#Your_psychoPart_11+12

0
750

#Your_psychoPart_11+12
#A_Devils_Love

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)

.

.

.

ইয়াশ মারতে যাবে তার আগেই রশ্নি কেঁদে দেয়, যা ইয়াশের সহ্যের বাহিরে, মানে রশ্নির চোখের পানি।

বেচারার আর কি করার, টেনে নিতে হলো বুকের মাঝে।😌🙈

রশ্নি সরে আসতে চাইলে ইয়াশ আরো টাইটলি জড়িয়ে ধরে।

ইয়াশ: তুমি বড্ড অবাধ্য!
কিন্তু আমিও তোমাকে বাধ্যতায় বদ্ধ করতে চাই না,

আমার এই রশ্নিটাকেই পছন্দ বা হয়তো তোমার এই অবাধ্যতা, কেয়ারলেস আচরণই আমাকে তোমার প্রেমে ফেলেছে।

সে যাই হোক এখন ভয় তোমাকে নিয়ে, জানি না কখন এমন কিছু করে বসো যার জন্য তোমাকে খাঁচায় বদ্ধ করতে হয় –মনে মনে

ইয়াশ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল।

ইয়াশ রশ্নিকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলো,তারপর ওর গাল চেপে ধরলো।

ইয়াশ: এটাই লাস্ট টাইম, এর পর থেকে আর কোনো ছাড়াছাড়ি নেই (মুখে রাগি ভাব ফুটিয়ে বললো)

তারপর ওর মুখটা ঝাড়া দিয়ে ফেলে সেখান থেকে উঠে চলে গেল।

রশ্নি ওর যাওয়ার দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে।

ইয়াশকে ভয় পেলেও ওর এই জিনিষটা খুব বেশি ভালো লাগে।

তবে যাই হোক আজকের জন্য তো মার খাওয়া থেকে বেঁচে গেল।

.

.

●—★পরেরদিন ভার্সিটিতে★—●

কাশিকা: দোস্ত আজ তিনদিন, আমার কোনো বফ নাই। এই জিনিষটা কি ভালো দেখায় বল? একটা প্রেস্টিজের ব্যাপার আছে না?

রশ্নি: আমগো বাড়ির সামনের আক্কাস আলীর লগে সেট করায় দেই?

কাশিকা: কে এইটা? কিউট আছে নাকি?😀

রশ্নি: হ অনেক কিউট একটা ভুঁড়ি আছে! আর ঐটা রোজ সকালে ঝুলাইতে ঝুলাইতে বারিন্দায় আহে তারপর কুলকুলা কইরা নীচে থু কইরা ফালায়।

কাশিকা: ইয়াক ছি! 😫

দিপু: বেশি ছি ছি কইরো না। পড়ে একটা ভুঁড়ি ওয়ালার লগেই বিয়া হইবো।

কাশিকা: তুই তো চুপই থাক! আমার সুখ তো তোর সহ্যই হয় না।

সুপ্তি: ভাই ও বোনেরা ঝগড়া না করে, শান্তি পূর্ন মহল বজায় রাখো।

হঠাৎ সেখানে একটা পিয়ন এসে ওদের সামনে দাঁড়ায় আর বলে “ইয়াশ নাকি রশ্নিকে ডেকেছে”

রশ্নিও উঠে সেখানে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।

.

যাওয়ার মাঝে কার সাথে বাড়ি খেয়ে পরে যেতে নেয়,
সামনের ব্যক্তিত্ব ওকে ধরতে যাওয়ার আগেই ও নিজেকে সামলে নেয়।

রশ্নি: সরি আসলে দেখি নি।

— নো নো ডোন্ট সে সরি, ইটস একচুয়ালি মাই ফল্ট…
আরেহ রশ্নি না?

রশ্নি: আপনি চিনেন আমায়?

— আরেহ আমাকে চিনতে পারছো না? ঐযে সেদিন তোমাদের বাসায় তোমাকে দেখতে গিয়েছিলাম যে,
বাবাগো বাবা কি একশন টাই না দেখালে।

রশ্নি: 🙄

— বাই দা ওয়ে আমাদের তো পরিচয়টাই হলো না।
আমি নাহিদ রহমান।

রশ্নি: ওকে…..

বলে চলে যাচ্ছিল,
দেখে নাহিদ আবার ওর পথ আটকে দিলো।

নাহিদ: আরেহ আরেহ, তোমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসিনি যে যে এভাবে আমাকে দেখে ছুটছো।

রশ্নি: এক্সকিউজ মি? রশ্নি এনায়াত খানের কাউকে দেখে ছোটার প্রয়োজন হয় না, উল্টো মানুষ তাকে দেখে ভয় ছুটে পালায়। যেভাবে সেদিন আপনারা পালিয়েছিলেন।

নাহিদ: ওহ কাম অন, তুমি রেগে যাচ্ছ কেন?
আমি তো জাস্ট এমনি মজা করে বললাম।

রশ্নি: মজা করে হয়ে গেলে এবার আমি আসি।

বলে নাহিদকে পাস করে চলে আসে।

.

রশ্নি: নীল ভাইয়া ডেকে…….
আয় হায় আপনার এই অবস্থা কেন😐

রশ্নি এসে দেখলো ইয়াশ দুইহাত গুঁজে চোয়াল শক্ত করে বসে আছে, আর চশমার গ্লাস টা একদিক দিয়ে একটু ভাঙা।

ইয়াশ: সেটা জানার জন্যই আপনাকে এখানে উপস্থিত হতে বলেছি।

রশ্নি: হ্যা?

ইয়াশ গিয়ে রশ্নির সামনে দাঁড়ায় তারপর ওর চশমা টা খুলে রশ্নির সামনে ধরে।

ইয়াশ: এটা তুমি করেছ তাই না?

রশ্নি একবার ডানে একবার বামে মাথা নাড়লো।

ইয়াশ: শাট আপ।

রশ্নি: কিছুই তো বললাম না🙄

ইয়াশ চোখ রাঙিয়ে তাকালো।

রশ্নি: ইয়ে মানে ভুলে……

ইয়াশ: কত ভুল হয়ে তোমার?
এত ভুল তো মানুষ ভুলেও করে না।

রশ্নি: ভাইয়া আপনাকে তো চশমা ছাড়াও সুন্দর লাগে😅

রশ্নি কথাটা ইয়াশের হাত থেকে বাঁচার জন্য বললেও
এতে ইয়াশ আরো ক্ষেপে যায়।

রশ্নির হাতের কব্জি শক্ত করে ধরে নিজের মুখের একদম কাছে নিয়ে আসে।

ইয়াশ: এসব লেম কথা বার্তা একদম বলবা না, চশমা আমি স্টাইল করার জন্য না আমার মাইগ্রেইন ইস্যুর জন্য পড়ি।

রশ্নি: এটা নরমালি বললেও হতো! 😨

ইয়াশ: নেক্সট টাইম থেকে যেন আমার গ্লাসেস নিয়ে ফাজলামো করতে না দেখি। নাও, গেট লস্ট

.

রশ্নি: এত্তো ভদ্র,শান্তশিষ্ট,লক্ষী একটা ছোট বাচ্চা মেয়ের সাথে যে কিভাবে এতটা রুড বিহেভ করে, বুঝি না….!!

রশ্নি মাঠে হাটছিল আর এসব ভাবছিল তখনই হঠাৎ কে যেন লাফ দিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ালো।

রশ্নি: আআআ আম্মু চামচিকা!! 😨

— আরেহ চামচিকা না…নাহিদ!😁

রশ্নি: উফ আপনি তো ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন।

নাহিদ: সরি সরি, আমি একদমই তা চাইনি।

রশ্নি: হুম ওকে।

বলে আবার চলে যাচ্ছিল।

নাহিদ: আচ্ছা তুমি আজার থেকে এত পালিয়ে বেড়াচ্ছ কেন বুঝতেছি না।

রশ্নি: আমার কাজ আছে।

নাহিদ: কি কাজ?

রশ্নি: আপনাকে বলতে বাধ্য নই।

নাহিদ: কেন একজন ফ্রেন্ড হিসেবে কি জানার অধিকার নেই?

রশ্নি: ওহ হ্যালো! আমরা আবার কোন জনমে ফ্রেন্ড হলাম?

নাহিদ: না হলে কি হয়েছে এখন হতে পারি না?

রশ্নি: ভাই আমার আজাইরা প‍্যাচাল পাড়ার টাইম নাই, তাই এখন বিদায় হন।

নাহিদ: আমি কি তোমায় বিরক্ত করছি?

রশ্নি: অমনই কিছু।

বলে দ্রুত কদমে সেখান থেকে চলে আসলো।

.

কাশিকা: কিরে মামা এই নতুন মালটা আবার কে?

রশ্নি: কি জানি।

কাশিকা: আজকে চতুর্থ দিন আমার কোনো বফ নাই🙂

রশ্নি: আবার!

কাশিকা: দোস্ত শুন না….

রশ্নি: হঠাৎ সুর পাল্টায় গেল🙄

কাশিকা: আরেহ তোর সাথে তো আমি সবসময়েই ভালোবাসা সহিত কথা বলি।☺️

রশ্নি: আচ্ছা কন।😑

কাশিকা: না মানে ভাবতেছিলাম যে আমাদের নতুন একাউন্টিং টিচারটারে পটাই ফেলুম,
উফ যা হট না🙈 আর তোর তো ফুফাতো ভাইও হয়,,,সো একটু লাইন করে দে না🙈

রশ্নির আজ কেন যেন প্রথম বার কাশিকার কথায় রাগ উঠছে, কিন্তু এদের শিনচ‍্যান আর ডোরেমনএর থেকেও বেশি ভালোবাসে রশ্নি তাই কিছু বলতেও পারছে না।

রশ্নি: দোস্ত দেখ তুই তো জানসই আমি তোর কত ভালুপাসি, তাই তোর খারাপ তো আর চামু না তাই না!

কাশিকা: হেইও….😙

রশ্নি: নিজের ভাইয়ের ব্যাপারে কি আর কমু কিন্তু তরেও যেহেতু ভালোবাসি তাই বলতে তো হইবোই
হি ইজ আ এলকোহলিক, আর অনেক লুচ্চাও
সারাদিন মাইয়া পটানের ধান্দায় থাকে!

কাশিকা: 😨

অনু: ওই ওই ওই কোনো খবর শুনছস তোরা?

রশ্নি: কিসের খবর? আর তুইই বা কোথাথেকে দৌড়ায় আসলি?

অনু: একটা খবর শুনে আসলাম।

কাশিকা: কি খবর?😤

অনু: আমগো ডায়না ম্যাম নাকি নতুন স্যারের উপর ক্রাশ খাইসে আর তা খুবই ডিপলি!

রশ্নি: উমা…!😵

.

.
#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_12

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)

.

.

.

অনু: আমগো ডায়না ম্যাম নাকি নিউ স্যারের উপর ক্রাশ খাইছে তাও আবার খুব ডিপলি।

রশ্নি: উমা😵
শেষে কিনা এই ডাইনিও ছাড়ল না!

কাশিকা: কি কোইলি?

রশ্নি: আমি এর প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই😤
আমাদের অবশ্যই এই ব্যপারে প্রতিবাদ করা উচিত।

কাশিকা+অনু: 🙄

রশ্নি ডায়না ম্যাডাম এর রুমের দিকে যাওয়ার জন্য হাটা শুরু করলো।

অন্তর: কিরে মাম্মারা কই যাস তোরা?

কাশিকা: এরে ধর, ডায়না ম্যাম এর বিরুদ্ধে আন্দলন করতে যাইতাছে।

দিপু: মানে?

অনু: পরে বুঝামু আগে তোরা এর ধর।

অন্তর গিয়ে রশ্নির পথ আটকালো।

রশ্নি: সামনে থেকে সর।

অন্তর: বেপ্পি তাকা আমার দিকে।

রশ্নি: সরবি নাকি…?

অন্তর: শুন তো….

রশ্নি: ওই দেখ ঐযে অধরা যাইতাছে।

রশ্নির কথায় অন্তর ফুল ব্ল্যাংক হয়ে অধরাকে দেখার জন্য এদিক ওদিক তাকাতে থাকে।

কাশিকা: তোরে দিয়া জীবনে পড়ালেখা ছাড়া আর কিছু হইবো না।

অনু: আকাইম্মা কোথাকার।

বলে অন্তরের মাথায় একটা চাপর মারলো।

সানা: অধরারে খুঁজতে থাক, ওই দেখ রশ্নি গেছেগা
অন্তর: কিন্তু অধরা?
সানা: হায়রে অধরার মাঝনু… রশ্নি তোরে বলদ বানায় গেছে।
অন্তর: 😟

সানাও অন্তরের মাথায় চাপর দিয়ে চলে গেল।

অন্তর: দোস্ত😭

দিপু: যা সালা….

বলে দিপুও একটা মেরে দিলো 👋👋

.

— ম্যাম আপনার লজ্জা হওয়া উচিত,
নিজে ৩০ বছরের হয়ে কিভাবে একটা ২৪ বছরের বাচ্চা ছেলের উপর ক্রাশ খান

আমি এর তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাই

ডায়না: হোয়াট ইজ শি সেয়িং?
আর রাতুল তুমিই বা ওর মুখে চেপে ধরে রেখেছো কেন?

(রশ্নি এগুলো বলেছে ঠিকই কিন্তু ডায়না ম্যাম কিছুই বুঝতে পারেনি কারন একদম ঠিক সময় রাতুল এসে ওর মুখ চেপে ধরে)

কাশিকা: না মানে ম্যাম ওর মাথায় একটু প্রবলেম আছে সেটা তো জানেনই, আজকে ঔষুধ খেয়ে আসে নি তাই এই অবস্থা।

ডায়না: ইঊঊ এই মেয়েটাকে তাড়াতাড়ি এখান থেকে নিয়ে যাও।

— কি হচ্ছে এখানে?

কন্ঠস্বর টা শুনে সবাই পিছনে তাকালো।

“ইয়াশ এসেছে” দেখে ডায়না ম্যাম নিজের চুল গুলো হাত দিয়ে নেড়ে সেট করে নিলো।

ডায়না: আরেহ কিছু না এই বাচ্চাগুলো জাস্ট আমার তারিফ করছিল! বলছিল;
“ডায়না ম্যাম কত স্মুথলি তাদের পড়া বুঝিয়ে দেয়, এন্ড অলসো,,, উনি কত হট এন্ড বিউটিফুল দেখতে”…!

তাই না বাচ্চারা?

সবাই: 🙄

ডায়না: 😡

সবাই: জি জি ম্যাম একদম ঠিক বলছেন।

ডায়না: আচ্ছা তোমরা এবার সবাই বাইরে যাও, স্যারের মেবি আমার সাথে কথা আছে।

ইয়াশ: না না আমি রশ্নিকে খুঁজতে বেরিয়েছিলাম, এখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম সবাই এখানে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাই আমিও আসলাম।

এটা শুনে ডায়নার মুখটা জাস্ট ফিকে হয়ে গেল।

ইয়াশ: আচ্ছা তাহলে এবার আমরা আসি।

বলে রশ্নির হাত ধরলো বাহিরে যাওয়ার জন্য,
কিন্তু এবার রশ্নি ছাড়িয়ে না দিয়ে উল্টো ইয়াশের হাতের ভিতর হাত ঢুকিয়ে, ডায়না ম্যামএর দিকে একটা কিলার লুক দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ল।

.

দিপু: দোস্ত…রশ্নির কি হইছে রে আজকে?

সানা: ওরে মনে হয় জিনে কাতুকুতু দেয়।

কাশিকা: আচ্ছা যদি কোনো লাভি ডাবি ব্যপার হয়?

সুপ্তি: উফ এই মাইয়াটার মাথায় সবসময় এগুলাই ঘুরে

কাশিকা: দ‍্যাটস নান অফ ইওর বাপের বিজনেস😒

সুপ্তি: বাপে জাবি না😡

কাশিকা: আরেহ যা যা গরিবের ডলি বিন্দ্রা! 😆

রাতুল: তোরা একটু থামবি প্লিজ?

.

.

রশ্নি বেশ হাসি খুশি হয়েই ইয়াশের সাথে দুলতে দুলতে বেরিয়ে আসলো।

রশ্নি: তো নীল ভাইয়া আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি?

ইয়াশ হা করে তাকিয়ে আছে রশ্নির দিকে।
কারন সাধারণত ওর হাত ছাড়ানোর জন্য উম্মাদ হয়ে উঠার কথা, কিন্তু আজ পুরা আবহাওয়াই চেঞ্জ।

রশ্নি: কি হলো ভাইয়া (ইয়াশকে ঝাকিয়ে)

ইয়াশ: না….শপিং করতে যাবো।

রশ্নি: ওহ আচ্ছা😊

ইয়াশ: হুম কারএ বসো।

রশ্নি: আমি ড্রাইভ করি?

ইয়াশ: শিওর….

ইয়াশ রশ্নিকে চাবিটা দিয়ে দিল।

.

রশ্নি নিজের মতো ড্রাইভিংয়ে ব্যাস্ত কিন্তু ইয়াশ এখনো হা করে তাকিয়ে আছে।

ইয়াশ: রশ্নি আর ইউ ওকে?

রশ্নি: হুম???

ইয়াশ: না মানে আজকে এত ভদ্র লক্ষী মেয়েদের মতো আছো তাই সন্দেহ হচ্ছে।

ইয়াশের কথায় রশ্নি জোরে ব্রেক মারে।

ইয়াশ: রশ্নি কি করছো?

রশ্নি: ঠিকই তো আমি এসব কেন করছি😐
এই বেটার জন্য সবার সাথে ঝগড়া করতেছি।
পাগল টাগল হয়ে গেলাম নাকি?
সে যাই হোক এখন নিজেকে নরমাল রাখতে হবে।
— মনে মনে

ইয়াশ: রশ্নি আমাদের পিছনে থাকা মানুষরা হর্ন বাজাচ্ছে শুনতে পাচ্ছ না? তাড়াতাড়ি মুভ অন করো।

ইয়াশের চিৎকারে রশ্নি তাড়াতাড়ি আবার ড্রাইভিংএ মনোযোগ দিলো।

.

ফেরার সময়ও—–★

সব শপিং ব্যাগ ইয়াশএর হাতে আর রশ্নি আরামসে কোক খেতে খেতে হাঁটছে।

ইয়াশ সব ব্যাগ গুলো গাড়ির পিছনে রেখে দিল।

রশ্নি: আহা নীল ভাইয়া তুমি না আজকাল বড্ড স্লো হয়ে গিয়েছো।

ইয়াশ: নিজে তো আরামে ঘুরছ তাই মানুষের পরিশ্রম চোখে পড়ে না।

রশ্নি: এখানে কি তুমি এই “মানুষ” ওয়ার্ডটাকে দিয়ে নিজেকে বুঝিয়েছি?

ইয়াশ: অবশ্যই।

রশ্নি: হুহ এই ব্যাগ গুলো তো আমি এক হাতেই নিতে পারবো।

ইয়াশ: তাই না?

ওরা কথা বলছিল তখন ইয়াশ খেয়াল করলো কিছু ছেলে রশ্নির দিকে বাজে ভাবে তাকিয়ে আছে,
একটা ছেলে তো বলাও শুরু করে দিলো;
আরেহ একা একাই খাবা নাকি? আমাদেরও একটু টেস্ট করাও……মানে কোকাকোলা আরকি….

ওর কথায় বাকি গুলো হাসতে লাগলো।

ইয়াশ: এদের তো আমি।

রশ্নি: ভাইয়া প্লিজ…
এরা বাজে ছেলে এদের মুখ লেগোনা।

ইয়াশ: রশ্নি তুমিও?

রশ্নি: প্লিজ….

ইয়াশের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে কিন্তু রশ্নির জন্য কিছু বলতেও পারছে না।

ইয়াশ: গাড়ি তে বসো।

রশ্নি: হুম।

ইয়াশ গিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিল রশ্নির জন্য
কিন্তু রশ্নির কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়াতে যেই না পিছনে ঘুরে দেখবে তার আগেই কিছু ভাঙার শব্দ পায় ইয়াশ।

পিছনে ফিরে দেখে ছেলেটা মাটিতে রশ্নির পায়ের সামনে পড়ে আছে মাথা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে।

ইয়াশ অবাক হয়ে ওর দিকে তাকায়।

রশ্নি: আসলে কি বলো তো নীল ভাইয়া, কথায় আছে না “sharing is caring”
ওরা এত করে কোক খেতে চাইলে তাই একদম পুরো বোতল টা সহ দিয়ে দিলাম।
আর তুমি তো জানই আমি কত দয়ালু কেউ আমার থেকে কিছু চাইলো আর আমি কি না দিয়ে পারি বলো?

(মোরাল অফ দা স্টোরি ইজ: রশ্নি চায়নি যে ইয়াশ ওদের মারুক কারন ও জানে ইয়াশ কিছু করতে গেলে তার একদম শেষ অবস্থা করে ছাড়বে
তাই ও নিজেই ছেলেটার মাথায় কোকের বোতল ভেঙে দিয়েছে

আর হ্যা
Note: মাথায় বোতল ফাটানো আর পা দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলে দিয়ে তার মুখ পা দিয়ে চেপে ধরা রশ্নির স্পেশাল এন্ড ফেভরেট টেকনিক)

সেখানের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে।

রশ্নি: এই যে আপনারা (হাত দিয়ে তালি বাজিয়ে)
যখন আমাকে এই ছেলেটা বাজে কথা বলছিল তখন তো একজনও এসে প্রতিবাদ করলেন না
আর এখন ফ্রিতে তামাশা দেখছেন?

যাই হোক আপনাদের মানসিকতাই এমন, বলে লাভ নেই কিন্তু এখন সিনেমা শেষ হয়ে গিয়েছে সো আস্তে পারেন

বলে গাড়িতে গিয়ে বসে পড়লো
কিছুক্ষন পর ইয়াশও গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসলো।

রশ্নি বুঝতে পারছে যে ইয়াশ কিছু বলতে চায়।

রশ্নি: আমি জানি আপনি আমাকে কারে বসিয়ে ওদের মারতে যেতেন কিন্তু আমি তা চাই নি কজ, আমি জানি
আপনি গেলে ওদের একেবারেই মেরে ফেলতেন।
সো গিল্টি ফিল করতে হবে না।

ইয়াশ: বাহ বেশ ভালোই চিনে গিয়েছো আমায়?
(সামনের দিকে তাকিয়ে)

রশ্নি: খুব ভালো করে! 😁

ইয়াশ: দেন ইউ আর রং।
কারন আমি কখনোই ওসব মারপিট করতে যেতাম না তাও আবার তোমার জন্য!

লিসেন্ট কেয়ারফুলি আমি একজন বিজনেসম‍্যান এন্ড প্রফেসর কোনো গুন্ডা না।

আর একজন ছেলে হয়ে বুঝি, বিড়ালের সামনে মাছ রেখে দিলে ও তো মুখ দেবেই।

রশ্নি: এটা ভুল! শুনুন যে ভালো হয় সে ওই মাছের সামনের বিড়াল টা নয় বরং ওই মাছকে হেফাজতে রাখা পাহারাদার হয়। আর পাহারাদারদের থেকে তো বিরালদের সংখ্যা বেশি তাই সে ক্ষেত্রে মাছ গুলোকে আমার মতো হতে হবে নাহলে বিড়ালের সামনের বলির মাছ হয়েই থাকো।

ইয়াশ: খুব কথা শিখে গিয়েছো দেখছি?

রশ্নি: জি আমার পাঁচটা ইন্দ্রিয়ই ঠিক ভাবে কাজ করে!

(ইয়াশও এসব আউল ফাউল কথায় বিশ্বাস করে না
ও জাস্ট রশ্নিকে ক্ষেপানোর জন্য কথাটা বলেছে।
যা রশ্নিও বুঝতে পারছে।)

.

কিছুক্ষন পর—–★

.
রশ্নি: ভাইয়া……

ইয়াশ: একদম না

রশ্নি: আমার কথা না শুনেই মতামত দিয়ে দিলে?

ইয়াশ: আমি জানি তুমি কি চাইবে।

রশ্নি: ভাইয়া এমন করো না প্লিজ আমি ড্রাইভ করবো😭

ইয়াশ: তোমাকে একবার করতে দিয়ে দেখেছি, যা সিন দেখালে তারপর আর কোনো মতেই না।

রশ্নি: অমন আর হবে না…পিলিগ😭😭😭

অনেক রিকুয়েস্ট করার পরও ইয়াশ দিলো না।
দেখে রশ্নি মন খারাপ করে, গোমড়া মুখ নিয়ে বসে আছে।

ইয়াশ রোম্যান্টিক পরিবেশ ক্রিয়েট করার জন্য একটা গান প্লে করলো।

🎶🌺🎵

Darling, Every Breath You Take,
Every Move You Make,
I Will Be There.
What Will I Do Without You,
I Want To Love You
Forever And Ever And Ever.

Pyar Kabhi Marta Nahin!
Ham Tum Marte Hain..
Hote Hain Woh Log Amar
Pyar Jo Karte Hain

Jitni Adaa Utani Vafa

Ik Nazar Pyar Se Dekh Lo
Phir Se Zinda Karado

Tu Mile Dil Khile
Aur Jeene Ko Kya Chaahiye

Na Ho Tu Udas Tere Pas Pas
Main Rahunga Zindagi Bhar

Sare Sansar Ka Pyar
Maine Tujhi Men Paya

Tu Mile Dil Khile
Aur Jeene Ko Kya Chaahiye
(Fav🙋🏻‍♀️🖤)

🎶🌺🎵

.

ইয়াশ দেখলো রশ্নি গান শুনে প্রায় ঝিমুচ্ছে।

ইয়াশ: এ্যানি প্রবলেম?

রশ্নি: ভাইয়া ড্রাইভ করতে দিচ্ছ না, অন্তত একটা গান তো আমার পছন্দের প্লে করো।

ইয়াশ: তোমার যে গান পছন্দ প্লে করতে পারো।

রশ্নি খুশি হয়ে নিজের পছন্দের গান দিলো

.
🎶🎸👩🏻‍🎤

Sar Jo Uthega,
Dhad Se Katega
Kahan Pe Chitga,
Kahan Pe Bachega

Pat Pat Par Hai Ghat,
Maut Ke Vijay Ke Sath

Utha To Girega, Gira To Cheerega
Chida To Milega, Mila To Marega

Jag Gag Bhag Bhag,
Bach Sake To Bach Le Aaj
Andhi Hai Ye Zalzala Hai,
Pure Jor Par Chala Hai

Kismein Dam Hai Jo Lada Hai,
Kon Rah Saka Khada Hai

Sabse Atal Sabse Parbhal
Sastra Rakht Charitra

Rakht Charitra, Rakht Charitra, Rakht Charitra Rakht Charitra, Rakht Charitra, Rakht Charitra

Sabse Atal Sabse Parbhal
Sastra Rakht Charitra
.

🎶👩🏻‍🎤🎸

(ইউটিউবে গিয়ে “Rakht charitra” লিখে সার্চ দিয়ে এই গানটা শুনবেন প্লিজ! এটাও আমার ফেভরেট গান।
শুনলে মনে হয় যেন ফুল বডি চার্জ হয়ে যায়!😄)

রশ্নি গানটা ফুল ইনজয় করছে।
কিন্তু ইয়াশের কাছে বিরক্তিকর লাগছে।

তাই ও ঠুস করে গানটা বন্ধ করে দিলো।

রশ্নি: আপনি বন্ধ করলেন কেন?

ইয়াশ: কারন আমার পছন্দ হয়নি তাই।

রশ্নি: এটা কেমন কথা?

ইয়াশ: মাই উইশ।

রশ্নি: আচ্ছা তাহলে অন্য একটা….প্লিজ প্লিজ প্লিজ।

এভাবে চুপ করে বসে থাকতে ভালো লাগে না।

ইয়াশ: তুমি সত্যিই বিরক্তিকর….

ইয়াশ ইশারায় অনুমতি দিলো।

রশ্নিও অন্য একটা গান প্লে করে দিলো

.
🎸👩🏻‍🎤🎶

Habibi.habibi.habibi.

Jabse pehna hai maine yeh ishq-e-sehra
Khalibali ho gaya hai dil

Duniya se mera khalibali ho gaya hai dil
Khalibali ho gaya hai dil

Duniya se mera
Khalibali ho gaya hai dil

Jabse pehna hai maine yeh ishq-e-sehra
Khalibali ho gaya hai dil

Duniya se mera khalibali
ho gaya hai dil

🎸👩🏻‍🎤🎶
.

ইয়াশের জাস্ট মেজাজটা খারাপ হয়ে গেছে।

রশ্নি ইয়াশের এক্সপ্রেশন দেখে তারাতারি গান অফ করে দিলো।

ইয়াশ: আসলে আমিই Dumb!
যে সারাদিন “ভাইয়া ভাইয়া” করে আমার মাথা খায় আমি তার থেকে রোম্যান্স আশা করছিলাম!
লাইক সিরিয়াসলি?
— মনে মনে

রশ্নি: ভাইয়া বলছিলাম কি……

ইয়াশ চোখ রাঙিয়ে তাকায়!

রশ্নি: 🤫

.

বাসায় পৌঁছে——★

বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই রশ্নির মেজাজ খারাপ হয়ে যায়…. কারন সেখানে নোভা উপস্থিত।

আর ইয়াশকে দেখা মাত্রই নির্লজ্জের মতো এসে সবার সামনে জড়িয়ে ধরলো।

নোভা: তুমি জানো আমি সেই কখন থেকে তোমার জন্য ওয়েট করছি?
তোমার আসতে এত দেরি হলো কেন? রাস্তায় কোনো বিপদ টিপদ হয়নি তো? মানে তুমি ঠিক আছো তো?

রশ্নি: হ মাউন্ট এভারেস্টে বাংলাদেশের পতাকা টানাইতে গেছিল তো।

কত্ত মহান কাম কইরা আইসে,
পোলাটারেও আমিই মারলাম huh!😒
— মনে মনে

ইয়াশ নোভাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলো।

রশ্নির কল আসায় ও মুখ ভেংচি দিয়ে অন্য সাইডে চলে যায়।

রশ্নি: হ্যালো মামা…ক..!!

:– …….?…….?…….?…….?

রশ্নি: আরেহ হ আমি অবশ্যই অসুম!

কিছুক্ষন কথা বলার পর রশ্নি কলটা কেটে দিলো।

.

রশ্নি: পাপাই… ভার্সিটি থেকে নাকি আমরা Education campaign এ যাচ্ছি..!!😀

রাশিদ: ইয়েস প্রিন্সেস!!😁

রশ্নি: প্রিন্সেস না কুইন!😏
সে যাই হোক আমরা কিন্তু এবার অনেক মজা করবো।

রাশিদ: হ্যা।😍

তখনই সেখানে রেহেনা বেগম আসেন!

রেহেনা: কোথায় যাওয়ার কথা হচ্ছে?

রশ্নি: আমরা এডুকেশন ক্যাম্পেইনএ যাচ্ছি!😎

রেহেনা: কোনো দরকার নেই যাওয়ার…শিখবে তো কিছুই না উল্টো এর বাদর বাহিনী নিয়ে বাঁদরামি করবে।

রেহেনা বেগমের কথা শুনে রশ্নি আর রাশিদ হেসে লুটিপুটি(ওয়ার্ডটা নিয়ে কনফিউশনে আছি😑)
খাচ্ছে।

রেহেনা: এখানে হাসার কি আছে?

রশ্নি+রাশিদ: ওহ বেবি গার্ল, উই আর নট আস্কিং ইওর পারমিশন, উই আর জাস্ট ইনফর্মিং ইউ!

বলে দুজন একসাথে হাই ফাইভ করে আবার হাসতে লাগলো।

রেহেনা: বাপ মেয়ে পুরো এক রকম হয়েছে, আমার কোনো কথাই শুনে না।

ইয়াশ তুমিই কিছু বলো……

রশ্নি: আমার আর যাওয়া হলো না।
(এটা নিশ্চই রশ্নি চিক্কুর পাইরা কইবো না! সো বিড়বিড় করে😒)

ইয়াশ: হার লাইফ, হার উইশ…!!

রশ্নি: 😱😱😱

রেহেনা: তুমিও?

ইয়াশ: আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না! আমি তো যাচ্ছিই ওর সাথে। ওর খেয়াল রাখবো সো চিল।

রশ্নি: আপনি কোথায় যাচ্ছেন?

ইয়াশ: বাহ রে, ভার্সিটির ভাইস প্রিন্সিপাল হয়ে, নিজেই না গেলে হয়?

রশ্নি: শিট! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম 😤

ইয়াশ: তাছাড়া দেখলে না,
তোমাকে আজ এত শপিং করে দিলাম!
ক্যাম্পেইনএ যাওয়ার জন্যই তো।

আর আঙ্কেলের কথাতেই তোমাকে নিয়ে গিয়েছিলাম।

রশ্নি: ঠিকই তো,,,,আমি তো জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গিয়েছিলাম যে হঠাৎ এই শপিংয়ের কারন কি।

কিন্তু পাপা তুমি আবারও আমার সাথে বেইমানি করলে? 😭

রাশিদ: আমি কি জানি? বাড়ির মেইন সরকারকে জিজ্ঞেস কর।

রশ্নি ওর মার দিকে তাকালো।
কিন্তু তার রশ্নির দিকে কোনো খেয়ালই নেই।

রেহেনা: সাবাস! এই না হলে আমার ছেলে।
বলেই ইয়াশের মাথায় চুমু খেলো।

রশ্নি: কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়!😒

নোভা: আমার তো ভেবেই খুশি লাগছে, আমরা কত মাস্তি করবো আর সেলফি তুলব।

রশ্নি: এই আফা জান আবার কুনে যাইবো?

ইয়াশ: নোভাও তো সেইম ভার্সিটির স্টুডেন্ট, তাই সেই হিসেবে ঐও যাবে।

রশ্নি: এই বদনার জীবন রাইখা কোনো লাভ নাই।🙂

.

.

.

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here