আশিয়ানা #পর্ব_১০ #শারমিন_আক্তার_বর্ষা

0
69

#আশিয়ানা
#পর্ব_১০
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
_____________
‘ এই সন্ধ্যায় বাজারে আসার দরকার কী ছিল? ব্যাগভর্তি বাজার-সদাই নিয়ে এখন রাস্তায় ঘুরছি। একটা রিক্সাও নেই।’

জুবিয়ার দিকে তাকিয়ে কথাটি বলে হুড়মুড় করে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে লাগল রোদেলা। জুবিয়া বিস্মিত গলায় বলল, ‘ রোজ তো যাই না। একদিনই তো।’

রোদেলা অসহায় কণ্ঠে বলল,
‘ সবকটা ব্যাগ আমার হাতে দিয়ে হাঁটছিস। দুটো নিতেও পারিস। হাত ব্যথা করছে আমার।’

জুবিয়া মুখ কাচুমাচু করে বলল,
‘ একটু সামনে গেলেই রিক্সা পাবো। চল।’

ব্যাগভর্তি কাঁচাবাজার নিয়ে রোদেলার সাথে বাড়ির দিকে যেতে নেয় জুবিয়া। রাস্তা সম্পূর্ণ ফাঁকা। রোদেলা জুবিয়ার পাশাপাশি হেঁটে তার উপর রাগ ঢালতে লাগল। সে সময় রাকিব জুবিয়ার সামনে এসে দাঁড়ায়। রাকিবের সঙ্গে জুবিয়ার ব্রেকআপ হয়েছে সাতদিন হলো। এরইমধ্যে রাস্তাঘাটে জুবিয়াকে দেখতে পেলেই ছুটে আসে রাকিব। দুই বছরের সম্পর্ক, বারংবার ক্ষমা চেয়ে সব কিছু আগের মতো করতে চায় সে। জুবিয়া ঠিক কী কারণে রাকিবের সঙ্গে ব্রেকআপ করেছে সেটা কাউকেই বলেনি। রাকিবকে দেখামাত্র জুবিয়া চোয়ালদ্বয় শক্ত করে ফেলল। পাশ কাটিয়ে চলে যাবে সে মূহুর্তেই রাকিব জুবিয়ার হাত ধরে কান্না করে দেয়। রোদেলা জুবিয়াকে রাকিবের সঙ্গে আলাদা কথা বলার জন্য পাঠিয়ে দিল জোর করে। এবং রাস্তার পাশে আম গাছটাকে দেখিয়ে বলে, সে ওই গাছের নিচে দাঁড়িয়ে তার ফিরে আসার অপেক্ষা করবে।

বাজারের ব্যাগগুলো ভীষণ ভারী, ঝুঁকে মাটির উপর রাখল সেগুলো। দাঁড়িয়ে থেকে পা ধরে এলো রোদেলা গাছের নিচ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে লাগল। বৃষ্টি আসার পরপর হতবিহ্বল হয়ে যায় রোদেলা অন্ধকারে কোনদিকে যাবে বুঝে উঠতে পারে না।

খাবার টেবিলে বসে জোড়ে জোড়ে পা নাড়াতে লাগল জুবিয়া। এতে বাজে রকম আওয়াজ হচ্ছে, সামনে চেয়ারে বসা রাকিব। মৃদু গলায় বলল,

‘ লোকজন অদ্ভুত ভাবে দেখছেন, আওয়াজ কোরো না।’

জুবিয়া হুট করে চেয়ার সরিয়ে আস্তে করে উঠে দাঁড়াল। অসন্তোষ কণ্ঠে বলল,

‘ রোদেলাকে সেই কখন রাস্তায় একা রেখে আসছি। ওঁ এখানে নতুন, হারিয়ে যেতে পারে। আমাকে এখন যেতে হবে। ওঁ আমার জন্য অপেক্ষা করছে।’

রাকিব নিজ চেয়ার থেকে উঠে এসে জুবিয়ার সামনে দাঁড়াল। একটু ভেবে বলল,

‘ জুবিয়া। আমাদের কত বছরের সম্পর্ক। তুমি এভাবে আমায় ফিরিয়ে দিতে পারো না। লাস্ট একটিবার সুযোগ দাও।’

জুবিয়ার চোখজোড়া ঈষৎ রক্তিম হয়ে উঠল। কর্কশকণ্ঠে বলল,
‘ আমার জীবনে তোমার কোনো জায়গা নেই। দুই বছরের রিলেশন, আমি আমার দিক থেকে লয়্যাল থেকেছি। দিনরাত তোমার খোঁজ খবর নিয়েছি। স্যালারি পেলে হাফ্ টাকা তোমায় দিয়েছি, যেন তুমি ভালো চলতে পারো। আর তুমি কী করেছ? আমার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ভার্সিটির মেয়েদের সাথে ফ্লার্টিং করে বেরিয়েছ। কোনমুখে আবার সুযোগ চাইছ? শুনো, এরপর আমাকে আর উত্যক্ত করবে না। তবুও যদি ভুলেও বিরক্ত করো, সত্য বলছি পুলিশে কমপ্লেইন্ট করব।’

টেবিলের উপর থেকে জুবিয়া তার পার্স নিয়ে দ্রুত প্রস্থান করে। রেস্ট্রন্টের বাহিরে এসে হতভম্ব হয়ে যায় সে। হতবিহ্বল দৃষ্টি ছুড়ে দিল পথের বাঁকে। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পরছে। রাস্তা কাঁদায় পরিপূর্ণ। রেস্ট্রন্টের ভেতরে থাকায় বাহিরে বৃষ্টি হয়ে গেছে বুঝতেও পারেনি। সহসা রোদেলার কথা জুবিয়ার মাথায় এলো। সে হয়তো এতক্ষণে ভিজে টুইটম্বর হয়ে গেছে। হাতের ব্যাগটা নিয়ে মাথায় ধরল যেমন করে ছাতা ধরে। জুবিয়া দৌঁড়ানো শুরু করে। পথের কাঁদা মাটি জুতো জোড়ায় লেপ্টে কাঁদা পানি ছিটকে জামায় ভরছে। এত কেয়ারলেস সে কিভাবে হতে পারলো? ভাবতে চোখ ছলছল করে উঠল তার।

জুবিয়া হতভম্ব কণ্ঠে শুধাল,
‘ তুই ছাতা পেলি কোথায়?’

রোদেলা এগোল। একই ছাতার নিচে জুবিয়াকে নিয়ে হাঁটা শুরু করল সে। হাসিমুখে বলল,

‘ ভিজে যাচ্ছিলাম দেখে একজন ভালো মানুষ সাহায্যের করেছেন।’

জুবিয়া অবাক চোখে রোদেলার দিকে তাকায়। পরমুহূর্তেই থমথমে গলায় বলল,

‘ আ’ম স্যরি। আমি তোকে রেখে গিয়েছিলাম বলেই তোর সাথে এমনটা হলো। আমার যাওয়াটাই উচিৎ হয়নি।’

চোখ ঘুরিয়ে কিছুক্ষণ জুবিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে চোখের ভারী পল্লব কাঁপিয়ে রোদেলা বলল, ‘ এসব কথা ছাড়। আজ রাতে কিন্তু আমি রান্না করব। তোরা সাহায্য করবি। ঠিক আছে?’

___________

সকাল সকাল নার্সারিতে এসে ফুল ও ফলের চারা গাছে কৃত্রিম উপায়ে সেচের মাধ্যমে পানি দিতে গেল উমাইয়া। সাদা রঙের টি-শার্ট পরিহিত একজন পুরুষ লোকের অভয়ব দেখে সোজা হয়ে দাঁড়ায় । খানিক নির্বাক চেয়ে ভাল ভাবে লক্ষ্য করল। সে সাদাফ। উমাইয়া অবাক কণ্ঠে শুধাল,

‘ আপনি আবার?’

সাদাফ উমাইয়াকে দেখে মিষ্টি করে হেসে বলে উঠল,

‘ আপনার সাথে আবারও দেখা হয়ে গেল।’

নার্সারিতে উৎপাদিত চারা রোপণ করা নিয়ে উমাইয়ার সঙ্গে ঢের কথা বলার চেষ্টা করল সে। সাদাফ চারা নিতে আসেনি। তার আসার কারণ উমাইয়া! গত দু’রাত সে প্রচণ্ড ছটফটানির মাঝে কাটিয়েছে। এই অস্বস্তির মেডিসিন তার কাছে নেই। চোখের পাতায় থেকে থেকে উমাইয়ার মুখশ্রী ভেসে উঠে। সাদাফ এখানে এসেছে, অস্বস্তি টুকু কিসের সনাক্ত করার জন্য। সাদাফ খেয়াল করে উমাইয়ার পাশে দাঁড়ালে তার হৃদয় খুব জোরে স্পন্দিত হয়। হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল সাদাফ। চাপা গুঞ্জন করে বলে উঠল,

‘ আমি কী মিস উমাইয়ার প্রেমে পরেছি?’ বলে থামল সাদাফ। পরক্ষোণেই মাথা ঝাঁকিয়ে বলল, ‘ একদিনের দেখায় প্রেম কিভাবে হবে?’

গ্রাম থেকে উমাইয়ার বাবা আসবেন আজ। উমাইয়া গেল মুজিব মিয়ার কাছে, দুদিন ছুটি নিয়ে নার্সারি থেকে বের হলো, অকস্মাৎ তাকে চমকে দিয়ে সাদাফ সামনে এসে দাঁড়াল। নার্সারির ভেতর মুজিব মিয়ার চোখ সাদাফের উপর ছিল৷ সেকারণে মন খুলে কথা বলতে পারেনি সাদাফ। দুইহাত পিছন দিকে নিয়ে মুঠিবদ্ধ করে নিল। উমাইয়ার পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটতে লাগল। সাদাফ ইতস্তত করে বলল,

‘ এই জায়গা থেকে কতদূর আপনার বাড়ি উমাইয়া?’

উমাইয়া বলল,
‘ তিন কিলোমিটার।’

‘ আপনি রোজ এভাবে হেঁটে আসেন উমা?’

সাদাফের মুখে উমা ডাক শুনে সাদাফের দিকে করুণ চোখে তাকাল উমাইয়া। অকপটে বলল,
‘ জি।’

সাদাফ হাঁটতে হাঁটতেই বলল,
‘ এসেছিলাম এক ফুলের চারা নিব বলে। অথচ দেখুন, আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতে কতলম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ফেললাম।’

উমাইয়া মৃদু হাসল। সহসা একটা গাড়ির উপর দৃষ্টি গেল তার। উমাইয়া সন্দেহী দৃষ্টিতে গাড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠল,

‘ দেখুন, গাড়িটা অনেক্ক্ষণ আমাদের ফলো করছে। এক মিনিট আমি পুলিশকে কল দেই।’

সাদাফ হুট করে একদম দাঁড়িয়ে গেল। পকেটে হাত দিয়ে পা হালকা ফাঁক করে টানটান হয়ে দাঁড়িয়েই বলে উঠল,

‘ পুলিশে খবর দেওয়ার দরকার নেই। গাড়ির ভেতরে সে আমার ড্রাইভার। আমার জন্যই আমাদেরকে সে ফলো করছে।’

উমাইয়া অবাক চোখে তাকায়। ভেবে পেল না, এত দামি গাড়ি রেখে সাদাফ তার সাথে ফুটপাত দিয়ে হাঁটছে, কেনো?

প্রত্যুত্তরে মুচকি হেসে উঠল সাদাফ।

____________

আধোঘুমে ঢুলতে ঢুলতে ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়ায় তূর্ণ। তখন প্রায় সকাল এগারো’টা বাজে। সাদাফের সমস্ত জিনিসপত্র প্যাকিং করা অবস্থায় ড্রয়িংরুমের মাঝখানে রাখা। বিস্ময়াভিভূত চমকে উঠে তূর্ণ। সাদাফের রুম থেকে খটখট শব্দ কানে আসছে, রুমের দিকে ছুটে গেল সে। তূর্ণর ঢিলেঢালা টি-শার্ট কাঁধে পরে ঝুলছে, একহাতে টি-শার্ট ঠিকঠাক করে সাদাফের উদ্দেশ্য বলল,

‘ ব্যাগপত্র গুছিয়ে কোথায় যাচ্ছিস?’

সাদাফ একপলক তূর্ণকে দেখে মৃদু হেসে বলল,
‘ মেঘনা সিটি।’

‘ সেহরিশ রাজি হয়েছে? কিভাবে?’ বলল তূর্ণ।

ফুলের চারাগুলো একজোট করে একপাশে রেখে তূর্ণর মুখপানে তাকাল সাদাফ। তূর্ণর কথা স্পষ্ট শুনতে পায়নি এমনভাবে শুধাল,

‘ কি? কিসের জন্য?’

‘ ওর বাড়িতে তোকে থাকতে দেওয়ার জন্য।’

‘ আমি সেহরিশের বাড়িতে যাচ্ছি না।’

তূর্ণ সকাল সকাল অবাক হয়ে বলল,
‘ তাহলে মেঘনা সিটিতে কেন যাচ্ছিস? তোর ফ্ল্যাট তো ওইখানে না।’

তূর্ণর দিকে চেয়ে সাদাফ বলল,
‘ গতকাল রাতেই মেঘনা সিটিতে একটা ফ্ল্যাট কিনেছি। সেখানেই যাচ্ছি। এখন তোর ফ্ল্যাট তোরই থাকবে। যেভাবে ইচ্ছে থাক।’

তূর্ণ এগিয়ে এলো। সাদাফকে পিছন থেকে আলিঙ্গন করে মন খারাপ নিয়ে উদাস কণ্ঠে বলল,
‘ কেন যাচ্ছিস? আমি তোকে একবারও যেতে বলিনি।’

সাদাফ চশমা ঠিকঠাক করে হেসে বলল,
‘ সিক্রেট।’

তূর্ণ ব্যথিত কণ্ঠে বলল,
‘ কোথায় ফ্ল্যাট কিনেছিস?’

সাদাফ মুখ ঘুরিয়ে অন্য কাজ করতে করতে বলল,
‘ লোকেশন পরে সেন্ট করব তোকে।’

তূর্ণ একহাতে জিনিসপত্র বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
‘ এখন আমার জন্য রান্না করবে কে?’

সাদাফ সদ্য আকাশ থেকে পড়ল ধরনের মুখভঙ্গি করে কিছুটা অপ্রস্তুত কণ্ঠে বলল,
‘ কী?’

সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো; প্রখর রোদ এসে পড়ছে বারান্দায়। চৈত্রের ভ্যাপসা গরম। বাড়ির চারপাশ ঘিরে থাকা গাছ-গাছালির একটা পাতাও নড়ছে না। কোথাও হাওয়া বাতাস নেই। গরমে অতিষ্ঠ উমাইয়া সদরদরজা খুলে চমকে উঠল। বাড়িওয়ালার ছেলের জন্য যে ফ্ল্যাটটি এতবছর বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। সে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা, দরজার সামনে বাক্স পত্র রাখা রয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে একের অধিক পায়ের ধ্বনি শুনে সেদিকে তাকাল। চার পাঁচজন লোক ধরাধরি করে ভারী ভারী জিনিস পত্র নিয়ে উঠে আসছেন। এবং ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে তিনজন পুরুষ লোক বের হয়ে দ্রুত হাতে জিনিসপত্র ফ্ল্যাটের ভেতর নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল,

‘ টাকা থাকলে মানুষ ঢালার জায়গা পায় না। এই সামান্য ফ্ল্যাট অতো লাখ লাখ টাকা খরচ কইরা কিনছে। এর চাইতে কত ভাল ফ্ল্যাট ছিল, ওইগুলো চোখে দেখে নাই। লোকটা পাগল হইব।’

উমাইয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। যে ফ্ল্যাট বাড়িওয়ালা কাউকে ভাড়া দিতেও রাজি হয়নি। সে ফ্ল্যাট হুট করে বিক্রি করে ফেলছে। কথাটি হজম হলো না উমাইয়ার। দরজা বন্ধ করে ছুটে রুমে আসলো। জুবিয়ার উদ্দেশ্য ম্লানমুখে দৃঢ়কণ্ঠে বলল,

‘ আমাদের সামনের ফ্ল্যাটটা কেউ কিনছে। আজই মালপত্র নিয়ে ফ্ল্যাটে উঠবে। তুই কিছু জানিস?’

জুবিয়া ভ্রু উঁচিয়ে চাপা কণ্ঠে বলল,
‘ কী? বাড়িওয়ালা আন্টি তো আমাদের কিছু বলেননি? কে কিনছে ফ্ল্যাট?’

উমাইয়া জুবিয়ার দিকে ফিরে বসল। চোখে-মুখে অন্যরকম এক রহস্য এনে বলল,
‘ একজন ভদ্রলোক। শুনলাম তিনি নাকি আবার পা-গল। অনেক টাকা পয়সার মালিক, টাকা ঢালার জায়গা পাচ্ছে না বলেই এই খাটারার মতো ফ্ল্যাটটা কিনেছেন।’

জুবিয়া গালে হাত দিয়ে বসল। বলল,
‘ এসব তোকে কে বলল?’

উমাইয়া সরু চোখে চেয়ে একগাল হেসে বলল,
‘ কর্মচারীরা বলাবলি করছে।’

রোদেলা ভেজা কাপড় বারান্দায় বাঁধা রশিতে মেলে দিল। মাথার তোয়ালে খুলে চুল ঝেড়ে খালি বালতি নিয়ে রুমে আসলো রোদেলা। জুবিয়া ও উমাইয়াকে একইভাবে বসে থাকতে দেখে রাগী গলায় বলল,

‘ আশ্চর্য। তোরা দুজন এখনও একইভাবে বসে আছিস কেনো? গোসল করবি যা। এক-টা বাজে নামাজ পরবি কখন? খাবি বা কখন?’

উমাইয়া উঠে দাঁড়াল। বাথরুমের দিকে যেতে যেতে বলল,
‘ জুবিকে বলে কোনো লাভ হবে না। ওঁ সেই সন্ধ্যার পর গোসল করবে।’

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here