ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_১২ #সারিকা_হোসাইন

0
143

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_১২
#সারিকা_হোসাইন

———-
সারা রাতের ইলসে গুড়ি বৃষ্টিটা ভোর রাত্রের দিকে এসে তুমুল বর্ষনের রূপ নিয়েছে।ঘুটঘুটে কালো মেঘে পুরো আকাশ আচ্ছন্ন থাকায় সঠিক সময় অনুমান করা যাচ্ছে না।জানালার সাদা পর্দা ভেদ করে কিঞ্চিৎ আলো কক্ষে প্রবেশ করে জানান দিচ্ছে মোটামুটি ভালোই বেলা হয়েছে।বিশালাকার থাই জানালা বন্ধ থাকার কারনে বৃষ্টির ঝরঝর শব্দের বদলে শো শো শব্দটাই কর্ন কুহরে এসে লাগছে।

হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেলো রাজ্যের।পিটপিট করে পেলব দৃষ্টি মেললো।ঘুম ভালো করে কাটেনি বলে না চাইতেও অক্ষি পল্লব আপনা আপনি ই বন্ধ হয়ে গেলো।জোর করে চক্ষু খোলে চারপাশে নজর বুলিয়ে নিজের অবস্থান বুঝার চেষ্টা করলো।বেডরুম ময় ভুনা খিচুড়ির গন্ধে মম করছে।নিজের বাড়িতেই আছে বুঝতে পেরে শান্তিতে আবার চোখ বুঝে ফেললো।
বিছানায় আড়মোড়া ভাঙতে হাত পা ছড়াতেই স্যালাইন এর পাইপে টান লেগে ব্যাথায় ককিয়ে উঠলো সে

“আউচ্,”

হাতের দিকে তাকিয়ে গত রাতের কথা মনে পড়তেই ভয়ে শিউরে উঠলো রাজ্য।হাতে লাগানো সুই ধীরে ধীরে খুলে অন্য হাতে নজর দিলো।হাতটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব যত্ন সহকারে ব্যান্ডেজ লাগানো হয়েছে।ধীরে ধীরে শোয়া থেকে উঠে বসে পুরো রুমে ভালো করে চোখ বুলালো।আবছা আলোয় বিশালাকার এক কক্ষ নজরে এলো।কক্ষটি খুবই ছিমছাম সাজানো গুছানো।

নিজের ঘাড় সমান এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে বেঁধে সারা বিছানা জুড়ে নিজের মোবাইল খানা খুঁজে চললো।কিন্তু আফসোস এই ঘরের কোথাও মোবাইল নামক যন্ত্রটির অস্তিত্ব নেই।

“তার মানে মোবাইল রেখেই আমি চলে এসেছি?আচ্ছা এনি আবার চিফের বাসায় যায়নি তো?অফিসে গিয়ে কি জবাব দেবো এনিকে?কি এক কেলেঙ্কারি তে ফেঁসে গেলাম ছি!

ধীরপায়ে বিছানা থেকে নেমে কক্ষের বিশালাকার জানালা খুলে পর্দা দুটো সরিয়ে ঘর কিছুটা আলোকিত করলো রাজ্য।জানালা খুলতেই বৃষ্টির ঠান্ডা ঝাপটা এসে তার মুখ গলা ভিজিয়ে দিলো।

“সকাল সকাল বৃষ্টির পানি খেলে ঠান্ডা জ্বর দুটোই কাবু করবে ম্যাডাম।এমনিতেই সারা রাত অনেক জ্বালিয়েছেন।এবার একটু এই অসহায়ের উপর দয়া করুন।

হঠাৎই রসিকতা মিশ্রিত ভরাট কণ্ঠস্বরে চমকে উঠলো রাজ্য।পিছন ফিরে যুবরাজকে দেখে তনু মন দুটোই শিহরিত হলো তার।
মনে হচ্ছে সে কেবলই গোসল সেরে এসেছে।ওলফ কাটিং চুল গুলো এলোমেলো হয়ে তাতে শিশির বিন্দুর মতো পানি লেগে আছে।ভালো করে শরীর না মোছার কারনে ফুলা ফুলা পেশী গুলোতে বিন্দু বিন্দু পানি জমে রয়েছে।কালো রঙের হাতা বিহীন স্যান্ডো গেঞ্জি এই যুবকের সৌন্দর্য কতখানি বৃদ্ধি করেছে তা কি এই আনাড়ি পুরুষ জানে?আর ওই রক্তজবা ঠোঁট দুটো?

হঠাৎই যুবরাজের ব্যান্ডেজ করা হাতের দিকে নজর গেলো রাজ্যের।গত রাতের বিভীষিকাময় দৃশ্য মনে পড়তেই হাত পা অসাড় হয়ে এলো তার।মাথার ঘিলু পিন পিন করে ঘুরতে লাগলো।

“আমি কি রাতে জ্ঞান হারিয়েছিলাম?ডক্টর এসে কখন স্যালাইন দিয়ে গেলো?কিচ্ছুটি টের পেলাম না?এখন যদি আবার জ্ঞান হারাই তখন?

“এখন আবার জ্ঞান হারালে যেদিক দিয়ে এই বাসায় এসেছো সেই দিক দিয়েই টুপ করে নিচে ফেলে দেবো।এরপর সারাদিন রাস্তার ভেতর বেহুশ হয়ে পড়ে থেকো ফাজিল মেয়ে।।

কথাটি বলে যুবরাজ নিজের হাতের সাদা টাওয়েল খানা গলায় ঝুলিয়ে হনহন করে চলে গেলো।

যুবরাজের এমন আকস্মিক হুমকিতে বোকা বনে গেলো রাজ্য।

“কি সাংঘাতিক লোক রে বাবা।মনে মনে একটা কথা বললাম সেটাও শুনে নিলো?আবার আমাকে ফাজিল ও বলে গেলো?আমি ফাজিল হলে তুই ব্যাটা হনুমান।বলেই মুখ বাকালো রাজ্য।

আমাকে গালি দেয়া শেষ হলে দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং টেবিলে এসো।তোমার জন্য আমিও খেতে পারছি না খিদেয় মরে যাচ্ছি।

যুবরাজের এমন অদ্ভুত স্বভাবে চূড়ান্ত ভাবে ঘাবড়ে গেলো রাজ্য।যুবরাজ সম্পর্কে আর কোনো প্রকার চিন্তা ভাবনা না করে দ্রুত ফ্রেস হয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো।
যুবরাজ টেবিলের উপর বাহারি আইটেমের সাথে ভুনা খিচুড়ি বেড়ে নিয়ে বসে আছে।খাবার গুলো লোভনীয় ঠেকলেও রাজ্য সেসবে পাত্তা দিলোনা।
রাজ্যকে দেখতে পেয়ে যুবরাজ মেপে হাসলো।এরপর উঠে দাঁড়িয়ে একটা চেয়ার টেনে দিলো

“বসো এখানে।সকাল থেকে তোমার জন্য রান্নাবান্না করতে করতে কাহিল হয়ে গেছি।এবার খেয়ে আমাকে উদ্ধার করো।
যুবরাজের এমন আতিথেয়তা চরম ভাবে মুগ্ধ করলো রাজ্যকে।মনে মনে খুশি হলেও মুখে কিছুই প্রকাশ করল না।

“আপনি আমার জন্য রান্না করেছেন?
অবাক হয়ে শুধালো রাজ্য।

“বাহ রে বাসায় মেহমান এলে তার জন্য রান্না করবো না?আমি কি কঞ্জুস নাকি?তুমি চাইলে আমি আমার নিজের কলিজা ভুনা করে তোমাকে খাওয়াবো”

“আপনার কলিজা আমি কোন দুঃখে খেতে যাবো?

“মেয়েদের অনেক কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হয় তাই বললাম আর কি।
কথা খানা বলেই চোখ টিপলো যুবরাজ।

রাজ্য মনে মনে বলে উঠলো
“ফাজিল।

যুবরাজ রাজ্যের মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বিগলিত করে হেসে বলে উঠলো
“মনে মনে আমাকে ফাজিল বলছো এম আই রাইট?

রাজ্য চোখ বড় বড় করে যুবরাজের মুখের দিকে তাকিয়ে দুই হাত জোড় করে বলে উঠলো
“খেমা কৈরে দেন।আমার ভুল হচে”

“ক্ষমা করবো এক শর্তে”

“কি শর্ত?

“সব গুলো খাবার খেয়ে খেয়ে আমার প্রশংসা করতে হবে”

“আপনি নিজেই রেঁধেছেন সব?.

“আপাতত আমিই রেঁধেছি বিয়ে করলে বউ রাধবে”

যুবরাজ যে চরম আকারের ঠোঁট কাটা নির্লজ্জ্ব এটা রাজ্য আরো অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে।তাই বাড়তি কথা না পেঁচিয়ে যুবরাজের টেনে দেয়া চেয়ারে ধপ করে বসে পড়লো
“তাড়াতাড়ি খাবার দিন।আমাকে অফিসে যেতে হবে”

“আজ শুক্রবার, আজ কিসের অফিস?

রাজ্য মাথা চুলকে মনে মনে ভাবলো
“নিজের অফিস বন্ধ নিজেই জানিনা।ব্যাটা ঠিক মনে রেখেছে।”

“অফিস না থাকলেও আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে”

প্লেটে খিচুড়ি বাড়তে বাড়তে যুবরাজ কঠিন কন্ঠে বলে উঠলো
“তুমি দিনের বেলায় এক সেকেন্ড এর জন্যও এই বাসা থেকে বেরোতে পারবে না!

যুবরাজের এমন কথায় অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলো রাজ্য।
“কেনো পারবো না?

“কারন এখানে আমার খুব ভালো রেপুটেশন আছে প্লাস আমি সিঙ্গেল এটা সবাই জানে।আমার বাসা থেকে মেয়ে বেরুতে দেখলে সবাই খুব খারাপ ভাবে নিবে ব্যাপারটা।আর আমি আমার জন্য মোটেও ভাবছি না।আমি নিজেই খুব খারাপ মানুষ।আমি চাইনা তোমাকে কেউ আড় চোখে তাকিয়ে দেখুক।

কথাটা বলে প্লেটে সুন্দর করে খাবার গুছিয়ে রাজ্যের সামনে পরিবেশন করলো যুবরাজ।

যুবরাজকে যতোই দেখছে ততোই মুগ্ধ হচ্ছে রাজ্য।
“এতো কোনো সাধারণ ছেলে নয় পুরো প্যাকেজ”!

খাবার সামনে পেয়ে স্পুন রেডি করতে করতে যুবরাজের উদ্দেশ্যে রাজ্য বললো
“আপনিও বসুন।

যুবরাজ নিজের প্লেটে খাবার বাড়তে বাড়তে বলে উঠলো
” বৃষ্টির দিনে চামচ রেখে হাত দিয়ে আচার আর খিচুড়ি মাখিয়ে মাখিয়ে মাখিয়ে খেয়ে দেখো অনেক মজা লাগবে”

নিজের উত্তেজনা এবার আর ধরে রাখতে পারলো না রাজ্য।মুখে খাবার এর লোকমা তুলতে তুলতে মুচকি হেসে বলে উঠলো
“আপনাকে যে বিয়ে করবে সে অনেক লাকি”

খাবার চিবুতে চিবুতে যুবরাজ বলে উঠলো
“তাহলে সেই লাকি পারসন আপনি নিজেই হয়ে যান ম্যাডাম।

মুখে তোলা খাবার গুলো গট করে রাজ্যের গলায় আটকে গেলো।মুহূর্তেই চোখ লাল হয়ে কাশি এসে অবস্থা বিগড়ে গেলো।
রাজ্যের এহেন দশা দেখে ঝটপট পানি এগিয়ে দিয়ে মাথায় চাপড় দিলো যুবরাজ।
“তুমি সবকিছুতেই বড্ড আনাড়ি রাজ্য।তোমাকে মনে হয় তাড়াহুড়ো করার জন্য সবসময় দুই পাশ থেকে দুই শয়তান গুঁতোতে থাকে তাইনা?

পানি খেয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে ফ্যাসফ্যাসে কন্ঠে রাজ্য বলে উঠলো
“আমার দুই পাশের দুই শয়তানের চেয়েও আপনি বেশি মারাত্মক।আপনি আপাতত আমাকে গুতানো বন্ধ করুন।

“আমার তো শিং নেই তাহলে কিভাবে গুঁতো দিলাম তোমাকে?

“আমি কি না খেয়েই উঠে যাবো?

“এহ না প্লিজ রাগ করোনা।মুখে স্কচ টেপ মেরেছি আর কিচ্ছুটি বলবো না।
কথাখানা বলেই মুখে হাওয়ায় টেপ মারার মতো ভং করলো যুবরাজ।এটা দেখে রাজ্য ফিক করে হেসে দিলো।

একমনে খেতে খেতে যুবরাজ খুক খুক করে কেশে উঠলো

“আপনার আবার কি হলো এভাবে কাশছেন কেনো?

“একটা কথা বারবার গলায় এসে খুব বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।বারবার পেটে ঢুকানোর চেষ্টা করছি।কিন্তু পেটে থাকতেই চাইছে না।
খুবই করুন স্বরে কথাটা বলে আবার কাশতে লাগলো যুবরাজ।

খাবার খেতে খেতে রাজ্য শুধালো
“কোন কথা পেটে থাকছে না?

“তোমার হাসি সুন্দর।হাসলে তোমাকে বউ বউ লাগে”

যুবরাজের এহেন কথায় লজ্জায় রাজ্য মাথা নিচু করে খাবার খাওয়ায় মনোনিবেশ করলো।কিন্তু খাবার যেনো গলা দিয়ে নামছেই না।দুই কান দিয়ে গরম ধোয়া বের হচ্ছে যেনো।
বহু কষ্টে সব গুলো খাবার শেষ করে উঠে দাঁড়ালো রাজ্য

“খাবার অনেক মজা হয়েছে,আপনার অনেক গুন আছে যুবরাজ শাহীর”

“আমার আরো অনেক কিছু আছে সময় এলে দেখাবো।
কথাটা বলে দুজনের প্লেট দুটো নিয়ে হনহন করে কিচেনে চলে গেলো যুবরাজ।
“মেয়েটার সামনে থাকলেই বিপদ।কোনটার ই কন্ট্রোল থাকেনা।না আমার না ছোটা ভীমের।

________
রেজোয়ান চৌধুরীর ড্রয়িং রুমে বসে আছে শেরহাম।গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ফোনে সে শ খানেক ফোন দিয়েছে।না মেয়েটি ফোন তুলেছে না ফোন ব্যাক করেছে।বিষয়টা শেরহাম কে খুবই হার্ট করেছে।

“কি ব্যাপার কে আপনি?
ভারিক্কি গলায় কথাটা বলে চশমার উপর দিয়ে শেরহামের দিকে তাকিয়ে রইলেন রোজোয়ান চৌধুরী।
রেজোয়ান চৌধুরী কে দেখতে পেয়েই চটপট উঠে দাঁড়ালো শেরহাম।বিনয়ের সাথে সালাম দিয়ে বলে উঠলো
“আংকেল আমি শেরহাম ফাইয়াজ।আপনার বন্ধু সুবহান শেখের ছেলে আমি”

শেরহাম কে দেখে খুশিতে হো হো করে হেসে উঠলেন রেজোয়ান চৌধুরী।শেরহামের কাঁধে চাপড় মেরে বলে উঠলো
“আরে ব্যাটা আগে বলবে না তুমি সুবহানের ছেলে?তা বাবা কি মনে করে এই সময়ে এলে?

রেজোয়ান চৌধুরীর এমন প্রশ্নে কিছুটা থতমত খেলো শেরহাম।
“আব, আসলে আংকেল রাজ্য কাল থেকে ফোন তুলছে না।তাই ভাবলাম কিছু হলো কি না?

রেজোয়ান চৌধুরী শেরহামের দিকে এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন।এরপর তনুজার নাম ধরে হাঁক ছাড়লেন
“তোমার মেয়েকে ডেকে আনো, ফোন কেনো তুলছে না আমিও এর জবাব চাইবো।

তনুজা এবার একটু ইতস্তত করে উঠলেন।দুই হাত সমানে কচলে অপরাধীর ন্যায় বলে উঠলেন;―
“আসলে ও ঘরে নেই।ফোন টা রুমে ফেলে গেছে।

“ঘরে নেই মানে?ছুটির দিনে এই বৃষ্টির মধ্যে কোথায় গিয়েছে সে?
তেজী কন্ঠে প্রশ্ন করে তনুজার দিকে উত্তরের আশায় নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে রইলেন ভদ্রলোক।

“হয়তো কোন কেইস ইনভেস্টিগেশন এর জন্য গিয়েছে।”
কথাটি বলে দ্রুত রান্না ঘরে চলে গেলেন তনুজা চৌধুরী।
তিনি গত রাতেই রাজ্যকে বাড়ি থেকে ওয়াল টপকে যেতে দেখেছেন।মেয়ের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস আছে।মেয়ে কোনো কেলেঙ্কারিতে নেই এটা তিনি শতভাগ নিশ্চিত।রেজোয়ান চৌধুরী এই বিষয়টা জানলে অযথা হাল্লা মাচাবে।তাই পুরো ঘটনাই তিনি রাত থেকেই চেপে গিয়েছেন।

রেজোয়ান চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় হাক ছেড়ে উঠলেন
“কি গো ছেলেটা এলো ওকে কিছু খাবার টাবার দাও।

শেরহাম হঠাৎই উঠে দাঁড়ালো

“আংকেল আজ আমি আসি।পরে আবার অন্য একদিন আসবো।আমার জরুরি কিছু কাজ পরে গেছে।

“সে কি মাত্রই তো এলে।

“না আংকেল আজ যাই।

রেজোয়ান চৌধুরীর বাড়িতে আর এক মুহূর্ত ও দাঁড়ালো না শেরহাম।তার অনেক কাজ জমে আছে এই শহরে।সব গুলো একটা একটা করে খালাস করতে হবে।
প্রথমে নিজের ঝুঁড়িতে রাজ্যকে তোলা চাই এর পর যুবরাজের মাংসের কিমা দিয়ে বার্গার !

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here