প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার #লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান) #পর্ব_২৩

0
34

#প্রিয়অপ্রিয়ের_সংসার
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_২৩

“আপনার কী হয়েছে শেহরীনা কেনো আপনি হঠাৎ বিয়ের মতামত থেকে পিছিয়ে গেলেন? দেখুন আমি ভুল করে আপনার মনে আঘাত দিয়ে থাকলে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দেন। তবুও হুট করে এই খোশমহলে অশান্তি টানবেন না।”

শেহরীনা বিরক্ত মুখ করে তার হাত ছাড়িয়ে নিল সারোয়ার এর কাছ থেকে। সে দরজার কাছ দিয়ে শেহরীনার বিধ্বংসী রূপ দেখে আঁতকে উঠে। নাছির উদ্দিন মেয়ের দশা দেখে তৎক্ষণাৎ ‘মামুনি’ বলে বুকে হাত চেপে ধরেন। সারোয়ার প্রথমত উত্তেজিত অনুভব করলেও পরমুহূর্তেই নিজেকে সামলে নেয়। তার মত তুখোড় যুবকের উত্তেজিত হওয়াটা মানানসই নয়। ফলে সে নিয়ন্ত্রণ পূর্বক বসে পড়ে। শেহরীনা নাছির উদ্দিন এর কাছে বসে তার হাত জোড়া আঁকড়ে ধরে। তিনি মেয়ের বিধ্বস্ত রূপ সহ্য করতে পারছেন না। ফুলের মত মেয়েটার এ কী হাল? তিনি কান্নায় কণ্ঠে মেয়ের হাত একহাতে চেপে ধরে বলেন,

“মামুনি তুই আমার কথায় কষ্ট পাস না। আমারি ভুল আমার উচিৎ হয় নাই তোরে তোর অতীত, তোর আসল পরিচয় জানানোর। আমি যদি তোকে কখনো তোর অতীত সম্পর্কে না বলতাম তাহলে তুই আজ আমার কাছে সামনে থেকে মুখ ফুলিয়ে রেগেমেগে থাকলেও অন্তর বেয়ে শান্তি পেতাম। অন্তত পক্ষে তোর এই মুখে কান্না আসতো না। আগের মত তোকে বকতাম, ঝাড়তাম ব্যস তুইও আমার মেয়ের মত থাকতি।”

“না বাবা আপনি কোনো ভুল করেননি। আমিই সবসময় আপনাকে গলদ ভেবে গালমন্দ করে নিজেকে প্রশান্ত করতাম। চাইতাম যেনো আপনার সাথে মায়ের সম্পর্ক ছিন্নভিন্ন হয়ে যাক। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম বাবা‌। আপনি নিজেই পরিস্থিতির মধ্যে ফেঁসে ছিলেন। আমায় পারলে ক্ষমা করে দিয়েন। তবে আমি আজ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনেক কষ্ট করে। হয়ত সেই সিদ্ধান্ত আমাদের সবার জীবনও পাল্টে দিতে পারে। আমায় ক্ষমা করিয়েন বাবা।”

সারোয়ার শেহরীনার কষ্টমাখা স্বরে ঘাবড়ে আছে। সে বুঝছে না হঠাৎ মেয়েটা কী এমন সিদ্ধান্ত নিলো যার জন্য সে ক্ষমা অব্দি চাইছে। শেহরীনা তখন সারোয়ার কে বলে,
‘কিছুক্ষণের জন্য আমার রুমে আসবেন?’
‘হুম আসুন।’
শেহরীনা তার সৎ বাবার হাতে মাথা ঠেকে চুমু খেয়ে বলে,’আপনি বিশ্রাম করেন বাবা। আমি আসছি।’
সারোয়ার কে সঙ্গে করে রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। সে তাকিয়ে রইল। শেহরীনা নিরীহ চোখে তাকায়। তার চোখ বোঝাচ্ছে সে নিশ্চয় তার হৃদয়বিদারক কোনো কিছু বয়ান করবে। সেও প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। শেহরীনা বিছানার উপর বসে সারোয়ার কে উদ্দেশ্য করে বলে,

“আপনি জীবনে অনেক সুখী হবেন স্যার। তবে আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য অতীত জানার পর থেকে সেটা আমার প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে পড়েছে। আমি চাইলেও আপনার সাথে জীবনে আগাতে পারব না। আমি চাইব আপনি নিজের জীবনে এগিয়ে যান। অপেক্ষা করবেন না আমার। যতদিন না আমার শোধ বোধ হয় আমি ফিরব না। আমার হিসেবের কিতাব পূর্ণ না হলে আমার মায়ের উপর কলঙ্ক থেকে যাবে। আপনার বাবা তো এককালীন ভালো কর্ম অবশ্য করেছিলেন যার কারণে আমি আমার সৎ বাবার ঘরে লালিত পালিত হয়েছি। মাত্রই তো উনার ভালোবাসা, স্নেহ পেতে শুরু করে ছিলাম। কিন্তু সেটাও কপালে দ্বিক্ষণ হবে না। আপনার কাছে অনুরোধ আমার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আমার অনার্স লেভেলের আরো তিন বর্ষ বাকি। আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পুরোপুরি পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে‌। আপনি থাকলে আমি বেসামাল হয়ে পড়ি সারোয়ার সাহেব। আপনি থাকলে ভেতরে আনচান লেগে যায়। মন চাই চিৎকার করে বলি আমি আপনার হতে চাই। তবে একথা নিকচ আবেগ আমি সেটা জানি। আপনি হয়ত আজকের পর থেকে আমায় সহ্য করবেন না। আমি এতেই খুশি থাকব। আমি চাইব আপনি আপনার ক্যারিয়ারের পাশপাশি হালাল বিয়ে করে ফেলুন। আমার অপেক্ষায় নিজের বয়স বাড়াতে থাকবেন না। জীবনে চলার পথে কখনো দেখা হলে নিশ্চয় চাইব আপনি খুশি থাকেন যেনো।”

সারোয়ার তার কথার ঝুড়িতে কোনো বাক্য খুঁজে পেল না। সে আজ পুরি পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তবুও লোকটার ধৈর্য অপরিসীম বটে। তার চোখজোড়া স্পষ্ট প্রকাশ করছে অশ্রুজল। অথচ কী নিদারুণ ভাব নিয়ে সে তাকিয়ে রইছে। শেহরীনার দৃষ্টিকোণ দেখে সারোয়ার কেশে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ম্লান হেসে বলে,

“আমি সবসময় মেয়েদের কথা মান্য করি। আমার মতামত তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা আছে। সে ক্ষেত্রে আপনিও বিকল্প নন। চিন্তে করবেন না আমি কখনো আপনাকে থামাব না। তবে একটা আবদার রাখতে চাই যদি আপনি সাথ দেন তবেই সম্ভব সেটা।”

শেহরীনার গলা কাঁপছে। সে তো প্রেম প্রণয়ে কখনো জড়ায়নি বরং প্রেম প্রণয়ে কী অনুভূতি সৃষ্টি হয় তাও সে জানে না। তবুও তার ভেতরে সারোয়ার এর প্রতি একটান অনুভব,মোহ আছে। সেটা সে বিশ্বাস করে। তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,
‘জ্বী বলুন।’
‘জীবনসঙ্গি নাই বা বানালেন অন্তত সঙ্গি হিসেবে রাখুন। বিপদাপদ এ সঙ্গে থাকতে দেন। কারণ দেখতে গেলে আপনার ভাষ্যমতে আমি কিন্তু আপনার মামাতো ভাই হয়। ভাববেন না আপনি সঙ্গি না বানালে আমি ফ্লার্ট করব। সেই সব ফ্লার্টিং ম্লার্টিং মারতে আমি ইচ্ছুক নয়। আমার থেকে ঐসব এক্সপেক্ট ও করবেন না। আর যেখানে বিয়ের কথা নিয়ে আপনি লেকচার শুনালেন। সরি টু সে আমি সেসব কানে পর্যন্ত নেইনি।’

শেহরীনার মাথা ধরে গেল। দাঁতে দাঁত চেপে বলে,’ফাজলামি করছেন আমার সাথে?’
‘যেহেতু মামাতো ভাই সেহেতু ফাজলামি শব্দটা আজ থেকে আনকমন নয় আমাদের মাঝে।’
‘দেখুন আমাদের প্রাইভেট কথার মাঝে রিলেটিভিটি আসবে না।’
‘কেনো আমরা তেমন কোনো প্রাইভেট কথা বলছি বলে তো মনে হচ্ছে না!’

ইঙ্গিতটা যে বাজে দিকে গেল সহজেই ধরে ফেলেছে শেহরীনা। রেগে সে চাপড়ে দিল সারোয়ার এর পিঠে। সে ‘আউচচচচচ’ করে বাচ্চাদের মত পিঠে মালিশ দিয়ে সরু চোখে শেহরীনার দিকে তাকিয়ে বলে,

“হোয়াট রাবিশ? মা*রলেন কেনো? আমি কী আপনাকে টার্চ করেছি না ন’টি কথা বলেছি না আপনাকে বিয়ে করার জন্য জোরজবরদস্তি করলাম হুম?”

একদমে কথাগুলো বলে সারোয়ার জোরালো দম ফেলে। শেহরীনা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। সে আর সহ্য করতে পারবে না এই বান্দর কে। তাই সে সারোয়ার এর বাহু ধরে তাকে রুমের থেকে ধাক্কিয়ে বের করে দরজা আটকে দিল। খানিক চিৎকার দিয়ে ‘গেট আউট পার্ভাট বয়’। চিৎকার শুনে রূপালি বেগম দৌড়ে আসলেন, সারোয়ার কে পকেটে হাত গুঁজে মিটমিটে হাসতে দেখে তিনি অবাক স্বরে জিজ্ঞাসা করেন।
‘বাবা কী হয়েছে ভেতরে কী বলেছে শেহরীনা? সে কী তোমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে কোনো!’

সারোয়ার তার ফুপির দিকে তাকায়।‌ তার বিশ্বাসই হচ্ছে না তার ফুপি নামক এক ব্যক্তি আদৌ আছে। কোমল মুখশ্রীর এই মানবী কী না এতটা বছর দূরে ছিল। তার বাবাও কেমন কখনো তার বোনের কথা কেনো জানায়নি পরিবারের কাছে? তবে কী বাবা কিছু লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন? রূপালি বেগম সারোয়ার কে তাকিয়ে অন্যমনস্ক দেখে তাকে ধরে নাড়া দেন। সারোয়ার তার ধ্যান থেকে ফিরে বলে,

“না ফুপি কিছু হয়নি।”

রূপালি বেগম ‘ফুপি’ ডাক শুনে আহ্লাদী হয়ে গেলেন। তিনি সারোয়ার এর মুখে হাত রেখে কাছে টেনে কপাল বরাবর চুমু দিলেন। তার চুলে হাত বুলিয়ে বলেন,

“বাবা মাফ করিস তোর বাবার কারণে এতটা বছর অভিমান করে তোদের কেও দেখতে যায়নি। কিন্তু আমি জানি না তোরা কবে জম্ম নিলি। হ্যাঁ এটা মনে আছে আমি গর্ভবতী ছিলাম কিন্তু ভাইয়ার বউ পদ্মিতা ভাবীর আমার পর বিয়ে হয়েছিল ভাইয়ার সাথে তাহলে তোর মা কেমনে জাহানারা পুষ্প উনি? সেটা আমি জানি না। তোর বয়সও কেনো যেনো সন্দেহ জনক। আমি তোকে একটা কথা বলি মন দিয়ে শোন। ভাইয়া খুব চাপা স্বভাবের। হয়ত তিনি বুকের ভেতর কিছু কষ্ট লুকিয়ে রেখেছেন। তুই তো ভাইয়ার সন্তান। ভাইয়াকে একলা জায়গায় নিয়ে দুজন বসে আরামে অতীত এর ব্যাপারে জানার চেষ্টা করিস।”

“ঠিক আছে ফুপি আম্মু তুমি কোনো চিন্তা করো না।”

“হুম আচ্ছা বাবা শেহরীনা কী বলেছে? আমি রান্নাঘরের থেকে তোমার ফুপোর রুম থেকে অর্ধ কথা শুনেছি। সে নাকি বিয়েতে অমত করেছে?”
সারোয়ার মিটি হেসে বলে,

“সেটা নিয়েও চিন্তা করবেন না। আপনার মেয়ের আসলে চুটিয়ে প্রেম করার ইচ্ছে হচ্ছে। তাই সময় নিয়েছে। আমিও দিয়েছি আফটার অল আমার হার্ট অনেক বড় মাপের বলে কথা। হবু বউ কে তার স্বকীয়তা পূরণের জন্য আমিও পিছু পিছু যাবো। তার শখ মানে আমার শখ।”

রূপালি বেগম সারোয়ার এর বাচ্চামির মত মুখশ্রী দেখে হাসলেন। তাকে ধরে সোফায় বসিয়ে বলেন,
‘তুই বস আজ থেকে তুই করেই ডাকব তোকেও। বস আমি নাস্তা আনছি খেয়ে যাস।’
সারোয়ার মাথা নাড়ে। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
ধ্যান ফেরে তার ফোনের মধ্যে আযানের ওয়াক্তের শব্দে। সে তার ফোনে ওয়াক্তের সময় ঠিক করে রেখেছে। বিধেয় এলার্ম বেজে উঠায় সে মাথা চুলকে হাসে।
সেদিনের পর থেকে আজ প্রায় পাঁচ দিন পার হয়ে গেল। মেয়েটা ইচ্ছেকৃত নিজেকে আড়াল করে রেখেছে। কবে ভার্সিটির মধ্যে যায় আর আসে তাও সে ধরতে পারছে না। তবে কতদিন আর? সেও কী কম যায় তার মত ব্যারিস্টার মানুষের চোখ ফাঁকি কী আদৌ শেহরীনা দিতে পারবে? ভেবেই শেহরীনার চালাকিতে অমায়িক হাসল।

___
“স্যাম বাবা রেডি হও আমরা বীচে ঘুরতে যাচ্ছি।”

কায়েসাম শুয়ে আছে। তার গালে মোচ জমে পুরো মুখ ভর্তি হয়ে দেখতে পূর্ণ অগোছালো লাগছে তাকে। হাতে মদের বড়সরো কাঁচের বোতল। বোতলের সীপ খোলা। মায়ের কথা তার কানে গিয়েছে কী না আদৌ সন্দেহ। রুফিয়া সাইমুম কান্না আটকে পুনরায় ‘স্যাম বাবা’ বলে ডাকেন। কায়েসাম নিভু নিভু চোখজোড়া নিয়ে মায়ের দিকে তাকায়। তিনি ফোঁস করে কান্না করতে লাগলেন। কায়েসাম বিরক্তির মুখ করে বলে,’ধ্যাঁত বাল কান্নার শব্দ শুনতে ভালো লাগছে না। যাও তো।’
‘বাবা একটু ঘুমিয়ে নেহ্ তোর চোখ লাল হয়ে গেছে। আর কিছুক্ষণ জাগলে তোর শরীর খারাপ করবে।’
‘না না আমি ঘুমাব না। ঘুমালেই শেহরীনা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।’

রুফিয়া সাইমুম রুম থেকে বেরিয়ে শক্ত মনে নিজের রুমে গেলেন। আলমারি খুলে ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে ছেলের রুমে আসেন। ই*ন*জেক*শন বের করে ঘুমের মেডিসিন বোতল এ ফুটো দিয়ে হাঁফ করে সেটা ছেলের কাছে গিয়ে জোরপূর্বক তার হাতের কনুইয়ের মধ্যে লাগিয়ে দেন। কায়েসাম চিৎকার করলেও কোনো লাভ হয় না। পরক্ষণে সে ঘুমের মাঝে ঢলে পড়ে। তিনি ছেলের পাশে বসে তার চুলে হাত বুলিয়ে বিলি কেটে বলেন,

“দেখবি আমি তোর জন্য নূর আনব যে তোকে শেহরীনার কথাও ভুলিয়ে দেবে সারাজীবনের জন্য। তুই তখন শুধু তাকেই ভালোবাসবি।”

ইদরিব সাবেক ছেলের রুমের বাহির থেকে ভেতরের দৃশ্য দেখে তিনিও ছেলের যন্ত্রণায় কাতড় হয়ে গেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি ছেলের বিয়ে দিয়ে ছাড়বেন। ফলস্বরূপ তিনি ভেতরে গিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকান। তার কাঁধে হাত রেখে তার উপস্থিতি অনুভব করান। রুফিয়া সাইমুম স্বামীর আগায় ছেলেকে ওভাবে ফেলে দরজা বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেন। ছেলের অসুস্থতায় যদি সে পালিয়ে যায় তার ভয়ে তারা ঝুঁকি নিতে চাননি।

চলবে……
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। অপেক্ষা করানোর জন্য দুঃখিত।
পড়ুন ই-বুক গল্প #হৃদয়ের_সঙ্গমে_অভিমান
https://link.boitoi.com.bd/o5AG

যেভাবে বইটই থেকে ই-বুক ক্রয় করবেন:

যেভাবে বইটই থেকে প্রিয়জনকে বই গিফট করবেন:

প্রোমোকোড ব্যবহার করলে ২৫% অফারটি চলবে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত। সবাই আমার গ্রুপে জয়েন হয়ে রিভিউ দেবেন সাথে ইবুকেও
গ্রুপ লিঙ্ক https://facebook.com/groups/469093775938467/
পেজ লিঙ্ক https://www.facebook.com/tasmihaalraiyan)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here