প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #সূচনা_পর্ব

0
60

বিপত্নীক ব্যারিস্টার সারোয়ার সিদ্দিকী যার প্রথম স্ত্রী বাসর রাতেই মারা গিয়ে ছিল। সেই পুরুষকে পাত্র বেশে চোখের সামনে দেখে রেগে বিয়ের জন্য নাকচ করে দিল এলএলবি অর্নাসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী শেহরীনা মার্জিন। সারোয়ার আড়চোখে পাত্রীর দিকে তাকায়। তার রাগান্বিত রূপ দেখে ভ্রু কুঁচকে পাত্রীর বাবা-মায়ের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়।

“আপনারা আমাকে অসম্মান করতে ডেকেছেন? তাহলে বলিহারি ব্যাপারটা বিফলে গেল। আমি নিজেই বেয়াদবি করা কোনো মেয়েকে নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবো না।”

শেহরীনার বাবা নাছির উদ্দিন দাঁত কিড়মিড়িয়ে মেয়ের মা রূপালি বেগমের দিকে তাকান। তিনি অসহায় দৃষ্টিতে স্বামীর রাগে পূর্ণ দৃষ্টি দেখে বড় মেয়ে শেহরীনা কে টেনে রুমের মধ্যে নিয়ে যান। নাছির উদ্দিন কৃত্রিম হেসে পাত্রের হাত ধরে বলেন,

“বাবা কিছুটি মনে করো না। মেয়েটা এখনো ছোট অবুঝ রয়ে গেল। কোথায় কী বলতে হয় তা এখনো বুঝে না। বয়সেই শুধু বড় হলো জ্ঞান বুদ্ধির ক্ষেত্রে এখনো সে পিছিয়ে।”

“বুঝলাম। তবে আপনার মেয়েকে আমাদের পছন্দ হয়েছে কী না তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। এক সপ্তাহ পর তার উত্তর জানানো হবে। আপনার মেয়ের পরিচয় পত্র পেয়েই দেখতে আসা। শুনেছি সে ল নিয়ে পড়ছে।”

নাছির উদ্দিন ফোকলা দাঁতে হাসি দিয়ে বলেন,

“হ্যাঁ রে বাবা উকিলাতি পড়ার খুব ইচ্ছে মাইয়াটার।”

“বেশ তবে আজ আসি। আমার কথামত এক সপ্তাহ পর জানানো হবে আমার জবাব। আর আপনি বয়স্ক দেখে সম্মান করেই বললাম। আমার জবাবের অপেক্ষায় থাকবেন। জবাব যদি হ্যাঁ হয় তবেই বিয়ে পর্যন্ত কথা আগাবে। যদি না হয় তবে অন্যখানে ছেলে দেখবেন আসি আসসালামুয়ালাইকুম।”

সারোয়ার এর কথার খেলাপ কেউ করতে পারল না। তার মা জাহানারা পুষ্প পাত্রীর উপর খুব চেঁতে আছেন। তিনি পাত্রীর বেয়াদবি দেখে সঙ্গে সঙ্গে না করতে চাইছিলেন। তবে ছেলের হাত চেপে ধরায় মুখে কুলুপ এঁটে নিলেন। ছেলের কথার মাঝে অন্য কারো কথা চলে না। সারোয়ার তার সঙ্গে আসা মা আর ছোট বিবাহিত বোন সাজিয়া ফারিন সিদ্দিকী তাদের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। দুজনের চেহারার আদল দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাদের কাছে পাত্রী পছন্দ হয়নি। মোটেও তাদের বোঝের না হওয়ায় তারা অস্বীকৃতির পক্ষে বসে আছেন। সারোয়ার তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,

“আপনাদের এক কথা বলে দেয় আমি আমার কথার খেলাপ হয় না। আশা করি আপনারা শান্তশিষ্ট মন বজায় রেখে আমার সঙ্গে বাসায় ফিরছেন।”

মা-মেয়ে বুঝল ছেলেকে এখন কথা বুঝানোর অর্থ অশান্তি সৃষ্টি করা। বিধেয় তারা নিশ্চুপ হয়ে ছেলের পিছু পিছু ক্যাব গাড়িতে উঠে পড়ল। সারোয়ার ড্রাইভার এর পাশে বসে গাড়ি চালু করতে ইশারা করে। ড্রাইভার গাড়ির ইঞ্জিন একপলক দেখে বসে পড়ে। সারোয়ার সিটে হেলান দিয়ে চোখ বুঁজতে নিলে তার চোখের সামনে ভেসে উঠে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে হাত মেলে ধরা সেই পাত্রীর উপর। পাত্রীর নামটা অবশ্য তার জানা। শেহরীনা আকাশ পানে তাকিয়ে উৎফুল্ল মুখে হাত মেলে ধরে আছে। তার ধারণা এ বিয়ে কখনো হবে না। সে যেভাবে বেয়াদবি দেখিয়েছে এতে ব্যারিস্টার বাবুর আত্মসম্মান এ আঘাত লেগেই গেল।সারোয়ার না চেয়েও বার কয়েক পলক শেহরীনার দিকে তাকিয়ে ছিল। শেহরীনা মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে সারোয়ার এর একরাশ মুগ্ধ ভরা চোখের দৃষ্টি দেখতে পায়নি। দেখলে বুঝতে পারত কারো কাছে সে অপ্রিয় থেকে প্রিয় হতে চলেছে অথবা কোনো ভাবে অপ্রিয় মেয়েও রইয়ে যেতে পারে।

___
বেলকনিতে মেয়েকে চুল খোলা রেখে গাঁয়ে উড়নাবিহীন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ঝাড়ু হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলেন রূপালি বেগম। কথা বিহীন ঝাড়ু দিয়ে কয়েক ঘা দিলেন। শেহরীনা ঝাড়ুর কাঁটা আঘাত বেশিক্ষণ সহ্য করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার কান্নাময় চেহারা দেখেও মায়া হলো না রুপালি বেগমের। তিনি মেয়ের এক কাঁধ ধরে উঠিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন। নাছির উদ্দিন দেখে বিরক্ত গলায় স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে বলেন,

“মাইয়াটারে এখন যত পারো সুন্দর বানাও। তা না করে পিটিয়ে লাল করছো কেন? এমনিতে শ্যামাঙ্গি তার উপর বাচাল। সব আজাইরা বোঝা আমার কাঁধেই পড়ে।”

রূপালি বেগম দাঁতে দাঁত চেপে কথাগুলো সহ্য করে নিলেন। স্বামীর কথার উপর তিনি বলার সাধ্য রাখেন না। কেননা তার এত ক্ষমতা নেই যত ক্ষমতা তার স্বামী নাছির উদ্দিন এর আছে। শেহরীনার জ্ঞান ফিরল। ভর্য়াত চোখে বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে বিছানার মধ্যে গুটিয়ে গেল। নাছির উদ্দিন দেখে বিকৃত মুখ করে বলেন,

“এখন‌ বসে আছিস কেন? যাহ্ গিয়ে গোসল দিয়ে ভার্সিটি চলে যাহ্। মা-মেয়ে পাইছিস তো আমারে টাকার মেশিন হিসেবে। যখন মন চাই টাকা খুঁজস খালি। নিজ থেকে উপার্জন করার সাধ্য নাই তোদের হুহ।”

বাবার তিরস্কার শুনে মনটা বিছিয়ে গেল শেহরীনার। রূপালি বেগম মেয়ের মুখে কাপড় ছুঁড়ে মে*রে কর্কশ গলায় বলেন,

“আমারে কথা তো শুনাই ফেলি এবার গোসল করে ভার্সিটি গিয়ে আমারে উদ্ধার কর।”

মায়ের কথায় দ্বিরুক্তি না করে নিশ্চুপে গোসল করতে চলে গেল শেহরীনা। শেহরীনা মার্জিন তার সৎ বাবা নাছির উদ্দিন শোলকবহর এলাকার চেয়ারম্যান আর তার মা রূপালি বেগম গৃহকত্রী। তার প্রথম সংসারে এক কন্যা সন্তান ছিল সেই হলো শেহরীনা মার্জিন। কিন্তু দ্বিতীয় সংসারে তার দুই ছেলে-মেয়ে আছে। ছেলে নাসমুর উদ্দিন যে কি-না ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছে আর মেয়ে নাসমা ফারা ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। এই মিলিয়ে রূপালির সংসারে শেহরীনার মূল্য নিম্ন খুব নিম্ন। মা পেয়েও যেনো সে পরত্ব অনুভব করে। শেহরীনা গোসল সেরে এসে আসরের নামাজ পড়ে নিল। যোহরের আগে ১১টার দিকে তাকে দেখতে এসেছিল। শেহরীনার মোটেও ভদ্রলোক কে পছন্দ হয়নি। কেমন যেনো আড়চুখো লোক তিনি! তবে ব্যারিস্টার পদবী শুনে বয়স ভেবে ছিল ঊনচল্লিশ না হয় চল্লিশোর্ধ বয়স্ক লোক। চোখের সামনে দেখার পরপর তার মনোভাব পরিবর্তন হলেও কোনো পূর্ব বিবাহিত পুরুষ কে বিয়ে করার ইচ্ছে তার নেই। সে নিজেই কুমারি অবিবাহিতা এক মেয়ে। গড়নের দিকে ছিমছাম শরীর,লম্বা চুল দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যথেষ্ট তবে শরীরের শ্যাম বর্ণই তার জীবনের একমাত্র কাল। এর বিকল্প পরিবর্তন নেই । এই শ্যাম বর্ণের কারণে সে তিরস্কৃত তার সৎ বাবা আর সৎ বাবার পরিবারের কাছে। তার মা যাও একটু মেয়েকে দেখেন স্বামীর চোখ রাঙানির কারণে তাও দেখতে পারেন না। শেহরীনার বয়স একুশ পেরিয়েছে সে বুঝে তার মায়ের উগ্র আচরণ এর মূল কারণ। মুখ ফুটে বলতে গেলে অসহায় মায়ের উপর নির্যাতন হওয়া দেখতে পারবে না সে নিজ চোখে। তাই মুখে কুলুপ এঁটে সৎ বাবার অত্যাচার সহ্য করে। তিনি শুধু তার নিজ ছেলে-মেয়ে কে আদর করেন অন্যথায় শেহরীনা কে কাজের মেয়ে বৈকি অন্য কিছু নয়। আড়ালে আবডালে শেহরীনা মায়ের পরশ অনুভব করলেও ভীষণ গভীরতা পায় না। সেই অত্যাচারিত বাবার নামে মামলা করার সাধ্য ও তার নেই।‌ কেননা তার এই অত্যাচারিত বাবাই তাকে উকিল পদে পড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। তার আপন বাবাও তার জন্য কিছু করেননি যতটা সৎ বাবা হয়ে নাছির উদ্দিন করে চলেছেন।
এই ঋণের দায়ী শেহরীনার মাথায়। ফলস্বরূপ নিশ্চুপ থাকে।
হঠাৎ ফোন কলের শব্দে ধ্যান ফেরে শেহরীনার। ফোনে তার কোর্স মাস্টার এর নাম দেখে ঢোক গিলে কল ধরে ভদ্রতার সহিতে সালাম দিল। তার কোর্স মাস্টার আগামী দিনের পড়ার নোটস পাঠিয়ে দিবেন বলে জানালেন। শেহরীনা দীর্ঘ শ্বাস ফেলল। সে ভুল করেছে সিআর হয়ে। সব ডিপার্টমেন্ট এ দুজন করে সিআর থাকে। সেই সিআর হিসেবে শেহরীনাও একজন। শেহরীনার অন্য পার্টনার ক্লাস সামাল দেয় আর সে কোর্স মাস্টারের ক্লাস পিরিয়ডের পড়া এবং ক্লাস পিরিয়ডের সময় নির্ধারণ করে দেয়।

পরের দিন সকালে চুল আঁছড়ে বিনি করে বোরকা গাঁয়ে দিয়ে হিজাব পরে নিল। বাসার থেকে বের হতে নিলে তার সৎ বাবা গম্ভীর গলায় ডেকে উঠলেন। তার কদম সেখানেই থেমে গেল। তিনি নাস্তার টেবিলে পরোটা চিবুতে থেকে কর্কশ গলায় বলেন,

“তোর জন্য কী আমার টাকা গাছে ধরবে? এত টাকা খরচ করিস। খানা টেবিলে দেওয়া আছে নিয়া খেয়ে যেখানে ইচ্ছা যাইয়া মর। আমার সামনে বেশি ক্লাস মারাতে আসবি না।”

শেহরীনা বাবা সমতুল্য লোকটার দিকে তাকিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তাকিয়ে বেরিয়ে গেল। নাছির উদ্দিন চটে গেলেন সৎ মেয়ের অমান্য আচরণে। নিজ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বীতরাগ প্রকাশ করলেন।

“দেখলে তো তোমার কুস্বামীর মেয়েকে। মা পড়ছিল কুৎসিত লোকের প্রেমে। সেই প্রেমে ধোঁকা খেয়ে বাচ্চা পেটে আমার ঘাড়ে এসে পড়ল। মা-মেয়ের অবাধ্যতা একেবারে হুবহু যত্তসব।”

নাছির উদ্দিন মুখ ভেটকি দিয়ে পানের চিলকি থুথু দিয়ে তার স্ত্রীর পায়ের কাছে ফেললেন। চোখ বুজে দম নিলেন রূপালি বেগম। কষ্টের শ্বাস বের করে নাস্তা খেতে বসতে চাইলে নাছির উদ্দিন চোখ রাঙিয়ে তাকান। যার অর্থ যতক্ষণ মাটিতে পড়া পানের থুথু রূপালী বেগম নিজ হাতে পরিষ্কার করবেন না ততক্ষণ তার কপালে খাবারের দানাপানি শুদ্ধ নেই। রূপালি বেগম ঘন শ্বাস আটকে নিয়ে মাটিতে পড়া থুথু মুছতে লাগলেন। যা দেখে নাছির উদ্দিন এর ঠোঁটের কোণায় পৈশাচিক হাসি ফুটে। তিনি স্ত্রীর চোখের আড়ালে সেই হাসি দিয়ে পুনরায় লুকিয়ে ফেললেন। রূপালি বেগম হাত ধুয়ে এসে দেখলেন নাছির উদ্দিন হাত মুখ মুছে ওয়াশরুম থেকে বের হলেন। মাথা নেড়ে রুপালি বেগম কে ইশারা করে খেয়ে নিতে ইঙ্গিত করলেন। তপ্ত শ্বাস ফেলে ক্ষুধার্ত নিরীহ শরীর নিয়ে খেতে বসলেন তিনি।স্কুল আর কলেজ যাওয়ার জন্য তার ছেলে মেয়ে দুটো খেয়ে দেয়ে অনেক আগে যার যার রুমে চলে গিয়ে ছিল। নাছির উদ্দিন আবার তার নিজ সন্তানদের চোখে হারান। গলা উঁচিয়ে আদুরীয় গলায় তাদের ডাক দিয়ে স্মরণ করলেন। ‘বাবা বাবা’ করতে করতে দৌড়ে এলো দুজন। নাছির উদ্দিন হেসে দুজনের হাতে ‘দুশো টাকার নোট’ ধরিয়ে বলেন,

“নেও রাখ তোরা বাহিরে খেতে মন চাইলে একটুও টাকার পরোয়া না করে খেয়ে নিবি।”

রূপালি বেগমের চোখজোড়ায় জল এসে ভীড় জমাল। তার বড় মেয়ের দোষ কী? তাকে অন্তত একশত টাকা দিতে পারত তিনি। তাও করেননি লোকটা। শুধু এক কারণে সৎ মেয়ে বলে। মা হয়ে তিনিও অবহেলা করতে পারেন না। মেয়ের অগোচরে তার ব‌্যাগে পঞ্চাশ টাকার নোট রেখে দেন।

___
“বাবা বলছিলাম কী পাত্রীর বাবার কাছে ফোন দিয়ে এখনি বলে দিলে ভালো হবে। তারা আর কোনো ধরনের আশাও রাখবে না। পাত্রী দেখতেও সুন্দর না, কথার কী ধাঁচ দেখছিলে না? তাকে সিদ্দিকী বংশের বউ করলে কস্মিনকালেও ভালো হবে না। মানিয়ে নিতে পারবে না আমাদের সঙ্গে।”

“তুমি বুঝি খুব মেনে নিয়ে ছিলে?”

প্রশ্নটা করেছে সারোয়ার সিদ্দিকীর বাবা মহামান্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবু সিদ্দিক তার শ্রী মান্য স্ত্রী জাহানারা পুষ্পকে উদ্দেশ্য করে। সারোয়ার তার বাবা কে দেখে দাঁড়িয়ে যেতে নিলে মোঃ আবু সিদ্দিক হাত দেখিয়ে বসতে ইশারা করেন। তিনি স্বয়ং নিজেই গিয়ে বসেন ছেলের পাশে। তার মুখের দিকে কিঞ্চিৎ মুহূর্ত তাকিয়ে রইলেন। জাহানারা পুষ্প ছেলের বাবার কথার পরিপ্রেক্ষিতে ঠোঁট কামড়ে জবাব দিলেন।

“আমি কী এমন বললাম? শুধু বলেছি মেয়েটা বস্তি ঘরে বাস করে। তার সাথে কী আদৌ আমাদের বংশের ছেলের সাথে যায়?”

মোঃ আবু সিদ্দিক স্ত্রীর দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকান। সঙ্গে সঙ্গে জাহানারা পুষ্প রুম ত্যাগ করেন। সারোয়ার স্তদ্ধ হয়ে বসে আছে। আসলে সে নিজেও ভেবে পাচ্ছে না বিয়েটা কী তার করা উচিৎ না অনুচিত! ছেলের মনোভাব বাবা হয়ে তিনি‌ বুঝলেন। দৃঢ়তা পূর্ণ মনে নম্র গলায় ছেলেকে বোঝালেন।

“দেখ বাবা তোর এখন সেই বয়স নেই যে তোকে বুঝিয়ে আমার সব কথা বলতে হবে। তুই নিজে একজন ব্যারিস্টার পদবী প্রাপ্ত পুরুষ। বিয়েটা করলে কী ভালো না খারাপ হবে তা আমাদের চেয়ে তুই ভালো বুঝবি। তোর মৃত স্ত্রীর কোনো সুন্দর মুহূর্ত তোর সাথে নেই। বিয়ের পর বাসর রাতেই তোর সেই স্ত্রী মারা গিয়েছিল। তারপর তো তুই দুঃখ কষ্টে বিদেশে চলে গেলি। একবার ও আমার কথা ভাবলি না? এই সংসারে আমি আমার দুই সন্তানের মাঝে তোকেই সবার উপরে দেখি। সেই তুই নিজ স্ত্রীর দুঃখ ভোলাতে একা করে চলে গিয়ে ছিলি। সেই স্ত্রীর সাথে কী তোর কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল?”

সারোয়ার হাত কচলে অন্যদিক তাকিয়ে আছে। তার চেহারার গম্ভীর ভাব তেজস্ক্রিয় ভাবে বেড়ে গেল।

চলবে…

#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#সূচনা_পর্ব

(হুট করে মাথায় আসল আর দিয়ে দিলাম তবে পছন্দ না হলে অল্প কিছু পর্বেই শেষ করে দেবো😐।
আমার পেইজ এ সবাই এড হয়ে নিন
https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here