প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #পর্ব_১৬

0
77

#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_১৬

“দোস্ত তুই না কয়েকদিন আগেও বিয়ে করবি না বলে লাফাচ্ছিলি। তাহলে হঠাৎ তোর মাথায় বিয়ের ভূত ঢুকল কেনো? সারোয়ার ভাই কোনো জাদুটোনা করল না তো?”

শেহরীনা রেগে গেল। সে ইপশিতার কাঁধে চাপড় মে*রে বলে,
‘ধুর হা*রা*মী আমি সম্মতি দেয়নি এখনো। আমার মন এখনো সায় দিচ্ছে না। হ্যাঁ বলতে পারিস আমি সাময়িক সময়ের জন্য গলে গিয়ে ছিলাম। পরে ভাবলাম আমার লক্ষ্য কী? আমি পুনরায় কাউকে বিশ্বাসের ঘোরে ফেলতে চাইছি না। তুই তো জানিসই বিশ্বাস ছাড়া সম্পর্ক টিকে না। কয়েকদিন পর যদি সারোয়ার এর পক্ষ হতে কোনো দ্বিতীয় বউ বিয়ের সময় এসে বলে আমি তার দ্বিতীয় বউ আমাকে লোভে পড়ে বিয়ে করেছিল নাহয় যে কোনো এক কারণে বিয়ে করে বাচ্চা দিয়ে ভেগে গেল। এমন পুরুষকে বিশ্বাস করা টাফ। সবচেয়ে বড় কথা কী জানিস? তার প্রথম বউয়ের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেনো যেনো মানতে পারি না আমি। মনে হয় তার বলা কথায় মিথ্যে বর্ণনা জুড়ে আছে।’

চিন্তিত বান্ধবীর ধ্যান ফেরাতে ইপশিতা কোমড়ে আঁচলের ন্যায় উড়না গেঁথে বলে,

“ধুর ওতো ভাবিস কেনো হুম? আমরা আছি কী করতে বল?”

শেহরীনা বোকা বোকা নজরে চেয়ে বলে,
‘আমরা? হাহ্ আমরা আছি পড়ায় ডিম পেতে।’

জাফরান আর ফারদিন ফিক করে হেসে দিল। তারাও সিরিয়াস হয়ে শেহরীনার সঙ্গে আলাপে ছিল। তার সূক্ষ্ম কথায় তারা তাদের হাসি আটকে রাখতে পারল না। ফলে হেসেই ফেলে। ইপশিতা ‘আ’ শব্দ দিয়ে কোনো ধ্বনি প্রকাশ করার পূর্বেই হতদন্ত হয়ে আচমকা শেহরীনাকে কেউ জড়িয়ে ধরল। ব্যাপারটা মুহূর্তেই ঘটে যাওয়ায় চমকে গেল তারা। শেহরীনার শরীর রি রি করে উঠল ঘৃণায়। পরপুরুষের ছোঁয়া তাও কি-না তার আপন কেউ নয় বটে। শেহরীনা জোর লাগিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করছে। ফারদিন আর জাফরান রেগে গেল। তাদের বন্ধুকে জোরজবরদস্তি করা হচ্ছে। ইপশিতা অবাক স্বরে ‘কায়েসাম’ নাম ধরল। শুনেই মেজাজ চওড়া হলো শেহরীনার। কায়েসাম শক্তহাতে জড়িয়ে আছে। ছাড়ার নাম গন্ধ নেই। ফারদিন রেগে এক পিলে ঘু*ষি লাগাল কায়েসামের নাকে। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। লোকটা বদমাইশি ধরণে তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে আছে। ভার্সিটির মধ্যে ব্যাপারটা সবাই অদ্ভুত নজরে দেখছে।লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)শেহরীনা চেঁচিয়ে ‘ছাড় হা*রা*মজাদা ছাড় বলছি’ বলেই কায়েসাম এর পিঠে বেধমে আঘাত করছে। চোটের কারণে তার মুখ দিয়ে ‘আহ’ শব্দ অব্দি বের হচ্ছে। তবুও সে ছাড়ছে না। কায়েসাম উম্মাদ গলায় আওড়ে যাচ্ছে।

“আমায় প্লিজ ভালোবাসো না। আমি তোমার ভালোবাসা চাই‌। প্লিজ প্লিজ!”

তার মুখ থেকে প্রতিটা শব্দ যেনো বিষাক্ত লাগছে শেহরীনার কাছে। ইপশিতাও রেগে ফারদিনের সহায়তায় কায়েসামকে টেনে নিজের বান্ধবী কে দূরে সরিয়ে জোরালো এক চ*ড় বসাল কায়েসামের গালে। চ’ড় এর শব্দটা গুঞ্জনের ন্যায় ছড়ায়। স্তদ্ধ নিরবতা ছেয়ে গেল চারপাশ জুড়ে। ভীষণ জেদি কায়েসাম। তার যা চাই তা চাই মানে চাইই। সে ইপশিতার চ’ড় এ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না। উল্টো বাঁকা হেসে বলে,

“কতদিন তোমার বান্ধবীকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে? এক দিন না এক দিন সে আমার বুকে….।”

পরের বাক্য উচ্চারণ করার পূর্বেই তার গালে পুনরায় চ’ড় পড়ল। এবারের চ’ড় কায়েসামকে উম্মাদ করে দিল। হিংস্র নজরে সামনে তাকাল। শেহরীনা জ্বলন্ত চোখে চেয়ে আছে। তার কপালের ভ্রু অব্দি টানটান হয়ে পড়েছে রাগের প্রতি সীমায়। সেও উত্তপ্ত বিরক্ত হয়ে পড়েছে কায়েসামের ব্যবহারে। তার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে জোর গলায় চেঁচিয়ে বলে,

“হাউ ডেয়ার ইউ টার্চ মি? বলে ছিলাম না সভ্য হতে শিখুন। অসভ্যের মত মাঠে নেমে অসভ্যতা দেখিয়ে কী লাভ হলো? নিজের সম্মান তো খুইয়ে ফেললেন। কী দাম থাকলো আর আপনার সিনিয়র ব্যাচ হওয়ার? এই আপনাকে না আপনার বাবার অবর্তমানে ভার্সিটির ট্রাস্টি হতে বলার অনুরোধে নোটিশ দেওয়া হয়েছে? এই আপনার ট্রাস্টি হওয়ার নমুনা। কোনো যোগ্যতা আছে কী আপনার মাঝে?”

ভার্সিটির ছেলে-মেয়ে গুলো কানে কানে ফসুরফাসুর করছে দৃশ্যপট দেখে। কায়েসাম এর সাঙ্গুপাঙ্গু ইতিমধ্যে খবর পেয়ে চলে এসেছে। তারা জানতো না তাদের লিডার বলতে গেলে ভার্সিটির মধ্যে তাদের দলের মান্যতা ছিল প্রচুর। সেই ক্ষেত্রে সর্বপ্রথমে আছে কায়েসাম। তার ছোট থেকে ছোট বিষয়ে খবরাখবর রাখে তারা। যেনো নিরাপত্তা আর রক্ষার ক্ষেত্রে সচেতন থাকে। ভার্সিটির আগাম ট্রাস্টি চ’ড় খেয়েছে শুনে তারা দলবেঁধে এসেছে। শেহরীনা দেখে ঘাবড়ে গেল না বরং তার রাগ দ্বিগুণ বেড়ে গেল। সে তাদের দেখে তাচ্ছিল্যের হেসে টোন মার্কা কথা শুনিয়ে দিল এই বলে,

“ওহ এখন দেখি আমাদের সাথে লড়াই করার জন্য সাঙ্গুপাঙ্গুদের নিয়ে এসেছো। ভালোই তো। এই ট্রাস্টির এমন রূপ দেখে বোঝাই যাচ্ছে ভার্সিটির উন্নয়ন উন্নতি কতদূর অব্দি যাবে।”

কায়েসাম এর হিংস্র কণ্ঠে চেঁচিয়ে বলে,’কুমারিনী আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিও না। তোমাকে মন দিয়ে প্রেম নিবেদন করছি। চুপচাপ মেনে আমার হয়ে যাও। রাজরাণীর কম মান্যতা পাবে না। দরকার পড়লে তার চেয়েও বেশি কিছু চাইলেও দেবো। কোনো ধরনের তামাশা চাইছি না।’

“ওহ রিয়েলি আপনি আমাকে বেশি কিছু চাইলে দেবেন পারবেন দিতে এক মেয়ের ছোট বেলায় মায়ের পরশ মায়ের আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসা ছোট বেলাকে ফিরিয়ে দিতে? পারবেন দিতে বলুন? পারবেন অসহায় ক্ষুধার্ত মেয়ের অসময়ের দিনগুলো ফিরিয়ে সেই দিনে আমায় পরিপূর্ণ করতে? পারবেন আমার অতীতের দাগ মুছে দিতে? সব মুখে বললেই হয় না। এমন কিছু কালো দাগ কপালে থাকে যেগুলো সরানো দায় হয়ে দাঁড়ায়।”

কায়েসাম নির্লিপ্ত তাকিয়ে ছিল শেহরীনার বলা কথাগুলো শুনে। তবে তার বলা শেষের কথায় তপ্ত শ্বাস ফেলে তার বাহুডোরে হাত দিয়ে ছুঁতে চাইলেই দুপা পিছিয়ে গেল শেহরীনা। কায়েসাম মুখে হাত চেপে জোরালো দম ফেলে হাতজোড়া পকেটে গুঁজল। অনিহার সত্তেও নিবিড় কণ্ঠে আওড়াল।

“একবার সুযোগ দিয়ে দেখো। তোমার অতীত শুদ্ধ ভুলিয়ে সুন্দর জীবনের নতুন রূপ দেখিয়ে আগলে রাখব। সেই ক্ষমতা আমার আছে।”

“কিন্তু আমার কাছে সেই ক্ষমতায় কোনো কিছু যায় আসে না। আজ প্রমাণ হয়ে গেল ছেলেরা বেশিই লাফায়। কারণে অকারণে তারা তাদের মর্জি চাপিয়ে দিতেই শ্রেষ্ঠ। বাট সরি টু সে আমি ঐসব চুপচাপ সহে নেওয়া মেয়েদের মধ্যে পড়ি না। তাই পুনরায় বলছি স্টে আওয়ে ফম মি।”

শেহরীনা তার বাক্যধারা বয়ান করেই ক্লাসের জন্য আগাল। তার পেছন পেছন ফারদিনরাও যায়। তারা কথা বলতে চেয়েছিল মাঝে তবে শেহরীনা চায়নি তারা নিযুক্ত হোক এই বিষয়ে। তার বিষয় সে একাই হ্যান্ডেল করতে পারবে। দীর্ঘশ্বাস বেরুল শেহরীনার অন্তরভেদ করে। শেহরীনার মুখশ্রী রক্তিম হয়ে আছে। তার ফোনে অনবরত মেসেজ করছে সারোয়ার। কিন্তু কায়েসাম এর স্পর্শে তার মন বিছিয়ে আছে। বিধেয় সে বিকৃত মনে ফোনটা সুইচ অফ করে দিলো। অন্যত্রে সারোয়ার হঠাৎ করে মেসেজ যাচ্ছে না দেখে ভ্রু কুঁচকে তার নাম্বারে কল লাগায়। শুনতে পেল মেয়েলী কণ্ঠস্বরে সার্ভিসিং।
‘আপনি যে নাম্বারে কল দিয়েছেন তা এ মুহূর্তে বন্ধ আছে।’
সারোয়ার এর মন খারাপ হয়ে গেল। মূলত সে মেসেজ করে শেহরীনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। আজ চাইছিল একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবে শেহরীনাকে। তার এখন অব্দি সে দিনের কথা মনে পড়ে যখন ভার্সিটির থেকে শেহরীনাকে সঙ্গে করে কফিশপে নেওয়ার অদম্য ইচ্ছে পোষণ করে ছিল সে। নিমিষেই মেয়েটা গাড়িতে থাকা অবস্থায় নাকচ করে দেয়। সেদিনও কষ্টে বিজড়িত মনকে বুঝ দিয়ে ফেলেছিল। তার হঠাৎ নাকচে সেও দ্বিরুক্তি করেনি। তবে সুন্দর এক মুহুর্ত তার মন কেড়েছিল। মেয়েটার হরিণী চোখের ডাগর ডাগর কাজলরেখা দেখে সে মুগ্ধ হয়েছিল ভীষণ। ফারদিন তার বন্ধুর মনখারাপি দেখে বিষয়টা আমলে নিয়ে শেহরীনার বাহুডোরে নাড়া দেয়। সেও ধ্যানচ্যুত হয়ে তার বন্ধুর দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে ‘কী’ বোঝায়। ফারদিন ও ইঙ্গিত করে ‘কী হয়েছে’ বলে। শেহরীনা মৃদু হেসে ‘কিছু না’ বলে উঠে। শুনে ফারদিন ও আর ঘাঁটল না। ইপশিতা অপলক তাকিয়ে আছে ফারদিনের দিকে। মানুষটার ভেতর কী টান বোধ আছে আদৌ? একটা মেয়ে কতক্ষণ যাবত তার দিকে হ্যাংলার মত তাকিয়ে আছে। তাও মানুষটা নিরামিষ বেশে বসে আছে। ব্যাপারটায় ভীষণ বিরক্ত সে। বিড়বিড়ে ‘গাধা’ বলে আখ্যায়িত করল ফারদিন কে। ফারদিন ইপশিতাকে আপন মনে বিড়বিড় করতে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।
‘কী হলো তুই আবার কী মুখ চালাস?’
ইপশিতা চোখ ঘুরিয়ে ভেংচি কেটে বলে,’নাথিং’। ফারদিন স্যারের ক্লাসেও ফিসফিসিয়ে ইপশিতাকে ব্যঙ্গ করে বলে,
‘পেত্মীদের তো আবার মুখ এমনিতেই চলে। তাদের বললেও লাভ নেই,না বললেও লাভ নেই। তাই চুপ করেই বসে থাক।’

ইপশিতা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। মুখ ফুলিয়ে চোখের ইশারায় ভস্ম করার ইঙ্গিত দেয়। দেখে ফারদিন জ্বিভ দেখিয়ে পুনরায় ব্যঙ্গ করে। দুজনের ঝগড়া বাড়ার পূর্বেই শেহরীনা দুজনের পায়ের উপর পারা দিলো। ব্যাপারটা আকস্মিক হওয়ায় জোরেসরে ‘আহ’ করে চেঁচিয়ে উঠল তারা। শেহরীনা ঘাবড়ে মুখ নামিয়ে টেবিলে হেড ডাউন করে ফেলে। মনে মনে ‘চ’ উচ্চারণ করে গা*লি ছুঁড়তে গেলেই স্যারের কণ্ঠস্বর শুনে থমথমে মুখ করে হেড আপ করে দেখে। স্যার ভ্রু কুঁচকে দুজনের দিকে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন।
‘এটা কী চিৎকার চেঁচামেচি করার ক্লাস পিরিয়ড পেয়েছো? তোমাদের দেখি ম্যানার্স নেই। চুপচাপ ক্লাস করো। না বুঝলে পরীক্ষায় ডিম পাবে।’
শুরু হলো হিসবুল স্যারের মহামূল্যবান বাণী সমগ্র। মাঝ মধ্যে মনে হয় লোকটা বকা নয় বাণী শুনাতেই উস্তাদ যতসব। হিসবুল স্যার হাঁপিয়ে উঠেছেন। দুজনকে বসতে বলে তিনি এক ঢক পানি খেয়ে নিল। এতে ছাত্র-ছাত্রী নিরামিষ ভাবে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা মোটেও স্যারের ক্লাস করতে ইন্টারেস্টেড নয়।

____
সারোয়ার বিধ্বস্ত মনপ্রাণ নিয়ে তার কেবিনে বসে আছে। হাতে থাকা কেসের ফাইল ঘেঁটে দেখার মত মনমানসিকতা পাচ্ছে না। তবুও আজ তার জরুরি তলব করতে হবে। নতুন কেসের ইনভেস্টিগেশন চলছে। কোর্টে যতক্ষণ না অপরাধীকে শাস্তি পাওয়ে দিচ্ছে ততক্ষণ সে শান্তিতে বসতে পারবে না। তার ভাবনার মাঝেই তার বিপক্ষী দলের লোক তার কেবিনে প্রবেশ করে। সে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। লোকটা রাজনীতিবিদ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আলতু ফালতু দলের কর্মী তার কেবিনে ব্যাপারটায় মনেমন চটে গেছে সে। তবে সরল মুখশ্রী নিয়ে তাকিয়ে থাকল। লোকটা সারোয়ার এর সামনে পাঁচশ টাকার নোট ভর্তি একটা ব্যান্ডিল টেবিলের উপর ফেলল। তাকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বলে,

“আমি চাই আপনি নিরাপদে নিশ্চিন্তে থাকুন। কাল পরশু কোর্টে আইনের সুবিচার হোক। আমার লোক যাতে নিরাপদে নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে বেরিয়ে আসুক। সেই ব্যবস্থা করার জন্য এই উপহার দিচ্ছি।”

সারোয়ার তাদের দিকে একপলক তাকিয়ে টাকার নোটের বান্ডিলটি ধরে ডেস্কের ভেতর ঢুকিয়ে নিল। বাঁকা ঠোঁটের হাসি দিয়ে বলে,

“ভেবে নেন ইন শা আল্লাহ সুবিচার কার্য হয়েই গেল।”

লোকগুলো কুকুরের ন্যায় হেসে খেলে দাঁত দেখিয়ে বিদায় নিয়ে চলে গেল। সারোয়ার এর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে চেয়ে ছিল। যা কৌশলে এড়িয়ে যায় সে। চেয়ারে গাঁ হেলিয়ে চোখ বুঁজে নিল। তার কেবিনে মুখ মলিন করে প্রবেশ করে সারোয়ার এর পিএ তানভি। ছেলেটা তার স্যারের কেসের বিপক্ষী দলের লোকদের দেখে থমকে গিয়ে ছিল। কোনো হাঙ্গামা হবে ভেবেছিল তবে এই তো নিরব দৃশ্য ঘটেছে। তারা টাকা দিল আর তার স্যার সেই টাকা হাতিয়ে নিল ব্যাপার খানায় ভীষণ বাজে প্রভাব ফেলে তানভিরের মনে। তার স্যার ঘুষখোর ভাবাটা যেনো তার জন্য কষ্টকর লাগছে। তবুও সে তার স্যারের ব্যক্তিগত কর্মী। না চেয়েও সবটা মুখ বুঁজে সহ্য করতে হবে। দেশের পরিস্থিতিতে সে ভেবেছিল তার স্যার সঙ্গ দেবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কে অপরাধীদের হাত থেকে লড়াই করে ছাঁটাই করবে। যার ফলে তারা লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে কিন্তু এতো যেনো উল্টো দৃশ্য। তানভি আর কিছুটি না ভেবে ব্ল্যাক কফি তার স্যারের টেবিলে রেখে বেরিয়ে গেল। সারোয়ার চোখ বুঁজে থাকা অবস্থায় মৃদু হাসল কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না।

চলবে…….
(আমি ভীষণ দুঃখিত। আজকে হঠাৎ বাহিরে বের হওয়ায় বিকেলে গল্প দেওয়ার কথা থাকলেও দিতে পারিনী। তার জন্য আমাকে ক্ষমা করুন সবাই। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন।)
আমার পেজ লিঙ্ক https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan
সবাই লাইক এন্ড ফলো করে পাশে থাকুন।
আমার প্রথম ই-বুক গল্প বইটই এপ্যাসে প্রকাশ পাবে। #হৃদয়ের_সঙ্গমে_অভিমান দাম মাত্র ৪০ টাকা এর বেশি হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here