#রাঙা_আলোর_সন্ধ্যা
#পার্ট_২১
জাওয়াদ জামী জামী
খুব সকালে এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো শাহেদের। সকাল সকাল সাকিবেরা আসবে বাজার নিয়ে। ও ভালো করেই জানে, এত সকালে পুলকের ঘুম কিছুতেই ভাঙ্গবেনা। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসল শাহেদ। তিয়াসা তখনো ঘুমাচ্ছে। ওকে না ডেকে কাঁথা, কম্বল গুছিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসল।
এত সকালে শাহেদকে দেখে বেশ অবাক হলেন রত্না পারভীন। তিনি সবিস্ময়ে বললেন,
” তুমি এত সকালে উঠেছ কেন, বাপ? শরীর ভালো আছে তোমার? ”
অনেকদিন পর কারো মুখে ‘ বাপ ‘ ডাক শুনে শাহেদের কান্না পাচ্ছে। আম্মু ওকে ‘ বাপ ‘ ডাকত। আম্মুর মৃত্যুর পর আজ আবারও কেউ ওকে ‘ বাপ ‘ ডাকল। ছোট মামী সব সময়ই ওকে ‘ বাবা ‘ কিংবা ‘ আব্বা ‘ ডাকে। আবেগ চাপা দিয়ে শাহেদ বলল,
” আমার শরীর ভালো আছে, আন্টি। আমি সকালেই ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করি। ”
” তুমি আমাকে আন্টি ডাকছ কেন, বাপ! আমি তোমার মা হই। আমাকে আম্মু কিংবা মা বলে ডাক। মা’কে কেউ কখনো আন্টি ডাকে? ” রত্না পারভীন শাহেদের চোখেমুখে হাত ছুঁয়ে দিয়ে আদুরে গলায় বললেন। এই ছেলেটাকে তিনি সত্যিই সন্তানের আসন দিয়েছেন।
অপ্রত্যাশিত এই ভালোবাসা পেয়ে শাহেদের চোখে পানি জমল। যেটা রত্না পারভীনও লক্ষ্য করলেন।
” চেষ্টা করব। আসলে অনেক বছর কাউকে মা ডাকিনি। সবাইকে আন্টি অভ্যস্ত ছিলাম। ”
” আজ থেকে আমিই তোমার মা। আমাকে মা ডাকতে কোন কারনের দরকার নেই, বাপ। তুমি প্রয়োজনে-অপ্রোয়জনে আমাকে মা ডেক। আমি তোমার মুখে মা ডাক শুনলে শান্তি পাব। ”
” জ্বি। ” ছোট্ট করে বলল শাহেদ।
” মেয়েরা কেউ ঘুম থেকে উঠেনি। শুধু তুমিই উঠেছ। এক কাজ কর, বাপ। তুমি গিয়ে ড্রয়িং রুমে বস। আমি তোমার জন্য চা করে নিয়ে আসছি। ”
” এখন চা খাবনা। আমি একটু বাহির যাব। সকালের ফ্রেশ বাতাসে একটু হেঁটে আসি। ”
বাহির থেকে গাড়ির শব্দ আসতেই সেদিকে মনযোগ দিল রত্না পারভীন। শাহেদও সেদিকেই মনযোগ দিয়েছে। কেউ উচ্চস্বরে আফজাল হোসেন আর তোফাজ্জল হোসেনের নাম ধরে ডাকছে। রত্না পারভীন শাহেদকে নিয়ে এগিয়ে যান বাহিরের দিকে। যাওয়ার আগে আফজাল হোসেনকে ডাকতে ভুললেননা। তোফাজ্জল হোসেন বাড়িতে নেই। তিনি বাজারের দিকে গেছেন।
বাহিরের উঠানে এসে রত্না পারভীন হতভম্ব হয়ে গেছেন। একটা পিক-আপে দুইটা গরু আর তিনটা ছাগল। আরেকটা পিক-আপে ভর্তি বাজার। কয়েকজন গরু, ছাগল নামানোর ব্যবস্থা করছে।
” ভাই, এগুলো কোথায় বাঁধতে হবে, কেউ যদি একটু দেখিয়ে দিত। ” সাকিব শাহেদকে জিজ্ঞেস করল।
” তোমরা কারা? এগুলো এখানে এনেছ কেন? ” শাহেদ উত্তর দেয়ার আগেই রত্না পারভীন জিজ্ঞেস করলেন।
” এগুলো পুলক ভাই আমাদের আনতে বলেছে। বিয়ের পর নাকি জামাইরা শ্বশুর বাড়িতে গেলে বাজার করে? ভাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবেনা জন্য আমাদের সেই দ্বায়িত্ব দিয়েছে। আমাদের কি কপাল দেখুন আন্টি, বিয়ের আগেই শ্বশুর বাড়ির জন্য বাজার করছি। যদিও এটা ভাইদের শ্বশুর বাড়ি। ”
আফজাল হোসেন আর রিনা আক্তার বাহিরের উঠানে এসেই সাকিবের কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে। নতুন জামাই বাজার করে ঠিক আছে, তাই বলে এমন বাজার আজ পর্যন্ত কোন জামাই করেছে কিনা সেটা তাদের জানা নেই। রিনা আক্তার বুকে হাত দিয়ে উঠানের এক কোনে রাখা একটা চেয়ারে বসে পরল।
” এটা কোন কথা! তোমরা এসব নিয়ে যাও। পুলক বোধহয় পাগল হয়ে গেছে। তাই এমন এলাহি কান্ডকারখানা করেছে। ”
” মাফ করবেন, আন্টি। এগুলো নিয়ে গেলে ভাই আমাদের পুঁতে ফেলবে। কিন্তু আপনারা সেটা টেরই পাবেননা। এবার বলুন এগুলো বাঁধব কোথায়? ভালো কথা আন্টি, ভালো মানের বাবুর্চি আনবেন। দেশি ষাঁড়ের মাংস যেন জমিয়ে রাঁধতে পারে। অনেক কষ্টে এক রাতের মধ্যে দেশি ষাঁড় খুঁজে বের করেছি। ”
রত্না পারভীন এসব নিতে চাচ্ছেননা। আফজাল হোসেনও অমত করছেন। জামাইয়ের কাছ থেকে এসব নিতে তারা লজ্জা পাচ্ছেন। যেটা শাহেদ ঠিকই বুঝতে পারছে।
” মা, আপনারা লজ্জা পাবেননা। এগুলো ফিরিয়ে নিয়ে গেলে ছোট মামী কষ্ট পাবেন। ” এই প্রথমবার শাহেদের মুখে মা ডাক শুনে রত্না পারভীন ওর কথা ফেলতে পারলেননা। তিনি গরু-ছাগল বেঁধে রাখার জায়গা দেখিয়ে দিলেন।
এতক্ষণ আশফি বাড়ির মূল দরজায় দাঁড়িয়ে সবটা দেখছিল। ও পুলকের পাগলামির সাথে কিছুটা পরিচিত। তবে আজ এমন পাগলামি দেখে খুশিতে ওর চোখে পানি জমল, এই মুহুর্তে লোকটাকে ছুঁয়ে দিতে ভিষণ ইচ্ছে করছে। আজ মনের ইচ্ছেকে চাপা দিলনা আশফি। দৌড়ে গেল নিজের রুমে।
পুলক সটান হয়ে শুয়ে আছে। ডান হাত কপালের ওপর ভাঁজ করে রেখে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সে। ফ্যানের বাতাসে ওর লম্বা চুলগুলো উড়ছে। আশফি ধীর পায়ে এগিয়ে গেল পুলকের দিকে। কাঁপা কাঁপা হাতে ছুঁয়ে দিল পুলকের গাল। প্রথম দিকে একটু ভয় পেলেও পরে গভীর আবেগে ছুঁয়ে দিল ওর বদ লোকের গাল, চিবুক, ঠোঁট। এবং সবশেষে এলোমেলো করে দিল ওর বদ লোকের অবাধ্য চুলগুলো। এরপর একছুটে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। গভীর ঘুমে থাকায় পুলক কিছুই জানতে পারলনা।
রিনা আক্তারের মাথায় পানি ঢালছে তার মেয়ে পৃথা। সে খুশিতে মাথা ঘুরে পরে গেছে। কিন্তু কাউকে সেটা জানতে দিলনা। সবাইকে বলল, শরীর দুর্বল থাকায় এমনটা হয়েছে। তবে শাহেদ কিছুটা আঁচ করতে পারল। গতরাতের বলা পুলকের কথাগুলো ওর বেশ মনে আছে। ভাইকে নতুন কোন নাম দিতে হলোনা ভেবে ও স্বস্তির হাসি হাসল।
রত্না পারভীন পুলকের গ্যাংয়ের ছেলেদের যেতে দিলেননা। তিনি তাদের নাস্তা না করিয়ে ছাড়বেননা। কিন্তু যখন তিনি শুনলেন, পুলক রাতেই কোন এক রেস্টুরেন্টে খাবারের অর্ডার দিয়ে রেখেছিল, আর সেই খাবারগুলো সাকিবরা সাথে করে এনেছে , তখনই তিনি ভিষণ মনঃক্ষুণ্ন হলেন। কমপক্ষে একশোজন খেতে পারবে এই পরিমান খাবার তারা এনেছে। বাধ্য হয়ে রত্না পারভীনকে সেই খাবারগুলোই দিতে হল সবাইকে। বাকি খাবারগুলো প্রতিবেশিদের বাড়িতে দিলেন। এতে রিনা আক্তার মনে মনে ভিষণ রাগ করলেও সে কাউকে জানতে দিলনা। সে চেয়েছিল খাবারগুলো তার বাবার বাড়িতে পাঠাতে।
তিয়াসা তখনো ঘুমাচ্ছে। আশফি গিয়ে ওকে ডেকে তুলল। রুমের বাহিরে এসে এত আয়োজন দেখে তিয়াসার হা করে তাকিয়ে থাকল। সবকিছু শোনার পর ও ধরে নিয়েছে, পুলকের মাথায় গন্ডগোল আছে।
***
” শাশুমা, শুনলাম আপনার নাকি শরীর খারাপ? প্রেশার বেড়েছে নাকি কমেছে? ” বারান্দায় রিনা আক্তারকে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করল পুলক।
পুলকের মুখে এমন অদ্ভুত সম্ভাষণ শুনে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল রিনা আক্তার। সে বোঝার চেষ্টা করছে পুলকের মনোভাব। কিন্তু ব্যর্থ হল। তবুও সিদ্ধান্ত নিল পুলককে হাতে রাখতে হবে, যেকোন উপায়েই। পুলক মুখে হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
” আর কইওনা, বাবা। দুইদিন আগে থাইকাই শরীরডা ভালো নাই। মাইয়াডা বাড়ি থাইকা যাওয়ার পর থাইকাই ওর জন্য মন পুড়ে। আমারে যেমন ভালোবাসছে আশফি, আমিও তারে তেমনই ভালোবাসছি। ওর মুখেই আমি প্রথম মা ডাক শুনছি। আমার সেই মাইয়াডা এই বাড়িতে থাকবনা ভাবলেই বুকের মইধ্যে কেমন ব্যথা করে। ” দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল রিনা আক্তার।
” ইশ, আপনার চোখমুখ কেমন শুকিয়ে গেছে। এক কাজ করি, আশফি আরও কিছুদিন এখানে থাকুক। আপনার সেবা করুক। ওর চিন্তা করে, আপনার কোন কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবনা, শাশুমা। আপনাকে আমারও ভিষণ ভালো লেগেছে। আমিও নাহয় আশফির সাথে এখানেই থাকব। এই গ্রামের পরিবেশ আমার ভালো লেগেছে। শ্বশুর মশাইয়ের পুকুরও আছে দেখলাম। প্রতিদিন পুকুরে গিয়ে মাছ ধরব। আর প্রতিবেলায় গরম ভাতের সাথে মাছের ঝোল আহা কিযে মজা। এখানকার বাজারেও টাটকা সবজি পাওয়া যায় শুনলাম। এছাড়া নদীতেও নাকি প্রচুর মাছ আছে। এখানে থাকতে খারাপ লাগবেনা। ”
পুলকের কথা শুনে চমকে উঠল রিনা আক্তার। পুলক যেভাবে বলল, ওরা থাকলে হাটবাজার তার স্বামীকেই করতে হবে। তাতে অনেক খরচ হবে। কিন্তু এত খরচ সে করতেই চায়না।
” এসব কি কও, বাজান! বিয়ের পর মাইয়াদের আসল ঠিকানা তার শ্বশুর বাড়ি। এইখানে থাকলে মানুষজন নানান কথা কইব। এতে কইরা তোমার বাপ-দাদার সম্মান মাটিতে মিশা যাইব। আর আমি সেইডা হইতে দিবার পারিনা। আমি মা হইয়া তোমাদের অসম্মান সহ্য করমু কেমনে? ”
” হুম, ঠিক কথাই বলেছেন, শাশুমা। আপনি সত্যিই আমাদের নিয়ে কত চিন্তা করেন। ” হাসিমুখেই কথা বলছে পুলক।
” তুমি খাইছ, বাজান? এত খাওন কেউ কিনে? বড় ভাবী পাড়ায় কতজনকে খাওয়ার গুলান দিল। একদিনে এত খাওয়ার না কিনে, কালকের জন্যও কিছু রাখতা? কালকেও ওরা এইগুলান আনত। পাগল ছেলে। চিন্তা ভাবনা কইরা কাজ করতে হয়। ”
” হুম, খেয়েছি। আপনি ঠিকই বলেছেন। একসাথে এত খাবার কেনা ঠিক হয়নি। কিন্তু কি করব বলুনতো, আমরা যে এভাবেই বাজার করে অভ্যস্ত। আমি তো আর যেনতেন বাড়ির ছেলে নই। এই বাজারগুলো আমার কাছে কিছুই নয়। আসলে যারা আগে কখনো এমন কিছু চোখে দেখেনি এটা তাদের কাছে অনেক তাইনা, শাশুমা? কিন্তু এগুলো আপনার আমার কাছে সামান্য ব্যাপার তাইনা? ”
পুলকের কথা শুনে মুখ কালো হয়ে গেছে রিনা আক্তারের। মুখের ভেতরটা তেঁতো লাগছে। কিন্তু পুলককে কিছু বলার মত ভাষা এই মুহূর্তে তার মনে আসছেনা। তাই সে কাষ্ঠ হেসে নিজের রুমে গেল।
***
হৈ-হুল্লোড় করে কাটল পুষ্পিতা, নিলাশা, অনুদের পুরো দুইটা দিন, দুইটা রাত। ওরা পরদিন বিকেলে রওনা দিল। পুলকদের বাড়ি থেকে প্রায় একশো জনের মত লোকজন এসেছিল। তোফাজ্জল হোসেন পুলকের বাবাকে ফোনে আরেকবার দাওয়াত করেছিলেন। তিনি তাদের আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে আসতে বলে দিয়েছিলেন।
তোফাজ্জল হোসেন কিংবা আফজাল হোসেনকে একটা বাজারও করতে হয়নি। তারা সেই গরু-ছাগল রেখে নতুনভাবে বাজার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। পুলকের জেদের কাছে হার মানতে হয় তাদের। এতে অবশ্য তারা বেশ লজ্জায় পরে যান। কিন্তু পুলক তার সিদ্ধান্তে অনড় রইল।
***
বাড়িতে এসেই শাহেদ কোথাও বেড়িয়ে গেল। রাত এগারোটা বাজলেও সে বাসায় ফিরলনা। তিয়াসা এতকিছু না ভেবে শুয়ে পরল।
সকালে উঠে দাদুর রুমে গিয়ে তার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করল তিয়াসা। এরপর নিচে গিয়ে খাদিজা আন্টিকে রান্নার কাজে সাহায্য করল। এরপর রুমে চলে আসল।
ফোন হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে আছে তিয়াসা। রিফাতের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে ভিষণ। কিন্তু সাহস হচ্ছেনা ফোন করার। রিফাত ওকে নিষেধ করে দিয়েছে ফোন করতে। রিফাত চায়না তিয়াসার কোনরকম ভুলে ওর সংসার নষ্ট হয়ে যাক। অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর ফোন রেখে দেয় তিয়াসা। ও রিফাতের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেবে। নিজের যতই কষ্ট হোকনা কেন, রিফাতের কথা অমান্য করবেনক কিছুতেই। আগেও রিফাতের সকল ইচ্ছেকে সম্মান করেছে, আজও করবে।
***
অফিস থেকে ফিরে বিছানায় পিঠ রেখে নানান চিন্তা করছে রিফাত। তিয়াসার বিয়ে হয়েছে, ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। হয়তো প্রথমদিকে ওর মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। কিন্তু একটা সময় ঠিকই মানিয়ে নিবে। সংসারই হবে ওর ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু রিফাত, ও কিভাবে সবকিছু মানিয়ে পথ চলবে? ও কিভাবে ভুলবে তিয়াসাকে? তিয়াসাকে ভোলা ওর জন্য সহজ নয়। তিন বছরের প্রনয় খুব সহজে কি ভোলা যাবে? না, ও কখনোই তিয়াসাকে ভুলতে পারবেনা। মনের কোনে সযতনে একটা ভালোবাসার ঘর বেঁধে রেখেছে রিফাত৷ যে ঘরে রাজত্ব করে শুধুই তিয়াসা। হয়তো তার মনের রানী অন্য কারো বুকে মাথা রেখে ঘুমায়। অন্য কারো ভালোবাসার ঘরে এখন রাজত্ব করছে তিয়াসা। যার পরশে নিজেকে তার কাছে সঁপে দিয়েছে তিয়াসা। যার ভালোবাসা শরীরে মেখে আদরীনি হয়ে দিনাতিপাত করছে মেয়েটা। আর কিছু ভাবতে পারছেনা রিফাত। যেন বুকটা খামচে ধরেছে হাজারো হায়েনার হিংস্র থাবা। ঝরঝর করে চোখ দিয়ে নামছে দুঃখের নোনাজল।
চলবে…