#তুমি_ছুঁয়ে_দিলে_এ_মন
পর্ব ১৫
#জান্নাতুল_মাওয়া_লিজা
আহনাফ নির্দিধায় অকপটে বোনের কাছে নিজের ভালোবাসার কথা স্বীকার করে নিলো।
ত্রিশা আহনাফের কাছে এসে বললো বিনম্র ভাবে বললো,
” স্যার আমি আপনার জন্য কিছুই আনতে পারি নি, তবে হসপিটাল গেইট হতে এই ফুলগুলো আপনার জন্য কিনেছি, আশা করি আপনার ভালো লাগবে”
এই বলে একগুচ্ছ নীল টিউলিপ আহনাফের হাতে তুলে দিলো।
ফুলগুলো পেয়ে আহনাফের খুশি যেনো উছলে পড়লো।
হেসে, মিষ্টি করে বললো ” থ্যাংক ইউ”
ত্রিশা আবার সোফায় গিয়ে বসলো।
এবার বিভা আহনাফের কাছে গিয়ে নিজের ফোনে সেলফি তুলতে শুরু করলো।
আহনাফ একটু বিরক্ত হয়ে বললো,
” বিভা তোমার ছবি তো একটুও ভালো আসছে না, যাও আরেকটু মেইক আপ করো গিয়ে, তারপর সেলফি নাও, যাও যাও”
” ধ্যাৎ, তাই তো স্যার ঠিকই বলেছেন, আমি যাই আরেকটু মেইকয়াপ করি”
বলেই সে নিজের ব্যাগে ফেইস পাউডার খোঁজা শুরু করলো।
অহনা বিভার এমন কর্মকান্ডে মুখ টিপে হাসতে লাগলো।
বিভার এসব কান্ডকীর্তি দেখে শায়লা মনে মনে ভাবলো,
” ছেলে আমার ঠিকই বলেছিলো, এই মেয়ের মাথায় কিচ্ছু নেই, এই মেয়েটার সাথে কোনো ভাবেই আমার ছেলের যায় না”
আহনাফ আবার অহনাকে ডেকে আবার দুইজনে ফিসফাস করা শুরু করলো, ত্রিশাকে দেখিয়ে আহনাফ বললো,
” আই ডিপলি ইন লাভ উইথ দিস গার্ল সিস!”
আহনাফ খুব আবেগের সাথে বোনকে একথা বললো।
অহনা সুধালো, ” আর ঐ মেয়েটা?”
আহনাফ নির্বিকার ভাবে বললো,
“সম্পর্কে জড়াতে ভয় পায় রে! কুখ্যাত জহির শেখ কে দেখেছে যে, সে কি আর এত সহজে পুরুষ জাতীকে বিশ্বাস করতে পারে?”
অহনা হাসিমুখে বড় একটা শ্বাস ফেলে একবার ত্রিশার দিকে তারপর একবার আহনাফের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আহনাফকে বললো,
” তোমার পছন্দের তারিফ করতে হয় ব্রো, বিনা মেইক আপেই কিরকম চকচক করছে তোমার প্রিয়তমা! গায়ের রং, উচ্চতা, ফিগার সবই দারুন আকর্ষণীয়! তাই তো ব্রো টা আমার এত পটেছে! আমি মা’ কে স্যাটেল করে দিবো, সাথে তোমার প্রিয়তমাকেউ স্যাটেল করে দিবো, কথা দিচ্ছি, তবে আমি যা চাই তা তোমাকেও দিতে হবে, কথা দাও”
আহনাফ যেনো দেরি করতে চাচ্ছে না, তাই বোনকে কথা দিয়েই দিলো,
” ঠিক আছে, কথা দিলাম, কথা দিলাম রে! জলদি তোর উইশলিস্ট বল”
অহনা তার লিস্ট বলা শুরু করলো,
” একটা আই ফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স, একটা টিভিএস জুপিটার স্কুটি, একটা ডি.এস. এল আর একটা ড্রোন ক্যামেরা…”
অহনা আরো কিছু বলতেই যাচ্ছিলো তখন আহনাফ ওকে থামিয়ে বললো,
” বইন রে বইন! আরো কিছু চাইলে আমার কিডনি, লিভার সব বেচে দিতে হবে রে বইন!”
অহনা চোখ দুটি ছোটো করে হেসে বললো,
“ওকে ওকে মাই সুইট ব্রো, তাহলে এই পর্যন্তই দাঁড়ি টানলাম, এর বেশি না, তবে তুমি কথার বরখেলাপ করলে কিন্তু আমিও পল্টি খাবো!”
আহনাফ হেসে বললো,
” বরখেলাপ হবে না না না, একশ বা না!”
অহনা তার বৃদ্ধাঙ্গুলি উঁচিয়ে দেখিয়ে বললো,
” ওকে ডিল ডান, এট ফার্স্ট বিভা উইল বি কুকড, মাই সুইট!”
বিভাকে কুক(পঁচাবে) করবে শুনে আহনাফ একটা স্বস্তির হাসি হাসলো।
ওদিকে বিভা ঐ উত্তল দর্পন দিয়েই নিজের চেহারা ঠিক করতে ব্যস্ত।
অহনা চোখ দুটি মিটমিট করে বললো,
“থামো ওর ফেইসবুক আর ইন্সটাগ্রাম একাউন্টগুলো আগে নেই।”
অহনার সাথে বিভার সব একাউন্টই লেনা দেনা হলো।
তারপর ত্রিশার দিকে মুড়ে অহনা সুধালে ত্রিশা মৃদু হেসে বললো,
” ছোটো আপ্পি, আমি আসলে ফোনই ইউজ করি না, আবার ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম! ”
এই কথা শুনে অন্য কেউ কিছু না বলুক, শায়লা এসে ত্রিশাকে একবার জড়িয়ে ধরলো।
” বাহ! সাবাসি দিচ্ছি তোমাকে মা, এই ডিজিটাল যুগেও তোমার একখানা ফোন নেই, সত্যিই অবাক করার মতো! আমার এই পাগলিটা( অহনাকে দেখিয়ে) সারাদিন ফোন নিয়েই পড়ে থাকে, যেনো ফোনই ওর জান ফোনই ওর প্রাণ, প্রতি ঘণ্টায় ঘন্টায় পোস্ট দিয়ে সবাইকে জানায় যে কি হচ্ছে, কি চলছে, কি খাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কি ফিলিংস, আমি ভাবছি ওকে ফোনের সাথেই বিয়ে দিয়ে দেবো… ”
শায়লা আরো কিছু বলতে যাচ্ছে, তখনি অহনা ওকে থামিয়ে দিয়ে বললো,
” মা তুমিও এত কথা বলো, পেইসেন্ট রুমে”
আহনাফ নিজের মা কে সাপোর্ট দিয়ে বললো,
” কথা বলো তো মা, ভালোই লাগছে, আ’ম নো মোর আ পেইসেন্ট, আমার অনেক ভালো লাগছে এখন”
শায়লা আবার ত্রিশার প্রশংসা করতে লাগলো,
” মা, তুমি তো বেশ ভালো, আমার মেয়েটাকে একটু বুঝিয়ে যেও তো, ফোন যেনো একটু কম ইউজ করে”
ত্রিশা হেসে বললো,
” ওকে আন্টি, অন্য একসময় আমি বুঝিয়ে বলবো”
অহনা নিজের ভাইকে আলতো করে একটা গুঁতো মে’রে বললো,
” ব্রো, মা তো অর্ধেক পটে গিয়েছে, রে!”
এমনসময় পুলিশ অফিসার এলো আহনাফের জবানবন্দী নিতে। সবটা শুনে পুলিশ অফিসার বললো,
” কেউ আপনাকে হ’ত্যা করতে জাল বুনেছে মিস্টার আহনাফ!”
শুনে গোটা রুমের সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো; শায়লা কাঁদতে শুরু করলো।
.
.
হসপিটাল থেকে যাওয়ার পর ত্রিশা কনকচাপার শয়নকক্ষে আলো দেখে ভাবলো, কনকচাপা এসেছে। মায়ের প্রতি ক্ষোভ তার উগরে পড়ছিলো। তাই মায়ের কক্ষের দিকে ছুটে গেলো, এবার তাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করা যাক! কনকচাপার রুমের দরজা ভিড়ানো ছিলো, তবে লক করা নয়। কিন্তু রুমে প্রবেশ করেই ত্রিশা বিরাট এক শক খেলো! জহির এক অল্পবয়স্কা মেয়ের সাথে ফূর্তিতে মজে আছে, তারই স্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত রুমে!
ত্রিশা এসব সরাসরি আগে আরো দেখেছে। কনকচাপা বাসায় না থাকলে এরকম মেয়ে আরো বহুবার এনে রাতভর নাচ, গান, মদ্যপান ও ফূর্তি করেছে জহির। তবে আজ যা দেখলো তা ওর কাছে একটা ঘৃণ্য দুর্ঘটনা! কনকচাপাকে এসব বললে সে কানেই তোলে না কোনোদিন। প্রতিবেশিরা প্রায়ই বলে, “ছি: ছি: ছি: খারাপ পাড়ায় তোমার স্বামী যে কি করে তার কোনো ইয়ত্তাই নেই।”
কনক একটা মুচকি হেসে জবাব দেয়,
“হিংসা করেন নাকি আপনারা? আমার স্বামির টাকা আছে সে ঘরের বউয়ের নাচও দেখে আবার বাইরের টারো দেখে, এতে দোষের কি পাইলেন?
তারা কনকচাপার এহেন উত্তরে বলে,
” এই তুমি এসব কিভাবে কউ, তোমার স্বামির তো অন্তরাত্মা কিছুই নেই, সেই সাথে কি নিজের অন্তরাত্মাও কি বিসর্জন দিয়েছো?”
কিন্তু এসব কথাও কনকচাপা কানে তুলতো না।
জহিরের এসব ক্রিয়া কলাপ দেখে ত্রিশার ছোটোবেলা থেকেই পুরুষ মানুষের প্রতি এক ধরনের ঘৃণা কাজ করে। প্রায়শই পুরুষ মানুষ দেখলেই গা গুলিয়ে আসে, বমি চলে আসে ত্রিশার!
ত্রিশার শরীরটা ঘৃণায় ছমছম করে উঠলো। কনকচাপাকে কল করে কয়েকটা ঝাড়ি দেওয়ারো কোনো উপায় নেই।
নিজের কক্ষে গিয়ে পড়ায় মন বসানোর ব্যর্থ চেষ্ঠা চালালো।
হাসপাতালে বিভার অপমানের কথা ওর মনে পড়ে গেলো। সবাই ওকে তাহলে টু’নটুনি জহিরের সৎ মেয়ে বলে জানে! সে অনেক কিছু না জানলেও এটা জানে যে, টুনটুনি শব্দটা ভীষণ অশ্লীল। বিভার বলা কথাগুলো মনে হতেই ওর মনে হলো এখনি এই বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে যেতে। আবার কনকচাপার জন্যও ওর মায়া হলো। বেচারি কনকচাপা! কিছু টাকার জন্য নিজের স্বামীর সকল অবিচারই সহ্য করছে!
একবার বেচারি মনে হলেও পরক্ষণেই আবার নিজের মাকেও ওর ঘৃণা হলো,
” কি মেরুদন্ডহীন নারী সে? ইচ্ছে হলে কর্ম করে খেতে পারতো সে, আর এখানে কি নীচ জীবনই কাটাচ্ছে সে! এরকম স্বামীর চেয়ে একা থাকা কোটি গুন উত্তম!”
আবার আহনাফের কথাও ভাবতে লাগলো,
আহনাফকে ওর ভালো লাগে, আহনাফের সঙ্গ ভালো লাগে, ভীষণ ব্যক্তিত্ববান ও দায়িত্ববান পুরুষ সে! সব পুরুষই তো আর জহিরের মতো নারী বুবুক্ষু কুকুর হয় না। আহনাফকে যতটা দেখেছে, ওর মধ্যে কোনো অশুদ্ধাচার নেই, দারুন ইম্প্রেসিভ! কলেজে কত মেয়েই ওকে প্রেমের জালে ফেলতে চেয়েছে তবে সে কোনো ক্রমেই ধরা দেয়নি। তবে বিভাকে যে সে রিজেক্ট করবে বা করেছে, এ ব্যাপারে ত্রিশা নিশ্চিত! কারন যেভাবে আহনাফ বিভাকে পঁচায়, বিভা এখানে কোনো সুযোগই পাবে না। আহনাফ যতই ভালোবাসা দেখাক না কেনো, তবে কোনো ক্রমেই বুয়েটে চান্স পাওয়ার আগে কারো সাথেই কোনো ধরনের সম্পর্কে জড়াবে না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে নিলো ত্রিশা।
এসব ভাবতে ভাবতে টেবিলে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়লো ত্রিশা।
সেদিন ভোর রাতেই ত্রিশা তার নানীর মৃত্যু সংবাদ পেলো।
সাতদিন পর কনকচাপা ফিরে এলো। ত্রিশা অবশ্য তার নানীর শেষকৃত্যে গিয়েছিলো। কিন্তু প্রচন্ড মাতৃশোকে মুহ্যমান কনকচাপাকে সে কিছুই জিজ্ঞেস করতে পারেনি।
তাই বাসায় আসার সাথে সাথেই ত্রিশা কনকচাপাকে প্রশ্নবানে ফেলে দিলো,
” তুমি আমার অনুমতি ছাড়াই আমার বিয়ে ঠিক করার কে?”
কনকচাপা কান্নারত স্বরে বললো,
” কেনো, আমি তোর মা! নাকি?আমাকে তোর মা মানতে ইচ্ছে করেনা?”
” তোমার মতো বিউটি উইদাউট ব্রেইন মহিলাকে আমার মা ভাবতেও কেমন লাগে! যে নিজের রুপ দিয়ে নিজের স্বামীকেই আটকাতে পারে নাহ! শেইম অন ইউ!”
” বুঝেই তো গেছিস, আমি অপারগ…”
” নাহ! তুমি অপারগ নয়, তুমি আসলে একটা শয়তান, লোভী শয়তান! ”
কনকচাপা গর্জে বললো,
“ভুলিস না, তুই একদিনের জন্য হলেও আমার গর্ভে ছিলি, আর একদিনের জন্য হলেও আমার স্তন পান করেছিলি”
“করেছিলাম, বৈকি! তাই বলে তুমি আমাকে বেচে দেওয়ার অধিকার রাখো না”
” তোকে আমি বেচে দিয়েছি? এটা তুই বলতে পারলি? বেশ পারবিই তো!”
ত্রিশা নিজের আঙ্গুলি তুলে বললো,
” তুমি নিজেকেউ বিকিয়েছো কয়েকটা টাকার বিনিময়ে আর আমাকেউ বিকিয়েছো মিলিয়ন ডলারের ব্যাবসায়ীক চুক্তিস্বরুপ! তাই নয় কি?”
কনকচাপা আবার গর্জে উঠলো,
” মুখ সামলে কথা বল, উনি আমার স্বামি, তোর বাবা…”
” এমন বাবা দেওয়ার চেয়ে তুমি আমাকে এতিমখানায় রাখতে, সেটাই ভালো হতো!”
” তোর বাবা যখন মা’রা গেলো, তুই তখন ছোটো, তখনকার ইতিহাস তুই জানিস না। অতিদরিদ্র, বিধবা এক যুবতি মহিলার একা থাকা যে কতটা লাঞ্চনা, গঞ্জনার তা তোর জানা নেই, তোর বয়সই বা কত যে জানবি, তবে তোর এখন সাহস হয়েছে বহু!”
” হুম, কতকাল আর মেনি বিড়াল হয়ে থোতামুখে বসে থাকবো তোমার মতো?”
” মেনিবিড়ালই তো, এখান থেকে এই বাড়ি থেকে এক পা বাড়ালে তোর কি সাধ্য যে একদিন চলবি?”
” হ্যাঁ, আমি এ বাড়ি থেকে বের হয়ে ভিক্ষা করে খাবো, তাও আর এখানে এক মুহূর্ত নয়”
ত্রিশার এ সকল কথাবার্তা হঠাৎ ই ববিতার কানে চলে এলো।
ববিতা জীবনেও কারো খোঁচা দেওয়া কথা সহ্য করেন। সে এসেই চেঁচিয়ে বলা শুরু করলো,
” ঐ, মা’গীর বেটি মা’গী! এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবি, তা তো আমি আগেই জানতাম, তয় বাড়ি থেকে বের হয়ে শরীর বিক্রি কইরা খাইতে হবে আমি এটা লিইখ্যা দিতে পারি, হা’রামজাদী”
ত্রিশা চেঁচিয়ে বললো,
” যা করার করবো, আপনাকে ভাবতে হবে না”
বলেই নিজের বই খাতা গুছাতে লেগে গেলো, এক্ষুনি সে এই বাড়ি হতে চিরতরে বের হয়ে যাবে”
বই খাতা গুছিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় কনকচাপা মেয়ের হাত চেপে ধরলো। অনুরোধ করে কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলো,
” মা, যাস না মা, পৃথিবী টা যেমন সোজা ভাবছিস, সেরকম সোজা না রে মা, আমি তোর পায়ে পড়ি মা যাস না আমাকে ছেড়ে”
ত্রিশা আর মায়ের বারণ শুনবে না, আজ সে বের হয়েই যাবে।
এমন সময় ববিতা আবার অগ্নিরুপে বের হয়ে এলো,
” এই বান্দির বাচ্চা বান্দি, বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবি, ভালো কথা, তবে এতসব গাট্টিবোচকা নিছিস কেন? এগুলো বই পত্র আর কাপড়চোপড় সব আমার পোলার টাকায় কেনা, এগুলো কেন, এই বাড়ি থেকে একটা বা’ল ও নিয়া যাইতে দিমু না তোরে”
ববিতার এসব কথা শুনে ত্রিশা তার সব লাগেজ ফেলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো।
কনকচাপা শেষ বারের জন্য মেয়েকে থামাতে গেলো।
কিন্তু ববিতা গর্জে উঠলো,
” ঐ কনক, হাত ছাড়! ওরে ছাড় কইতেছি! ওরে যাইতে দে, দেহি কয়দিন থাকতে পারে ঐ মা’গী”
শাশুড়ীর কথা যেনো অবশ্য পালনীয় কনকচাপার কাছে, তাই, শাশুড়ীর এ ধরনের কথা শুনে কনকচাপাও মেয়ের হাতটা শেষবারের জন্য ছেড়ে দিলো।
(চলবে)