রোদরঞ্জন #পর্ব_২৫ #আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

0
394

#রোদরঞ্জন
#পর্ব_২৫
#আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

[বিরক্তির এলার্ট🚩🚩]

[অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ। কার্টেসি সহ কোনো পেজেও কপি করা যাবে না।]
.
.

জেহফিল বাথরুমের দরজায় জোরে জোরে ধাক্কাচ্ছে। যেন এক্ষুণি দরজা ভেঙে ফেলবে। সে এইপাশে থেকে ইনানকে হুমকি দিচ্ছে বেরিয়ে আসার জন্য। ইনান ঝরণার নিচে গত আধঘন্টা ধরে বসে আছে। ফুঁপিয়ে কান্নার দমকে তার শরীর কাঁপুনি দিয়ে উঠছে। জেহফিল বদলায়নি… ইনান আসলেই পাগল যে কিনা জেহফিলের গত কালকের মুখোশ পরা ভালো রূপে মুগ্ধ হয়ে মুখোশের আড়ালের জেহফিলকে ভুলেই গিয়েছে।‌ কাল রাতেও জেহফিলের ধ্বংসাত্মক রূপের কথা মনে পড়েনি তার। অথচ রাত পেরোতেই জেহফিলের আগের রূপ ফিরে এসেছে।

পাগল হয়ে যাচ্ছে ইনান। সত্যি সত্যিই পাগল হয়ে যাচ্ছে। জেহফিলের পূর্ণাঙ্গ পাগলামি সহ্য করার আজ এক সপ্তাহ। এই এক সপ্তাহে ইনান যদি একটু শান্তি পেত… জেহফিল শ্বাস নেওয়াটাও হারাম করে দিয়েছে তার। এক মিনিট ভালো থাকলে দশ মিনিট হিংস্র থাকে জেহফিল। ইনান সহ্য করতে পারছে না। কতশত নিয়ম জারি করল তার উপর। কী কারণে?? কারণ ইনান জেহফিলকে লুকিয়ে ইনান ভার্সিটি গিয়েছিল, জেহফিল জানত না এই ব্যাপারে, জেনেছে ইন্সটায় এক ফ্রেন্ডের স্টোরিতে। এটা কি তার পাপ হয়েছে? সে কি খুব বড় অপরাধ করে ফেলেছে? ইনান ভেবে পায় না।

জেহফিল এখন আর একাডেমিতে যায় না। তার ক্লাস থাকে সপ্তাহে একটা। ফলস্বরূপ ইনানকেও প্রতিদিন ক্লাস থাকা স্বত্বে জেহফিলের সাথে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে হয়। জেহফিল এখন সপ্তাহের ছয় দিনই বাসায় থাকে। আর যতক্ষণ বাসায় থাকে ততক্ষণ ইনানের নিঃশ্বাস নেওয়াটাও হারাম হয়ে যায়। জেহফিলের জন্য হৃদমাঝারে থাকা ভালোবাসা চাপা পড়ে গেছে জেহফিলের অত্যধিক আধিপত্যের কারণে‌। একশোটা কাজের মধ্যে নিরানব্বইটা কাজ জেহফিলের অনুমতি নিয়ে করতে হয়, তাও জেহফিলের পছন্দ মতো‌।

এইতো সেদিন, ইনান বই পড়ছিল। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলার বই। প্রতিটি লাইনে লাইনে টুইস্ট। ইনান খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ছিল। জেহফিল তার পাশে এসে তার কোলে মাথা রেখে শুয়েছিল। আর কী কী যেন বলছিল, ইনান পড়ায় মনোযোগ থাকায় ধ্যান দেয়নি। সেই জের ধরেই জেহফিল হঠাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তার থেকেও বেশি বইকে প্রায়োরিটি দেয়ায় জেহফিল ইনানের হাত থেকে বইটা টেনে দুইভাগ করে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ইনান নিজেও রাগান্বিত হয়ে জেহফিলের ক্রোধান্বিত রূপের বিপরীতে তর্কে জড়িয়ে যায়। এটাই ছিল তার সবচেয়ে বড় ভুল।

এক কথা, দুই কথা বলতে বলতে ঝগড়া বেঁধে যায়। ঝগড়াটা মূলত একতরফা ছিল। জেহফিল ভস্মীভূত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা ছাড়া মুখ দিয়ে রা করেনি। ইনানের মেজাজ তখন চড়ে ছিল। ইচ্ছেমতো জেহফিলকে কথা শুনিয়েছে। জেহফিলের ব্যবহার নিয়েও কথা তুলেছে… শুধু তাই না, ইনান জেহফিলকে এও বলেছে যে বাবা মা না থাকার ফলে সন্তানের বখে যাওয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে জেহফিল। আরো অনেক হার্ট করার মতো কথা বলেছে‌। সবচেয়ে বড় কথাটা ছিল জেহফিলের বিষাক্ত ভালোবাসার দিকে আঙুল তোলার… যেটা শোনার পর জেহফিল শান্ত থাকতে পারেনি, যা ইনানের জন্য কাল রাত্রির সমান ছিল।

অকল্পনীয় কাজ করেছিল জেহফিল, সেদিন‌ রাতে। ইনানকে কোলে তুলে বাড়ির ব্যাক ইয়ার্ডে এসে তাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে দেয়‌। ইনানের পছন্দের বইগুলো তাকে তাকে সাজিয়ে রাখা, যেগুলো ইনানের সবচেয়ে পছন্দ। সেই বইগুলো এনে জেহফিল একটা একটা করে পেজ ছিঁড়তে থাকে ইনানের সামনে। ইনান যখন জেহফিলকে বাঁধা দিতে যায় জেহফিল ইনানকে চেয়ারে বসিয়ে দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে রাখে। যা ইনানের চিন্তার বাইরে ছিল। তারপর জেহফিল প্রত্যেকটা বইয়ের পেজ ছিঁড়ে স্তূপ করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তা দেখে ইনানের মনে হলো তার হৃদয় কেউ মোচড় দিয়ে ধরেছে। এত যন্ত্রণা… তার প্রিয় বইগুলোর পেজ ধীরে ধীরে ছাই হয়ে যাওয়ায় ইনান প্রায় কেঁদে উঠল। এই বইগুলো ইনান বাচ্চাদের মতো আগলে রেখেছিল..

দাউদাউ করে জ্বলা আগুনের এক পাশে ক্রন্দনরত মানবী আরেক পাশে শান্ত চোখে চেয়ে ক্রুর হাসতে থাকা নিষ্ঠুর মানব..

সেই ঘটনা মনে পড়লে ইনান এখনো কেঁপে উঠে।

‘বাটারফ্লাই, যদি তুমি তিন সেকেন্ডের মাথায় দরজা না খুলো সিরিয়াসলি আ’ম গনা ব্রেক দিজ ডোর।’ জেহফিল কঠিন স্বরে হুমকি দিলো।

‘এক…’ শীতর গলা জেহফিলের।

ইনান হাটু মুড়ে তাতে মাথা দিয়ে আছে।

‘দুই…’

ইনান ক্লান্ত অথচ ভয়ার্ত চোখে দরজায় দৃষ্টিপাত করল। পায়ে শক্তি জোগাড় করে ধীরে ধীরে উঠল।

‘তিন…’

জেহফিল প্রস্তুতি নিলো দরজা ভাঙার। যেই না দরজায় আঘাত করবে অমনি দরজা খুলে ইনান বেরিয়ে আসে। ইনান যে আসতে বাধ্য.. দরজা বন্ধ করলেও জেহফিল থেকে বাঁচতে পারবে না.. না বন্ধ করলেও পারবে না.. তার চেয়ে ভালো নয় কি দরজা খুলে শিকারির কাছে নিজেকে তুলে দেওয়া? এতে যদি তার উপর ঝড় কম যায়…!

জেহফিলের হার্ট যেন এতক্ষন গলার কাছে এসে পড়েছিল, তার বাটারফ্লাইকে আধঘন্টা দেখতে না পারায়। কোনো সাড়া পাচ্ছিল না সে। খবরে কত কিছু দেখায়.. শ্যাম্পু, হারপিক, এসব খেয়ে যদি বাটারফ্লাই উল্টোপাল্টা অ্যাকশন নেয়?? তখন জেহফিলের কী হবে? সে কীভাবে বাঁচবে? এই দুনিয়াতে যে তার বাটারফ্লাই ছাড়া সে নিঃস্ব!

ইনানকে দেখা মাত্রই জেহফিল শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। ইনানের ভেজা শরীরের ফলে জেহফিলও ভিজে যাচ্ছে। সেদিকে তার খেয়াল নেই। তার খেয়াল শুধু তার বাটারফ্লাই। বাটারফ্লাইয়ের নিঃশ্বাস…

এত শক্ত করে ধরেছে সে যে ইনানের মনে হচ্ছে তার হাড্ডি সব গুঁড়া গুঁড়া হয়ে গেছে। শ্বাস নিতে এত কষ্ট হচ্ছিল!! জেহফিল ইনানকে ছাড়লে ইনান শ্বাস নেওয়ার জন্য দম টানল, তার আগেই জেহফিল তার সারা মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগল। একটা নয়, দুটো নয়, তিনটে নয়.. অসংখ্য চুমু… এক মিনিট.. দুই মিনিট.. পাঁচ মিনিট গেল, গুণে গুণে আট মিনিট গেল তাও জেহফিল থামল না।

ইনান ছাড়ানোর জন্য কত হাত নাড়ল, জেহফিল হাত চেপে ধরল, পা নাড়ল, জেহফিল পায়ের উপর দুই পা দিয়ে আলগাভাবে চেপে ধরল, মাথা নাড়ল, জেহফিল ঘাড়ে হাত রেখে ঠোঁট চেপে ধরল…

পরিশ্রান্ত ইনান জেহফিলের পাগলামি সইতে না পেরে ঢলে পড়ল জেহফিলের বুকে। থামল জেহফিল। ভারী শ্বাস নিতে নিতে ইনানের ঘাড়ে চুমু খেয়ে কোলে তুলে নিলো। ইনানকে খাটে শুইয়ে ভেজা কাপড় খুলে নিজেও কাপড় ছাড়ল। ইনানের স্নিগ্ধ দেহ চাঁদের কোমল আলোয় এত মনোহর লাগল যে জেহফিলের ইচ্ছে করছে এক্ষুনি ইনানেতে ডুব দেয়। কিন্তু সেই ইচ্ছে ধূলিসাৎ হলো একটা কারণ… চাঁদ। জানালা ভেদ করে আসা চাঁদের নরম আলো ইনানের বক্ষ বিভাজন আর উদরে এসে খেলা করছিল। তা দেখে জেহফিলের আবেশিত চোখে ভর করল হিংসা। তার বাটারফ্লাইয়ের লুকায়িত সৌন্দর্যে ঢাকা অঙ্গগুলোয় অধিকার তার। চাঁদের কেন থাকবে… এত কেন সাহস চাঁদের? চাঁদের সাহস কত তার বাটারফ্লাইয়ের দিকে নজর দেওয়ার?

জেহফিল চোখে হিংসার আগুন জ্বালিয়ে চাঁদের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে চেয়ে থাকল। তার ক্ষমতা থাকলে এক্ষুনি গিয়ে চাঁদকে ধ্বংস করে দিতো তার বাটারফ্লাইকে আবেদনের সাথে দেখার কারণে।

জেহফিল গিয়ে পর্দা টেনে দিলো ভালোভাবে। যাতে এক টুকরো আলোও ইনানকে না ছুঁতে পারে। এগিয়ে আসলো বাটারফ্লাইয়ের কাছে।

‘আমার বাটারফ্লাই…’ ঘোর লাগা কণ্ঠ তার। ইনানের হাত নিয়ে রাখল জেহফিলের বুকের উপর, ‘তুমি শুধু আমার তাই না? বলো না.. কী হলো সোনা…বলো যে তুমি শুধু আমার…এই জেহফিলের।’

অচেতন ইনানের কানে জেহফিলের বলা বাক্য পৌঁছায় না। জেহফিল ইনানকে নিজের বিশালাকৃতির দেহের মাঝে লুকিয়ে ফেলল। ইনানের চুলে মুখ ডুবিয়ে রাখল প্রায় অনেকক্ষণ। ইনানের ঘ্রাণ নেয়া শেষে তাকে বুকের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে। মোহাবিষ্ট চাহনি তার ইনানের মনকাড়া মুখশ্রীতে নিবদ্ধ…

.

.

মাঝরাতে ইনানের ঘুম ভেঙে যায় অক্সিজেনের অভাবে। চোখ খুলে দেখতে পায় জেহফিলের বুকের মাঝে আবদ্ধ সে। শ্বাস নেয়ার উদ্দেশ্যে নড়ে উঠে সে। তাতেই জেহফিলের ঘুম ভেঙে যায়।

‘উমম…বাটারফ্লাই, নড়ছো কেন?’

জেহফিলের ঘুম জড়ানো কণ্ঠে এতটা আবেদন মিশে ছিল যে ইনান তক্ষুনি জেহফিলের কণ্ঠের প্রেমে পড়ে যাচ্ছিল। সামলায় সে নিজেকে। তার পাশে যে শুয়ে আছে সে একজন মনস্টার ছাড়া কিছুই না। যার হৃদয় নেই। অমানুষ একটা।

ইনান সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলো জেহফিলকে। ধাক্কার চোটে প্রায় পড়ে যেতে নেয়। পুরোপুরি ঘুম ছুটে যায় তার। অস্থির চিত্তে ডেকে উঠে ইনানকে,

‘বেবি, তোমার কিছু হয়েছে? ব্যথা পেয়েছ কোথাও? দুঃস্বপ্ন দেখেছ…’

নিজে যে পড়ে যাচ্ছে সে খেয়াল নেই এসেছে ইনানের খোঁজ নিতে। ইনান চাদর জড়িয়ে উঠে বসল। নিজের বিবস্ত্র অবস্থা দেখে বক্র চোখে জেহফিলের দিকে তাকায়। জেহফিল বুঝতে পারে ইনানের কথার মানে,

‘ডোন্ট অরি। জাস্ট ভেজা জামা কাপড় খুলেছি, নাথিং এলস।’

ইনান চাদর জড়িয়ে উঠতে নিলে জেহফিল তার হাত চেপে ধরে,

‘চাদর জড়িয়েছো কেন?’

ইনান হতবুদ্ধি হয়ে তাকায়, ‘সরি?’

জেহফিল খাটে বসে ইনানের কোমর জড়িয়ে ধরে। তার চাদর সরাতে সরাতে বলল,

‘আ’ম ইওর হাজব্যান্ড। আমাদের ইন্টিমেট হয়েছে অনেক, অনেকবার। তাই আমার সামনে নিজেকে হাইড করার কোনো কারণ দেখছি না বাটারফ্লাই। তুমি আমার সামনে এর আগেও নেকেড ছিলে যখন তোমার নেকেড আর্ট করছিলাম। চাদর গায়ে হাঁটার দরকার নেই। এর মানে তুমি নিজেকে আড়াল করতে চাচ্ছ আমার থেকে। আমাদের কি আড়াল হওয়ার মতো সম্পর্ক?’

জেহফিল একটু থেমে আবার বলে, ‘তুমি আমার ওয়াইফ। ইউ ক্যান মুভ ফ্রিলি অ্যারাউন্ড মি। হেজিটেট ফিল করার প্রয়োজন নেই। তুমি চাদরটা দেহে এমনিতেই ফেলে রাখলে একটা কথা ছিল, কিন্তু তা না করে এমনভাবে চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকেছ যেন তুমি পরপুরুষের সামনে। এই আচরণ কি গ্রহণযোগ্য?’

ইনান এক কান দিয়ে কথা ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দিলো। সে জেহফিলের হাত চাদর থেকে ঝটকা মেরে সরিয়ে নিজের জামাকাপড় খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে গেল।

‘ইউ আর অ্যাভয়েডিং মি বাটারফ্লাই। কনসিকুয়েন্স ভালো হবে না বলছি।’ জেহফিল ওয়ার্ন করল।

ইনান তাও শুনল না। যতই হোক, বিবস্ত্র অবস্থায় থাকাটা তার জন্য অনেক লজ্জাজনক। সেদিন আবেগের বশে জেহফিলের সামনে ঐ অবস্থায় ছিল। আজ সেই আবেগ জেহফিল নিজেই ধামাচাপা দিয়ে দিয়েছে।

ইনানকে কথা অমান্য করতে দেখে জেহফিল উঠে গিয়ে তার চাদর ধরে টান মারল। খুলে গেল ইনানের শরীরে থাকা চাদর। এমন না যে জেহফিল ইনানকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে চাইছে। সে শুধু মাত্র ইনানকে ফ্রি হয়ে চলতে বলেছে। আর সেটা রিজেক্ট করার মানে ইনান তার সাথে ফ্রি না। এই ফ্রি না হওয়ার কথা মাথায় আসতেই জেহফিল বিরক্ত হয়, ইনানকে প্রতিবাদ করার সুযোগ না দিয়ে তাকে খাটের উপর শুইয়ে এক হাত হেডবোর্ডের সাথে বেঁধে দিলো ওড়না দিয়ে। আরেকহাত নিজের হাতের মুঠোয় চেপে ধরে ইনানের কাছে এসে বলল,

‘আমাকে ইগ্নোর করার দুঃসাহস দেখাতে আসবে না সোনা। আজকে লাইট পানিশমেন্ট দিচ্ছি। পরেরবার হার্ড স্টেপে যাব…’

ইনানের পেটে মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করল জেহফিল। ইনান হাত নাড়িয়েও খুলতে পারল না, এত শক্ত বাঁধন। ইনানকে টানাটানি করতে দেখে জেহফিল আচমকা ইনানের পেটে কামড় দিলো, যেই কামড়ে ইনানের চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে আরম্ভ করল।

ইনান ঠিক মতো কাঁদতেও পারল না। তার আগেই জেহফিল ইনানের মুক্ত হাত ধরে নিজের চুলে রেখে আদেশ করল,

‘হাত বুলিয়ে দাও লাভ। ছোটোবেলায় তোমার মা যেভাবে ছড়া শুনাতো ঠিক সেভাবে টুইংকেল টুইংকেল ছড়া শুনিয়ে আমাকে ঘুম পাড়াও তো।’

ইনান হাত শক্ত করে রাখল। জেহফিল তা দেখে ইনানের হাত চেপে ধরে নিজের চুলের কাছে নিলো। নিজেই ইনানের হাত ধরে নিজের চুলে বুলাতে লাগল। তার জ্বলন্ত দৃষ্টি ইনানের ভেজা চোখে নিবদ্ধ রেখে বাঁকা হেসে নিজেই ছড়া কাটতে আরম্ভ করল, এই গভীর রাতে জেহফিলের কণ্ঠ এত ভয়ানক লাগল যে ইনানের শিড়দাঁড়া বেয়ে আতঙ্কের শীতল স্রোত বয়ে গেল,

‘টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার,
হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর…’

.
.
চলবে…

[কে কে বিরক্ত হলেন (রেড ফ্লাগ 🚩) জেহফিলের কাজে? আপনাদের বিরক্ত করার উদ্দেশ্যেই এমন পর্ব দেয়া।‌]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here