গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি #পর্ব৪ #Raiha_Zubair_Ripti

0
347

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব৪
#Raiha_Zubair_Ripti

রাতের আকাশ বরাবরই আমাদের মনে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। আমি সেইসব আকাশের কথা বলছি যেখানে রাতভর তারারা খেলা করে, জানান দেয় তাদের উপস্থিতি, ঔজ্জ্বল্য দিয়ে ভরে তোলে আমাদের হৃদয়। একরাশ সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয় রাতের আকাশ আমাদের চোখে। আমরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি, বোঝার চেষ্টা করি সৌন্দর্যের গঠনটা, অতঃপর উদাস মনে ঘুরে বেড়াই তারা থেকে তারাতে।

ছাঁদের ঠিক এক প্রান্তে উদাস ভঙ্গিতে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে রজনী। জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া না মেলা অঙ্ক গুলো পূনরায় মিলাতে চাচ্ছে। কিন্তু নাহ্ এই অঙ্ক গুলো মিলতে অক্ষম। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করতেই টুপ করে চোখের কার্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো দু ফোটা অশ্রু। রাত এখন পনে একটা বাজে। সবাই ঘুমে বিভোর। অথচ রজনীর চোখে ঘুম নেই। দু বছর হতে চললো সে কবে শান্তির ঘুম দিয়েছিল মনে পড়ছে না। রজনী সন্তপর্ণে চোখের অশ্রু টুকু মুছে নিলো। এবার রুমে ফেরা উচিত। ঘুমের মেডিসিন খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে হবে তো। ঘরে যাওয়ার জন্য পিছন ফিরতেই রজনী দেখে রুয়াত ঠিক তার সামনেই নির্নিমেষ চেয়ে আছে তার দিকে। রজনী চমকালো না। মৃদু হেঁসে বলল-
-“ কখন এসেছিস? বুঝতেই পারি নি।
রুয়াত কয়েক কদম এগিয়ে আসলো রজনীর দিকে। শাসনের সুরে বলল-
-“ তোমাকে আমি কি বলছিলাম আপা? বলেছিলাম না রাতে ছাঁদে আসতে না? এখন বাজে কয়টা জানো?
রুয়াতের শাসন দেখে রজনীর হাসি পেলো। কিন্তু ভেতরেই দমে রাখলো হাসি টা।
-“ একটার মতো বাজে মনে হয়। ঘুম আসছিলো না সেজন্য একটু তারা দের সাথে গল্প করতে এসেছি।
-“ ঘুম কেনো আসবে না? আবার মনে করছো ওসব তাই না?
রজনী হাসলো। কিন্তু এই হাসির রেখায় আনন্দ নেই আছে একরাশ চাপা তিক্ততা। রজনী রুয়াতের পাশ কাটিয়ে ছাঁদ থেকে নেমে যেতে যেতে বলে-
-“ রুমে গিয়ো ঘুমা। আমাকে নিয়ে অযথা চিন্তা করিস না।

রজনী চলে গেলো। রুয়াত ততক্ষণ তাকিয়ে রইলো রজনীর পানে। যতক্ষন রজনীকে দেখা যায়।
শাফায়াত রা সন্ধ্যা নামার পরপর ই চলে গিয়েছে শিকদার বাড়ি থেকে। রুয়াত রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছিলো না। রুমের দরজা খোলা রেখেই লাইট বন্ধ করে বিছানায় আধশোয়া হয়েছিল। যেহেতু ছাঁদে যেতে হলে রুয়াতের রুম ক্রস করেই যেতে হয়। রজনী ছাঁদে যাওয়ার সময়ই রুয়াত দেখতে পেয়েছিল তার বোন ছাঁদে যাচ্ছে। সেজন্য শোয়া থেকে উঠে সেও ছুটে আসে বোনের পেছন ছাঁদে।

রুয়াত দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। আকাশে থাকা তারা গুলোর দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ পৃথিবী তুমি এতোটা নিষ্ঠুর কি করে হলে আমার আপার ক্ষেত্রে? সব ভালো মনের মানুষদের ই কেনো তুমি এক আকাশসম কষ্ট দাও? আমার আপার কষ্ট যে আমার সহ্য হয় না। যদি ক্ষমতা থাকতো আমার ট্রাস্ট মি আপার জীবনের সব দুঃখ সব তিক্ততা গ্লানি চিরতরে মুছে ফেলে পৃথিবীর সমগ্র সুখ আনন্দ একটা র‍্যাপিং পেপারে মুড়ে নিয়ে আপার সামনে মেলে ধরতাম। আপার ধারেকাছে কোনো দুঃখ কে আসতে দিতাম না। পৃথিবী তুমি বড্ড বোকা। মানুষ চিনতে পারো না। অসৎ,খারাপ লোক গুলোকে কি সুখী তে রাখো। আর সৎ ভালো মানুষদের অ’সুখে! তোমার ও বিচার হওয়া উচিৎ ভুল মানুষ কে সুখ দেওয়ার জন্য।

রুয়াত পৃথিবীর উপর একরাশ বাজে অনুভূতি নিয়ে ছাঁদ থেকে নেমে গেলো।

শাফায়াত আর সাদমান দাঁড়িয়ে আছে বেলকনিতে। শাফায়াত এর দৃষ্টি রাস্তায় জ্বলতে থাকা ল্যাম্পপোস্টের আলোতে। সাদমানের হাতে কফির মগ। সাদমান গরম ধোঁয়া ওঠা কফিতে চুমুক দিয়ে বলে-
-“ ব্রো সামনে বিয়ে তোমার। আবার কবে তোমার সাথে এভাবে রাত জেগে রাতের আকাশের মুগ্ধতা দেখবো জানা নেই।

শাফায়াত ঘাড় বেঁকিয়ে তাকালো সাদমানের দিকে। এমন ভাবে ছেলেটা বলছে মনে হয় সে সারাদিন বউ নিয়ে পড়ে থাকবে।
-“ হঠাৎ এ কথা বলছিস কেনো?
-“ কোন কথা?
-“ এই যে রাত জাগতে পারবি না।
-“ ঠিক ই তো বললাম। ভেবে দেখো তোমার বিয়ে হয়ে গেলে কি আর তুমি বউ রেখে আমার সাথে রাত জাগবে? তখন তাড়াতাড়ি দরজা আটকিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ডেকেও পাওয়া যাবে না তোমায়।

শাফায়াত কান টেনে ধরলো সাদমানের।
-“ হতচ্ছাড়া তুই সবজান্তা নাকি?
-“ আমি পুরুষ সেজন্য জানি।
-“ তারমানে তুই ই এটা করবি। বিয়ে করে বউ কে রেখে ঘর থেকেও তো মনে হয় বের হবি না।ডেকে টেনেও বের করা যাবে না।
সাদমান হাই তুলতে তুলতে বলে-
-“ হতে ও পারে। কারন আমি বউ পাগল পুরুষ হবো।বউয়ের আঁচল ধরে থাকবো।
-“ তা আছে নাকি কেউ?
সাদমান একরাশ আফসোসের সহিত বলে-
-“ তোমার এই হ্যান্ডসাম ভাই টা এখনও সিঙ্গেল বললে বিশ্বাস করবে?
-“ না করার কি আছে? তুই কি হ্যান্ডসাম নাকি?
সাদমান চুল গুলো পেছন ঠেলে দিয়ে,শার্টের কলার ঠিক করে অবাক হয়ে বলে-
-“ আমাকে তোমার হ্যান্ডসাম মনে হয় না!
-“ কই না তো।
-“ তোমার চোখে সমস্যা আছে ভাই ডক্টর দেখাও।অকালে ছাত্র ছাত্রী দের পড়িয়ে চোখের মাথা খেয়ে ফেলছো।
-“ সত্যি সিঙ্গেল তুই?
-“ হ্যাঁ ভাই।
-“ প্রেম করার মতো কি মেয়ে তোর কপালে জুটে নি?
-“ জুটবে না কেনো? আমাকে দেখে মেয়েরা ফিদা হয়ে যায়।
-“ তার নমুনা দেখলাম। সেজন্য ই সিঙ্গেল হা হা।
-“ ব্যাপার টা সেটা না।
-“ তাহলে কি?
-“ আসলে মনের মতো মেয়ে পায় নি তোমার ভাই টা এখনও।
-“ কেমন মেয়ে চাই তোর?
সাদমান আকাশের দিকে তাকালো। ইয়াবড় থালার মতো চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ মেয়েটা হবে শান্তশিষ্ট, নম্র ভদ্র। মুখশ্রী জুড়ে থাকবে মায়া। তাকে প্রথম দেখেই কিছু একটা ফিল হবে মন গহীন থেকে। সে আশেপাশে থাকলে অদ্ভুত এক অনুভূতি হবে। ভালো লাগা কাজ করবে। আর তার সাথে প্রথম দেখায় আকাশ পাতাল এক করে বৃষ্টি নামুক।

শাফায়াত সাদমানের মাথায় টোকা মারলো। রুমে যেতে যেতে বলল-
-“ জীবন টা কোনো রূপকথার গল্প না। যে সব কল্পনার মতো হবে।
-“ তা অবশ্য ঠিক। কিন্তু কল্পনা করতে ক্ষতি কি। হয়তো আমার চাওয়ার মতোই সব হবে।
-“ দোয়া করি মনের মানুষের সাথে তোর সাক্ষাৎ খুব শীগ্রই হোক।
-“ আমিন।
শাফায়াত হেঁসে উঠলো। সাদমান আজ আর নিজের রুমে গেলো না। শাফায়াত এর সাথেই ঘুমিয়ে পড়লো।

রজনী রুমে এসে ড্রয়ার থেকে ঘুমের মেডিসিনের পাতা থেকে একটা ট্যাবলেট বের খেয়ে নেয়। রুমের লাইট বন্ধ করে বালিশে মাথা দিয়ে আরেক বলিশ কানে চেপে ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করে। মিনিট কয়েক চেষ্টা করার পর ঘুমেরা এসে হানা দেয় চোখে। রজনী তলিয়ে যায় ঘুমে।

————–

পুরো গগনে সূর্য এরই মধ্যে কোমলতা-স্নিগ্ধতা ঝেড়ে কর্কশ-উষ্ণ হতে শুরু করেছে। নরমের আবহ শেষ করে গরমের ফুৎকার ছাড়ছে।
সকাল নয়টা বাজে। রোদের তীব্রতা দেখে মনে হচ্ছে এ যেনো এক দুপুর। ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে কবির শিকদার সোফায় বসে আছে রুয়াত। রজনী রুমে। কবির শিকদার বাসায় থাকাকালীন খুব প্রয়োজন না হলে রুম থেকে বের হয় না রজনী। এতে কবির শিকদারে তেমন কিছু যায় আসে বলে মনে হয় না। হলে নিশ্চয়ই বড় মেয়েকে রেখে এভাবে খাবার খেতে পারতেন না৷ খাবার খাওয়ার আগে রুয়াত কে যেভাবে ডাক দেয় সেভাবে নিশ্চয়ই রজনী কেও ডাক দিতো। এটা নিয়ে ভীষণ মন খারাপ রুয়াতের। রুয়াত বোন কে ছাড়া খায় না। কবির শিকদার খাওয়ার জন্য ডাকলে রুয়াত এটা ওটা বলে খাওয়ার বিষয় টাকে ঘুরিয়ে ফেলে।

কবির শিকদার খাবার খেয়ে হাত মুছে অফিসের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে রুয়াতের কপালে চুমু খেয়ে বলে-
-“ আসছি। আর বিকেলে রেডি হয়ে থেকো শাফায়াত নিতে আসবে তোমায়।
রুয়াত চট করে বলে উঠে –
-“ কেনো? পরক্ষণেই জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলে-
-“ আচ্ছা।
কবির শিকদার এদিক ওদিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে চলে যায় নিজ কাজে।

রুয়াত প্রতিদিন ভার্সিটি যায় না। সপ্তাহে তিনদিন যায়। একদিন পরপর। রুয়াত বসা থেকে উঠে বোনের রুমে চলে যায়। রজনী তখন বিছানায় পা তুলে বসে আছে। রুয়াত রুমে ঢুকতেই রজনী বলে উঠে-
-“ আব্বু চলে গেছে?
রুয়াত উপর নিচ মাথা নাড়ায়।
-“ চলো এখন খেতে। ক্ষিধে পেয়েছে নিশ্চয়ই এতক্ষণে।
রজনী বসা থেকে উঠে রুয়াতের সাথে চলে গেলো খেতে। সামিরা শিকদার দুই মেয়েকে খাবার বেড়ে দিয়ে নিজেও তাদের সাথে খেয়ে নিলো।

বিকেল,,
তখন বাজে আনুমানিক চারটা পনেরো,আকাশের অবস্থা তেমন একটা সুবিধার না। কেমল মেঘলা মেঘলা করছে। রুয়াত মেজেন্টা কালারের কুর্তি পড়ে বিছানায় বসে আছে। সামনেই দাঁড়িয়ে আছে রজনী আর সামিরা শিকদার। রুয়াত রজনী কে ছাড়া যাবে না। এদিকে রজনী রুয়াত কে বারবার বুঝাচ্ছে সে যাবে না। বাবার কানে গেলে নিশ্চয়ই ঝামেলা হবে। তার থেকে বড় কথা ছোট বোন আর বোনের হবু স্বামীর মধ্যে সে গিয়ে কি করবে? কিন্তু রুয়াত শুনছে না। তার বোন কতটা দিন হলো বাড়ির বাহিরে যায় না। আজ যখন সুযোগ পেয়েছে সে নিয়ে যাবে তার বোন কে। সামিরা শিকদার রজনীর দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ রুয়াতের সাথে যা। তোর বাবার কানে যাবে না। অনেক দিন হলো বাহিরে যাস না।আজ ঘুরে আয়।
রজনী বিরোধিতা করলো।
-“ না মা আমি যাব না। ওদের মধ্যে আমি গিয়ে কি করবো? এর চেয়ে রুমেই থাকি।
-“ দেখছিস তো তুই না গেলে ও যাবে না।শাফায়াত চলে এলো বলে।

রজনী রুয়াতের দিকে তাকালো। রুয়াত হাত জোড় করে বলল-
-“ প্লিজ আপা রাজি হয়ে যা।
অবশেষে রজনী রাজি হলো। রুয়াত খুশিতে জড়িয়ে ধরলো বোন কে। তারপর আলমারি থেকে মিষ্টি কালারে সেলোয়ার-কামিজ এনে বলে চটপট রেডি হতে।
রজনী সেলোয়ার-কামিজ নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে পাল্টে আসে। তারপর চুল গুলো কে হাত খোঁপা করে বলে-
-“ চল।
রুয়াত তাকালো বোনের দিকে। মুখে কোনো প্রসাধনী নেই৷ চোখে কোনো কাজল নেই,ঠোঁটে কোনো লিপস্টিক নেই। মুখ জুড়ে শুভ্রতা রা ছেয়ে আছে। রুয়াত চুমু খেলো বোনের গালে।
-“ আমার আপাই বেস্ট।
রজনী রুয়াতের মাথায় চুমু খেলো।
-“ চল এবার।
রুয়াত মাথা নাড়িয়ে রজনীর হাত ধরে বেরিয়ে নিচে আসলো। তারপর শাফায়াত এর নম্বরে কল লাগালো।

শাফায়াত সবেই ভার্সিটি থেকে বের হয়েছে। রুয়াতের ফোনকল পেয়ে ফোন টা রিসিভ করে বলে-
-“ ভার্সিটি কেবল শেষ হলো। ওয়েট করুন আমি আসছি।
কেটে দিলো শাফায়াত ফোন। পার্কিং থেকে গাড়িটা নিয়ে রুয়াত দের বাসার দিকে চলে গেলো।
রুয়াত আর রজনী বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। শাফায়াত চলে আসলো মিনিট বিশেকের মধ্যে। গাড়ির জানালা দিয়ে দেখলো,রুয়াতের পাশে রুয়াতের মা ব্যাতিত ও আরেক টা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।শাফায়াত গাড়ি থেকে বের হয়ে সালাম দিলো সামিরা শিকদার ক। সামিরা শিকদার বলল-
-“ সাবধানে যাবে শাফায়াত মেয়ে দুটো কে নিয়ে। আবার সাবধানে দিয়ে যাবে।

শাফায়াত বুঝলো এটা তাহলে তার সেই বড় মেয়ে। যার সম্বন্ধে কিছু কথা সে শুনেছে।
-“ চিন্তা করবেন না আন্টি। যেভাবে নিয়ে যাচ্ছি সেভাবেই দিয়ে যাব।

সামিরা শিকদার মুচকি হেঁসে দু মেয়েকে ইশারা করলো গাড়িতে গিয়ে বসতে। রুয়াত রজনীর হাত ধরেই পেছনের সিটে বসলো। রজনী রুয়াত কে বলল সামনো গিয়ো বসতে। কিন্তু রুয়াত শুনলো না। শাফায়াত ভ্রু কুঁচকালো রুয়াত কে পেছনে বসতে দেখে। বলতেও পারছে না সামনে এসে বসতে। সামনে কেউ না বসলে তাকে ড্রাইভার মনে হবে। শাফায়াত গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিতেই ফোন বেজে উঠে। সাদমান কল করেছে। শাফায়াত ব্লুটুথ কানেক্ট করে কানে নিলো।
-“ কই তুমি ব্রো?
-“ গাড়িতে।
-“ গাড়িতে কি করো?
-“ তোর মাথা করছি গাধা। কিসের জন্য ফোন দিয়েছিস বল।
-“ আজ না ভাবি কে নিয়ে বেরোনোর কথা তোমার?
-“ হ্যাঁ।
-“ তো যাচ্ছ না কেনো?
-“ কে বললো আমি যাচ্ছি না?
-“ মানে?
-“ মানে তোর ভাবি কে নিয়েই বেরিয়েছি
-“ ওহ্ শিট আমাকে না নিয়েই চলে গেলে! লোকেশন সেন্ড করো আ’ম কামিং।
-“ রমনায় চলে আয়। বাই।

শাফায়াত ফোন কে’টে দিলো। লুকিং গ্লাসে তাকাতেই দেখলো রুয়াত বোনের কাঁধে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। আর রজনীর দৃষ্টি বাহিরে থাকা প্রকৃতির দিকে।

( রজনীর ব্যাপার টা ধীরে ধীরে প্রকাশ হবে।)
#চলবে?

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here