#Your_psychoPart_09+10
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
ইয়াশকে দেখে রশ্নির হাত আলগা হয়ে আসলো,
আর কাব্য ওখানেই পরে গেল।
কাব্য: আউচ্!
কাব্য যে ব্যাথা পেয়েছে সেদিকে রশ্নির কোনো খেয়াল নেই।
ওর মাথায় শুধু একটা লাইনই ঘুরছে “যান বাঁচানো ফরজ”।
এদিকে ইয়াশ রাগ করার বদলে উল্টো মুচকি হেসে দাঁড়িয়ে আছে।
কিন্তু এই হাসিটা যে তার জন্য না সেটা খুব ভালো করেই রশ্নি বুঝতে পারছে।
তাহলে ইয়াশ কাকে দেখে হাসছে?
রশ্নি পিছনে ঘুরে দেখার আগেই কোথাথেকে একটা মেয়ে দৌড়ে এসে ইয়াশকে জড়িয়ে ধরলো।
আর ইয়াশও মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরলো।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে ইয়াশ মেয়েটাকে দেখে ভীষন খুশি।
কিছুক্ষন পর ইয়াশ নিজেই মেয়েটাকে সরিয়ে দার করলো।
ইয়াশ: কেমন আছো নোভা?
(এই নোভাকে রশ্নি চিনে, শুভার ফ্রেন্ড কিন্তু রশ্নির সমবয়সী
একবার ওদের বাড়িতে এসেছিল, তখন থেকেই ইয়াশের সাথে চিপকে থাকে।)
নোভা: আমি ভালো আছি, তুমি কেমন আছো সুইটহার্ট?
রশ্নি: সুইটহার্ট?😱
এইটা তো নীল ভাইয়া আমাকে বলে ডাকে😭
— (মনে মনে)
ইয়াশের সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর ওদের চোখ পড়ে বাকিদের উপর।
নোভা গিয়ে এবার রশ্নির সামনে দাঁড়ালো।
নোভা: তুমি রশ্নি না?
ও এম জি কত্ত বড় হয়ে গিয়েছ।
রশ্নি: আমরা না সেইম এজ?🙄
নোভা: হোয়াটেভার বড় তো হয়ে গিয়েছোই।
রশ্নি: হ্যা বেকার বসে ছিলাম তো ভাবলাম একটু বড় হয়ে যাই।
নোভা: হা হা হা হাও ফানি,
বলে রশ্নির কাঁধে একটা হালকা করে ধাক্কা মারলো।
রশ্নিও এমনিই হেহে করে মিথ্যা হেসে দিলো।
নোভা: এই কাব্য তুমি কেমন আছো?
কাব্য: জি ভালো।
নোভা: কিছু খাও না নাকি? পুরো হ্যাংলা মাছের মতো লাগছে,,,, বলে আবার সেই উগান্ডার হাসি দেওয়া শুরু করলো।
রশ্নি: হ্যাংলা নামেরও কোনো মাছ আছে?😅
শুভা: এখানে এসে দেখি তুই আমাকেই ভুলে গেলি?
নোভা: তোর সাথে তো রোজই কথা হয়।
কিন্তু ইয়াশ এত বছর পর দেশে ফিরল ওর সাথে একটু আড্ডা মারবো না।
ইয়াশ তুমি চলো তো, তোমার সাথে আজ অনেক কথা আছে।
বলে ইয়াশএর হাত ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে ওর রুমে চলে গেল।
কিন্তু এই ব্যাপারটা রশ্নির মোটেও ভালো লাগছে না।
রশ্নি শুভার দিকে তাকিয়ে দেখে, ঐও রাগে কটমট করছে।
রশ্নি: হুহ এক পাগলের ভাত নাই আরেক পাগলের রপ্তানি –(মনে মনে)
রশ্নি বড় বড় কদম ফেলে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
যখন ওর মুড খারাপ হয় তখন অজানা উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
.
.
পরেরদিন ভার্সিটিতে——★
রশ্নি: উফ একটুর জন্য বেচে গেলাম, আর পাঁচ মিনিট লেইট হলে ওই নীল সাইকো টা আমার ঘাড় মটকে খেত।
রশ্নি এগুলো ভাবতে ভাবতে দৌড়ে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিল।
কিন্তু হঠাৎ ওর পা থেমে যায় সামনে ইয়াশ আর নোভাকে এক সাথে হেসে হেসে কথা বলতে দেখে।
ওরা দুজন একসাথেই ক্লাসের দিকে আসছে।
আর দুজনেই কোনো একটা ব্যাপার নিয়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
রশ্নি এর আগে ইয়াশকে কখনো এভাবে হাসতে দেখে নি, ওর সাথে তো না-ই।
রশ্নি ক্লাসে না গিয়ে দেয়ালের পিছনে লুকিয়ে ওদের লক্ষ করতে লাগলো।
হাটতে হাটতে ওরা ক্লাসের ভিতর চলে গেল।
রশ্নি বুঝতে পারছে না এখন ক্লাসে যাবে কি না।
বেশ কিছুক্ষণ পর নিজের মনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ক্লাসে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।
রশ্নি গিয়ে দেখে
ইয়াশ নোভাকে সবার সাথে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছে!
নোভা এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।
রশ্নি সনকচ
রশ্নি: মে আই কাম ইন স্যার?
ইয়াশ: তুমি ১০ মিনিট লেইট। এত দেরি করে কে ক্লাসে আসে? কোথায় ছিলে?
রশ্নি কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না!
রশ্নি: ইয়ে মানে…..স্যার ট্রাফিক ছিল।
ইয়াশ: ওহ রিয়েলি? “ট্রাফিক ছিল” বলে দিলেই হয়?
শুন এই কমন বাহানা টা অন্য কেও বিশ্বাস করলেও আমি করি না।
রশ্নি: স্যার সত্যিই ট্রাফিক ছিল।
ইয়াশ: ইজ দ্যাট মাই ফল্ট?
এবার রশ্নির সত্যি সত্যিই মাথা গরম হয়ে গেল, না আর কন্ট্রল করা যাবে না,,,,রাগের মাথায় বলেই
ফেলল: স্যার…. ডিড আই ব্লেইম ইউ?😒
সবাই: 😱😱😱
[সবাই shocks রশ্নি rocks🤣]
.
দের ঘন্টা পর——★
ইয়াশ: এই এই এই পা যেন একদম মাটিতে না লাগে।
রশ্নি: ভাইয়া প্লিজ সরি….আর কখনো এমন হবে না, মাফ করে দাও।😭
ইয়াশ: বেয়াদবি করার আগে মনে ছিল না?
এখন এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকো।
রশ্নি: ভাইয়া প্লিজ এবার তো ছেড়ে দাও, প্রায় এক ঘন্টার মতো এভাবে দাঁড়িয়ে আছি আর একটু এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি মাথা ঘুরে পরে যাবো।
ইয়াশ: নো মোর ওয়ার্ডস…নাহলে শাস্তি কিন্তু বেড়ে যাবে।
রশ্নি: 😭😭😭
ইয়াশ: চুপ
(ওই টাইমে ইয়াশের সাথে যে জবান চালিয়েছিল তারপর থেকে ইয়াশ ক্লাস শেষ করে ওকে নিজের ক্যাবিনে প্রায় পনে এক ঘন্টার মতো কানে ধরে ধরে এক পায় দার করিয়ে রেখেছে)
রশ্নি: ভাইয়া আমার পায় অনেক ব্যাথা কর…..
আর বলতে পারল না এর আগেই পরে যেতে নিলো,
তা দেখে ইয়াশ যেয়ে ওকে ধরে ফেলে।
ইয়াশ: তোমাকে দিয়ে কিছুই সম্ভব না।
রশ্নি: আপনি অনেক খারাপ😭😭
আমি আর আপনার সাথে কথা বলবো না। ছাড়ুন আমায়।
হঠাৎ দরজায় নক পরে—-★
★★নক নক★★
ইয়াশ: কে?
— ভাই আমি, রশ্নি কি তোমার সাথে আছে?
ইয়াশ কন্ঠটা শুনে বুঝতে পারে এটা তার নিজেরই ভাই কাব্য।
ইয়াশ এক ভ্রূ উঁচু করে বাঁকা হেসে রশ্নির দিকে তাকায়।
কাব্যর কন্ঠ শুনে রশ্নি উঠে যেতে নেয়,
দেখে ইয়াশ ওকে আরো জোরে চেপে নিজের সাথে চেপে ধরে।
ইয়াশ: আরেহ আরেহ, সুইটহার্ট কোথায় যাচ্ছ?
রশ্নি: আমি বাহিরে যাবো।
ইয়াশ: তাই
বলে ইয়াশ ওকে উঠিয়ে জানালার সামনে নিয়ে গেল তারপর ওর দুই হাত মুড়ে পিছনে নিয়ে জানালার পর্দা দিয়ে বেঁধে দিলো।
রশ্নি: এগুলা কেম……
রশ্নি কথা শেষ হওয়ার আগে ইয়াশ ওর মুখটায় বেঁধে দিলো।
তারপর ইয়াশ গিয়ে গেইট টা খুলে নিজের মাথাটুকু শুধু বের করলো।
ইয়াশ: হ্যা বল।
কাব্য: ভাইয়া রশ্নি আছে?
ইয়াশ: নেই।
বলে গেইট লাগিয়ে দিতে যাচ্ছিল দেখে কাব্য আবার ঠেলে দাঁড়ালো।
কাব্য: সবাই বললো তুমি নাকি ওকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছ? ওকে পুরো ভার্সিটিতেও খুযে পেলাম না তাই আর কি?
ইয়াশ: হ্যা নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু এখন নেই, কিছুক্ষন আগেই বেরিয়ে গিয়েছে।
কাব্য: কিন্তু আমি তো কোথাও পেলাম না!
ইয়াশ: আচ্ছা আমি না বুঝতে পারছি না, রশ্নিকে দিয়ে তোর কি কাজ?
কাব্য: ওর জন্য একটা গিফ্ট ছিল সেটা দেওয়ার জন্যই।
ইয়াশ লক্ষ করে দেখল কাব্যর হাতে একটা শপিং ব্যাগ।
ইয়াশ এক টানে ব্যাগ টা ওর হাত থেকে নিয়ে নিল।
ইয়াশ: তোর আর এক্সট্রা কষ্ট করতে হবে না আমিই ওকে গিফ্ট টা দিয়ে দিব।
বলে ঠাস করে গেইটটা লাগিয়ে দিল।
এবার গিয়ে রশ্নিকে মুক্ত করলো।
রশ্নি: আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে বেঁধে রাখার?
ইয়াশ: আমার সাহসের সাথে নিশ্চই তোমাকে আর নতুন করে পরিচিয় করাতে হবে না রাইট?
রশ্নি: কাব্য ভাইয়া কেন এসেছিল?
ইয়াশ: এটা দিতে!
বলে ইয়াশ শপিং ব্যাগ টা রশ্নির সামনে ধরলো।
রশ্নি: কি এটার ভিতর?
ইয়াশ খুলে দেখে একটা কালো রঙের ড্রেস।
রশ্নি: Awww ki cute…..😍
ইয়াশ: তোমার পছন্দ হয়েছে?
রশ্নি: হুম
রশ্নির উত্তর পেয়ে ইয়াশ ওর পকেট থেকে লাইটারটা বের করে করে ড্রেসটাতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরক্ষনেই তা পুড়ে ছাইও হয়ে যায়।
ঘটনার আকস্মিকে রশ্নির অবস্থা এই 👉(😲😧) ইমোজির ন্যায়।
রশ্নি: এটা আপনি কি করলেন।
ইয়াশ: তুমি যা দেখলে তাই।
রশ্নি: কিন্তু কেন?
ইয়াশ রশ্নিকে টেনে এনে নিজের কোলে বসিয়ে দিল।
ইয়াশ: তুমি কাব্যর দেওয়া জিনিষ ইউজ করবে না।
রশ্নি: আপনি নিজের ভাই এর সাথে এমন কেন করেন? আগের বারও যাওয়ার সময় শুধু মাত্র কাব্যর কারনে আপনি আমার সাথে অতটা নির্দয় হয়েছিলেন
— ইয়াশের কাছ থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে করতে বললো।
ইয়াশ: সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেও না।
রশ্নি: কেন চাইবো না? আমার সাথে কেন অমন টা হলো। আমারও তো জানার/জানতে চাওয়ার অধিকার আছে।
ইয়াশ: না নেই।
রশ্নি: হুহ আসল কথা হলো আপনি কাব্যর সাথে হিংসে করেন
ইয়াশ: শুন আমার মধ্যে এমন কিছুরই কমতি নেই যার জন্য আমার অন্য কাউকে দেখে হিংসে করতে হবে।
রশ্নি: অবশ্যই কমতি আছে আর সেটা হলো আপনার বিহেভিয়ারে, একটা মানুষ কতটা নির্দয় হলে এভাবে অন্য একটা মানুষের শরীরে ব্লেড দিয়ে কেটে নিজের নাম লিখতে পারে।
আমার এখন মনে আছে, কতটা ছটফট করছিলাম আমি,
নীল ভাইয়া ছেড়ে দাও প্লিজ, প্লিজ ছেড়ে দাও,
আমাকে মাফ করে দাও, আর কখনো এমন ভুল হবে না!
আপনার পায় পর্যন্ত পড়েছিলাম সেদিন তবুও আপনার হৃদয় একটু মায়া হয় নি।
কিন্তু এখন যদি আমার মনে আপনার জন্য কিছু থেকে থাকে সেটা হলো শুধু ঘৃণা, আমি ঘৃণা করি আপনাকে।
আই হে…….
রশ্নির কথা শেষ হওয়ার আগেই ইয়াশ ওর ঠোট দখল করে নিলো।
রশ্নি ভাবতেও পারেনি ইয়াশ ওর সাথে এমন কিছু করবে!
রশ্নির জীবনের এটা প্রথম চুম্বন,
এর আগে সে এগুলো জাস্ট টিভির পর্দাতেই দেখেছিল আর আজ তার সাথে হচ্ছে আর তার সাথেই যাকে সে সব থেকে বেশি ভয় পায়।
রশ্নি জাস্ট অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
কিছুক্ষন পর ইয়াশ ওকে ছেড়ে দেয়।
ইয়াশ: কি যেন বলছিলে?
উম….ইউ হেইট মি রাইট? হুহ….কিন্তু দেখো এখন তোমার প্রত্যেকটা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে আমার নিশ্বাস জড়িয়ে গিয়েছে।
এখন এদের আলাদা করতে পারবে তো সুইটহার্ট?
এতক্ষন রশ্নি থ মেরে বসে ছিল কিন্তু ইয়াশের কথা গুলো শুনে ওর আবার কান্না পাচ্ছে!
3…..2…..1……..আবার শুরু রশ্নির মরা কান্না।
রশ্নি: এ্যা এ্যা এ্যা…..😫
.
.#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_10
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
ইয়াশ রশ্নির গাল চেপে ধরলো।
ইয়াশ: চুপ!
রশ্নি কান্না থামিয়ে দিয়েছে ঠিকই কিন্তু পুরা মাঝ লাল হয়ে আছে।
ঠোঁট উল্টে ইয়াশের দিকে তাকিয়ে আছে।
ইয়াশ: দেখো তোমায় খুব সুন্দর করে বুঝাচ্ছি, কাব্যর সাথে মিশবে না আর নাই ওর দেওয়া কিছু ইউজ করবে! ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?
রশ্নি ইয়াশ নিজের থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেয়।
রশ্নি: শুনুন রশ্নি কারো কথায় চলে না, আমি আপনার গোলাম না যে আপনি যা বলবেন তাই আমার মাথা পেতে মেনে নিতে হবে।
আমি শুধু আমার ইচ্ছের গোলামী করি হুহ!😒
ভাবের চোটে রশ্নি বলে তো দিয়েছে ঠিকই কিন্তু এখন ইয়াশের এক্সরেশন দেখে ভয় লাগছে।
ইয়াশ গিয়ে রশ্নিকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
তারপর হঠাৎ পাগলের মতো ওর ঠোট কামড়াতে লাগে
রশ্নি: আপনি মানুষ নাকি? কিভাবে একজন মানুষ হয়ে অন্য একটা মানুষকে এত কষ্ট দেন।😡
ইয়াশ আরেকবার রশ্নির ঠোঁটে কামড় বসিয়ে দিল।
ইয়াশ: এভাবে।
রশ্নি: কেন করছেন এমন? ছাড়ুন আমায়!
ইয়াশ: এটা ছিল আজকে কাব্যর কোমর পেঁচিয়ে ধরার শাস্তি।
রশ্নি: অপনি……. ওহ মানে সব দোষ আমার! কই আপনি যখন নোভার সাথে ঘুরাঘুরি করেন, জড়িয়ে ধরেন, হেসে হেসে কথা বলেন, তখন তো আমি কিছু বলি না।
ইয়াশ: তোমার জেলাস ফিল হচ্ছে?
ইয়াশের কথায় রশ্নি থমকে গেল।
সত্যিই কি তার জেলাস ফিল হচ্ছে?
রশ্নি: এএখানে জেলাস ফিল করার কিছু নেই আমি জাস্ট ন্যায় পরিনিতার কথা বলছি।
ইয়াশ: আগে উচ্চারণ করা শিখো! ওটা পরিণীতা না পরায়ণতা।
রশ্নি: হোয়াটেভার আপনি বুঝেছেন তো 😎
ইয়াশ: এই ভার্সিটির সব ছেলেই তো তোমার ফ্রেন্ড!
রাতুল, অন্তর, দিপু ওরা তো তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড, সারাদিনই ওদের সাথে ঘুর, ওদের নিয়ে কিছু বলেছি আমি?
আমি জাস্ট বলছি কাব্যর সাথে মিশবে না।
রশ্নি: 😒
হঠাৎ ইয়াশের কি হলো কে জানে, রশ্নিকে ধাক্কা দিয়ে সারিয়ে দিলো।
ইয়াশ: যেটা বলেছি সেটা মাথায় রেখো নাহলে এর থেকেও খারাপ কিছু ঘটতে পারে, নাও গেট লস্ট।
রশ্নি: মাথা মোটা লোক কোথাকার!
ইয়াশ চোখ রাঙিয়ে ওর দিকে তাকালো।
ওর এমন চাহনিতে রশ্নি দৌড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
.
.
বাহিরে এসে ওর গ্যাং এর সাথে দেখা হয়,
অন্তর: কোথায় ছিলি?
আমরা পুরো ভার্সিটি খুঁজেও তোকে পেলাম না।
সানা: হ কাব্য ভাইয়াও আসছিল, তোরে অনেক খোঁজার পরও না পায় নাই তাই চলে গেছে।
রশ্নি: রাখ তো ওই হালার কথা!
যখনই সামনে আসে, আমার ব্যান্ড বাজায় যায়।
সুপ্তি: কেন কি করছে?
রশ্নি: বাদ দে তো, বাই দা চৌরাস্তা এর আবার কি হইলো? (কাশিকার উদ্দেশ্যে)
দিপু: জানস না কি হইতে পারে?
কাশিকা গিয়ে রশ্নিকে জড়িয়ে ধরে ন্যাকা কান্না শুরু করে দিলো।
কাশিকা: দোস্ত জানোস আমার বিএফ এর সাথে ব্রেক আপ হয়ে গেছে।
সবাই: কয় নাম্বারটার সাথে?
কাশিকা: তোরা সবাই অনেক খারাপ😭
সবাই: 🤣🤣🤣
.
.
.
ইয়াশ ঠাস করে নিজের হাতে থাকা খাতাটা টেবিলে বাড়ি মারে।
যার আওয়াজে রশ্নি কেঁপে উঠে।
ইয়াশ: আমাকে কি তোমার জোকার মনে হয়?
যে এখানে তোমাকে এন্টারটেইন করার জন্য বসে আছি?
ইয়াশের ঝাড়িতে রশ্নি আবারও কেঁপে উঠলো।
(আসলে ইয়াশ রশ্নিকে বাড়িতে করার জন্য হোম ওয়ার্ক দিয়েছিল কিন্তু রশ্নি তা না করে উল্টো খাতার মধ্যে ডোরেমন একে রেখেছে
আর ইয়াশ যখন বিকালে ওকে পড়াতে বসে, তখন এসে দেখে এই অবস্থা)
রশ্নি: না ভাইয়া আসলে ভুলে…..
ইয়াশ: লাইক সিরিয়াসলি? ভুল করে এঁকেছ? ভুল করে হাত নাক মুখ সব একে ফেলেছো?
রশ্নি: না ভাইয়া আমি আসলে টেস্ট করতে চাইছিলাম যে তুমি ডোরেমকে চিনো কি না……
ইয়াশ: ওহ রিয়েলি? টোস্ট করছিলে? তা ম্যাম আমি কি পাশ করেছি?
রশ্নির ভয় গলায় কথা আটকে যাচ্ছে।
ইয়াশ টেবিলে জোরে বাড়ি দিয়ে
বললো: আর ইউ ফাকিং কিডিং উইথ মি?
ইয়াশ কিছুক্ষন থেমে আবার
বললো: অনেক হয়েছে তোমার বাড়াবাড়ি আজ তোমার একটা শেষ দেখেই ছাড়বো!
স্কেল বের করো!
রশ্নি: এ্যা?😟
ইয়াশ: বললাম না স্কেল বের কর!
রশ্নি: কানে ধরে উঠবস করি?
ইয়াশ: যতটুকু বলেছি ততটুকু করো। (চিৎকার করে)
রশ্নি কিছু না বলে মাথা নিচু করে বসে রইল, এখন ইয়াশকে স্কেল বের করে দিলে আরো ক্ষেপে যাবে।
ইয়াশ নিজের রাগটাকে আর কন্ট্রোল করতে পারছে না।
সামনে থাকা নিজের চশমাটা হাত দিয়ে জোরে চেপে ধরলো।
আর সেটা সাথে সাথেই দুমড়ে মুচড়ে গেল।
আয়না ফেটে কাচ গুলো ইয়াশের হাতের ভিতর গেছে গিয়েছে, রক্তও বের হচ্ছে।
ইয়াশ: রশ্নি স্কেল কই?
ইয়াশের এমন ঠান্ডা কথায় রশ্নি কলিজার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
শেষে আর কোনো উপায় না পেয়ে বলতেই হলো।
রশ্নি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে ড্রয়ারের দিকে দেখালো।
ইয়াশ এক টানে ড্রয়ারটা খুলে দিল তারপর সামনে স্টিলের স্কেলটার এমন অবস্থা দেখে ইয়াশ জাস্ট স্পিচলেস হয়ে গিয়েছে কারন এটাকে পুরো রোল করে রেখেছে রশ্নি।
এটা এখন আর কাউকে মারার বা খাতায় দাগ কাটার যোগ্যতা রাখে না।
রশ্নি কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে একটু একটু করে মাথা উঁচু করে ইয়াশের দিকে তাকালো।
ইয়াশের অগ্নি দৃষ্টি দেখে আবার মাথা নামিয়ে নিলো।
ইয়াশ নিজের চেয়ারটা পিছনের দিকে নিয়ে দেয়ালের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো…..
কিছুক্ষন পর………★
— রশ্নি………….
ইয়াশের চিৎকার শুনে রশ্নি উঠে উল্টো এক দৌড় দেয়।
.
.
.
রশ্নি খুব জোরে জোরে হাপাচ্ছে,
কোনোরকম আজ নিজের জানটা বাঁচিয়েছে।
রশ্নি: এই লোকটা জাস্ট অসহ্য কর, যেদিন থেকে এসেছে আমার লাইফটা পুরো তামা তামা করে দিয়েছে।
এখন প্রচুর রাগ হচ্ছে, উফ কি করবো😤
কিছু একটা তো করতেই হবে রাগ কমানোর জন্য।
কিন্তু কি? দেয়ালে ঘুষি মারি?
হু এটাই ঠিক হবে।
ভেবেই 3 2 1 বলে যেই না দিতে যাবে,
তখন নিচ দিয়ে কাব্যকে যেতে দেখে হাত টা থামিয়ে দিলো।
রশ্নি: শুধু শুধু নিজের হাতে ব্যাথা দিয়ে লাভ কি!
এর থেকে ভালো এই বেটার উপরই ঝাল মিটাবো,
এর জন্যই তো নীল ভাইয়া আমাকে মেরেছিলো।
আজকে এর এক দিন কি আমার…….. যতদিন লাগে আরকি।
ভেবেই একটা শয়তানি হাসি দিল!
তারপর জোৎস্না খালার কাছে গেল!
রশ্নি: এ্যাই হটি ওয়াসসাপ?
জোৎস্না খালা: কিয়ের সাপ?😨
রশ্নি: সাপ? আরে ওটা সাপ না….যাই হোক
তুমি সারাদিন অনেক কাজ করো এখন এই ঝাড়ু আর বেলচাটা আমাকে দাও।
জোৎস্না: আরেহ না না, আমিই করতাছি।
পরে আবার আমারই কাম বাড়াইবো..(বিড়বিড় করে)
রশ্নি: তুমি কি আমায় বিশ্বাস করো না জোস বেবি?🥺
জোৎস্না: হুহ হেতিরে আবার বিশ্বাস (মনে মনে)
রশ্নি: উফ চা ওয়ালা আলমগীর আঙ্কেল এর কথা পরে ভাইবো আগে আমার ঝাড়ু আর বেলচা টা দাও আর তুমি চিল মারো।
বলেই হাত থেকে বেলচা আর ঝাড়ু টা নিয়ে নিল।
জোৎস্না: ও মা! এহন আবার চিল পামু কুনে।😨
রশ্নি: আরেহ ওই চিল না…আচ্ছা তুমি যেয়ে একটু বিশ্রাম গ্রহণ করো।🙄
বলে জোৎস্না খালাকে ঠেলতে ঠেলতে তার রুমে রেস্ট করার জন্য পাঠিয়ে দিলো।
রশ্নি: আব আয়গা আসলি মাজা।😎
.
রশ্নি আবার সেই জায়গায় ফিরে এলো যেখানে কাব্যকে দেখেছিল।
কিন্তু কাব্য এখন এখানে নেই।
রশ্নি: উফ এতক্ষন কার জন্যই বা দাঁড়িয়ে থাকবে,
এখন আমারই খুঁজতে হবে।
ওই রে আবার আসছে।
রশ্নি দেখলো কাব্য আবারো নিচ দিয়ে যাচ্ছে।
তাই চান্সএ ডান্স মেরে বেলচার সব ময়লা কাব্যর উপর ফেলে দিলো।
কাব্য: হোয়াট দা হেল!!!!!! (চিৎকার করে)
কাব্যর চিৎকার শুনে রশ্নির খুবই আনন্দ লাগছে।
রশ্নি: আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে..💃💃
রশ্নি নাচতে নাচতে পিছনে ঘুরে দেখে,
তার মা দুইহাত গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে।
রশ্নি: হাই!😅
উনি রশ্নির কান মলে দিলেন।
তারপর টানতে টানতে নীচে সবার সামনে নিয়ে গেলেন।
নিচে সৌভিক খান, শাহানা বেগমও উপস্থিত
(শুভর মা বাবা) সহ বাড়ির বাকি সবাই ছিলেন।
রশ্নি: ওহ মাই খাট, পুরা গুষ্টি দেখি উপস্থিত।
রেহেনা: কাব্য ভাইয়াকে সরি বলো।
নিলাসা: ও আবার কি করেছে রেহানা?
রেহেনা: ময়লা গুলো ঐই কাব্যর উপর ফেলেছিল।
রশ্নি: ইট ওয়াজ এ্যান এ্যাকসিডেন্ট😒
রেহেনা: ওহ রিয়েলি? তা তুমি হাতে ঝাড়ু নিয়ে কি করছিলে?
রশ্নি: জোস আন্টিকে(রশ্নি জোৎস্নাকে জোস বলেই ডাকে😑) হেল্প করছিলাম😒
রেহেনা: পানি টা তো ঢেলে খাও না, তুমি আবার করবে জোৎস্না খালাকে হেল্প।
নিলাসা: আহা থাক না! বাচ্চা মেয়ে ভুল করে ফেলেছে, আর বকতে হবে না।
শাহানা: আমার তো এই মেয়েকে এমনিও পছন্দ না,
দেখো কি কান্ড টা করলো!
রশ্নি: আই অলসো ডোন্ট লাইক ইউ, হুহ😒
নিলাসা: আহা মিষ্টি বাচ্চা, বড়দের সম্মান করতে হয়।
রশ্নি: বড়দের না, যারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য তাদের করতে হয় আর আমি তো অসম্মানজনক কিছু বলিনি🙄
শি টোল্ড মি দ্যা শি ডোন্ট লাইক মি, সো হোয়াই আই টোল্ড হার, দ্যাট আই অলসো ডোন্ট লাইক হার
এন্ড ইটস এ পিওর ট্রুথ😒
সৌভিক: শাহানা চলো তো এখান থেকে।
এই মেয়ের সামনে বসে নিজের সময় নষ্ট করার মানে হয় না।
রশ্নি: আমিও তোমাদের এখানে বসে টিকটিক ভিডিও দেখিয়ে চোখ দিয়ে রক্ত বের করাচ্ছি না।😒
আর কাব্য ভাইয়া, আই এক্সট্রেমলি সরি ফর মাই মিসটেক, পারলে ক্ষমা করে দিও না বায়! বলে বাইকের চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেল।
.
ছোট থেকেই শুভর মা বাবা আর ওর বোন ওকে সহ্য করতে পারে না, তাতে রশ্নির কিছু যায় আসেও না।
কিন্তু যখন ছোট ছিল তখন ওদের টক্সিকাল কথা গুলো শুনে অনেক কাঁদতো কিন্তু যখন বড় হলো তখন আর কাঁদে না উল্টো তাদের কথা শুনিয়ে দেয়।
এর জন্য অনেকে তাকে বেয়াদবও বলে কিন্তু তাতেও ওর যায় আসে না কারন ও বয়স দেখে নয় চরিত্র দেখে সম্মান করে।
.
.
পরেরদিন ভার্সিটিতে——-★
সানা লাইব্রেরিতে এসে একটা বই খুঁজছে,
সেখানে এখন বেশি কেও উপস্থিত নেই,
বন্ধ হয়ে যাওয়ার টাইম।
কিন্তু অনেক্ষন ধরেই মনে হচ্ছে যে সে এখানে একা না, কারো উপস্থিতি অনুভব করতে পারছে।
পিছনে ঘুরার সাথে সাথেই সানা কারো বুকের সাথে বাড়ি খেলো।
সানা: আউচ্…..
সামনে তাকিয়ে দেখে, এটা সেই ঠোঁট কামরুটে টা।
সানার দুইপাশে দুই হাত দিয়ে ওকে আটকে রেখেছে।
.
সানা: সেহের আপনি এখানে?
সেহের: তোমায় দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম।
সানা: তাই বলে কলেজে?
সেহের: আমি বলেছিলাম না আমার যখন মন চাইবে আমি তখনই তোমার সাথে দেখা করতে চলে আসব, সেটা যেখানেই হোক।
সানা: এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবেন?
সেহের: মিষ্টি খেয়েই চলে যাবো।
সানা: সেহের প্লিজ, আমার লিপস্টিক নষ্ট হয়ে যাবে।
সেহের সানার কোনো কথা কান্না তুললো না।
ওর কোমর পেঁচিয়ে নিজের একদম কাছে এনে ওর ঠোট দখল করে নিলো।
সানা বাধা দেওয়ায় ওর হাতদুটো দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
কিছুক্ষন পর সানা লক্ষ্য করলো কেও এখানেই আসছে।
এদিকে সেহেরকেও সরাতে পারছে না, কেও ওদের এভাবে দেখে নিলে কি অবস্থাটাই না হবে।
সানা কোনো উপায় না পেয়ে সেহেরের পায় লাথি দিলো কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
শেষে দরজাটা খুলেই গেল, সানা শুধু চোখ বন্ধ করে আল্লাহ আল্লাহ করছে।
— এই কি আপনি এই টাইমে এইখানে কেন?
কারো কন্ঠস্বর শুনে সানা সামনের দিকে তাকায়।
দেখে সেহের তার সাথে নেই, আর সামনে তাদের ভার্সিটির দারোয়ান দাঁড়িয়ে আছে।
সানা: না মানে একটা বই নিতে এসেছিলাম, নেওয়া হয়ে গিয়েছে, এখন চলে যাচ্ছিলাম।
— ওহ আচ্ছা তাহলে বাহিরে যান, আমি লাইব্রেরিতে তালা মারবো।
সানার এখন চিন্তা হচ্ছে, কারন ওর ধারণা মতে সেহের ভিতরেই কোথাও লুকিয়ে আছে।
কি আর করার বের হতেই হলো।
কিন্তু বাহিরে এসে দেখে সেহের এ্যাটিটিউড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে!
সানা: আপনি বাহিরে আসলেন কিভাবে?
সেহের: যেভাবে ভিতরে এসেছিলাম সেভাবেই।
সানা: মজা করছেন?
সেহের: আরেহ তুমি তো চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে ছিল, তখনই দারোয়ান আসার আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
এখনো কিন্তু আমার অনেক হিসাব নিকাশ বাকি আছে।
বলেই সানার দিকে এগোতে লাগলো!
তা দেখেই সানা দৌড়, আর সেহের ওর পিছনে ওকে ধরার জন্য দৌড় দিলো।
একের পর এক ঢোক গিলেই চলেছে রশ্নি, কিন্তু তারপরও বারবার তার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।
ভয় মুখ দিয়ে গান বের হচ্ছে
(ভয় লাগলে রশ্নি গান গায় আর এটা রশ্নির সাইন্স😪)
কারন তার সামনে যে স্বয়ং তার যমরাজ হাতে শাস্তি দেওয়ার দন্ড নিয়ে বসে আছে।
যমরাজ বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে তা নিশ্চই বুঝে গিয়েছেন? অবশ্যই ইয়াশকে!
আর তার হাতের শাস্তি দন্ডটা মানে স্কেল।
ইয়াশ নিজে গিয়ে স্কেল কিনে নিয়ে এসেছে তাও আবার রশ্নিকে মারার জন্য।
কালকে উঠে দৌড়ে চলে যাওয়ার শাস্তি তো আছেই সাথে আজকে আবার নতুন শয়তানির শাস্তিও পাবে।
আজকেও রশ্নি হোম ওয়ার্ক করেনি আর খাতার মধ্যে রিপন ভিডিওর ছন্দ লিখে রেখেছে [🤣]
ইয়াশ: আমার ভাবতেও যেন কেমন লাগছে যে তুমি আমার স্টুডেন্ট।
রশ্নি: চুমু খাওয়ার সময় এমন লাগে নাই? ছ্যাসরা বেটা😒 (বিড়বিড় করে)
ইয়াশ: আজকে আর তোমার রক্ষে নেই!
বলে স্কেলটা হাতে নিলো।
রশ্নি: ভাইয়া মাফ করে দাও আর কখনো এমন হবে না।
ইয়াশ: আজ পর্যন্ত কয়বার এই কথাটা বলেছ হিসেব আছে?
রশ্নি ডানে বামে মাথা নাড়লো।
ইয়াশ: ব্যাপার না, আমি গুনিয়ে দিচ্ছি!
আজ পর্যন্ত যত বার ঐ লাইনটা বলেছ ঠিক ততগুলিই হাতে বারি পড়বে।
রশ্নি: ভাইয়া প্লিজ…সরি………😭
ইয়াশ: আরেকটা বেড়ে গেলো।
বলেই রশ্নির হাত টা টেনে ধরলো।
তারপর স্কেলটা দিয়ে………….
To be continued……..