-“তাশফীক ভাই তোকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছে ,,মিরা আপু।”
মিরা তড়াক করে চোখ তুলে তাকালো তারমিনের দিকে।।চোখে মুখে বিশাল বিস্ময় দেখা যাচ্ছে।আচ্ছা এই লোক রাজি হলো কি করে?না মানে এই লোক তো মিরাকে দেখতেই পারে না,, তাহলে কিভাবে বিয়ের জন্য রাজি হলো?নিজের ইচ্ছায় রাজি হয়েছে নাকি তার উপর দয়া দেখাচ্ছে? দয়া হলে তার দয়ার প্রয়োজন নেই।বিয়ে ভেঙেছে তো কি হয়েছে?কোনো পাপ তো হয় নি। আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনা তাই হয়তো এমন হয়েছে। মিরা থম থমে কণ্ঠে বলল,,
-“কি সব বলছিস তুই?”
-“হুম ভাই রাজি হয়েছে।মা বলেছে ভাই তোকে বিয়ে করবে। তুই আমার ভাবি হবি,, মিরা আপু!”
মিরা চমকালো। আজ বিয়ে ছিল মিরার।কিন্তু সে কখনো ভেবে নি এভাবে তার বিয়ে ভেঙে যাবে।বিয়ের আসর থেকে ছেলে পক্ষ এভাবে চলে যাবে। মিরা জানলার পাশে দাড়িয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে এবং তা শুকিয়েও গেছে।সব কিছু তো ঠিক ছিল তবে এমন কেনো হলো?আচ্ছা বাবা মায়ের কারণে কেনো তার এতো কিছু ফেস করতে হচ্ছে?না শুধু বাবার করবে আজ এমন হলো।
মিরার বাবা ও মায়ের ডিভোর্স হয়েছে আজ সতেরো বছর। মিরার যখন এক বছর তখন তাদের ডিভোর্স হয়।ডিভোর্সের কারণ হলো মিরার বাবা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল।বার কয়েক মিরার মা তাকে সুযোগ দিয়েছিল কিন্তু মিরার বাবা বার বার মিরার মায়ের বিশ্বাস ভেঙেছে।শেষ বার তো মিরার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে বউ নিয়েই চলে এসেছে।সে দিন মিরার মা মিরাকে নিয়ে চলে আসে মার বাড়ি।তার পর গিয়ে ডিভোর্স হয়।সেই থেকে তাদের নতুন জীবন শুরু হয়।
মিরা ছোট থেকেই দেখেছে মা তাকে খুব কষ্ট করে বড় করেছে।নিজে না খেয়ে নিজে না পড়ে মিরার সকল চাওয়া পূরণ করেছে। মিরা দেখেছে কিভাবে তার মা এই সমাজে যুদ্ধ করে টিকে গেছে।কারণ এই সমাজ যে ভয়ঙ্কর।সিঙ্গেল মাদার বা ডিভোর্সীদের জন্য তো আরো ভয়ঙ্কর। প্রতিনিয়ত মিরা দেখেছে তার মা কতো কষ্ট করে নিজেকে ধরে রেখেছে,, তাকে মানুষের মতো মানুষ করেছে।
মিরার মা একটা সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।এবং নতুন চাকরির ফলে বছর তিনেক হলো এই জায়গায় এসেছেন। তো ইকরার বিয়ে ঠিক হয়েছিল পারিবারিক ভাবে। ছেলে এবং ছেলের বাবা মা জানতো যে ইকরার বাবা মা সিপারেটেড। এবং বলা হয় যেনো এই বিষয় আর কেউকে না জানানো হয়।সব ঠিক করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়।কিন্তু কেউ জানত না বিয়ের দিন এভাবে বিয়ে ভেঙে যাবে।
বিয়ের শুরু আগেই যেনো ছেলের দাদী জেকে বসে যে এই মেয়ে কে নাত বউ করানো যাবে না।আর যাই হোক যার মা সংসার করতে পারে নি সেই মেয়েও পারবে না এবং সংসারে অশান্তি হবে।ছেলের দাদুর মুখে এই কথা শুনে মিরার ,মা একদম থমকে জান।কি করে জানলেন তিনি এই বিষয়ে।বিয়েতে শুধু কাছের কিছু মানুষকে দাওয়াত দিয়েছিলেন তবে কি সেই কাছের কিছু মানুষ এমন কাজ করলো।বহু চেষ্টা করেছেন মিরার মা,,কিন্তু শেষ মেষ সব কিছুর শেষ হলো।
মিরার মা খালারা তিন ভাই বোন।মিরার মা ছোট।মিরার মামা প্রথমে তার পর তার মামনি।শুধু বলতে গেলে ইকরার পৃথিবী জুড়ে ছিল তার মা, মামণি ও নানু। অবশ্য নানু গত হয়েছেন যার কয়েক বছর হলো।।এখন শুধু মা ও মেয়ের সংসার
তাইতো মিরার মা চেয়েছেন মেয়েকে কারো হতে তুলে দিতে বলা তো যায় না কখন কার মৃত্যু ঘটে।আর যাই হোক তিনি মেয়েকে এই সমাজে একা রেখে যেতে চান না।
মিরার ভাবনার মাঝে তার কাঁধে কেউ হাত রাখলো। মিরা পিছন ফিরে তাকায়।মায়ের চোখের পানি মুছে দেয়।।নূপুর বেগম মেয়ের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলে,,,
-“মা শেষ একটা জিনিস চাইবো তোর কাছে।মা তাসফীকের সাথে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যা।”
মিরা মায়ের দিকে তাকায়।মায়ের হাত সরিয়ে দেয় ।চোখে মুখে বিস্ময় নিয়ে বলে ওঠে,,
-“মা!”
-“মিরা আম্মু তোমাকে আমি জোর করবো তবে যদি সম্ভব হয়…….”
-“মা একবার তো রাজি হয়েছিলাম তাও”
-“শেষ বার একবার মায়ের কথা রেখে দেখো।”
মিরা মায়ের চোখের জল মুছে দেয়।বলে,,-”
তোমার কথা রাখতেই তো আমি বিয়ের জন্যে রাজি হয়েছিলাম।নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমার জন্য,,তোমার মুখে হাসি ফুটাতে রাজি হয়েছিলাম,কিন্তু কি হলো?”
-“আমি তো মা
আমার চিন্তা হয় তোর জন্য।আমি ছাড়া আর কে আছে তোর বল?আমার যদি কিছু হয়ে যায় তখন কি হবে তোর? তোর কথা চিন্তা করেই তো সব করেছিলাম।”
-“মা তোমার কিছু হবে না।তুমি কেনো সব সময় উল্টা পাল্টা কথা বলো?আর মা মাত্র একটা বিয়ে ভাঙ্গলো আর এখন তুমি….
-“তবে বেশ আমি আর কিছু বলবো না। তোমাকে জোর করবো না।কিন্তু চাইলে একবার ভেবে দেখতে পরো।
মিরা কিছু বলে না চুপ থাকে।কি বলবে সে? কি বলা উচিত তার? তাশফীক মিরার খালাতো ভাই।বেশ স্ট্রিক একজন মানুষ।সে যেমন শান্ত, গম্ভীর , ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে ঠিক মিরা তার উল্টো মিরা চঞ্চল,, উড়নচণ্ডী,, খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো এক পাখি।এটা ঠিক যে মিরার তাশফীকের জন্য অনুভূতি আছে যা কখনো প্রকাশ করা হয় নি। বলতে গেলে প্রকাশ করার সুযোগ হয় নি।আর যাই হোক প্রকাশ করার মত সাহস মিরার হয় নি। তাই তো নিজের অনুভূতি দমিয়ে রেখে মায়ের কথা মতো অন্য জায়গায় বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিল।তবে যদি ভাগ্যের লিখন তাই হয় তবে মিরা রাজি নূপুর বেগম মেয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে নিজে নিশ্বাস ফেলে এক পা আগে বাড়াতেই শুনতে পান,,
-“আমি রাজি মা।”
নূপুর বেগম মেয়ের কপালে চুমু খেলেন।দ্রুত পায়ে ঘর থেকে বের হলেন।সায়মা বেগমের দিকে এগিয়ে গেলেন। মিরাকে বসার ঘরে নিয়ে আসা হলো।
,,,,,,,
“- তুমি বুঝতে পারছো না কেনো আম্মু ?আমি মিরাকে কে বিয়ে করতে পড়বো না।এটা সম্ভব না আম্মু । একটু বোঝার চেষ্টা করো।”
সায়মা বেগম ভ্রু কুচকে ফেলেন। তাসফীকের দিকে এগিয়ে বলেন,,
-“কেনো? কি সমস্যা?কেনো তুমি এমন করছো ? তুমি ভালো করেই জানো এখন বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।”
-“যদি বলি এই বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না ?”
– “কেনো সম্ভব নয়?
-“আম্মু তোমার কি মনে হয় বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত হুট করে নিলেই হয়ে যায়?”
-“কিছু কিছু সময় হুট করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।”
-“তবে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত হুট করে নিলে হয় না।”
-“মিরা ভালো মেয়ে তাশফিক।আর তুমি তো বুঝতেই পারছো মেয়েটার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে।”
-“আম্মু ভালো খারাপের পাশাপাশি পুরো একটা জীবন কাটানোর কথা এখানে।”
-“তো সমস্যা কোথায়?”
-“আমি মিরার সম্পর্কে আমার বোনের মতো।আর তাকে আমি সব সময় বিনের চোখে দেখেছি এর মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত।এটা হয় না।আর সবচেয়ে বড় কথা আমি এখন বিয়ে নিয়ে ভাবছি না।”
-“আমি তার মাকে কথা দিয়েছি।দেখবি তোর জীবনের বেস্ট ডিসিশন হবে এটা।”
-“এতো দিন যাকে বোনের চোখে দেখেছি তাকে এখন কিভাবে বিয়ে করবো?কিভাবে বউ এর চোখে দেখবো?”
-“কেনো? তিন কবুল বলে বিয়ে করবে। চোখ দিয়ে দেখবে!তুমি কি অন্ধ নাকি যে বউ কে দেখতে পারবে না?আর এতো কিছু না ভেবে বিয়েটা করে নাও দেখবে সময়ে সময়ে বউ কে বউয়ের চোখে দেখতে পারবে।”
তাশফীক ভ্রু কুচকে ফেললো।মা তার সাথে ভালোই মশকরা করছে। থম থমে কণ্ঠে বলল,,
-“যদি বলি আমি পারবো না।”
– “আমি জানি আমার ছেলে আমার সম্মান রক্ষা করবে।”
সায়মা বেগম তাশফীককে কথা গুলো বলে রূম থেকে বের হয়ে গেলেন ।আজ তার মন একদিক দিয়ে খুশি হলেও অন্য দিক দিয়ে খারাপ । মিরার সাথে তাশফীকের বিয়ে হবে এটাই তো তিনি চাইতেন তবে এমন ভাবে নয়।আর এই বিষয়ে ছেলের সাথেও কথা বলার সুযোগ , পরিস্থিতি কোনোটাই হয় নি।তাই আজ যেহেতু সব আছে সেহেতু সুযোগ বুঝে কো*প মেরেছেন তবে মেয়েটার জন্য বড্ডো খারাপ লাগছে ।কত কিছুই না সহ্য করতে হচ্ছে বাচ্চা মেয়ে টাকে।
বসার ঘরে লাল বেনারসি লেপ্টে আছে এক তরুণীর গায়ে। মুখ শুকিয়ে আছে ,চোখের নিচে কাজল লেপ্টে আছে ,দেখে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছে।কবুল বলতে বললে মনে হচ্ছে মুখে দিয়ে কথা বের হবে না ।তারই উল্টো পাশে বসে আছে
বটল গ্রিন রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত এক পুরুষ তবে সুপুরুষ বললেই ভালো । সরু চোখ , খারা নাক , শক্ত পোক্ত বহু ,লম্বা ,খোঁচা খোচা দাড়ি ,সব দিক দিয়েই যেনো পারফেক্ট। তবে মুখে গাম্ভীর্যের ভাব স্পষ্ট দেখেই মনে হচ্ছে একদম একরোখা মানুষ এবং তার চোখ দিয়েই যেনো সব কিছু লন্দ ভন্ড করে দিবে ।একদম চুপচাপ স্বভাবের ।কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করলো । বর কণে দুজনেই কবুল বলার মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো শেষ হলো ।
গাড়ী চলছে আপন গতীতে। মিরা বাইরে তাকিয়ে আছে।আসলেই জীবনের পথ কখন পরিবর্তন হয় কেউ জানে না। কোথায় মিরার যাওয়ার কথা ছিল আর কোথায় যাচ্ছে?আসলেই জীবন অদ্ভুত। মিরার ভাবনার মাঝে শুনতে পায়,
,
-“শুন মিরা,আজ থেকে সব কিছু নতুন ভাবে শুরু করবি। এতক্ষণ যা হয়েছে সব কিছু ভুলে যাবি।নিজের মতো নিজের জীবন গুছিয়ে নিবি।হুম নিজেকে সময় দিবে,, তাশফীককে সময় দিবি,, এবং নিজেদের সম্পর্কও কে সময় দিবি।”
-“জি মামনি।”
-“এতো চুপ চাও হয়ে গেলি কেনো তুই?আমার মেয়েটা চঞ্চল, যার ঠোঁটের আগায় কথা এসে সেজে থাকে তবে আজ আমার মেয়ের এই দশা কেনো?”
-“কিছু না মামনি।”
-“কিছু না হলেই ভালো। মনে রাখবি তোর মামনি আছে তোর পাশে।মামনি অলওয়েস লাভ্স ইউ।”
– “আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি ।”
আজ মিরার কেমন যেনো লাগছে
।বার বার মায়ের কথা মনে হচ্ছে। এতো বছরে এই প্রথম মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকবে সে।ভাবতেই কান্না পাচ্ছে মিরার বিদায় বেলায় কান্নার ফলে চোখ জ্বলছে। মিরা সায়মা বেগমকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে।দু চোখ বন্ধ করে নেয়। কখন যে ঘুমিয়ে গেলো টেরই পেলো না ।
-“মিরা মা ,,আমরা চলে এসেছি ।”
গাড়ি থেকে নেমে এক পলক বাড়ির দিকে তাকালো মিরা।মনের মধ্যে ভালো লাগা কাজ করলেও ভয় করছে খুব।সে কি পারবে সুন্দর ভাবে সব কিছু সামলে নিতে ? সব কিছু আগলে নিতে ? নতুন সম্পর্ককে সুন্দর সম্পর্কে রূপান্তর করতে ? পরক্ষনেই ভাবলো ,না মিরা তোকে পাড়তে হবে ।তুই পারবি।
-“কোথায় হারিয়ে গেলি মিরা ?”
-“কোথাও না মামনি ।”
-“চল ভেতরে।”
বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতেই এক অন্য রকম অনুভূতি খেলে গেলো মনের মাঝে । এ যেন এক মিশ্র অনুভূতি ।ভয়, সংকোচ,লজ্জা সব কিছু যেন মিলিত হয়ে অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি করেছে।এরকম অনুভূতির সাথে তো আগে পরিচিত হয় নি , তবে কি নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছে বলেই নতুন অনুভূতির সৃষ্টি হয় হয়েছে?
বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে ।সায়মা বেগম বললেন,,
-“তারমিন যাও তাড়াতাড়ি মিরাকে তাশফীকের রূমে দিয়ে আসো।”
রূমে এসে ফ্রেশ করিয়ে মিরাকে খোয়রি রঙের পার মিশ্রিত কালো রঙের একটি শাড়ি পরিয়ে চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে একটু লিপস্টিক দিয়ে দিল ।টানা টানা চোখে কাজল যেনো আরো মায়াবী লাগছে ।
-“আজ তো তোকে দেখে তাশফীক ভাই একদম শেষ হয়ে যাবে রে মিরা আপু উপস সরি ভাবি জান।কথা টা বলে চোখ টিপুনি কাটলো তারমিন ।”
ইস্ কি লজ্জা। লজ্জায় যেনো চোখ তুলে তাকাতেই পারছে না মিরা। গালের দুপাশে লাল আভা ছড়িয়ে পড়লো ।
রুমে প্রবেশ করলো তাশফীক।দুজনের চোখা চোখি হলো । মিরা তড়িঘড়ি করে চোখ নামিয়ে নিলো । আলমারি থেকে শার্ট ও প্যান্ট নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল তাশফীক।কিছু ক্ষন পরে ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে সোজা মিরার কাছে এসে থম থমে কণ্ঠে বলল,
-“দেখো এই মুহূর্তে আমি বিয়ে করতে চাই নি তাও পরিস্থতির জন্য বিয়ে করতে হলো।তাই আমাদের উচিত হবে নিজেদের একটু সময় দেয়া।নিজেদের একটু গুছিয়ে নেয়ার জন্য স্পেস দেয়া। আশা রাখছি তুমি নিজেকে ও আমাকে সময় দিবে।আর বিয়ে যেহুতু হুট করেই হয়েছে তবে বেশি এক্সপেক্টেশন না রাখাই ভালো।হোপ ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড মিরা!”
-“জ্বি ।ঠিক আছে। আমি.…..”
#পর্ব ১
#মেঘকন্যা (ছদ্মনাম)
#প্রহর_শেষে_তুমি_আমার
(আসসালা মুআলাইকুম।কেমন আছেন সবাই।আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।এই কয়েক মাস খুব বিজি ছিলাম।অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।তবে আমি আমার পাঠকদের ভুলি না। আল্লাহর রহমত ও আপনাদের ভালোবাসায় আমি আবার গল্প লিখতে শুরু করেছি।এই গল্পটা আমি আগেই পোস্ট করেছিলাম।এখন একটু চেঞ্জ করে প্লট চেঞ্জ করে পোস্ট করলাম।সবাই সাপোর্টও করবেন।আগের গল্প গুলোর মত আমার ভুল ধরিয়ে দিবেন।আমিও মানুষ রায় ভুল হতেই পারে।ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়ে পাশে থাকবেন।আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।ভালোবাসা নিবেন ❤️❤️)