ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ #writer_sumaiya_afrin_oishi #পার্টঃ৪১

0
180

#ভালোবাসা_নামক_প্রিয়_অসুখ

#writer_sumaiya_afrin_oishi

#পার্টঃ৪১

রাফিন ফোন রিসিভ করতেই, ওপাশের ব্যক্তির কথা শুনে মুখশ্রী জ্বলজ্বল করে উঠলো। হুট করে ঐশী’কে জড়িয়ে ধরে চোখে মুখে চুমু খেলো। ঐশী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

“-কি হয়েছে আপনার, এতো খুশী খুশী লাগছে কেনো আপনাকে। কে ছিলো?”

“অবশ্যই আমি ভীষণ খুশী বউ! অবশেষে আমার একটা চাকরি হয়ে গিয়েছে। কাল সকাল থেকে’ই অফিসে জয়েন করতে বলেছে।”

ঐশী ও উৎফুল্ল কন্ঠে বললো,

“আলহামদুলিল্লাহ!”

পরক্ষণে আবার চিন্তিতো হয়ে বললো,

“কিন্তু ডিউটি, টিউশনি, এসব করলে আপনি ক্লাস করবেন কখন, আর নিজের পড়া বা পড়বেন কখন?”

“ক্লাস সপ্তাহে একদিন করবো। পড়া রাতে কমপ্লিট করে নিবো। এত কিছু তোমাকে ভাবতে হবে না সোনা। তুমি পাশে থাকলে আমি সামলাতে পারবো সব কিছু ।”

আরো কিছু সময় কথা বলে, দু’জন মিলে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লো।
.
.
পরদিন সকালে খুব ভোরে উঠে পড়লো ঐশী। নিজেকে যথা সম্ভব মানিয়ে নিয়েছে সে। এ কয়েক দিনে একজন দায়িত্ব”বাণ স্ত্রী হয়ে গিয়েছে সে। সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে আন্তরিকতা, মনের বো’ঝা’প’ড়া, দু’জন দুজন’কে বুঝতে পারলে সংসার জীবন হয়ে উঠে ভালোবাসা’ময় ভরপুর। তখন একজন আরেক জনকে ভালো রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। কি ভাবে তার সঙ্গী একটু ভালো থাকবে, সেই চিন্তা’টা এমনি’ই মাথা চাপা দেয়।

“এখন আর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ডেকে তুলতে হয় না ঐশী’কে। রাফিনের আগে’ই উঠে পড়ে, আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। নামাজ পড়ে, রান্না ঘরে গিয়েছে রান্না করার জন্য। যেহেতু আজ থেকে রাফিন ডিউটি করবে, তাই দুপুরের জন্য খাবার নিয়ে যাবে সাথে করে। রাফিনের সাথেও ব্যবহার সহজলভ্য হয়ে উঠেছে তার। এখন আর আগের মতো অতো লজ্জা করে না।”

“ভোরে রাফিন উঠে চমকে গেলো, ঐশী’র সব কাজ কমপ্লিট। অবাক হলেও ভীষণ খুশী ও হয়েছে, তার সাথে মেয়েটা কোনো অভিযোগ ছাড়া’ই অনায়াসে সব কিছু মানিয়ে নিচ্ছে। খুব ভোরে উঠে নিজ হাতে যত্ন করে তার জন্য রান্না করে, ভাবতেই সুখ সুখ অনুভব হলো, ভিতরটা ভালো লাগায় ছেয়ে গেলো। পরক্ষণে আবার বুকের ভিতরে চাপা কষ্ট অনুভব হচ্ছে এটা ভেবে, তার অর্ধাঙ্গিনী কে সে যথেষ্ট সুখ দিতে পারিনি। গোপনে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো রাফিন।”

রেডি হয়ে ঐশী’কে বলে বাহির যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো রাফিন। হুট করে ঐশী তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। রাফিনে’র পা জোড়া থেমে গেলো।ঐশী এভার সামনে এসে একটু পা’টা উঁচু করে রাফিনের কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো। লাজুক হেসে বললো,

“সাবধানে থাকবেন! দুপুরের সময় মতো খেয়ে নিবেন।”

ঐশী’র এমন আচরণে রাফিন যেন নির্বাক হয়ে গেলো। এই মেয়ে তাকে হুটহাট জড়িয়ে ধরে, আজ এই প্রথম নিজ থেকে চুমু খেলো তাকে। রাফিন যেমন বিস্মিত তেমনি আনন্দিতো। মনের অন্তঃকোণল মনে হচ্ছে একপশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিলো তার হৃদয়ের আঙিনা। রাফিন মুচকি হেসে, ফিসফিস করে বললো,

“তুমিও সাবধানে থেকো বউ!”

রাফিন আর দাঁড়ালো না। হাস্যজ্বল মুখে বেড়িয়ে পরলো বাসা থেকে। প্রথমে একটা কোচিং কমপ্লিট করে, তারপরে অফিসে যেতে হবে তার।
.
.
মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছে, ঐশী নামাজ পড়ে নিলো। সন্ধ্যার একটু পড়েই পাশের ফ্ল্যাটের ছোট্ট একটা মেয়ে এসে দরজা’র কড়া নাড়াচ্ছে। ঐশী দরজা খুলে মেয়েটা কে ভিতরে নিলো। তার একাকিত্বে’র সঙ্গী হলো এই বাচ্চা মেয়ে’টা। এই কয়দিনে বাচ্চা মেয়ে’টা ও তার আম্মু ঐশী’র সাথে খুব মিশে গিয়েছে। প্রায় সময়’ই তার কাছে থাকে, বিভিন্ন গল্প করে। ঘন্টা খানিক সময় পরে মেয়ে’টার মা তাকে নিয়ে চলে গিয়েছে। ঐশী এবার রাতের রান্না শেষ করলো। ফ্রেশ হয়ে খাটের উপরে বসতেই মন চাচ্ছে শাড়ী, হাত ভর্তি কাঁচে’র চুরি, চোখে কাজল পড়তে। এই গুলো রাফিনে’র ভীষণ পছন্দ। খুব করে আজ রাফিনের জন্য সাজতে ইচ্ছে করছে তার। সময় নষ্ট না করে সত্যি’ই মেরুন কালারের একটা শাড়ী, হাত ভর্তি কাঁচের চুরি পড়ে নিলো। বসে বসে ঘড়িতে সময় দেখছে আর ভাবছে তার রাফিন ভাই কখন আসবে। আজকে তাকে দেখে নিশ্চয়ই ভীষণ খুশী হবে, তার রুপের প্রশংসা করবে। এসব ভাবতেই লাজুক হাসলো ঐশী।

রাফিন রাতের টিউশনি দুটোও সেরে আসতে প্রায় নয়টা বেজে গিয়েছে। কলিং বেল চাপ দিতেই দরজা খুলে গেলো, মনে হচ্ছে কেউ অধির আগ্রহ নিয়ে দরজার সামনে’ই ছিলো। রাফিন ভিতরে প্রবেশ করতেই দৃষ্টি যেন আটকে গেলো তার। হার্ট যেন দ্রুত চলছে, রাফিন দ্রুত দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। মনেমনে বিড়বিড় করে বললো,

“এই মেয়ে কি আমাকে মে’রে ফেলবে। কখন জানি এই মেয়ে আমাকে ব’খা’টে বানিয়ে ফেলে।”

পরক্ষণে কোনো কথা না বলে, গম্ভীর হওয়ার ভা’ন করে ওয়াশরুমের চলে গেলো ফ্রেশ হবার জন্য। রাফিনের এমন আচরণে ঐশী কষ্ট অনুভব করলো। সেতো ভেবে ছিলো তাকে দেখে রাফিন বড্ড খুশী হবে। তবে কি উনি খুশী নন! প্রতিদিন বাসায় ফেরার সময় একটা ফুল আনতে ভুলে না রাফিন। তবে কি আজ আনেনি! ভীষণ অভিমান হলো ঐশী’র। মুখ ভার করে বসে রইলো।
.
.
রাত প্রায় এগারো’টা রাফিন সুয়ে সুয়ে বই পড়ছে। ঐশী ও তার পাশে সুয়ে সুয়ে আশপাশ করছে। রাফিন প্রয়োজন ছাড়া একটা কথাও বলছে না তার সাথে। এমনকি তাকাচ্ছে ও না। রাফিন নামে মাএ বইয়ের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে। আড়চোখে ঐশী’কে দেখছে আর মিটমিট করে হাসছে। ঐশী আর চুপ করে থাকতে পারলো না। কম্বলের মধ্যে দিয়ে রাফিন কে জড়িয়ে ধরে ক্ষীণ স্বরে বললো,

“আপনার কি হয়েছে রাফিন ভাই! আমার সাথে কথা বলছেন না কেনো? আমি কি কোনো ভুল করেছি। এভাবে দূরে দূরে থাকছেন কেনো?”

“কাছে ও তো আসতে দেওনা। মনে মনে বললো কথাটা। কিন্তু মুখে বললো,

–”বুঝলে তো?এত কাছে এসো না–এত কাছে আসতে নেই।”

ঐশী আরো একটু জড়িয়ে ধরে বললো,

–কেন,কেন?কাছে আসলে কি এমন ক্ষতি হয়?শুনি..

– “ক্ষতি যা হওয়ার তা তো অনেক আগেই হয়ে গেছে!”

–”বাহ্ রে! কি ক্ষতি করলাম আবার?”

–”কি করোনি আগে সেটা বলো।”

–”মানে কি?কি করেছি বলবে তো?”

–”এই যে আমার মন আর নজর কেঁড়েছো!এটাই বা কম ক্ষতি কিসের?বলো…”

–”মন আর নজর কাড়লাম আর কই?সেই তো কাছে আসলেই তোমার এলার্জি শুরু হয়!”

–”এমনিতেই কাজে ঠিকঠাক মন দিতে পারি না,সারাক্ষণ মাথায় শুধু ঘুরঘুর করতেই থাকো!তার মধ্যে এত কাছাকাছি আসলে,নিজেকে সামলানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বউ! তার উপরে আজকে আবার এমন ভ’য়া’ব’হ সাজ!”

ঐশী রাফিন কে এবার ছেড়ে দিয়ে, অন্য দিকে ফিরে অভিমানী কন্ঠে বললো,

–”আচ্ছা ঠিক আছে,আজ থেকে আর দ্বারে কাছেও আসবো না।খুশি তো এবার?”

রাফিন উঠে ঐশী’র গালে হাত দিয়ে বললো,

–”আরে আরে!রাগ করছো কেন?আমি তো ওভাবে বলিনি।”

ঐশী রাফিনের হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,

–”সে যেভাবেই বলেন,আর আসবো না কাছে!গেলাম আমি,অনেক কাজ পড়ে আছে।”

ঐশী’র হাতটা আলতো করে ধরে,টান দিয়ে সোজা বুকের উপর রেখে রাফিন নে’শালো কন্ঠে বললো,

–”এই দেখো,কাছে আসলে কি হয়!এবার শোনো কান পেতে।”

ঐশী চমকে গিয়ে বললো,

–”সে কি!আপনার কি প্রেসার বেড়ে গেছে?বুক এমন ধরফর করছে কেন?”

–”কেন করছে বোঝো না?”

–কেন করছে?

ঐশী’কে জড়িয়ে ধরে বললো,

–”আরও কাছে আসো।”

–”হুম…কই?”

–আরো কাছে…. বলেই নিজের সাথে গভীর ভাবে মিলিয়ে নিলো।

–”আরে আরে,কি করছে কি?ছাড়েন,আমার কাজ পড়ে আছে তো।”

রাফিন আরো একটু জড়িয়ে ধরে বললো,

–”না,ছাড়বো না।আজ বুঝিয়ে দিবো,কাছে আসলে কি হয়! আপনি বলছো কেনো আবার, তোমার মুখে তুুমি ডাক’টাই খুব মিষ্টি লাগে শুনতে।

–”পাগলামি করো না।এখন ছাড়ো। আমি একটু কাজ’টা সেড়ে আসি।”

–”না,আমার নাকি এলার্জি শুরু হয়!এবার দেখাবো; এই এলার্জি ঠিক কোথায় গিয়ে থামে।”

–”এই না না,প্লিজ এমন করো না।ওমা,এই, এই।এবার কিন্তু সত্যি সত্যি…”

–”সত্যি সত্যি কি?”

–”আর বলবো না?”

–কি বলবে না?

–”আর তোমার কাছে আসতে কোনোদিন দ্বিধা করবো না।প্লিজ এবার ছাড়ো।”

–”তাহলে আমার এলার্জির কি হবে?”

–”ওটা হাতের কাজ সেড়ে এসে তারপর দেখবো।”

রাফিন এবার দুঃখী দুঃখী মুখ করে বললো,

– “ততক্ষণ কি আমার সহ্য করে যেতে হবে?”

–”হাহাহা…সহ্য করতে না পারো তবে বৃন্দাবনে চলে যাও।তবুও ছাড়ো এবার।”

–”সত্যিই বৃন্দাবনে যাবো?”

ঐশী হেসে বললো,

–”হুম,আমার মনের বৃন্দাবনে!”

–“আচ্ছা তাইলে এখন একটু ঘুরে আসি বৃন্দাবন থেকে।”

– বলেই হাত ধরে হেঁচকা টান দিলো। ঐশীর মাথা গিয়ে বিঁধল রাফিনে প্রশান্ত বুকে। রাফিন ফিসফিসিয়ে মোহনীয় কন্ঠে বললো,

-“তোমার কাছে এসেছি গো বউ, নিয়ে গভীর প্রেম, গ্রহণ করো লক্ষ্মী’টি আজ শতকোটি প্রেম! তোমার মনের আশকারাতে আমি হবো বেসামাল, দোহাই লাগে সোনা বউ আমার, আর খেলো না নতুন চাল!”

রাফিনের এমন ফিসফিস কন্ঠে যেন মা’দ’ক’তা মিশানো ছিলো। ঐশী লাজুক হাসলো, কম্বল মুড়ি দিয়ে নিজের মুখ ঢাকা’র বৃথা চেষ্টা করলো। রাফিন কম্বল সরিয়ে দিয়ে অজস্র চুমু’তে ভরিয়ে দিলো তার মায়াবিনী’কে। ঐশী আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। দু’জন দু’জন কে গভীর ভাবে অনুভব করছে। হারিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসা’র গভীরতায়। এভাবে পরিপূর্ণ হলো তাদের পবিত্র ভালোবাসা। এই রাতটি সাক্ষী হয়ে রইলো তাদের মধুচন্দ্রিমা’র!”

________________

ভালো ভাবে’ই কেটে গেলো আরো কয়েক সপ্তাহ। নিত্যদিনের মতো’ই রাফিন সকাল সকাল অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছিলো। ঐশী এসে কোমড়ে হাত দিয়ে, ভালো করে ঘুরে ফিরে রাফিন কে পরখ করলো। কালো প্যান্টের সাথে সাদা শার্ট ইন করছে,গালের খোঁচা, খোঁচা দাঁড়ি গুলো অযত্নে বড় হয়ে গিয়েছে কিছুটা। এইটুকুতে’ই যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় লাগছে তার শ্যামসুন্দর পুরুষটি কে। রাফিন চিরুনী করছিলো চুলে, ঐশী এসে চিরুনী’টা কেড়ে নিয়ে চুল গুলো এলোমেলো করে দিলো। শার্ট’টা টেনে টু’নে খুলে দিলো। ঐশীর এমন আচরণে রাফিন বেশ অবাক হলো, ঈষৎ চেঁচিয়ো বললো,

“এটা কি হচ্ছে ঐশী! এটা কোন ধরনের বাচ্চা’মো। এটা কী করলে?”

ঐশী কোমড়ে হাত দিয়ে, চোখ রাঙিয়ে বললো,

“মোটেও বাচ্চা’মো না। অফিসে এতো সেজে গুজে যেতে হয় না-কি? নাকি আরো মেয়েদের ইমপ্রেস করার ধান্ধা হুম!”

রাফিন এবার একটু হেসে বললো,

“ছিঃ! ছিঃ! আস্তাগফিরুল্লাগ! আমার ঘরে এমন সুন্দরী বউ থাকতে আমি কেনো অন্য মেয়েদের ইমপ্রেস করবো?আমার দু-চোখ শুধু তোমায় দেখতে ব্যস্ত মায়াবিনী!যে চোখ একবার ভালোবাসার চোখ দিয়ে, তোমাকে দেখেছে। আমার এই চোখ জানে পৃথিবীর’র অন্য কোনো মেয়ের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ! একদম কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ!”

“সে যাই হোক, আপনি না তাকান মেয়েরা তো ঠিকই চোখ দিয়ে গি’লে খায়। মেয়েদের বিশ্বাস নেই, এই যুগের মেয়েরা একটু স্মার্ট ছেলে দেখলে’ই ড্যাবড্যাব করে তাকায়। একমাত্র জামাই আমর, না জানি কোন শাঁকচুন্নি’র ব’দ নজর পড়ে।

“প্রসঙ্গ যেখানে আপনি, সেখানে আমি খুব সিরিয়াস।”

এসব কোনো রিস্ক নিতে চাই না আপনাকে নিয়ে, শার্ট পাল্টান। বাহিরে এই সাদা শার্ট পড়ে বের হবেন না কখনো। বলেই আকাশী রঙের একটা শার্ট রাফিনের হাতে ধরিয়ে দিলো।

“রাফিন অসহায় মুখ করে শার্ট খুলে ঐশী’র দেওয়া শার্ট পড়ে নিলো।”

ঐশী তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলো, এটায় আরো সুন্দর লাগে। আর কিছু না বলে বিরবির করে কিছু একটা পড়ে রাফিনের গায়ে ফুুুউ দিচ্ছে।

ঐশী’র এমন পাগ’লা’মো দেখে রাফিনের এবার গলা ফাটিয়ে হাসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সব ইচ্ছে বউয়ের কাছে পূরণ করতে নেই, তাইলে আবার শেষ রক্ষা নেই। রাফিন দাঁতে দাঁত চেপে হাসি আঁটকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে । ঐশী এসে রাফিনের কপালে চুমু দিয়ে বললো,

“শুনুন একদম নিচের দিকে তাকিয়ে বাহিরে যাবেন। ভুলেও অন্য মেয়েদের দিকে তাকাবেন না। মনে থাকবে?”

রাফিন মাথা দুলিয়ে বললো,

“মনে থাকবে!”

এরি মধ্যে হঠাৎ করে বাসার কলিং বেল ভেজে উঠলো। এই সময় আবার কে? রাফিন চিন্তিতো হয়ে দরজা খুলে দিলো। বাহিরে থাকা কাঙ্খিতো ব্যক্তি কে দেখে চোখে মুখে কাঠিন্য ভাব চলে আসলো।………

চলবে…….

[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ! ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here