#উষ্ণ_প্রেমের_আলিঙ্গন
#পর্ব৯
#আফিয়া_আফরোজ_আহি
উৎসব মুখর পরিবেশ। চারপাশ কৃত্তিম আলোয় আলোকিত। বাগানের একপাশে চলছে হইহুল্লোড়। মেয়েরা হাতে মেহেদী পড়ছে। সাথে চলছে নাচ গান। আমরা সবাই মিলে প্ল্যান করেছি “ইয়েহ লাড়কা হায় আল্লাহ” গানে গ্রূপ ডান্স দিবো। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি আর আদ্র ভাই, রোশনি আর ইভান ভাই, ইভা আর রুদ্র ভাই, শুভ ভাই আর ঈশিতা আপু। শুভ ভাই প্রথমে রাজি ছিলেন না। সবাই মিলে অনেক রিকোয়েস্ট করার পড় রাজি হয়েছেন। খুব সুন্দর ভাবে আমরা আমাদের পারফরমেন্স শেষ করলাম। আশপাশের সবাই বলছে খুব সুন্দর হয়েছে। অনেকে তো সিটি বাজাচ্ছে। নাচ শেষে ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়লাম হাপিয়ে গিয়েছি। এখন ইভা আর ঈশিতা আপু দুজন মিলে নাচ করছে। ওদের দুজনের এনার্জি আছে বলতে হবে। আমি বসে বসে ওদের দেখছি। আচমকা চোখ গিয়ে পড়লো পাষান মানুষটার ওপর। সেদিন ওভাবে বলার পর সে একবারও আমাকে সরি বলেনি। এমনকি আমার সাথে একবার কথাও বলেনি। না বলুক তাতে আমার কি যায় আসে। মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকালাম। নাচ গান শেষ হতে হতে প্রায় রাত বারোটার মতো বেজে গিয়েছে কিন্তু আমি, ইভা, রোশনি, ঈশিতা আপু কারোই মেহেদী পড়া হয়নি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই ড্রয়িং রুমে বসলাম। ঈশিতা আপুর দুজন ফ্রেন্ড এসেছে। তারা মেহেদী পড়াতে পারে। তারা আমাদের মেহেদী পড়াচ্ছে আর আমরা গল্প করছি। মেহেদী পড়তে পড়তে রাতে দুটোর মতো বেজে গেল। সবাই যার যার রুমে চলে এলাম ঘুমোতে হবে।
———
বাচ্চাদের চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম থেকে উঠে দেখি সবে ছয়টা। ফ্রেশ হয়ে নিচে নামতেই অবাক হলাম। ড্রয়িং রুমে পা ফেলার জায়গা নেই। মানুষে ভরপুর। বিয়ে বাড়ি বলে কথা মানুষ তো থাকবেই। নিচে নামবো তার আগেই আদ্র ভাই এসে বলল,
“রুমে যা। নিচে অনেক মানুষ। সেখানে যেয়ে তোর কোনো কাজ নেই। তোর খাবার আমি তোর রুমে দিয়ে আসবো”
রুমে চলে এলাম। একটু পড়েই ইভা, রোশনি, ঈশিতা আপু সবাই আমার রুমে হামলা করলো। আদ্র ভাই খাবার নিয়ে এলেন। খেতে খেতে সবাই অনেক গল্প করলাম। অতঃপর সবাই ব্যাস্ত হয়ে পড়লো সাজগোজে। আমিও শাওয়া নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল শুকাচ্ছি। বিছানায় আদ্র ভাইয়ের পছন্দ করে দেওয়া লেহেঙ্গা। গোল্ডেন কালারের লেহেঙ্গাটা অনেক সুন্দর লাগছে। সাজগোজ শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছি। খারাপ লাগছে না, ভালোই লাগছে। একটু পড়ে ইভা এসে বলল,
“বনু চল নিচে সবাই ডাকছে”
আমার দিকে ভালো করে তাকিয়ে বলল,
“পে*ত্নী তোকে এতো সুন্দর লাগছে কোনো? দেখিস আজ অভ্র ভাইয়ের সাথে সাথে তোর বিয়ে না হলেই হয়”
“উল্টাপাল্টা কথা বললে থা*প্পড় খাবি শ*য়তান মেয়ে”
নিচে নেমে দেখি সবাই রেডি। অনেকে গাড়িতে উঠে পড়ছে। অভ্র ভাইয়ের গাড়িতে আমি, ঈশিতা আপু, ইভা, অভ্র ভাই আর আদ্র ভাই। আদ্র ভাই গাড়ি ড্রাইভ করেছে। ঈশিতা আপু আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলল,
“কিরে ম্যাচিং ম্যাচিং? বেপার কি বনু?”
“কি বলছো এসব? কিছুই তো বুঝছি না”
“সামনে তাকা তাহলেই বুঝতে পারবি”
“সামনে তো আদ্র ভাই গাড়ি ড্রাইভ করছে”
“তার শেরওয়ানির কালার আর তোর লেহেঙ্গার কালার সেম সেম”
সামনে তাকিয়ে দেখি সত্যিই আদ্র ভাইয়ের পরনে গোল্ডেন কালারের শেরওয়ানি। আমার লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচিং।
“সেম হতেই পারে স্বাভাবিক। এতে এভাবে বলার কি আছে?”
“বলদি তোকে কিছু বলাই বেকার”
অবশেষে আমরা হবু ভাবীদের বাড়িতে এসে পৌছালাম। গেটে অনেক তর্ক বিতর্ক হওয়ার পর আমরা ভিতরে ঢুকলাম। ভাইয়াকে নিয়ে স্টেজে বসানো হয়েছে। আমরা সবাই আমাদের মতো এদিক ওদিক ঘুরছি। হটাৎ খেয়াল হলো ইভান ভাইকে অনেক গুলো মেয়ে ঘিরে রেখেছে। তিনি সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। আমার সাথে তো কখনো এভাবে হেসে হেসে কথা বলেনি। ভেংচি কেটে সেখানে থেকে চলে এলাম।
ভাইয়া ভাবির বিয়ে কমপ্লিট। আমরা বসে গল্প করছি। কোথা থেকে রুদ্র ভাইয়া এসে বলল,
“রোদ ভাইয়ার জুতো গুলো রাখ”
“তুমি ভাইয়ার জুতা পেলে কোথায়? এগুলো না ভাবির বোনেরা নিয়ে গিয়েছিল”
“আমাদের সামনে দিয়ে আমাদের ভাইয়ের জুতা নিয়ে যাবে এটা সম্ভব? কখনো না। তুই জুতা গুলো লুকা”
কি করব কিছু বুঝতে পারছি না। লুকাবো কোথায়? ঈশিতা আপু বলল,
“ওয়েট”
কোথা থেকে স্কচটেপ এনে লেহেঙ্গা উঠিয়ে দুই পায়ে দুই জুতা আটকে দিলো। লেহেঙ্গা ঠিক করে দিয়ে বলল,
“এবার ঠিক আছে”
পাশ থেকে রোশনি বলল,
“বাহ্ আপু কি বুদ্ধি তোমার”
আমরা স্টেজের পাশে এসে দাঁড়ালাম। ভাবির বোনেরা কিছু একটা খুঁজছে। রুদ্র ভাই বললেন,
“কিছু খুঁজছেন বেয়ান? আমাদের বলেন আমরাও একটু খুঁজি”
মেয়ে গুলো কিছু বলল না। রুদ্র ভাই আবার বলল,
“খুঁজে লাভ নেই বেয়ান। পাবেন না”
তাও তারা খুঁজে চলেছে। বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। অভ্র ভাইয়া স্টেজ থেকে নেমে বলল,
“আমার জুতা কোথায়?”
আমি লেহেঙ্গা উপরে তুলে বললাম,
“এখানে”
সবাই তাকিয়ে হেসে দিলো। অনেকে আমাদের বুদ্ধির প্রশংসা করল। ভাবির বোনেরা মন খারাপ করে আছে। অভ্র ভাই তাঁদের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে মন খারাপ করতে না করলো। সবাই এক সাথে ভাইয়াকে বলল,
“থ্যাংক ইউ জিজু। আপনি বেস্ট জিজু”
সবার থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। ভাবি কান্না করছে। ভাইয়া তাকে কাছে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলেন। ভাবি কান্না করছে ভাইয়া তাকে সান্তনা দিচ্ছে। বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।
বাড়িতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে । ভাইয়া ভাবি ভিতরে ঢুকবে কিন্তু আমরা তাঁদের আটকে রেখেছি। আমাদের দাবি ভাইয়া ভাবিকে কোলে করে নিয়ে যাবে। কিন্তু ভাবি লজ্জা পাচ্ছে। হুট্ করে ভাইয়া ভাবিকে কোলে তুলে হাঁটা দিলো। আমরা সবাই চি*ল্লিয়ে উঠলাম। রুদ্র ভাই শিস বাজাচ্ছে।
ড্রয়িং রুমে বসে সবাই গল্প করছি। এমন সময় বড় আম্মু এসে আব্বু, বড় আব্বু কে ডেকে দাদুমনির রুমে নিয়ে গেলেন। একটু পরে আমাকেও ডাকা হলো। হটাৎ এভাবে ডাকার কারণ বুঝতে পারছি না। দাদুমনির রুমে আমি, ইভান ভাই, আম্মু এক সাথে ঢুকলাম।
“তোমরা তো জানো আমার শরীর টা ভালো যাচ্ছে না। তাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি”
বড় আব্বু বলেন,
“কি সিদ্ধান্ত মা?”
“আমি ভাবছি ইভান আর রোদের বিয়েটা দিয়ে দিবো। এমনিও ইভান দাদুভাই আবার বিদেশ চলে যাবে। আসতে আসতে অনেক দিন। ততদিনে যদি আমার কিছু হয়ে যায়। তাই আমি চাইছি ওদের বিয়েটা দিতে”
বিয়ের কথা শুনে মাথায় বাজ পড়লো। দাদুমনি একি বলছে? আমার আর লাট সাহেবের বিয়ে? কিভাবে?
“আমি তোমাদের মতামত জানতে চাইছি”
বড় আব্বু আমতা আমতা করে বলল,
“মা এটা কিভাবে সম্ভব? রোদ এখনো অনেক ছোটো। তার ওপর শুভর আগে ইভানের বিয়ে? তার চেয়ে ভালো হয়না ইভান পড়ালেখা শেষ করে আসুক তারপর ওদের বিয়েটা দেই”
“রোদ ছোটো তবে অবুঝ নয়। এখন আকদ করিয়ে রাখো পরে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হবে”
বড় আব্বু আর আব্বু মিলে দাদুমনিকে বোঝাচ্ছে তবে সে কিছুই শুনতে নারাজ। আমি আড় চোখে ইভান ভাইয়ের দিকে তাকালাম। সে এক মনে কিছু একটা ভাবছে। দাদুমনি আমায় কাছে ডাকলো।
“রোদ সোনা তুই আমার কথা রাখবি না? তোর কি ইভানকে বিয়ে করতে সমস্যা আছে?”
কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আব্বু আম্মুর মুখের দিকে তাকালাম। তারাও উত্তরের আশায় আমার পানে তাকিয়ে আছে। মাথা নিচু করে জবাব দিলাম,
“আমি কিছু জানি না। তোমাদের যেটা ভালো মনে হয়”
চলে এলাম সেখান থেকে। একটু পর আব্বু আর বড় আব্বু ড্রয়িং রুমে এসে বললেন,
“এখন রোদ আর ইভানের এনগেজমেন্ট হবে আর পাঁচদিন পর ওদের আকদ”
ড্রয়িং রুমে থাকা সবাই চমকে গেছে। বড়রা সবাই একেক প্রশ্ন করছে। বড় আব্বু তাঁদের বোঝাচ্ছে। একটু পড়ে দাদুমনি হাতে আংটি বক্স নিয়ে এলো। আমাকে আর ইভান ভাইকে সামনাসামনি দাঁড় করালো। দাদুমনি ইভান ভাইয়ের হাতে আংটি তুলে দিয়ে পড়াতে বললেন। ইভান ভাই হাত এগিয়ে আনছে। আমি কাঁপা কাঁপা হাত এগিয়ে দিলাম। এবার আমার আংটি পড়ানোর পালা। কাঁপা কাঁপা হাতে আংটি পড়ানোর আগে সবার দিকে একবার তাকালাম। চোখ যেয়ে পড়লো আদ্র ভাইয়ের দিকে। সে করুণ চোখে চেয়ে আছে। চোখে তার অশ্রু টলমল। চোখ বুঝে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে আংটি পড়িয়ে দিলাম ইভান ভাইয়ের হাতে। সবার মুখে হাসি। আমি চাই আমার পরিবার সর্বদা খুশি থাক।
নিজের রুমে পায়চারি করছি। ইভান ভাই তো বিয়ের কথা শুনে কোনো বাঁধা দিলো না। তবে কি সে এই বিয়েতে রাজি? সে কি আমায় বউ বলে মেনে নিবে নাকি আগের মতো খারাপ ব্যবহার করবে। এগুলোই ভাবছি এমন সময় ইভা এসে বলল,
“ভাবি ভাইয়া তোকে ডাকছে”
“ভাবি?”
“ওমা ইভান ভাইয়ের সাথে বিয়ে হলে তুই তো আমার ভাবিই হবি”
ওর কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম। লজ্জা রাঙা মুখে বলল,
“আমি আগেও তোর বনু ছিলাম এখনো তাই কোনো ভাবি টাবি না”
“সে দেখা যাবে। এখন যাও তোমাকে তোমার হবু ডাকছে”
একপা একপা করে এগিয়ে চলেছি। হৃদয়স্পন্দন বেড়ে গেছে।ইভান ভাইয়ের রুমের দরজায় টোকা দিতেই ভিতর থেকে আওয়াজ এলো,
“দরজার খোলা আছে”
ভিতরে ঢুকে দেখি লাট সাহেব বিছানায় বসে ফোন চালাচ্ছেন।
“আমায় ডেকেছিলেন ভাইয়া”
“হবু বউ যাও তো আমার জন্য এক কাপ কফি নিয়ে এসো”
“হবু বউ” তার মানে কি ভাইয়া আমাকে তার বউ হিসেবে মেনে নিয়েছে? ভদ্র মেয়ের মতো এক কাপ কফি নিয়ে ভাইয়ার রুমে ঢুকলাম। লাট সাহেব সোফায় বসা। কফি ট্রি-টেবিলের ওপর রেখে চলে যাবো এমন সময় ডেকে বললেন,
“পাশে এসে বস”
হটাৎ তার এমন আচরণে অবাক হলাম। যেই মানুষটা আমার সাথে ভালো করে কথা বলেনা সে আমাকে তার পাশে বসতে বলছে। পাশে বসতেই ভাইয়া আমার হাত দুটো তার হাতে নিলেন। অতঃপর বাম হাত ডুবিয়ে দিলেন গরম কফির ভিতরে। হাত জ্বলে উঠতেই আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম। ইভান ভাই হাত উঠিয়ে শাসিয়ে বললেন,
“খুব শখ না তোর আমাকে বিয়ে করার। তোর শখ আমি ঘুচিয়ের দিবো। এরপর আমাকে বিয়ে করার কথা ভাবলে খুন করে ফেলবো”
আমি কান্না করতে করতে সেখানে থেকে চলে এলাম। রুমে এসে পানির নিচে হাত রাখলাম। হাত জ্বলে যাচ্ছে। চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।বিছানায় শুয়ে শুয়ে কান্না করছি। কান্না করতে করতে কখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ছি তার ঠিক নেই।
মাঝে রাতে হাতে ঠান্ডা কিছু অনুভব করতে পেরে ঘুম হাল্কা হয়ে গেল। ক্লান্তিতে চোখ খুলতে পারছি না। কেউ হাতে খুব সাবধানতার সহিত ক্রিম জাতীয় কিছু লাগিয়ে দিচ্ছে। ক্রিম লাগানো শেষে আমার ডান হাত তার হাতের মাঝে নিয়ে রেখেছে। একটু পড়ে হাতের ওপর তরল কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করছি। তবে কি সে কান্না করছে?
“আমায় ক্ষমা করে দিও রৌদ্রময়ী। আমি তোমকে রক্ষা করতে পারিনি। আমি ব্যর্থ। আমি যদি তখন রাগ করে চলে না যেতাম তবে তোমাকে এতটা আঘাত পেতে হতো না। এতটা যন্ত্রনা সহ্য করতে হতো না। আমাকে ক্ষমা করো”
মানুষটা আরো কিছুক্ষণ এভাবেই বিরবির করে কিছু বলল। ঘুমের ঘোরে থাকায় স্পষ্ট শুনতে পারলাম না। অতঃপর সে ললাটে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে দিয়ে চলে গেল। আমিও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।
#চলবে?
(অনেকেই অনেক প্রশ্ন করেছেন। সবার একটাই কথা নায়ক কে? আমি যদি প্রথমেই সব ক্লিয়ার করে দেই তাহলে গল্পটা ভালো লাগবে না। গল্পের প্রতি আপনাদের যেই ইন্টারেস্ট আছে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আপনাদের কাছে আমার রিকোয়েস্ট ধর্য্য ধরে গল্পটা পড়ুন। আসতে ধীরে সব বুঝতে পারবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। পর্বটা কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ)