গল্পঃ #তিক্ত_প্রণয়ালাপ
কলমে: #পুলকিতা_পোড়েল
পর্ব:20
— “ভাইয়াআআআ…”
আচমকা সেই চেনা কন্ঠস্বর,চেনা মানুষের স্পর্শ পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় প্রান্তিক,পিছন ঘুরে দেখার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেছে যে কে ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে..গলা কাঁপছে প্রান্তিকের… চোখের জলটা খুব অবাধ্যতা শুরু করেছে…
— “এতগুলো বছর পর আমার গলা শুনেও কিভাবে নির্বাক আছিস তুই ভাইয়া, এই এদিকে ঘোর…”
চোখ বন্ধ করলো প্রান্তিক,যদি এটা স্বপ্ন হয় আর পিছনদিকে ঘুরে যদি মানুষটাকে দেখতে না পায়..তাই হালকা করে চোখ খুলে সামনে প্রনতিকে দেখে জাপ্টে জড়িয়ে ধরে ওকে…এতগুলো বছর পর একেওপরের সান্নিধ্য পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলো দুজনে…নিজেদের সমস্ত আবেগ ,অনুভূতি,দুঃখ কষ্ট ভাসিয়ে দিলো চোখের জলে…
— “এতদিন পর ভাইয়ার কথা মনে পড়লো তোর?? ছয়টা বছর ধরে আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছিস তুই…ভাইয়ার সাথে ঝগড়া না করে কীভাবে ছিলিস এতগুলো বছর?”
বেশ কিছুক্ষণ কাটলো দুই ভাইবোনের এক অপরকে জড়িয়ে ধরে…দুই ভাইবোনের এমন আবেগঘন মুহূর্ত দেখে অনামিকার চোখেও জল এলো, ও এগিয়ে গেলো ওদের দুজনের দিকে..অনামিকাকে দেখে প্রান্তিক প্রণতিকে ছেড়ে দিয়ে দাঁড়ালো..প্রণতি অনামিকাকে খানিকক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলো..তারপর প্রান্তিকের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকালো..
— “ আমার জন্য একটুও অপেক্ষা করা গেলোনা ভাইয়া? এরমধ্যে বিয়েও করে ফেললি?”
— “অনেককিছু ঘটে গেছে এই ছয় বছরে ছুটকি, একপ্রকার বাধ্য হয়েই এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করা, নাহলে তো প্ল্যান ছিলো অনুষ্ঠান করে ধুমধাম করে অনামিকাকে বিয়ে করবো..”
প্রণতি কিছুটা বিস্ময়ের সাথে বললো,
— “এক মিনিট,অনামিকা? এ কি সেই অনামিকা, অতনু আঙ্কেলের মেয়ে..? অনীশ দার বোন?…যার জন্য তুই তোর বোনকে হারিয়ে ফেলতে বসেছিলি তার বোনকেই বিয়ে করলি তুই?”
অনামিকার খুব খারাপ লাগলো কথাটা শুনে…কিন্তু পরক্ষণেই প্রণতির জায়গায় নিজেকে বসিয়ে প্রণতির অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করলো ও…সামান্য এগিয়ে প্রণতিকে বোঝানোর চেষ্টা করার জন্য ওর হাত ধরতে গেলে প্রণতি সপাটে অনামিকার গালে চর মারে…
— “তোরা আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিস, আমার জীবন থেকে ছয়টা বছর কেড়ে নিয়েছে তোর দাদা…আর তুই ভাবলি কি করে অনু যে আমি তোকে বৌদি বলে মেনে নেবো?”
ব্যথায় কাতরে উঠলো অনামিকা… প্রণতির হাতের চার আঙুলের দাগ পড়ে গেছে ওর গালে…চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো বেদনাশ্রু..প্রান্তিক দুহাতে আগলে নিলো অনামিকাকে…
— “ তুই ওকে মারলি কেনো প্রণতি? এত ঝড়ঝাপটা থেকে যাকে বাঁচিয়ে রেখেছি,এক ফোঁটা আঘাতও লাগতে দিইনি যার শরীরে আর তার গায়ে তুই হাত তুললি? ”
অনামিকা প্রান্তিককে বোঝানোর চেষ্টা করলো,
— “ওকে কিছু বলোনা, মেয়েটার ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে.. ও এখন নিজের মধ্যে নেই..আর কিছু বলোনা…”
— “না অনু, আমি অন্যায় কোনোদিনও মেনে নিইনি আর নেবোও না…এই অবস্থায় ও তোমার গায়ে হাত তোলার সাহস কিভাবে পেলো ?”
প্রণতি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো,
— “এতটা পাল্টে গেছিস তুই? আমার কখন জ্ঞান ফিরেছে, কিভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে এলাম এগুলো জানতে না চেয়ে ওর জন্য তুই আমাকে বকছিস??এই ছয় বছরে আমি এতটা পর হয়ে গেলাম?”
প্রান্তিক প্রণতির কান্নাভেজা মুখটা সহ্য করতে পারলোনা, দুহাত রাখলো প্রণতির গালে,
— “তোর অপরাধীরা শাস্তি পেয়ে গেছে বোন, অনামিকার তো এতে কোনো দোষ নেই..তুই শুধু শুধু ওকে ভুল বুঝছিস, আজ ওকে পঞ্চমৃত খাওয়ানো হবে, ওর এই স্পেশাল দিনটায় ওকে আর ভুল বুঝিসনা..”
প্রণতি অবাক চোখে তাকালো প্রান্তিকের দিকে,খুশি খুশি মুখে বললো প্রান্তিককে,
— “ওদেরকে তুই শাস্তি দিয়েছিস ভাইয়া?? প্রীতম আমার যেই সর্বনাশটা করেছে , ও শাস্তি পেয়েছে তো?”
— “হ্যাঁ প্রীতম সহ ওর মতো বাকি সবাইই শাস্তি পেয়েছে…ওদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, আমি তোকে সব বলবো, আগে অনুষ্ঠানটা হয়ে যাক..”
প্রণতি অনামিকার কাছে গিয়ে ওর হাতদুটো মুঠো করে ধরলো,
— “সরি অনু আমাকে ক্ষমা করে দে,আমি তোকে মারতে চাইনি কিন্তু আমি যে নিজেকে সামলাতে পারিনি… অনীশদা আমার সঙ্গে খুব বড় অন্যায় করেছে…তাই…”
অনামিকা হেসে প্রণতিকে আশ্বাস দিলো,
— “আমি বুঝেছি সবটা,আমিও যে তোমার মত প্রীতমের স্বীকার …তোমার দাদা যদি সময়মতো আমাকে না বাঁচাতো তাহলে আমিও হয়তো এখানে আজ জীবিত অবস্থায় থাকতাম না…”
— “প্রীতম তোর সাথেও একই কাজ করেছে?”
— “না অতদূর যেতে পারেনে,তার আগেই তোমার দাদা প্ল্যান করে আমাকে বিয়ে করে ফেলেছে..”
— “ইন্টারেস্টিং তো ব্যাপারটা ,বেশ পরে শুনবো সবটা… আগে তোর অনুষ্ঠানটা হয়ে যাক…”
প্রান্তিক প্রণতির মাথায় হটাৎ করে গাট্টা মারলো,প্রণতি রাগী রাগী চোখে তাকালো ওর দিকে,
— “ছোটবেলার সম্পর্ক ভুলে যা, এখন অনু তোর বৌদি…এইসব তুই তোকারি চলবেনা…”
প্রণতি আর অনামিকা দুজনেই হেসে ফেললো, প্রণতির হঠাৎ চোখ গেলো অনিন্দিতার দিকে…
— “ও কে ভাইয়া? একেবারে অনুর মতো দেখতে..”
অনিন্দিতা প্রণতির কাছে এগিয়ে এলো,
— “আমি অনামিকার বোন, মাত্র এক মিনিটের ছোটো…আমার নাম অনিন্দিতা…অনিন্দিতা পাল..”
প্রণতির মাথার ভিতরটা যেনো সব ঘেঁটে গেলো,এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো ও যেনো ওর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে…মাথাটা শক্ত করে চেপে ধরলো দুহাত দিয়ে..
— “আমার কেনো কিছু মনে পড়ছেনা? অনামিকার তো কোনো জমজ বোনকে আমি দেখিনি…তাহলে ? আমি কি ভুলে গেছি?”
প্রণতিকে পাগলের মতো করতে দেখে আঁতকে উঠলো প্রান্তিক, প্রনতিকে একটা জায়গায় বসিয়ে সবটা খুলে বললো ওকে…সবকিছু শুনে প্রণতি শান্ত হলো..
— “কার সাথে তুই কলকাতায় এসেছিস বোন?”
— “ডক্টর আঙ্কেলের সাথে..”
.
.
সময় কারোর জন্য থেমে থাকেনা…তেরো বছরের সদ্য বয়ঃসন্ধিতে পা দেওয়া আন্হিক মজুমদার যেনো এখনও সেই ছোট্টটিই রয়ে গেছে…এখনও মায়ের হাতে ছাড়া খেতে পারেনা…মা ছাড়া যেনো ওর পৃথিবীটা অন্ধকার, তার পুরো পৃথিবী জুড়েই অনামিকার অবস্থান… এই নিয়ে আবার ছয় বছরের ছোট্ট অন্তিকার ঘোর অভিযোগ…
— “তুমি আমাকে একটুও ভালবাসো না মাম্মা, তুমি শুধু ওই আন্হিক গতির পিছনেই পড়ে থাকো…”
যখন থেকে দাদার ভূগোল বইয়ে আন্হিক গতি সম্পর্কে জেনেছে তখন থেকে এই নামে রাগায় ও দাদাকে…আন্হিক ও খুব রেগে যায়,
— “দেখেছো মাম্মা ওই আন্টার্কটিকাটা আবার আমাকে এই নামে ডাকলো..”
অনামিকা এই দুটো ছেলেমানুষকে সামলাতে সামলাতে নাজেহাল হয়ে যায়…তবে আজকে ওর একটুও সময় নেই ..
— “অনি,অন্তি আজ একটুও ঝগড়া করোনা, লক্ষী ছেলেমেয়ের মত খেয়ে নাও…তারপর তোমাদের স্কুলে দিয়ে আমাকে সংশোধনাগারে যেতে হবে একবার…”
অন্তিকা অনামিকার সামনে বসে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করলো,
— “মা সংশোধনাগার কি?”
— “তোমাদের মামিমাকে আনতে যাবো,আজ অনেক বছর পর তোমাদের বর্নিশ দাদা তার মায়ের সাথে থাকতে পারবে…”
আন্হিক আর অন্তীকা শান্ত হয়ে খেয়ে নেয়, তারপর অনামিকা ওদের স্কুল যাওয়ার জন্য রেডি করে ওদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ে…প্রথমে পাল বাড়িতে যায় …ওখান থেকে অনীশ আর বর্নিশকে গাড়িতে তোলে ও… বর্নিশকে দেখেই আনন্দে লাফিয়ে ওঠে অন্তিকা…
— “গুব্লু দাদা আমিও তোমাদের সঙ্গে যাবো…”
সামনের বছর উচ্চমাধ্যমিক দেবে বর্নিশ, মাকে ছাড়াই ওর জীবনের এই চোদ্দটা বছর কেটেছে… বর্ণালী অনিশকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের কথা বললেও ছেলের কথা ভেবে রাজি হয়নি অনীশ…মা অন্ত প্রান ছেলেটাও মাকে ছাড়া চলতে শিখে গেছে…এগিয়ে এসেছে অনেকটা পথ, এইসব ভাবতে ভাবতেই ওদের গাড়ি এসে থামে সংশোধনাগারের সামনে…আন্হিক আর অন্তিকা একপ্রকার জোর করেই এসেছে…গাড়ি থেকে নেমেই প্রান্তিককে দেখে অন্তীকা প্রান্তিকের কোলে উঠে পড়ে…
— “একি মাম্মা তোমরা স্কুলে না গিয়ে এখানে এসেছো কেনো??”
অনামিকা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আন্হিক বলে ওঠে,
— “দেখোনা পাপা আন্টার্কটিকা খুব বায়না করছিলো আসবে বলে…তাই মা আমাদের এখানে আনলো..”
অন্তীকা খুব রেগে যায় মিথ্যে কথা শুনে,
— “পাপা আমাকে বেশি ভালবাসে বলে তোর এত হিংসে কেনো আন্হিক গতি? মিথ্যে কথা বানিয়ে বানিয়ে বলছিস?”
অনামিকা দুজনকেই চোখের ইশারায় চুপ করায়,
— “অনিন্দিতা আর সৌরভ দা এসেছে?”
— “হ্যাঁ ওদিকটায় দাঁড়িয়ে আছে,চলো সবাই..”
সবাই মিলে সংশোধনাগারের গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়…কিছুক্ষনের মধ্যেই বেরিয়ে আসে বর্ণালী….সম্পূর্ণ নতুন এক মানুষ হয়ে, প্রথমেই বর্ণালী নিজের ছেলের কাছে এসে জড়িয়ে ধরে ওকে,
— “আমাকে ক্ষমা করে দে বাবা, আমি তোর ছেলেবেলাটা সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দিতে পারিনি।কিন্তু তোর বাকি জীবনটা আমি নিজের হাতে সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেবো… কথা দিলাম তোকে”
.
.
আন্হিক আর অন্তিকাকে ঘুম পাড়িয়ে সবেমাত্র নিজের রুমে এসে বসলো অনামিকা, কোথা প্রান্তিক এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো ওকে…
— “মেয়ে ঘুমালো?”
— “হুম ,এইদিকে দুই ভাই বোন সাপ আর বেজি কিন্তু ঘুমানোর সময় নাকি একে অপরকে ছাড়া ঘুম আসেনা দুজনের…”
কথাটা বলেই হেসে উঠলো অনামিকা, প্রান্তিক অনামিকাকে ছেড়ে এবার ওর কোলে মাথা দিয়ে লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো,অনামিকা মুচকি হাসলো,
— “তুমিও কি ওদের মতো বাচ্চা হয়ে গেলে নাকি?”
প্রান্তিক হাসি হাসি মুখ করে বললো,
— “জানো আমি মামা হতে চলেছি? ”
অনামিকা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো,
— “সত্যি? প্রণতি প্রেগনেন্ট? যাক এতবছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো ওদের…নাহলে মেয়েটা খুব কষ্ট পাচ্ছিলো…”
— “কিছুক্ষন আগেই রনো জানালো বিষয়টা… রনোর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই…ওর মতো ছেলে হয়না…”
অনামিকা প্রান্তিকের চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে বললো,
— “রণোদার জন্যই তো প্রণতি ওর সমস্ত অতীত ভুলে নতুন ভাবে নিজের জীবন শুরু করতে পেরেছে…”
প্রান্তিক হটাৎ উঠে বসলো,
— “এই বউ..”
প্রান্তিকের মতিগতি অনামিকা মাঝেমধ্যে বুঝতে পারেনা,
— “কি চলছে আবার মাথায়?”
— “সামনে তো আমাদের পনেরো তম বিবাহবার্ষিকী, চলো না অস্ট্রেলিয়ার ওই চার দেয়ালের মধ্যে আমরা সেলিব্রেট করি দিনটা…যেখান থেকে আমাদের নতুন সংসার শুরু হয়েছিলো…”
অনামিকার মনটা মুহূর্তেই খারাপ হয়ে গেলো,
— “অনির ফাইনাল এক্সাম আছে কদিন পর, কিভাবে যাই বলো তো?”
— “অনির প্রিন্সিপালের সাথে আমার কথা হয়েছে, এখনও মাসখানেক বাকি আছে ওর এক্সামের…নেক্সট উইকে এক সপ্তাহর জন্য ঘুরে আসি?”
অনামিকা প্রান্তিকের কাঁধে মাথা রাখলো,
— “আমার জন্য তুমি তোমার শহর ছেড়ে এই শহরে এলে,আর আমি তোমার এই ইচ্ছেটা পূরণ করবো না?”
প্রান্তিক অনামিকার গালে টুকুস করে একটা চুম্বন করলো, অনামিকা খানিকটা অবাক হলেও পরক্ষণে হেসে ফেললো,
— “অনি আর অন্তি যখন জীবনে সাকসেসফুল হয়ে যাবে,ওদের বিয়ে দিয়ে আমরা দুজন গিয়ে তোমার শহরে থাকবো…নিভৃতে,নির্জনে…ভালোবেসে”
— “দেখতে দেখতে বিবাহিত জীবনের পনেরোটা বছর কাটিয়ে ফেললাম আমরা, আমার সন্তানের মা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া থেকে আজ তুমি আমার দুই সন্তানের মা…জীবনটা কিভাবে পরিবর্তন হয়ে গেলো ,না?”
— “এরপরে যতগুলো মনুষ্য জীবন পাবো,ততগুলো জীবনে আমি তোমাকেই চাই,আমার পাশে…আমার জীবনসঙ্গী হিসাবে..আমার সন্তানদের বাবা হিসাবে…”
— “তুমি যেখানেই থাকো আমি ঠিক খুঁজে নেবো তোমাকে, ভালোবাসি বউ…”
অনামিকা প্রান্তিকের বুকের মাথা রেখে চোখ বুজলো,
— “আমিও ভালোবাসি আমার দুই নয়নমনির বাবাকে”
(**************সমাপ্ত***************)
(শেষ করলাম, খারাপ লাগলেও প্রান্তিক অনামিকার জার্নি এতদূরই ছিলো,মূল জিনিস দেখানোর পর গল্পটাকে আর টানতে চাইলাম না আর পাঁচটা সাংসারিক গল্পের মতো। এই অন্তিম পর্বে অন্তত সবাই এই গল্পটাকে নিয়ে নিজেদের মনের ভাবনা জানিয়ে যেও)