আশার_হাত_বাড়ায়|৩৩| #ইশরাত_জাহান 🦋

0
193

#আশার_হাত_বাড়ায়|৩৩|
#ইশরাত_জাহান
🦋
আজ মনমরা হয়ে সব কাজ করছে শ্রেয়া।কোথায় ভেবেছিলো ফারাজের মনক্তি সম্পর্কে অবগত হবে।কই?সে তো আসেনি।যদি ফারাজ রাজি হয় তাহলে শ্রেয়ার কেমন লাগবে এটা ভাবছে শ্রেয়া।আবার ভাবছে ফারাজ যদি না করে দেয় তাহলে সে কি করবে?চাকরি কি করবে নাকি ছেড়ে দিবে?চাকরি ছেড়ে দিলে তো সে দিশেহারা হয়ে যাবে।কোনো রকমে তিনটা ফাইল চেক করে এনির সাথে ওগুলো নিয়ে ডিসকাস করে নিলো।এখন লাঞ্চ টাইম।শ্রেয়া নিজ মনে লাঞ্চ করতে যাচ্ছে ক্যান্টিনে।ঠিক তখনই পিছন থেকে শ্রেয়াকে ডেকে ওঠে মিমি।মিমির কণ্ঠে পিছনে তাকিয়ে শ্রেয়া খুশি হয়।স্কুল ব্যাগ কাঁধে করে এসেছে সে।শ্রেয়া মিমির কাছে এসে দাঁড়ায়।মিমি বলে,”পাপা নেই আমার ভালো লাগছে না।কাকিয়া হাসপাতালে গেছে।আমার জন্য নাকি নতুন ভাই বোন আনার ইচ্ছা হয়েছে।তাই হাসপাতালে।তুমি আমার সাথে লাঞ্চ করবে?”

খুশি হয়ে শ্রেয়া নিয়ে গেলো মিমিকে।ফারাজের ক্যান্টিনে কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার রাখে না।ক্যান্টিনের জন্য যে শেফ রাখা সেও একজন শিক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন।ফারাজ আর ফারহান চৌধুরী এসব বুঝেশুনে রাখেন।স্টাফরা এখানে প্রতিনিয়ত লাঞ্চ করে।বাসায় যাওয়ার সময় থাকে না।অস্বাস্থ্যকর খাবারে ঝুঁকি বেশি।এটা ফারাজ চায় না।তাই এই ক্যান্টিন পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করে রেখেছিলো।এজন্য মিমিও এখানে এসে ফারাজের সাথে লাঞ্চ করতে পারে।এছাড়াও এই অফিসে বাচ্চাদের জন্য ও নামাজের একটি আলাদা রুম করা আছে।

মিমিকে খাইয়ে দিচ্ছে শ্রেয়া।আজ সকালে যে প্রস্তাব শুনলো এখন মিমিকে নিজের কাছের কেউ বলে মনে হচ্ছে শ্রেয়ার।মিমি যেনো এখন তারই মেয়ে।মিমিকে খাইয়ে দিতে দিতে শ্রেয়া বলে,”তুমি প্রতিদিন আসবে।আমরা একসাথে খাবো।ঠিক আছে?”

ফোকলা দাঁতে হাসি দিয়ে মিমি বলে,”ঠিক আছে আন্টি।”

ওদের কথার মাঝে এনি আসে।এতক্ষণ সে ক্লায়েন্টদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলো।ফারাজ এখন প্লেনে আছে।একটু টেক্সট দিয়ে কথা বলেছে।শ্রেয়া আর মিমির সামনে এসে এনি বসে বলে,”কখন এসেছো তুমি?”

মিমি উত্তর দেয়,”অনেকক্ষণ হয়েছে।একদম লাঞ্চ টাইমে।তুমি এত দেরি করলে কেনো?”

“তোমার পাপা থাকলে দেরি হতো না।এখন পাপা নেই আমাকেই সব কাজ করতে হয়।তোমার আন্টিও তো সারাদিন কাজ করতে করতে টায়ার্ড।”

“পাপা এত কাজ দেয় কেনো?একটু রেস্ট করলে কি হয়?”

“এই কোম্পানির লস হবে।তোমার পাপার ক্ষতি হবে।”

“ওহ তাহলে তোমরা কাজ করবে।বেশি বেশি কাজ করবে।”

শ্রেয়া আর এনি চাওয়া চাওয়ি করে হাসতে থাকে।এনি বলে ওঠে,”আমাদের একটি পুরোনো মডেল আসবে।নাম সূচি আর সাথে তার হবু বর।মিস সূচি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু ওনার শশুর বাড়ী থেকে অনুপতি পাওয়ার কারণে আবারও আমাদের সাথে যুক্ত হবেন।”

“তাহলে মিস সুনেহরা বাদ যাবে?”

“আরে না।আমাদের একেক প্রজেক্টের জন্য একেক মডেলের দরকার হয়।সুনেহরা তো আছেই তবে সে অন্য প্রজেক্টের জন্য।সূচি আসবে ডিজিটাল আউটফিটের জন্য।যেগুলো রেম্প ওয়াকের কাজে লাগবে।তুমি হয়তো এটাতে প্রথম প্রথম আনকমফোর্টেবল থাকবে।ডোন্ট ওরি।আমি আছি আর তুমি শুধু দেখবে কালার কম্বিনেশন সাথে ড্রেসের কোয়ালিটি।আর হ্যাঁ আমাকে একটু একাউন্ট গুলো চেক করে দিবে।”

“ওকে এনি।”

ওরা লাঞ্চ শেষ করে নেয়।মিমি শ্রেয়াকে বিদায় দিয়ে চলে যায়।কাজে আবার লেগে পড়ে শ্রেয়া।

অহনাকে নিজের বাসায় দেখে রেগে যায় নিবিড়।হুংকার দিয়ে বলে,”এই মহিলা এখানে কেনো মা?”

মিসেস নাজমা ছেলেকে থামাতে ব্যাস্ত।মূলত ফারাজ আর নিবিড় দুজন বন্ধু।নিবিড় পড়াশোনা শেষ করার আগেই বিয়ে করে তার প্রেমিকার সাথে।বংশীয় ব্যাবসার দায়িত্ব নেয় নিবিড় সাথে পড়াশোনা চালাতে থাকে।ফারাজ চলে যায় বিদেশে।নিবিড়ের বাবা মারা যাওয়ায় নিবিড় সবকিছু দেখতো। ফারাজের ক্ষেত্রে এদিকটা একটু ভিন্ন।ফারাজ তার ব্যাবসা বুদ্ধি দিয়ে চালালেও ফারহান চৌধুরীর সহযোগিতা ছিলো।ফারাজ সবকিছু হ্যান্ডেল করলেও ফারহান চৌধুরী ফারাজের কথামত চলতো।ছেলের প্রতিটি ডিসিশন ছিলো যুক্তিযুক্ত।তাই তিনিও খুশি হতেন।নিবিড়ের সাথে ফারাজের দূরত্ব মাঝখানে এজন্যই তৈরি হয়।কারণ তারা পারিবারিক চাপে দুদিকে চলে যায়।কিন্তু সোসিয়াল মিডিয়াতে যোগাযোগ আছে।খুব বেশি কথা না হলেও কিছু পোস্ট তো সামনে আসেই।এই যেমন ফারাজ চৌধুরীর প্রাক্তন স্ত্রী অহনার সম্পর্কে মিডিয়াতে ছড়ানো আছে।নিবিড়ের এমন কথাতে অহনা মাথা নিচু করে আছে।এখন আর সে রাগ বা প্রতিবাদ করে না।অতীতের কর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে সবার বলা কটুকথা সহ্য করছে।হয়তো এগুলো হজম করলেও কিছুটা পাপ কমে যাবে।নিবিড় আবারও বলে ওঠে,”ও আমার ফ্রেন্ডের লাইফ হেল করে দিয়েছে।সেই স্কুল লাইফ থেকে শুনে এসেছি কতটা ভালোবাসে সে এই মেয়েটিকে।জানো মা আমরা যখন টিফিনে ভালো মন্দ খেতাম তখন ফারাজ অহনার জন্য অর্ধেক টাকা রেখে দিতো।ছেলেটা মিষ্টি পাগল ছিলো বলে শুধু একটা মিষ্টি খেয়ে থাকতো।বলতো মিষ্টি খেলে পেট ভরে যায়।বাকি টাকা জমিয়ে এই মেয়েকে ওই বয়সেই বই খাতা কিনে দিতো।স্কুলে নিজের দায়িত্বে অহি আন্টিকে দিয়ে ফিশ দেওয়াতো।ছেলেটার মুখে আমি কখনও কোনো নারীর নাম শুনিনি।সবসময় এই অহনা অহনা আর অহনা করতো। আর এই মেয়েটা কি করলো?ছিঃ!ভাবতেই ঘৃণা লাগে।তুমি তাকেই এই বাড়িতে আশ্রয় দিলে?”

মিসেস নাজমা সবকিছু শুনেও কাঠিন্য গলায় বলেন,”আমি কি করেছি এটা আমি দেখে নিবো।তোমাকে ভাবতে হবে না।আর এই তো দুদিন আমার কাছে থাকে এমন না।কয়েকমাস ধরে আছে আমার সাথে।ভালো মন্দ আমি দেখছি।তুমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে এসো না।মায়ের কাছে এসেছো মায়ের ভালোবাসা নেও।পরনারী কি করছে এটা আমি দেখবো।”

রাগ মাথায় চেপে ধরলেও মায়ের কথা শুনে চুপ হয়ে গেলো নিবিড়।উপর থেকে সবকিছু দেখছে কবির।ইন্টারে পড়ুয়া ছেলেটা ভাবছে,”কি এমন করেছে সে?”

ঘরে এসে ফারাজ চৌধুরী দিয়ে সার্চ দিলো।বিভিন্ন নিউজসহ পারিবারিক ছবিও দেখা গেলো।ফারাজের সাথে থাকা একটি বাচ্চা মেয়েকে দেখে চোখ আটকে গেলো কবিরের।মেয়েটার সামনে বব কাট ভ্রুদুটো মোটামোটা চোখের পাপড়ি বড় ও সুন্দর।ফর্সা মুখে এগুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।মিমির অনেকগুলো ছবি দেখে কবির আনমনে বলে,”এটা তো একটা পিচ্ছি মেয়ে।ধুর!আমিও আছি আরেকজন।কেনো যে এদের দেখতে গেলাম।”

বলেই ফোনটি রেখে দেয় খাটে।মাত্র অফিসের কাজ শেষ করলো শ্রেয়া।এখন উদ্দেশ্য বাসায় যাওয়া।রিক্সা খুঁজতে থাকে।এই একটা বিরক্তিকর বিষয়।একটু সন্ধ্যা নামলেই কোনো যানবাহন এর দেখা মেলে না।যদিও বা দেখা মেলে তো লোকজন ভর্তি যানবাহন।শ্রেয়া হাঁটতে থাকে।একটু হাঁটলেই মেইন রোড।ওখান থেকেই রিক্সা বা বাইক পাবে।মেইন রোডে এসেই শ্রেয়া দেখলো একটা পেস্ট্রি হাউজ।চোখের সামনে ভেসে উঠল পুরোনো স্মৃতি।বাবা মা বোনকে নিয়ে কত খেতো এই কেক।একটা কেকের স্টল তারও দেওয়ার ইচ্ছা ছিলো।সবকিছু ভাবনাতেই রয়ে গেলো।বাবা বেঁচে থাকতে কতশত ফিউচার প্ল্যান করতো।এই চাকরি করবো এটা না পেলে এই ব্যাবসা করবো যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে একটা দোকান দিবো।রিমলি তখন থেকেই বাবা আর বোনের এসব ইচ্ছাতে খুশি হতো।সৃষ্টি বেগম পরিবারের সবার মুখে এসব শুনে খুশি হতেন।তিনি স্বামীর সামনে এমনিতেই সব সময় লজ্জা পেয়ে থাকতেন।বাসার জন্য এক পাউন্ডের কেক নিলো শ্রেয়া।কেকের মধ্যে ভিন্ন ফ্লেবার যুক্ত ছিলো।যেই খাবার শ্রেয়া বা তার পরিবার কখনও খায়নি ওই খাবার সবসময় ওরা কিনে বাসায় এনে একবার টেস্ট করে নিতো।বাবার পছন্দের ম্যাংগো ফ্লেবারও ছিলো এখানে।এটা দেখে চোখ চিকচিক করছে শ্রেয়ার।আনমনে বলে,”তোমার এই ম্যাংগো ফ্লেভারটা আজ কে খাবে বাবা?আয়ু কি আরো থাকতে পারতো না?থাকলে আজ আমি তোমাকে এভাবে মিস করতাম না।আমাদের সাথে সব স্মৃতিতেই তুমি জড়িয়ে আছো কিন্তু আমদের ভবিষ্যতে তুমি নেই।এটাই যে বাস্তবতা কিন্তু আমরা জেনেও মানতে পারি না।”

বাসায় এসে শ্রেয়া তার মায়ের হাতে কেক দিলো।এতখানি কেক দেখে সৃষ্টি বেগম বলেন,”আমরা তিনজন আমাদের তিন পিচেই হতো।এত টাকা খরচ করার দরকার কি?”

“নতুন কিছু চোখে পড়ল মা।বাবা থাকলে তো বাবাই কিনে আনতো।আজ নাহয় বড় মেয়ে আনলো।”

বলতে না বলতেই থমকে গেলো শ্রেয়া।দেখলো সৃষ্টি বেগমকে।কান্না করে দিলেন তিনি।রিমলি নিজেও চুপ হয়ে আছে। বাবাভক্ত মেয়ে রিমলি।শ্রেয়ার থেকেও রিমলি বেশি মিশতো বাবার সাথে।বাবার মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি।যেদিন বাবার লাশ দুয়ারের সামনে আসে সেদিন এক চিৎকার দিয়ে প্রায় দেড় সপ্তাহ নীরব ছিলো।আজও ভাবলে ভয়তে শিউরে ওঠে শ্রেয়া।বাবার মৃত্যুতে শোকাহত হবে নাকি বোনের সেবা করবে?শ্রেয়া যেনো দিশেহারা।রিমলিকে তখন অনেক ডাক্তারসহ কবিরাজ দেখানো হয়।কোনোটাতেই কাজ হয়না।একদিন ডাক্তার বলে,”ওনার যে কারণে এমন অবস্থা সেই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন আবারও হতে হবে।তাহলেই হয়তো নরমাল হতে পারবেন।”

সেদিন রাতে রিমলিকে সৃষ্টি বেগমসহ লুকিয়ে লুকিয়ে কবরস্থানে নিয়ে যায়।লুকিয়ে যাওয়ার কারণ হলো শ্রেয়া আর রিমলির পিছনে অনেকের বদ নজর।এলাকার মাস্তান তখন ওদের উত্যক্ত করতো।অনেক্ষন ধরে বাবার সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে শ্রেয়া।এক পর্যায়ে সৃষ্টি বেগম নিজেই কান্না করেন।মায়ের এই কান্না আর ভেঙ্গে পড়ার সাথে সামনে থাকা বাবার কবরকে দেখে আবারও কান্না করে রিমলি।আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসে।আজ আর রিমলি আগেরমত ভেঙ্গে পড়ছে না।কিন্তু কষ্ট তার মনে রয়েই গেছে।চোখের পানি মুছে বলে,”বাবা নেই তো কি হয়েছে?বাবা আমাদের স্মৃতির পাতায় আছে আপু।তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো আমরা খাবার রেডি করি।”

বোন যে তাকে শান্তনা দিলো এটা শ্রেয়া খুব ভালো ভাবেই বুঝলো।গোসল করে আসতেই রিমলি বলে,”আমি আর আম্মু ব্যালকনিতে আছি আপু।”

শ্রেয়া ব্যালকনিতে যায়।হালকা লাল রঙের ড্রিম লাইট জ্বলছে।কেক নিয়ে বসেছে তিনজনে।কেক খেতে খেতে শ্রেয়ার চোখ যায় দূরের সেই মাঠের দিকে।মাঠটা ফাঁকা শুধু আছে একটি টিনের ঘর।পাশের চায়ের দোকান এখন বন্ধ করা হচ্ছে। হলুদ রঙের লাইট জ্বালানো সেখানে।আশেপাশের গাছপালা থেকে বাতাস আসছে।গোসল করেছে বলে ভালো লাগছে শ্রেয়ার কাছে।দূরে মাঠের মধ্যে থাকা ঘরের দিকে তাকিয়ে শ্রেয়া বলে,”এই মাঠ কিসের জন্য ফাঁকা?”

সৃষ্টি বেগম বলেন,”কি জানি?”

রিমলি কেক খেতে খেতে বলে,”কেকটা অনেক টেস্টি হয়েছে আপু।আমাদের তো ইচ্ছা ছিল একটা ছোট পেস্ট্রি হাউজ খোলার।তা মনে হয় আশাই থেকে যাবে।পূরণ আর হবে না।”

“আচ্ছা বোন।মাকে নিয়ে একটু খোঁজ নিবি তো।সামনের মাঠ কি কারণে বন্ধ।যে ঘর ওটাও তো কোনো কাজের না।আর ওখানে আমরা চাইলে কিছু করতে পারবো কি না?”

“কি করার কথা ভাবছিস তুই?”

“একটা ছোট্ট কেকের দোকান।বাবার স্বপ্ন আমাদের ভালোবাসা।পূরণ করতে চাই মা।”

“এতগুলো টাকা কোথায় পাবি?”

“বেতন তো আমার কম না।এই দুমাসে বেশ ভালোই হয়েছে।দরকার হয় কিছু লোন নিবো।সংসার তো চলে যাবে সাথে লোন পরিশোধ হয়েও যাবে।”

মুখে উৎসাহের হাসি ফুটিয়ে রিমলি বলে,”সত্যি আপু!বাবার স্বপ্ন পূরণ হবে।আমাদের নিজস্ব একটা দোকান হবে।যেটা আমরা পারিবারিকভাবে খুলবো।আমরা দুইবোন একসাথে সেই দোকানের জন্য কাজ করবো।দোকানের নামে সবাই আমাদের পরিবারকে চিনবে।”

“আল্লাহ চাইলে সম্ভব।বাকিটা বন্দা হিসেবে চেষ্টা করতে হবে।”

“আল্লাহ আমাদের এই ইচ্ছাটা পূরণ করার তৌফিক দিক আমিন।”

সকালে শ্রেয়া অফিসে এসে লিফটে ঢুকতেই দেখা হয় অতসী আর জিনিয়ার সাথে।দুজনে শ্রেয়ার সামনে এসে দাঁড়ায়।শ্রেয়া সালাম দিয়ে কথা বলতেই তারা বলে…

চলবে…?
নোটঃএই গল্পটি আমি শুধু নায়ক নায়িকা কেন্দ্রিক করে লিখিনি।এখানে পরিবারের প্রত্যেকের বিষয় উল্লেখ থাকবে। আশার হাত বাড়ায় শব্দটি নায়ক নায়িকার মধ্যে চলে এমন না।এখানে শ্রেয়ার সাথে সৃষ্টি বেগম, রিমলি,অর্পা,মিমি জড়িত আবার ফারাজের সাথে ফারহান চৌধুরী,মিরাজ,এনি,মিমি।এখানে প্রত্যেক জুটির মধ্যেই একেকটা আশা আছে।অর্পা এক আশায় আছে।ওর বাবু নিয়ে। রিমলি আশায় আছে একজন সফল লেখিকা হওয়া নিয়ে।শ্রেয়া আশায় আছে ভিন্ন কিছু করা নিয়ে।শিহাব আশায় আছে তার স্ট্রবেরিকে নিয়ে।ফারাজ আশায় আছে তার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে।মিমি আশায় আছে একটু মাতৃত্বের ভালোবাসা পেতে।অহি আশায় আছে তার জীবনের কোনো একটা নতুন সুখ নিয়ে।এখন দেখা যাক পূরণ হয় কি না সবার আশা।এই আশায় কেউ হাত বাড়িয়ে একে অপরের হয়ে থাকতে পারে কি না এটাই দেখার বিষয়।অনেকেই রোমান্স চান।কিন্তু কাহিনীর উপর ডিপেন্ড করে রোমান্স সবসময় আসে না।এখানে পুরো কাহিনী একে অপরের চাওয়া পাওয়া নিয়ে।অনেকের মনের মতো হয়তো হচ্ছে না।কিন্তু আমি নায়কের হাত ধরে নায়িকাকে সফল করতে চাই না।আমার কাছে নারীদের সম্মান অনেক উপরে। নারী নিজ যোগ্যতায় কিছু একটা করতে পারে।যেটা শ্রেয়ার মাধ্যমে দেখাতে চাই।এই জন্য গল্পটাতে বেতিক্রম বা কথার প্যাচ আসে।ভুলত্রুটি কিছু বললে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।হ্যাপি রিডিং🖤🦋

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here