ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_৫ #সারিকা_হোসাইন

0
30

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_৫
#সারিকা_হোসাইন
________
ভোর রাতের দিকে বৃষ্টির তেজ কমে গিয়ে ইলিশে গুড়ি বৃষ্টি পড়েই যাচ্ছে।আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা পড়ার কারণে পুব আকাশের সূয্যি টা টকটকে লাল আভা ছড়াতে ব্যার্থ হয়েছে।নেই কোনো পাখির কিচিরমিচির শব্দ ।চারপাশ নিস্তব্ধ নীরব।
হঠাৎ সকল নিস্তবতা ভেদ করে রাজ্যের মোবাইলের এলার্ম টা মৃদু শব্দে বেজে উঠলো।
এলার্মের শব্দে গভীর ঘুমে মজে থাকা রাজ্য কিছুটা বিরক্ত হয়ে চোখ মুখ কুঁচকে কাঁথার নীচে ঢুকে পড়লো।এলার্ম বন্ধ হয়ে গেলে আবার আরাম নিদ্রায় ডুব দিলো সে।কিন্তু বেহায়া এলার্ম দ্বিতীয় দফায় সুর তুললো।
কাঁথার নিচ থেকে হাত বের করে বালিশের চারপাশ হাতড়ে কোথাও ফোন না পেয়ে ঢুলু ঢুলু শরীরে উঠে বসলো।এরপর চোখ বন্ধ করেই সারা বিছানা ময় মোবাইলের তল্লাশি চালালো।
কিন্তু মোবাইল নামক যন্ত্রটি বিছানার কোথাও নেই।
এবার বন্ধ চোখেই রাগ চটে গেলো রাজ্যের।একে তো কোনো ভাবেই সে চোখ খুলতে পারছে না তারমধ্যে মোবাইল এলার্ম বেজেই যাচ্ছে সেটাও বন্ধ করতে পারছে না।
কিছুক্ষন নিজের দায়িত্ব পালন করে নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে গেলো এলার্ম খানা।
বিছানায় হেলান দিয়েই রাজ্য চোখ বন্ধ করে বসে রইলো।

হঠাৎই রাজ্যের মা মিসেস তনুজা চৌধুরী রাজ্যের কক্ষে এসে ডেকে উঠলেন

“কিরে বাবা এভাবে ঘুমাচ্ছিস কেনো আজ ডিউটি নেই তোর?

রাজ্য কোন সাড়া শব্দ না করলে তনুজা রাজ্যের গায়ে হালকা চাপড় মেরে ডেকে উঠলেন

“কিরে মেয়ে এভাবে বসে বসে ঘুমাচ্ছিস কেনো?

এবার একটু নড়ে চড়ে উঠলো রাজ্য।বহু কষ্টে পিটপিট করে চোখ খুলে আবার বন্ধ করে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো

“কিছুতেই চোখ খুলতে পারছি না মা।ঘুমে পড়ে যাচ্ছি।মনে হচ্ছে শরীরে কোনো শক্তি অবশিষ্ট নেই।

মেয়ের কথায় ঘাবড়ে গেলেন তনুজা চৌধুরী।রাজ্যের সার্ভিস জীবনের এই দুই বছরে তিনি কখনো মেয়েকে এভাবে ঘুমাতে দেখেন নি।ডিউটির ক্ষেত্রে রাজ্য খুবই চটপটে আর অনেস্ট।তবে আজ কি এমন হলো?
মেয়ে কি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত?

মিসেস তনুজা রাজ্যের গায়ের কাঁথা টেনে সরিয়ে গালে,কপালে হাত ছুঁইয়ে বলে উঠলেন

“দেখি জ্বর টর হয়েছে কিনা?”
তনুজা শরীর হাতড়ে জ্বরের কোনো আভাস পেলেন না।
রাজ্যের গা থেকে হাত সরিয়ে মিসেস তনুজা কপাল কুঁচকে নিজে নিজেই বলে উঠলেন―
“শরীরের টেম্পারেচার একদম স্বাভাবিক।তাহলে এমন দুর্বল হবার কারনে কি?”

মিসেস তনুজা কোমরে হাত রেখে কিছুক্ষন চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন এরপর রাজ্যকে টেনে বিছানা থেকে নামাতে নামাতে উদ্বিগ্ন হয়ে বলে উঠলেন

“একটা লম্বা শাওয়ার নে।তাহলে ভালো লাগবে।দিন রাত প্রচুর ধকল যায় এই জন্য বোধ হয় এমন লাগছে।আর অফিসে গিয়ে কয়েকদিনের জন্য ছুটি নিবি আজকে।আমার মনে হয় একটু রেস্ট প্রয়োজন তোর।

কথা গুলো বলতে বলতে রাজ্যকে টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে এলেন তিনি।

বৃষ্টির মতো ঝরঝর করে ঝর্ণা থেকে মিহি মিহি পানির ধারা রাজ্যকে ভিজিয়ে দিচ্ছে নির্দ্বিধায়।
হঠাৎই উষ্ণ জল রাজ্যের গলার নীচে জলুনির সৃষ্টি করলো।সেই জ্বালা নিউরনে পৌঁছনো মাত্র মুহূর্তেই চোখ মেলে তাকালো রাজ্য।

শুধু গলার নীচে নয় কাঁধে,বাহুতে পেটেও সমান ভাবে জ্বলে যাচ্ছে।
ঘাড় ঘুরিয়ে ডানে বামে তাকাতেই ফর্সা হাত গুলোতে লালচে ছোট ছোট দাগ নজরে এলো।
ওয়াশরুমের বড় আয়নাটায় নজর রাখতেই গলার নীচে আর পেটে অসংখ্য দাগের উপস্থিতি পাওয়া গেলো।
মাথায় চাপ প্রয়োগ করে বিগত দিন গুলোর ডিউটির সময়কার কাজ চিন্তা করলো রাজ্য।

“নাহ শরীরে ব্যাথা লাগার মতো কোনো কাজ তো আমি করিনি।তাহলে এই দাগ কিসের?

হঠাৎই রাতে দেখা স্বপ্নের কথা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো রাজ্যের মনে।
ধবধবে ফর্সা টসটসে লাল ঠোঁট ওয়ালা সুঠাম দেহি এক রাজকুমার এসেছিলো তার স্বপ্নে।যার বাহুডোরে পরম মমতায় বন্দি ছিলো রাজ্য।সেই রাজকুমার রাজ্যের কানে কানে ফিসফিস করে আবেশ জড়ানো আদুরে কন্ঠে গভীর চুমু দিতে দিতে বলেছিলো
“তোমাকে আমি দখল করবো।কারন রাজকুমারের কাজই হচ্ছে রাজ্য দখল করা।”

সেই মাদকতা মিশ্রিত কন্ঠে কি ছিলো রাজ্য জানেনা।সেও গলা জড়িয়ে ধরে রাজকুমারের উষ্ণ ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়েছিলো, আর সেই সুযোগে রাজকুমার উন্মাদের মতো ভোগ করেছে তার উষ্ঠদ্বয়।

হঠাৎই লজ্জায় রাজ্যের গাল কান গরম হয়ে ধোয়া ছুটলো।
নিজেকে নিজেই ধিক্কার দিয়ে বলে উঠলো
“ছি অসভ্য মেয়ে এসব চিন্তা ভাবনা করে ঘুমাস তুই?”
“এগুলো কোনো স্বপ্ন হলো?

লজ্জায় শরীরের দাগের কথা বেমালুম ভুলে ঝটপট গোসল সেরে বেরিয়ে এলো রাজ্য।
রুমে এসে নিজের ড্রেস পাল্টে অফিসের ইউনিফর্ম পড়ে নিলো সে।হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত ভেজা চুল গুলো শুকিয়ে ছোট বেনি করে খোপার মতো করে ক্লিপ দিয়ে আটকে নিলো। নিজেকে আয়নায় ভালোভাবে দেখে মাথার ক্যাপটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে এলো নিজের রুম থেকে।

সে জানতেই পারলো না ওপাশের কেউ একজন তার আগাগোড়া সবটাই দেখে নিলো মুগ্ধ নয়নে।

********
হাই তুলতে তুলতে এলোমেলো পায়ে রায়াফ কফি মগ হাতে যুবরাজের রুমে এলো।এসেই দেখতে পেলো একটা রাইফেল জানালার দিকে তাক করে সেটার স্কোপে গভীর মনোযোগ দিয়ে কিছু দেখে যাচ্ছে যুবরাজ।

কফির মগটা বেড সাইড টেবিলের উপর রেখে রায়াফ অধীর আগ্রহে জানতে চাইলো
“এতো সকাল বেলা কার বারোটা বাজাচ্ছিস?

স্কোপ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে রায়াফের সামনে এসে দাড়ালো যুবরাজ।উদোম গায়ে শুধু একটা টু কোয়ার্টার হাফপ্যান্ট পড়া।সেই হাফপ্যান্ট এর দুই পকেটে হাত গুঁজে যুবরাজ স্মিত হেসে বলে উঠলো

“আমার নিজেরই বারোটা বেজে গেছে ব্রো,মানুষের বারোটা বাজানোর আর সময় কোথায়?”
বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের ফোন হাতে নিলো ।সময় এর দিকে নজর দিয়ে ভ্রু কুঁচকে ফোন বিছানায় ছুড়ে মেরে আবার বলতে শুরু করলো―

“গুনে গুনে ছত্রিশ টি বিল্ডিং পরে আমার জানের বাসা।আশ্চর্যের বিষয় কি জানিস?
আমার জানালা আর জানের জানালা বরাবর।চাইলেই এই জানালা দিয়ে আমি আমার জানকে যখন তখন দেখতে পারি”

রায়াফ যুবরাজের কথা শুনে এক আঙুলের সহিত মাথা চুলকে নিজের কফির মগে লম্বা এক চুমুক দিয়ে বলে উঠলো
“এভাবে একটা মেয়েকে যখন তখন দেখা অন্যায়।মেয়েটা এখনো তোকে ভালোবাসে না।”বিষয়টা আরো বেশি অন্যায়ের।

নিজের কফির মগটা হাতে নিয়ে তাতে ছোট চুমুক দিয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে যুবরাজ শ্লেষত্বক হাসলো।এরপর ভরাট কন্ঠে বলে উঠলো
“পৃথিবীর সকল প্রেমিক পুরুষই অন্যায়কারী।এরা প্রেমেই পড়ে অন্যায় করার জন্য।তুই কোথাও কোনো সাধু প্রেমিক পুরুষ পাবিনা।
আর আমি সাধু হতে চাইও না।সাধুগিরি আমার ধাঁচে নেই।আমি পৃথিবীর সবচেয়ে অসভ্য অসাধু প্রেমিক পুরুষ হতে চাই।”

হঠাৎই রায়াফের নজর গেলো যুবরাজের গলার নিচের ধবধবে সাদা মাঝারি সাইজের ব্যান্ডেজের দিকে।ব্যান্ডেজ টা এমন এক জায়গায় করা যেখানে ড্রাগন স্নেক টি হা করে আছে।ব্যান্ডেজ এর কারনে সাপের মাথাটি আর দেখা যাচ্ছে না।

ব্যান্ডেজ চোখে পড়তেই আঙ্গুল উঁচিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রায়াফ জিজ্ঞাস করলো

“তোতলা মামুন গতো রাতে তোকে আঘাত করেছিলো?

রায়াফের আঙ্গুলি নির্দেশ দেখে যুবরাজ প্রশস্ত হেসে সেই ব্যান্ডেজে হাত বুলালো এরপর হাসি থামিয়ে বলে উঠলো

“তোতলা মামুন কেনো পৃথিবীর কারো এই যুবরাজের গায়ে হাত দেবার সাহস নেই।এই দুঃসাহস শুধু একজনের আছে আর সে হচ্ছে আমার সুইটি।
এই সাপের চাইতেও সে বিষাক্ত।
একদম সাপের মাথায় কামড়ে ধরে মাংস তুলে নিয়েছে।

মস্তিষ্কে যুবরাজের দুস্টু কথা ধরা দিতেই কফি নাকে মুখে উঠে গেলো রায়াফের।কোনো মতে নিজের কাশি থামিয়ে আশ্চর্যের ভঙ্গিতে বলে উঠলো

“ওই ইনজেকশন তুই আমার থেকে এই আকাম করার জন্য নিয়েছিস?ওকে কিছু করিস নি তো?বেচারি কিন্তু ইনোসেন্ট!

যুবরাজ যেনো কিছুই হয়নি এমন ভাব নিয়ে কফি চুমুক দিতে দিতে বলে উঠলো
“সারা রাত ভর চুমু দিয়েছি শুধু আর কিছুই করিনি।অসাধু বলে এতোটাও খারাপ নই আমি।
চুমু দিয়েছি বলেই কামড়ে দিয়েছে আর কিছু হলে তো ——

যুবরাজের কথা শেষ করার আগেই সামিনা প্রবেশ করলো যুবরাজের রুমে।
এরপর দ্রুত পায়ে কাছে এসে ফিসফিস করে বলে উঠলো
“সারা রাত কোথায় ছিলি?ভাইজান তোকে রাতে দু দুবার খুঁজতে এসে না পেয়ে ফিরে গিয়েছে।তোর উপর অনেক রেগে আছে।এখন চল আমার সাথে ভাইজান ডাইনিং টেবিলে তোকে ডাকছে।

হ্যাঙ্গারে থাকা নিজের টিশার্ট পড়তে পড়তে যুবরাজ ভীতি মিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠলো
“খুব ভয় লাগছে মা।এবারের মতো বাঁচিয়ে নাও।প্রমিস আর জীবনেও রাতে কোথাও বের হবো না।সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে পড়তে বসবো।

যুবরাজের পিঠে এক ঘা বসিয়ে সামিনা বলে উঠলেন
” ঢং না করে দ্রুত আমার সাথে আয়।ভাইজান কিছু প্রশ্ন করলে হু হা তে উত্তর দিবি আমিতো আছি ই।দ্রুত আয়।”

——-^
ডাইনিং টেবিলে বসে বসে সমানে কপাল স্লাইড করে চলেছেন সাদাফ শাহীর।ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত তিনি।ভেবে ছিলেন শেষ বয়সে এসে ছেলে তার ব্যাবসায়ের হাল ধরবে।কিন্তু ছেলে কিসের নেশায় রাত দিন বাইরে বাইরে ছুটে চলে সেটাই তিনি ভেবে পাচ্ছেন না।

“পাপা আমাকে ডেকেছো?
যুবরাজের আকস্মিক ডাকে ধ্যান ভাঙলো সাদাফ শাহীরের।সোজা হয়ে বসে যুবরাজের দিকে তাকিয়ে তার সামনের চেয়ার নির্দেশ করে বলে উঠলেন
‘”বসো এখানে।

যুবরাজ চেয়ার টেনে বসতে নিলেই সাদাফ শাহীর সামিনা কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন
“তুই যা এখান থেকে আমি যুবরাজের সাথে একান্তে একটু কথা বলতে চাই।
সামিনা ভয়ে ভয়ে বলে উঠলেন
“আসলে ভাইজান……
সাদাফ শাহীর হাতের ইশারায় সামিনা কে থামিয়ে প্রস্থান করার নির্দেশ দিলেন।
যুবরাজের দিকে এক পলক তাকিয়ে সামিনা গুটি গুটি পায়ে স্থান ত্যাগ করলেন।

সামিনা চলে যেতেই সাদাফ শাহীর কঠিন কন্ঠে যুবরাজকে বলে উঠলেন
“গতকাল সারা রাত কোথায় ছিলে?

“পাপা আমার কাজ ছিলো।

“কি এমন কাজ তোমার যে রাতেও বাড়ি ফেরার সময় হয়না তোমার?

“পাপা আমি তোমাকে বলতে পারবো না।আম সরি।

রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে টেবিলে জোরে চাপড় মেরে সাদাফ শাহীর বলে উঠলেন
“তোমার জরুরি কাজ টা কি মানুষ খুন করা??

নিজের বাবার মুখে এমন কথা শুনে থমকে গেলো যুবরাজ।দাঁতে দাঁত চেপে সাদাফ শাহীরের দিকে তাকাতেই তিনি কিছু ছবি ছুড়ে মারলেন যুবরাজের দিকে।

ছবি গুলোর দিকে তাকিয়ে যুবরাজ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো
“এগুলো কে দিয়েছে তোমাকে পাপা?

সাদাফ শাহীর গর্জে উঠা কন্ঠে বলে উঠলেন
“কেনো তাকেও মেরে ফেলবে?

বাবা আমি এমনি এমনি কারো ক্ষতি করিনা আমার কাছে এক্সপ্লেনেশন আছে বলেই যুবরাজ মাথা নিচু করে ফেললো।

দাঁতে দাঁত পিষে সাদাফ শাহীর বলে উঠলেন
“তোমার কোনো এক্সপ্লেনেশন আমি শুনতে চাইনা।আমার ভাবতেও ঘেন্না হচ্ছে আমার ছেলে একজন খুনি।আজ এই মুহূর্তে তুমি আমার সাথে থানায় গিয়ে সারেন্ডার করবে না হলে এই বাড়ি ছেড়ে দুই চোখ যেদিকে খুশি সেদিকে চলে যাবে।
কোনো খুনির সাথে এক ছাদের নিচে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না।

[যারা গল্পটা পড়ছেন তাদের সবাইকে আমি বিনীত অনুরোধ করবো আপনারা সবাই পেইজে একটা করে লাইক দিয়ে ফলো করবেন ,পেইজ এর রিভিউ অপশনে গিয়ে গল্প সম্পর্কে একটা রিভিউ দিবেন আর কমেন্টস অপশনে নাইস ,নেক্সট না লিখে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করবেন ।ধন্যবাদ]

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here