মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ #২৪তম_পর্ব

0
32

#মনশহরে_তোমার_নিমন্ত্রণ
#২৪তম_পর্ব

“আরে ভাই আমি তো মানুষের ডাক্তার নই। আমি পশুপাখির ডাক্তার”

ডাক্তারের কথাশুনে নীলাদ্রি তড়িৎগতিতে তাকালো আহাশের দিকে। আহাশ মুখ ছোট হয়ে গেলো।

ঘটনার সূত্রপাত দুঘন্টা পূর্বে। নীলাদ্রি হাসপাতালে গিয়েছিলো তার আগামী ডকুমেন্টারির ডিরেক্টরের সাথে দেখা করতে। ব্যাটা নীলাদ্রির সাথে দেখা করতে তার শহরে এসেছিলো। সব কাজ ফেলে নীলাদ্রি এখানে এসে বসে আছে ব্যাপারটি তার হজম হয় নি। কিন্তু ভাগ্যের দোষ, এসেই তার ডেঙ্গু হতে হলো। তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তার সাথে দেখা করতে আসাটা অতীব জরুরি নয়। কিন্তু নীলাদ্রি এসেছে কারণ সে আগামী একবছর কাজ করবে না। করবে রিসার্চ। কারণ পাহাড়ে তার এসিসট্যান্ট অজল জানিয়েছে শকুনতলা সেখানে নেই। সে নাকি হারিয়ে গেছে। অথচ শকুনতলা তার কাছে। ব্যাপারটি বেশ বিস্ময়কর। শকুনতলার মাঝে কি কোনো অলৌকিক শক্তি আছে। পৃথিবীর অনেককিছুই আমরা জানি না। মানুষের জ্ঞানের বাহিরে একটা আস্ত ব্রহ্মান্ড আছে। সেই ব্রহ্মান্ডের রহস্য বোঝার সাধ্য মানুষকে দেয় নি সৃষ্টিকর্তা। মানুষ নিজেকে অতীব জ্ঞানী ভাবলেও সে আসলে একটা গাধা। তবুও সে চেষ্টা করে। রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা। নীলাদ্রিও এমন একটা চেষ্টা চালাবে। তার নিজের ভার্সিটির রিসার্চারের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা একটা ল্যাব প্রতিদিন একঘন্টার জন্য তাকে ধার দিবে। সেই সময়ে সে গবেষণা করবে শকুনতলার ডিএনএ নিয়ে। ডিরেকটর ব্যাটাকে সেটাই জানাতে এসেছিলো সে। ব্যাটা তা শুনে ডুকরে কাঁদছে সে এখন নীলাদ্রির মতো মানুষ পাবে কোথায়? কারণ নীলাদ্রির পাহাড় সম্পর্কে জ্ঞান অনেক গভীর। কিন্তু নীলাদ্রি তার কান্নাকে মূল্য দিলো না। সে বেরিয়ে গেল কেবিন থেকে। নীলাদ্রির মতে মানুষ অহেতুক ছোট ছোট বিষয়ে কাঁদে। পৃথিবীতে গবেষকের অভাব নেই। অথচ সে না খুঁজেই নীলাদ্রিকে আঁকড়ে ধরে কাঁদছে। এটাতে বোঝা যায় এই লোক উচ্চতর পর্যায়ের বোকা মানুষ, যার কাছে কিছু হাত থেকে ফসকে যাওয়া মানে জীবন বৃথা। নীলাদ্রির জীবনে সব জিনিসের একটা আলাদা মর্ম আছে। তার কোনো জিনিসের প্রতি অত্যধিক পিছুটান নেই। তবে তার ধারণা এই কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। তার পিছুটান আছে। কিছু হাতেগোনা ব্যাক্তিবর্গের প্রতি তার এই পার্থিব পিছুটান আছে। এবং তার মধ্যে পিউ অন্যতম। পিউয়ের প্রতি নীলাদ্রির টানটা খুব সূক্ষ্ণ হলেও বেশ শক্ত প্রকৃতির। কিন্তু এই টানটাকে ঠিক কোন সম্পর্কের মধ্যে ফেলা যায় বুঝতে পারে না নীলাদ্রি। ভালোবাসা নামক অপার্থিব জিনিসকে সে বিশ্বাস করে না। একটি মানুষ নিজেকে ব্যতীত কাউকে ভালোবাসবে এটা অকল্পনীয়। কিন্তু পিউয়ের প্রতি সে দূর্বল। যদি কখনো বিয়ে করে তবে সে পিউকেই বিয়ে করবে এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু পিউকি তাকে বিয়ে করতে চাইবে? তারমত মানুষের সাথে পিউ কি থাকতে চাইবে? সে যদিও বুদ্ধিমতী মেয়ে, কিন্তু অপার্থিব জিনিসে সে বিশ্বাস করে। ভালোবাসার দাবি সে করতেই পারে। নীলাদ্রি তো তাকে ভালোবাসতে পারবে না, সিনেমার নায়কদের মতো কাব্যিক কথা তার আসে না, সে তাকে চমকে দিতে পারবে না, মিঠা কথার বানে তার হৃদয়ে দোলা দিতে পারবে না। তবে হ্যা মেয়েটিকে দুঃখ পেতে দিবে না সেই দৃঢ়তা তার মাঝে আছে। তাকে সবসময় সম্মান করবে, আগলে রাখবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি কি মেয়েটা নিবে! এই সমাজের সব কিছু ফেলে পাহাড়ে তার সাথে সাধারণ জীবন কাটাতে পারবে! হয়তো না! তাই নীলাদ্রির হাজার পিছুটান থাকা সত্ত্বেও সে পিছিয়ে যায়। মেয়েটিকে আঁকড়ে ধরতে পারে না।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাবার সময় নজরে পড়লে হাসপাতালের করিডোরে একজন পুরুষ আরেকজন পুরুষকে রীতিমত টানছে। দ্বিতীয়পুরুষটি নিজেকে ছাড়াতে চাইলেও পারছে না। একটু কাছে যেতেই দেখতে পেলো সে পুরুষটি টানাটানি করছে সে আর কেউ না আহাশ। তার রীতিমতো ক্রোধিত স্বর,
“যাবেন না মানে! ডাক্তার হয়ে আপনি যাবেন না কেন। রোগী এদিকে মরে যাচ্ছে। আর এদিকে আপনি এমন পাষান কাজ করছে৷ এগুলো আপনাদের শিখানো হয়! আসলে এই দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে আপনাদের জন্য, দ্যস্ফুনক্তিওনাল”

আর অসহায় ডাক্তার বলছে,
“আরে ভাই আমি ডাক্তার, কিন্তু আমি যাবো না। কথা বুঝেন আমার। আমাকে টানাটানি কইরেন না”

এই আহাশ ছোকরাটা পিউয়ের আশেপাশে ঘুরঘুর করে। যা অতিশয় বিরক্ত করে নীলাদ্রিকে৷ ছেলেটার মাঝে বাড়াবাড়ি একটা ব্যাপার আছে। ফলে ডাক্তারের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে এগিয়ে এলো নীলাদ্রি। ধমকের স্বরে আহাশকে বললো,
“এই ছোকরা, তুমি এভাবে টানাটানি করছো কেনো! ডাক্তার বেচারা তো এখানেই হার্ট ফেইল করবে! ছাড়ো উনাকে”
“এই আপনার এতো কিসের সমস্যা! সব কিছুতে লম্বা নাক দিয়ে ঢুকে পড়েন। এদিকে পিউ আপুর জ্বরে বেহুশ হাল। এই ডাক্তার চলুন। এক্কনি”

আহাশ উল্টো গর্জালো। পিউয়ের কথা শুনতেই নীলাদ্রির টনক নড়লো। মেয়েটার জ্বর! কবে থেকে! সেদিন না বাড়ি পৌছে দিয়েছিলো! বৃষ্টির জন্য জ্বর হলো! নীলাদ্রি খানিকটা অস্থির হলো। ডাক্তারের আরেকহাত শক্ত করে ধরে বললো,
” চল ব্যাটা। তুই যাবি তোর ঘাড় যাবে”
“আপনি তুই তুকারি করছেন কেনো?”
“তুই না গেলে আমি “ব”, “চ”, ” ম” বর্গীয় গালিও দিবো”

এভাবেই ডাক্তারকে বগলদাবা করে নিয়ে এসেছে এই পুরুষ। পিউ হতভম্বের মত চেয়ে রইলো। এই মহান দুই পুরুষ তার জন্য পশুপাখির ডাক্তার তুলে এনেছে। আহাশ কাচুমাচু স্বরে বললো,
“আপনি ডাক্তার না! তাহলে আপনি ডাক্তারের চেম্বারে বসেছিলেন কেনো?”
“অদ্ভুত ডাক্তারের চেম্বারে মানুষ কেনো যায়! আমি তো ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। আপনি তো বিনা বাক্যে আমাকে টানতে টানতে নিয়ে এলেন। আপনার সাথে এই মানুষটিও যুক্ত হলো। দুজন মিলে তো আমার কোনো কথাই শুনলেন না। উলটো এই আহাম্মক লোক আমাকে গালি দিচ্ছিলো। আমি বারবার তো বলছিলাম, শুনুন শুনুন”

নীলাদ্রি বিরক্ত হলো। আহাশের উদ্দেশ্যে বললো,
“জার্মান গর্দভ। আর এই ডাক্তার, আপনার এখানে কাজ নেই। আপনি আসতে পারেন”

ডাক্তার মুখ খিঁচিয়ে বললো,
“আমি আসতেও চাই না। যতসব পাগল”

নীলাদ্রি গা মাখালো না। সে নির্লিপ্ত, এমন ভাব যেনো কিছু হয় নি। স্বাভাবিকভাবে পিউকে বললো,
“তুমি জ্বর বাধালে কিভাবে?”
“অদ্ভুত! আমি কি ইচ্ছে করে বাঁধিয়েছো?”
“তোমার মতো বুদ্ধিমান মেয়ের এমন ইরিস্পন্সিবলের মত কাজ বেমানান। এবার উঠো। হাসপাতালে যাবে। এই জার্মান গর্ভদ তো ভেট তুলে এনেছে”

আহাশ প্রতিবাদ করতে চেয়েও করলো না। সে আসলেই ডাক্তারের পরিচয় জানতে চায় নি। পিউয়ের মাথা ব্যাথা করছে। এই ডাক্তার কান্ডে সেই ম্যাথা বাড়ছে। কিন্তু নীলাদ্রি ঠিক তার সম্মুখে বসা। বিরক্তি গিলে বললো,
“আমি কোথাও যাবো না নীলাদ্রি ভাই। আমার উঠার শক্তিও নেই। আপনাদের জন্য মাথা ব্যাথাটা বেড়েছে। আপনারা বরং চলে যান। আমি সুস্থ হয়ে যাবো”

নীলাদ্রি চোখ কুচকে তাকিয়ে রইলো মিনিট দুয়েক। তারপর পিউকে চমকে দিয়ে একটা অবাককর কাজ করলো। বিনা নোটিসে তাকে কোলে তুলে নিলো। এমন কাজে চমকে গেলো পিউ। পিউ ছটফট করতে নিলে নীলাদ্রি গাঢ় স্বরে বললো,
“চুপ, একদম চুপ। একে অসুস্থ হয়ে অস্থির করবে। আবার নখরামি দেখাবে। আমি কিন্তু এগুলো পছন্দ করি না পিউ”

পিউ ভাষাহীন হলো। এই মানুষকে নাকি সে অস্থির করেছে মানা যায়! পিউয়ের মাকে বলে তার সামনেই কোলে নিয়ে বের হলো নীলাদ্রি। আহাশ চুপ করে সেই দৃশ্য দেখলো। এই অধিকারটি পিউ তাকে কেনো দেয় না! পিউ তার অস্থিরতা কেনো দেখে না!

******

বাকুয়ী মহলে ঐন্দ্রিলার জীবন পাল্টেছে। এখন বারোটা পর্যন্ত সে ঘুমায় না। উঠে সকাল সকাল। যে ঐন্দ্রিলা রান্নাঘরমুখো হত না সে রান্নাঘরে যায়। ছবিরনের কাছ থেকে রান্নার ট্রেনিং নেয় সে। এবাড়ির নিয়ম ভিন্ন। দাদা খায় ঠিক দেড়টায়। এটা নিয়ম। তাই রান্নাবান্না সব সেই সময়েই হয়ে যায়। ঘরের মহিলারা তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। বউ হওয়ার জন্য এই কদিন যাবৎ ঐন্দ্রিলাকেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দাদা সেদিন খাবার সময় বলছিলেন,
“কানন এবার ঐন্দ্রিলাকে হেসেলের দায়িত্ব দেও। তোমার বয়স তো কম হলো না”

কথাটায় কানন এবং ঐন্দ্রিলার উভয়ের মুখ ছোট হলো। কাননের কাছে তার হেসেল তার রাজত্ব। আর ঐন্দ্রিলা হেসেলের হ বুঝে না। তারা মুখ চাওয়াচাওয়ি করে জোর পূর্বক হাসলো। আউওয়াল সাহেব ঐন্দ্রিলার উদ্দেশ্যে বললো,
“নাতবউ, তুমি শ্বাশুড়ির থেকে শিখে নাও। নাকি তোমার আবার অন্যকোনো মতলব আছে! যে মেয়ে বিয়ের দিন পালাতে পারে তার মন বোঝা যায় না”

দাদার কটুক্তি ভালো লাগলো না ঐন্দ্রিলার। সে তাই জেদ ধরেছে সে রান্না শিখবে। তাই তার শিক্ষক হলো ছবিরন। ছবিরন কড়া শিক্ষক৷ কিন্তু সেই সাথে একটু বেফাঁস কথা বলার বাতিক আছে। এই যেমন আজ যখন ঐন্দ্রিলা মাছ ভাজছিলো ছবিরন ফট করে বলে উঠলো,
“বউ তোমার ঠোঁটের ঘা তো এক্কনও হুকায় নাই। নাকি অভ্রবাপে প্রত্তিদিন কামড়াইয়া ঘা বাড়ায়”

কথাটায় জমে গেলো ঐন্দ্রিলা। অভ্র ঠিক সেই সময়ই রান্নাঘরে প্রবেশ করছিলো। ছবিরনের কথাটা তার কর্ণপাত হলো। ঐন্দ্রিলাকে সেই সময় ডেকে বললো,
“ঐন্দ্রি একটু ঘরে আয় তো! আমি বের হব”

আর কি লাগে ছবিরন আরোও মিটিমিটি হাসতে লাগলো। ঐন্দ্রিলা পারে না গর্ত করে মাটিতে ঢুকে পড়তে। ঘরে আসতেই কিড়মিড়িয়ে বললো,
“কি! ডাকছিস কেনো?”

একটা মলম এগিয়ে অভ্র গম্ভীর স্বরে বললো,
“ঠোঁটে লাগিয়ে নে। ঘা হয়ে যাবে তো”
“থাক, জুতো মেরে গরু দান করতে হবে না। আদিক্ষেতা। বুঝি না আমি। মাতাল হয়ে চুমু খাবে, ঠোঁট কামড়ে ঘা করবে আবার এখন আদিক্ষেতা করছে। আবার বড় বড় কথা! লজ্জা করে না বড় বড় কথা বলতে। কি বলেছিলি আমার প্রতি লোভ নেই তো তাহলে এগুলো কি! মাতাল হয়ে আমার ইজ্জতে হানা দিলি কেনো! যতসব। নোংরা ছেলে কোথাকার!”

ঐন্দ্রিলা গরগরিয়ে বলে দিলো কথাগুলো। সেদিনের লুকায়িত রাগ জাহির করলো যেন। অভ্র ঐন্দ্রিলার দিকে সুচালো নয়নে তাকিয়ে রইলো। কোনো কথা বললো না। কিন্তু উত্তরটা দিলো রাতের বেলা। ঐন্দ্রিলা দাঁড়িয়ে আছে। অভ্র খাটের ঠিক মাঝবরাবর দু তিনটে পর্দা টানালো। ঐন্দ্রিলা তার দিকে সূচালো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সে ঠিক কি চায় বুঝতে চাইছে। অভ্র সেই পর্দাগুলো টেনে দিয়ে বললো,
“নে এবার শো”
“এই বর্ডার কেন?”
“খারাপ ছেলেরা অনেক কিছু করে! মদ খেয়ে চুমু খেয়েছে৷ ঘুমের মধ্যে যদি ন্যাংটো হয়ে নৃত্য করে! বলা তো যায় না। তাই তোকে প্রটেকশন দিলাম”

এই কথার মর্মার্থ বুঝতে কষ্ট হলো না ঐন্দ্রিলার। চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইলো সে। অভ্র ভ্রু নাচিয়ে বললো,
“আসুন মহারানী ঘুমান”

ঐন্দ্রিলা কিছু বললো না। মুক শক্ত করে শুয়ে পড়লো তার জায়গায়। আজ সে ঘুমাবে। শান্তিতে ঘুমাবে। নিশ্চিন্তে ঘুমালেও সকালে যখন চোখ মেললো তখন আবিষ্কার করলো সে রীতিমতো অভ্রের বুকের উপর শুয়ে আছে। আজ অভ্র তার জায়গা ছাড়ে নি। কিন্তু ঐন্দ্রিলা তার স্থানে নেই। মুখখানা তুলতেই ঘুমচোখে দেখলো অভ্র তার দিকে তাকিয়ে আছে। বাঁকা হেসে বললো,
“এখন কে কার ইজ্জত লুটছে!”…….

চলবে

স্বপ্নের তাণ্ডবে হুট করেই বিয়ে হয়ে গেলো চঞ্চলা তানির। নানাভাই খুঁজে খঁজে ভেড়ার সাথে বিয়ে দিয়েছেন। এই ভেড়া যে কোনো ভেড়া নয়, আর্মি ভেড়া। ভেড়ার নাম রবিন। রসকষহীন সিঙ্গারা। চঞ্চল তানির জীবনটা অদ্ভুত ভাবে পালটে গেলো। হৃদয়ে তো হাজারো আকাঙ্খারা জড়ো হয়ে আছে, কখনো প্রেমে পড়বে তানি। আচ্ছা এই অদ্ভুত বিয়ের পরিণতি কি হবে? তানি কি কখনো প্রেমে পড়বে রবিনের? কখনো তার পরাণে কি লাগবে নেশা? তাদের গল্পের চাঁকা কোথায় থামবে?

আমার চতুর্থ এবং ই-বুক মেলার স্পেশাল বই
“পরানে লাগিলো নেশা” শুধুমাত্র বইটই তে। লিংক কমেন্টে…

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here