গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি #পর্ব৩৮ #Raiha_Zubair_Ripti

0
60

#গোধুলির_শেষ_বিকেলে_তুমি_আমি
#পর্ব৩৮
#Raiha_Zubair_Ripti

সাঝ সন্ধ্যা,, রুয়াত বসে আছে বেলকনিতে। দৃষ্টি তার সুদূর আকাশে। হাতের মুঠোয় বন্দী মুঠোফোন। একটু আগে শাফায়াত ফোন করে জানাল তার ফিরতে নয় টা কি দশ টা বাজবে। সাদমান বিকেল হতেই বেরিয়ে গেছে বাসা থেকে। বিয়ের শপিং করতে গেছে রজনী কে নিয়ে। রুয়াত কে বলেছিল সাথে যেতে কিন্তু রুয়াত মানা করেছে। শাফায়াত নেই সে যাবে না। আর তা ছাড়া বিয়ে সাদমান রজনীর সেখানে শপিং ওদেরই আগে করা উচিত। বানানোর ও ঝামেলা সময়ের ব্যপার আছে। রুয়াত দের তো আর সেসব নেই। পুরো বাড়িতে একা আছে রুয়াত। বাহিরে মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। শরীর টাও কেঁপে কেঁপে উঠছে থেকে থেকে। শরীরে ওড়না টা ভালোভাবে জড়িয়ে রুমে আসলো। কেমন খারাপ খারাপ ভাব লাগছে৷ বালিশ টা ঠিক করে শুতেই কেমন ঘুম চলে আসলো৷

সাদমান রজনী কে তার বাসা থেকে শপিং করার জন্য বসুন্ধরা চলে আসে। রজনী অফ হোয়াইট কালারের একটা বেনারসি ধরলো। সাদমান ভ্রু কুঁচকালো সেটা দেখে। বলল-
-“ বিয়েতে অফ হোয়াইট কালারের শাড়ি পড়বেন?
রজনী সম্মতি জানিয়ে বলল-
-“ হুমম। কেনো?
-“ সিরিয়াসলি! আপনি বিয়েতে বিধবা শাড়ি পড়বেন? আমার সাথে থাকার প্ল্যান আপনার আছে কি নেই সেটা বলুন তো রজনী?
-“ আশ্চর্য! থাকা না থাকার কথা কেনো আসছে?
-“ তো আসবে না? আমাদের বিয়ে। আমার কত দিনের ইচ্ছে আপনি লাল টুকটুকে শাড়িতে বউ সেজে আমার অপেক্ষায় থাকবেন। আর আমি আপনাকে নিতে আসবো৷ বিয়ের মানেই তো লাল।
-“ লাল কিসের প্রতিক জানেন? র’ক্তের প্রতিক৷ বিচ্ছেদ এর প্রতিক। হারানোর প্রতিক। আই হেইট রেড। আর সাদা শুভ্রতার প্রতিক৷ এটায় প্রচণ্ড রকমের স্নিগ্ধতা মিশে থাকে।
-“ লজিক দেখাচ্ছেন? আচ্ছা যান মেনে নিলাম। এখন আপনার সাথে ম্যাচ করে আমিও অফ হোয়াইট শেরওয়ানি নিব?
-“ না পিংক কালার নিবেন। একদম মানাবে।
সাদমান মুখ বাঁকিয়ে শেরওয়ানির কালার দেখতে দেখতে বলে-
-“ আন্টি আমার খালা মনির মতো আপনার মুখে মধু দিতে ভুলে গিয়েছিল নাকি? ব্রো ও আগে এমন কাঠখোট্টা ছিলো। এখন অবশ্য রুয়াতের সংস্পর্শে এসে বেশ ভালোই উন্নত হয়েছে।
-“ আমাকে মধুর বদলে করলার রস খাওয়ানো হয়েছিল। সেজন্য করল্লার মতো এমন তিতে।
-“ সমস্যা নেই ফাস্ট নাইটে মধু খাইয়ে মিঠে করিয়ে নিব মুখ টা।
ঘাড় বেঁকিয়ে চোখ টিপে রজনীর দিকে মুখ করে কথাটা বলে সাদমান। রজনী রাগী চোখে তাকায়। সাদমান রজনী কে আরেক টু রাগানোর জন্য বলল-
-“ মিস রজনী ইউ নোও হোয়াট আই মিন মধু?
রজনী তর্জনী তুলে দাঁতে দাঁত চেপে বলল-
-“ চুপচাপ কেনাকাটা শেষ করুন। মধু? জন্মের মধু খাইয়ে দিব।
সাদমান উৎসুক চাহনি নিয়ে বলল-
-“ রিয়েলি হানি খাওয়াবেন? আই লাভ হানি।
রজনী দীর্ঘ লম্বা একটা শ্বাস নিলো। লোকটার উপর ভীষণ রাগ লাগছে তার। নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করলো কোনো মতে। তারপর শান্ত স্বরে বলল-
-“ একটু তাড়াতাড়ি কেনাকাটা শেষ করুন সাদমান। বাসায় তো ফিরতে হবে। রুয়াত একা বাসায়। শাফায়াত ফিরে নি।
সাদমান শেরওয়ানি শাড়ি দোকানদার কে প্যাকেট করতে বলে বলল-
-“ ব্রো বাসায় ফিরে নি?
-“ নাহ্।
-“ কেনাকাটা তো শেষ। চলো যাওয়া যাক। তোমাকে বাসায় পৌঁছে আমি যাব।

সাদমান রজনীর হাত ধরে বেরিয়ে আসলো শপিং মল থেকে। গাড়ি চালিয়ে রজনী কে বাসায় বাসায় পৌঁছে তৎক্ষনাৎ ই দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে বাসার সামনে আসে। তারপর গাড়িটা সাইডে রেখে সদর দরজার সামনে আসতেই দেখে দরজা টা ভেতর থেকে বন্ধ করা। সাদমান কয়েক বার দরজা ধাক্কিয়ে রুয়াতের নাম ধরে ডাক দিলো। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেলো না। সাদমান রুয়াতের ফোনে ফোনকল লাগালো। ফোন ও রিসিভ হচ্ছে না। বেশ অনেক বারই ট্রাই করলো। কেমন চিন্তা ও হচ্ছে। রুয়াত তো এমন না। ফোন তো সব সময় তার নিজের সাথেই থাকে। যখনই ফোন দেয় রিসিভ হয়।

সাদমান শাফায়াত কে ফোন করলো। শাফায়াত ভার্সিটির মাঠে চেয়ারে বসে লিস্ট দেখে দেখে সব চেক করছিলো। পাশেই নেহাল শাফায়াত এর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। রোহান প্যান্ডেলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। নিয়ে আসা লোক গুলো প্যান্ডেল তৈরি করছে৷ আকস্মিক শাফায়াত এর ফোন বেজে উঠায় শাফায়াত আড়চোখে ফোনের দিকে তাকিয়ে লিস্ট টা নেহালের হাতে দিয়ে বলল-
-“ চেক করো আমি আসছি।
নেহাল লিস্ট টা হাতে নিয়ে চেক করতে লাগলো। শাফায়াত ফোন টা নিয়ে সাইডে এসে রিসিভ করে বলল-
-“ হ্যাঁ সাদমান বল।
সাদমান ওপাশ থেকে অস্থির কন্ঠে বলল-
-“ ব্রো আমি ব.. বাসায় এসেছি।
-“ হুমম তো?
-“ ভেতরে ঢুকতে পারছি না।
-“ কেনো?
-“ রুয়াত তো দরজা খুলছে না। কতবার ডাকলাম। ফোন ও করলাম রিসিভ হচ্ছে না। তোমার কাছে তো এক্সট্রা চাবি আছে। বাসায় আসো তাড়াতাড়ি।

চমকে উঠলো সাদমান এর এমন কথা শুনে শাফায়াত। ফোন কাটার আগে বলল-
-“ পাঁচ মিনিট অপেক্ষা কর আমি আসছি।

শাফায়াত ফোন টা কেটে নেহালের সামনে এসে অস্থির কন্ঠে বলল-
-“ নেহাল!
নেহাল মাথা উঁচু করে বলল-
-“ হ্যাঁ স্যার বলুন।
-“ আমাকে আর্জেন্ট বাসায় যেতে হবে। তোমরা সব টা সামলে নিতে পারবে?
-“ হ্যাঁ স্যার পারবো৷ আপনি নিশ্চিন্তে যেতে পারেন।
-“ তাহলে আমি আসছি।

শাফায়াত হন্তদন্ত হয়ে চলে গেলো। রোহান এগিয়ে এসে বলল-
-“ স্যার চলে গেলো কেনো?
-“ মনে হলো বাসায় কিছু হয়েছে।
-“ কি হয়েছে? রুয়াত ঠিক আছে?
মুখ ফস্কে বলে ফেললো রোহান রুয়াতের কথাটা৷ নেহাল তাকালো রোহানের মুখ পানে। রোহান কেও তো পুরোপুরি দোষ দেওয়া যায় না। ভালোবাসা জিনিস টাই তো এমন। ভুলা কি এতই সহজ?
রোহান মুখ টা কাচুমাচু করে বলল-
-“ সরি আ…আসলে..
-“ বুঝি আমি তোকে রোহান। ভালোবাসার মানুষ কে ভোলা খুবই কঠিন। স্যারের বাসায় কি হয়েছে জানি না। আই থিংক রুয়াতের কিছু হয় নি। শুনেছি রুয়াতের বড় বোনের বিয়ে স্যারের ভাইয়ের সাথে৷ হয়তো সেসব নিয়ে।

রোহান স্মিত হাসলো। নেহাল কে জড়িয়ে ধরলো। নেহাল ও জড়িয়ে ধরলো রোহান কে। তাদের ফ্রেন্ডশিপ টা বেশ স্ট্রং। রোহান নেহালের বেশ গর্ব হয় তাদের ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে। ফ্রেন্ডশিপ তো এমনই হওয়া উচিত! ভার্সিটিতে তো সবাই নেহাল রোহানের ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে কথা বলে। রোহান নেহাল কে ছেড়ে পাশের চেয়ারে বসলো। ভার্সিটির মাঠ টা রঙিন আলোয় কেমন আলোকিত হয়ে আছে।
রোহান কি একটা মনে করে পকেট থেকে ফোন টা বের করলো। স্ক্রিন টা অন করতেই ভেসে আসলো নয়টা মিসড কল। নীতি করেছে ফোন। রোহানের তো যাবার কথা ছিল নীতি দের বাসায়। নীতি কে বলেছিল রান্না করতে। বেচারি হয়তো রান্না করে অপেক্ষা করছে৷ রোহান নীতির নম্বর টা বের করে ফোন করার জন্য উদ্যত হলে সামনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে মাথা উচু করে তাকায়৷ নীতির বাবা দাঁড়িয়ে আছে হাতে ব্যাগ নিয়ে।

রোহান ফোন টা পকেটে ঢুকিয়ে এক গাল হেসে বলল-
-“ আরে স্যার আপনি?
সাইফুল ইসলাম চেয়ার টেনে বসে বলল-
-“ হুমম আমি। তুই কি ভালো হবি না? নীতি কে রান্না করতে বলেছিস কেনো? আমার পুতুলের মতো মেয়ে টা সেই বিকেল থেকে রান্না করে তোদের আসার অপেক্ষায় বসেছিল৷ না পেরে আমায় খাবার দিয়ে পাঠিয়ে দিলো।

-“ আশ্চর্য আমার উছিলায় আপনার মেয়ের হাতের রান্না পাকাপোক্ত হচ্ছে। কোথায় আমায় থ্যাংকস দিবেন। তা না বলছেন ভালো হতে! সে যাই হোক খাবার গুলো বেড়ে দিন। অনেক ক্ষুধা পেয়েছে।
সাইফুল ইসলাম চোখ বড় বড় করে তাকালো। রাগী কন্ঠে বলে উঠল-

-“ হতচ্ছাড়া খাবার যে বয়ে এই অব্দি নিয়ে এসেছি। এটাই তোদের কপাল। এখন যার যার মতো নিয়ে যা। এই আমি রাখলাম ব্যাগ টা। প্লেট পানির বোতল সব আছে।

নেহাল বাবার থেকে ব্যাগ টা নিয়ে প্লেট বের করে তিনজনের জন্য খাবার বাড়তে নিলো। সাইফুল ইসলাম বারন করে বলে-
-“ আমার জন্য বাড়িস না। আমি বাসায় গিয়ে খাব। নীতি অপেক্ষা করছে।

নেহাল নিজের আর রোহান এর জন্য বাড়লো। রোহান দিনদুনিয়া ভুলে খাবারে মনোযোগ দিলো। নীতির হাতের রান্না রোহানের পছন্দের তালিকায় চলে গিয়েছে। রোহান খাবার খেয়ে একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললো৷ আঙুল চেটে বলল-
-“ স্যার আপনার মেয়েকে ভাবছি আমার বাসায় রান্নার জন্য রাখবো৷ আপনার কোনো আপত্তি নেই তো?
সাইফুল ইসলাম রাগী চোখে তাকিয়ে বলল-
-“ ঝা’টা চিনিস রে রোহু? তোর মামার টাকা কম নেই বিদেশ থেকে লোক হায়ার করে রাখ। আমার মেয়ের ঠেকা পড়ে নি।
-“ আশ্চর্য স্যার ঝা’টা কেনো চিনতে বলছেন।
-“ সামনে একটা সুখবর আসতে চলছে তোদের জন্য।
নেহাল উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করলো-
-“ কিসের সুখবর বাবা?
-“ সারপ্রাইজ।
-“ সারপ্রাইজ ই যখন দিবেন তাহলে বললেন কেনো? সারাদিন রাত এখন যে চিন্তা হবে।
রোহান বিরক্ত হয়ে বলল। তারপর উঠে চলে গেলো। নেহাল কাজে মনোযোগ দিলো।

শাফায়াত বাসায় এসে এক্সট্রা চাবি দিয়ে দরজা টা খুলে ভেতরে ঢুকে। তড়িঘড়ি করে দৌড়ে নিজের রুমে ঢুকে দেখে রুয়াত শুয়ে আছে। সাদমান ও পেছন পেছন আসে। শাফায়াত রুয়াতের দিকে এগিয়ে এসে বাহুতে ধাক্কা দিয়ে বলে-
-“ রুয়াত!
শাফায়াত চমকে উঠে। রুয়াত শরীর আগুনের মতো গরম হয়ে আছে। শাফায়াত তড়িঘড়ি করে কপালে হাত রাখে। জ্বরে শরীর পু’ড়ে যাচ্ছে। শাফায়াত রুয়াতে গালে আলতো করে থা’প্পড় দিয়ে রুয়াত কে ডাকতে থাকে-
-“ রুয়াত এই রুয়াত শুনতে পারতেছো? সাদমান ডক্টর কে ফোন করে বাসায় আসতে বল।
শাফায়াত কথাটা বলে ড্রয়িং রুমে আসে। ছোট্ট বাটিতে জল আর কাপড়ের পট্টি নিয়ে রুমে ফিরে। একটু জল শাফায়াত রুয়াতের চোখ মুখে ছিটিয়ে দেয়। নাহ্ রুয়াত সাড়াশব্দ করছে না। সেন্সলেস হয়ে গেছে। শাফক্বাত ভেজা পট্টি চেপে রুয়াতের কপালে রাখলো। বিশ মিনিট যেতেই ডক্টর আসলো।

রুয়াত কে দেখে একটা ইনজেকশন পুশ করলো। কিছু মেডিসিন ও লিখে দিলো। সাদমান চলে গেলো মেডিসিন আনতে৷ শাফায়াত ডক্টরের দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ আঙ্কেল রুয়াত উঠছে না কেনো?
-“ জ্বরের তীব্রতা অনেক শাফায়াত। হঠাৎ এমন জ্বর আসলো কি করে? আর ইনজেকশন দেওয়ায় রুয়াতের জ্ঞান হয়তো মধ্য রাতে বা সকালে ফিরতে পারে৷ সকালে আমায় ফোন করে বলবে রুয়াতের অবস্থা টা। তবে চিন্তে করো না তেমন ভয়াবহ কিছু হবে না। জ্ঞান ফিরলে কিছু খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিও। এখন আসছি।

ডক্টর চলে গেলো। শাফায়াত রুয়াতের মাথের কাছে রুয়াতের ডান হাত মুঠোয় নিয়ে রুয়াতের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে রইলো। বুকের বাঁপাশ টায় কেমন অসহ্য ব্যথা করতেছে প্রিয়তমার এমন অবস্থা দেখে। হাসিখুশি মেয়েটা কেমন নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে আছে বিছানায়! শাফায়াত এর চোখ লাল হয়ে আসছে। শাফায়াত রুয়াতের হাতে পরপর কয়েকবার চুমু খেলো। বিরবির করে বলল-
-“ তাড়াতাড়ি চোখ মেলে তাকাও রুয়াত। এই রুয়াত কে আমার ভালো লাগছে না। দম বন্ধ হয়ে আসছে। শুনতে পারছো আমার কথা? তোমার শাফু তোমাকে বলতেছে তার কষ্ট হচ্ছে আর তুমি এখনও চোখ বন্ধ করে আছো জান! উঠো না তাড়াতাড়ি। তোমার কন্ঠ স্বর শুনতে চাই৷

হঠাৎ কাঁধে কারো স্পর্শ পেয়ে শাফায়াত পাশে তাকালো। সাদমান এসেছে৷ ঔষধ গুলো টেবিলে রেখে বলল-
-“ একটু সময় লাগবে ব্রো রুয়াতের জ্ঞান ফিরতে। খাবার নিয়ে এসেছি। খেয়ে নাও।
শাফায়াত রুয়াতের দিকে দৃষ্টি রেখে বলল-
-“ গলা দিয়ে খাবার নামবে না আমার সাদমান। রেখে দে। রুয়াতের জ্ঞান ফিরুক আগে। আর তুই নিজের রুমে চলে যা।
-“ আমার ঘুম আসবে না ব্রো। আমিও না হয় বেলকনিতে থাকি। রুয়াতের জ্ঞান না ফেরা অব্দি। জ্ঞান ফিরলেই চলে যাব।

শাফায়াত কিছু বললো না। সে রুয়াতের হাত গালে চেপে ধরে নির্নিমেষ তাকিয়ে রইলো রুয়াতের মুখের দিকে। অপেক্ষা রুয়াতের জ্ঞান ফেরার।

#চলবে?

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here