ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ #পার্টঃ২ #WriterঃSumaiya_Afrin_Oishi

0
405

#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ

#পার্টঃ২

#WriterঃSumaiya_Afrin_Oishi

“রুমে গিয়ে দেখি মিতু মুখ ফুলিয়ে বসে আছে, বুঝেছি বেচারী রাগ করে আছে আমার সাথে, দেরী হওয়ার কারনে। আমি গিয়ে ওর পাশ ঘেঁষে বসে পড়লাম, তারপর বললাম,

“যে খানে আমার রাগ করার কথা আর তুই মুখ ফুলিয়ে বসে আছোস ক্যান ফকি*ন্নি।”

“তাও কিছু বললো না মিতু, আমি আবার ওরে ধা’ক্কা দিয়ে বললাম,

“আরে দোস্ত রাগ করিস না বিশ্বাস কর এই তোর চুল ধরে প্রমিস করলাম। যদি মিথ্যে বলি তোর সব চুল পড়ে যাবে। আমি সত্যি তারাতাড়ি আসছি, আর সব দোষ ঐ খাম্বা বেটার। কোথা থেকে আইসা’ই আমার সাথে ঝগড়া শুরু করলো। ঐ ব্যাটা আমার লিপস্টিক কে নিয়ে কথা বললো। ওকে তো আমি একটা শিক্ষা দিবো’ই হুহ না হয় আমার নাম ও ঐশী না, বলে থামলো ঐশী।

“মিতু রনচন্ডি মুড নিয়ে বললো, খবরদার তুই আমার চুল ধরে কসম কাটবি না। আমার হীরা মানিক চুলের যদি কিছু হয় তোরে আমি হিরো আলমের সাথে বিয়ে দিব হুহ। তোর ফা’টা বাঁশ আর হিরো আলম এর কুকিল কন্ঠ মিলিয়ে গান গেয়ে দিনে দুপুরে মানুষ হার্ট অ্যাটাক করিয়ে দিবি।”

“আরে লেইট মফিজের বউ আসলি ক্যান তুই এতো তারাতাড়ি। তুই যে ঘুম থেকে উঠতে দেরী করছো সেটা বল পেত্নি।”

“আচ্ছা দোস্ত সরি আমার জান্টুস, মান্টুস, কলিজা, গিলা,নাড়িভুড়ি, রাগ করিস না।
আর শোন হিরো আলম তোর ক্রাশ তোর সাথে যেনো বিয়েটা হয়, তাইলে আমি ২ টাকা না আর ৫ টাকা মোট ৭ টাকার মিলাত দিমু মসজিদে হে হে।

“আচ্ছা শোন ঐ খাম্বাটা কে রে?”

“মিতু ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে বললো, খাম্বা আবার কে?”

আর ঐ যে ব্যাটা আমার লিপস্টিক কে অপমান করলো মন খারাপ করে বললো ঐশী।

“আমি কি দেখছি নাকি তোরে কোন মোকলেছুর নাতি তোর লিপস্টিক কে অপমান করছে! অপমান করছে বেশ করেছে। ভেংচি কেটে বললো মিতু।

“মিতুর কথা শুনে ওকে দিলাম একটা ধা’ম করে কি*ল,তারপরে রাগ দেখিয়ে বললাম,

“এই তুই আমার বান্ধুবী না ঐ ব্যাটার হ্যাঁ।
তুই কেন ঐ ব্যাটা, হনুমান, লাল পিপঁরার, হয়ে কথা বলিস?

“আরে দোস্ত মারিস না আমি তো মজা করলাম হিহি আইএম জোকিং। শোন এখন বাদ দে এসব তোর আর আমার কিন্তু মেলা কাজ বুঝলি। রাতে গায়ে হলুদের পার্টি হবে। আর আমরা কিন্তু শাড়ি পড়বো সব মেয়েরা,, আর তুই ও পড়বি কিন্তু ঠিক আছে। তোর এইসব জিন্স, জামা চলবে না বুঝছিস। আর চল আপুর কাছে যাই, দেখি আপুকে কি করে। বলে মিতু নিয়ে গেলে ঐশীর হাত ধরে আপুর রুমে। (অপু হচ্ছে মিতুর বড় বোন যার আজকে গায়ে হলুদ)

“রুমে গিয়ে দেখতে পেলাম ঐ খাম্বা বেটা বসে আছে অপু আপুর সাথে কি যেন কথা বলে।

“তারে দেখেই রাগ হলো ব্যাটা খাটাশ! সকাল সকাল মুডটাই খারাপ করে আবার এখানে ও চলে আসছে। আমাকে অপমান করলি তাও মানা যেতো, কিন্তু ইঁদুরের নাতি তুই আমার সাধের সোনার লিপস্টিককে অপমান করলি! থাক সোনারা মন খারাপ করিস না আমি আছি না,তোদের ছাড়া তো আমার চলেই না। রাগ করিস না বাবুরা তোদের আমি কত যত্ন করি তা দেখলে কি ঐ রসকসহীন তোদের কিছু বলতো।
তোকে তো আমি পঁচা ডিম মাথায় দিব দেখিস! মনে মনে এক ধ্যানে বিড়বিড় করলো ঐশী।

আপু এখানে তাদের সামনে তো আমি ভদ্র! হ্যাঁ আইএম ভদ্রলোক।

“আমার কথা শেষ না হওয়ার আগেই সাদা খাম্বা বললো আরে ভয়ংকর পেত্নি আপনি এখানে ও চলে আসছেন, আমার পিছু পিছু। বললো রাফিন,

“আরেরেরে মিয়া থামেন।আমি আসছি আপনার পিছু পিছু না আপনি আসছেন। আপনাকে কেউ তো দাওয়াত দিলো না। বিনা দাওয়াতে’ই চলে আসছেন?

“আর কিছু বলতে পারলাম না মিতু আমাকে চি’মটি দিয়ে বার বার থামতে বলে আর আমি ওর দিকে রাগী চোখে তাকালাম। ও আমার কানে কানে ফিসফিস করে বললো বোনু থাম। কারে কি বলো?

‘এরই মধ্যে অপু আপু কনফিউজ হয়ে বললো,

আরে ঐশী রাফিন ভাইয়া থামো তোমরা। তোমরা দুজন কি পরিচিত? আইসা’ই ঝগড়া শুরু করলে কেন?

” আমি মোটে ও ঐ ব্যাটাকে চিনি না।দেখলে আপু উনিই তো আগে শুরু করলো।
(সবার আগে গল্প পড়তে চাইলে আমার পেজে এড হবেন Sumaiya Afrin oishi – সুমাইয়া আফরিন ঐশী page , এর নাম)

“অপু আপু বললো,
আরে ঐশী তোমার মতো লক্ষীমেয়ে আর আছে বুঝি! তুমি তো খুব অশান্তি মেয়ে না মানে শান্ত, ভদ্র মেয়ে হিহি।

“রাফিন ওদের কথার মাঝে নাক টেনে, চোখ মেরে বললো দেখতেই তো পারছি কি সাংঘাতিক রমণী!

“অপু রাফিন কে থামিয়ে বললো আচ্ছা বাবা থামো, আমি পরিচয় করিয়ে দেই।

“রাফিনের দিকে তাকিয়ে অপু আপু বললো,

এই হলো রাফিন ভাই আমার কাজিন। আমার একমাত্র কাকার একমাত্র ছেলে। আমার একমাত্র চাচাতো ভাই। ভাইয়া ঢাকায় থাকে বাড়িতে বেশি আসে না তাই তুমি চিনো না, বুঝলে কিউটি। ভাইয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়েন, আর এই যে ভাই, ঐশীর দিকে তাকিয়ে, এই হলো আমার আর একটা বোন, মিতুর বেস্টু ঐশী। আব্বুর বন্ধু শফিকুল আংকেল এর মেয়ে। আরে ভালো কথা তোমার শৈশবের বন্ধু তিহান ভাই এর আদুরে ছোট বোন। একনিঃশ্বাসে বলে থামলো অপু।

“রাফিন ভাই বললো আরে বোন শ্বাঃস নে ধম-বন্ধ হয়ে মা’রা গেলে তোর জামাই বিয়ের আগেই বেচারা বিধবা হয়ে যাবে। তাই তোকে তো বাঁচতে হবে দুলাভাই এর জন্য বুঝলি।

“আবার আমার দিকে চেয়ে বাঁকা হেসে বললো, এই সাংঘাতিক মহিলা কে তো চিনতেই হবে! সেদিনো দেখলাম সর্দি দিয়া লিপস্টিক খায় আর দৌড়াদৌড়ি করে!

“আমি চেঁচিয়ে তার কথার মধ্যে বললাম দেখেন আমি মোটে ও মহিলা না। আর আমার জীবনে ও সর্দি হয় না। একদম বানিয়ে বানিয়ে কথা বলবেন না বলে দিলাম। আমি আমার টাকা দিয়ে লিপস্টিক কিনি কার দাদার কি? একটা ও বাজে কথা বলবে না ওকে। তাইলে বুঝিয়ে দিব এই ঐশী কি জিনিস হু!

“রাফিন ভাই আমার দিকে চেয়ে আনমনে বলে উঠলো, আমাকেই তো কিনতে হবে লিপস্টিক! আরো কত কি।

“এর মধ্যে মিতু বললো, আপনি আবার কারো লিপস্টিক কিনবেন হাঁসালেন রাফিন ভাই হাহা! যে লিপস্টিক ই দেখতে পারে না সে আবার কিনবে।”

“রাফিন ভাই আমার দিক চেয়ে বললো, লিপস্টিক না তাঁকে কাজল চোখে বেস্ট লাগে। তার মায়াবী চোখে দেখেছি আমার সর্বনা’শ!

“রাফিন ভাই আপনি কি ঐশী কে মিন করে বললেন। বললো মিতু।

“রাফিন ভাই চোখ সরিয়ে নিয়ে বললো, আমি তোর এই পেত্নি বান্ধুবীকে বলবো কেন? আমি তো আমার মায়াবিনী কে বললাম!

“কীহহহহ? আপনার জিএফ আছে রাফিন ভাই? চিৎকার দিয়ে মিতু বললো।

“আরে গা’ধা চেচাচ্ছিস ক্যান? আমি কি মানুষ না। আমার জিএফ না আমার একজন ভালোবাসার মানুষ আছে যাকে আমি ভীষণ রকমের ভালোবাসি! সেই আমার মায়াবতী পরী! যাকে আমি সব টা দিয়ে ভালোবাসি!”

“তাইলে আমাদের ভাবি কে দেখাও? মিতু কৌতূহল হয়ে বললো।

“দেখাবো তো সময় হলে ঠিকই দেখবি আমার প্রয়সী কে। তারপরে উদাসীন ভাব নিয়ে চলে যেতে যেতে বললো। আমার একটু কাজ আছে রে থাক তোরা। দেখি স্ট্রেজ সাজানো হলো কি না? আর অপু তোর বিয়েতে আমি যে কষ্ট করে কাজ করি এর জন্য কিন্তু আমার বিয়েতে তোকে ও আমার বউ এর সব কাজ করে দিতে হবে তবেই এর দাবি ছাড়বো! না হয় কিন্তু মরার পরে আমার পিছনে ঘুর ঘুর করতে হবে দেখিস।”

“হাসি আনন্দে কাটলো সারাটাদিন! সময় যাচ্ছে তার নিজ গতিতে রাত হয়ে গেছে, ছেলেপক্ষ ও মেয়ে পক্ষের মেহমান ইতিমধ্যে সব চলে আসছে। এবার শুরু হলো
অপু আপুর গায়েহলুদ অনুষ্ঠান।”

হলুদ অনুষ্ঠানে হলো আরো বিরাট এক কাহিনী হঠাৎ করে,,,,,,,,,,,,,,,,

চলবে…….

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় পাঠক আমার লেখা প্রথম গল্প, জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। বানান ভুল হলে একটু বুঝে নিবেন।
সবাই শেষ অবধি পাশে থাকবেন 🙂
চুপিচুপি পড়ে চলে যাবেন না, অবশ্যই লাইক, কমেন্ট করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here