রোদরঞ্জন #পর্ব_২৭ #আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

0
373

#রোদরঞ্জন
#পর্ব_২৭
#আসরিফা_মেহনাজ_চিত্রা

[অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ। কার্টেসি সহ কোনো পেজেও কপি করা যাবে না।]
.
.

ঘোর অন্ধকারে ঢেকে আছে রুমটা। চারিদিক গা হিম করা নিস্তব্ধতা। ক্ষণকাল বাদে বাদে ইঁদুরের চিঁ চিঁ আওয়াজ করে দৌড়ানোর শব্দ কানে ঠেকছে।

নিচতলার পরিত্যক্ত গোডাউনে ইনান বন্দী। বন্দী করে রাখা হয়েছে। তমসাচ্ছন্ন রুমে বাহির থেকে আসা আলোর ছিটেফোঁটাও নেই।

ইনান ঘামে জবজবে। শুষ্ক গলাটাকে ঢোক গিলে ভেজানোর বৃথা চেষ্টা করছে। ভ্রু জোড়ায় আতঙ্ক উঁকি দিচ্ছে। ঠোঁট দুটো তিরতির করে কাঁপছে ভয়ে। একটু পর পর হেঁচকি তুলে কাঁদছে।

দুই হাত হাতড়ে হাতড়ে রুমটার মাঝখানে হেঁটে দরজা খুঁজছে। জেহফিল তাকে যেই দরজা দিয়ে এনেছিল সেই দরজা। কিন্তু যতবারই এক পা আগাচ্ছে ততবারই মনে হয় সে এখনো এক জায়গায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে।

তখন ডিভোর্সের কথা বলার পর জেহফিল ইনানকে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গোডাউনে নিয়ে আসে। সিঁড়িঘরে কোনো তেমন আলো না থাকায় ইনান গোডাউনের ভেতরটা ভালো করে দেখতেও পারেনি তার আগেই জেহফিল তাকে ছুঁড়ে মারে রুমের মধ্যে। ইনানের হাত এত শক্ত করে ধরেছে যে ব্যথায় টনটন করে উঠে জায়গাটা। ইনান কিছু বলার আগেই জেহফিল গোডাউনের গেইট আটকে দেয়। গেট আটকানোর সময় আবছা চোখে ইনান দেখে জেহফিলের চোখমুখের অস্বাভাবিকতা, ওষ্ঠাধর শব্দহীন বিড়বিড় করছে, চোখ দুটো রক্তিম অথচ নিদারুণ বিষাদে নিমজ্জিত। মুখের এক্সপ্রেশন প্রকাশের জন্য কোনো সঠিক শব্দ ইনানের ডিকশনারিতে নেই। ঠিক বুঝল না ইনান, জেহফিল কি রাগে কাঁপছে নাকি কান্নায়…!

যতবার শরীরের শক্তি কুলোয় ততবার ইনান জেহফিলকে ডেকেছে। এখন গলা শুকিয়ে কাঠ। একটু পানির আশায় বুক হাহাকার করছে। জেহফিলের সাড়া পাওয়া যাবে না সে জানে, কেননা ইনানকে এখানে রেখে যাওয়ার পর জেহফিলের সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কিংবা নামার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে সে। জেহফিল কি উপরে গিয়েছে নাকি বাসা থেকে বের হয়েছে ইনান ঠাওর করতে পারছে না।

চোখ খুললেও আঁধার, বন্ধ করলেও আঁধার। এমন না যে ইনান অন্ধকারে ভয় পায়। আগে বাড়িতে কত কারেন্ট যেত, তখন তো সেই অন্ধকারেও ইনান শুয়ে থাকত। তার বাবা আসতো লাইট হাতে। কিন্তু এখনের পরিস্থিতি যে আলাদা! এখন বাবাও নেই। চারিদিকে না আছে কোনো প্রতিবেশী, আর না আছে এই ফাঁকা রাস্তায় কারো চলাচল।

ইনানের ভয় করছে। ভীষণ ভয়! সে জানে না আদৌ জেহফিল আছে কিনা বাসায়। নাকি ইনানকে এই পরিত্যক্ত, নির্জন, ভুতুড়ে বাড়িতে একা ফেলে গেছে! এই ভাবনা ইনানকে ভয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

যেই ইনান ভূতের ভয় পেত না সেখানে এখন সেই হাস্যকর ভয়টাই পাচ্ছে। এই অন্ধকারেও মনে হচ্ছে তার পাশে কোনো অশরীরীর হাঁটাচলা। ইনান এলোমেলোভাবে হাত নাড়ানোর ফলে সিলিং থেকে বয়ে আসা কিছু একটা ইনানের মুখে লাগল। ইনান জিনিসটা হাত দিয়ে ধরে ধরে দেখল একটা দড়ি। আর দড়িটার নিচের দিকে গোল হয়ে আছে, মানে.. ফাঁ’সির মতো দড়ি বেঁধে রাখা হয়েছে। ইনান আতঙ্কিত হয়ে ছিটকে দূরে সরে যায়। পায়ের সাথে কিছু একটা বেঁধে হুমড়ি খেয়ে পড়ে নোংরা মেঝেতে। জেহফিলের থেকে একবার শুনেছিল, এই গোডাউনের মালিকের বেশ কয়েকজন কর্মচারী কাজের সময় আগুনে পুড়ে মারা যান। মালিকের গাফলতির কারণেই। মালিক অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে গোডাউনে এসেই গলায় ফাঁস দিয়ে‌ আত্মহ’ত্যা করে। তাই এই বাড়িটার দাম এত নিম্ন।

ইনানের মনে হলো সেই গোডাউনের মালিক এবং কর্মচারীদের পোড়া আত্মা ইনানের পাশে ঘুরঘুর করছে। বিকৃত চেহারা নিয়ে ইনানকে চোখ দিয়েই মৃ’ত্যুর তীর ছুঁড়ে মা’রছে।

এই মুহূর্তে ইনানের সবচেয়ে বেশি অসহায় লাগল। জঙ্গলের এই নির্জন বাড়িতে বিয়ে হয়েছে পর্যন্ত কখনোই ভয় পায়নি সে। ভয় না পাওয়ার কারণ জেহফিল। দুহাতে এমনভাবে ইনানকে আগলে রেখেছিল যে ইনানের কখনো মনেই হয়নি তারা দুজন যে নিরিবিলি, নিস্তব্ধ, গভীর জঙ্গলের মাঝে বসবাস করছে। জেহফিল যে কখনো সেই ভাবনাটুকু ইনানের মনে আনতেই দেয়নি। পরিস্থিতি যাই হোক, জেহফিল কখনোই ইনানকে একা বাসায় রেখে কোত্থাও যায়নি।‌ তাই জেহফিলের প্রস্থানে এতদিনের না হওয়া ভয়টা ইনানকে জাপটে ধরেছে। এই নিস্তব্ধপুরীতে সে একা…

ইনানের শরীরের পশম দাঁড়িয়ে গেল ভয়ে। ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল প্রতিটি শিরা উপশিরায়। ফ্যাকাশে হলো মুখ। কপাল বেয়ে ঘামের ফোঁটা গড়িয়ে পড়তে পড়তে বুকের জামা ভিজিয়ে দিচ্ছে। অস্থির হয়ে ইনান জেহফিলকে ফ্যাসফ্যাসে গলায় ডাকল। কিন্তু নিজের আওয়াজ নিজের কানেই পৌঁছাল না। যেন বোবা কথা বলছে। ইনান শত চেষ্টা করেও কথা বলতে পারল না।

বসে থেকে মাটিতে হাত রেখে হামাগুড়ি দিয়ে সামনে এগুতে লাগল ইনান। এগোনোর সময় বাড়ি খেল একটা ভাঙা চেয়ারের সাথে। ব্যথা এবং ভয়ের মিশ্রণে ফুঁপিয়ে উঠল ইনান। আবারও হামাগুড়ি দিয়ে এগোলে। এবার হাতের উপর দিয়ে নিমিষেই কিছু একটা পিছলে চলে গেল। শিউরে উঠে চিৎকার দিয়ে ইনান পিছু হটল। এটা কি সাপ নাকি ইঁদুর বুঝতে পারল না। ইঁদুর হলে তো আওয়াজ করত। সাপই তো এত চিকন আর পিচ্ছিল হয়। ইনানের মুখ নীল হয়ে উঠল। দ্রুত ভাঙা চেয়ারটা খুঁজতে লাগল। কিন্তু কোনদিকে সেটা বুঝতে না পারায় কাঁচুমাচু হয়ে দ আকৃতিতে বসল। অতিরিক্ত ভয়ে ইনান এবার হাউমাউ করে কেঁদে উঠল।

মনে মনে সে জেহফিলকে ডাকছে। জানে না কেন, তবে এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে জেহফিলের কথাই তার মাথায় আসলো। সে ডাকছে জেহফিলকে,

‘প্লিজ, জেহফিল, বাঁচান আমাকে। দমবন্ধ হয়ে আসছে আমার। জেহফিল…’ ইনানের কথা গলাতেই আটকে আছে। মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে না।

কেঁদে উঠার তিন সেকেন্ডের মাথায় গেইট ক্যাড়ক্যাড় আওয়াজ করে খুলে গেল। ইনান ঘোলা চোখে দেখল সুঠামদেহী জেহফিল গোডাউনে প্রবেশ করেছে। ইনান তার অসাড় হাত বাড়াল। এই আশায় জেহফিল তাকে ধরবে। তাকে এই আজাব থেকে বের করবে। কিন্তু জেহফিল তা করল না।‌ বরং গেইট বন্ধ করে দিলো।

ইনান ডাকল জেহফিলকে। কথা ইনানের ঠোঁটের আগাতেই আটকে গেল। অন্ধকারে জেহফিলকে না দেখা গেলেও তার হাঁটার আওয়াজ শব্দ তুলছে। তার নিকট আসছে জেহফিল। ইনান অনুভব করল জেহফিল হাঁটু মুড়ে তার কাছে বসল। ঘাড়ে অনুভব করল উষ্ণ নিঃশ্বাস। বোধহয় আরেকটু কাছে আসলো জেহফিল, কারণ ইনানের নাকে বারি দিলো জেহফিলের স্ট্রং পারফিউমের সুবাস। তার গলার এক ইঞ্চি দূরে মুখ রেখে গভীর শ্বাস টানল জেহফিল। যেন ইনানের ঘ্রাণ একটানে নিয়ে নিতে চাচ্ছে।

ইনান চোখ বন্ধ করল‌। যেই মনস্টার থেকে ছাড়া পেতে চেয়েছিল সেই মনস্টারকেই এখন সে মনে মনে অনুরোধ করছে বাঁচানোর জন্য।

ইনান টের পেল জেহফিলের দূরে সরে যাওয়া। জেহফিল সেই ভাঙা চেয়ারটা ইনানের থেকে কয়েক হাত দূরত্বে রেখে বসলো।

ইনান ফিসফিস করে ডাকল,

‘জেহফিল!’

জেহফিল জবাব দিলো না। তবে গাঢ় শ্বাস বেরিয়ে আসার শব্দ পেল ইনান। তার মনে হলো, যেন জেহফিল তার ডাকে সাড়া দিয়েছে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে।

জেহফিল চেয়ারে আর ইনান মাটিতে বসে রইল। প্রায় অনেক অনেকক্ষণ। না ইনান কোনো কথা বলল, না জেহফিল। তবে ইনানের ভয় কেটে গেছে, পুরোপুরি। সে আস্বস্ত হয়ে বসে রইল। এক ঘন্টা কেটে যায় নিঃশব্দে। জেহফিলের গাঢ় নিঃশ্বাস আর ইনানের মৃদু নিঃশ্বাসের আওয়াজ ছাড়া আর কোনো আওয়াজ নেই। ইনান নিশ্চিত জেহফিল ঘুমোচ্ছে না।‌ কেননা সে টের পাচ্ছে জেহফিলের দৃষ্টি তার উপর।

এই এক ঘন্টায় ইনান একটা টু শব্দও করল না ভয়ে। কারণ ভয়ই যে নেই। অথচ যখন জেহফিল তাকে এখানে রেখে গিয়েছিল তার পাঁচ মিনিটের মাথায়ই ইনানের চিৎকার চেঁচামেচি, হাহাকারে পরিবেশ ভারী হয়ে গিয়েছিল। আর এখন সে স্বস্তি নিয়ে বসে আছে।

আরো পঁচিশ মিনিট পর ভস করে ম্যাচের কাঠি জ্বলে উঠল। কাঠি হাতেই জেহফিল উঠে দাঁড়ায়। আগুনের মৃদু আলোয় ইনান দেখল গোডাউনটা অন্ধকারের চেয়েও আলোতে বেশি ভয়ানক। যেন হরর মুভির পুরোনো বাড়ি।

আগুন নিভে যায়। ফের অন্ধকারে ছেয়ে যায় চারপাশ। জেহফিল ইনানের সামনাসামনি বসে। ইনানের ডান হাত ধরে নিজের বুকে ঠেকায়। জেহফিলের হাত অসম্ভব ঠাণ্ডা। ইনানের হাত ধরে তাকে নিজের কোলে বসালো।

ভারী গলায় বলল,

‘বলতে পারবে তুমি কেন এতক্ষণ ভয় পাওনি?’

ইনান চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকায় আঁধারে ঢাকা জেহফিলের মুখটায়। জেহফিলের কথা মাথায় ঢুকছে না। জেহফিল আবারো বলল, গভীর শ্বাস টেনে,

‘দেড় ঘণ্টা আগেও চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলেছ। অন্ধকার তখনো ছিল, এখনো আছে। তবে এখন কেন ভয় পাচ্ছ না?’

ইনান চুপ করে থেকে বলল,

‘কারণ এখন আপনি আছেন।’

‘এক্সাক্টলি বেবিগার্ল।’ জেহফিলের কণ্ঠ নরম হয়,

‘তোমার দুনিয়াটাও ঠিক এমনই। এতক্ষণ এই অন্ধকারে তুমি একা ছিলে। জানতে যে আশেপাশে কেউ নেই। তারপর আমি আসলাম। তুমি শুধু উপস্থিতিটাই দেখেছ, না কোনো আওয়াজ, না কথা। আমার উপস্থিতিই তোমাকে শান্ত করল। অথচ পরিবেশ পরিস্থিতি কিন্তু একই। আঁধার, নিরব। শুধু যুক্ত হয়েছে আমার উপস্থিতি। ভয় কমলো তোমার। বিশ্বাস ছিল তোমার যে আমি থাকলে তোমার ক্ষতি হবে না। আমার উপর নির্ভর হয়েই তোমার ভয় দূর হলো। এটাই তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি। তুমি আমাকে ছেড়ে থাকলে তোমার জীবনটাও এমন অন্ধকার হবে বাটারফ্লাই। আশেপাশে মানুষ থাকলেও তুমি আঁধারেই তলিয়ে যাবে। ভয় পাবে। যখন আমি থাকব, তখন ভয় তোমাকে ছুঁতে পারবে না। এই যেমন আমি এতক্ষন কাছে ছিলাম বলে তুমি ভয় পেলে না, তেমন।’

জেহফিলের যুক্তিতে ইনান বোকা বনে গেল। হতভম্ব হয়ে বলল,

‘এখানে অন্য কেউ থাকলেও আমি ভয় পেতাম না।’

জেহফিল ইনানের গালে হাত রাখে, ‘সত্যি করে বলো তো, তোমার অচেতন মন কি শুধুমাত্র আমার আসার অপেক্ষাতেই ছিল না?’

ইনান নিশ্চুপ থাকে। এটা সত্যি যে জেহফিল ছাড়া অন্য কারো কথা তার মাথায় আসেনি।

‘তাই বলে তো এই না যে আপনি থাকলেই আমি ভয় পাবো না? আপনার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও আমি ভয় পেতাম না।’

‘যদি অন্য কেউ থাকত তাহলে তুমি কি তার উপর বিশ্বাস করতে পারবে যতটা আমার উপর করো? তুমি অজান্তেই আমাকে নিজের জীবনের চেয়েও বিশ্বাস করো বাটারফ্লাই। তুমি মানো কিংবা না মানো। অন্য কেউ আমার জায়গায় থাকলেও তোমার মনের একাংশে ভয় খেলা করত। আমি কি মিথ্যে বলছি?’

ইনান প্রত্যুত্তর করল না। জেহফিল যা বলছে ঠিক বলছে। কোথাও না কোথাও সে জেহফিলকেই আশা করছিল, জেহফিল তার বাটারফ্লাইয়ের ক্ষতি করবে না এই বিশ্বাসটাও তার আছে।

জেহফিল মোবাইলের ফ্ল্যাশ অন করল। ইনানকে কোলে তুলে নিয়ে দোতলায় যেতে যেতে বলল,

‘আমার জীবনটা যেমন তোমার উপর নির্ভর করে, তেমনি তোমার জীবনটাও আমার উপর নির্ভরশীল। অদৃশ্য বাঁধনে তুমি আমি আটকা পড়েছি। এই বাঁধন মৃ’ত্যুর আগ পর্যন্তও খোলার নয় বাটারফ্লাই।’

‘খুলতে চাইলেই সম্ভব।’

ইনান আনমনেই বলে ফেলল কথাটা। যখন দেখল জেহফিল সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পড়েছে তখন তার দিকে ফিরল। জেহফিলের চোখে আবারও বিষাদময় হিংস্রতা নামল।

‘প্লিজ বেবিগার্ল। এই ধরনের কথা তোমার মুখে যাতে আর না শুনি। আমি তোমাকে শাস্তি দিতে চাই না, ভালোবাসতে চাই। তোমাকে শাস্তি দিলে যে আমি নিজেই শাস্তি পাই।’

ইনান জেহফিলের তখনকার কথায় ডুবে গিয়েছিল যে নিজের মধ্যে ছিল না ইনান। ভুলে গিয়েছিল জেহফিলের হিংস্রতা। এখন আবার জেহফিলের হিংস্রতা ফিরে এসেছে।

সেই মুহুর্তে ইনান বুঝে গেল জেহফিলের আরেকটি গুণ। ম্যানিপুলেট করার গুণ। কথার মাধ্যমে মানুষকে বশ করা। যেই গুণের প্রথম শিকার ছিল তার বাবা, নাহলে কি একদিনেই কারো হাতে মেয়ে তুলে দেয়া যায়? দ্বিতীয় শিকার ইনান নিজে। যার শিকার কয়েকবার হলেও এখন সে বুঝতে পারছে। মুহুর্তের মাঝে জেহফিল কাউকে হাতের মুঠোয় রেখে নাচাতে পারে তার ক্ষমতা দ্বারা।

ইনান বুঝে গেল যে তার নিস্তার নেই। সে দক্ষ অথচ হিংস্র শিকারির কাছে বন্দী হয়েছে…
.
.
চলবে…

কেউ ছোটো ছোটো বলবেন না। কষ্ট লাগে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here