসি উবে যায় সে বলে,”আমারে কি সুখে থাকতে ভুতে আইসা ক্যালানি দিলো নাকি যে সব রেখে বিয়ে করতে যাবো আমি।”

ফাইজ এর কথার মাঝে পিছন থেকে মেয়েলী কণ্ঠে ভেসে আসে,”এইযে ফাজিল সাহেব একটু পিছন ফিরে তাকান।”

ফাইজ পিছন ফিরে চাইলো।জাহরা দাড়িয়ে তাঁর ঠোঁটের কোণে চমৎকার হাঁসি।ফাইজ সেই হাঁসির দিকে সন্দিহান চোখে চেয়ে বলল,”সমস্যা কী?”

জাহরা চোখে ইশারা করে ফাইজকে পুনরায় আরশমান প্রশান্তর দিকে চাইতে বলে।ফাইজ জাহারার দৃষ্টি অনুসরণ করে চায় আরশমান,প্রশান্তর দিকে।ততক্ষণে আরশমান,প্রশান্ত চেঁচিয়ে বলে ওঠে,”আরেহ মেয়েরা তোমরা আমাদের জুতো নিলে কেনো?”

ফাইজ এর ঠোঁট দুটো আলগা হয়ে মুখ হাঁ হয়ে যায় সে বলে,”আরেহ জুতা চোর জুতা চুরি করেছে তোদের।আবার লুটবে ভালো করে।ফকির বানিয়ে ছেড়ে দেবো তোদের।বউ পাস না পাস কিন্তু ভিক্ষুকের খেতাব পেয়ে আজ বাড়ি যাবি।”

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here