চৈত্র_শেষে #নাজমুন_বৃষ্টি #পর্ব ২০

0
69

#চৈত্র_শেষে
#নাজমুন_বৃষ্টি
#পর্ব ২০

নিস্তব্ধতায় ঘেরা কুয়াশা মোড়ানো রাত। যেদিকে চোখ যায় ধোয়াশা ধোয়াশা সব। অনু চাঁদর ভালোমতো জড়িয়ে নিল। বিকাল থেকে হুট্ করে গা গরম গরম লাগছে। হয়ত জ্বর এসেও যেতে পারে। অনু হাসলো। সে যেদিকে যায় একটা না একটা অঘটন লাগবেই। সে নিজের শরীরের দিকে তোয়াক্কা না করে ছাদের কর্নারে দাঁড়িয়ে রইল। হলুদের লাল নীল বাতিগুলো সম্পূর্ণ ঘরটাকে যেন মোহনীয় করে তুলেছে। এই এক অপরূপ সৌন্দর্য। অনুর মনে পড়ে, ছোটবেলায় আশেপাশে এরকম বিয়ে হলে এই লাল নীল বাতিগুলো দেখার জন্য সে কী যে পাগল থাকতো! আনিস মিয়া হাজার বুঝিয়েও বাড়ি আনতে পারতো না। কী জানি! অনুর মনে এক অন্যরূপ রূপকথার মতো মনে হতো হয়ত। তখনের বাবার বলা কল্পনার রূপকথার সাথে হয়ত অনু বাস্তব মিলাতো। অনু বাতিগুলোর দিকে ঝাঁপসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসলো। সম্পূর্ণ ঘর এখন পুরো নীরব। সবাই হয়ত যে যার ঘুমে তলিয়ে গেছে। শুধু ঘুম নেই অনুর চোখে। কেন এমন হচ্ছে তার! তার বুক কেন এতো জ্বা’লা’পো’ড়া করছে! তার জীবনের দুই ভালোবাসা হারিয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অনু হাসলো। বাবা আছে এই অনেক। তার জীবনের সবচেয়ে প্ৰিয় পুরুষটি তো রয়ে গিয়েছে। এটাই তো হাজার শুকরিয়া। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত।
পেছনে কারো পদধনী পাওয়া যাচ্ছে। কেউ আসছে! অনুর কান সজাগ হয়ে গেল। কারোর আসার শব্দ পেয়ে অনু ফিরে তাকালো।

“এই শীতের রাতে এখানে কী করছো?”

“কৈফিয়ত নিয়ে কী হবে সাহিল ভাই?”

“অভ্যাস পাল্টাতে পারছো না!” বলেই সাহিল মলিন হাসলো।
অনু জবাব না দিয়ে কুয়াশাভেজা অদূরে দৃষ্টি দিল।
সাহিল থেমে শান্ত স্বরে শুধালো,
“ঠান্ডা লাগবে। নিচে চলে যাও।”

” আপনারও তো লাগবে।”
অনুর কথায় সাহিল হেসে শুধালো,
“আমার লাগলেই বা কি!”

“সেতো আমারও একই জবাব।”

সাহিল হুট্ করে এগিয়ে এলো। অনু কয়েক পা পিছিয়ে গেল।

“তোমার কী আমাকে কিছু বলার আছে অনুপমা?”

অনু কেঁপে উঠল। না কোনো ঠান্ডায় নয়। বিপরীত পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার করা প্রশ্নে। সে জানে এর মূল কী! অনুর চোখ ঝাঁপসা হয়ে এলো। এই দিনটা আদিত্যর সাথে দেখা হওয়ার আগে কেন আসলো না! তখন হয়ত সবচেয়ে সুখের দিন হতে পারতো কিন্তু এখন! এখন যে এটা অন্যায় হবে!
অনু চোখের পানি আটকানোর বৃথা চেষ্টা করলো। এমন জবাবের উত্তর সে কী দিবে! অনু নিজেকে সামলালো। এতো নরম হলে চলবে না। সে কারোর সাথে অন্যায় করবে না। সে নিজের পা’পী মনকে সংযত করার চেষ্টায় কথা ঘুরিয়ে জবাব দিল,
“শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য। সুখী হোন। সবসময় ভালো থাকবেন।” বলেই অনু পিছিয়ে চলে আসতে নিলে সাহিল বাঁধ সাধলো,

“এড়িয়ে যাচ্ছ?”

অনু হাসলো। হেসে শুধালো,
“সেই সাধ্য আমার নেই।”

“দেখলাম।”

“ঘুমিয়ে যান। কাল কাবিন। অনেক ব্যস্ত সময় পাড় করবেন।”

সাহিল সামনে দৃষ্টি দিল। অনু চলে আসতে পা বাড়াতে গিয়ে সাহিলের কথায় থেমে গেল।

“তোমার কী সত্যিই কিছু বলার নেই অনুপমা?”

“না। কী বলার থাকবে!”

সাহিল অনুর একদম সামনে এসে দাঁড়ালো। অনুর দিকে দৃষ্টি দিয়ে শান্ত স্বরে শুধালো,
“তাহলে চোখে পানি কেন!”

অনু মাথা নুইয়ে ফেলল। সে এদিক ওদিক তাকিয়ে জবাব দিল,
“ঘুম হয়নি তাই। আমার ঘুম পাচ্ছে।”বলেই অনু চলে যেতে নিলে সাহিলের কথায় থেমে গেল।

“যদি আমি তোমার দায়িত্ব নিই! তবে কী তুমি মানবে?”অনুর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। এই দিনে এসে এটা কী শুনলো সে! অনু ঠায় দাঁড়িয়ে রইল ওখানেই। পা দুটো যেন কিছুতে আটকে আছে!
সাহিল এগিয়ে এলো।
অনু নিজেকে শক্ত করে উত্তর দিল,
“আমি কারোর দয়ার পাত্র হতে চাই না।”

সাহিল আচমকা হেসে দিল। অনু অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
“দয়ার পাত্র! হাসালে। সময় করে একদিন তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করিও।”
অনু তাকালো। বাবার কথা এখানে!
“মানে!”

সাহিল জবাব দিল না। সে স্থান সরিয়ে অন্যদিকে পা বাড়ালো।
অনু বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইল। এরপর প্রস্থান করলো। আর সাহিল হাসলো। হেসেই বিড়বিড় করে আওড়ালো,” একবার যদি স্বীকার করতে তাহলে হয়ত সব ভেঙেছুড়ে দিতাম। ”

রাত গভীর হতে হতেই অনুর তাপমাত্রা বেড়ে গেল। সে চুপচাপ কম্বল দিয়ে তাপমাত্রা নিবারণ করতে পারলেও জ্বর আরো গা কাঁপিয়ে বেড়ে গেল। একেবারে বেশাবেশি বাড়াবাড়ি রকমের জ্বর। অনু কাউকে ডাকলো না। কাউকে বললে এই বাড়িতে এখন হুলুস্তুল পড়ে যাবে। এমনিতে সারাদিন সবার উপর ভারী দখল গিয়েছে। তার উপর কাল হবে আরো ব্যস্ততার দিন। দিন শেষে সবাই একটু বিশ্রাম নিতে গেছে আর সেখানে অনু বিরক্ত করবে! অনু এখন সালিহা আন্টিকে ডাকলে তিনি অস্থির হয়ে যাবেন কিন্তু অনু তা চায় না। সে সকাল হওয়ার অপেক্ষায় আছে।
এমনিতেও এখানে থাকলে সে কিছুতেই নিজের জীবনে মনোনিবেশ করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে বিদায় নিতে হবে। তার দুর্বলতা আনা উচিত না। তার মন দিয়ে বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে হবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে সেবা দিতে হবে। এখানে হুট্ করে এসে কারোর সুন্দর জীবনে সে ব্যাঘাট ঘটাতে চায় না। অনুর ছটফটানি বেড়ে গেল। মনটা কেমন জানি বাবার জন্য ম’রি’য়া হয়ে উঠেছে! বাবার শরীরটাও ভালো না। অনুর ইচ্ছে করলো পালিয়ে যেতে। তার এখানে আসা মোটেও উচিত হয়নি। একে তো নিজের জন্য আরেক বাবার জন্য। অনু আপনমনে বিড়বিড় করে আওড়ালো, “বাবা এই মুহূর্তে তোমাকে দরকার। ভীষণ করে দরকার।” অনু তড়িঘড়ি করে মোবাইল হাতড়ে বাবার নাম্বারে কল দিল। নাম্বার বেজে গেল। সময়ের দিকে চোখ পড়তেই অনু ফোন রেখে দিল। হয়ত সাইলেন্ট করে ঘুমাচ্ছে। থাক আর বিরক্ত না করুক। সকালে সে নিজেই চলে যাবে।

ভোর ফুটতেই সম্পূর্ণ বাড়িটি হৈ হৈ রবে মুখরিত হয়ে উঠল। অনু শোয়া থেকে উঠে বসলো। পাশ থেকে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখল। সে ভেবেছিল, রাতে অনুর কল দেখে বাবা হয়ত কল ব্যাক করবে কিন্তু না। অনু নিজেই আবার কল লাগালো। সেই একইবারের মতো কল বেজে গেল। হয়ত মোবাইলের কাছে নেই ভেবে অনু মোবাইল হাতে নিয়েই রুম থেকে বেরিয়ে এলো। বেরিয়ে আসতেই সালিহা বেগমকে এদিক ওদিক দৌড়ে কাজ করতে দেখা গেল। অনু সম্পূর্ণ ঘরে চোখ বুলালো। সবাই হাতে হাতে কাজ করছে। অনু জানে, তারও উচিত এই মুহূর্তে কিছুতে হাত লাগানো কিন্তু জেনেও অনুর ইচ্ছে হলো না। সে সালিহা বেগমের দিকে এগিয়ে গেল। উদ্দেশ্য ছিল, সে চলে যাবে সেটাই বলা। অনু এগিয়ে যেতেই সালিহা বেগম মিষ্টি করে হাসলেন। হেসে জানালেন,” কিরে মা! ঘুম হয়েছে। আমি নাস্তা দিচ্ছি। খেয়ে নিবি। ” বলেই তিনি তিথির উদ্দেশ্যে হাঁক ছাড়লেন,
“এই তিথি। যা তোর সাহিল ভাইয়াকে ডেকে তুলে দেয়। বিয়ের দিনও আর কতক্ষন ঘুমাবে!”

তিথি মাথা নেড়ে চলে গেল ডাকতে।
অনু তাকালো। সালিহা বেগম আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সে বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে তাকালো,
“আন্টি আমি…”

“আন্টি! সাহিল ভাইয়া তো রুমে নেই।” তিথি এসে জানাতেই সালিহা বেগম হেসে জানালেন,
“ছাদে থাকবে হয়ত। যা ডেকে আন।”
অনু ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। তার কেন জানি মনে হচ্ছে সাহিল ভাই হয়ত সেসময় আর ছাদ থেকে নামেনি।
“আন্টি আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।”

সালিহা বেগম তাকালেন। অনুর উদ্দেশ্যে ছিল, এটা বলার প্রেক্ষিতে সে চলে যেতে পারবে।

“অনুপমা! কী হয়েছে? শরীর ঠিক নেই মানে!” সালিহা বেগম জবাব দেওয়ার আগেই পেছনে থেকে সাহিল জবাব দিল। অনু চুপ মেরে সালিহা বেগমের দিকে দৃষ্টি দিয়ে শুধানোর চেষ্ঠা করলো,
“আন্টি, বাবা কল ধরছে না। কয়েকদিন ধরে শরীর খারাপ লাগছে। আমি চলে যাই?”

সালিহা বেগম আঁতকে উঠে শুধালেন,
“সে কী! চলে যাবি মানে! দুলাভাই হয়ত কোনো কাজে ব্যস্ত আছে। কল দেখেনি। তার জন্য বিয়ে না খেয়ে চলে যাবি?” তিনি থেমে আবারো বললেন,
“তিথিকে কল করে দেখ। তবুও তুই বিয়ে না খেয়ে যেতে পারবি না।”

অনু বুঝানোর চেষ্ঠা করলো,
“আন্টি মেইন আমাদের পরিবারের অনুষ্ঠানে তো আমি ছিলাম। আজকে এমনিও অনেক ভীড় হবে। আমার এগুলো এখন ভালো লাগে না। তোমার কথা রাখতে এসেছি। আমি চলে যাই।”

সালিহা বেগম শুনলেন না। অনেক জোরাজোরি করার পরে তিনি রাজি হলেন। কথা দিতে হয়েছে যাতে পরেরদিন এসে সাহিলের বউকে দেখে যায়। অনুও না পারতে রাজি হলো। সালিহা বেগম ছোট ভাইকে জানালেন অনুকে দিয়ে আসতে। সাহিল আসতে চেয়েছিল কিন্তু অনু বাঁধা দিল। আর তার উপর কিছুক্ষন বাদেই সব রীতিনীতি। অনু জোরাজোরি করা সত্ত্বেও ছোট মামা সহ এলো।

গাড়িতে উঠেই সে শেষবারের মতো বাড়ির সবার দিকে তাকালো। অনু জানে, আন্টিকে কথা দেওয়া সত্ত্বেও এই বাড়িতে সে আর এই যুগে পা রাখবে না।
অনু সালিহা বেগমকে হাত নাড়িয়ে বিদায় দিল। দৃষ্টি পড়লো সালিহা আন্টির পেছনে থাকা মানুষটার দিকে। অনু মলিন হেসে হাত নাড়ালো। সাহিল তাকিয়ে আছে। অনু দৃষ্টি সরিয়ে গাড়ি ছাড়তে বলল।

এক ঘন্টার ব্যাবধানে অনু ঘরে পৌছালো। গাড়িতে সময়গুলো সে কীভাবে পাড় করেছে একমাত্র সে জানে। বাবার জন্য মনটা বড্ড পু’ড়’ছিলো!
অনু বিস্তীর্ণ উঠান ভেদ করে ঘরে ঢুকতে নিতেই দরজায় পাশের বাসার কাকিমাকে দেখলো। অনুর খটকা লাগলো। সে ধীর পায়ে এগিয়ে গেল। সোজা বাবার রুমে যেতেই আনিস মিয়াকে শোয়া অবস্থায় দেখল।
আনিস মিয়া মেয়ের দিকে চোখ পড়তেই উঠে বসলেন। বোঝাই যাচ্ছে তার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু মেয়ের সামনে ফিটফাট দেখানোর জন্য কষ্ট উপেক্ষা করে উঠেছেন।
অনু দৌড়ে গিয়ে ঝাপ্টে ধরলো।
“বাবা কী হয়েছে তোমার? এই অবস্থা কেন! তুমি আমার কল ধরছিলে না কেন! আর তুমি এভাবে কেন?”
অনুর কথায় আনিস মিয়া শান্তস্বরে হেসে জবাব দিল,
“কিছু হয়নি। শ্বাসকষ্টটা একটু বেড়েছে এই যা।”

সাথে সাথে তিথি এসে জানালো, অনুকে দিয়ে আসার পর থেকে বুকে হাত দিয়ে শুয়েছিল। ডাক্তার এসে দেখে গিয়েছে। রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিল কিন্তু উনি যায়নি। বাবা ঘর ছেড়ে যাবে না।
তিথি বোনকে ধরে জানালো, বাবাকে যেন অনু একটু বোঝায়। যাতে তিনি হাসপাতালে চলে যান।
অনু জোরাজোরি করার পরেও আনিস মিয়া নিজের কথায় অনড়। তিনি যাবেন না। তিনি উল্টো রুম থেকে স্ত্রী আর তিথিকে বের করে দিলেন। জানালেন মেয়ের সাথে আলাদা কথা বলবেন।
তিথি বেরিয়ে যেতে গিয়ে তাকালো। ছোট থেকেই দেখে আসছে বাবা নামক মানুষটা বোনকে একটু বেশিই ভালোবাসে। তার মাঝে মাঝে হিংসা হয়। এতো কেন ভালোবাসে! কই তাকে তো এতো বাসে না!

অনুকে আনিস মিয়া দরজা বন্ধ করতে বললো। অনু ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও দরজা বন্ধ করে বাবার দিকে এগিয়ে এলো।
“আমার এই সময়টা আমাকে নিজের বাড়িতে কাটাতে দেয়।”
অনু আঁতকে উঠল। সে ডুকরে কেঁদে উঠে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। কাঁদতে কাঁদতে জানালো, “এই সময় মানে! কী বোঝাতে চাচ্ছ তুমি? তোমাকে এভাবে দেখতে আমার ভালো লাগছে না বাবা।”

“তোর কষ্ট হচ্ছে!”

“তোমাকে কষ্ট পেতে দেখে আমার সহ্য হচ্ছে না বাবা।”

“আমার কথা বলিনি।”

অনু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো। বাবাকে কেমন রহস্যময় মনে হচ্ছে।
মেয়ের প্রশ্নবোধক চাহনী দেখে আনিস মিয়া সিলিং এর দিকে দৃষ্টি দিয়ে জবাব দিলেন,
“সাহিলের জন্য!”

অনু চমকে উঠল। সে কোনোমতে জবাব দিল,
“এসব কী বলছো বাবা?”

“লুকাবি না আমার কাছে।”
অনু জবাব দিতে পারলো না। তার নীরবতায় আনিস মিয়া শুয়ে পড়লেন। অনু এগিয়ে বাবাকে ধরলো।
“তোমাকে একটা কথা বলবো। যেটা দুইবছর আগেই মিটে গিয়েছিল কিন্তু আমি তোমাকে বলিনি কারণ পরিবেশ পাল্টে গিয়েছিল।”
অনু তাকালো। সে কান্নারত অবস্থায় জানতে পারলো আরেকটা বিতৃষ্ণায় মোড়ানো সত্য। সাহিল ভাইও তাহলে এই কথায় বাবাকে জিজ্ঞেস করতে বলেছিল! শুধুমাত্র তার ভুল জানাতে আজকের এই বিরূপ পরিস্থিতি! যেটার দায়বার সম্পূর্ণ তার। আর কারোর নয়।

#চলবে ইন শা আল্লাহ।
(আসসালামু আলাইকুম। আরেকপর্বে গল্প শেষ হবে। বলে রাখি, আমি এন্ডিং ভেবেছিলাম সম্পূর্ণ আরেকরকম কিন্তু কিছু কমেন্ট দেখে অন্য এন্ডিং দিচ্ছি। ভুল আমারই ছিল। আমার মাথায় রাখা উচিত ছিল সেটা। আমি বুঝতে পারিনি যে গল্প টানতে গিয়ে চরিত্রটা জ’গ’ন্য বানিয়ে ফেলছিলাম। আর আমি নিজেও গল্পটা আর টানতে চাচ্ছি না। এটা দিয়ে লিখালিখির জগতে আবার ফিরেছি তাই এটা অগোছালো হবে। লেখার হাত একদম বসে গিয়েছে। যাক, হয়ত এন্ডিং মনমতো হবে না। সেজন্য আগে থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। পরিশেষে ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। শুধরে নিবো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here